Tag: জেলা প্রশাসন

  • চসিকের খাল খনন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থ ৪৩ জন পেল ক্ষতিপূরণ

    চসিকের খাল খনন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থ ৪৩ জন পেল ক্ষতিপূরণ

    চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের (চসিক) বাস্তবায়নাধীন খাল খনন প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

    শনিবার (২০ মে) ক্ষতিগ্রস্থ ৪৩ জনকে মোট ১৭ কোটি টাকার চেক তুলে দেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

    এসময় জেলা প্রশাসক বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কোনো ভূমি মালিক যদি ক্ষতিগ্রস্থ হন তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সরাসরি এলএ শাখায় আবেদন করবেন। এতে যাচাই বাছাই করে দ্রুততম সময়ে ক্ষতিপূরণ পাবেন।

    কোনো দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীর নিকট না গিয়ে সরাসরি এলএ শাখায় আবেদন করে নিজের ক্ষতিপূরণের টাকা নিজে উত্তোলন করুন। জেলা প্রশাসনে কোনো মধ্যস্বত্বভোগীর স্থান নেই।

    চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. আবু রায়হান দোলন, ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান মুরাদ প্রমুখ।

    প্রসঙ্গত, বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়া হতে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত সংযোগ খাল খনন প্রকল্প ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং বাস টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়।

     

  • মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তির যুদ্ধ এখনো চলমান: বিভাগীয় কমিশনার

    মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তির যুদ্ধ এখনো চলমান: বিভাগীয় কমিশনার

    স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আজ ১৭ মার্চ শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও উৎসবমূখর পরিবেশে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর আয়োজন করেন।

    সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অপর্র্ণ করার মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসি, সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) একেএম সরোয়ার কামাল, বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের পরিচালক মোঃ আবু সাইদ, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের এসপি মোঃ সুলাইমান, রেলওয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ মজিবুর রহমান পাটওয়ারী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ আজম, জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কালাম, পিবিআই, ট্যুরিস্ট পুলিশ, আর.আর.এফ কমান্ড্যান্ট (এসপি), সিআইডি, নৌ-পুলিশ, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, জেলা শিশু একাডেমি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, আনসার-ভিডিপি, এলজিইডি, বিআরটিএ, খাদ্য বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন সরকার-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান।

    সকাল ১০টায় শিশুদের নিয়ে কেক কেটে ও বেলুন উড়িয়ে জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসিসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাগণ।

    সকাল সোয়া ১০টা থেকে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও আবৃত্তি শিল্পী এডভোকেট মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় শিল্পকলা একাডেমির অনিরুদ্ধ মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, পুলিশের রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার এস.এম. শফিউল্লাহ, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমেদ, জেলা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরোয়ার কামাল। অনুষ্ঠানে এতে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং মুক্তিযোদ্ধাসহ অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।

    আলোচনা সভা শেষে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার জেলা শিল্পকলা ও শিশু একাডেমিতে আয়োজিত চিত্রাংকন, হাতের লেখা, নৃত্য ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গানের প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

    এছাড়াও জেলা প্রশাসন ও জেলা তথ্য অফিসের তত্ত¡াবধানে ডিসি হিল, সিআরবি, টাইগারপাস মোড় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ সম্পর্কিত ডকুমেন্টারী প্রদর্শন ও ৭ মার্চের ভাষণ প্রচার করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সমূহ আলোকসজ্জাকরণ করা হয়। জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে সুবিধাজনক সময়ে মহানগরীর ১০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্য সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর বিভিন্ন পুস্তক ও ছবি প্রর্দশন করা হয় এবং বিভিন্ন মসজিদ ও ধর্মীয় উপসনালয়ে মিলাদ মাহফিল, দোয়া প্রার্থনা করা হয়। এছাড়া সমাজসেবা কার্যালয় ও শিশু একাডেমিতে শিশু সদন, শিশু পরিবার ও শিশু বিকাশ কেন্দ্রে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।

    আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান এনডিসি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে কিন্তু মুক্তির যুদ্ধ এখনো চলমান। আমাদের দেশে এমন কিছু মানুষ আছে যারা দেশের উন্নতি সহ্য করতে পারছেনা। তারা বিভিন্ন সময় গুজব ছড়িয়ে হোক বা অন্যান্য অপকর্মের মধ্যে দিয়ে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট করার জন্য তৎপর হয়ে আছে। তাদের সফল হতে দেয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে বুকে ধারণ করে কঠোর হাতে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

    তিনি বলেন, বাঙালি জাতির শোষন থেকে মুক্তির আন্দোলনে ৩টি বিষয় জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল। জাতীয় সংগীত, ৭ই মার্চের ভাষণ ও জয় বাংলা শ্লোগান। এই ৩টি বিষয় যুগে যুগে বাঙালির সকল উন্নয়নে ভুমিকা রাখবে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণে আছে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’ এখানে মুক্তি কথাটির নানা অর্থ রয়েছে। এর একটি অর্থ হল অর্থনৈতিক মুক্তি। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। বঙ্গবন্ধুর ১৮ মিনিটের ভাষণে দেশের মুক্তিকামী মানুষ আন্দোলনের শক্তি, উৎসাহ খুজে পায় যা পরবর্তীতে দেশের আপামর জনগনকে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮’র সামরিক শাসন, ৬৬’র ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান ও ৭০’র সাধারণ নির্বাচনসহ বাঙালির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব দেন। এজন্য তাঁকে বহুবার কারাবরণ করতে হয়েছে। শিকার হতে হয়েছে অমানসিক নির্যাতনের। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশ্যে বজ্রকণ্ঠে তিনি যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন তাঁ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ। ঐতিহাসিক ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

    পাকিস্তানি শাসনামলের শোষণ ও লাঞ্চনা-বঞ্চনার ইতিহাস কিভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাষণে উজ্জীবিত বাঙালি বিজয়ের ইতিহাসে রূপান্তর করে তা তার বক্তৃতায় উঠে আসে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি আলোকপাত করেন ডিআইজি।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আলোকিত হয়ে দেশকে ভালোবাসার জন্য আহবান জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, জাতির জনকের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

  • ফ্লেভারস ও মিঠাইকে জরিমানা

    ফ্লেভারস ও মিঠাইকে জরিমানা

    চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড় এলাকায় জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআই’র অভিযানে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।

    বিএসটিআই’র সহকারী পরিচালক (সিএম) মোস্তাক আহমেদ জানান, পরিচালিত অভিযানে ফ্লেভারস প্রিমিয়াম সুইটস অ্যান্ড বেকারসকে চিঁড়া ভাজা এবং নিমকিতে অবৈধ ভাবে বিএসটিআইয়ের মানচিহ্ন ব্যবহার করার অপরাধে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    এ ছাড়া মিঠাই সুইটস অ্যান্ড বেইককে ক্রিম বানে অবৈধ ভাবে বিএসটিআইয়ের মানচিহ্ন ব্যবহার করার অপরাধে ২৫ হাজার টাকা এবং ওজন যন্ত্রে ভ্যারিফিকেশন সনদ না থাকার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিএসটিআই’র এ কর্মকর্তা।

  • মুখে মাস্ক না পরে ৪ হাজার টাকা জরিমানা দিল অর্ধশত ব্যক্তি

    মুখে মাস্ক না পরে ৪ হাজার টাকা জরিমানা দিল অর্ধশত ব্যক্তি

    নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে মাস্ক পরার ক্ষেত্রে সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও চট্টগ্রামের অধিকাংশ মানুষই তা মানছেন না। ফলে প্রতিদিন করোনা শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মৃত্যুর তালিকাতেও যোগ হচ্ছে নতুন নতুন নাম।

    এক্ষেত্রে সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা পালনে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মুখে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছেন জেলা প্রশাসন।

    আজ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত নগরীর কোতোয়ালি মোড়ে পরিচালিত অভিযানের নের্তৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুক।

    এসময় মুখে মাস্ক পরিধান না করায় অর্ধশত ব্যক্তিকে ৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য আরো সতর্ক করে দেন।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সোমবার নগরীর কোতোয়ালি এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায় রাস্তা-ঘাটে, বিপনি বিতান, মার্কেট ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মানুষ মাস্ক না পরে চলাফেরা করছেন। যার ফলে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে প্রভাব ফেলছে।

    তাই যারা মাস্কবিহীন চলাফেরা করছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, মাস্ক কেন পরেননি জানতে জানতে চাইলে জবাবে অনেকে বলেন করোনা ভাইরাস নেই বলে তারা মাস্ক পরেননা ও তাদের সংক্রমিত করবেনা বলে তাদের মাস্ক প্রয়োজন নেই। এমনকি ভুলে তারা মাস্ক বাসায়/বাড়িতে রেখে এসেছেন বলে অজুহাত দেখান।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে দেখা যায় অনেকেই অবহেলা করে মাস্ক পরেননা। অন্যরা মাস্ক পরিধান করেনা বলে নিজেরা মাস্ক পরেননা আবার মাস্ক না পরে পকেটে রেখে দেন অনেকে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে অব্যাহত রয়েছে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান (ভিডিও)

    সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে অব্যাহত রয়েছে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান (ভিডিও)

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রামে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে জেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযান পরিচালনায় জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসানের নেতৃত্বে আজ নগরীর বাকলিয়া, সদরঘাট, কোতোয়ালী, রিয়াজ উদ্দিন বাজার, কদমতলী , ডবলমুরিং, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী মার্কেট, বেপারী পাডা ছোট পুল, বডপুল, হালিশহর এলাকায় জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

    এ সময়, করোনা পরিস্থিতিতে, এবং মাহে রমজান উপলক্ষে বাজার তদারকির অংশ হিসেবে নগরীর কদমতলী ফলের পাইকারি আড়তে অভিযান চালায় প্রশাসন। ভিডিও লিংক : ফলমন্ডির ফল পরিবহণে বোঝাই হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই

    এসময় সামাজিক দূরত্ববজায় না রেখে কোন প্রকার সুরক্ষা সামগ্রী ও মুখে মাস্ক ছাড়া শ্রমিকদের দিয়ে পরিবহনে ফল উঠা নামা, ফলের পাইকারি দোকানে ফলের মূল্যের তালিকা না টাঙ্গানো, অধিক দামে ফল বিক্রি করার অপরাধে ৯ টি মামলায় মোট বিশ হাজার পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়।

    ভবিষ্যতে বাধ্যতামূলক ভাবে ফলের দোকানে মূল্যের তালিকা টাঙ্গাতে হবে এবং অধিক মূল্যে ফল বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে আড়তদারকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    অন্যদিকে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিনের নেতৃত্বে আজ নগরীর পাঁচলাইশ, খুলশী, বায়েজিদ, চাঁদগাও ,চকবাজার এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়।

    এ অভিযানে, বাজার তদারকির অংশ হিসেবে, মুদির দোকানে মূল্যের তালিকা না টাঙানো, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে হ্যামলেট ছাড়া মোটর সাইকেল চালানো, একের অধিক মোটরসাইকেল আরোহী বহন করার অপরাধে ৩ টি মামলায় ৩ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়।

    পৃথক দুটি অভিযানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থেকে ভ্রাম্যমান আদালতকে সহায়তা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/শারমিন সুমি/ আর এস পি

  • চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৯ মামলায় জরিমানা

    চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৯ মামলায় জরিমানা

    চট্টগ্রামে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।

    সোমবার (৪ মে) নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে
    চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী, পাঁচলাইশ,বায়োজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৩টি মামলায় ১৪ হাজার ৭শত টাকা জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকীন নূর।

    নগরীর চকবাজার,বাকলিয়া,সদরঘাট ও কোতোয়ালি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন ৯টি মামলায় ৯হাজার ৬শত টাকা জরিমানা করেন।

    মহানগরীর চান্দগাঁও এলাকার দেওয়ান মহসিন রোডের চেয়ারম্যান কলোনীতে সরকারি আদেশ অমান্য করে বহিরাগত ৮-১০ জন নির্মাণ শ্রমিকদের সমাগম ঘটিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখায় উপস্থিত ঠিকাদারকে আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

    ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় অননুমোদিতভাবে দোকান খোলা রাখায় রিমা গ্লাস হাউসকে ৩ হাজার টাকা, লেপের দোকান সায়েদ স্টোরকে দেড় হাজার টাকা জরিমানা করেন।
    সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করায় মুদির দোকান হাসেম স্টোরকে ৪হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন মহানগরীর আকবর শাহ, পাহাড়তলী, হালিশহর ও ডবলমুরিং থানা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮টি মামলায় সাড়ে ৬হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর চট্টগ্রাম মহানগরের খুলশী, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় আদালত পরিচালনা করে ৬টি মামলায় ৩হাজার ৩শত টাকা জরিমানা করেছেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট আশিক – উর – রহমান নগরীর বন্দর,ইপিজেড এবং পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি মামলায় ২হাজার টাকা জরিমানা করেন।এছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক
    এলাকা: কোতোয়ালি, চকবাজার, সদরঘাট ও বাকলিয়ায় আদালত পরিচালনা করে ৮টি মামলায় ৫হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান: মাল্টার কেজি শতকে

    বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান: মাল্টার কেজি শতকে

    চট্টগ্রাম নগরীর অন্যতম বৃহৎ ফলের আড়তে জেলা প্রশাসনের বাজার মনিটরিং টিমের অভিযানের ফলের মাল্টার কেজি শতকে নেমে এসেছে।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ২৯ ও ৩০ এপ্রিল নগরীর ফলমন্ডিতে অভিযান চালানো হয়৷ এ সময় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সহায়ক ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ মাল্টা ফল আমদানি মূল্যের চাইতে দ্বিগুণ দামে বিক্রির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮ ব্যবসায়ীকে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    আজ রবিবার (৩ মে) ফলমন্ডি বাজার মনিটরিং এ গিয়ে দেখা যায় যে, আড়ত থেকে প্রতি কার্টুন মাল্টা দেড় হাজার টাকা (১ কার্টুনে ১৫ কেজি) বা কেজি প্রতি ১শত টাকা দরে মাল্টা বিক্রি হচ্ছে।

    তিনি আরো জানান, চট্টগ্রাম মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন খুচরা বাজারে ট্রাক ভর্তি মাল্টা যাচ্ছে ফলমন্ডি থেকে । এ সকল ট্রাকের চালান এবং ফলমণ্ডির মাল্টা আড়তের রশিদ চেক করে দেখা যায়, ১শত টাকা কেজি দরে মাল্টা বিক্রি হচ্ছে।

    এছাড়া নগরীর আকবরশাহ,হালিশহর,পাহারতলী ও ডবলমুড়িং এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় ও পণ্যেট মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার দায়ে দণ্ডবিধি ১৮৬০ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ধারায় ৩টি মামলায় ৩হাজার টাকা জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট আশিক – উর – রহমান।

    ম্যাজিস্ট্রেট মুশফিকীন নূর পাচলাইশ,খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬টি মামলায় ৭হাজার ৮শত টাকা জরিমানা করেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. আলমগীর চট্টগ্রাম মহানগরের বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এ ২টি মামলায় ১হাজার ৩শত টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান চকবাজার,বাকলিয়া, সদরঘাট ও কোতোয়ালি এলাকায় আদালত পরিচালনা করে অননুমোদিতভাবে খোলা রাখায় ও মাংসের দাম বেশি নেওয়ায় ৫ টি মামলায় সাড়ে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী পাহাড়তলী, আকবরশাহ, হালিশহর ও ডবলমুরিং এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ২টি কাপড়ের দোকানকে ২ হাজার ৪শত টাকা, ১টি টেইলরের দোকানকে ৫শত টাকা ও ২টি ইলেকট্রনিক সামগ্রীর দোকানকে ৮ হাজার টাকা, পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারের এক সবজি বিক্রেতাকে ৬শত টাকা, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় ঔষধ সংরক্ষণ না করায় আকবরশাহ এলাকার একটি ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকা ও সামাজিক দূরত্ব না মানায় ৪জনকে মোট ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    কোতায়ালী ও সদরঘাট থানাধীন এলাকায় আদালত পরিচালনা করে ১৬টি মামলায় ১৬হাজার ১শত টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান এবং ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিন ৫টি মামলায় ৩হাজার ১শত জরিমানা করেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রামে বাজার নিয়ন্ত্রণে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা

    চট্টগ্রামে বাজার নিয়ন্ত্রণে ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা

    চট্টগ্রামে নগরীর বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

    এসময় মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও পণ্যের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ায় ১২টি মামলায় ৬৫ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা করেছেন।

    শনিবার (২ মে) চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া, সদরঘাট ও কোতোয়ালীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আশরাফুল আলম।

    তিনি জানান, বাজার মনিটরিং করে ৫ টি মামলায় সাড়ে ৮হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বাকলিয়ার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণের দাবীতে মানববন্ধনের জন্য লোকজন জড়ো হলে তাদেরকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন হালিশহর,পাহাড়তলি, ডবলমুরিং, আকবরশাহ এলাকায় আদালত পরিচালনা করে মূল্যতালিকা না থাকায় দুইটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও অহেতুক ঘোরাঘুরি করায় ৩ ব্যক্তিকে ৩টি মামলায় ২৩০০ টাকা জরিমানা করেছেন।

    এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার নগরীর পাঁচলাইশ, খুলশী, বায়েজিদ ও চান্দগাঁও এলাকায় আদালত পরিচালনা করে ৪টি মামলায় ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রামে বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান: ৭০ হাজার টাকা জরিমানা

    চট্টগ্রামে বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান: ৭০ হাজার টাকা জরিমানা

    চট্টগ্রামে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৭০ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

    শুক্রবার (১ মে) চট্টগ্রাম মহানগরীর বেশ কয়েকটি বাজার মনিটরিংয়ে নামে জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ। এ সময় বিভিন্ন অসংগতি নজরে আসলে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার নগরীর কর্ণেল হাট বাজারে দ্রব্যমূল্যের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ১টি দোকানকে ৩হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান নগরীর কে.বি. আমান আলী রোডস্থ খুচরা বাজারে সরকারি আদেশ অমান্য করে টেইলার্স ও সেলুন খোলা রাখায় ২হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া কামাল বাজার, বাকলিয়ায় ১২টি প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা না পাওয়ায় সাড়ে ১৯হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আশরাফুল আলম নগরীর বন্দর, ইপিজেড, পতেঙ্গা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৬ টি মামলায় ৩হাজার ৩শত টাকা জরিমানা করেছেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন খুলশি, পাচলাইশ, বায়েজীদ ও চান্দগাঁও এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে৪ টি মামলায় সাড়ে ১৪ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশিক – উর -রহমান নগরীর আকবরশাহ, হালিশহর, পাহারতলী এবং ডবলমুড়িং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩টি মামলায় সাড়ে ৩হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুক দেওয়ান বাজার ও কাজীর দেউরি কাঁচা বাজারে অভিযান পরিচালনা করে বাজার মুল্য তালিকা না থাকা ও অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করায় ১৩ টি দোকানকে ২৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. আলমগীর ৭টি মামলায় ৫হাজার ৭শত টাকা জরিমানা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দিনভর অভিযানে ৪৮ মামলা,চট্টগ্রামে বিনামূল্যের সরকারি ঔষধ ফার্মেসীতে!

    দিনভর অভিযানে ৪৮ মামলা,চট্টগ্রামে বিনামূল্যের সরকারি ঔষধ ফার্মেসীতে!

    চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পূর্ব গেইট এলাকার দুইটি ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে বিনামূল্যের সরকারি ঔষধ ও অনুমোদনহীন ঔষধ জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

    বুধবার (২৯ এপ্রিল) এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার।

    তিনি জানান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পূর্ব গেইটের দুইটি ফার্মেসীতে প্রচুর আনরেজিস্টার্ড ঔষধ, সরকারি ঔষধ (বিক্রির জন্য নহে) পাওয়া গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এসব ঔষধ জব্দ করে ড্রাগ এ্যাক্ট ১৯৪০ এর ১৮ এর বি ও সি ধারায় ২মামলায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    এদিকে ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তাহমিনা সারমিন খুলশীর ঝাউতলা বাজারে অভিযান চালিয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করায় এক মুদি দোকানদারকে, আরেক দোকানে নিম্নমানের খেজুর, সেমাই বিক্রি করায়, অননুমোদিতভাবে দোকান খুলে ব্যবসা করার কারণে বায়েজিদের আমিন কলোনি বাজারের ওয়ালটন দোকানকে ৬হাজার টাকা ও মাস্ক বিহীন অযথা ঘুরাঘুরির কারণে ২ জনকে ২শত টাকা জরিমানা করেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা এলাকায় অননুমোদিত দোকান খোলায় ৫টি দোকানকে ১১হাজার টাকা, মূল্য তালিকা না থাকায় ১ মুদি দোকানদারকে ১হাজার টাকা এবং অপর এক দোকানদার অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করায় ৩হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খালা রাখায় পাহাড়তলী, আকবরশাহ, হালিশহর ও ডবলমুরিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি সেলুনকে ৫শত টাকা, ২টি কাপড়ের দোকানদারকে ১ হাজার টাকা, ১টি জুতার দোকানকে ৫শত টাকা, ২টি টেইলরের দোকানকে ৬শত টাকা এবং ১টি ফার্নিচারের দোকানকে ৩ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া কর্ণফুলী মার্কেটের মেসার্স আল্লাহর দান স্টোরকে অধিক মূল্যে আদা ও রসুন বিক্রয়ের অপরাধে ৩হাজার টাকা, সামাজিক দূরত্ব না মানায় এক মোটরসাইকেল চালককে ৫শত টাকা জরিমানা করেন।

    জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হাসান আদালত পরিচালনা করে নগরীর দেওয়ান বাজারে ১টি টেইলার্স ও ১টি সেলুনকে অপরাধে আড়াই হাজার টাকা এবং অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রির সত্যতা পাওয়ায় ৭টি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম নগরীর রিয়াজুদ্দিন বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সবজির দুটি বড় আড়তে মূল্যতালিকা না থাকায় ২ মামলায় ১১ হাজার টাকা, ফলমন্ডির ৫ ফল ব্যবসায়ীকে মাল্টা জাতীয় ফলের মূল্যবৃদ্ধি করায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক পাহাড়তলী চাউলের আড়তে ও কর্নেল হাটে অভিযান পরিচালনা করে মূল্য তালিকা না থাকা ও অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয় করায় ৯টি মামলায় ২২হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম. আলমগীর,
    চট্টগ্রাম মহানগরের চকবাজার, সদরঘাট, বাকলিয়া ও কোতোয়ালি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬টি মামলায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

    বুধবার মহানগরে দিনভর অভিযান চালিয়ে মোট ৪৮টি মামলায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৩শত টাকা জরিমানা করেন জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খাতুনগঞ্জে অভিযান : ব্যবসায়ী চক্রের চক্রান্তে আদার দাম বাড়তি

    খাতুনগঞ্জে অভিযান : ব্যবসায়ী চক্রের চক্রান্তে আদার দাম বাড়তি

    চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এতে ব্যবসায়ী চক্রের চক্রান্তে আদার আমদানী মূল্যের দ্বিগুণ-তিনগুণ দাম নেওয়া হচ্ছে বলে সত্যতা পাওয়া যায়।

    চক্রে রয়েছে আমদানিকারক, কমিশন এজেন্ট এবং দলাল। এদেরই চক্রান্তে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন খুচরো বাজারে বেড়ে গেছে আদার দাম।

    রবিবার (২৬ এপ্রিল) সকালে খাতুনগঞ্জে পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের গঠিত বিশেষ টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন।

    জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে গঠিত বিশেষ টিমের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম ও মো.আলী হাসান নগরীর খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করেছেন। এতে আইন-শৃঙ্খলা র‍্যাব-৭ এর সদস্যরা অংশ নেন।

    এ সময় খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আদা, রসুন, পেয়াজ, খেজুর, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানসমূহে, আড়ত, পাইকারি দোকান ও মোকামে অভিযান পরিচালনা করে অধিক মূল্যে আদা বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় হামিদুল্লাহ মার্কেটের কামাল উদ্দিন ব্রাদার্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    আদার আড়তগুলোতে আমদানি মূল্যের চাইতে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ দামে আদা বিক্রি করা হচ্ছে খাতুনগঞ্জে। অথচ আমদানি তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১লা জানুয়ারি হতে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রামের ৩৫ জন আমদানিকারক মোট ৩হাজার ১শত ৪৩ দশমিক ৯৫ মেট্রিক টন আদা আমদানি করেছেন। যার কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স সহ আমদানি খরচ ২৫২ কোটি ৬১ লক্ষ ৭ হাজার টাকা। এ হিসেবে আদার গড় আমদানি মূল্য কেজি প্রতি ৮০ টাকার মতো।

    সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশ থেকে যে আদা আমদানি হয়েছে সেগুলোর কেজি প্রতি মূল্য ৯০-৯৫ টাকার মতো। কিন্তু খাতুনগঞ্জ, চাক্তাই, পাহাড়তলির বিভিন্ন আড়ত ও মোকামে রেজিস্টার অনুসন্ধানে পাওয়া গিয়েছে যে, বিগত ১৫ এপ্রিলের পর থেকে আদা ব্যবসায়ী চক্র (আমদানিকারক, ব্রোকার, কমিশন এজেন্ট, আড়তদারগণ) আদার মূল্য বাড়িয়ে ১২৫ টাকা থেকে কয়েক দিনের ব্যবধানে ২৫০ টাকার উপরে নিয়ে গিয়েছেন। আমদানিকারকগণ বন্দর থেকে সরাসরি দালাল (ব্রোকার), কমিশন এজেন্টদের মাধ্যমে আড়তদারদের নিকট এসব পণ্য পৌঁছে দেন। মূলত চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে আদার বাজার অস্থিতিশীল করার পেছনে কতিপয় আমদানিকারক এবং ব্রোকার (দালালদের) যোগসাজশে আদার বাজার মূল্য অস্থিতিশীল হয়েছে।

    খাতুনগঞ্জে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তৌহিদুল ইসলাম জানান, খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন আদা, রসুন, পেয়াজ, খেজুর, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান গুলোতে অভিযান পরিচালনা শুরু করলে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা গা ঢাকা দেন। এদের অধিকাংশই আদা ব্যবসায়ী।

    এসময় পাইকারি দোকান,আড়ত ও মোকামে বিক্রেতাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আদার আমদানিকারকদের সাথে একটি দালাল (ব্রোকার) এবং কমিশন এজেন্ট চক্র যুক্ত হয়ে আদার বাজার মূল্যে কারসাজি করেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রামে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বাসা ছাড়া করলে আইনি ব্যবস্থা

    চট্টগ্রামে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বাসা ছাড়া করলে আইনি ব্যবস্থা

    চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যকর্মীদের বাসা থেকে বের করে দিতে কতিপয় বাড়িওয়ালার অপচেষ্টার বিষয়টি আমলে নিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

    বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এলএ) মো. আবু হাসান সিদ্দিককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

    মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় এ ধরনের কোন ঘটনার তথ্য পাওয়া গেলে বা জানা থাকলে তা জেলাপ্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তাকে জানাতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

    আপনার পাশ্ববর্তী কোন বাড়িওয়ালা যদি করোনা চিকিৎসা সেবায় সম্পৃক্ত চিকিৎসক -নার্স ও অন্যান্য যে কোন স্বাস্থ্যকর্মীকে বাসা থেকে বের করে দেবার অপচেষ্টা চালায়, বিষয়টি তাৎক্ষণিক অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (এলএ)-কে ০১৭৩৩-৩৩৪৩১৭ নম্বরে ফোন দিয়ে জানান।
    প্রয়োজনে তথ্য দাতার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে।