Tag: জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত

  • খাগড়াছড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সাময়িক বর্জনের ঘোষণা আইনজীবীদের

    খাগড়াছড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সাময়িক বর্জনের ঘোষণা আইনজীবীদের

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : ভ্রাম্যমান আদালতে দণ্ড দেওয়া আসামীদের আইনি সহায়তা বঞ্চিত করাসহ একাধিক অভিযোগে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর সকল কোর্ট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলার আইনজীবীরা। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস।

    বুধবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভা শেষে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ন্ত্রনাধীন তিন কোর্ট বর্জনের ঘোষণা দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আশুতোষ চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আকতার উদ্দিন মামুন।

    খাগড়াছড়ি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট আশুতোষ চাকমা জানান, করোনাকালে সরকার গত ২ জুলাই ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেন। খাগড়াছড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস কোর্ট পরিচালনা না করে ২৭ জুলাই তথ্য প্রযুক্তি আইন নিয়ে আলোচনাসভা করেন।

    আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ একাধিকবার দেখা করে কোর্ট পরিচালনার জন্য অনুরোধ করলেও তা না করে উল্টো আইনজীবীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক দণ্ড দেওয়া আসামীরাও আইনি সহায়তা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এসকল কারনেই জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সকল কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো রেজুলেশন আকারে আইন, জনপ্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    সভায় সিনিয়র আইনজীবী নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, মঞ্জুর মোর্শেদ ভুইয়া, কামাল উদ্দিন মজুুমদার. ফিরোজুল আলম, আলী নুর, রতন কুমার দে, মালেক মিন্টুসহ সকল আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

    খাগড়াছড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

    জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, তাদের কোন দাবী-দাওয়া থাকে ও কোর্ট নিয়ে পরামর্শ থাকলে তারা বলতে পারেন। তারা কোন আলাপ না করে এক তরফাভাবে কোর্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্তে সাধারন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেটা আইনজীবী হিসেবে তাদের কাম্য হওয়ার কথা না। আর আমরা যারা বিচার পক্রিয়ার সাথে আছি আমাদেরও কাম্য নয়।

    প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে খাগড়াছড়ি জেলায় গত এপ্রিল, মে ও জুন মাস পর্যন্ত ৬৯০ টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। এতে ৩,০০২ টি মামলার বিপরীতে ১৫ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। তবে অভিযানে কতজনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তা জানা যায়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ