Tag: জোড়া খুনে

  • চন্দনাইশে জোড়া খুনের ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা

    চন্দনাইশে জোড়া খুনের ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা

    ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম নিউজ : চট্টগ্রামের চন্দনাইশ পুলিশের সহায়তায় নিজ গৃহ থেকে ২ ভাইকে ধরে নিয়ে টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে নিহত দুই ভাই আমানুল হক ফারুক ও আজাদুল হক আজাদের ছোট বোন রিনাত সুলতানা শাহীন।

    মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ) এর আইনি সহায়তায় আজ বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কামরুন নাহার রুমী’র আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিনি। শাহীন একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা গেছে।

    মামলায় বর্তমান সময়ের আলোচিত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফ থানার আরো ৪ পুলিশ সদস্যসহ মোট ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং একই মামলায় চন্দনাইশ থানা পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়।

    এ মামলায় আসামির তালিকায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নাম ছাড়াও উল্লেখ রয়েছে টেকনাফ থানার উপপরিদর্শক ইফতেখারুল ইসলাম, কনস্টেবল মাজহারুল, দ্বীন ইসলাম ও আমজাদের নাম।

    দুই ভাই হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাদির আইনজীবী এডভোকেট জিয়া আহসান হাবীব।

    তিনি বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এএসপিকে (আনোয়ারা) মামলাটি তদন্ত করে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলার আরজিতে বলা হয়, চলতি বছরের ১৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে বাহারাইন ফেরত ছোট ভাই আজাদুল হক আজাদ নিখোঁজ হয়। এর দুদিন পরেই ১৫ জুলাই দুপুর ২ টার দিকে বাসা থেকে তার বড় ভাই আমানুল হক ফারুককে ধরে নিয়ে যায় চন্দনাইশ থানা পুলিশ।

    একইদিন সন্ধ্যায় ফারুককে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়। রাতে নিখোজ আজাদ ও বাসা থেকে তুলে নেওয়া ফারুকের মায়ের মুঠোফোনে অজ্ঞাত পরিচয়ে একটি ফোন আসে। দুই ভাইকে জীবিত পেতে চাইলে ৮ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়।

    মুক্তিপনের টাকা না দেওয়াতে পরদিন দুই ভাইকে মাদক ব্যবসায়ী সাজিয়ে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে হত্যা করা হয়। চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেশব চক্রবর্তীর যোগসাজশে ওই দুই ভাইকে তুলে নিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন নিহতদের স্বজনরা।

    এ বিষয়ে মামলার বাদি আইনজীবী এডভোকেট জিয়া আহসান হাবীব বলেন, দুই সহোদর ভাইকে টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে হত্যার কথা বললেও প্রকৃত পক্ষে তাদেরকে ধরে নেয়া হয় চন্দনাইশের ঠিকানা থেকে। যার ভিডিও ফুটেজ ও অন্যান্য সাক্ষ্য প্রমান আদালতে দাখিল করা হয়।

    বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট এ.এম জিয়া হাবীব আহসান, এডভোকেট এ.এইচ.এম জসিম উদ্দিন, এডভোকেট দেওয়ান ফিরোজ আহমদ, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট প্রদীপ আইচ দীপু, এডভোকেট সাইফুদ্দিন খালেদ ও এডভোকেট মোহাম্মদ বদরুল হাসান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স