২৪ ঘণ্টা নিউজ ডেস্ক || টাঙ্গাইলের সখীপুরে পঞ্চাশোর্ধ নারী মাজেদা বেগমের জ্বর হয়। দেখা দিয়েছে গলাব্যথা,কিছুটা শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন তিনি। তাতেই বিপত্তি।
পরিবারের সকল সদস্যরা ভেবেই নিয়েছেন তার করোনা হয়েছে ফলে রাঁতের আঁধারে হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে বৃদ্ধাকে গজারিয়া ইউনিয়নের ইছাদিঘী গ্রামের জঙ্গলে নিয়ে যায় তার স্বামী ও সন্তানরা।
কৌশলে মাকে জঙ্গলেই ফেলে পালিয়ে গেছেন তার সন্তানরা সাথে স্বামীও। পরদিন সকালে স্থানীয়রা জঙ্গলের মধ্য গোঙ্গানির শব্দ শুনে সেখান থেকে মাজেদাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
সেখান থেকে মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
মাজেদা বেগম (৫০) শেরপুরের নালিতাবাড়ি উপজেলার বাসিন্দা। তার স্বামী-সন্তান গাজীপুরের সালনায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
জানা গেছে, গভীর রাতে উপজেলার ইছাদিঘী গ্রামের জঙ্গল থেকে ওই নারীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে যান। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানকে জানালে রাতেই তাকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্না মিঞা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, জঙ্গলে অপরিচিত ওই নারীর চেচামেচির শব্দ শুনে স্থানীয়রা বিষয়টি তাদের জানায়। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসিকে অবগত করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা লিজা বলেন, সোমবার রাত দেড়টার দিকে পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর পরিচয় এবং জঙ্গলে আসার ঘটনা জানেন।
তিনি বলেন, তার স্বামী-সন্তান ও স্বজনরা রাতে করোনা সন্দেহে তাকে জঙ্গলে সখীপুরের ইছাদিঘী এলাকায় একটি সামাজিক বনের ভেতর ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শাহীনুর আলম জানান, ওই নারীর জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও গলাব্যথা রয়েছে। করোনার উপসর্গ থাকায় রাতেই তাকে এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি