Tag: টার্মিনাল-৩

  • শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরের যাত্রী পরিবহন এবং মালপত্র আনা নেওয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বহুল প্রতীক্ষিত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছেন।

    এই প্রকল্পটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৩শ’কোটি টাকা।

    প্রধানমন্ত্রী আজ সকাল সাড়ে ১০টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

    টার্মিনাল-৩ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন

    প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে বিমানের নতুন সংগৃহীত দুইটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রীমলাইনার উড়োজাহাজ ‘অচিন পাখি’ এবং ‘সোনার তরী’র উদ্বোধন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিঃ এর মোবাইল এ্যাপস উদ্বোধন করেন।

    বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এম মাহবুব আলী গতকাল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, তৃতীয় টামির্নাল নির্মিত হবার পর এটি হবে এই অঞ্চলের মধ্যে সর্বাধুনিক বিমান বন্দর। এটি নির্মিত হলে বছরে আরো অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী চলাচল করতে পারবে।

    তিনি বলেন,তৃতীয় টার্মিনাল নির্মানে ২১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এরমধ্যে সরকারি কোষাগার থেকে পাওয়া যাবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি অর্থ জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) থেকে পাওয়া যাবে।

    বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, জাপানের মিটসুবিশি এবং ফুজিতা ও কোরিয়ার স্যামসং একটি কনসোর্টিয়ামের অধীন এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে।

    একটি একক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটরের মাধ্যমে নতুন টার্মিনালটির সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

    তিনি আরো বলেন, সরকার নতুন টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং টাস্কের জন্য একটি দক্ষ কোম্পানি মনোনীত করতে দরপত্র উন্মুক্ত করে দিবে।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) বৈঠকে প্রথমে ১৩ হাজার ৬১০ দশমিক ৪৭ কোটি টাকার এ সংক্রান্ত প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়।

    তবে পরবর্তীতে একটি পৃথক কার্গো হাউজ স্থাপনসহ প্রকল্প কাজের কিছু অংশ বর্ধিত করায় মোট প্রকল্প ব্যয় বেড়ে ২১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা হয়েছে। গত ১০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পের বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।

    নতুন আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালটি হবে ২২ দশমিক ৫ লাখ বর্গফুট। বর্তমানে দুটি টার্মিনালে ১০ লাখ বর্গফুট স্পেস রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিমানবন্দরের বর্তমান যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে ২ কোটি হবে এবং কার্গোর ধারণ ক্ষমতা বর্তমান দুই লাখ টন থেকে বেড়ে পাঁচ লাখ টন হবে।

  • শাহজালাল এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর হবে:মাহবুব

    শাহজালাল এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর হবে:মাহবুব

    হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু হতে যাচ্ছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল শনিবার সকালে ‘টার্মিনাল-৩’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন।

    বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী আজ শুক্রবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মেলন কক্ষে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আগামী ৪৮ মাসের (চার বছর) মধ্যে অত্যাধুনিক এ টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে। নতুন এ টার্মিনালের (টার্মিনাল-৩) নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এটি হবে এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর।

    মাহবুব আলী বলেন, ‘বিমানবন্দর ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কিছু ক্ষেত্রে আমরা সফলতাও অর্জন করেছি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যেমন আকাশে শান্তির নীড় তেমনি আমাদের নতুন টার্মিনালও হবে ভূমিতে শান্তির পরশ। ’

    তিনি বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে বিমানযাত্রীদের প্রত্যাশার সুন্দর ও অত্যাধুনিক একটি বিমানবন্দর।

    বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। তাই উন্নয়নের এ ধারা থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই।

    তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে দেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতের উন্নয়নে আমরা কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব।’

    অন্যান্যের মধ্যে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

    মহিবুল হক বলেন,‘তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে আমাদের বেশ কিছু বাধা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক প্রচেষ্টা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহ ও দিক নির্দেশনায় সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা এ জায়গায় এসেছি। এ টার্মিনাল নির্মাণ হলে বছরে ২ কোটি যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।

    তিনি বলেন,এ টার্মিনালকে এমন ম্যাকানিজমে নিয়ে আসা হচ্ছে,যাতে কেন্দ্রীয়ভাবে টার্মিনালের প্রতিটি কাজ মনিটরিং করা যায়।