Tag: টি-টোয়েন্টি

  • টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

    টি-টোয়েন্টিতে কিউইদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়

    টেস্ট, ওয়ানডের পর এবার টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে জয় পেলে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি স্বাগতিকদের ৫ উইকেটে হারিয়েছে টাইগাররা। এতে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

    দেশের মাটিতে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বনিম্ন ১৩৪ রানের রেকর্ড গড়ে নিউজিল্যান্ড। ১৩৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দেন রনি তালুকদার। টিম সাউদির করা প্রথম ওভারে ছক্কা হাঁকান তিনি। কিন্তু ৭ বলে ১০ রান করে অ্যাডাম মিলনের শিকার হন ডানহাতি এই ওপেনার। দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।

    একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দ্রুতগতিতে রান তুলছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু ১৪ বলে ১৯ রান তোলার পর জিমি নিশামের শিকার হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৪২ রান তুলে জয়ের আশা জাগিয়ে তোলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা।

    তবে দলীয় ৬৭ রানে বেন সিয়ার্সকে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে বোল্ড হন সৌম্য সরকার। ১৫ বলে ২২ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। এরপর লিটন দাসকে নিয়ে তাওহীদ হৃদয় ২৯ রানের জুটি গড়েন। ১৮ বলে ১৯ রান করে কিউই অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারের শিকার হন হৃদয়। পরের ওভারে টিম সাউদি আফিফ হোসেনকে (১) ফেরালে প্রথমবারের ম্যাচে চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

    তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করেন ওপেনার লিটন দাস। শেষ পর্যন্ত ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটার। এ ছাড়া মেহেদী হাসান করেন ১৬* রান।

    এর আগে নেপিয়ারে শেষ ওয়ানডেতে জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-টোয়েন্টিতে প্রথম জয়ের লক্ষ্য টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

    এ ম্যাচে দলের সহ-অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের পরিবর্তে মেহেদী হাসানকে খেলানো হয়। আর অভিষেক হয় তানজিম হাসান সাকিবের।

    প্রথম ওভারে মেহেদী হাসানের শিকার হন ওপেনার টিম সেইফার্ট (০)। একটু নিচু হওয়া অফস্পিনে বোল্ড হন এই ওপেনার। ৮ বলের মধ্যে অপর ওপেনারকে ফিন অ্যালেনকে (১) সাজঘরে ফেরান শরীফুল ইসলাম। পরের বলে বাঁহাতি এই পেসার গ্লেন ফিলিপসকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে ১ রান তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড।

    এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এতো কম রানে তিন উইকেট হারানোর নজির নেই কিউইদের। স্বাগতিকদের সেই চাপ আরও বাড়ান মেহেদী হাসান। তুলে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ড্যারিল মিচেল (১৪)। নিউজিল্যান্ডের দুর্দশা আরও বাড়ান রিশাদ হোসেন। এই লিগ স্পিনারের উপর চড়াও হতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন মার্ক চ্যাপম্যান (১৯)।

    অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন জিমি নিশাম। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে কিউই অধিনায়ককে সাজ ফিরেয়ে দুজনের ৪১ রানের জুটি ভাঙেন শরীফুল। ২৯ বলে ৪৮ রান করা নিশামকে থামান মুস্তাফিজুর রহমান।

    টিম সাউদিকেও (৮) সাজঘরে ফেরান বাংলাদেশের কাটার মাস্টার। শেষ ওভারে ইশ সোদির উইকেট তুলে নিয়ে অভিষেক রাঙান সাকিব। বাংলাদেশের পক্ষে শরীফুল তিনটি এবং মুস্তাফিজ ও মেহেদী নেন দুটি করে উইকেট।

  • টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিব

    টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক সাকিব

    আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক হলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদিকে হটিয়ে শীর্ষ উইকেট শিকারী এখন সাকিব।

    আজ চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ ওভারে ২২ রানে ৫ উইকেট নেন সাকিব।

    এতে নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদিকে সরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়ে যান সাকিব।

    ১১৪ ম্যাচে সাকিবের উইকেট এখন ১৩৬টি। ১০৭ ম্যাচে সাউদি আছে ১৩৪ উইকেট।

    ৮০ ম্যাচে ১২৯ উইকেট নিয়ে তালিকার তৃতীয়স্থানে আছেন আফগানিস্তানের অধিনায়ক ও স্পিনার রশিদ খান।

  • সাকিব-লিটনে আইরিশদের গুঁড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

    সাকিব-লিটনে আইরিশদের গুঁড়িয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

    বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার পর এবার আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে পাওয়া দাপুটে জয়ে টাইগাররা এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়। লিটন দাসের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের দিনে সাকিব আল হাসান বল হাতে শিকার করেছেন ৫ উইকেট।

    চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেই বাংলাদেশ মারমুখো ব্যাটিং শুরু করে। দুই ওপেনার লিটন ও রনি গড়েন ১২৪ রানের জুটি, যা বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ। ৬ ওভারে বাংলাদেশ দল জড়ো করে ৮৩ রান। পাওয়ারপ্লে ছিল ৫ ওভার, তাই রেকর্ড বইয়ে আগের ম্যাচের ৮১ রানই অক্ষুণ্ণ থাকছে। তবে লিটন ও রনি ঠিকই তুলে নেন দ্রুততম দলীয় শতক। মাত্র ৪৩ বলে ১০০ রান স্পর্শ করে বাংলাদেশ।

    ১৮ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়ে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম অর্ধশতকের কীর্তি গড়েন লিটন। পা বাড়াচ্ছিলেন শতকের দিকেও। তবে ৪১ বলে ৮৩ রান করে থামে তার ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার ইনিংস। রনি অল্পের জন্য পঞ্চাশের মাইলফলকে পা রাখতে পারেননি। ২৩ বলে ৪৪ রান করেন তিনটি চার ও দুটি ছক্কায়। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। শেষ ওভারে বিদায় নেওয়ার আগে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ১৩ বলে ২৪ রান করেন হৃদয়। তবে সাকিব শেষপর্যন্ত অপরাজিতই ছিলেন। ২৪ বলের মোকাবেলায় তিনটি চার ও দুটি ছক্কায় ৩৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২০২ রান।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা আয়ারল্যান্ড প্রথম বলেই উইকেট হারায়। তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পান পল স্টার্লিং। এরপর শুরু সাকিবের ভেলকি। একে একে সাজঘরে ফেরান লোরকান টাকার, রস এডায়ার, গ্যারেথ ডিলানি, জর্জ ডকরেল ও হ্যারি টেক্টরকে। ৪ ওভারে ২২ রানের খরচায় নামের পাশে ৫ উইকেট লেখার দিনে টিম সাউদিকে ছাড়িয়ে আবারও বনে যান আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি।

    শেষপর্যন্ত আইরিশরা নির্ধারিত ১৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৫ রান জড়ো করতে সমর্থ হয়। স্রোতের বিপরীতে হেঁটে ৩০ বলে ৫০ রান করেন কার্টিস ক্যামফার। এছাড়া হ্যারি টেক্টর ১৬ বলে ২২ ও গ্রাহাম হিউম ১৭ বলে অপরাজিত ২০ রানের ইনিংস খেলেন। সাকিবের ৫ উইকেটের দিনে তাসকিন আহমেদ তিনটি ও হাসান মাহমুদ একটি উইকেট শিকার করেন। ৭৭ রানের জয়ে বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে সিরিজ জয়।

  • বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    নানা অলিগলি পেরিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আবারো নতুন শুরুর দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এসেছেন নতুন কোচ, বিপিএলে ভালো করে সুযোগ পেয়েছেন একঝাঁক নতুন মুখ। তাদের পরীক্ষা দিতে হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। তবে এতসব চ্যালেঞ্জ প্রথম ম্যাচেই টপকে গেল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে আজই প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারানোর আনন্দ পেল সাকিব আল হাসানের দল। বল হাতে হাসান মাহমুদদের মিতব্যয়ী বোলিংয়ের পর শান্ত ও সাকিবের ব্যাটে ভর করে ৬ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হতাশ করে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়

    টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এছাড়া সাকিব অপরাজিত থাকেন ৩৪ রানে।

    চট্টগ্রামের সাগরিকা পাড়ে দর্শক ছিল না শেষ ওয়ানডেতে, তবে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের সাসনে সাকিবের দল প্রথমবার হারাল ইংল্যান্ডকে। মাঠজুড়ে শুধু একটাই চিৎকার, একটাই হুংকার ‘বাংলাদেশ’, ‘বাংলাদেশ’।

    বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৫৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ভঙ্গিতে খেলতে থাকে বাংলাদেশ দল। প্রায় ৮ বছর পর দলে ফেরা রনি তালুকদার দেখালেন ফুরিয়ে যাননি তিনি। তবে আগ্রাসী ইনিংস খেললেও পারেননি ইনিংস দীর্ঘ করতে। ১৪ বলে ২১ রান করে বিদায় নেন টাইগার এই ওপেনার। এরপরই দুঃস্বপ্নের ওয়ানডে সিরিজ কাটানো লিটনও প্রত্যাবর্তনের বার্তা দিয়ে ফিরে যান ১২ রান করে।

    এরপরের গল্পটা শুধু শান্ত আর হৃদয়ের। জোফরা আর্চার, স্যাম কারান, আদিল রশিদ কাউকেই ছাড় দেননি শান্ত। মার্ক উডের ৪ বলে ৪ টা চারই হাঁকিয়ে বসে বাঁহাতি এই ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে শান্তকে সঙ্গ দিয়ে চলছিলেন অভিষিক্ত হৃদয়। ২৭ বলে শান্ত তুলে নেন অর্ধ-শতক। তবে এরপরের বলেই ১৭ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান হৃদয়।

    অর্ধ-শতক করে শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৫১ রানে থাকা অবস্থায় উডের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন টাইগার এই ব্যাটার। বাকি গল্পটা আফিফ হোসেনকে নিয়ে শেষ করেছেন সাকিব। এই দুই ব্যাটারের ৪৬ রানের জুটিতে ভর করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল। আফিফ থাকেন ১৩ রানে অরপরাজিত। ইংলিশদের হয়ে ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন জোফরা আর্চার, মঈন আলি, আদিল রশিদ এবং মার্ক উড।

    দিনের শুরুতে অবশ্য টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় ইংলিশরা। ইংলিশ দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং জস বাটলার মিলে গড়েন ৮০ রানের জুটি। তবে ৩৮ রানে সল্ট ফিরলেও ইনিংসের শেষ দিকে গিয়ে ৬৭ রান করে ফেরেন বাটলার। এছাড়া বেন ডাকেট করেন ২০ রান।

    টাইগারদের হয়ে দারুণ বল করা হাসান মাহমুদের বল খেলতে বেশ বেগ পেতে হয় ইংলিশ বোলারদের। এছাড়া ডেথ ওভারে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান করেছেন নজরকাড়া বোলিং। যে কারণে শেষ ৫ ওভারে ইংলিশরা তাদের স্কোর বোর্ডে সংগ্রহ করে মোটে ৩০ রান।

    শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট সংগ্রহ করেছেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন তাসকিন, সাকিব, নাসুম এবং মুস্তাফিজুর।

  • র‍্যাসি-মিলারের ব্যাটে রেকর্ড গড়ে ভারতকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

    র‍্যাসি-মিলারের ব্যাটে রেকর্ড গড়ে ভারতকে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা

    পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতের মাটিতেই ভারতকে ৭ উইকেটে পরাজিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। আগে ব্যাট করে ভারত সংগ্রহ করে ২১১ রান। জবাবে ৭ উইকেট ও পাঁচ বল হাতে জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা।

    টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতকে দারুণ সূচনা এনে দেন রুতুরাজ গায়কোয়াদ ও ঈষাণ কিষাণ। তাদের ৫৭ রানের জুটি ভাঙেন ওয়েইন পার্নেল। ১৫ বলে ২৩ রান করে বিদায় নেন গায়কোয়াদ। দ্বিতীয় উইকেটে ৮০ রানের বড় জুটি গড়েন কিষাণ ও শ্রেয়াস আইয়ার।

    কিষাণকে শিকার করে সেই জুটি ভাঙেন কেশব মহারাজ। অর্ধশতক হাঁকান কিষাণ। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৭৬ রান। তিনি এই ইনিংস খেলার পথে ১১টি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান। শ্রেয়াস আউট হন ২৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে। অধিনায়ক রিশাভ পান্ট করেন ১৬ বলে ২৯ রান।

    শেষ দিকে টর্নেডো বইয়ে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। তিনি ১২ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। হার্দিকের ২৫৮.৩৩ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে ছিল দুইটি চার ও তিনটি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে চারটি উইকেট হারিয়ে ভারত সংগ্রহ করে ২১১ রান।

    জবাব দিতে নেমে তৃতীয় ওভারেই অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ডুয়াইন প্রিটোরিয়াস ১৩ বলে ২৯ রানের ক্যামিও দেখিয়ে বিদায় নেন। উইকেটরক্ষক কুইন্টন ডি কক ১৮ বলে ২২ রান করে মাঠ ছাড়লে ৮১ রানে তিনটি উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সফরকারীদের।

    চতুর্থ উইকেটে ১৩১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয় এনে দেন ডেভিড মিলার ও র‍্যাসি ফন ডার ডুসেন। পাঁচ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। র‍্যাসি সাতটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৪৬ বলে অপরাজিত ৭৫ রান করেন। মিলার ৩১ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করার পথে হাঁকান চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ভারত ২১১/৪ (২০ ওভার)

    কিষাণ ৭৬, শ্রেয়াস ৩৬, হার্দিক ৩১*, পান্ট ২৯, গায়কোয়াদ ২৩; পার্নেল ১/৩২, প্রিটোরিয়াস ১/৩৫;

    দক্ষিণ আফ্রিকা ২১২/৩ (১৯.১ ওভার)

    র‍্যাসি ৭৫*, মিলার ৬৪*, প্রিটোরিয়াস ২৯; অক্ষর ১/৪০, হার্শাল ১/৪৩, ভুবনেশ্বর ১/৪৩।

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেটে জয়ী।

  • ৬ মাস ধরে কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার পরিকল্পনা চলছে

    ৬ মাস ধরে কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার পরিকল্পনা চলছে

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে হঠাৎ করে আলোচনায় বিরাট কোহলির নেতৃত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গ। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে কোহলির নেতৃত্ব নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছিল। তবে, কোহলির মতো সময়ের সেরা ক্রিকেটারকে সরিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। হয়তো এবার কোহলি নিজেই বুঝেছেন রঙিন পোশাকের নেতৃত্ব ছাড়া উচিত। তাই, বিশ্বকাপের পরই নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় তারকা।

    বৃহস্পতিবার এক টুইট বার্তায় কোহলি নিজেই এই ঘোষণা দেন। তবে, টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিলেও টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন কোহলি।

    প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর কেন অধিনায়কত্ব দায়িত্ব ছাড়ছেন কোহলি? ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ জানিয়েছেন, হঠাৎ নয়, ছয় মাস ধরেই এই নিয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছিল।

    বোর্ডের ওয়েব সাইটে জয় শাহ বলেন, ‘টিম ইন্ডিয়ার জন্য আমরা পরিষ্কার একটা পরিকল্পনা করেছি। কাজের চাপের কথা মাথায় রেখে এবং একটি মসৃণ রূপান্তর নিশ্চিত করার জন্য কোহলি বিশ্বকাপের পরে টি টোয়েন্টি ক্রিকেটের অধিনায়ক পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

    এরপরই জয় শাহ বলেন, “ছয় মাস ধরে বিরাট এবং দলের ‘লিডারশিপ টিম’-এর সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। তারপরেই আমরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছাই। ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ গড়ার লক্ষ্যে বিরাট একজন ক্রিকেটার এবং দলের সিনিয়র সদস্য হিসেবে কাজ করে যাবে।”

    এর আগে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, অক্টোবর-নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সীমিত ওভারের নেতৃত্ব ছাড়তে পারেন কোহলি। তাঁর জায়গায় ভারতের সীমিত ওভারে অধিনায়ক হতে যাচ্ছেন আইপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

    টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, সাদা বলের ক্রিকেটে নিজের ব্যাটিংয়ে আরও মনোযোগ দিতে নাকি এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কোহলি। নিজের চাওয়া নিয়ে রোহিত ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কোহলি আলোচনা করেছেন বলেও দাবি পত্রিকাটির।

    বিসিসিআইয়ের সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ‘কোহলির কাছে মনে হচ্ছে—নিজের ব্যাটিংয়ে আরও নজর দেওয়া প্রয়োজন এবং তাঁর সব সময়ের চাওয়া যেটি, বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হওয়া, সেখানে আরও মনোযোগী হওয়া দরকার।’

    ২০১৪ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি টেস্ট থেকে অবসরে যাওয়ার পর থেকে ভারতের টেস্ট দলের অধিনায়ক কোহলি। ২০১৭ সালে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির দলের নেতৃত্ব পেয়েছেন তিনি। তবে, সাদা পোশাকে কোহলি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ট্রফি খরায় আছে ভারত।

    একই সঙ্গে আইপিএলে রোহিত দেখাচ্ছেন দারুণ সাফল্য। সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং। সব মিলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের নেতৃত্বে রোহিত শর্মাকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না।

    এন-কে

  • বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ নিতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া: ম্যাক্সওয়েল

    বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ নিতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া: ম্যাক্সওয়েল

    সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। এখন পর্যন্ত এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ২০১০ সালে ফাইনালে উঠলেও রার্নাস-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। তবে এবার বিশ্বকাপ শিরোপার স্বাদ নিতে মরিয়া অস্ট্রেলিয়া, এমনটাই জানালেন দলটির ব্যাটসম্যান ম্যাক্সওয়েল

    অসি দলের হার্ড-হিটার এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আগামী বিশ্বকাপে দল ভালো ফল করবে এবং শিরোপার জন্য লড়াই করবে। বাংলাদেশের কাছে সিরিজ হার কোন প্রভাব ফেলবে না। কারণ আমরা বড় মঞ্চে ভিন্ন কন্ডিশনে সবকিছু নতুনভাবে শুরু করবো।’

    ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জয় এখনো অধরা। এবার বিশ্বকাপ জিততে চাই আমরা। বিশ্বকাপ নিয়ে সকলের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সকলের একটি লক্ষ্য ভালো খেলে শিরোপা জয় করা।’

    বিশ্বকাপের দলে যারা আছেন, তাদের নিয়ে আশাবাদী ম্যাক্সওয়েল। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্কোয়াডের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন ম্যাচ জেতানোর মতো অনেক ক্রিকেটার আছে। এমন সব ক্রিকেটার আছে, যারা যেকোন সময় জ্বলে উঠতে পারে। দলকে জেতানোর ক্ষমতা আছে তাদের। আমরা যদি আমাদের সেরাটা খেলতে পারি, তবে শিরোপা জয় অসম্ভব কিছু না। আমাদেরকে থামানো যে কোন দলের জন্যই কঠিন হবে।’

    বিশ্বকাপের আগে মরুর দেশে আইপিএল খেলবেন ম্যাক্সওয়েল। এছাড়া আরও কিছু অসি খেলোয়াড় আইপিএল খেলবেন। আইপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে লাগবে বলে মনে করেন ম্যাক্সওয়েল।

    তিনি বলেন, ‘আইপিএলের শেষ অংশ হবে আরব আমিরাতে। এখানেই হবে বিশ্বকাপ। তাই আইপিএলের অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে অনেক বেশি কাজে দিবে।’

  • হোয়াইটওয়াশের লজ্জা শ্রীলঙ্কার

    হোয়াইটওয়াশের লজ্জা শ্রীলঙ্কার

    দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আবারও সেই ছন্নছাড়া শ্রীলঙ্কাকে দেখা গেল। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টির সবক’টিতে জিতে লঙ্কানদের হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডোবাল আফ্রিকানরা।

    এর আগে ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেই শোধটাই এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে নিল প্রোটিয়ারা।

    টানা দুই ম্যাচ হেরে আগেই সিরিজ থেকে ছিটকে পড়া দাসুন শানাকারা হোয়াইটওয়াশ এড়াতে মাঠে নেমেছিল মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর)। কিন্তু এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১০ উইকেটে বিশ্রীভাবে হারল শ্রীলঙ্কা।

    টসে জিতে প্রথমে ব্যাট নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শুরু থেকেই মুখ থুবড়ে পড়ে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ১৮ এবং ১৯ রানের মাথায় পরপর দুই উইকেট হারিয়ে বসে থাকে তারা। ওপেনিংয়ে নেমে কুশল পেরেরার ৩৯ এবং নয়ে ব্যাট করতে নেমে চামিকা করুণারত্নের অপরাজিত ২৪ রানই সম্বল ছিল শ্রীলঙ্কার। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের কোটাই অতিক্রম করতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২০ রান করে শ্রীলঙ্কা।

    দারুণ ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে সাদামাটা লক্ষ্যই দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আর তাই সহজ এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে বেশি কসরতও করতে হয়নি প্রোটিয়াদের। ওপেনিং জুটিই হাসতে হাসতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। রেজা হেন্ড্রিক্স ব্যক্তিগত ৫৬ করে অপরাজিত থাকেন। কুইন্টন ডি’কক অপরাজিত ৫৯ রান করেন। ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

    এদিকে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে এমন লজ্জার হারের পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। এর আগেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভরাডুবির পরেও সমালোচকদের তোপের মুখে পড়েছিল লঙ্কানরা। একযোগে সব খেলোয়রকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘আনফলো’ করে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিল দেশটির ক্রিকেট ভক্তরা।

    তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের আগে ঘরের মাঠে ভারতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারায় দাসুন শানাকারা। আর এতে করে নতুন করে আশাও দেখতে শুরু করে ভক্ত-সমর্থকরা। কিন্তু আবারও ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দি লঙ্কান ক্রিকেট। বিশ্বকাপ শুরুর আগে যা নিঃসন্দেহে খারাপ বার্তা।

    এদিকে, লঙ্কান ক্রিকেটের এমন লজ্জার দিনেই মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) আরেকবার মন ভাঙল দেশটির ক্রিকেট ভক্তদের। এদিনই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিলেন লঙ্কান কিংবদন্তি বোলার লাসিথ মালিঙ্গা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মালিঙ্গা।

    টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন আগেই। বিদায় জানিয়েছেন ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকেও। তবে টি-টোয়েন্টি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এবার এই ফরমেট থেকেও বিদায় নিলেন এই ৩৮ বছর বয়সী এই স্টাইলিশ পেসার।

    এন-কে

  • নাসুমের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

    নাসুমের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়

    মিরপুরে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২৩ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়। একইসাথে সবচেয়ে কম পুঁজি নিয়ে জয়ের রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা।

    ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান জড়ো করে স্বাগতিক দল। মন্থর উইকেটে সাকিব আল হাসানের ৩৩ বলে ৩৬, নাঈম শেখের ২৯ বলে ৩০ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ২০ বলে ২০ রানের ইনিংসও রেখেছে বড় ভূমিকা।

    বাংলাদেশের ইনিংসে ছক্কা ছিল মাত্র তিনটি, যার দুটি হাঁকান নাঈম ও একটি রিয়াদ। গ্যালারিতে আছড়ে পড়ায় স্বভাবতই বলগুলো আর মাঠে ফেরত আসেনি, ম্যাচ অফিসিয়ালরা তাই বেছে নেন নতুন বল। অজিদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের দিনে ছন্দে ছিলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। শেষদিকে ১৭ বলের মোকাবেলায় ২৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

    অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জশ হ্যাজলউড তিনটি, মিচেল স্টার্ক দুটি এবং অ্যাডাম জাম্পা ও অ্যান্ড্রু টাই একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম তিন ওভারে অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপ ও মইসেস হ্যানরিকসকে সাজঘরে ফেরান শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ ও সাকিব আল হাসান। ১১ রানে ৩ উইকেট হারালে চাপে পড়ে যায় সফরকারীরা। সেই চাপ সামলানোর চেষ্টা করেন মিচেল মার্শ।

    আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডও। তবে ২৩ বল মোকাবেলা করেও ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। নাসুম একে একে শিকার করেন মার্শ, ও ‘দুই অ্যাশটন’ অ্যাগার ও টার্নারকে। অ্যাগার অবশ্য হিট উইকেটের শিকার হন। ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৫ বলে ৪৫ রান করা মার্শ বিদায় নিলেই কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে দলটি।

    ৮৪ রানের মধ্যেই অজিরা হারিয়ে ফেলে ৬টি উইকেট। এরপর দাপট দেখান পেসাররা। সপ্তম ও দশম উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান, অষ্টম ও নবম উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম। অজিরা ২০ ওভারে অলআউট হয় ১০৮ রানে।

    নাসুম ৪ ওভার বল করে ৪ উইকেট শিকার করেন ১৯ রানের খরচায়। এর আগে ৪টি টি-টোয়েন্টি খেলে মাত্র ২টি উইকেট শিকার করেছিলেন সিলেটের এই বাঁহাতি স্পিনার। মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম শিকার করেন দুটি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : অস্ট্রেলিয়া

    বাংলাদেশ : ১৩১/৭ (২০ ওভার)
    সাকিব ৩৬, নাঈম ৩০, আফিফ ২৩, রিয়াদ ২০
    হ্যাজলউড ২৪/৩, স্টার্ক ৩৩/২ জাম্পা ২৮/১

    অস্ট্রেলিয়া : ১০৮/১০ (২০ ওভার)
    মার্শ ৪৫, ওয়েড ১৩
    নাসুম ১৯/৪, মুস্তাফিজ ১৬/২, শরিফুল ১৯/২

    ফল : বাংলাদেশ ২৩ রানে জয়ী।

  • জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের ইতিহাস

    জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে টাইগারদের ইতিহাস

    মিরপুরে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ৯ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ সিরিজে এবারই প্রথম প্রতিপক্ষকে সব ম্যাচে হারাল টাইগাররা। এর আগে একমাত্র টেস্ট জয়ের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও সফরকারী জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।

    ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। টাইগার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতেই হিমশিম খায় জিম্বাবুয়ে। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৯ রান।

    দলের পক্ষে অর্ধ-শতক হাঁকান অভিজ্ঞ ওপেনার ব্রেন্ডন টেলর। ৪৮ বলের মোকাবেলায় ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি, হাঁকিয়েছেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া ৩৩ বলে ২৯ রান করে ক্রেইগ আরভিন।

    বাংলাদেশের পক্ষে দুই পেসার আল-আমিন হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া একটি করে উইকেট পান আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশ দারুণ শুরু পায় দুই ওপেনারের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে। নাইম শেখকে সঙ্গে নিয়ে উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাস যোগ করেন ৭৭ রান। ১১তম ওভারে নাইম বিদায় নেন ৩৪ বলে ৩৩ রান করে।

    তবে তাতে লিটনের দারুণ ব্যাটিং বাধাগ্রস্ত হয়নি। সৌম্য সরকারকে সঙ্গী করে দেখেশুনে খেলা লিটন পূর্ণ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি। শেষপর্যন্ত দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন, ৯ উইকেট ও ২৫ বল হাতে রেখেই।

    ৮টি চার হাঁকানো লিটন ৬০ রান করে অপরাজিত থাকেন, মোকাবেলা করেছেন ৪৫ বল। তার সঙ্গী সৌম্য ১৬ বলে ২০ রান করে জয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: বাংলাদেশ

    জিম্বাবুয়ে ১১৯/৭ (২০ ওভার)
    টেলর ৫৯*, আরভিন ২৯, রাজা ১২
    আল-আমিন ২২/২, মুস্তাফিজ ২৫/২

    বাংলাদেশ ১২০/১ (১৫.৫ ওভার)
    লিটন ৬০*, নাইম ৩৩, সৌম্য ২০*
    এমপফু ২৭/১

    ফল: বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী
    সিরিজ: বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে জয়ী।

  • টাইগারদের দাপুটে জয়

    টাইগারদের দাপুটে জয়

    একমাত্র টেস্টে জয়ের পর তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজেও জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ দল। হারিয়েছে ৩-০ ব্যবধানে। এবার মিশন টি-টোয়েন্টি। যেখানে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৪৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন টাইগাররা।

    এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস। পরে লিটন দাসকে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের নতুন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

    ম্যাচের শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন দুজন। পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে তোলেন ৫৯ রান। তবে দুর্দান্ত শুরু করলেও খানিক আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তামিমকে। ৩৩ বলে ৪১ রান করে আউট হন তিনি।

    তামিম না পারলেও অর্ধশতক পূরণ করেন লিটন। ৩১ বলে ব্যক্তিগত পঞ্চাশ রানের কোটা ছোঁয়ার পর ৫৯ রানের সময় সিকান্দার রাজার শিকারে পরিণত হয়ে ফেরেন তিনি। ৫টি চারের সাথে ৩টি ছক্কার মারে নিজের ইনিংসটি সাজান লিটন।

    এরপর মুশফিকুর রহিমও ১৭ রান করে আউট হলে দলের হাল ধরেন সৌম্য সরকার। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ১৪ রানের সাথে শেষদিকে ফিফটি তুলে নেওয়া সৌম্যর ৩৯ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে করা ৫৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সমান ২০০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ দল।

    ২০১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ব্যক্তিগত ১ এবং দলীয় ১১ রানের রানের সময় শফিউল ইসলামের বলে সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্রেন্ডন টেলর। এরপর ৮ রানে থাকা ক্রেইগ আরভিন মুস্তাফিজের বলে আউট হলে মাধেভেরে রান আউট হন ৪ রান করে।

    কামুনহুকামুয়ে ও উইলিয়ামস কিছুটা চেষ্টা চালালেও ইনিংসের নবম ওভারে দুই ব্যাটসম্যানকেই ফেরান স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। খানিক পর রাজাও একই পথের সারথি হলে ৮৩ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে।

    শেষদিকে আর কোনো ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়তে না পারলে ১৫২ রানেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে ৪৮ রানে ম্যাচ জিতে ২ ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ দল। টাইগারদের সমান ৩টি করে উইকেট নেন লেগস্পিনার বিপ্লব ও পেসার মুস্তাফিজ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    বাংলাদেশ: ২০০/৩ (২০ ওভার)
    সৌম্য ৬২*, লিটন ৫৯, তামিম ৪১; ভাধেভেরে ১/১৫, রাজা ১/৩১।

    জিম্বাবুয়ে: ১৫২/১০ (১৯ ওভার)
    কামুনহুকামুয়ে ২৮, মুম্বা ২৫, উইলিয়ামস ২০; বিপ্লব ৩/৩৪, মুুস্তাফিজ ৩/৩৪।

    ফল: বাংলাদেশ ৪৮ রানে জয়ী।

  • টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা,নতুন মুখ নাসুম

    টি-টোয়েন্টি দল ঘোষণা,নতুন মুখ নাসুম

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অধিনায়ক করে ঘোষিত দলে নতুন মুখ নাসুম আহমেদ। তাছাড়া লম্বা বিরতির পর দলে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এছাড়া স্বেচ্ছায় পাকিস্তান সিরিজের দল থেকে বাইরে থাকা মুশফিকুর রহিমও ফিরেছেন দলে।

    নাসুম ও সাইফউদ্দিনের জাতীয়ে দলে ডাক পাওয়ার ভীড়ে দল থেকে বাদ পড়েছেন তিন ক্রিকেটার। তারা হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, মোহাম্মদ মিঠুন ও রুবেল হোসেন। সবশেষ বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরের টি-টোয়েন্টি দলে ছিলেন তারা।

    জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘোষিত ১৫ সদস্যের দলে ডাক পাওয়া নাসুম বল হারে নজর কেড়েছিলেন বিপিএলে। খুব আহামরি পারফরম্যান্স না করলেও পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করার সক্ষমতায় প্রশংসা কুঁড়িয়েছিলেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত বিপিএলে ১৩ ম্যাচ থেকে ৬ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা এ বাঁ-হাতি অর্থোডক্স বোলার।

    ওয়ানডে সিরিজ শেষে ঢাকায় ফিরবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এরপর মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি সিরিজে লড়বে উভয় দল। হোম অব ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে ৯ ও ১১ই মার্চ।

    টি-টোয়েন্টি সিরিজের বাংলাদেশ দল: মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল খান, সৌম্য সরকার, নাইম শেখ, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, মুস্তাফিজুর রহমান, শফিউল ইদলাম, আল-আমিন হোসেন, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।