Tag: টেস্ট ক্রিকেট

  • প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ৬০০ উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁলেন অ্যান্ডারসন

    প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ৬০০ উইকেটের মাইলস্টোন ছুঁলেন অ্যান্ডারসন

    নতুন কীর্তি গড়েছেন ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। অভিজ্ঞ এই পেসার ইতিহাসের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৬০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক গড়েছেন।

    অ্যান্ডারসনের আগে এই কীর্তি গড়েছেন আর মাত্র ৩ জন ক্রিকেটার। তারা হলেন- মুত্তিয়া মুরালিধরন, শেন ওয়ার্ন ও অনিল কুম্বলে।

    টেস্টের চতুর্থ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির চেয়ে অবশ্য অনেক এগিয়ে মুরালিধরন ও ওয়ার্ন। তবে শীঘ্রই কুম্বলেকে টপকে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অ্যান্ডারসন।

    মুরালিধরন (৮০০ উইকেট) ও ওয়ার্নকে (৭০৮ উইকেট) স্পর্শ করতে হলে সামনের দিনগুলোতে রীতিমত অতিমানবীয় পারফরম্যান্স দেখাতে হবে অ্যান্ডারসনকে। তবে কুম্বলের ঘাড়ে ঠিকই ফেলছেন নিঃশ্বাস। ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা এই স্পিনার শিকার করেছিলেন ৬১৯ উইকেট। অনেক আগেই অবসর নেওয়া কুম্বলেকে ছাড়িয়ে যাওয়া তাই অ্যান্ডারসনের জন্য ‘সময়ের ব্যাপার’।

    সাউদাম্পটনে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও সফরকারী পাকিস্তানের মধ্যকার তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের আগে অ্যান্ডারসনের মোট উইকেট ছিল ৫৯৩টি। ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে প্রয়োজন ছিল আর মাত্র ৭টি উইকেট। অ্যান্ডারসনের যেন তড় সইছিল না! পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের শুরুতেই মুড়িমুড়কির মত উইকেট শিকার করা শুরু করেন ৩৮ বছর বয়সী পেসার। কীর্তি গড়তে তাই খুব বেশি সময় নেননি, এই টেস্টে ছুঁয়েছেন মাইলফলক।

    একনজরে টেস্ট ক্রিকেটের শীর্ষ ১০ জন উইকেট শিকারি

    নাম ম্যাচ উইকেট
    মুত্তিয়া মুরালিধরন ১৩৩ ৮০০
    শেন ওয়ার্ন ১৪৫ ৭০৮
    অনিল কুম্বলে ১৩২ ৬১৯
    জেমস অ্যান্ডারসন ১৫৬* ৬০০
    গ্লেন ম্যাকগ্রা ১২৪ ৫৬৩
    কোর্টনি ওয়ালশ ১৩২ ৫১৯
    ক্রিস ব্রড ১৪৩ ৫১১
    ডেল স্টেইন ৯৩ ৪৩৯
    কপিল দেব ১৩১ ৪৩৪
    রঙ্গনা হেরাথ ৯৩ ৪৩৩

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর স্থগিত

    বাংলাদেশের পাকিস্তান সফর স্থগিত

    করোনাভাইরাসের আতঙ্কে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যকার একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট ম্যাচ স্থগিত করা হয়েছে। করাচিতে আগামী ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল সিরিজের একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচটি। একই ভেন্যুতে টেস্ট ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল ৫ এপ্রিল। টাইগারদের পাকিস্তানে পৌঁছানোর কথা ছিল ২৯ মার্চ।

    সারা বিশ্বে এখন করোনাভাইরাস আতঙ্ক। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজার ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এই সিরিজটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২১ সালের মার্চের কোনো এক সময়ে এই স্থগিত হওয়া দুইটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।

    এর আগে গত জানুয়ারিতে প্রথম দফায় পাকিস্তান সফর করে টাইগাররা। ওই সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অংশ নেয় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। তিন ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচে হেরেছিল। শেষ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।

    এরপর ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিকে আবার পাকিস্তান সফরে যায় বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় দফার সফরে বাংলাদেশ একটি টেস্ট ম্যাচে অংশ নেয়। এই ম্যাচে বাংলাদেশ ইনিংস ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।

    বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় সতর্কতা হিসেবে ১৮ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে, ১৮ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

  • টেস্টেও ভারতকে ধবলধোলাই করলো নিউজিল্যান্ড

    টেস্টেও ভারতকে ধবলধোলাই করলো নিউজিল্যান্ড

    দওয়ানডে সিরিজের পর টেস্ট সিরিজেও নিউজিল্যান্ডের কাছে হোয়াইটওয়াশ বা ধবলধোলাইয়ের শিকার হয়েছে বিরাট কোহলির দল।

    তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে পরাজয়ের পর দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে কোহলির নেতৃত্বাধীন ভারত হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। যদিও এর আগে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে স্বাগতিকদের হোয়াটওয়াশ করেই শুরু করেছিল সফরকারীরা।

    ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে কিউইরা পেয়েছে ৭ উইকেটের জয়। এই টেস্টে উইকেট পড়ছিল মুড়িমুড়কির মত। দুই দিনেই পতন ঘটে ২৬টি উইকেটের। ৯৭ রানের লিড নিয়ে ৪ উইকেট হাতে রেখে তৃতীয় দিন শুরু করা ভারত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।

    প্রতিরোধহীন ব্যাটিংয়ে রবীন্দ্র জাদেজারা (১৬) গুটিয়ে যান ১২৪ রানে। এতে জয়ের জন্য মাত্র ১৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের সামনে। স্বাগতিক দলের পক্ষে ট্রেন্ট বোল্ট চারটি ও টিম সাউদি তিনটি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই উড়ন্ত সূচনা এনে দেন টম লাথাম ও টম ব্লানডেল। অবশ্য লাথাম ৫২ ও ব্লানডেল ৫৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে (৫) হারাতে হলেও উইলিয়ামসনের সমান রান করে অপরাজিত থেকে রস টেলর ও হেনরি নিকোলস দলের জয় নিশ্চিত করেন।

    এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৪২ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। জবাবে নিউজিল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় ২৩৫ রানে। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন কাইল জেমিসন। সিরিজ সেরার খেতাব পেয়েছেন টিম সাউদি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ভারত ১ম ইনিংস- ২৪২ (৬৩ ওভার)
    বিহারী ৫৫, পৃথ্বী ৫৪, পূজারা ৫৪
    জেমিসন ৪৫/৫, সাউদি ৩৮/২, বোল্ট ৮৯/২

    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস- ২৩৫ (৭৩.১ ওভার)
    লাথাম ৫২, জেমিসন ৪৯, ব্লানডেল ৩০
    শামি ৮১/৪, বুমরাহ ৬২/৩

    ভারত ২য় ইনিংস- ১২৪ (৪৬ ওভার)
    পূজারা ২৪, কোহলি ১৪, জাদেজা ১৬*
    বোল্ট ২৮/৪, সাউদি ৩৬/৩

    নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস- ১৩২/৩ (৩৬ ওভার) (লক্ষ্য ১৩২রান)
    ব্লানডেল ৫৫, লাথাম ৫২
    বুমরাহ ৩৯/২, উমেশ ৪৫/১

    ফল: নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জিতে ২ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে বিজয়ী।

  • ইনিংস ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ

    ইনিংস ব্যবধানে জিতলো বাংলাদেশ

    জিম্বাবুয়েকে মিরপুর টেস্টে একেবারেই সুবিধা করতে দেয়নি বাংলাদেশ। প্রায় দেড় দিন হাতে রেখে ইনিংস ও ১০৬ রানের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ।

    শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানে বেঁধে ফেলে টাইগাররা। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেটে সতীর্থরা যেখানে ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন, সেখানে রীতিমত একা লড়াই চালিয়ে ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ রাহী এবং নাঈম হাসান নেন সমান ৪টি করে উইকেট।

    প্রতিপক্ষকে অলআউট করে ব্যাট করতে নামে স্বাগতিকরা। যেখানে প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি স্বাদ পান মুশফিকুর রহিম। একই সাথে তামিম ইকবালকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে এ ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।

    পাশাপাশি ব্যক্তিগত নবম সেঞ্চুরি এবং অধিনায়ক হিসেবে মুমিনুল হকের প্রথম শতকের সাথে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং লিটন দাসের ফিফটি ছাড়ানো ইনিংসের উপর ভর করে ৫৬০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল।

    ম্যাচের তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে বাংলাদেশ থেকে ২৯৫ রানে পিছিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে জিম্বাবুয়ে। তবে সুবিধা করতে পারেনি এবারও। সফরকারী শিবিরে শুরুতেই আঘাত হানেন নাঈম। শূন্য রানে ফেরান মাসভাউরে এবং টিরিপানোকে। এবারও প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন আরভিন, কিন্তু ৪৩ রানের মাথায় মুমিনুলের দুর্দান্ত এক থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে।

    এরপর সিকান্দার রাজা ৩৭ ও মারুমা ৪১ রান করে আউট হলে দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলে দুই ইনিংস মিলিয়েও এক ইনিংসে বাংলাদেশের তোলা ৫৬০ রান টপকাতে ব্যর্থ হওয়ায় ইনিংস এবং ১০৬ রানে ম্যাচ হারতে হয় জিম্বাবুয়েকে। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট পাওয়া নাঈম দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন।

    এ জয়ের ফলে টানা ৬ ম্যাচ পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ দল। পাঁচ দিনের ক্রিকেটে টাইগারদের পরবর্তী মিশন পাকিস্তান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    জিম্বাবুয়ে: প্রথম ইনিংস- ২৬৫/১০
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।

    দ্বিতীয় ইনিংস- ১৮৯/১০
    আরভিন ৪৩, রাজা ৩৭, মারুমা ৪১; নাঈম ৫/৮২, তাইজুল ৪/৭৮।

    বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৬০/৬ ডিক্লেয়ার
    মুশফিক ২০৩*, মুমিনুল ১৩২, শান্ত ৭১; লোভু ২/১৭০, তাসুমা ১/৮৫।

  • মুশফিক-মমিনুল-নাঈমে মিরপুর টেস্ট বাংলাদেশের দখলে

    মুশফিক-মমিনুল-নাঈমে মিরপুর টেস্ট বাংলাদেশের দখলে

    মিরপুরে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের তৃতীয় দিনে মুমিনুল হকের শতকের সাথে মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরির পর নাঈম হাসানের স্পিন বিষে চালকের আসে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২৮৬ রানে লিড নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ দল।

    মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুঁটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। পরে ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা। তৃতীয় দিনে আজ (সোমবার) মুমিনুল ৭৯ এবং মুশফিক ৩২ রান নিয়ে আবার ব্যাট করতে নামেন।

    দিনের শুরুর দিকেই ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি তুলে নেন মুমিনুল। ১৫৬ বলে ক্যারিয়ারের নবম এবং অধিনায়ক হিসেবে প্রথম শতক পূরণ করা বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান ১২টি চার হাঁকান। ৩৫২ রানে লাঞ্চ বিরতিয় যায় বাংলাদেশ। দুপুরের খাবার সেরে এসে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন মুশফিকও। ১০০ রানের কোটা পূরণ করতে ১৬০টি বল ব্যবহার করেন তিনি।

    এরপর খানিক ছন্দপতন হয় বাংলাদেশ শিবিরে। ১৩২ রানে থাকা মুমিনুল আউট হলে ভাঙে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ২২২ রানের পার্টনারশিপ। খানিক পর মিঠুনও ১৭ রান করে ফিরে গেলে মুশফিককে সঙ্গ দেন লিটস দাস। টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করা লিটন নিজের অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন ৯৩ বলে।

    ফিফটির স্বাদ পাওয়া লিটন ৫৩ রানে সাজঘরে ফেরার পর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রথম এবং একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসবে টেস্টে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। একই সাথে তামিম ইকবালকে টপকে বাংলাদেশের হয়ে এ ফরম্যাটে সর্বোচ্চ রানের মালিক বনে যান ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।

    মুশফিকের দ্বিশতকের পর ৬ উইকেটে দলীয় ৫৬০ রানে নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ দল। যেখানে মুশফিক ২০৩ এবং তাইজুল অপরাজিত থাকেন ১৩ রান নিয়ে।

    শেষ বিকেলে বাংলাদেশ থেকে ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং নামে জিম্বাবুয়ে। যেখানে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সফরকারী শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার স্পিনার নাঈম হাসান। শূন্য রানে ফেরান ওপেনার মাসভাউরেকে। পরের বলেই নাঈমের শিকার নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাট করতে নামা টিরিপানো।

    পরে দলকে আর কোনো বিপদ হতে না দিয়ে ৯ রানে দিনের খেলা শেষ করে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ থেকে ২৮৬ রান পিছিয়ে কাসুজা ৮ এবং টেলর ১ রান নিয়ে আগামীকাল ম্যাচের চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    জিম্বাবুয়ে: প্রথম ইনিংস- ২৬৫/১০
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।

    দ্বিতীয় ইনিংস- ৯/২
    কাসুজা ৮*, টেলর ১*; নাঈম ৪/২।

    বাংলাদেশ: প্রথম ইনিংস ৫৬০/৬ ডিক্লেয়ার
    মুশফিক ২০৩*, মুমিনুল ১৩২, শান্ত ৭১; লোভু ২/১৭০, তাসুমা ১/৮৫।

  • বড় জয়ে ভারতকে উড়িয়ে দিল নিউজিল্যান্ড

    বড় জয়ে ভারতকে উড়িয়ে দিল নিউজিল্যান্ড

    ওয়েলিংটনে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পায়নি সফররত ভারত। বিরাট কোহলির দলের ব্যাটিং ব্যর্থতা কাজে লাগিয়ে স্বাগতিক দল পেয়েছে ১০ উইকেটের বিশাল জয়। এতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছেন কেন উইলিয়ামসন-রস টেলররা।

    তিন উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাট করতে নামা ভারত গুটিয়ে যায় ১৯১ রানে। টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টের বোলিং তোপে সফরকারীরা দাঁড়াতেই পারেনি। ৩৯ রানে পিছিয়ে থাকা কোহলিরা তাই লিড পান মাত্র ৮ রানের। ৯ রানের সহজ লক্ষ্য দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ডের সামনে।

    ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি কেউই। মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ৫৮ রানই দলের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর। এছাড়া আজিঙ্কা রাহানে ২৯, রিশাভ পান্ট ২৫ ও অধিনায়ক কোহলি ১৯ রান করেন।

    নিউজিল্যান্ডের পক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচটি উইকেট শিকার করেন সাউদি। বোল্ট পান চারটি উইকেট। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ড কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাত্র ১০ বল (১.৪ ওভার) খেলেই!

    দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯টি উইকেট শিকার করে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ‘ম্যান অব দ্যা ম্যাচ’ এর খেতাব পেয়েছেন টিম সাউদি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    ভারত ১ম ইনিংস- ১৬৫ (৬৮.১ ওভার)
    রাহানে ৪৬, আগারওয়াল ৩৪, শামি ২১
    জেমিসন ৩৯/৪, সাউদি ৪৯/৪

    নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস- ৩৪৮ (১০০.২ ওভার)
    উইলিয়ামসন ৮৯, টেলর ৪৪, জেমিসন ৪৪
    ইশান্ত ৬৮/৫, অশ্বিন ৯৯/৩

    ভারত ২য় ইনিংস-১৯১ (৮১ ওভার)
    আগারওয়াল ৫৮, রাহানে ২৯
    সাউদি ৬১/৫, বোল্ট ৩৯/৪

    নিউজিল্যান্ড ২য় ইনিংস- ৯/০ (১.৪ ওভার)
    লাথাম ৭*, ব্লানডেল ২*

    ফল: নিউজিল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী।

  • শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

    শান্ত-মুমিনুলের ব্যাটে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

    একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে দুই দল বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে। ম্যাচের দ্বিতীয় দিন ৬ উইকেটে ২২৮ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে আজ সুবিধা করতে দেয়নি বাংলাদেশি বোলাররা। অলআউট করেছে ২৬৫ রানে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তর ও মুমিনুল হকের ফিফটিতে ২৪০ রানে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।

    মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে দলীয় অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রানে প্রথম দিনের খেলা শেষ করেছিল। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন স্পিনার নাঈম হাসান।

    আজ (রোববার) ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে চাকাভা ৭ এবং টিরিপানো ০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। আগের দিনের সাথে ১৪ রান যোগ করার পর ৮ রানে থাকা টিপানোকে নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেন পেসার আবু জায়েদ রাহী। ৪ রান বাদে অ্যাইন্সলে লোভুকে একই পথের সারথী বানান ডানহাতি এ পেসার।

    শেষদিকে চাকাভা কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে চার্ল্টন শুভার পর শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩০ রানে থাকা চাকাভাকে ফিরিয়ে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংসের রাশ টেনে ধরেন স্পিনার তাইজুল। ফলে ২৬৫ রানে গুঁটিয়ে যায় সফরকারীরা।

    পরে সাইফ হাসানকে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন বাংলাদেশি ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে নিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা সাইফ একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি, ফিরেছেন ৮ রান করে। এরপর শান্তকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তামিম। দ্বিতীয় উইকেটে ৭৮ রান জড়ো করেন দুজন।

    তামিম ৪১ রানে আউট হয়ে গেলেও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের প্রথম ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সাথে ৭৬ রানের পার্টনারশিপের পর শান্ত আউট হন ৭১ রান করে। এরপর মু্শফিকুর রহিমকে নিয়ে দিনের বাকিটা সময় কাটিয়ে দেন মুমিনুল।

    অর্ধশতক হাঁকানো দলীয় অধিনায়ক অপরাজিত আছেন ৭৯ রান নিয়ে। ৩ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রানে দিন শেষ করা বাংলাদেশের পক্ষে ৩২ রানে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। আগামীকাল ম্যাচের তৃতীয় দিন ৭ উইকেট হাতে রেখে জিম্বাবুয়ে থেকে ২৫ রানে পিছিয়ে আবার ব্যাটিংয়ে নামবে স্বাগতিকরা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    জিম্বাবুয়ে: ২৬৫/১০ (১০৬.৩ ওভার)
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, চাকাভা ৩০; নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১, তাইজুল ২/৯০।

    বাংলাদেশ: ২৪০/৩ (৭১ ওভার)
    মুমিনুল ৭৯, শান্ত ৭১, তামিম ৪১; নিয়াউচি ১/৪১, টিরিপানো ১/৪০।

  • মিরপুরে প্রথমদিন নাঈম ও আরভিনের

    মিরপুরে প্রথমদিন নাঈম ও আরভিনের

    সাদা পোশাক গায়ে হতাশার বৃত্তে আটকে যাওয়া বাংলাদেশের সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। যেখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে তুলনামূলক দুর্বল দল জিম্বাবুয়েকে পেয়েছে মুমিনুল হকরা। সিরিজের একমাত্র টেস্টের শুরুর দিনে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ক্রেইগ আরভিন। নাঈম হাসানের শিকার ৪ উইকেট।

    পাঁচদিনের ক্রিকেটে টানা ৬ ম্যাচ জয় বঞ্চিত বাংলাদেশ দল। একটা মাত্র জয়ের খোঁজে মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সফরকারী জিম্ববুয়ের মুখোমুখি হয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শনিবার শুরু হওয়া ম্যাচে টস ভাগ্য কথা বলে জিম্বাবুয়ের হয়ে। পিচের ধরণ পড়তে পেরে আগে ব্যাট করতে দু’বার ভাবেননি দলটির অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন।

    তবে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শুরুটা সুখকর হতে দেননি বাংলাদেশি পেসার আবু জায়েদ রাহী। দলীয় ৭ রানে ফেরান ওপেনার কেভিন কাসুজাকে। এরপর স্বাগতিক বোলারদের নাস্তানুবাদ করে ছাড়েন দুই ব্যাটসম্যান প্রিন্স মাসভাউর এবং আরভিন। আগমনী চৈত্রের বার্তা দেওয়া তপ্ত রোদে টাইগার বোলারদের শাসন করে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মাসভাউর।

    দ্বিতীয় উইকেটে দুজনের ১১১ রানের পার্টনারশিপের মাথায় বাংলাদেশ দলের ত্রাতা হয়ে আসেন স্পিনার নাঈম হাসান। নিজেই ক্যাচ নিয়ে ফেরান ৬৪ রানে ব্যাট করা মাসভাউরকে। খানিক বাদে নাঈমকে রিভার্স সুইপ করত গিয়ে নিজের উইকেট বিসর্জন দেন টেলর। সাজঘরের পথ ধরেন ১০ রান করে।

    এরপর সিকান্দার রাজাকে নিয়ে লড়ে যান আরভিন। তবে রাজাকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি নাঈম। নিজের তৃতীয় শিকারে পরিণত করেছেন ব্যক্তিগত ১৮ রানের মাথায়। নতুন ব্যাটসম্যান টিমিসেন মারুমাকে তুলে নেন রাহী। লেগ বিফোরের ফাদে ফেলেছেন ৭ রানের সময়।

    অন্যপ্রান্তে দেখেশুনে খেলে টেস্টে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন আরভিন। তবে দিন শেষের এক ওভার আগে ১০৭ রান করে নাঈমের চতুর্থ শিকার হয়ে ফিরতে হয় বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানকে। ফলে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে জিম্বাবুয়ে। টিরিপানো ০ এবং চাকাভা ৭ রান নিয়ে আগামীকাল (রোববার) দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    জিম্বাবুয়ে ২২৮/৬ (৯০ ওভার)
    আরভিন ১০৭, মাসভাউর ৬৪, রাজা ১৮; নাঈম ৪/৬৮, রাহী ২/৫১।

  • ভারতের ২৪১ রানের লিড,ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ

    ভারতের ২৪১ রানের লিড,ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ

    কলকাতার ইডেন গার্ডেনস স্টেডিয়ামে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে বড় লিড পেয়েছে ভারত। ২৪১ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত।

    চার উইকেট নিয়ে লাঞ্চ ব্রেকে গিয়েছিল ভারত। তখনও নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কোহলি। লাঞ্চ ব্রেকের পরেই আবু জায়েদ রাহীর বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন রবীন্দ্র জাদেজা। তিনি আউট হন ১২ করে। নতুন বল হাতে নিতেই ঝলক দেখান বাংলাদেশের বোলাররা। বাউন্ডারি লাইনে তাইজুলের অসাধারণ এক ক্যাচে এবাদতের বলে সাজঘরে ফিরে যান কোহলি। আউট হওয়ার আগে করেন ১৩৬ রান!

    সাহা ও অশ্বিন মিলে কিছুটা চেষ্টা করলেও দলীয় ৩২৯ রানে আল-আমিনের বলে এল্বিডব্লিউর শিকার হন অশ্বিন। আল-আমিন, এবাদতের পর নতুন বলে উইকেট তুলে নেন আবু জায়েদও। উমেশকে স্লিপে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন আবু জায়েদ। ৩৩১ রানে ফের উইকেট তুলে নেন আল-আমিন। শেষ পর্যন্ত ৩৪৭ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত।

    এর দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালোই করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। কোহলি প্রথমদিনেই ফিফটি পেলেও, দ্বিতীয় দিনে এসে ফিফটির দেখা পান রাহানে। অন্যদিকে ফিফটিকে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন কোহলি। ফিফটি করে ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি রাহানে।

    তাইজুলের স্লোয়ারে এবাদতের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাহানে। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫১ রানের ইনিংস সেই সাথে কোহলির সঙ্গে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরির দেখা পান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি।

    প্রথমদিনে মাত্র ১০৬ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ইশান্ত শর্মা একাই তুলে নেন পাঁচ উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে শুরুতে ফিরিয়ে সাফল্য পান আল-আমিন হোসেন। রোহিতের ক্যাচ ছাড়লেও শেষ সেশনের শুরুতে তাকে ফেরান এবাদত। ২১ করে আউট হন তিনি। তবে পূজারা ও কোহলির দায়িত্বশীল ব্যাটিং ভারতকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যেতে থাকে। প্রথমদিনের শেষদিকে ব্যক্তিগত ৫৫ করে এবাদতের বলে আউট হন পূজারা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ১০৬

    সাদমান ২৯, লিটন ২৪*, নাঈম ১৯: ইশান্ত ৫-২২

    ভারত ৩৪৭-৯ (১ম ইনিংস)

    কোহলি ১৩৬, পূজারা ৫৫: আল আমিন ৩-৮৫

  • ওয়ার্নারের ‘দেড়শো’তে বড় সংগ্রহের পথে অস্ট্রেলিয়া

    ওয়ার্নারের ‘দেড়শো’তে বড় সংগ্রহের পথে অস্ট্রেলিয়া

    দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ২৪০ রানের ইনিংসের জবাবে দুর্দান্ত শতক হাঁকানো ডেভিড ওয়ার্নার অপরাজিত ১৫১ রানের ইনিংস খেলে দ্বিতীয় দিন শেষ করল অস্ট্রেলিয়া।

    টস জিতে পাকিস্তান ব্যাট করতে নামলে প্রথম ইনিংসের সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তুলতে সক্ষম হয়। যেখানে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন শফিক ৭৬, আজহার আলী ৩৯ ও রিজওয়ান করেন ৩৭ রান। বল হাতে স্টার্ক নেন ৪ টি উইকেট এবং কামিন্স নেন ৩টি উইকেট।

    জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শতক হাঁকান ডেভিড ওয়ার্নার। ৭ চারে তার ক্যারিয়ারের ২২ তম শতক তুলে নেন বাঁহাতি এই ওপেনার ব্যাটসম্যান। কিন্তু আরেক ওপেনার জো বার্নস শতকের আক্ষেপ নিয়ে ফিরেন। ১০ চারে ৯৭ রান করে ইয়াসির শাহ এর বলে ফিরেন।

    দ্বিতীয় উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার- ল্যাবুশানে। ওয়ার্নার ২৫৭ বলে ১৫০ রান করেছেন। ৯১ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ল্যাবুশানে। শেষ পর্যন্ত ১৫১ রানে ওয়ার্নার এবং ৫৫ রানে ল্যাবুশানে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। ৮৭ ওভার ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করেছে ৩১২ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ (২য় দিন শেষে)

    পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস):২৪০/১০(৮৬.২)
    আসাদ ৭৬, আজহার ৩৯
    স্টার্ক ৪/৫২, কামিন্স ৩/৬০

    অস্ট্রেলিয়া (প্রথম ইনিংস):৩১২/১(৮৭)
    ওয়ার্নার ১৫১*, বার্নস ৯৭
    ইয়াসির শাহ্‌ ১/১০১

  • গোলাপী বল: টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    গোলাপী বল: টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

    কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশ এবং ভারতের অভিষেক ঘটছে গোলাপি বলের ক্রিকেটে। অর্থাৎ সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ টেস্টের মধ্য দিয়েই দিবারাত্রির টেস্টে অভিষেক ঘটছে দু’দলেরই। ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক।

    বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার চলমান সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে ১-০ তে এগিয়ে আছে স্বাগতিক ভারত। এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অভিষেক ঘটেছে। আর সিরিজের শেষ ম্যাচে দিবারাত্রির টেস্টে অভিষেক ঘটছে দুই দেশেরই।

    বাংলাদেশ একাদশ: ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ মিঠুন, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), আবু জায়েদ রাহী, এবাদত হোসেন, আল-আমিন এবং নাইম হাসান।

    ভারত একাদশ: মায়াঙ্ক আগারওয়াল, রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), আজিঙ্কা রাহানে, রবীন্দ্র জাদেজা, ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবীচন্দ্রন আশ্বিন, উমেষ যাদব, মোহাম্মদ শামী, ইশান্ত শর্মা।

  • ইডেনে গোলাপি বলের টেস্ট শুরুর ঘণ্টা বাজালেন হাসিনা-মমতা

    ইডেনে গোলাপি বলের টেস্ট শুরুর ঘণ্টা বাজালেন হাসিনা-মমতা

    খেলা শুরুর সময় ভারতীয় সময় দুপুর ১টায়। কিন্তু ইডেন গার্ডেন্সের সামনে ভিড় শুরু সেই সকাল থেকেই। পিঙ্ক টেস্ট বলে কথা! এই উপমহাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে গোলাপি বলে এটাই প্রথম কোনো ম্যাচ। সেই অভিষেকের সাক্ষী হতে এতো ভিড়।

    কলকাতায় এই ম্যাচ দেখতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। জাতীয় সঙ্গীতের পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দুজনে মিলে একসঙ্গে ইডেনে ঘণ্টা বাজিয়ে খেলা শুরুর ঘোষণা দেন।

    বহুল আলোচিত ইডেনের এই পিঙ্ক টেস্টে টসে জিতেছে বাংলাদেশ। টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে। ইডেনের তাজা উইকেটে গোলাপি বলে আগে ব্যাটিং করাটা সত্যিকার অর্থেই সাহসী সিদ্ধান্ত। ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল জানাচ্ছিলেন-‘উইকেট দেখে আমার মনে হচ্ছে এটা শুকনো এবং বেশ শক্ত। তাই আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়েছে। এই টেস্টে দলে দুটি বদল এনেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় পেসার হিসেবে আল আমিন খেলতে নামছেন তাইজুলের জায়গায়। আর স্পিনার নাঈম হাসান খেলছেন মেহেদি হাসান মিরাজের স্থলে।

    যথারীতি এই টেস্টেও একাদশে জায়গা হয়নি মুস্তাফিজুর রহমানের। ভারত তাদের একাদশে কোনো বদল আনেনি। ইন্দোরের জয়ী দল নিয়েই খেলছে তারা।

    আগের দিন ইডেনের উইকেট যেরকম সবুজ দেখাচ্ছিল ম্যাচ ডে’তে সেই চেহারায় কিছুটা বদল মিলল। সবুজ আছে তবে অতোটা না। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও জানান-‘এই উইকেটে টসে জিতলে তিনিও আগে ব্যাটিংই বেছে নিতেন। উইকেটে কিছুটা ঘাস আছে। তবে ব্যাট করার জন্য উইকেট বেশ শক্ত। শুরুতে এই উইকেট ভাঙার কোনো সম্ভাবনা নেই। দেখা যাক এখানে আগে বোলিং করতে হচ্ছে আমাদের। পিঙ্ক বলে শুরুর ১৫ ওভারে বোলারদের জন্য অনেক কিছুই করার থাকে। দেখি সেই সুযোগটা এখন আমাদের কাজে লাগাতে হবে। দক্ষতা দেখাতে হবে। এই বলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়ও থাকছে। পিঙ্ক বলের গতি খুব বেশি। দ্রুত ছুটে। ফিল্ডিংয়ে দক্ষতা প্রদর্শনের একটা ব্যাপার আছে। আমরা প্রথমবারের মতো এই বলে খেলতে নেমেছি। একটা ভালো উদাহরণ তৈরি করতে চাই প্রথম ম্যাচেই।’

    দুই ম্যাচের সিরিজে ভারত ইন্দোরে ইনিংস ও ১৩০ রানে জিতে এগিয়ে আছে।

    বাংলাদেশ দল:

    ইমরুল কায়েস, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাঈম হাসান, আল আমিন, এবাদত হোসেন ও আবু জায়েদ রাহী

    ভারত দল:

    রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, চেতেশ্বর পূজারা, বিরাট কোহলি, অজিঙ্কা রাহানে, ঋদ্ধিমান সাহা, রবিন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, উমেশ যাদব, মোহাম্মদ শামি ও ইশান্ত শর্মা।