Tag: টেস্ট সিরিজ

  • ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৩৯৫ রান,বাংলাদেশের ১০ উই

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৩৯৫ রান,বাংলাদেশের ১০ উই

    প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালো না হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাহাড়সম লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৯৫ রান। বাংলাদেশ দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৪৩০ ও রান করেছে ৮ উইকেটে ২২৩ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংসে করে ২৫৯ রান।

    তৃতীয় দিন শুরু করেছিলেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। মুশফিক আরও ৮ রান যোগ করতেই রাহকীম কর্নওয়ালের শিকার হয়ে ফেরেন। তবে একপ্রান্ত আগলে অর্ধশতকের পরে শতকও তুলে নেন মুমিনুল। ৮৩ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিলেন মুমিনুল। ফিরে এসে দ্রুতই তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটা তার দশম সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের পক্ষে যা সর্বোচ্চ।

    আরেক প্রান্ত লিটন দাসও তুলে নেন অর্ধশতক। ৬৯ রান করে জোমেল ওয়ারিকানের শিকার হন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক। কাইল মেয়ার্সের তালুবন্দী হওয়ার আগে ম্যাচের প্রথম শতরানের জুটি গড়ে ফেলেন মুমিনুলের সাথে। জুটি গড়েন ২১১ বলে ১৩৩ রানের। লিটনের ইনিংসে ছিল ৫টি চার।

    লিটনের বিদায়ের পরে মাঠে নামেন প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মিরাজ। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরে মারমুখী হয়ে ওঠেন মুমিনুল। দ্রুত রান তোলা যে তার লক্ষ্য তা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল। ফলে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানারক্ষী কেমার রোচের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে করেন ১১৫ রান।

    মিরাজ ও তাইজুলও দ্রুত রান তোলার প্রবণতা দেখান। তবে দুইজনই ওয়ারিকানের শিকার হন। মিরাজ আউট হওয়ার পরেই বাংলাদেশ ইনিংস ঘোষণা করে দেয়, ৮ উইকেটে ২২৩ রানে। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৯৫ রানের।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১/১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভার)
    ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, জসুয়া ৪২, মেয়ার্স ৪০, বনার ১৭, জসুয়া ১২*;
    মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/৪৬, নাঈম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪।

    বাংলাদেশ ২২৩/৮ (৬৭.৫ ওভার- ইনিংস ঘোষণা)
    মুমিনুল ১১৫, লিটন ৬৯, মুশফিক ১৮, সাদমান ৫, তামিম ০, শান্ত ০;
    ওয়ারিকান ৩/৫৭, কর্নওয়াল ৩/৮১, গ্যাব্রিয়েল ২/৩৭।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের লক্ষ্য ৩৯৫ রান।

  • দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়, ২১৮ রানের লিড

    দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে টাইগারদের ব্যাটিং বিপর্যয়, ২১৮ রানের লিড

    প্রথম ইনিংসেই বেশ বড় লিড যোগ হয়েছে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে। তবে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা মোটেও ভালো করতে পারেনি স্বাগতিকরা। দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৭ রান, এগিয়ে আছে ২১৮ রানে।

    ১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নামে বাংলাদেশ। নিজের প্রথম ওভারেই তামিম ইকবাল নাজমুল হোসেন শান্তকে শিকার করেন রাহকীম কর্নওয়াল। তামিমকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। তামিম রিভিউ আবেদন করেছিলেন তবে লাভ হয়নি, স্পষ্ট আউট হয়েছেন ফেরেন তিনি। এক বল বাদেই শান্তকেও শিকার করেন কর্নওয়াল। স্লিপে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের হাতে ক্যাচ দেন শান্ত।

    তামিম ও শান্ত উভয়েই শূন্য রানে আউট হন। ১ রানেই ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৩৩তম বারের মতো শূন্য রানে আউট হলেন তামিম। একই বিব্রতকর রেকর্ড আগে থেকেই আছে মাশরাফি বিন মুর্তজার।

    মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে দিন শেষ করেছেন মুমিনুল। মুশফিক ১০ রানে ও মুমিনুল ৩১ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৭ রান ও লিড ২১৮ রান। কর্নওয়াল নিয়েছেন ২টি উইকেট।

    সাদমান ইসলামকে সাথে নিয়ে এই ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। নিজের ২৯তম বলে প্রথম রান পান সাদমান। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে তিনি ফেরেন ৪২ বলে কেবল ৫ রান করে। ৩৩ রানেই বাংলাদেশের ৩টি উইকেট শিকার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

    তার আগে দিনের প্রথম বলেই এনক্রমাহ বনারকে শিকার করেছিলেন তাইজুল ইসলাম। দিনের প্রথম সেশনেই ক্যারিবিয়ানদের ৩টি উইকেট শিকার করে স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় সেশনটি নিজেদের দখলে নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চা বিরতির ঠিক আগে আউট হন দুই থিতু ব্যাটসম্যান জার্মেইন ব্ল্যাকউড ও জসুয়া ডা সিলভা।

    চা বিরতি থেকে ফিরেই মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণিতে অসহায় আত্মসমর্পণ করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেলেন্ডাররা। জোমেল ওয়ারিকানকে বোল্ড করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অলআউট করে দেন তাইজুল ইসলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সংগ্রহ করে ২৫৯ রান। ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ৭৬ ও ব্ল্যাকউড ৬৮ রান করেন।

    বাংলাদেশের পক্ষে ৪টি উইকেট শিকার করেন মিরাজ। ২টি করে উইকেট পান তাইজুল, নাঈম হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করেছিল ৪৩০ রান। সেঞ্চুরি করেছিলেন মিরাজ। অর্ধশতক করেছিলেন সাকিব আল হাসান ও সাদমান। চোটের কারণে তৃতীয় দিনে মাঠে নামতে পারেননি সাকিব।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১.১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভার)
    ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, জসুয়া ৪২, মেয়ার্স ৪০, বনার ১৭, জসুয়া ১২*;
    মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/৪৬, নাঈম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪।

    বাংলাদেশ ৪৭/৩ (২০ ওভার)
    মুমিনুল ৩১, মুশফিক ১০*, সাদমান ৫, তামিম ০, শান্ত ০;
    কর্নওয়াল ২/২৮, গ্যাব্রিয়েল ১/১৩।

    বাংলাদেশ ২১৮ রানে এগিয়ে।

  • বাংলাদেশের ১৭১ রানের লিড

    বাংলাদেশের ১৭১ রানের লিড

    ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে বড় পুঁজি এনে দেওয়ার পরে বল হাতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের নাস্তানাবুদ করে বাংলাদেশকে বড় লিড এনে দিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২৫৯ রানে। বাংলাদেশের লিডের পরিমাণ ১৭১ রান। মিরাজ শিকার করেছেন চারটি উইকেট।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জার্মেইন ব্ল্যাকউড মিরাজের শিকার হলে চা বিরতিতে যায় দুই দল। চা বিরতির পরে ফিরেই তৃতীয় বলেই কেমার রোচকে শিকার করেন মিরাজ। নিজের পরের ওভারের প্রথম বলেই রাহকীম কর্নওয়ালকে বোল্ড করেন এই অফস্পিনার।

    তাইজুল ইসলাম এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছে ২৫৯ রানে। শেষ ৬ রানে ৫টি উইকেট হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ পক্ষে মিরাজ শিকার করেছেন মোট ৪টি উইকেট। তার আগে ব্যাট হাতে করেছিলেন ১০৩ রান। এছাড়া মুস্তাফিজুর রহমান, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান দুইটি করে উইকেট শিকার করেছেন।

    তার আগে দ্বিতীয় সেশনে তারা দুইজন দারুণ ব্যাটিং করেছেন। ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়ে এই দুই ডানহাতি ব্যাটসম্যান এগিয়ে নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। চার বিরতির ঠিক আগে জসুয়াকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন নাঈম।

    উইকেটরক্ষক লিটন দাসের তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন জসুয়া। তার আগে ব্ল্যাকউডের সাথে গড়েন ৯৯ রানের জুটি। জসুয়ার ব্যাট থেকে আসে ১৪১ বলে ৪২ রান। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফেরার পরে উইকেটে এসেছেন রাহকীম কর্নওয়াল।

    আরেকপ্রান্তে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে লড়াই করেন ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ব্ল্যাকউড। অর্ধশতক হাঁকান তিনি। জসুয়া ফেরার পরের ওভারেই মিরাজের বলে আবার লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪৫ রানে ৮৬ রান।

    তৃতীয় দিনের প্রথম বলেই এনক্রুমাহ বনারকে শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দী হয়ে ফেরেন তিনি। ওই ওভারেই কাইল মেয়ার্সের ক্যাচ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। মেয়ার্স ও কাইল ব্রাথওয়েট সকালে বেশ দ্রুত রান তুলতে থাকেন।

    অল্প সময়ের মধ্যেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিল মেয়ার্স ও ব্রাথওয়েটের মধ্যকার জুটি। ৬৮ বলে ৫৫ রানের এই জুটি ভাঙেন নাঈম হাসান। দুর্দান্ত টার্ন করা এক ডেলিভারিতে ব্রাথওয়েটকে বোল্ড করেন এই ডানহাতি স্পিনার। ১১১ বলে ৭৬ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক। তার ইনিংসটিতে ছিল ১২টি চার।

    তাইজুল-নাঈমদের ওপর ছুরি ঘুরিয়ে মাঠের চারদিকে বাউন্ডারি তুলে নিচ্ছিলেন মেয়ার্স। ব্রাথওয়েটের বিদায়ের পরে জার্মেইন ব্ল্যাকউডের সাথে জুটি গড়েন তিনি। তৃতীয় দিনে নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই মেয়ার্সকে শিকার করেন মিরাজ। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফেরেন ৪০ রান করে। তার ৬৫ বলের ইনিংসটি ছিল ৭টি চারে সাজানো। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেট হারিয়েছিল ১৫৪ রানে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১.১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভার)
    ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, জসুয়া ৪২, মেয়ার্স ৪০, বনার ১৭, জসুয়া ১২*;
    মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/৪৬, নাঈম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪।

    বাংলাদেশ ১৭১ রানে এগিয়ে।

  • দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৫৫ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

    দ্বিতীয় দিন শেষে ৩৫৫ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৪৩০ রান। স্বাগতিকদের পক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দিনশেষে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ৩৫৯ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৫ রান

    ২৪২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম দিন মাঠ ছেড়েছিলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান লিটন। প্রথম সেশনে সাকিব ও মিরাজ পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি গড়েন। রাহকীম কর্নওয়াল সাকিবকে শিকার করলে ভেঙে যায় এই দুই অলরাউন্ডারের জুটি। সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। ১৫০ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার।

    তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে আরও ১১৫ রান যোগ করেন মিরাজ। তিনি হাঁকান সেঞ্চুরি। মিরাজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি এটি। বাংলাদেশের ইনিংসে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি। তার আগে করেন ১০৩ রান। তার ১৬৮ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৩টি চারের সুবাদে।

    প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ করেছে ৪৩০ রান। প্রথম দিনে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম, ৫৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে বাঁহাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকান ৪টি ও ডানহাতি স্পিনার কর্নওয়াল ২টি উইকেট শিকার করেন।

    বাংলাদেশের বড় সংগ্রহের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটিং করতে নামলেই একেরপর এক আঘাত হানতে থাকেন মুস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসানরা। ফলস্বরূপ ২৪ রানের মধ্যেই সফরকারীদের দুইটি উইকেট পেয়ে যান মুস্তাফিজ। জন ক্যাম্পবেল (৩) ও শেইন মোসলেকে (২) এলবিডব্লিউ করেন এই বাঁহাতি পেসার।

    শুরুর ধাক্কা বেশ সাবলীলভাবেই সামাল দেন ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ও এনক্রুমাহ বনার। ব্রাথওয়েট বেশ দ্রুত রান তুলতে থাকেন, সঙ্গ দেন বনার। দিনশেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ব্রাথওয়েট ৪৯ ও বনার ১৭ রানে অপরাজিত আছেন। তাদের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়েছে।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের ১৭তম ওভারের পরে মাঠ ছাড়েন সাকিব। ব্যাটিং ও বোলিং করার সময়ে তাকে পুরোনো চোট নিয়ে বেশ অস্বস্তিতে পড়তে দেখা যায়। একই সময়ে সিলি পয়েন্টে পায়ে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন সাদমানও।

    টেস্ট ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো আম্পায়ারিং করতে নামা শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকতকে বেশ কিছু ভুল সিদ্ধান্ত দিতে দেখা যায়।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১.১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ৬৯।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৫/২ (২৯ ওভার)
    ব্রাথওয়েট ৪৯*, বনার ১৭*;
    মুস্তাফিজ ২/১৪

    বাংলাদেশ ৩৫৫ রানে এগিয়ে।

  • মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ

    মিরাজের প্রথম সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বড় সংগ্রহ

    মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে চড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৪৩০ রান। মিরাজ করেছেন ১০৩ রান।

    মধ্যাহ্ন বিরতির পরে মাঠে ফিরেই অর্ধশতক হাঁকান মিরাজ। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি ছিল তার তৃতীয় ফিফটি। অর্ধশতক পূরণ করার পরেই রাহকীম কর্নওয়ালের ওপর চড়াও হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ডাউন দ্য উইকেটে এসে চার মারার পরের বলেই আবার শট নিয়ে লং অনে তালুবন্দী হয়েছিলেন তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান ফিল্ডার ভারসাম্য হারিয়ে বলটি ধরে রাখতে না পারায়।

    সাকিব আল হাসান আউট হয়ে যাওয়ার পরে মিরাজকে ভালো সমর্থন দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। বেশ ধৈর্যের সাথে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেছেন তিনি। তার ৭২ বলের ইনিংসটির সমাপ্তি ঘটে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে উইকেটরক্ষক জসুয়া ডা সিলভার তালুবন্দী হয়ে। তাইজুলের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। মিরাজের সাথে গড়েছিলেন ১১৭ বলে ৪৪ রানের জুটি।

    তাইজুলের বিদায়ের পরে মিরাজের সাথে যোগ দেন নাঈম হাসান। মিরাজ ও নাঈমের মধ্যকার জুটিতে বেশ দ্রুত রান উঠতে থাকে। কর্নওয়ালের বলে নাঈমকে এলবিডব্লিউ দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে দেখা যায় বলটি স্ট্যাম্পে আঘাত হানেনি ফলে সেই যাত্রায় বেঁচে যান নাঈম। তার এই ঘটনা প্রথম দিনে সাদমানের উইকেটের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল।

    দ্রুত রান তুলতে থাকা নাঈম পার্ট টাইম বোলার এনক্রুমাহ বনারের কাছে পরাস্ত হন। তার ব্যাট ছুঁয়ে বল স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। নাঈম ফেরেন ২৪ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চারের মার। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে মিরাজ ঠিকই এগিয়ে নিতে যেতে থাকেন বাংলাদেশকে।

    তৃতীয় ফিফটিকে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করে ফেলেন মিরাজ। অপরপ্রান্তে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। সেঞ্চুরির পরে বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন এবং লং অনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার আগে মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ১০৩ রান। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ইনিংসে ছিল ১৩টি চার।

    শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে কর্নওয়ালের শিকার হন মিরাজ। বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩০ রানের। মুস্তাফিজ অপরাজিত থাকেন ৩ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে জোমেল ওয়ারিকান ৪টি কর্নওয়াল ২টি উইকেট নেন।

    দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সাজঘরে ফিরেছিলেন লিটন দাস। তিনি করেন ৬৭ বলে ৩৮ রান। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে সাকিবও আউট হয়ে যান। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ রান। সাকিবের ১৫০ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৫টি চার।

    প্রথম দিনে বাংলাদেশের ৫ জন ব্যাটসম্যান আউট হয়েছিলেন। দিনের শুরুতেই ৯ রান করে কেমার রোচের বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছিলেন তামিম ইকবাল। রান আউটে কাটা পড়ে শান্ত ফিরেছিলেন ২৫ রানে। মুমিনুল, সাদমান ও মুশফিক দুইজনেই ওয়ারিকানের শিকার হয়েছিলেন। যদিও সাদমানের আউটটি পরে দেখা যায় প্রকৃতপক্ষে আউট হতো না। সাদমান ৫৯, মুশফিক ৩৮ ও মুমিনুল করেছিলেন ২৬ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বাংলাদেশ

    বাংলাদেশ ৪৩০/১০ (১ম ইনিংস)
    মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
    ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১.১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ৬৯,।

  • সাকিব-লিটনের ব্যাটে শেষ সেশনে স্বস্তি

    সাকিব-লিটনের ব্যাটে শেষ সেশনে স্বস্তি

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিব আল হাসানের অপরাজিত ৩৯ রান এবং লিটন কুমার দাসের ৩৪ রানে প্রথম দিন শেষ করলো বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের হয়ে বল হাতে একাই তিন উইকেট নেন জোমেল ওয়ারিক্যান।

    ১৪০ রানে চার উইকেট হারিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ দলের দুই ব্যাটসম্যান মুশফিক এবং সাকিব। দীর্ঘদিন পর সাদা পোশাকের ক্রিকেটে ফিরে নিজেদের ধৈর্য শক্তির পরীক্ষা দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। দীর্ঘদিন পর সাকিব এবং মুশফিকের দায়িত্বশীল ব্যাটিং যেন স্বপ্ন দেখাচ্ছিল বড় কিছুর।

    মুশফিক, সাকিব- দুজনেই খেলেছেন নিজেদের স্বাভাবিক গতিতে। এই দুই ব্যাটসম্যানের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলের রানও উঠছিল বেশ ভালোভাবেই। তবে তাদের এই জুটি ভাঙেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার ওয়ারিক্যান। দলীয় ১৯৩ রানে ওয়ারিক্যানের করা বলে দারুণ এক ক্যাচ নেন কর্ণওয়েল। সাকিবের সঙ্গে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। আউট হওয়ার আগে ৬৯ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক।

    মুশফিকের বিদায়ের পর সাকিবের সঙ্গে দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান লিটন। ইনিংসের শুরু থেকেই রান তুলতে খুব বেশি একটা সময় নেননি লিটন। ওয়ারিক্যান, গ্যাব্রিয়েল, কর্ণওয়েলকে বেশ ভালোভাবেই সামাল দেন এই ব্যাটসম্যান। অন্য প্রান্ত থেকে লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দেন সাকিব। শেষ পর্যন্ত দিনশেষে ৩৯ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন সাকিব এবং ৫৮ বলে ৩৪ করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন লিটন।

    ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল হাতে ২৪ ওভার বোলিং করে ৫৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন ওয়ারিক্যান এবং একটি উইকেট লাভ করেন কেমার রোচ।

    এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ব্যাটিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না সেটি শুরুতেই প্রমাণ দেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সাদমান। তবে সেই জুটি বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেনি। দলীয় ২৩ রানে রোচের করা বলটি তামিমের ব্যাটের ফাঁক দিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙে। তিনি করেন মাত্র ৯ রান। তামিম আউট হলেও ইনিংসের শুরু থেকেই বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

    রোচ, গ্যাব্রিয়েলদের বিপক্ষে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করেন নাজমুল। তবে তাকে থামতে হয় দলীয় ৬৬ রানে। সাদমানের সঙ্গে ভুল বোঝাবোঝিতে ব্যক্তিগত ২৫ রান করে রান আউটের শিকার হন নাজমুল। চট্টগ্রামে বড় স্কোরের দেখা পাননি অধিনায়ক মুমিনুল। ৫৮ বলে তিন চারে ২৫ করে আউট হন তিনি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

    বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) ২৪২-৫ (সাদমান ৫৯, সাকিব ৩৯*, মুশফিক ৩৮, লিটন ৩৪*: ওয়ারিক্যান ৩-৫৮)

  • জুনে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া

    জুনে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া

    চলতি বছরের জুন মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। অস্ট্রেলিয়ার সেই বাংলাদেশ সফরের সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

    সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। দুটি ম্যাচই আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্গত। সিরিজের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে ১১ জুন। দ্বিতীয় ম্যাচ মাঠে গড়াবে ১৯ জুন।

    প্রথম ম্যাচের ভেন্যু ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।

    সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে চট্টগ্রামে চার দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচও খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ১১ জুন শুরু হওয়া প্রথম টেস্ট শেষে দুই দল ঢাকায় পা রাখবে ১৬ জুন। ১৯ জুন শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট।

    ২০১৯ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার কথা ছিল অজিদের। তবে সেই সিরিজ পিছিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সফরে এসে সিরিজটি খেলবে তারা।

    সর্বশেষ ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেবার স্বাগতিকদের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলেছিল অজিরা। চট্টগ্রাম টেস্টে হেরে গেলেও ঢাকায় সিরিজের প্রথম টেস্টে বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বীরত্বে অস্ট্রেলিয়াকে হারায় বাংলাদেশ। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় জয় হয়ে আছে সেই টেস্ট। অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের এবারের বাংলাদেশ সফরকে ঘিরে তাই কাজ করছে বাড়তি উন্মাদনা।

    একনজরে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ

    ১ম টেস্ট, ১১-১৫ জুন, চট্টগ্রাম
    ২য় টেস্ট, ১৯-২৩ জুন, ঢাকা

  • ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেল সিনিয়ররা

    ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেল সিনিয়ররা

    গতরাতেই অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিকারী আকবর বাহিনী।

    তবে তারা যতটা মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন আজ ঠিক ততটাই ম্লান করলেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিকারী সিনিয়র দল৷ রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের কাছে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের মধ্যেই ইনিংস ও ৪৪ রানে হেরেছে মমিনুল-তামিমরা। এই নিয়ে বিদেশের মাটিতে টানা ৪ টেস্ট ইনিংস ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ৷

    তৃতীয় দিন শেষ বিকেলে নাসিম শাহর হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের পরাজয় ছিল সময়ের ব্যাপার। আজ সকালে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারে বাকি ব্যাটসম্যানরা সেটাই ছিল দেখার বিষয়। দিনের শুরুতেই মমিনুলের আউটের মধ্য দিয়ে শুরু হয় টাইগার ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নের পথে হাটা। আবারো সেই একই কাহিনীর পুনরাবৃত্তি। সেট হয়ে ফিরে যাওয়া৷ মমিনুক ফিরেন ৪১ রানে।

    তারপর রুবেলকে নিয়ে ২৬ ও রাহিকে নিয়ে ৯ রান যোগ করেন লিটন। তিনি নিজেও আবারো কাটা পড়েন বলতে গেলে সেই ৩০ এর ঘরেই। এই নিয়ে শেষ ১১ ইনিংসে ৮ বারই সেট হয়েও ফিফটির দেখা পাননি লিটন। ইয়াসির শাহর বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরে যান ২৯ রানে। লিটনের যাওয়ার সাথেই সাথেই পরাজয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত তারা অল আউট হয় ১৬৮ রানে৷ ফলে ইনিংস ও ৪৪ রানের জয় পায় পাকিস্তান৷ পাকিস্তানের নাসিম শাহ ও ইয়াসির শাহ ৪ টি করে উইকেট নেন।

    এর আগে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ ও পাকিস্তান ৪৪৫ রান করে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    বাংলাদশ (১ম ইনিংস):
    ২৩৩/১০, মিথুন- ৬৩, শান্ত- ৪৪। আফ্রিদি- ৪/৫৩

    পাকিস্তান (১ম ইনিংস):
    ৪৪৫/১০, বাবর- ১৪৩, মাসুদ- ১০০। রাহি- ৩/৮৬, ৩/১১৩।

    বাংলাদেশ (২য় ইনিংস):
    ১৬৮/১০, মমিনুল- ৪১, শান্ত- ৩৮। নাসিম- ৪/২৬, ইয়াসির- ৪/৫৮।

  • নাসিমের রেকর্ড গড়া হ্যাটট্রিকে ইনিংস পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

    নাসিমের রেকর্ড গড়া হ্যাটট্রিকে ইনিংস পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

    পাকিস্তান সফরে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতার পর পরাজয় এড়ানো কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসেও বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের নাজুক অবস্থা। পরাজয় তো বটেই, টাইগারদের লড়তে হচ্ছে ইনিংস পরাজয় এড়ানোর জন্য।

    জোড়া অর্ধ-শতক ও জোড়া শতকের পর বাংলাদেশের জন্য লড়াইটাকে কঠিন করে তোলেন নাসিম শাহ। তরুণ এই পেসার সর্বকনিষ্ঠ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত, তাইজুল ইসলাম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সাজঘরে ফিরিয়ে।

    তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে ৮৬ রানে পিছিয়ে রয়েছে। ৪৫ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে মুমিনুল হকের দলের সংগ্রহ ১২৬ রান। মুমিনুল ৩৭ ও লিটন শূন্য রানে ক্রিজে রয়েছেন।

    শুরুতে তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান ভালো শুরুর ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন। তবে সাইফ ১৬ ও তামিম ৩৪ রান করে আউট হলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই চাপ আরও বাড়ে নাসিম হ্যাটট্রিক করে বসলে। শান্ত ৩৮ রান করে সাজঘরে ফেরার সময়ও ইনিংস ব্যবধানে পরাজয় এড়ানো সহজ ছিল বাংলাদেশের জন্য। কিন্তু নাসিমের শিকার হয়ে তাইজুল ও রিয়াদ এবং এরপর মোহাম্মদ মিঠুন ইয়াসির শাহর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরলে ব্যাকফুটে চলে যায় বাংলাদেশ।

    তাইজুল, রিয়াদ ও মিঠুন তিনজনের কেউই স্কোরবোর্ডে কোনো রান জড়ো করতে পারেননি। বাংলাদেশ যতটুকু আশাই ধারণ করছে, তার বাহক অধিনায়ক মুমিনুল। পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে হলে লিটন দাসকে নিয়ে মূল লড়াই চালিয়ে যেতে হবে তাকেই।

    তার আগে পাকিস্তান নিজেদের প্রথম ইনিংসে জড়ো করে ৪৪৫ রান। বাংলাদেশের পক্ষে আবু জায়েদ রাহী ও রুবেল হোসেন তিনটি করে উইকেট শিকার করেন। এছাড়া তাইজুল পান দুটি উইকেট। বাংলাদেশের সুযোগ হাতছাড়ার সুবিধা আদায় করে পাকিস্তানের হয়ে শতক হাঁকান বাবর আজম (১৪৩) ও শান মাসুদ (১০০)। এছাড়া হাসির সোহাইল ৭৫ ও আসাদ শফিক ৬৫ রান করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর (তৃতীয় দিন শেষে)

    বাংলাদেশ ১ম ইনিংস- ২৩৩
    মিঠুন ৬৩, শান্ত ৪৪, লিটন ৩৩
    শাহীন ৫৩/৪, হারিস ১১/২

    পাকিস্তান ১ম ইনিংস- ৪৪৫
    বাবর ১৪৩, শান ১০০, হারিস ৭৫
    রাহী ৮৬/৩, রুবেল ১১৩/৩

    বাংলাদেশ ২য় ইনিংস- ১২৬/৬
    শান্ত ৩৮, মুমিনুল ৩৭*, তামিম ৩৪
    নাসিম ২৬/৪, ইয়াসির ৩৩/২

    ইনিংস ব্যবধান এড়াতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ৮৬ রান।

  • মাসুদ-বাবরের সেঞ্চুরিতে লিড পেল পাকিস্তান

    মাসুদ-বাবরের সেঞ্চুরিতে লিড পেল পাকিস্তান

    রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শান মাসুদের পর সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বাবর আজমও। ব্যাট হাতে ছাড় দিয়ে কথা বলছেন না আসাদ শফিকও। দুই সেঞ্চুরি ও শফিকের ফিফটিতে দ্বিতীয় দিন শেষে ১০৯ রানের লিড পেলো পাকিস্তান।

    বাবর আজমের সেঞ্চুরিটা নাও হতে পারত যদি না এবাদত তার ক্যাচটা মিস না করতেন। ব্যক্তিগত ২ রানে তাইজুলের বলে জীবন পাওয়া সেই বাবর নিজের ইনিংসকে নিয়ে যান সেঞ্চুরির ঘরে। ক্যাচ তুলে দেওয়া সেই তাইজুলের বলেই নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন বাবর। ৬৮তম ওভারের প্রথম বলে তাইজুলকে চার মেরে সেঞ্চুরি হাঁকান বাবর।

    অবশ্য শান মাসুদের মতো সেঞ্চুরি করেই থেমে থাকেননি বাবর। দলের রান বাড়ানোর পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত রানও এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। বাবরের পাশাপাশি তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন আসাদ শফিক। টেস্ট স্পেশালিষ্ট শফিকের অবশ্য কোন জীবন পাওয়া লাগেনি। নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলে গিয়েছেন তিনি। দুই ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ব্যাটিং দলকে দ্বিতীয় দিন শেষে বড় লিড পেতে সাহায্য করে। বাবরের সেঞ্চুরির পাশাপাশি ফিফটি তুলে নেন শফিকও।

    অবশ্য ৩৪২ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করে পাকিস্তান। ১৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন বাবর এবং ৬০ করে অপরাজিত থাকেন শফিক। এ দুই ব্যাটসম্যান মিলে গড়েন ১৩৭ রানের জুটি।

    চা-বিরতির আগে সেঞ্চুরি মিস হতো শান মাসুদেরও। রুবেলের বলটি ব্যাটের কানায় লেগে তালুবন্দি হয় কিপার লিটনের হাতে। অবশ্য তার ক্যাচটির জন্য আবেদন করেননি কিপার, বোলারের কেউই। বাবরের মতই জীবন পেয়ে তিনিও সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। শতক হাঁকানোর পরেই তাইজুলের বলে বোল্ড হন তিনি।

    এর আগে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। শুরুতেই দলকে উইকেট এনে দিয়েছিলেন আবু জায়েদ। অবশ্য দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল আজহার ও শানের জুটিতে। সেই জুটিও ভাঙেন আবু জায়েদ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ দ্বিতীয় দিন শেষে-

    বাংলাদেশ ২৩৩ (মিঠুন ৬৩, নাজমুল ৪৪: আফ্রিদি ৪-৫৩

    পাকিস্তান ৩৪২-৩ (বাবর ১৪৩*, শান ১০০: রাহী ২-৬৬)

  • প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ

    প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট বাংলাদেশ

    পাকিস্তান সফরে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে রাওয়ালপিণ্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিঠুনের অর্ধশতকে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

    এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে ইনিংসের তৃতীয় বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরেন অভিষিক্ত সাইফ হাসান। এর পরের ওভারে আব্বাসের বলে লেগ বিপরের ফাঁদে পরে ফিরেন আরেক ওপেনার (৩) তামিম ইকবাল।

    দলের এমন বিপর্যয়ে হাল ধরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও অধিনায়ক মুমিনুল হক। তাদের দু’জনে ৫৯ রানের জুটিতে দলীয় অর্ধশতক পূর্ণ করে বাংলাদেশ। তবে উইকেটে থিতু হয়ে নিজেদের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার অভ্যাসটা রয়েই গেল বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের।

    আজ একই ভুল করলেন টাইগার অধিনায়ক মমিনুল হক। অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল চেজ করতে যেয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যাক্তিগত ৩০ রানে ফিরে যান মমিনুল। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও শান্ত ৩৩ রানের জুটি গড়লেও ৬ চারে ৪৪ রান করে আব্বাসের বলে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শান্ত ফিরলে দাঁড়াতে পারেনি মাহমুদউল্লাহ। আফ্রিদির বলে ২৫ রান করে ফিরেন তিনি।

    এরপর ষষ্ঠ উইকেটে লিটন ও মিঠুনের মধ্যকার ৫৪ রানের দারুণ জুটি গড়লেও। ৪৬ বলে ৭ চারে ৩৩ রান করে হারিস সোহেলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন।

    লিটন ফিরলেও সপ্তম উইকেট জুটিতে ৫৩ রান তুলেন মিঠুন ও তাইজুল। তবে ২৪ রান করে তাইজুল ফিরলেও দুর্দান্ত অর্ধশতক তুলে নেন মোহাম্মদ মিঠুন। ১ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ রান করে মিঠুন ফিরলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ২৩৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

    পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট নেন আফ্রিদি। এছাড়া হারিস ও আব্বাস নেন দুটি করে উইকেট।

    পরবর্তীতে আলো স্বল্পতায় আর ব্যাট করতে নামে নি পাকিস্তান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:(প্রথম দিন শেষে) –
    বাংলাদেশ: ২৩৩/১০ (৮২.৫)
    মিথুন ৬৩, শান্ত ৪৪
    আফ্রিদি ৪/৫৩, হারিস ২/১১

    বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস (উইকেটরক্ষক), তাইজুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ রাহী ও এবাদত হোসেন।

    পাকিস্তান একাদশ: শান মাসুদ, আবিদ আলি, আজহার আলী (অধিনায়ক), বাবর আজম, হারিস সোহেল, আসাদ শফিক, মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস, নাসিম শান ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।

  • পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা

    পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দল ঘোষণা

    পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে লড়বে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যার প্রথমটি ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টের জন্য আজ দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

    মুমিনুল হককে অধিনায়ক করে ঘোষিত দলে এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন । বাংলাদেশের সবশেষ ভারত সফরের দলে থাকা দুই ওপেনার- সাদমান ইসলাম ও ইমরুল কায়েস নেই ঘোষিত দলে। তাছাড়া বাদ পড়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন, পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজও।

    তাদের বাদ পড়ার ভিড়ে দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল, রুবেল হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত।

    ব্যক্তিগত কারণে ভারত সফরের দল থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তামিম। যার ফলে বাংলাদেশের সবশেষ টেস্ট সিরিজে খেলতে দেখা যায়নি তাকে। পাকিস্তান সফরের দলে আবারও ফিরেছেন তিনি।

    ইঞ্জুরির জন্য সাদমান ইসলামের পাকিস্তান সফরে অনিশ্চিত, এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। তার জন্য শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করলেও লাভ হয়নি। পুরোপুরি ফিট না হওয়ায় তাকে ছাড়াই পাকিস্তান সফরে যেতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। সাদমানের মতো একই কারণে কপাল পুড়েছে আরেক ওপেনার ইমরুল কায়েসেরও।

    এই দুই ওপেনারের ছিটকে যাওয়ায় দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সৌম্য সরকার ও শান্তকে।

    প্রসঙ্গত, দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে চলতি মাসের ৪ তারিখ পাকিস্তান যাবে টাইগাররা। ৭ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে সাদা পোশাকের লড়াইয়ের পর দেশে ফিরে আসবে মুমিনুলরা। এরপর সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলতে এপ্রিলে আবারও পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ দল। এ যাত্রায় করাচিতে অনুষ্টিত হবে দু’দলের মধ্যকার শেষ টেস্টটি।

    পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের বাংলাদেশ দল: মুমিনুল হক (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, এবাদত হোসেন, আবু জায়েদ রাহী, আল-আমিন হোসেন, রুবেল হোসেন ও সৌম্য সরকার।