Tag: ট্রেন

  • ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ

    ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ

    ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে ১২৫ টাকা সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করে ট্রেন ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বাণিজ্যিক দূরত্ব ৫৩৫ কিলোমিটার ধরে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

    প্রকাশিত তালিকাতে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া লাগবে ১২৫ টাকা আর মেইল ট্রেনে লাগবে ১৭০ টাকা। শোভন চেয়ারে ৫০০ ও এসি বার্থে (ভ্যাটসহ) পড়বে এক হাজার ৭২৫ টাকা।

    এ ছাড়া সুলভ শ্রেণির ২৫০, শোভন শ্রেণির ৪২০, প্রথম চেয়ার/সিট ভাড়া (ভ্যাটসহ) ৬৭০, প্রথম বার্থের (ভ্যাটসহ) এক হাজার, স্নিগ্ধা শ্রেণির (ভ্যাটসহ) ৯৬১ এবং এসি সিট শ্রেণির ভাড়া এক হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কমিউটার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২১০ টাকা।

    রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আরও দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ না হওয়ায় আপাতত ঢাকা থেকে প্রতিদিন এক জোড়া ও চট্টগ্রাম থেকে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। রেক বা কোচ ও ইঞ্জিন পাওয়া সাপেক্ষে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আরও একজোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালানো হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।

    ঢাকার ট্রেনটি (৮১৪) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছবে। ফিরতি পথে বেলা ১টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছবে। সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিট। ট্রেনটি শুধু চট্টগ্রাম স্টেশনে ৩০ মিনিটের যাত্রাবিরতি দেবে।

    অন্যদিকে ৮২৪ নম্বর ট্রেন কক্সবাজার থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে বেলা ১০টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম পৌঁছবে। সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা ৫ মিনিট। অন্য ট্রেনটি (৮২১) সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে ১০টা ২০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছবে। সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট।

    ঢাকা-কক্সবাজার আন্তঃনগরে কোচ থাকবে ১৮টি। আসন থাকবে দিনের বেলায় ৮২৪টি, রাতে ৭৭৯টি। অন্তত ২০ শতাংশ আসন চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

    চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের আন্তঃনগর ট্রেনটি ষোলশহর, জালানী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহণ করবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনটির রেকে মোট কোচ সংখ্যা হবে ১২টি। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রীরা সকালে গিয়ে রাতেই চট্টগ্রামে ফিরতে পারবেন।

    বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজারে ট্রেন চালাতে আমরা প্রস্তুত। প্রথম ট্রেনটি চলাচল শুরু করবে ঢাকা থেকে। দ্বিতীয় বাণিজ্যিক ট্রেনটি চলবে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম।

    কক্সবাজারকে ঘিরে অন্তত ছয় জোড়া ট্রেনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হলেও শুরুতে দুই কিংবা তিন জোড়া ট্রেন চালানো হবে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলো চালানো হবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম।

    গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি নির্মিত দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলও উদ্বোধন করেন তিনি।

  • সমুদ্রের শহরে ট্রেন ছাড়ল প্রধানমন্ত্রীর হুইসেলে

    সমুদ্রের শহরে ট্রেন ছাড়ল প্রধানমন্ত্রীর হুইসেলে

    পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক ও বিমান পথে এতদিন আসা গেলেও আজ থেকে যুক্ত হলো নতুন এক পথ। বাংলাদেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কে ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার। সমুদ্রের শহরে গিয়ে আজ চট্টগ্রাম (দোহাজারী)-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধন করেন সেখানে স্থাপিত আইকনিক রেল স্টেশনও।

    দুপুর ১টায় উদ্বোধনের পর আইকনিক রেলস্টেশনের টিকিট কাউন্টার থেকে ১টা ২১ মিনিটে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুইসেল বাজানোর মাধ্যমে ১টা ২৭ মিনিটে কক্সবাজার থেকে রামুর উদ্দেশে ছেড়ে যায় একটি ট্রেন। রামুতে পৌঁছে সুধী সমাবেশে বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা।

    এর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আজ রেলের সাথে কক্সবাজার সংযুক্ত হলো। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০২ কিলোমিটার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে থাকতে পেরে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। একটা কথা দিয়েছিলাম, কথাটা রাখলাম। আজকের দিনটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য গর্বের দিন।

    বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের জন্য ২০১০ সালের ৬ জুলাই দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। মেগা প্রকল্প হিসেবে ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে টেন্ডার হলে দোহাজারী-চকোরিয়া এবং চকোরিয়া-কক্সবাজার (লট-১ ও লট-২) এই দুই লটে চীনা প্রতিষ্ঠান সিআরসি (চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন) ও দেশীয় প্রতিষ্ঠান তমা কনসট্রাকশন প্রকল্পের নির্মাণ কাজ পায়। কার্যাদেশ দেওয়ার পর ২০১৮ সালে এই মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। অনুমোদনের ১৩ বছর পর প্রকল্পটির উদ্বোধন হলো।

    এই ১০২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর অর্থায়ন করেছে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।

  • কক্সবাজারে পৌঁছালো পরীক্ষামূলক ট্রেন

    কক্সবাজারে পৌঁছালো পরীক্ষামূলক ট্রেন

    চট্টগ্রাম থেকে কালুঘাট সেতু হয়ে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছালো পরীক্ষামূলক ট্রেন। রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ২৪ মিনিটের দিকে ট্রেনটি কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে পৌঁছায়। এর আগে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

    রেলপথ পরিদর্শন অধিদপ্তরের সরকারি রেল পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই ট্রেনে যাত্রা করেন। বহুল কাঙ্ক্ষিত ট্রেনটির পরীক্ষামূলক এই যাত্রা পরিচালনা করছেন লোকোমাস্টার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ও সহকারী লোকোমাস্টার রুখন মিয়া।

    আগামী ১১ নভেম্বর দোলহাজারী কক্সবাজার ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    রেলপথ পরিদর্শন অধিদপ্তরের সরকারি রেল পরিদর্শক রুহুল কাদের আজাদ বলেন, জিআইবিআর স্পেশাল ট্রেন সকাল ৯টা ২০ মিনিটের সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়েছে। সর্বোচ্চ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় রেল ভায়াডাক্ট এ পথে নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০ কিলোমিটার গতিতে এ রেলপথে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

    স্থানীয়রা আরও জানান, কক্সবাজারে আগে কোনো রেলপথ ছিল না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর কক্সবাজার রেল আসছে। আজ প্রথমবারের মতো ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আসছে বিষয়টি গৌরবের।

    সম্ভাব্য ট্রেনের সময়সূচি

    ঢাকা থেকে রাত ৯টা ১০ মিনিটে যাত্রা করে সকাল সাড়ে ৬টায় কক্সবাজারে পৌঁছাবে। কক্সবাজার থেকে দুপুর ১টায় যাত্রা করে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় ফিরবে। ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ঢাকা থেকে কক্সবাজারের সর্বনিম্ন ৫১৫ টাকা। সর্বোচ্চ এসি বার্থে ভাড়া পড়বে ২,০৩৬ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে সর্বনিম্ন ৫৫ থেকে সর্বোচ্চ ৭৭৮ টাকা।

    চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুই ভাগে কাজটি করছে।

    দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের আওতায় ৩৯টি বড় সেতু, ২২৩টি ছোট সেতু ও কালভার্ট, বিভিন্ন শ্রেণির ৯৬টি লেভেল ক্রসিং। হাতি চলাচলের জন্য রয়েছে আন্ডারপাস। নির্মাণ করা হয়েছে ৯টি স্টেশন। স্টেশনগুলো হলো- দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, ডুলাহাজরা, ইসলামাবাদ, রামু ও কক্সবাজার।

  • টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    নিজে টিকিট কেটে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে মাওয়া স্টেশন থেকে তিনি ট্রেনের টিকিট কাটেন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের তিন শিশু সদস্যও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে ট্রেনটি ১টার সময় মাওয়া স্টেশন ছেড়ে যায়। ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় ভাঙ্গা স্টেশনে ট্রেনটি ১টা ৫৫ মিনিটে গিয়ে পৌঁছায়। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর উপলক্ষে ট্রেনকে বর্ণিল কাগজ ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়ে। তার সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, তার উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য, সাংবাদিকসহ বিশিষ্টজনরাও এই সফরে অংশ নেন।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী ট্রেনের জানালা দিয়ে পমত্ত পদ্মা সেতুর রূপ অবলোকন করেন। ট্রেনে বসেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রেনের সংযোগটা হলো, পদ্মা সেতু আমরা নিজেদের অর্থায়নে করতে পেরেছি। যার ফলে আমরা বাংলাদেশের মানুষ; যাদের কথা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমাদের কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না। বাংলাদেশের মানুষকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। এর ফলে আমাদের আত্মবিশ্বাসটা এসেছে। এই পদ্মা সেতু নির্মাণের যারা শ্রম দিয়েছে, কাজ করেছে সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর ধন্যবাদ জানাচ্ছি দেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই।‘ প্রধানমন্ত্রী আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।

    পদ্মা সেতুর নিচ লেন দিয়ে যখন ট্রেন যাচ্ছিলো তার উপরের লেনে পাড়ি দেয় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। রেলপথে স্বপ্নের পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ভাঙ্গা রেল স্টেশনে পৌঁছাবেন। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা সেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন ক্ষমতাসীন দলের প্রধান শেখ হাসিনা। জনসভা শেষে তিনি পিতৃভূমি গোপালগঞ্জে যাবেন এবং সেখানে একদিন অবস্থান শেষে বুধবার (১১ অক্টোবর) সড়ক পথে ঢাকায় ফিরবেন।

    এর আগে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে এই রেলসংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পদ্মা নদীর ওপর দিয়ে সড়ক যোগাযোগ চালুর ১৫ মাসের ব্যবধানে চালু হলো ট্রেন। এর মাধ্যমে দেশের মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের মানুষ প্রথমবারের মতো রেল যোগাযোগের আওতায় আসছেন।

    আজ সকাল ১১টার একটু আগে সড়কপথে মাওয়ায় সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের সভাপতিত্বের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, মুন্সিগঞ্জ ২ আসনের সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী প্রমুখ।

  • ভারতে ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে পুলিশসহ নিহত ৪

    ভারতে ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে পুলিশসহ নিহত ৪

    ভারতে ট্রেনে নিরাপত্তাকর্মীর গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন সাধারণ যাত্রী এবং অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা। অন্যদিকে অভিযুক্ত নিরাপত্তাকর্মী ভারতের রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ-এর কনস্টেবল।

    সোমবার (৩১ জুলাই) সকালে জয়পুর থেকে মুম্বাইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার সকালে মহারাষ্ট্রের পালঘর রেলওয়ে স্টেশনের কাছে ট্রেনে চারজনকে গুলি করে হত্যা করেছে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের (আরপিএএফ) একজন সদস্য। নিহতদের মধ্যে একজন পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক বলে জানানো হয়েছে।

    রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের বরাত দিয়ে ভারতীয বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ‘জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের (১২৯৫৬) ভেতরে গুলি চালানোর ঘটনায় এক এএসআই-সহ চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনাটি ডিসিপি উত্তর জিআরপিকে জানানো হয়েছে।’

    এনডিটিভি বলছে, অভিযুক্ত ওই আরপিএফ কনস্টেবলের নাম চেতন কুমার চৌধুরী। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে নিজের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র থেকে গুলি চালিয়ে তার এক আরপিএফ সহকর্মী এসকর্ট ডিউটি ​​ইনচার্জ এএসআই টিকা রাম মীনা এবং ট্রেনের অন্য তিন যাত্রীকে হত্যা করেন তিনি। ট্রেনটি জয়পুর থেকে মুম্বাইয়ে যাচ্ছিল। অভিযুক্তকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়েছে।

    কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আরেক সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, তার সিনিয়রকে হত্যা করার পর অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল অন্য একটি বগিতে গিয়ে তিন যাত্রীকে গুলি করে হত্যা করে। সোমবার ভোর ৫টার দিকে দহিসার এবং মীরা রোড স্টেশনের মধ্যবর্তী জায়গায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে।

    ভারতের পশ্চিম রেলওয়ে জানিয়েছে, পালঘর স্টেশন অতিক্রম করার পরে আরপিএফ কনস্টেবল চেতন কুমার চৌধুরী চলন্ত জয়পুর এক্সপ্রেস ট্রেনের ভেতরে গুলি চালায় এবং চারজনকে হত্যা করার পর দহিসার স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে লাফ দেয়। তবে সরকারি রেল পুলিশ ও আরপিএফ কর্মকর্তাদের সহায়তায় মীরা রোডে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

    এএনআই’র এক টুইটে দেখা যাচ্ছে, ট্রেনটি মুম্বাই সেন্ট্রাল স্টেশনে এসে পৌঁছেছে এবং ট্রেনটির বগির গায়ে, জানলার কাচে গুলির চিহ্ন রয়েছে। তবে, ঠিক কী কারণে এই কাণ্ড ঘটালেন ওই আরপিএফ জওয়ান, তা এখনও জানা যায়নি।

  • ট্রেনে ঈদযাত্রার আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হতেই শেষ

    ট্রেনে ঈদযাত্রার আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হতেই শেষ

    আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ১৭ এপ্রিলের টিকিট দেওয়া হচ্ছে আজ শুক্রবার। তবে বিক্রি শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে গেছে পশ্চিমাঞ্চলের ১৭ তারিখের টিকিট।

    রেলের ঢাকা বিভাগের বাণিজ্যিক কর্মকর্তা শাহ আলম শিশির জানিয়েছেন, এরই মধ্যে সব টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে পশ্চিমাঞ্চলের। পূর্বাঞ্চলের কিছু টিকিট বিক্রি এখনো বাকি।

    তিনি জানান, প্রতিদিন বিক্রি করা হবে ২৫ হাজার ৭৭৮টি টিকিট। অনলাইনে টিকিট বিক্রি হওয়ায় রেলস্টেশনে যাত্রীদের কোনো ভিড় নেই।

    রেলের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা সহজ ডটকম প্রতি মিনিটে বিক্রি করতে সক্ষম ৮ হাজার টিকিট। একসঙ্গে ১০ লাখ লোক তাদের সাইটে প্রবেশ করতে পারবে।

    এদিকে, ৮ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ১৮ এপ্রিলের টিকিট, ৯ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ১৯ এপ্রিলের টিকিট, ১০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২০ এপ্রিলের টিকিট এবং ১১ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২১ এপ্রিলের টিকিট।

    একইভাবে ঈদ ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি করা হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। প্রথম দিন (১৫ এপ্রিল) বিক্রি হবে ২৫ এপ্রিলের টিকিট, ১৬ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৬ এপ্রিলের টিকিট, ১৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৭ এপ্রিলের টিকিট, ১৮ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট, ১৯ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট।

  • ‘আগামী বছরের জুনে কক্সবাজার যাবে ট্রেন’

    ‘আগামী বছরের জুনে কক্সবাজার যাবে ট্রেন’

    আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ কক্সবাজার যাওয়া যাবে ট্রেনে করে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। এ প্রকল্পের জন্য অর্থ সহায়তা দিয়েছে দাতা সংস্থা এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।

    প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা দাবি করছেন, এই রেললাইনের ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। এই প্রকল্পের প্রায় ৭৬ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ আগামী ২০২৩ সাল নাগাদ সম্পন্ন হবে। এই রেলপথ নির্মিত হলে তা দেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পর্যটন উন্নয়নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে দোহাজারি থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার ১২ কিলোমিটার ও রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রকল্পটি বর্তমানে নির্মাণাধীন। ২০২৩ সালের জুন নাগাদ নির্মাণকাজ শেষ হলে জুলাই কিংবা আগস্টে ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।

    মোট ১০০ কিলোমিটারের এই রেলপথে মোট আটটি স্টেশন থাকছে। এই গুলো হলো কক্সবাজার সদর, ডুলাহাজারা, সাতকানিয়া, চকরিয়া, রামু, উখিয়া, ঈদগাঁও ও লোহাগড়া। সাঙ্গু, মাতামুহুরি ও বাঁকখালী নদীর ওপর তিনটি বড় সেতুও নির্মাণ করা হচ্ছে। সাতকানিয়ার কেঁওচিয়ায় ফ্লাইওভার, রামু-কক্সবাজারে দুটি হাইওয়ে ক্রসিং, বন্যপ্রাণীর চলাচলে ওভারপাস ও তিনটি আন্ডারপাস এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া ১৪৪টি লেভেল ক্রসিং, ৪৩টি ছোট সেতু ও ২০১টি কালভার্টও নির্মাণ করা হচ্ছে।

    এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, প্রকল্পের ৫০ কিলোমিটারের বেশি এখন দৃশ্যমান। অধিকাংশ ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণও প্রায় শেষ। বাকিগুলো আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ হবে। প্রত্যাশা করছি, ২০২৩ সালের জুন নাগাদ কাজ শেষ করতে পারবো।

    রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কর্ণফুলী নদীর ওপর পদ্মা সেতুর আদলে আরেকটি নতুন রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৩৪১ কোটি টাকা। কোরিয়ান সরকার এই রেলসেতুর সব ব্যয় বহন করবে। শিগগিরই এই সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হবে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • সারা দেশে বন্ধ হল যাত্রবাহী লঞ্চ চলাচল, সীমিত আকারে চলবে ট্রেন

    সারা দেশে বন্ধ হল যাত্রবাহী লঞ্চ চলাচল, সীমিত আকারে চলবে ট্রেন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ অনির্দিষ্টিকালের জন্য যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

    মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) বিকেল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

    বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (নৌ-নিট্রা) মো. রফিকুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, করোনা মোকাবেলায় সারাদেশে যাত্রবাহী লঞ্চ চলাচল অনিদির্ষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে যে সব লঞ্চ এই মুহূর্তে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যস্থলে রওনা হয়েছে সেগুলো এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে বলে জানান তিনি।

    এদিকে সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে ২৬ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সব লোকাল ও মেইল ট্রেন সীমিত আকারে চলবে বলে জানায় রেল কর্তৃপক্ষ।

    এর আগে গতকাল রোববার (২২ মার্চ) দেশের সুপারমার্কেটগুলোসহ সব দোকান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত দোকানগুলো বন্ধ থাকবে। তবে, কাঁচাবাজার, ওষুধের দোকান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে।

    দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়ে বলা হয় আগামী এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে পরীক্ষার নতুন রুটিন জানানো হবে। রোববার (২২ মার্চ) দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি

  • লোকোমাস্টার ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ট্রেন গেল রাজশাহীতে

    লোকোমাস্টার ছাড়াই ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে ট্রেন গেল রাজশাহীতে

    পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে পাবনা হয়ে রাজশাহী গেল চালক ছাড়াই। পাকশী বিভাগীয় রেলের ঈশ্বরদীতে রোববার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।

    এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক লোকো মাস্টার (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন, শ্রমিক লীগের একই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ওই ট্রেনের সহকারী লোকো মাস্টার (এএলএম) আহসান উদ্দিন আশা এবং ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আনোয়ার হোসেনকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়।

    রেলওয়ে সূত্র জানায়, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন ট্রেনে না উঠে তার সহকারী আহসান উদ্দিন আশাকে দিয়ে রোববার ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে রাজশাহী পাঠান।

    এ ঘটনাটি ট্রেনের গার্ড জানলেও তিনি রেল কর্তৃপক্ষের কাউকে না জানিয়ে সহকারী এলএমকে নিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করেন।

    এ খবর জানার পর বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ আল-মামুন ট্রেনের গার্ডকে এবং বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই লোকো) আশিষ কুমার চক্রবর্তী চালক ও সহকারী চালককে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

    পাকশী বিভাগীয় রেলের এই দুই কর্মকর্তা পৃথক পৃথকভাবে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে দেশ বলেন, ট্রেন সময়মতো না ছাড়লেও একজন পূর্ণাঙ্গ চালক (এলএম) ছাড়া কোনো ট্রেন চালানোর সুযোগ রেলওয়েতে নেই, যেটি রোববার পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঘটেছে।

    চালক ছাড়া ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছার পর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য চালক ও গার্ডকে দিয়ে ফিরতি ট্রেন পাঠান ঈশ্বরদীতে।

    ফিরতি ট্রেনের যাত্রীরা এ ঘটনা শুনে আতঙ্ক ও বিস্ময় প্রকাশ করেন।

    রেলওয়ে সূত্র জানায়, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে প্রতিদিন মাঝগ্রাম জংশন, দাশুড়িয়া, টেবুনিয়া স্টেশন হয়ে প্রথমে পাবনা স্টেশনে যায়। পাবনা থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে রাজশাহী যায়। ফিরতি সময়ে রাজশাহী স্টেশন থেকে পাবনা হয়ে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ফিরে আসে ট্রেনটি।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেল সূত্র জানায়, এই নিয়ম না মেনে প্রায়ই এই ট্রেনের চালক ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন খান মিলন বাইপাস স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন, আবার মাঝেমধ্যেই তিনি তার সহকারীকে দিয়ে ট্রেন রাজশাহীতে পাঠিয়ে থাকেন।