Tag: ডলফিন

  • হালদা নদীতে ৪০তম বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার, চলতি বছরে তৃতীয়

    হালদা নদীতে ৪০তম বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার, চলতি বছরে তৃতীয়

    এশিয়ায় অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে ভাসমান অবস্থায় আরো একটি বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির মৃত ডলফিন উদ্ধার করা হয়েছে।

    বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মৃত ডলফিনটা উদ্ধার করা হয়। এটি এ পর্যন্ত হালদা নদী থেকে উদ্ধার হওয়া ৪০তম মৃত ডলফিন। চলতি বছর এ পর্যন্ত ৩টি মৃত ডলফিন হালদা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৪৫ ইঞ্চি এবং ওজন ১৩.৩৯০ কেজি।

    সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে নদীতে জোয়ারের সময় এটি কর্ণফুলীর মোহনা অথবা কাছাকাছি কোনো স্থান থেকে ভেসে আসতে পারে। দুপুরে নদীর আজিমের ঘাট এলাকায় পানিতে মৃত একটা ডলফিন ভাসতে দেখে স্থানীয় রোসাঙ্গীর আলম নামের এক স্বেচ্ছাসেবী আমাদের বিষয়টি অবহিত করেন। সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ডলফিনটাকে স্থানীয়দের সহায়তায় তীরে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। এ সময় ডলফিনের শরীরে আঘাতজনিত কোনো চিহ্ন দেখিনি। ধারণা করছি, নদীতে দুষণজনিত কারণে ডলফিনের মৃত্যু হতে পারে।

    পরে সেটি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।

    চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, হালদা গবেষক ড.মো.শফিকুল ইসলাম বলেন, হালদা নদীতে একের পর এক ডলফিন ও মাছের মৃত্যু নদীর জীববৈচিত্র্যের জন্য অশনিসংকেত। নদী দুষণের হাত থেকে এই নদীকে রক্ষা করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। না হলে বিপন্ন গাঙ্গেয় প্রজাতির ডলফিনের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হওয়ার শংকার পাশাপাশি নদীর মা মাছের প্রজননক্ষেত্রও ক্ষতির মুখে পড়বে।

  • হালদা নদীতে আবারও ডলফিন হত্যা

    হালদা নদীতে আবারও ডলফিন হত্যা

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:এশিয়ার প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদা নদীতে আবারো ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে।

    রবিবার (২৪ মে) সকালে রাউজানের উরকিরচর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে মৃত ডলফিন ভাসতে দেখে স্থানীয় লোকজন।

    পরে খবর পেয়ে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়্যদ আব্দুল জব্বার সোহেল ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত ডলফিনটি স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মাটিচাপা দেন।

    হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়া বলেন, বাহ্যিক লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে মাছ ধরার জালে আটকে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ডলফিনটির মৃত্যু হয়েছে। ডলফিনটি ৭ ফুট ১ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের এবং ওজন আনুমানিক ৭০-৮০ কেজি। এটি এযাবত কালের মারা যাওয়া সবচেয়ে বড় সাইজের ডলফিন।

    আজকেরটিসহ ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে গত আড়াই বছরে ২৫টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত ২১ মার্চ ২৩ তম ডলফিনের মৃতদেহ পাওয়া যায় রাউজান পশ্চিম গুজরার আজিমের ঘাট এলাকায়। প্রতিটি মৃত ডলফিনই হালদা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    উল্লেখ্য, সারা বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে ডলফিন আছে মাত্র ১ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে হালদাতে প্রায় ১৬৬ টি ডলফিন আছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) হালদা নদীর ডলফিনের এই প্রজাতিকে অতি বিপন্ন (লাল তালিকাভুক্ত) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলো বিশ্বের অতি বিপন্ন প্রাণী। ডলফিন যে নদীতে ডলফিন থাকে বোঝা যায় যে সে নদীটা জীবন্ত। তাই ডলফিন চলে গেলে মাছেরও ক্ষতি হবে বলে মনে করেন গবেষক ও সংশ্লষ্টরা। বিশ্বের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী বাংলাদেশ হারাবে যদি সত্যিই ডলফিন চলে যায় বা আর না থাকে।

    মা মাছ ও লাল তালিকাভুক্ত অতি বিপন্ন ডলফিন রক্ষায় সরকার ২০১০ সালে চট্টগ্রামের নাজিরহাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত হালদা নদীর প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাকে জলজ প্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করে।

    তবে রাউজান উপজেলার ছত্তার খালের মুখ থেকে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট পর্যন্ত নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ডলফিনের মূল বিচরণক্ষেত্র।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নেজাম

  • হালদায় ডলফিন রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশ

    হালদায় ডলফিন রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশ

    চট্টগ্রামের হালদা নদীতে ডলফিন রক্ষায় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    সেই সঙ্গে ডলফিন রক্ষায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে ইমেইলের মাধ্যমে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে।

    এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এই আদেশ দেয়।

    করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম সচল করতে অধ্যাদেশ জারি করে দেশে ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর পর উচ্চ আদালত থেকে আসা এটাই প্রথম আদেশ।

    আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম লিটন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার ও সমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস।

    ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার বলেন, আর একটি ডলফিনও যেন কেউ হত্যা না করতে পারে সেজন্য সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

    তিনি বলেন, এই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইমেইলে আদালতকে জানাতে বলা হয়েছে। আগামী ১৯ মে বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আসবে। অবকাশ শেষে উন্মুক্ত আদালতে এ রিটের শুনানি হবে।

    অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা শুনানির শেষ দিকে ভার্চুয়াল কোর্টে যুক্ত হয়েছিলেন বলে জানান অমিত তালুকদার।

    চট্টগ্রামের হালদা নদী থেকে একের এক ডলফিন হত্যা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে গতকাল সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট করা হয়।

    সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল কাইয়ুম লিটন এ রিট করেন।

    রিটে হালদায় নির্বিচারে ডলফিন হত্যা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

    প্রসঙ্গত রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের জিয়া বাজার এলাকার ছায়ারচর নামক স্থানে কাটা ডলফিনটি পাওয়া যায়। ডলফিনটির দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ২ ইঞ্চি এবং ওজন ৫২ কেজি। ২১ মার্চ কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল ২৩তম ডলফিন। ১ মাস ১৮ দিনের ব্যবধানে হত্যা করা হল ২৪তম ডলফিন। এ নিয়ে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত হত্যার শিকার হল ২৪টি ডলফিন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • লকডাউনেও হালদা নদীতে ২৪তম ডলফিনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু/হত্যার অভিযোগ

    লকডাউনেও হালদা নদীতে ২৪তম ডলফিনের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু/হত্যার অভিযোগ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : করোনার মহামারির মধ্যেও দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মৎস্যপ্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে অপ্রত্যাশিত (আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে) মৃত্যু হয়েছে ২৪ তম ডলফিনের।

    হালদা বিশেষজ্ঞরা ডলফিনটিকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে বলেন, গত ২১ মার্চ ২৩ তম ডলফিনের মৃত্যুর ১ মাস ১৮ দিন পর ২৪ তম ডলফিনের মৃত্যু হলো।

    আজ ৮ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৭ মিনিটে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজের টাইমলাইনে মৃত ডলফিনের কয়েকটি ছবিসহ একটি পোস্ট করে হত্যার অভিযোগ করেন হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া।

    তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেন হালদা নদীতে আরেকটি ডলফিনকে নৃশংসভাবে হত্যা হয়েছে। রাউজান উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের জিয়া বাজার এলাকার ছায়ারচর নামক স্থানে আজ ৮ মে সকালের দিকে ডলফিনটিকে হত্যা করা হয়।

    ৫ ফুট ২ ইঞ্চি দৈর্ঘ্য এবং ৫২ কেজি ওজনের মৃত ডলফিনটিকে মাথা বরাবর আড়াআড়িভাবে এবং ঘাড় থেকে লেজ পর্যন্ত দৈর্ঘ্য বরাবর কাটা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের এই চিহ্ন বিগত সময়ের মৃত ডলফিনগুলোর চেয়ে একটি নতুন ইংগিত বহন করে।

    কোন জেলের অবৈধ জালে আটকা পরলে ডলফিনটিকে ডাঙ্গায় তোলা হয় এবং কেটে চর্বি নেয়ার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনাটি হালদা নদীর ডলফিন সংরক্ষণের জন্য একটি অশনি সংকেত বলে মনে করছেন হালদা বিশেষজ্ঞ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া।

    এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডলফিনের চর্বি বা তৈল বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক এমন কিছু কুসংস্কার গ্রামের মধ্যে আছে। যার ফলে অবৈধ জালে আটকা পড়া ডলফিনটিকে নদী থেকে ডাঙ্গায় তুলে তার থেকে চর্বিগুলো ব্যবহারের জন্য ছাড়িয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে দুস্কৃতিকারীরা।

    সকালের দিকে সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে আইডিএফ-এর কর্মী মিমু দাস এবং স্বেচ্ছাসেবক রওশনগীর দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃত ডলফিনটি উদ্ধার করে গড়দুয়ারা এলাকায় আইডিএফ অফিসে নিয়ে যায়। প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মৃত ডলফিনটিকে মাটি চাপা দেয়া হয়।

    চট্টগ্রাম রিপোটার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক নদী গবেষক সাংবাদিক আলীউর রহমান বিপন্ন প্রাণী ডলফিন হত্যা প্রসঙ্গে বলেন, প্রশাসনের চোখের সামনেই যেহেতু এসব চলছে, সেহেতু দায় প্রশাসনকেই নিতে হবে।

    এই গুরুতর অপরাধ বন্ধে হালদায় নিষিদ্ধ জাল ও নৌযান চলাচলের বিরুদ্ধে দ্রুত কঠোর অভিযান নিয়মিত চালানো দরকার।

    প্রাণিবৈচিত্র্যের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে ডলফিনের এই মৃত্যুকে ‘হত্যাকাণ্ড’ এবং সামগ্রিক পরিবেশ নস্যাতে ভূমিকা রাখা ফৌজদারি অপরাধের শামিল বললে অত্যুক্তি হবে না।

    জানা যায়, গত ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ মে পর্যন্ত গত আড়াই বছরে হালদা নদীতে ২৪টি ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিটি মৃত ডলফিনই হালদা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। কোনোটিকে এভাবে কেটে হত্যা করা হয়নি। ডলফিন নদী থেকে ধরে কেটে হত্যা করা এই প্রথম।

    উল্লেখ্য সারা বিশ্বের বিভিন্ন নদীতে ডলফিন আছে মাত্র ১ হাজার ১০০টি। এর মধ্যে হালদাতে প্রায় ১৬৬ টি ডলফিন আছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) হালদা নদীর ডলফিনের এই প্রজাতিকে অতি বিপন্ন (লাল তালিকাভুক্ত) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এগুলো বিশ্বের অতি বিপন্ন প্রাণী।

    ডলফিন যে নদীতে ডলফিন থাকে বোঝা যায় যে সে নদীটা জীবন্ত। তাই ডলফিন চলে গেলে মাছেরও ক্ষতি হবে বলে মনে করেন গবেষক ও সংশ্লষ্টরা। বিশ্বের অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রাণী বাংলাদেশ হারাবে যদি সত্যিই ডলফিন চলে যায় বা আর না থাকে।

    মা মাছ ও লাল তালিকাভুক্ত অতি বিপন্ন ডলফিন রক্ষায় সরকার ২০১০ সালে চট্টগ্রামের নাজিরহাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত হালদা নদীর প্রায় ৪০ কিলোমিটার এলাকাকে জলজ প্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করে।

    তবে রাউজান উপজেলার ছত্তার খালের মুখ থেকে হাটহাজারী উপজেলার মদুনাঘাট পর্যন্ত নদীর প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ডলফিনের মূল বিচরণক্ষেত্র।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে খেলা করা ডলফিনগুলো জেলেদের হাতে মারা যাচ্ছে

    কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে খেলা করা ডলফিনগুলো জেলেদের হাতে মারা যাচ্ছে

    কক্সবাজার প্রতিনিধি : পর্যটকশূণ্য কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে খেলা করা ডলফিনগুলো জেলেদের হাতে মারা যাচ্ছে। জেলেদের জালে আটকে মারা যাওয়া বা আঘাত প্রাপ্ত ডলফিনগুলো ভেসে আসছে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপকূলে। গত দুই দিনে টেকনাফ উপকূলে ভেসে এসেছে দুইটি বিশাল আকৃতির ডলফিন। অথচ কয়েকদিন আগেও কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিরল ডলফিন দল বেঁধে খেলা করতে দেখা গেছে। কিন্তু জেলেদের উৎপাতে কদিন ধরে এই ডলফিন দেখা যাচ্ছেনা।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ডলফিন খাওয়ার সংগ্রহের জন্য মাছের পালের পেছনে থাকে। জেলেরাও বিষয়টা জানে। মাছ ধরার জন্য জেলেরা সাগরের ডলফিনের চারপাশে জাল দিয়ে ঘিরে ফেলে।এসময় জেলেদের জালে আটকা পড়ে ডলফিনগুলো মারা যাচ্ছে।

    আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফের শাপলাপুর সৈকতেও একটি বড় মৃত ডলফিন ভেসে আসে। ডলফিনটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।

    কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে ২৩ মার্চ (সোমবার) সকাল থেকে এক দল ডলফিন খেলা করতে করতে দেখা যাচ্ছিলো। ১০ থেকে ১২টি ডলফিনের এই দলটি সকাল ৯টা থেকে সাগরে নীল জলে লাফিয়ে লাফিয়ে খেলছিলো। সমুদ্র সৈকতের একদম কাছেই ডলফিনগুলোকে খেলতে দেখা গেছে। সমুদ্র পাড় থেকে ডলফিনের খেলা করার দৃশ্য পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল।