Tag: ডাঃ শাহাদাত হোসেন

  • শহীদ জিয়া অর্থনীতিকে মজবুত করেছিলেন আর বর্তমান সরকার তা ধ্বংস করেছে: ডা. শাহাদাত

    শহীদ জিয়া অর্থনীতিকে মজবুত করেছিলেন আর বর্তমান সরকার তা ধ্বংস করেছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বর্তমান গণবিরোধী ডামি সরকার জনগণকে শক্র পক্ষ বলে মনে করে। জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয়না বলেই ভোটারবিহীন সরকার চট্টগ্রামবাসীর মৌলিক অধিকারকে উপেক্ষা করছে। সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনার কারণে এমনিতেই জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এর উপর চট্টগ্রামে বেশ কিছুদিন ধরে গ্যাসের জন্য হাহাকার চলছে। গ্যাসের অভাবে শিল্প কারখানা, সিএনজি চালিত গাড়ী ও বাসাবাড়ির রান্নার চুলা জ্বলছে না। মানুষ না খেয়ে থাকছে। কিন্তু চট্টগ্রামবাসীর গ্যাসের হাহাকার সরকারের কানে পৌছায় না। দ্রব্যমূল্যের উধ্বগতির কারনে বর্তমানে বাজারে কোনো কিছু কেনার জো নেই। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। অথচ শহীদ জিয়া রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে শিল্প বিপ্লব ঘটিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি কৃষকের আইলে আইলে মাইলের পর মাইল হেটে কৃষিতে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। শহীদ জিয়া দেশের অর্থনীতিকে মজবুত করেছিলেন আর বর্তমান সরকার তা ধ্বংস করেছে। আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই বলছেন, নির্বাচনের পর দেশে দুর্ভিক্ষ হবে। আওয়ামী লীগের আমলে ৭৪ সালে দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। এখন ২৪ সালেও দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।

    তিনি শনিবার (২০ জানুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির প্রতিষ্টাতা জিয়াউর রহমানের ৮৮ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিকদলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালিন সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শম জামাল উদ্দিন।

    ডা. শাহাদাত বলেন, আওয়ামী সরকার ঐতিহ্যগতভাবে হিংসার চর্চা করে। এরা আইনের শাসনকে হত্যা করেছে। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে। সেই কারণেই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিতে তারা দ্বিধা করে না। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাগবে এগিয়ে আসে না।

    সভায় বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় শ্রমিকদলের সহ সভাপতি শাহেনেওয়াজ চৌধুরী মিনু, সি. যুগ্ম সম্পাদক আবদুল বাতেন, উত্তর জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম ফরাজি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মজুমদার, প্রচার সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিকী, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুব সম্পাদক হাসিবুর রহমান বিপ্লব, মহিলা সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস বিথী, নাসিরাবাদ শিল্পাঞ্চল শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, শ্রমিকদল নেতা আবু সিদ্দিক, মো. হান্নান, মো. হাসান, রফিক উদ্দিন জসিম, আবদুল নবী, নুরুল আলম সুজন, আফতাব আহমেদ, আবদুল খালেক প্রমূখ।

  • আওয়ামীলীগকে এবার নির্বাচনী সংলাপ খেলা খেলতে দেবো না: ডা. শাহাদাত

    আওয়ামীলীগকে এবার নির্বাচনী সংলাপ খেলা খেলতে দেবো না: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, সাংবাদিক সাগর রুনি হত্যার বিচার এখনো হয়নি। কারণ সাগর রুনি সরকারের জালানি খাতে শতকোট টাকার লুটপাট জেনে ফেলেছিল তাই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল। তেমনিভাবে হলমার্কের দুর্নীতি যখন প্রকাশ হলো তখনই রামুর বৌদ্ধ মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটলো। এগুলো একটার সাথে একটার যোগাযোগ রয়েছে। দেশে যখন সরকারের দুর্নীতির কোন ঘটনা প্রকাশ পায় তখনই সরকার পরিকল্পিতভাবে আরেকটা অঘটন ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেয়। এখন নির্বাচন যখন ঘনিয়ে আসছে তখন একটা সংলাপ সংলাপ খেলা খেলতে চাচ্ছে। ২০১৮ সালেও তারা এ ধরনের একটি সংলাপ খেলা খেলেছিলো। এই সংলাপের আড়ালে একটা ব্লু প্রিন্টের মাধ্যমে আমরা যারা নির্বাচন করব তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামীলীগকে এবার নির্বাচনী সংলাপ খেলা খেলতে দেবো না। এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হতে পারে না। তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।

    তিনি রবিবার (৫ মার্চ) দুপুরে জামালখান রোডস্থ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আবদুল খালেক মিলনায়তনে সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, বিএনপির মুখপত্র দৈনিক দিনকালের ডিক্লারেশন ও মুদ্রণের ঘোষনাপত্র বাতিল করে দিয়েছে সরকার। ইতিপূর্বেও আমার দেশ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম বন্ধ করা হয়েছিল। বর্তমান নিশিরাতের সরকারের অধীনে গণমাধ্যমের যে কোনো স্বাধীনতা নেই তা আবারও প্রমাণিত হলো। বিরোধী দলের একমাত্র পত্রিকাটির প্রকাশনা বাতিল সরকারের চরম হিংসা চরিতার্থ করার বহিঃপ্রকাশ। এটি মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর চরম আঘাত।

    তিনি অবিলম্বে দিনকাল ও আমার দেশ সহ বন্ধ গণমাধ্যমের ডিক্লারেশন ও মুদ্রণের ঘোষনাপত্র বাতিলের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।

    সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, সরকার গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারের আন্দোলন দমন করতে ফ্যাসিবাদী কায়দায় নিষ্ঠুর জুলুম নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু অতীতে যেমন কোনো স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, গ্রেপ্তার, নির্যাতন করে দমাতে পারেনি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন দমাতে পারবে না।

    সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার এখন বর্তমান সরকারের দমনপীড়নে ক্ষতবিক্ষত। আইনের শাসন না থাকায় ঘরে বাইরে কারও জীবনের নিরাপত্তা নেই। বর্তমানে কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয়েও নির্দোষ মানুষকে অপরাধী বানিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।

    বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ বলেন, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশের জনগণ আওয়ামী ফ্যাসিবাদি সরকারকে উৎখাত করবে। গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

    মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ বলেন, ক্ষমতার জোরে সরকার দেশে এমন কিছু আইন তৈরি করেছে, যেসব আইন মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করে দেশের গণমাধ্যমগুলোর কণ্ঠরোধ করেছে। গণমাধ্যম এখন এক ভয়ংকর সময় পার করছে।

    বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে এবং এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি, সেলিম মো. জানে আলমের সঞ্চালনায় মতবিনিময় করেন সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনওয়াজ, বিএনপি নেতা ইঞ্জি. বেলায়েত হোসেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ সাফা চৌধুরী, ড্যাব নেতা ডা. মো. ঈসা চৌধুরী, ইঞ্জি. আতিকুজ্জামান বিল্লাহ, বিএনপি নেতা মন্জুর রহমান চৌধুরী, ইদ্রিস আলী, সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী, নুরুল মোস্তফা কাজী, জীবন মুছা, এম এ হোসেন, এফ এ এফ রুমি, আকতার হোসেন, ব্যবসায়ী নেতা মাহবুব রানা, সালাউদ্দীন আলী, রোটারিয়ান জসিম উদ্দিন, তাতীদল নেতা মনিরুজ্জামান টিটু, শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম, এম এ জলিল, এন মো. রিমন প্রমূখ।

  • অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিনঃ ডা. শাহাদাত

    অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিনঃ ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। তিনি চিকিৎসাধীন আছেন। দীর্ঘ চার বছর তাঁকে কারাগারে বন্দি রাখার কারণে বেগম খালেদা জিয়া অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলেছেন অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া খুব জরুরী। অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারেন প্রতি জোর দাবি জানান।

    তিনি আজ সোমবার (২০ জুন) বাদে যোহর পাথরঘাটা নজুমিয়া লাইন জামে মসজিদে গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ৩৪ নং পাথরঘাটা ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীর উত্তম ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। উন্নত চিকিৎসার অভাবে বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে জাতি কখনো এ সরকারকে ক্ষমা করবে না।

    দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু, শারীরিক সুস্থতা ও রোগমুক্তি কামনা করে এবং জিয়া পরিবারের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

    দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আহ্বায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর হাজী ইসমাইল বালী, বিএনপি নেতা আমিন মাহামুদ, আব্দুল হালিম স্বপন, মোঃ মোজাফফর, মোহাম্মদ জামাল আহমদ, মোহাম্মদ ঈসা, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আবু তালেব, মোঃ মামুন, মোহাম্মদ হানিফ, শফিকুল আলম, যুবদল নেতা আসাদুর রহমান টিপু, মোহাম্মদ হাসান, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ সেলিম, শহীদুল আলম জেকি, মোঃ সোবাহান, মোহাম্মদ সাইফুল আলম, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, মোরশেদ আলী, ইফতেখার ইকবাল নাদিম, প্রিন্স মারুফ, মোহাম্মদ শিপন, মোহাম্মদ জসিম, আবুল কালাম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • প্রয়োজনে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবেঃ ডা. শাহাদাত

    প্রয়োজনে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবেঃ ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, কুমিল্লাতে ইবিএম এর নামে আরেকটি ভোট ডাকাতির মহড়া চলছে। সেখানে একজন সাংসদ এলাকায় অবস্থান করে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্গন করেছেন। অথচ এই নিশিরাতের সরকারের একজন মন্ত্রী বলেছেন, কুমিল্লা এই সাংসদ তার এলাকা থেকে বের হওয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি । আজকে যদি কুমিল্লা এই সাংসদ তার এলাকা থেকে বের হওয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি হয় তাহলে আমাদের নেত্রীর চিকিৎসা উনার মৌলিক অধিকার, উনাকে কেন সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে ? তিনি একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী , সাবেক রাষ্টপতি এবং একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সহধর্মীনি হওয়া সত্বেও তাকে কেন সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেওয়া হচ্ছেনা ? কারণ এই স্বৈরাচারী, অগণতান্ত্রিক সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করছে , সাংবিধানিক অধিকার করছে। তাই যারা আজকে মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে, সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করে তাদের ক্ষমতায় থাকার যোগ্যতা আছে কিনা ? যদি যোগ্যতা না থাকে তাদেরকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

    তিনি আরোও বলেন ,আজকে যারা পদ্মা সেতুর উন্নয়নের কাহিনী শুনায়, তাদের বলি পদ্মা সেতুতে ব্যবহৃত জার্মানির সেই বিশেষ হাইড্রোলিক হ্যামারটি যেন সেতুর পাশে একটি জাদুঘর তৈরি করে সেইখানে সংরক্ষণ করে, যাতে মানুয গিয়ে দেখতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়টি যেন পদ্মা সেতুর পাশে করা হয়, প্রধানমন্ত্রী যেন সারাক্ষণ পদ্মাসেতুর দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন। যোগাযোগ মন্ত্রাণালয়টি যেন পদ্মা সেতুর পাড়ে নিয়ে আসা হয়, যাতে ওবায়দুল কাদের সাহেব প্রতিদিন পূর্ণিমার চাঁদ দেখতে পারেন।

    তিনি আরোও বলেন, এই সরকারের মাথা থেকে পা পর্যন্ত দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। তাই আমাদের নেতা দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ আন্দোলন শুধুমাত্র বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়, এই আন্দোলন মাতৃভূমির স্বাধীনতা রক্ষার আন্দোলন, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন, জনগণের বাংলাদেশ জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলন। যে বাংলাদেশ আমরা লাখো শহীদের রক্ত ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জন করেছি তা এই মাফিয়া সরকারের কবল থেকে মুক্ত করতে হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, সর্বপ্রথম উনার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। দেশনেত্রীর বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং মুক্তির আন্দোলনে , গুম, গুপ্ত হত্যা, নির্যাতন ও মামলা-হামলা উপেক্ষা করে এই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের উদ্বেলিত আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। প্রয়োজনে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে।

    ১৫ জুন (বুধবার) বিকেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ ও মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান বলেন, এই অবৈধ সরকারের কাছে আমরা কোন দাবি রাখতে চাইনা। এই সরকারের পতন হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে। এই সরকারের পতন হলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ সারাদেশের মানুষ সুচিকিৎসা পাবে। এই সরকারের পতন হলে বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পাবে, ভোটাধিকার ফিরে পাবে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণ চায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান এর নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার হোক। তাই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবক দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে প্রস্তুত নিতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো জনসমর্থন নাই। রাজনৈতিকভাবে তারা সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা জামানত হারাবে। তাই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। আমরা তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দিবোনা। আমাদের নেত্রী মুক্ত হলে গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার হবে, দেশের জনগণ মুক্তি পাবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুকিচিৎসা বাস্তবায়নে ও মুক্তির জন্য জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীর যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত।

    মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলুর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি খায়রুল আলম দিপু, হারুন আল রশিদ, মামুনুর রহমান, মঈনুদ্দিন রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া, এম. আবু বক্কর রাজু, গোলাম সরোয়ার, আনোয়ার হোসেন এরশাদ, সহ- সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, সাজ্জাদ হোসেন, দিদার হোসেন, আব্দুল মান্নান আলমগীর, শাহাদাত হোসেন সোহাগ, জাকির হোসেন, এমদাদুল হক স্বপন, নিজাম উদ্দিন বুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, সম্পাদক মন্ডলী লুৎফর রহমান জুয়েল, নুর আলম, কামরুল হাসান, সহ-সম্পাদক রাশেদ পাটোয়ারী, মো. পারভেজ, হালিশহর থানা আহবায়ক আনোয়ার কাফি মুন্না, পাচঁলাইশ থানা আহবায়ক শফিউল আলম শফি, পতেঙ্গা থানা আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন, বায়েজিদ থানা আহবায়ক আলতাফ হোসেন, চান্দগাঁও থানা আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি, কোতোয়ালি থানা আহবায়ক এন মোহাম্মদ রিমন, বাকলিয়া থানা আহবায়ক মোঃ দুলাল মিয়া, বন্দর থানা আহবায়ক রিয়াজ উদ্দিন রাজু, ডবলমুরিং থানা আহবায়ক আকতার হোসেন, কোতোয়ালি থানা সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সোনামানিক, চান্দগাঁও থানা সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামান, পাচঁলাইশ থানা সদস্য সচিব মহিউদ্দিন রুবেল, ডবলমুরিং থানা সদস্য সচিব নোমান সিকদার সোহাগ, আকবর শাহ থানা সদস্য সচিব তৌসিফ আহমেদ, পাহাড়তলী সদস্য সচিব ইসকান্দর হোসেন, হালিশহর থানা সদস্য সচিব মো. মুরাদ, বাকলিয়া সদস্য সচিব শামীম আহমেদ, থানা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু সালেহ আবিদ, মোঃ পারভেজ, যুগ্ম এমদাদুল হক, কিং মোতালেব, আইনুল ইসলাম জুয়েল, মো. জামশেদ, মো. আলী, দেলোয়ার হোসেন খোকা, ইসহাক জয়, আব্দুল আজিজ, মো. হারুন, শফিকুল ইসলাম বাঁচা, মো.আমিন, মো. ইকবাল, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সীতাকুণ্ডের হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা না করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি জনগণের সাথে তামাশাঃ ডা. শাহাদাত

    সীতাকুণ্ডের হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা না করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি জনগণের সাথে তামাশাঃ ডা. শাহাদাত

    সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা না করে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই সময়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের সাথে তামাশা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

    তিনি বলেন, ৫০ জনের অধিক মানুষ মারা গেলো অথচ রাষ্ট্র, সরকার নিশ্চুপ নির্বিকার। সরকারের উচিত ছিলো নিহত মানুষের স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক ঘোষণা করা এবং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিহত আহতদের সমবেদনা জানানো ও তাদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। সরকার সেটা করে নাই। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়। তারা লিপ সার্ভিসে ব্যস্ত, মুখের কথায় ব্যস্ত, তারা জনগণের কল্যাণে কোনো কাজ করে না। বিএনপি জনগণের দল হিসাবে তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির পক্ষ থেকে হতাহতদের সার্বিক সহযোগীতা করা হচ্ছে। তিনি এই বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশের স্বনামধন্য কেমিস্টদেরকে নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি করার দাবী জানান।

    তিনি সোমবার (৬ জুন) দুপুরে সিতাকুন্ডের বি এম কন্টেইনার ডিপোর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। তার সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

    ডা. শাহাদাত বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কন্টেইনার ডিপোর আশেপাশের এলাকায় এখনো বাতাসে লাশের গন্ধ। এখানে পরিবেশ দুষন হচ্ছে। এলাকার মানুষ অসহায়ভাবে দিন যাপন করছে। এর আগে পুরান ঢাকায়ও কেমিকেল ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে মানুষ হতাহত হয়েছিল। বিএম ডিপোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, অক্সিজেন ও সালপার ছিল। এখন আমাদের আশঙ্কা, এই সালপারের সাথে মিশ্রণ হয়ে যদি এসিড বৃষ্টি হয় তাহলে মরার উপর খাড়ার ঘা হবে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হতাহতদের যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহবান জানান।

    এসময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আজকে চট্টগ্রামে লাশের মিছিল, সেই লাশের মিছিল দেখে কোনো বিবেকবান মানুষ ঠিক থাকতে পারে না। সিতাকুন্ডের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনো ধোয়া বের হচ্ছে। আশেপাশের এলাকার বাড়ীঘর, মসজিদ ভেঙ্গে গেছে বিস্ফোরণের কম্পনের কারনে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এখনো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। নিহত এবং আহতদের যে সংখ্যা সরকারীভাবে বলা হচ্ছে তা আরো অনেক বেশী হবে।

    তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে একের পর এক কলকারখানায় দুর্ঘটনা ঘটছে, অগ্নিকান্ড ঘটছে। এসব অগ্নিকান্ডের পর কিছু হৈচৈ হয়, বিবৃতি হয়, প্রধানমন্ত্রী শোক দেয় তারপরে সব চুপ, সব বেমালুম ভুলে যায়। তদন্ত কমিটি হয়, সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে না অদৃশ্য কারণে, অদৃশ্য সুতার টানে।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য কাজী সালাউদ্দিন, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিন, সীতাকুণ্ড পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব সালেহ আহমেদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কৃষকদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদরুল, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. মোরসালিন, বিএনপি নেতা মো. শামসুদ্দোহা, নুরুল ইসলাম মেম্বার, রবিউল হক, আলাউদ্দিন মাসুম, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি ইরফানুল হাসান রকি, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম মেম্বার, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী সেলিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম প্রমুখ।

  • সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপো‌তে হতাহতদের পা‌শে থাক‌বে বিএন‌পিঃ ডা. শাহাদাত

    সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপো‌তে হতাহতদের পা‌শে থাক‌বে বিএন‌পিঃ ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে দগ্ধদের ভয়াবহ অবস্থা প‌রিদর্শন শে‌ষে সংবা‌দিক‌দের প্রশ্নের জবা‌বে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হো‌সেন ব‌লেন, গতকাল রা‌তে সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপু‌তে ভয়াবহ বিস্ফোরণে বহু শ্রমজীরী অগ্নিদগ্ধ হয়ে হতাহত হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে যারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিতে এসেছেন তাদের পাশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির পক্ষ থে‌কে অগ্নিদগ্ধদের রক্ত দি‌য়ে সহযোগিতা কর‌তে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছা‌সেবক দল ও ছাত্রদ‌লের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি এবং ডক্টর এ‌সো‌সি‌য়েশন অব বাংলা‌দে‌শের সকল ডাক্তারদের হতাহত‌দের চিকিৎসায় পা‌শে থাকার আহ্বান জানাই।

    আমাদের নির্দেশনা ‌পে‌য়ে গতকাল রাত থেকে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল, স্বেচ্ছা‌সেবক দল ও ছাত্রদ‌লের নেতাকর্মী ও ডক্টর এ‌সো‌সি‌য়েশন অব বাংলা‌দে‌শ(ড্যাব)এর সকল ডাক্তারা নিরলস ভা‌বে কাজ ক‌রে যা‌চ্ছে। আমরা চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পি ও জিয়াউর রহমান ফাউ‌ন্ডেশন আহত‌দের চি‌কিৎসায় যে কোন প্রয়োজ‌নে পা‌শে থাকার প্রত‌্যয় ব‌্যক্ত ক‌র‌ছি। সে সা‌থে কন্টেইনার ডিপু‌তে ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রকৃত কারন উদঘাটনে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দা‌বি জানাচ্ছি।নিহত‌দের প‌রিবার‌কে ক্ষ‌তিপূরন সহ অগ্নিদগ্ধদ ও হতহ‌তদের সুচিকিৎসার জোর দা‌বি জানান।

    তিনি অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে যারা নিহত হয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
    তিনি রোববার (জুন ০৫) সকা‌লে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপু‌তে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে গেলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

    সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপু‌তে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের দেখতে হাসপাতালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হো‌সেন ও সদস‌্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্করসহ ড্যাব নেতৃবৃন্দ।

    এ সময় নেতৃবৃন্দ বি‌ভিন্ন ওয়া‌র্ডে গি‌য়ে বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধদের চি‌কিৎসার ‌খোজ খবর নেন। রোগীর স্বজন‌দের নিকট নগদ অর্থ সহায়তা ক‌রেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সদস‌্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্কর সীতাকুণ্ডে কন্টেইনার ডিপু‌তে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হ‌য়ে নিহত‌দের প‌রিবা‌রের প্রতি গভীর সম‌বেদনা জা‌নি‌য়ে ব‌লেন, বিএন‌পি দে‌শের সকল ক্লা‌ন্তিকা‌লে ও দুর্যোগে জনগ‌নের পা‌শে ছিল এবং থাক‌বে। গতকাল রা‌তে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর হাতহ‌তের পা‌শে থাক‌তে বিএন‌পি ও অঙ্গ সংগঠ‌নের নেতাকর্মী‌দের উদাত্ত আহ্বান জানান। আজ আমরা সরোজমিনে দেখ‌তে আসলাম। আমরা চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির পক্ষ থে‌কে নিহত‌দের প‌রিবার‌কে সমবেদনার পাশাপ‌শি গতকাল রাত থে‌কে যে সকল ডাক্তার, নার্স, ফায়ার স‌র্ভিস, প্রশাসন, স্বেচ্ছা‌সেবী সংগঠন, বি‌ভিন্ন রাজনৈ‌তিক দল চি‌কিৎসা ও বিভিন্নভাবে সহ‌যোগীতা ক‌রে আস‌ছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির পক্ষ থে‌কে সকল‌কে ধন‌্যবাদ জানান।

    পরিদর্শন কা‌লে উপ‌স্থিত ছি‌লেন ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন,চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য কামরুল ইসলাম, নগর বিএনপি’র সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ড্যাব কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা.সারোয়ার আলম, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা.বেলায়েত হোসেন ঢালী, নগর বিএনপির সাবেক সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সাকির উর রশিদ, ডা. মেহেদী হাসান, ডা. সৈয়দ ফাহাদ, ডা.আব্দুল্লাহ আল নোমান সহ বিএনপির যুবদল ছাত্রদল অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশঃ ডা. শাহাদাত

    জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশঃ ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির এক ক্রান্তিকালে ১৯৭১ সালে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি এদেশের মুক্তিকামী জনতাকে আলোর পথ দেখিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক সমুজ্জল নাম। আওয়ামী লীগ যতই ইতিহাস বিকৃত করুক না কেনো, নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি তত জনপ্রিয় আর একজন দেশপ্রেমিক ও সাহসী বীর হিসেবে বেঁচে থাকবেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা স্বার্ভৌমত্ব যতদিন থাকবে, এদেশের আকাঁশে যতদিন লাল সবুজের পতাকা উড়বে, ততদিন জিয়াউর রহমান থাকবেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে থাকবেন।

    তিনি শুক্রবার (৩ জুন) বাদে জুমা নগরীর চকবাজার ধুনির পুলস্থ ফালাহ গাজী জামে মসজিদে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চকবাজার থানা যুবদলের দোয়া মাহফিল ও খাবার বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে জিয়াউর রহমান বহুবিধ সাফল্যের অধিকারী। তিনি স্বল্প সময়ের শাসনামলে নানা সঙ্কটে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির এক বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। দেশে বহুদলীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন, সময়োপযোগী গতিশীল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র অবস্থান সৃষ্টি করেছিলেন। আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতা শহীদ জিয়ার অন্যতম অবদান।

    এসময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অংশ হিসেবে জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ষড়যন্ত্র, অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। তারই অংশ হিসেবে কাজীর দেউড়ি জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের নাম মুছে ফেলার জন্য ইতিমধ্যে বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে। এ চট্টগ্রামের মাটিতে জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বরণ করেছেন, এখানে মিশে আছে শহীদ জিয়ার রক্ত। জিয়াউর রহমানকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে চট্টগ্রামবাসী তারঁ দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন আবার রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে তিনি বাংলাদেশকে শত্রু মুক্ত করেছেন। বর্তমান সরকার সে ইতিহাস বিকৃত করে নতুন প্রজন্মের কাছে বিকৃত ইতিহাস উপস্থাপন করছেন। জিয়া পরিবারের জনপ্রিয়তাকে আওয়ামী লীগ ভয় পায়। তাই তারা বিএনপি’র নামে কুৎসা রটিয়ে জনবিচ্ছিন্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ এখন তাদের এসব মিথ্যা ভিত্তিহীন কথা বিশ্বাস করে না।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মহানগর বিএনপি নেতা ইব্রাহিম বাচ্চু, সৈয়দ আমিন মাহমুদ, আরিফ মেহেদী, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি মো. সেকান্দর, সাধারণ সম্পাদক হাজী এমরান উদ্দিন, এড. সৈয়দুল আমিন, সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, যুগ্ম সম্পাদক ও চাঁন্দগাও থানা যুবদলের আহবায়ক গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, সহ সম্পাদকবৃন্দ মো. কামাল উদ্দিন, ইদ্রিস সবুজ, মো. সালাউদ্দীন, জিয়াউল হক মিন্টু, আলিফ উদ্দিন রুবেল, চকবাজার থানা যুবদলের আহবায়ক মো. সেলিম, বাকলিয়া থানা যুবদলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, সি. যুগ্ম আহবায়ক মোস্তাকিম মাহমুদ, সদস্য সচিব হাজী মো. মুছা, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান, সি. যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জলিল, মহানগর সদস্য সাব্বির ইসলাম ফারুক, আমিন উল্লাহ, সাইফুল্লাহ ইসলাম, মো. মিজান, আবুল হোসেন প্রমুখ।

  • বর্তমান সরকার দেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছেঃ ডা. শাহাদাত

    বর্তমান সরকার দেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছেঃ ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তাকে এই সরকার ভয় করে।
    বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের গণতন্ত্রকে বিপন্ন করেছে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে। এই সরকার জনগণের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের মানুষের নেই বাক স্বাধীনতা, নেই গণতন্ত্র, ফ্যাসিস্ট কায়দায় এই সরকার দেশ চালাচ্ছে। বিএনপি’র হাজার হাজার নেতাকর্মীরা মামলায় জর্জরিত। এই সরকার একটি মামলা মামলাবাজ সরকার।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে আদালত হাজিরা শেষে কোর্ট হিল চত্বরে বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি ও দলীয়করণ চলছে । এই সরকার বাংলাদেশকে একটি দুর্নীতি পরায়ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এই সরকারের দুর্নীতির কারণে সমস্ত জিনিস পত্রের দাম ঊর্ধ্বগতি। চাল, ডাল, তেল, আটা-ময়দা থাকে শুরু করে সকল নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের চরম ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। দুর্নীতির কারণে লাগামহীনভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় জনগণকে তার মাশুল দিতে হচ্ছে।

    এই সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য এডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সদস্য মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, গাজী সিরাজ উল্লাহ, নগর বিএনপি’র সাবেক সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া,এডভোকেট নিজাম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শাহীন, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল আলম চৌধুরী মারুফ,এডভোকেট এম আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট জাহিদ বিন রশিদ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • আগামীকাল কেবি কনভেনশন হল মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করুন

    আগামীকাল কেবি কনভেনশন হল মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করুন

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে আগামীকাল ৩০ নভেম্বর বিএনপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। সেই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আমরা পুলিশ কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে চাই। আগামীকাল ৩০ নভেম্বর কালামিয়া বাজার কে.বি কনভেনশন হল মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে চাই এবং আশাকরি প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করবে।

    ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন।সরকার দেশকে একটি একদলীয় রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, গণতন্ত্র নেই, মানবিকতা নেই।

    এই সরকার মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আগামীকাল বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সকল অঙ্গসংগঠন এবং দেশপ্রেমী জনতাদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানান

    তিনি আজ সাংবাদিকদের আগামীকালের বিভাগীয় সমাবেশ নিয়ে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আগামীকাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং বিএনপি’র যুগ্ন মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ বিভাগীয় ও মহানগর উত্তর-দক্ষিণ জেলা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ সফল করব।

    দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে বিদেশে সুচিকিৎসা সুযোগ দিতে হবে। আগামীকালের বিভাগীয় সমাবেশ সফল করতে জেলা নেতৃবৃন্দের দুপুর দুইটার মধ্যে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

    এন-কে

  • দুর্নীতি ও দুঃশাসন ছাড়া এই সরকারের বড় অর্জন কিছুই নেই:ডা. শাহাদাত

    দুর্নীতি ও দুঃশাসন ছাড়া এই সরকারের বড় অর্জন কিছুই নেই:ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মাহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই সরকার বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেফতার, নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। দমন-নিপীড়নের উপর ভর করে সরকার দেশ চালাচ্ছে। দেশের সর্ব ক্ষেত্রে দুর্নীতি -দুঃশাসন চলছে। দুর্নীতি ও দুঃশাসন ছাড়া এই সরকারের বড় অর্জন কিছুই নেই।

    তিনি আজ বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাজিরা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে একথা বলেন এ কথা বলেন।

    ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, বিএনপি গণমানুষের দল। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শ এই দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে আছে। দমন নিপীড়ন চালিয়ে বিএনপি কে দমিয়ে রাখা যাবে না। এ সরকার জনগণের জনগণের ভোটাধিকার বাকস্বাধীনতা হরণ করে স্বৈরাচারী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে।

    আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম চট্টগ্রাম এর নবনির্বাচিত সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুল আলম চৌধুরী, অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এডভোকেট মফিজুল হক ভুঁইয়া, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার সরোয়ার, অ্যাডভোকেট এসএম নুরুল ইসলাম, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এডভোকেট হাসান আলী, এডভোকেট আহমদ কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, এডভোকেট ছৈয়দুল আলম, এডভোকেট নেজাম উদ্দিন,এডভোকেট মাহমুদুল আলম মারুফ,এডভোকেট জায়েদ বিন রশিদ, এডভোকেট জালাল উদ্দিন পারভেজ, অ্যাডভোকেট আবু নাসের প্রমুখ আইনজীবী।

    ২৪ ঘণ্টা

  • কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে : ডা. শাহাদাত

    কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে : ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি’র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন এক বাণীতে দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ত্যাগের মহিমায় উদ্বুদ্ধ হয়ে করোনা কালীন এই দুর্যোগ মুহূর্তে আসুন রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে দল-মত নির্বিশেষে আমরা আরো বেশি মানবিক হই। সাধারণ মানুষের পাশে আমাদের হাত প্রসারিত করি। মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করি। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, মাস্ক পরিধান করি, নিজে সুস্থ থাকি এবং অন্যকে নিরাপদ রাখি।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষসহ মনের পশুকে পরাভূত করার বাণী নিয়ে আবারও এসেছে কোরবানির ঈদ। কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।

    তিনি বলেন, ‘শান্তি, সহমর্মিতা, ত্যাগ ও পরপ শিক্ষা দেয় ঈদুল আযহা। তাই আসুন, আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আযহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমুখী কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তুলি।

    তিনি বলেন, সবাই সাধ্যমতো সেরা পশু কোরবানি দেবেন ঈদে। তবে এবার উৎসবের আমেজ ম্লান করে দিয়েছে করোনা আতঙ্ক। বেসরকারি হিসাবে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গেছে এ ভাইরাসে। সরকারী হিসেবে মৃত্যুবরণ করেছে ৩ হাজার। সরকারি হিসাবেই আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত আড়াই লাখ মানুষ। বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। করোনা ভাইরাসে স্বজনহারা মানুষের ঘরে আসবে না ঈদের আনন্দ। উত্তরাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় অনেক মানুষের ঈদ মাটি হয়ে গেছে। আবার শহর থেকে যারা নিজ নিজ এলাকায় গেছেন, তাদের ঈদের খুশি ম্লান করেছে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটসহ যাত্রাপথে নানা ভোগান্তি।

    পবিত্র কোরআনের বর্ণনানুযায়ী, চার হাজার বছর আগে আল্লাহর নির্দেশে হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার সবচেয়ে প্রিয় নিজ সন্তান হজরত ইসমাইলকে (আ.) কোরবানি করার উদ্যোগ নেন। তবে আল্লাহর কুদরতে হজরত ইসমাইলের (আ.) পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়। হজরত ইব্রাহিমের (আ.) এই ত্যাগের দৃষ্টান্ত স্মরণ করে প্রতিবছর মুসলমানরা কোরবানি করেন। তবে আল্লাহর পথে ত্যাগই ঈদুল আজহার প্রধান শিক্ষা। পশু জবাই করে তা বিলিয়ে দেওয়া দান নয়, ত্যাগ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা মহামারী সাধারণ জনগণের সর্বনাশ হলেও সরকারী দলের জন্য পৌষমাস: ডাঃ শাহাদাত

    করোনা মহামারী সাধারণ জনগণের সর্বনাশ হলেও সরকারী দলের জন্য পৌষমাস: ডাঃ শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নিয়ন্ত্রিত গণতান্ত্রিক দেশে সুশাসন আর উন্নয়ন আশা করাও ভুল। চারিদিকে উন্নয়নের মেগা প্রকল্পের নামে মেগা লুট-পাটে ব্যস্ত শাসক গোষ্ঠী। করোনা মহামারীতেও আওয়ামীলীগের লুটপাট বন্ধ হয়নি। প্রতারণা শিল্পের রমরমা অবসথা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি তলানীতে, সরকারে অস্থিরতা বিরাজ করছে।

    তিনি আজ ২৭ জুলাই (সোমবার) সকাল ১১ টায় নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান’র নির্দেশে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনকল্পে কমিটি বিহীন ১০টি থানা ও ২৮ ওয়ার্ড যুবদলের নেতা-কর্মীদের রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত ফরম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, সংগঠনের মূল শক্তি তৃণমূলপর্যায়ে থানা-ওয়ার্ড -ইউনিট কমিটি। নিয়মিত কমিটি না হওয়ার ফলে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন দুর্বল হয়ে পড়েছে।

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি
    গঠনকল্পে রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত ফরম বিতরণ করছেন ডাঃ শাহাদাত হোসেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শক্তিশালী সংগঠন তখনই পাওয়া যাবে যখন তার অধীনস্ত সকল ইউনিটে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কমিটি গঠন করা হবে। আমাদের থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দীর্ঘদিন কমিটি না হওয়ার ফলে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন নাই বল্লেই চলে।

    তিনি এসময়, আশাবাদ ব্যক্ত করেন যুবদল আজকের রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত ফরম বিতরণের মধ্য দিয়ে খুব শীঘ্রই নগরে কমিটি বিহীন ১০ টি থানা ও ২৮ টি ওয়ার্ড সুন্দর কমিটি উপহার দিবে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে অচিরেই বিএনপি সহ সব অঙ্গ সংগঠনে সকল ইউনিট কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠন করা হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের কমিটি বিহীন ১০ টি থানা যথাক্রমে আকবরশাহ, হালিশহর, বন্দর, পতেঙ্গা, ইপিজেড ডবলমুরিং, কোতোয়ালী, সদরঘাট, চকবাজার ও বাকলিয়া থানা এবং ২৮ টি ওয়ার্ড যথাক্রমে ১৫ নং বাগমনিরাম, ১৬ নং চকবাজার, ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া, ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া, ১৯ নং দক্ষিণ বাকলিয়া, ২০ নং দেওয়ান বাজার , ২১ নং জামাল খান, ২২ নং এনায়েত বাজার, ২৩ নং উত্তর পাঠানটুলি, ২৪ নং উত্তর আগ্রাবাদ, ২৫ নং রামপুর, ২৬ নং উত্তর হালিশহর, ২৭ নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ, ২৮ নং পাঠানটুলি, ২৯ নং পশ্চিম মাদারবাড়ী, ৩০ নং পূর্ব মাদারবাড়ী, ৩১ নং আলকরণ, ৩২ নং আন্দরকিল্লা, ৩৩ নং ফিরিঙ্গী বাজার, ৩৪ নং পাথরঘাটা, ৩৫ নং বক্সিরহাট, ৩৬ নং গোসাইলডাঙ্গা, ৩৭ নং উত্তর মধ্য হালিশহর, ৩৮ নং দক্ষিণ মধ্য হালিশহর, ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর, ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ও ৪১ নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড।

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি’র সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ’র পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সি.সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি সাহেদ আকবর, ফজলুল হক সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল গফুর বাবুল, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু, মুজিবুর রহমান, সি.যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, মোঃ সেলিম, তাজুল ইসলাম, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহ, বেলায়েত হোসেন, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, আসাদুর রহমান টিপু, রাসেল নিজাম, জিল্লুর রহমান জুয়েল, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মোহাম্মদ ইকবাল, আসাদুজ্জামান রুবেল, আতিকুর রহমান, মাহবুবুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন টুনু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, মোঃ ইদ্রিস, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, নগর যুবদলের সদস্য আবদুস সাত্তার প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর