Tag: ডাকাত

  • এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে অস্ত্রসহ আট ডাকাত গ্রেফতার

    এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে অস্ত্রসহ আট ডাকাত গ্রেফতার

    চট্টগ্রাম নগরের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ধারালো অস্ত্রসহ ডাকাত দলের আট সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সিএম‌পির বিশেষ টহল টিম।

    আজ মঙ্গলবার সিএম‌পি সূ‌ত্রে বিষয়টি নি‌শ্চিত করা হ‌য়ে‌ছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দি‌কে ডাকা‌তির প্রস্তু‌তি নেওয়ার সময় তা‌দেরকে গ্রেফতার করা হয়।

    সিএমপি সূ‌ত্র জানা‌য়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিশেষ টহল ডিউটি করাকালে বন্দর থানাধীন গোসাইলডাঙ্গাস্থ সাবের প্লাজা ভবনের সামনে এক্সপ্রেসওয়ের উপর কতিপয় দুষ্কৃতিকারী ডাকাতির উদ্দেশ্যে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ সমবেত হয়ে ডাকাতি করার প্রস্তুতি গ্রহণকালে মধ্যরাত দেড়টায় ডাকাত দ‌লের আট সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

    তা‌দের কাছ থে‌কে ২ ছোরা, ডাকা‌তির কা‌জে ব্যবহৃত একটি ব্যাটারিচা‌লিত অ‌টোরিক্সা জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হ‌লেন, মোঃ আরমান (১৯), মোঃ ইসমাইল হাসান (১৯), মোঃ রাকিবুল হাসান (১৯) এবং আইনের সহিত সংঘাতে জড়িত শিশু মোঃ পারভেজ (১৫), মাঈন উদ্দিন (১৭), মোঃ রিয়াদ হোসেন (১৫), সাব্বির হোসেন (১৬) ও সামিউল রহমান প্রকাশ শুভ (১৫)।

    পু‌লিশ জানায়, গ্রেফতারকৃতরা এক্সপ্রেসওয়েতে অবৈধ অস্ত্রশস্ত্রসহ ডাকাতির উদ্দেশ্যে সমবেত হয়েছিল বলে স্বীকার করে।

  • জামালপুরে ট্রেনের ছাদে ডাকাতদল, দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

    জামালপুরে ট্রেনের ছাদে ডাকাতদল, দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

    ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদ থেকে দুজনের মরদেহ এবং একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে লাশ দুটিসহ আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।

    নিহত দুজনের মধ্যে এক জনের নাম নাহিদ (৪০)। অপর জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে, আহত ব্যক্তির নাম রুবেল। তাঁকে উদ্ধার করে জামালপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে ১৫ থেকে ২০ জন যাত্রী ভ্রমণ করছিল। ট্রেনটি গফরগাঁও স্টেশন পার হলে চার থেকে পাঁচ সদস্যের একটি ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ট্রেনের ছাদে অবস্থানরত যাত্রীদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ সময় নাহিদ, রুবেলসহ আরও তিন জন ডাকাতদের সঙ্গে কথা বলতে যান। পরে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ময়মনসিংহ স্টেশনের আগে কেওয়াটখালী এলাকার ওভারব্রিজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুজন ট্রেন থেকে ছিটকে পড়ে যান এবং নাহিদ, রুবেলসহ আরেক জন ট্রেনের ছাদেই পড়ে থাকেন।

    জামালপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মিলন মিয়া জানান, কমিউটার ট্রেনটি ময়মনসিংহ স্টেশন ছাড়ার পর স্টেশন মাস্টার জানান ট্রেনের ছাদে অজ্ঞাত তিন জন লোক আহত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে ট্রেনটি পিয়ারপুর স্টেশনে এলে ট্রেনের ছাদে আহত ব্যক্তিদের খোঁজা হয় এবং জামালপুর স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতিকালে তিন জনকেই উদ্ধার করে জামালপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এন-কে

  • হাতিয়ায় গোলাগুলির পর ‘ডাকাত’ আটক, ‘অস্ত্র’ উদ্ধার

    হাতিয়ায় গোলাগুলির পর ‘ডাকাত’ আটক, ‘অস্ত্র’ উদ্ধার

    নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ডাকাতদলের সঙ্গে গোলাগুলির পর হাসান নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করছে কোস্টগার্ড। উপজেলার নিঝুম দ্বীপের কাছাকাছি মেঘনা নদীতে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। কোস্টগার্ড বলছে, আটক হাসান নদী এলাকার একজন কুখ্যাত ডাকাত। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একাধিক অভিযোগে মামলা রয়েছে।

    এদিকে, গোলাগুলির পর ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় একনলা বন্দুক, দুটি গুলি ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি দেশীয় সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি কোস্টগার্ডের।

    কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এ এস এম লুৎফর রহমান বলছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেঘনা নদীসংলগ্ন নিঝুম দ্বীপের সিডিএসপি বাজার এলাকায় গতকাল রাতে অভিযান চালায় কোস্টগার্ড। এ সময় ডাকাতদল কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। পরে কোস্টগার্ড পাঁচটি গুলি ছোড়ে এবং ডাকাতদলটিকে ধাওয়া করে।

    লুৎফর রহমানের দাবি, গোলাগুলির সময় কোনো হতাহতের ঘটনা না হলেও ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় হাসান নামের এক ডাকাতকে আটক করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একাধিক অভিযোগে মামলা রয়েছে। পরে অস্ত্র ও আটক হাসানকে হাতিয়া থানায় পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

    এন-কে

  • বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের অভিযান : অস্ত্রধারী ৫ ডাকাত আটক, উদ্ধার ৭ জেলে

    বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের অভিযান : অস্ত্রধারী ৫ ডাকাত আটক, উদ্ধার ৭ জেলে

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরের টেকনাফের মোহনায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ ৫ ডাকাতকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড।

    সোমবার (১২ অক্টোবর) গভীর রাত ৩টার সময় টেকনাফ থানাধীন নোয়াখালীপাড়া হতে ১২ নটিক্যাল মাইল দূরে সমুদ্র থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

    এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় ২টি একনলা বন্দুক, ৮ রাউন্ড কার্তুজ, ১০ টি বিভিন্ন ধরনের বার্মিজ ধারালো অস্ত্র।

    তাছাড়া ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি ইঞ্জিন চালিত কাঠের নৌকা জব্দ করা হয় এবং ওই নৌকায় ডাকাতদের হাতে জিম্মি থাকা ৭ বাংলাদেশী জেলেকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। উদ্ধারকৃত জেলেরা সকলেই টেকনাফের নোয়াখালীপাড়ার বাসিন্দা।

    আটক ডাকাতরা হলেন, মো. বাকগুল্লা (২২), মো. শুকুর (২০), রবি আলম (২২), নুরুল আমিন (৩০) ও শফি আলম (২০)। এরা সবাই মায়ানমারের আকিয়াব জেলার আড়িপাড়া অঞ্চলের বাসিন্দা।

    বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা এম হায়াত ইবনে সিদ্দিক বলেন, বঙ্গোপসাগরের টেকনাফ থানা এলাকায় জেলেদের জিম্মি করে ডাকাতি হচ্ছে এমন খবরে অভিযানে নামে কোস্টগার্ড পূর্ব জোন টেকনাফ বিজিসি স্টেশনের একটি টিম।

    গভীর রাত ৩টার সময় সমুদ্রে ভাসমান একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকার গতিরোধ করে ৫ জন অস্ত্রধারী ডাকাতকে আটক করা হয় এবং একই নৌকা থেকে ৭ জেলেকে উদ্ধার করা হয়।

    তাছাড়া উদ্ধারকৃত বাংলাদেশী জেলেদের ডুবে যাওয়া একটি নৌকা উদ্ধার করার কথা জানিয়েছে কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা।

    তিনি বলেন, আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উদ্ধার জেলে এবং জব্দকৃত অস্ত্র ও অন্যান্য মালামালসহ টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা,রাজীব

  • হত্যা সহ অর্ধ ডজন ডাকাতির আসামি, মিরসরাইতে নিহত ঢাকাতের পরিচয় প্রকাশ

    হত্যা সহ অর্ধ ডজন ডাকাতির আসামি, মিরসরাইতে নিহত ঢাকাতের পরিচয় প্রকাশ

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ের নয় দুয়ারিয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি কালে গুলিতে নিহত ডাকাত সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করেছে র‍্যাব কার্যালয়।

    বৃহস্পতিবার (১১ জুন) রাত আট টায় র‍্যাবের চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়।

    নিহত ডাকাত সদস্যের নাম জসিম উদ্দিন(৩১) সে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা এলাকার মসজিদা মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে।

    নিহত ডাকাত সদস্য জসিমের বিরুদ্ধে ফেনী সদর থানায় দুটি ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানায় পাঁচটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ২ টি হত্যা মামলা, ৪ টি ডাকাতির মামলা এবং ১ টি চুরির মামলা রয়েছে।

    সে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম-মহাসড়কে নিয়মিত ছিনতাই ও ডাকাতির করে অসছিলো। এছাড়া ডাকাতির সময় দুটি হত্যার সাথে জড়িত নিহত ডাকাত জসিম।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মিরসরাইতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র‌্যাবের গুলিতে ডাকাতের মৃত্যু, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

    মিরসরাইতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র‌্যাবের গুলিতে ডাকাতের মৃত্যু, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মিরসরাই প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মিরসরাইতে করোনাকালেও ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল ডাকাত। এমন খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি টহল টিমঅভিযানে গেলে ডাকাত সদস্যদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

    এতে র‌্যাব সদস্যদের ছোঁড়া গুলিতে এক ডাকাত নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ লাশের পাশ থেকে দুটি দেশিয় এলজি ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

    গতকাল (১০ জুন) রাত সাড়ে বার টায় উপজেলার নয় দুয়ারিয়া এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ অপারেশন এসপি আমির উল্লাহ ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, আমাদের নিয়মিত টহল দল গোপন সংবাদে জানতে পারে নয় দুয়ারিয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে একদল ডাকাত।

    খবর পেয়ে টহল দল নয় দুয়ারিয়া এলাকায় পৌছলে ঢাকাত দল টহল দলের উপর গুলি চালাতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় র‌্যাবের টহল দল। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ঢাকাত দলের পক্ষ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ডাকাত সদস্যকে উদ্ধার করা হয়।

    পরে আহত ডাকাত সদস্যকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত ডাকাত সদস্যের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও আট রাউন্ড অব্যবহৃত গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী নিহতের লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য চমেকের মর্গে রয়েছে। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি এখনো র‌্যাবের হেফাজতেই রয়েছে। নিহতের কোন তথ্য বা পরিচয় জানা যায়নি বলে তিনিও জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/আশরাফ উদ্দিন/আর এস পি

  • টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে।

    আজ শুক্রবার (১ মে) ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার জাদিমোরা ২৬নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শালবাগান এলাকায় এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটেছে।

    এসময় ১৫টি দেশীয় তৈরী লম্বা বন্দুক, ২৮ রাউন্ড গুলি ও দুইটি রাম দা উদ্ধার করা হয়েছে।

    নিহতরা হলেন, টেকনাফের ২৬ নং নয়াপাড়া ক্যাম্পের ডি-ব্লকের আব্দুল হামিদের ছেলে আবদুল হাকিম (৩৫) ও অজিউল্লাহ’র ছেলে রশীদ উল্লাহ (৩০)। র‌্যাবের দাবি নিহত দুইজনই স্থানীয় রোহিঙ্গা ডাকাত গ্রুপ রকি বাহিনীর সদস্য।

    কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ সহকারি পরিচালক (মিডিয়া) আবদুল্লাহ মোহাম্মদ শেখ সাদী সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে যে, টেকনাফ উপজেলার জাদিমোরা রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২৬ শালবাগান ক্যাম্পের পাশ্ববর্তী পাহাড়ে একদল রোহিঙ্গা ডাকাত অবস্থান করছে।বন্দুকযুদ্ধে ২ রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত

    এ খবরের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা অভিযানে গেলে ডাকাতদল র‌্যাবের উপর অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়ে। এসময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি করে। গোলাগুলির একপর্যায়ে ডাকাতদল পালিয়ে গেলে র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

    পরে তাদের রকি গ্রুপের সদস্যরা বলে সনাক্ত করে র‌্যাব। এসময় ১৫টি দেশীয় তৈরী বন্দুক, ২৮ রাউন্ড গুলি ও দুইটি ধারালো রাম দা উদ্ধার করা হয়।

    এদিকে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, র‌্যাব সুত্রে খবর পেয়ে দুইটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত জব্দ করেছে। মৃতদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে’।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম/আর এস পি

  • মিরসরাইতে ভারতীয় নাগরিকের অভিযোগে গ্রেফতার ২ ডাকাত : লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার

    মিরসরাইতে ভারতীয় নাগরিকের অভিযোগে গ্রেফতার ২ ডাকাত : লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই : ভারতীয় নাগরিকের অভিযোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন অংশে গাড়ি ডাকাতি চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ডাকাতের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভারতীয় নাগরিকের লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে খইয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্ব পোলমোগরা গ্রামের মাসুদ উদ্দিন ও মো.আরাফাতের ঘর থেকে মালামাল গুলো উদ্ধার করা হয়। মালামাল গুলোর মধ্যে রয়েছে একটি ভারতীয় ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইন্সেস, ১২শ ভারতীয় রুপি, ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, উক্ত নাগরিকের কর্মক্ষেত্রের আইড়ি কার্ড ও ব্যবহৃত একটি ব্যাগ।

    জানা গেছে, গত ২৩ নভেম্বর রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার কলঘর এলাকায় কৌশিক ভট্টাচার্য ও আকিব জাফর নামে দুই ভারতীয় নাগরিককে বহনকারী একটি মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

    এসময় ডাকাতদল তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, থিংক প্যাড, হার্ডডিক্স, ভারতীয় ব্যাংকের একাধিক ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল সেট, ইবা সফটওয়ারের লাইন্সেস, একটি ভারতীয় পাসপোর্ট, ছয় হাজার ভারতীয় রুপিসহ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয়।

    এ ঘটনায় কৌশিক ভট্টাচার্য বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ গত ২৮ নভেম্বর রাতে খইয়াছড়া ইউনিয়নের পূর্বপোলমোগরা গ্রামের মৃত জসীম উদ্দিনের ছেলে মো.মাসুদকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে গত ১০ ডিসেম্বর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করে।

    রিমান্ডের প্রথম দিনে সে ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এসময় তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে তার ঘরসহ মো.আরাফাত নামে আরেক জনের ঘর থেকে ভারতীয় নাগরিকদের কাছ থেকে লুট করে নেয়া বেশকিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়।

    মিরসরাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিপুল দেবনাথ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, ডাকাত দলের সর্দার মো.আরাফাতের নেতৃত্বে ৫-৬ জন সংঘবদ্ধ হয়ে ভারতীয় নাগরিকদের গাড়িটি ডাকাতির কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে মাসুদ।

    তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে থানার অফিসার ইনচার্জ জাহেদুল কবিরের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাতির সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেফতার ও বাকি মালামাল উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান বিপুল দেবনাথ।

  • সীতাকুণ্ডে ডা.শাহ আলম হত্যার দুই আসামী কোতোয়ালিতে গ্রেফতার

    সীতাকুণ্ডে ডা.শাহ আলম হত্যার দুই আসামী কোতোয়ালিতে গ্রেফতার

    সীতাকুণ্ডে আলোচিত ডাক্তার শাহ আলম হত্যা মামলার আরো দুই আসামীকে গ্রেফতার করেছে সিএমপির কোতোয়ালী থানা পুলিশ। আজ শনিবার (২ নভেম্বর) ভোর চারটায় নগরীর টাইগারপাস মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সীতাকুণ্ড জলিল টেক্সটাইল কুতুব মেম্বার বাড়ির শো. শফির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৪) ও নোয়াখালী মাইজদি নালা নগরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. টিটু (২৫)।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহসীন। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসস্ত্রসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে সীতাকুণ্ডের ” গরীবের ডাক্তার ” খ্যাত শাহ আলম হত্যা মামলার আসামী সালাউদ্দিন ও টিপু নামের দুইজন রয়েছে।

    এরা ছোট-বড় প্রায় দুই শতাধিক ডাকাতি ও ছিনিতাই করেছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। এই দলের প্রধান মো. সালাউদ্দিন আগেও জেল খেটেছেন। বের হয়ে আবারও সংঘবদ্ধ হয়ে তারা ডাকাতি শুরু করে। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে বলেও তিনি জানান। আরো খবর : অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ১১ সদস্য গ্রেফতার

    তাদের কাছ থেকে দুটি দেশীয় এলজি, দুটি কার্তুজ, দুটি টিপ ছুরি, পিকআপ, প্রাইভেট কারসহ দেশীয় বিভিন্ন অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

    এদিকে আজ শনিবার ভোরে নগরী থেকে ১১জন ডাকাত অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পর সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ আলম মোল্লা ডা.শাহ আলম হত্যা মামলার আরো দুই আসামী সালাউদ্দদিন ও টিপুকে শনাক্ত করে সিএমপির কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মোহসীনকে জানায়। ২৪ ঘন্টা ডট নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও সীতাকুণ্ড থানার ওসিও হত্যা মামলার দুই আসামির কথা স্বীকার করেন।

    উল্লেখ্য যে, এর আগে গত ২৩ অক্টোবর ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নে ডা, শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ডাকাত দলের প্রধান নজির আহমেদ সুমন প্রকাশ কালু (২৬) র‍্যাব ৭ এর টহল দলের সাথে গুলি বিনিময়ে নিহত হয়।

  • ডাকাতির পর পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিতেন ওরা ১১ জন

    ডাকাতির পর পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিতেন ওরা ১১ জন

    ওরা এগারো জন। দেশের স্বার্থে বড় কোন অসাধারণ কর্মযজ্ঞে এদের কোন ভুমিকা না থাকলেও এ ১১ জনের রয়েছে মানুষ থেকে সর্বস্ব লুটে নেওয়ার প্রতিভা। বাস ও ট্রেন যাত্রীদের নিঃস করে পথে বসিয়ে তার মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিয়ে পাহাড়ের গুহায় আত্মগোপনে থাকাটা ছিলো তাদেও কৌশল।

    চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস, পাহাড়তলী ও জেলার সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, লাকসাম, ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লাসহ বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় সুযোগ বুঝে বাস ও ট্রেনযাত্রীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সদস্যরা। যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও ল্যাপটপসহ দামী জিনিসপত্র লুট করে নিমিষেই পাহাড়ের গুহায় জাদুকরের মতোই হারিয়ে যায় এ ডাকাত চক্রটি।

    ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা অভিযানেও তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়ে উঠেনা। তবে গত ২ থেকে আড়াই মাস আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া এ ডাকাতচক্রের কয়েকজন সদস্যের কাছ থেকে পুলিশ বেশ কিছু তথ্য পায়। তথ্যের ভিত্তিতে গত দুমাসে জামিনপ্রাপ্ত ডাকাত দলের সদস্যদের উপর পুলিশ নজরদারি বাড়ায়।

    আর পুলিশের নজরদারির জালে আটকা পড়ে চক্রের ১১ সদস্য। শনিবার ভোরে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানার টাইগার পাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওরা ১১ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের মধ্যে দুইজন ‘গরীবের ডাক্তার’ খ্যাত সীতাকুণ্ডের আলোচিত চিকিৎসক শাহ আলম হত্যার আসামী।

    এসময় তাদের কাছ থেকে কাঠের বাটযুক্ত লোহার তৈরী দুটি দেশীয় এলজি, দুটি কার্তুজ, ২ টি কালো রংয়ের টিপ ছোরা, ১ টি লোহার তৈরী ছেনি, ৬ টি কাঠের বাটযুক্ত কিরিচ, ১ টি সাদা রংয়ের পিকআপ (ঢাকা মেট্রো-ঠ- ১১-২১৯১) ও ১টি সিলভার রংয়ের প্রাইভেট কার (চট্টমেট্রো-খ-১১-০১৫০) জব্দ করা হয়।

    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, সীতাকুণ্ড জলিল টেক্সটাইল কুতুব মেম্বার বাড়ির শো. শফির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৪), ভোলা জেলার চরফ্যাশন গোর আলা মুক্ষি বাড়ির নুরনবী সিকদারের ছেলে মো. রাজু (১৯), কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম বাসন্ডা পশ্চিম পাড়ার মৃত মো. ফরিদের ছেলে ইসরাফিল হোসেন আলম (২২), নোয়াখালী জেলার সোনাইমুরি নাটোর শহরের মৃত আলী আহাম্মদের ছেলে মো. আকবর হোসেন (২২), জি বাড়িয়া নবীনগর জাফরপুর জব্বার পুলিশের বাড়ির মো. কামালের ছেলে মো. সেলিম (২৮), নোয়াখালী মাইজদি নালা নগরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. টিটু (২৫), সীতাকুণ্ড উপজেলার ইমাম নগরের কাশেম মাস্টার বাড়ির ইব্রাহিমের ছেলে মো. ইয়াসিন (২৩), কুমিল্লা চান্দিনার জোয়ার হালাল বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. ফজর আলী (৩৫), নগরীর আকবর শাহ থানা মিরপুর আবাসিকের রাজা কমিশনারের ভাড়াটিয়া আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সুমন (২৫), নোয়াখালি সুধারামপুর সুন্দরপুরের চেয়ারম্যান বাড়ির মো. মানিকের ছেলে মো. রহিম প্রকাশ হৃদয় (২২) ও কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোটের দাউদপুর মজুমদার বাড়ির মৃত আবুল কালামের ছেলে মো. পলাশ হোসেন (২৫)।

    শনিবার দুপরে নগরীর মোমিন রোডে মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফ, এসি কোতোয়ালি নোবেল চাকমা। এর আগে শনিবার সকালে নগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মোহসিন ওরা ১১ জনের গ্রেফতার তথ্যটি নিশ্চিত করলেও বিস্তারিত জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

    সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, গ্রেফতারের পর ওরা ১১ জনই চট্টগ্রাম নগরীর সাগরিকায়, সীতাকুণ্ডের পন্থিছিলায়, মিরসরাই, ফেনীর মহিপালে, নোয়াখালী, লাকসাম ও কুমিল্লাসহ অন্তত দুশটি ডাকাতির ঘটনার কথা স্বীকার করেছে।

    তিনি বলেন, ডাকাতরা প্রতিদিন ভোরে প্রাইভেট কার ও পিকআপ ভ্যান নিয়ে নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতো। দোকান ও প্রতিষ্ঠান টার্গেট করতো। দোকান ভাঙার বিভিন্ন সরঞ্জাম সাথে নিয়ে রাতে টার্গেটকৃত দোকান বা প্রতিষ্ঠানের তালা কৌশলে ভেঙ্গে সব লুট করে পালিয়ে যেতো।

    এছাড়াও এ ডাকাত দলের সদস্যরা বাস বা ট্রেনের সময়সূচি টার্গেট করে পাহাড়ের কাছাকাছি অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অবস্তান করতো। সময় সুযোগ বুঝে ঝাপিয়ে পড়ে যাত্রীর সর্বস্ব লুটে নিয়ে আবার পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিতেন।

    পুলিশ কর্মকর্তা মেহেদী বলেন, আড়াই বছর জেল কেটেছে এদের দলনেতা মো. সালাউদ্দিন। সম্প্রতি সে জামিনে বেরিয়ে ফের ডাকাতি চক্রের লিড দিচ্ছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের বিচক্ষনতায় অস্ত্র ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যান এবং প্রাইভেটকারসহ এ চক্রের ১১জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

    কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মোহসিন জানান, সশস্ত্র ডাকাত দলটি ডাকাতির উদ্দ্যেশে পিকআপ ও একটি প্রাইভেটকার নিয়ে নগরীর টাইগারপাস এলাকার জসিমের চায়ের দোকানের সামনে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ খবরে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার সময় অভিযানে যায় কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি টিম। এসময় পুলিশের গাড়ি দেখে ডাকাতদল তাদের ব্যবহৃত গাড়িসহ পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে ঘেরাও করে গাড়িসহ তাদের গ্রেফতার করে।

    ওসি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা শুধু ডাকাতি নয় তারা ছিনতাই কাজেও খুব পারদর্শী। এরা প্রতিদিন ভোরে বাস ও ট্রেন যাত্রীদের কাছ থেকে ছিনতাই করে থাকে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন নির্জন সড়কে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের রিকশা ও সিএনজি আটকে তাদের দামী জিনিসপত্র হাতিয়ে নেন। এমনকি তাদের সাথে থাকা পাসপোর্ট ও ভিসাও হাতিয়ে নিয়ে পরবর্তীতে তা ফেরৎ নিতে বিকাশের মাধ্যমে টাকাও আদায় করেছে বলে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছে।

    ওসি মো. মোহসিন বলেন, সম্প্রতি নগরীর টাইগারপাস মোড়ে প্রাইভেট কার ব্যবহার করে দুটি ছিনতাইয়ের ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার মধ্যরাতে চক্রটির অবস্থান নিশ্চিত করে অভিযান চালিয়ে ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।

    এদের মধ্যে সীতাকুণ্ড জলিল টেক্সটাইল কুতুব মেম্বার বাড়ির শো. শফির ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৪) ও নোয়াখালী মাইজদি নালা নগরের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. টিটু (২৫) সীতাকুণ্ডের আলোচিত ডা. শাহ আলম হত্যাকাণ্ডের আসামি। সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের বরাতে এ তথ্যটিও নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মোহসীন।