Tag: ডাকাত সর্দার

  • সেনবাগে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত সর্দার নিহত

    সেনবাগে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত সর্দার নিহত

    নোয়াখালীর সেনবাগে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে আনোয়ার হোসেন ওরফে ইউছুফ নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, ইউসুফ ডাকাত সর্দার ছিলেন।

    গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের বীরকোট এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে। ইউছুফের গ্রামের বাড়ি বেগমগঞ্জ উপজেলার লাউতলী এলাকায়।

    ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি, চারটি তাজা কার্টুজ, সাত রাউন্ড গুলির খোসা, তিনটি রামদা, একটি টর্চলাইট ও একটি গ্যাস লাইটার।

    পুলিশ জানিয়েছে, ইউছুফের বিরুদ্ধে ডাকাতির ঘটনায় সাতটি, ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় তিনটি, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি ও চুরির অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে।

    বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তারা হলেন- উপ-পরিদর্শক জসিম উদ্দিন, সহকারী উপ-পরিদর্শক লোকেন মহাজন ও কনস্টেবল আব্দুর রহমান। আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

    ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার জমিদারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে ডাকাতি ও সিঁধেল চুরির কথা স্বীকার করে। এও জানায় তাদের দল রাতে ডাকাতি করবে।

    ইউসুফের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত পৌনে তিনটার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দলের সহযোগিতায় বীরকোর্ট এলাকায় অভিযান চালায় সেনবাগ থানা পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইউসুফের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় ইউসুফ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তারই সহযোগীর গুলিতে আহত হয়। পরে সহযোগীরা পালিয়ে গেলে ইউসুফকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, ‘নিহত ইউসুফ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একজন সক্রিয় সদস্য। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সাতটি ডাকাতি ও একটি অস্ত্র মামলাসহ মোট ১২টি মামলা রয়েছে। পালানোর সময় সহযোগীদের গুলিতে সে নিহত হয়েছে।’

     

  • বাঁশখালীতে বন্দুকযুদ্ধে ৩১ জেলে হত্যায় অভিযুক্ত জলদস্যু মোরশেদ নিহত

    বাঁশখালীতে বন্দুকযুদ্ধে ৩১ জেলে হত্যায় অভিযুক্ত জলদস্যু মোরশেদ নিহত

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে মোরশেদ আলম (৩৫) নামে এক জলদস্যুর মৃত্যু হয়েছে। র‌্যাব দাবী করছে বন্দুকযুদ্ধে তার মৃত্যু হয়।

    র‌্যাব জানায়, বাঁশখালীতে ডাকাতির সময় ৩১ জেলেকে সাগরে ফেলে নির্মমভাবে হত্যায় অভিযুক্ত এবং এবং খুন, ডাকাতি, ও চাঁদাবাজিসহ দুই ডজনেরও অধিক মামলার আসামি কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মোরশেদকে গ্রেফতার করতে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

    আজ ২৬ জানুয়ারি রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার বাণীগ্রাম লটমুণি পাহাড় এলাকায় বন্দুযুদ্ধের ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি থ্রি কোয়ার্টার গান, দুইটি ওয়ান শ্যুটার গান, ১৯ রাউন্ড গুলি ও ৩টি রামদা উদ্ধার করে র‌্যাব।

    নিহত মোরশেদ আলম একই উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল ২ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সিদ্দিক আহম্মদের ছেলে। নিহত মোরশেদ চাঞ্চল্যকর ৩১ জেলে হত্যা মামলা, প্রকাশ্য দিবালোকে বুজরুজ মেহের হত্যাসহ ৩টি খুনের মামলার আসামি। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে খুনসহ ডাকাতি, ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ দুই ডজনেরও অধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

    বন্দুকযুদ্ধে কুখ্যাত ডাকাত সর্দার মোরশেদ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. মাহমুদুল হাসান মামুন। তিনি বলেন, রবিবার ভোরে কুখ্যাত ডাকাত ও জলদস্যু মোরশেদ আলম (৩৫) এর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র‌্যাবের একটি টিম বাঁশখালীর বাণীগ্রাম সংলগ্ন লটমুণি পাহাড়ে অভিযান চালায়।

    এসময় র‌্যাব এর উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দলের নেতা মোরশেদের বাহিনী র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টাগুলি চালায়। এক পর্যায়ে ডাকাত দল পিছু হঠে পাহাড়ের ভেতরে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ মোরশেদের লাশ পড়ে থাকতে দেখে র‌্যাব সদস্যরা স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

    ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া বিদেশী পিস্তল, বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করেছে। এ ব্যাপারে বাঁশখালী থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান র‌্যাব-৭ এর সহকারী পুলিশ সুপার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ।

    জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ কুতুবদিয়া থানার জাহাজখালীতে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতির চেষ্টা চালিয়েছে একদল জলদস্যু। এতে বাধা দিতে গিয়ে পানিতে ফেলে দিয়ে ৩১ জেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো যাকাত দলটি।

    পরে এ ঘটনায় দায়েরকৃত একটি মামলায় অন্যতম আসামি ছিলেন বাঁশখালীর জলদস্যু ও ডাকাত সর্দার হিসেবে পরিচতি মোরশেদ আলম। এছাড়াও একই বছরের ২০ জুলাই চাম্বল বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বুজুরুছ মেহের চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করেছিলো মোরশেদ বাহিনী।

    পরে মোরশেদকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ পুলিশ গ্রেফতার করলেও ২০১৯ সালের ১০ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান।

  • রাউজানের পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান : ডাকাত সর্দার আটক,অস্ত্র উদ্ধার

    রাউজানের পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান : ডাকাত সর্দার আটক,অস্ত্র উদ্ধার

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ঘেড়া সামশু টিলা নামক দুর্গম পাহাড়ে অস্ত্র কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। গোপন সূত্র ধরে আজ ২০ নভেম্বর বুধবার ভোরে অস্ত্র তৈরির কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করে জেলা পুলিশের একটি টিম।

    অভিযানে ডাকাত সর্দার আলমগীরকে আটকের পাশাপাশি দেশিয় তৈরি অন্তত ২০টি অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে পূর্ব রাউজানের রাবার বাগান সংলগ্ন ঘোড়া সামশুু টিলা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকে দুস্কৃতকারীরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে।

    এক পর্যায়ে দুস্কৃতিকারিরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে মোহাম্মদ আলমগীর নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতার আলমগীরের নামে বিভিন্ন থানায় ১৭টি মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

    রাউজান থানা সূত্রে জানা যায়, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কেপায়েত উল্লাহ অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে দুস্কৃতিকারীদের হাতে আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি ১০টি শর্টগান, ৬টি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, তিনটি দেশীয় তৈরি এক নলা বন্দুক, ১টি গ্যাস গান সদৃশ অস্ত্র, পুরাতন ম্যাগজিন ১টি, ৭টি কার্তুজ, ৭টি কার্তুজের খোসাসহ অস্ত্র তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।