Tag: ডাক্তার

  • রোগীর সাথে ডাক্তার, নার্স এবং ওয়ার্ড বয়দের দুর্ব্যবহার/ টাকা ছাড়া অক্সিজেন না দেয়ার অভিযোগ স্বজনদের

    রোগীর সাথে ডাক্তার, নার্স এবং ওয়ার্ড বয়দের দুর্ব্যবহার/ টাকা ছাড়া অক্সিজেন না দেয়ার অভিযোগ স্বজনদের

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। বরিশাল ডেস্ক : শাহিন ও শাকিল। তারা দুজনই চট্টগ্রাম নগরীর বাসিন্দা এবং করোনায় আক্রান্ত। উন্নত চিকিৎসা ও ভাল সেবা পাওয়ার লক্ষ্যে গত ৫ দিন ধরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শাহিন। এর আরো ৮ দিন আগে আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন চট্টগ্রামের অপর বাসিন্দা শাকিল।

    তবে আক্রান্ত দুই রোগীর স্বজনরা হাসপাতালের কর্তব্যরত স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে রোগীদের সাথে অহরহ দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছে। তাদের দাবি চিকিৎসাকালে দু’জনই চিকিৎসা সংক্রান্ত সহযোগিতা চাইতে গিয়ে ডাক্তার, নার্স এবং ওয়ার্ড বয়দের দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন।

    নার্স এবং ওয়ার্ডবয়দের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগই বেশি। টাকা না দিলে অক্সিজেন দেন না ওয়ার্ডবয়রা এমন অভিযোগ করেছে অপর এক রোগীর স্বজনও। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে সুশীল সমাজ।

    ভুক্তভোগী এক নারী নাম প্রকাশ না করার সর্তে বলেন, ‘চোখের সামনে অক্সিজেনের অভাবে আমার স্বামী ছটফট করছিল। অনেকে বলছে, টাকা দেন তাইলে পাবেন। যতক্ষণ আমি টাকা না দিছি অক্সিজেন পাইনি। পরে আমার টাকা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিতে হয়েছে।

    শাকিল আহম্মেদ অপর একজন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যতটুকু সেবা পাওয়ার কথা তা পাইনি, পেয়েছি দুর্ব্যবহার।’ অভিযোগগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলে মনে করেন বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা। তিনি বলেন, ‘রোগী ও তার স্বজনের সাথে খারাপ ব্যবহার করাটা কাম্য নয়। বিষয়টির তদন্ত হওয়া দরকার এবং আমরা এর বিচার দাবি করছি।

    এদিকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাদের হাসপাতালের করোনা ইউনিটের রোগীদের নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদানে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, করোনা ওয়ার্ডে তিন শিফটে ১১ জন ডাক্তার, ৩০ জন নার্স এবং ৯ জন ওয়ার্ডবয় কর্মরত থাকেন। হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ৯শরও বেশি রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৬ শতাধিক রোগী সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।

    এরপরও কয়েকজন রোগীর স্বজনদের সাথে আমাদের দু একজন স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে সেবার কাজটি আন্তরিকভাবে করতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি। সূত্র : সময় টিভি

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • সিএমপির উদ্যোগে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু

    সিএমপির উদ্যোগে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস চালু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ ::: চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিস (বিআইটিআইডি), চট্টগ্রামে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে মারছা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড এর সহযোগিতায় চালু হলো ফ্রি বাস সার্ভিস।

    আজ সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে উক্ত কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহাবুবর রহমান।

    ফ্রি বাস সার্ভিসের আওতায় প্রতিদিন দুইটি বাস সকাল ৭টা ও দুপুর ২.৩০ মিনিটে নগরীর কোতোয়ালী, আন্দরকিল্লা, চকবাজার, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২নং গেইট, জিইসি, আগ্রাবাদ, টাইগার পাস, অলংকার, কর্ণেলহাট, বিআইটিআইডি-সলিমপুর ইত্যাদি রুটে যাতায়াত করবে।

    বিআইটিআইডি, চট্টগ্রামে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বাস ড্রাইভার ও হেলপারের সাথে যোগাযোগ করে এই সেবা গ্রহণ করবেন।

    এছাড়াও সেবা গ্রহীতাদের চাহিদা অনুসারে দূরত্ব ভেদে বাড়তি সেবাও প্রদান করা হবে। এর ফলে চলমান পরিস্থিতিতে গণপরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ হলেও বিআইটিআইডি, চট্টগ্রামে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের যাতায়াতে কোন অসুবিধা হবে না।

    এসময় সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এস. এম. মোস্তাক আহমেদ খান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শ্যামল কুমার নাথ, বিআইটিআইডি চট্টগ্রামের পরিচালক ডাঃ এম এ হাসান চৌধুরী, বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) চট্টগ্রাম ডাঃ হাসান শাহরিয়ার কবির, মারছা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড পরিচালক আব্দুল আওয়াল মর্তুজা, মারছা ট্রান্সপোর্ট লিমিটেড এর চেয়ারম্যান মর্তুজা সিদ্দিক সহ পুলিশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • ঢাকা মেডিকেলের ৪ ডাক্তার হোম কোয়ারেন্টাইনে

    ঢাকা মেডিকেলের ৪ ডাক্তার হোম কোয়ারেন্টাইনে

    বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১৪ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদিকে, করোনা সন্দেহে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    বুধবার (১৮ মার্চ) এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ঢামেক অধ্যক্ষ খান মো. আবুল কালাম আজাদ। চারজনই ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক।

    পরীক্ষার পর প্রমাণিত হওয়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার ডাক্তারকে নিজ দায়িত্বে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।

    আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর থেকে ঢামেক হাসপাতালে নিউমোনিয়া, জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি নিয়ে প্রচুর রোগী প্রতিদিন আসছে। এদের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জন রোগীর বক্তব্য শোনার পর তাদের ঢামেকের বাইরে সরকারের বরাদ্দ করা হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ওই রোগীদের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। আর তাদের যেসব চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়েছেন এমন চারজনকে তাই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে কোনো রোগীর হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের।

    এর আগে, সকালে ঢামেকের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন এক জরুরি বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা বৈঠকে করোনা ভাইরাস নিয়ে আলোচনা হয়।

  • সৈয়দপুরে মাত্র ১ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতাল

    সৈয়দপুরে মাত্র ১ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতাল

    শাহজাহান আলী মনন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি ॥ নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি স্থানীয় দখলদাররা কব্জা করেছে। এতে বিপাকে পড়েছে ফাইলেরিয়া রোগীরা। ফাইলেরিয়া নির্মূলের উদ্দেশ্যে সরকার এবং দাতা সংস্থা এই হাসপাতালটি নির্মাণ করে।

    বর্তমানে ফাইলেরিয়া রোগের বিশেষজ্ঞ ছাড়াই এই হাসপাতালটি প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ জন রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতি শুক্রবার এখানে ফাইলেরিয়া রোগের অপারেশন করা হচ্ছে ভাড়াটিয়া ডাক্তার নিয়ে এসে।

    এদিকে ফাইলেরিয়া হাসপাতালটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন অবৈধ দখলদারের হাত থেকে উদ্ধারের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রাণালয়, ডিজি র‌্যাব, স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নীলফামারী জেলা প্রসাশক, সিভিল সার্জন, রংপুরের স্বাস্থ্য বিভাগীয় পরিচালক, বিভাগীয় কমিশনারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন।

    অন্যদিকে আইএসিআইবি’র পক্ষ থেকে হাসপাতালটির পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ পল্লী ডাক্তার এসোসিয়েশন (বিপিডিএ)’র মহাসচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

    আ্যাম্বুলেন্স, অপারেশন থিয়েটার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি অকেজে হয়ে পড়ে আছে। অনেক দামী-দামী জিনিসপত্র ব্যবহার না হওয়ায় মরিচা ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।

    এক সময় হাসপাতালটিতে রংপুর বিভাগের ৮ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসত। এখন দখলদারদেও কারণে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালটির বেড থাকলেও তা ফাঁকা পড়ে আছে। এক সময় বিশ্বের একমাত্র ফাইলেরিয়া হাসপাতালে রোগীর পরিপূর্ণ ও গিজগিজ অবস্থা বিরাজ করলেও এখন তা ভূতের বাড়িতে পরিণত হয়েছে।

    ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগ বাংলাদেশের একটি বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। বিশেষ করে নারীরা এ রোগের কারণে সমাজে নানাভাবে হচ্ছে উপেক্ষিত। কারো কারো সংসারও ভেঙে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন ধরনের ফাইলেরিয়াল প্যারাসাইট বা পরজীবী শরীরে প্রবেশ করলে এ রোগের সৃষ্টি হয়। এ ধরনের পরজীবী একজন রোগী হতে আরেকজন সুস্থ লোকের শরীরে কয়েক প্রজাতির মশার কামড়ে সংক্রামিত হয়। এ রোগের লক্ষণগুলো হলো তীব্র এবং ঘন ঘন কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে যা এমনিতেই সেরে যায়। আক্রান্ত লসিকান্ত্রন্থির প্রদাহের কারণে লসিকা গ্রন্থিতে ব্যথা, লাল হয়ে যাওয়া এবং লসিকা নালী ফুলে যায়। গোদ হলে সাধারণত শরীরের হাত-পা বা পুরুষের অন্ডকোষ, নারীর স্তন ও যৌনাঙ্গ অস্বাভাবিক মোটা হয়ে যায়।

    এ রোগ নির্মূলে সরকারের সমাজসেবা অধিদফতর ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধন নিয়ে কাজ শুরু করেন বাংলাদেশের একমাত্র ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড কিনিক্যাল ইমুনোলজি অব বাংলাদেশ (আইএসিআইবি)।

    ১৯৯৫ সালের ১৫ জানুয়ারি স্বেচ্ছাসেবী ও অলাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠে। এ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জাপান সরকারের অর্থায়নে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছে ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ৬৯.৫ শতাংশ জমির ওপর গড়ে তোলা হয় এ হাসপাতালটি। পরবর্তীতে দাতা সংস্থার দেয়া অনুদানের প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে তিন ও চার তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক মডেলের দুইটি ভবন নির্মাণ করা হয়।

    রংপুর মোসলেম পাড়ার ফাইলেরিয়া রোগী রাসুলা বেগম (৫৫) বলেন, ২০ বছর ধরে এই রোগে ভুগছি। ৫ মাসে এই হাসপাতালে ৪ বার এসেছি। প্রতি মাসে ১৮শ’ টাকার ওষুধ খেতে হয়। রোগ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না। সামান্য একটু ব্যথা কমেছে।

    কর্তব্যরত ডাঃ রায়হান তারেক বলেন, আমার একার পক্ষে এত বড় হাসপাতালের রোগীর চিকিৎসা সেবা দেয়া কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। সরকার যদি ডিপুটেশনে কিছু চিকিৎসক দিত তাহলে এই হাসপাতালটির সেবার মানও বাড়ত। প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক্তার নিয়ে এসে হাইড্রসিল অপারেশন করা হয়ে থাকে।