Tag: ডা. শাহাদাত

  • ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নেওয়া যাবে না: ডা. শাহাদাত

    ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নেওয়া যাবে না: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচনকে চিরবিদায় দিয়েছে আওয়ামীলীগ। তারা আবারো একতরফা নির্বাচনের জন্য সকল শক্তি নিয়োগ করেছে। বর্তমানে দেশ এক ভয়ঙ্কর ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। ভয় আর শঙ্কা মানুষের পিছু নিয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার গ্যারান্টিপত্র আদায় করা হয়েছে। আর এই অবৈধ নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলো সংগ্রাম করছে জনগণের ভোটের জন্য। কিন্তু সরকার জনগণকে হুমকি দিয়ে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে ভোট দেওয়াতে চায়। যেখানে মানুষের মন থেকে ভোট দেওয়ার কোনো আগ্রহ নেই, সেখানে হুমকি দিয়ে সে ভোটে নেওয়া যাবে না। জনগণ একতরফা তামাশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে। ভয় দেখিয়ে মানুষকে ভোট কেন্দ্রে নেওয়া যাবে না।

    তিনি সোমবার (১ জানুয়ারী) সকালে বাকলিয়া বউ বাজার এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে বাকলিয়া থানা বিএনপির গণসংযোগ, মিছিল ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ সরকার দেশের সম্পদ লুট করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মন্ত্রী এমপিদের দুর্নীতির খবর এখন মানুষের মুখে মুখে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলফনামায় মন্ত্রী এমপিদের সম্পদের যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, টিআইবি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাদের লুটের সম্পদের পরিমাণ আরও বহুগুণ বেশি। অবৈধ সরকারের নেতাকর্মীদের সম্পদ বাড়লেও ঋণের বোঝা পড়ছে জনগণের কাঁধে। তাদের হাত থেকে মুক্তি পেতে পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, বাকলিয়া থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি এম আই চৌধুরী মামুন, দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাজী নবাব খান, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান উদ্দিন, মহানগর বিএনপি নেতা নকিব উদ্দীন ভূইয়া, ইসমাইল বাবুল, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল ইসলাম ডিউক, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক খান, বাকলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক দুলাল মিয়া, সদস্য সচিব শামিম আহমেদ প্রমূখ।

  • ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে আওয়ামীলীগের কাউন্সিল বর্জন করুন: ডা. শাহাদাত

    ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে আওয়ামীলীগের কাউন্সিল বর্জন করুন: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন করতে যাচ্ছে। এটি আওয়ামীলীগের অধীনে একতরফা ও ভাঁওতাবাজির নির্বাচন। ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করার নির্বাচন। ঐদিন নির্বাচনের নামে আওয়ামীলীগের দলীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে আওয়ামীলীগের তিন চার জন দলীয় লোকের মধ্য থেকে যেকোন একজনকে এমপি হিসেবে ঘোষণা করা হবে। ঠিক যেমনটা করে দলের কাউন্সিল করে জেলা ও উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। এটা কোনো ভোট নয়। ভোট দিয়ে এই অবৈধ সরকারের ক্ষমতা নবায়নে সহযোগিতা করবেন না। এই নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। তাই ৭ জানুয়ারী নির্বাচনের নামে আওয়ামীলীগের কাউন্সিল বর্জন করুন।

    তিনি রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে বায়েজিদ বোস্তামী মাজার ও শের শাহ এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে বায়েজিদ থানা কৃষক দলের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, বিএনপি সন্ত্রাসী দল নয়, সন্ত্রাসী দল আওয়ামী লীগ। বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে মানুষ পুড়িয়ে মারে আওয়ামী লীগের লোকেরা। কয়েকদিন আগে ভোলায় বোমা বানাতে গিয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসী মারা গেছে। বরিশালে শেখ হাসিনার জনসভায় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মারামারিতে একজন মারা গেছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিন আওয়ামীলীগের মধ্যে সংঘর্ষ হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে পেট্রলবোমাসহ হাতেনাতে ধরা পড়েছে যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। আর দায় চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। আসলে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে নির্মূল করে চিরদিন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখেতে চান। কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, বায়েজিদ থানা কৃষক দলের সভাপতি আমির হোসেন, সি. সহ সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন, সহ সভাপতি জসিম উদ্দীন, ডা. মোহাম্মদ ইউনুছ, তাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আলম কালু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. খলিল, প্রচার সম্পাদক মো. ফেরদৌস, মো. হাসান, আনিসুর রহমান প্রমূখ।

    তাছাড়া রবিবার সকালে বিআরটিসি ও ষ্টেশন রোড় ফলমন্ডি এলাকায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সদস‌্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্ক‌রের নেতৃ‌ত্বে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।

    এতে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি আরেকটি আসন ভাগাভাগির নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া মানুষ এখন গ্রেপ্তারের ভয়ে পলাতক। শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিদিন বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া তালিকানুযায়ী বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে। এভাবে মাফিয়া সরকার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের নামে এই খেলা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বানচাল করা হবে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. শাহ আলম, আলকরন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, বাগমনিরাম ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ফয়েজ, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, কোষাধ্যক্ষ নুর হোসেন উজ্জ্বল, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, মো. রিয়াদ, মাঈনুদ্দীন খান রাজিব।

    এছাড়া মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, নাজিমুর রহমান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এরশাদ উল্লাহ, হারুন জামান, মহানগর বিএনপ নেতা সিহাব উদ্দিন মোবিন, খোরশেদ আলম ও জাফর আহমদের নেতৃত্বে চাক্তাই খাতুন গঞ্জ এলাকায় লিফলেট বিতরণ, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি হাজী হানিফ সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান ও সি. সহ সভাপতি হাসান মুরাদের নেতৃত্বে পশ্চিম গোসাইলডাঙ্গা এলাকায়, আমিন শিল্পাঞ্চল ওর্য়াড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম ও মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ হোসেনের নেতৃত্বে মোহাম্মদ নগর হাউজিং সোসাইটি এলাকায়, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, সহ সম্পাদক মিফতাহ উদ্দীন শিকদার টিটু, বন্দর থানা যুবদলের আহবায়ক শফিউল আজম, সি. যুগ্ম আহবায়ক মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে গোসাইলডাঙ্গা ও আনন্দবাজার এলাকায়, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম খান, সহ সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু, কোতোয়ালী থানা যুবদলের সদস্য সচিব মো. হাসান ও সি. যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে রিয়াজুদ্দিন বাজার তামাকুন্ডি লেইনে, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি আলিফ উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্বে খাজা রোড়, পাক্কা দোকান ও সাবান ঘাটা এলাকায়, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক রবিউল হোসেন রবির নেতৃত্বে নতুন ব্রীজ এলাকায়, ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আগ্রাবাদ এলাকায়, উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ড যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন মানিকের নেতৃত্বে মনছুরাবাদ এলাকায় লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করা হয়।

  • ৭ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে: ডা. শাহাদাত

    ৭ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামীলীগের অবৈধ ক্ষমতার মেয়াদ বাড়াতে পূর্বনির্ধারিত ফলাফল ঘোষণার পাতানো ডামি নির্বাচন নিয়ে জনগণের কোনো আগ্রহ নেই। শেখ হাসিনার ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনে কে জিতবে, তার সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় স্বীকার করেছেন যে, ২০১৮ সালে রাতে ভোট হয়েছিল। এবারের নির্বাচনে বহু এলাকায় ডামি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরাই প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন কীভাবে ১৮ সালে রাতে ভোট ডাকাতি করেছিল। এবারও নির্বাচনকে ঘিরে ভয়ংকর অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো শেখ হাসিনা সরকার আবারও গায়ের জোরে একতরফা ভোটহীন আরও একটি পাতানো নির্বাচনের চেষ্টা করছে। আগামী ৭ জানুয়ারীর ভুয়া নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ ভোট ডাকাতির হ্যাটট্রিক করতে যাচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকার ধ্বংস করার জন্য আওয়ামীলীগ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে স্থান পাবে।

    তিনি শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে মুরাদপুর এন মোহাম্মদ, মির্জা পুল ও শোলক বহর এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে পাঁচলাইশ থানা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, পাতানো নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন, রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রিসাইডিং অফিসার সব একাকার হয়ে গেছে। তারা ছলেবলে কৌশলে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে। কোনো কোনো প্রার্থী হুমকি দিচ্ছে, ভোট কেন্দ্রে না গেলে নাগরিক সুবিধা বাতিল করা হবে। কিন্তু সরকার যত যাই করুক, কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। মাফিয়াচক্রের জন্য অনিবার্য পতন অপেক্ষা করছে। ৭ জানুয়ারি জনগণ শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় করবে। গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন এগিয়ে যাবে, জনগণের বিজয় হবে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইস্কান্দার মির্জা, পাঁচলাইশ থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ূন, শোলক বহর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাজী শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক হাসান উসমান চৌধুরী, মহানগর বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, থানা বিএনপির সহ সভাপতি লেদু মেম্বার, আবদুল মান্নান, শাহজাহান বাবুল, পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সি. যুগ্ম সম্পাদক এম এ হামিদ দিদার, শোলক বহর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. হাসান, তৌহিদুল ইসলাম রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকবর, মহানগর যুবদল নেতা আলিফ উদ্দিন রুবেল, মো. সেলিম প্রমূখ।

    এছাড়া মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আবদুল হালিম শাহ আলমের নেতৃত্বে লালখান বাজার ইস্পাহানি মোড়, মতিঝর্ণা কাঁচা বাজার, বাটালী রোড ও টাইগার পাস এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন মহানগর যুবদলের কোষাধক্ষ নূর হোসেন উজ্জল, থানা বিএনপি নেতা জানে আলম বাচা, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো, জাবেদ। তাছাড়া উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইন্জি. বেলায়েত হোসেন, জেলা বিএনপি নেতা আজমত আলী বাহাদুর, গাজী হানিফ, মোশারফ হোসেন আকবর, এম এ হালিমের নেতৃত্বে রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় ও মহানগর মহিলাদলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনির নেতৃত্বে রামপুর ওয়ার্ডের নয়াবাজার এলাকায় মহিলাদলের লিফলেট বিতরণ, আকবর শাহ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাঈনুদ্দীন চৌধুরী মাঈনু ও কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রফিক উদ্দীন চৌধুরীর নেতৃত্বে কাট্টলী কমিউনিটি সেন্টার ও বিশ্বাস পাড়া এলাকায় লিফলেট বিতরণ করা হয়। এতে অংশ নেন আকবর শাহ থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি মহসীন তালুকদার, কাট্টলী ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, মহানগর যুবদলের সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, থানা যুবদলের আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন টুনু, নগর ছাত্রদলের সদস্য আব্বাস রিপন, মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, পাহাড়তলী থানা যুবদলের সদস্য সচিব শওকত খাঁন রাজু ও বন্দর থানা যুবদলের সি. যুগ্ম আহবায়ক মো. ইয়াছিনের নেতৃত্বে পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ও বন্দর নিমতলা এলাকায়, মহানগর যুবদলের সি. যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনের নেতৃত্বে চান্দগাঁও বণিক পাড়া ও উত্তর চান্দগাঁও এলাকায়, খুলশী থানা যুবদলের আহবায়ক হেলাল হোসেন ও নগর যুবদলের সহ সম্পাদক হোসেন উজ জামান, আবু কালাম, বাদশা আলমগীর ও জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ফয়েস লেক এলাকায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক এম. আবু বক্কর রাজু, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি ও সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামানের নেতৃত্বে বহদ্দারহাট এলাকায়, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চৌধুরী ও খুলশী থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মিল্টনের নেতৃত্বে বড়পুল ও নয়াবাজার এলাকায়, কোতোয়ালী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এন মোহাম্মদ রিমনের নেতৃত্বে গনসংযোগ ও লিফলেট বিতরন করা হয়।

  • জনগণ পাতানো নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না: ডা. শাহাদাত

    জনগণ পাতানো নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, নির্বাচনের নামে দেশে এখন চরম তামাশা চলছে। অবৈধ সরকারের গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাজ করছে। নির্বাচন কমিশনাররা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি কথা বলেন। তাদেরকে হাছান মাহমুদের চাইতেও বেশি আওয়ামী অনুগত বলে মনে হয়। কোন আসনে কে নির্বাচন করবে তাও ঠিক করে দিয়েছে কমিশন। যাকে রাখার দরকার তাকে রেখে বাকীদের মনোনয়ন বাতিল করে দিয়েছে। এ রকম প্রহসনের নির্বাচন খেলা বন্ধ করুন। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। তা না হলে জনগণ আপনাদের ছাড়বে না। জনগণ পাতানো নির্বাচনের ফাঁদে পা দেবে না।

    তিনি বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে চান্দগাঁও বাহির সিগনাল এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে চান্দগাঁও থানা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস শ্রমিক, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান

    তিনি বলেন, সাজানো একতরফা নির্বাচনের নামে দেশকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। আজকে দেশের উৎপাদনমুখী সকল সেক্টর চরম হুমকিতে পড়েছে। আমদানি রপ্তানি প্রায় বন্ধ। লুটপাটের কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে মানুষ এখন দিশেহারা। শাক সবজি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্য এখন মাুনষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। গরীব মানুষগুলো একবেলা পেট ভরে খেতে পারছে না। অনাহারে, অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে তারা। এ অভুক্ত জনগণের রোষানল থেকে আপনারা বাঁচতে পারবেন না।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, সদস্য মাহবুবুল আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু, মহানগর বিএনপির সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক আব্দুল আজিজ, চান্দগাঁও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, মহানগর বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর রাজু।

  • জনগণ ‘আমি আর ডামি’ ভোট প্রত্যাখান করবে: ডা. শাহাদাত

    জনগণ ‘আমি আর ডামি’ ভোট প্রত্যাখান করবে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিএনপি বিহীন আসন ভাগাভাগির পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের এই নির্বাচনে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ নেই। নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের উৎসবের বদলে চারিদিকে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। চট্টগ্রাম এখন আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। আওয়ামীলীগ গণতান্ত্রিক বিশ্বকে তথাকথিত ভোটের উৎসব দেখানোর জন্য ভোটারদের নির্যাতন করছে। সাধারণ মানুষকে জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকা ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নামানো হয়েছে “আমি আর ডামি”র পাতানো ভোটে। সরকারি কর্মকর্তারাও নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু এসব করেও তারা ভোটারের সাড়া পাচ্ছে না। জনগণ ‘আমি আর ডামি ভোট’ প্রত্যাখান করবে।

    তিনি বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে আতুরার ডিপু বাজার এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে বায়েজিদ থানা বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস শ্রমিক, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সরকারের সমর্থক ব্যক্তিদেরকে নিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সরকার। জনগণের প্রার্থী বাছাইয়ের কোন সুযোগ নেই। যাকেই ভোট দেয়া হোক না কেন, তিনিই হবেন সরকারি দল সমর্থক ব্যক্তি। যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই এমন একটি নির্বাচনী খেলা জনগণ চায় না। চায় না বলেই জনগণ এ নির্বাচন বর্জন করেছে। আমরা সে কারণেই জনগণের প্রতি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছি। প্রহসনের নির্বাচন করে জনগণের প্রতিরোধে টিকে থাকতে পারবে না সরকার।

    আবু সুফিয়ান বলেন, যে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়, ভোট দিতে দেয় না, নিত্য নৈমত্তিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, দেশের সম্পদ লুটপাট করে। আমরা এমন সরকারকে অসহযোগিতা করতে দেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়ে শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। সরকারের শত নির্যাতন নিপীড়নের পরেও আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক জি এম আইয়ুব খান, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, জালালাবাদ ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি মো. বেলাল, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, থানা বিএনপির সহ সভাপতি মফজল আহমেদ কোম্পানি, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সওদাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফোরকান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আব্দুস সবুর, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম কালু, কোষাধ্যক্ষ বেলাল সর্দার, জালালাবাদ ওয়ার্ড় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক জসিম উদ্দিন, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড় বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন জুয়েল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রচার সম্পাদক আকবর হোসেন মানিক, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক এম এ হাসান বাপ্পা, বিএনপি নেতা মো. ইকবাল, বায়েজিদ থানা সেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব কাজি মহিউদ্দিন, ছাত্রদলের আহবায়ক এস এম নোমান, থানা যুবদলের সদস্য মো. রুবেল, সাজ্জাদ হোসেন সাজু, থানা সেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক এমদাদুল হক, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড় যুবদল নেতা সাব্বির, সেচ্ছাসেবকদল নেতা গিয়াস উদ্দিন, থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক রাফি আহমেদ রাব্বি, আল হানিফ, সদস্য মামুন প্রমুখ।

  • নির্বাচন কমিশন এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে: ডা. শাহাদাত

    নির্বাচন কমিশন এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানে ভোট দেওয়া যেমন অধিকার, তেমনি ভোট না দেওয়াও মানুষের মৌলিক অধিকার। ভোট দেওয়ার জন্য কাউকে বাধ্য করা যাবে না। কিন্তু নৌকা ও ডামির প্রার্থীরা ভোট দিতে না গেলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। যারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না, তাদের বাড়িছাড়া করা হবে হুশিয়ার করছে। সরকারি উপকারভোগীদের কার্ড জমা নেওয়া হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দিচ্ছে। গায়েবি নাশকতা মামলার ভয় দেখানো হচ্ছে। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনাররা জেল জরিমানার হুমকি দিচ্ছেন। তারা প্রতিদিন গণভবন থেকে আসা ফরমান ঘোষণা করছেন, আর বিএনপিকে শায়েস্তার হুমকি দিচ্ছেন। একতরফা নির্বাচন করে তারা এখন জনগনের প্রতিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন এখন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

    তিনি মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চকবাজার কাঁচা বাজার এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

    আওয়ামীলীগের ওবায়দুল কাদেরের “৭ জানুয়ারী ফাইনাল খেলা হবে” বক্তব্যের উল্লেখ করে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আবাহনী মোহামেডান ক্লাবের মধ্যে হলেই দর্শক খেলা দেখতে আসে। শেখ কামাল আর শেখ জামাল স্মৃতি সংসদের খেলা দেখতে জনগণ আসবেনা। আওয়ামী লীগের আসন ভাগাভাগীর একতরফা ডামি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। যতই কেরামতি করেন, ভোটকেন্দ্রে ভোটার পাবেন না।

    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য ভোটারদের বাধ্য করতে নির্যাতনের পথ বেছে নিয়েছে সরকার।আওয়ামীলীগের একগুঁয়েমি দেশকে এক অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। জনগণের মৌলিক অধিকারের দাবিতে লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির শতশত নেতাকর্মীকে আটক করে নির্যাতন করছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ দেশে একদলীয় নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। তারা নীলনকশার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশকে বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। কিন্তু জনগণ তাদের সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেবে না।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মন্জুর আলম মন্জু, পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. এমরান উদ্দিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করুন: ডা. শাহাদাত

    আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করুন: ডা. শাহাদাত

    জনগণের ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার হরণকারী একতরফা আসন ভাগাভাগির তামাশা পূর্ণ ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

    তিনি বলেন, অবৈধ সরকার জনমতের বিরুদ্ধে নির্বাচনের নামে যে তামাশা করতে যাচ্ছে, সেই সরকারকে সহযোগিতা করা কোনো দেশপ্রেমিক গণতন্ত্রকামী নাগরিকের জন্য উচিত হতে পারে না। তাই ৭ জানুয়ারি ডামি ভোটের নির্বাচন বর্জন করুন। ভোট গ্রহণে নিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দায়িত্ব পালনে বিরত থাকুন। সরকারকে সকল প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল ও অন্যান্য প্রদেয় স্থগিত রাখুন। ব্যাংকগুলো সরকারের লুটপাটের অন্যতম মাধ্যম বিধায় ব্যাংকে লেনদেন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

    তিনি বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রবর্তক মোড় ও মেডিকেল এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।

    এতে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশে এখন আসন ভিক্ষা করার রাজনীতি চলছে। যে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে সেটি আসলে বিরোধী দল খোজার নির্বাচন। সরকারের তৈরি কিংস পার্টগুলো সরকারের কাছে আবদার করছে বিরোধী দল হওয়ার জন্য। এটি জাতির জন্য লজ্জাজনক। এটি একটি প্রহসনের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই ধরনের নির্বাচন দুর্নীতিবাজদের জন্য। পার্থীদের হলফনামা দেখলে বুঝা যায় কিভাবে তাদের সম্পদ বেড়েছে। এই নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করছে, তারা চিরকালের জন্য মীরজাফর এবং দালালে পরিণত হবে।

    তিনি এই মুহূর্ত থেকে অবৈধ আওয়ামী সরকারকে অসহযোগিতা করার জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহবান জানান।

    এসময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, রাষ্ট্র শক্তিকে ব্যবহার করে নিজেরা নিজেরা ডামি নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বাহাদুরি করার কিছু নেই। জনগণ এ ধরণের একতরফা নির্বাচনকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। অবৈধ সরকার সরকার একটি একতরফা নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করছে। এটা একটা প্রতারণা ও জনগণের সঙ্গে তামাশা করার নির্বাচন। এই নির্বাচন দেশে বিদেশে কারও কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, চকবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, শোলক বহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাসান ওসমান চৌধুরী, আন্দরকিল্লা ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবুল বশর, বাগমনিরাম ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী আবু ফয়েজ, চবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শহীদ, চবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান প্রমূখ।

  • সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনেও সরকার নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে: ডা. শাহাদাত

    সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনেও সরকার নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনেও সরকার নগ্ন হস্তক্ষেপ করেছে।দেশে একদলীয় শাসন চলছে। সরকার মুখে গণতন্ত্রের বুলি শুনায়।কিন্তু সমস্ত কর্মকাণ্ড একদলীয় ও একপেশী। আজকে সারা বিশ্ব দেখেছে সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে কি হয়েছে? সুপ্রিমকোর্টে বিএনপি’র সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের লাঞ্ছিত করেছে এবং সাংবাদিকদের পিটিয়ে বের করে দিয়েছে। এই সরকার একটি ফ্যাসিস্ট সরকার। আমরা মহানগর বিএনপি’র পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচনে নির্বাচন চলা কালে নেক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। এই সরকারকে আন্দোলনের মাধ্যমে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। এই সরকারের অধীনে যতগুলি নির্বাচন হয়েছে সবগুলো একদলীয় নির্বাচন। আমরা বলতে চাই দেশের গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে আওয়ামী সরকার।
    তিনি আজ ১৫ ই মার্চ, বুধবার, বিকেলে দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন মাঠে নগর বিএনপি’র উদ্যোগে আয়োজিত আগামী

    ১৮ মার্চ কেন্দ্রীয় ঘোষিত সমাবেশের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, রোজা অতি সন্নিকটে। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে আজ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। মাছ, মাংস, সবজি থেকে সব কিছু মূল্য চরম ঊর্ধ্বগতিতে। দেশের জনগণ নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছে।

    এখনো পর্যন্ত সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। সরকার ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট লালন পালন করছে। এই সরকার অনির্বাচিত সরকার।তাই এই সরকার জনগণের দুর্দশার কথা চিন্তা করছে না। তারা চিন্তা করছে কিভাবে আবারও ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। অবিলম্বে রমজান আসার আগেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করুন। অন্যতায় জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি রাজপথে থাকবে।

    প্রস্তুতি সভায় কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন ব‌লেন,দেশের সবকিছু আজ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সরকার কোন কিছু সামাল দিতে পারছে না। রাষ্ট্র ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। তবুও সরকার জনগণের কথা ভাবছে না। দেশের মানুষের নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছে। এই সরকারে দয়া মায়া বলতে কিছুই নেই। এই নিষ্ঠুর সরকারের পতন হলেই জনগণ স্বস্তি পাবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির সদস‌্য স‌চিব আবুল হা‌শেম বক্কর ব‌লে‌ছেন, নির্লজ্জভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী আওয়ামী সরকার এখন ফ্যাসিবাদের চরম মাত্রায় এসে উপনীত হয়েছে। তারা বরাবরই গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার চেতনা ধ্বংস করেছে। লুটপা‌টের মাধ‌্যমে দে‌শের অর্থনী‌তি ধ্বংস ক‌রে দি‌য়ে‌ছে। এই সরকা‌রের অ‌ধি‌নে সুষ্ঠ ও গ্রহনযোগ‌্য নির্বাচন হ‌তে পা‌রেনা। জাতীয় নির্বাচনেই শুধু ভোট চুরি করেনি, সুপ্রিম কোর্ট বারে, ঢাকা বারসহ সর্বত্র ভোট চুরি করছে। যেখা‌নে সু‌প্রিম কো‌র্টের বা‌রের নির্বাচ‌নে তো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা প‌রিবর্তন হয়না, তাহ‌লে ক্ষমতা প‌রিবর্ত‌নের নির্বাচ‌নে আওয়ামী লীগ কি কর‌বে তা বুঝাই যা‌চ্ছে।সরকারের সব অপকর্ম ও অপশাসনের অবসান ঘটাতে জনগণকে ঐক‌্যবদ্ধ ক‌রে রাজপ‌থে আ‌ন্দোল‌নের মাধ‌্যমে এই ফ‌্যা‌সিষ্ট সরকা‌রের পতন ঘটা‌তে হ‌বে।আগামী ১৮ মার্চ শনিবার বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ঘোষিত ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সমাবেশ সফল করতে হবে এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সমাবেশে যোগদান করতে হবে।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ কামরুল ইসলা‌মের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য হারুন জামান, হাজী মো. আলী, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, শ্রমিক দ‌লের শেখ নূরউল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মো. আজম, আবদুল্লাহ আল হারুন, ডা. নুরুল আবছার, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মো. শাহাবুদ্দীন, আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, শ্রমিকদলের শম জামাল উদ্দিন, তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের আহবায়ক মো. আলমগীর, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, তাঁতী দ‌লের আহবায়ক ম‌নিরুজ্জমান টিটু, ছাত্রদ‌লের আহবায়ক সাইফুল আলম,ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, এস এম মফিজ উল্লাহ, আবদুল্লাহ আল ছগির, ইসমাইল বালী, ফয়েজুল ইসলাম, হাজী মো. ইলিয়াছ,কাজী শামসুল আলম, জমির আহমদ, জাহিদ মাষ্টার, মন্জুর আলম মন্জু, মো. সেকান্দর, ইলিয়াছ চৌধুরী, ফারুক আহমদ, মো. ইলিয়াছ, রফিক উদ্দিন চৌধুরী, মো. বেলাল, মো. আসলাম, মো. হারুন, এড, এফ এ সেলিম, শরিফুল ইসলাম, মোশারফ জামাল, হাজী মো. মহসিন, এস এম জামাল উদ্দিন জসিম, রাসেল পারভেজ সুজন,শায়েস্তা উল্লাহ চৌধুরী, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, সাব্বির আহম্মেদ, সিরাজুল ইসলাম মুন্সী, এম এ হালিম বাবলু, হাজী এমরান উদ্দীন, ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, আবু সাইদ হারুন,হাবিবুর রহমান চৌধুরী, হাসান ওসমান চৌধুরী, আলী হায়দার, জসিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া, ফ‌রিদুল আলম, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, মো. হাসান,এস এম আজাদ, কামরুল ইসলাম, শফি মেম্বার, মাসুদুল কবির রানা, ফিরোজ খান, মামুন আলম প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • এদেশের মানুষ স্বৈরশাসন কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও মেনে নিবে না: ডা শাহাদাত

    এদেশের মানুষ স্বৈরশাসন কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও মেনে নিবে না: ডা শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হো‌সে‌ন বলেছেন, ১৯৫২ সালে ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ভাষা ফিরে পেয়েছি। এই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ৫২’র ভাষা শহীদরা ততদিন আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটি ভাষা দিবস হিসেবে শুধু আমরা পালন করছি না। ২১শে ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই দিনের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের স্বপ্ন, তার জন্ম এবং ঐতিহ্যের নানা কথা। সেই ইতিহাসে রয়েছে আত্মত্যাগ, নিরলস সংগ্রাম এবং হার না মানা মনোভাব।

    তিনি আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জা‌তিক মার্তৃভাষা দিবস উপল‌ক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির উদ্যোগে শহীদ মিনারে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন পূর্বক সমাবেশ সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হো‌সে‌ন বলেন, ভাষা আন্দোলনের পর মুক্তিকামী বাঙালি জনতা দেশ বিভাগের স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয় মাস স্বাধীনতা সংগ্রামের পর বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু মহান স্বাধীনতার সংগ্রামের ঘোষণা পত্রের মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায় বিচার আজও অধরা। আজ দেশের গণতন্ত্র, মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়বিচার বলতে কিছুই নেই। এখনও পর্যন্ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য,ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। বাংলাদেশের মানুষ স্বভাবজতভাবেই গণতন্ত্র প্রিয়। বীরের জাতি। এদেশের মানুষ স্বৈরশাসন কখনো মেনে নেয়নি। ভবিষ্যতেও মেনে নিবে না। দেশবাসী গণতন্ত্রের জন্য জেগে উঠেছে। সেই দিন আর বেশি দূর নয়। অচিরেই সকল অপশাসনের অবসান হবে। গণতন্ত্রের বিজয় নিশান উঠবে।

    পুস্পস্তবক অর্পনকা‌লে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এস কে খোদা তোতন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, ম‌হিলা দ‌লের ফা‌তেমা বাদশা, ম‌নোয়ারা বেগম ম‌নি, তো‌তোয়ালী থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা মো. আলী মিটু, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, আবদুল বাতেন, আজাদ বাঙ্গালী, ইউসুফ সিকদার, স‌কিনা বেগম, শ্রমিকদলের শ. ম. জামাল তাহের আহম্মেদ, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, মহানগন ছাত্রদা‌লের আহবায়ক মো. সাইফুল আলম, সদস‌্য স‌চিব শ‌রিফুল ইসলাম তুহীন, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, আলাউদ্দিন আলী নুর, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম বাবলু, সৈয়দ আবুল বশর,আলী হায়দার, জসিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন আরজু, মনজুর মিয়া, জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমূখ।

  • সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে সরকার: ডা.শাহাদাত

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে সরকার: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে এই সরকার। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। আজ গণমাধ্যম কথা বলতে পারে না। গণমাধ্যমের কোন সাংবাদিক সরকারের সমালোচনা করে কোন প্রতিবেদন চাপালেই তার বিরুদ্ধে আইসিটি এক্ট নামে কালো আইনের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আজকে এই কাল আইনের কারণে সাংবাদিকরা সঠিক সংবাদ প্রচার করতে পারছে না। তেমনি ভাবে গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকার একদলীয় ভাবে দেশ শাসন করছে। কেউই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই তার বিরুদ্ধে মামলা, নির্যাতন নিপীড়ন শুরু হয়। এই সরকার একদলীয় ভাবে ফ্যাসিস্ট কায়দায় দেশ শাসন করছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারা অন্তরীন রেখেই এই সরকার নিশি রাতের ভোটের মাধমে এক দলীয়ভাবে ক্ষমতায় এসে দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করেছে। আজ দেশকে একটি তলাবিহীন জুড়িতে পরিণত করেছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে পচার করেছে এই সরকার।

    তিনি আজ ১৪ ফেব্রুারি (মঙ্গলবার) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ব্যয় সংকোচনের কথা বলে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়ে মানুষের জীবন যাপন দুর্বিষহ করে তুলেছে। দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সব কিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। সেদিকে সরকারের কোন নজর নেই। কিন্তু এই সরকার বিএনপি, যুবদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে জনগণের এই মৌলিক অধিকারের আন্দোলন দমনে ব্যস্ত। বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী তাল্লাসী চালিয়ে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে সরকার। তারা শান্তির কথা বলে অশান্তি সৃষ্টি করছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আন্দোলন কখনো স্তব্ধ করা যায় না এবং এগুলো করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী সহ সকল রাজবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামীগ বিএনপির জনসম্পৃক্ত কর্মসুচির ভয়ে ভীত হয়ে তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, সন্ত্রাসকে তারা উসকে দিচ্ছে। যে রাজনৈতিক দল পাল্টা কর্মসূচি দেয়, বুঝতে হবে তারা একদম দেউলিয়া হয়ে গেছে। অবৈধ ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সরকার একদিকে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সন্ত্রাসকে উসকে দিচ্ছে অন্যদিকে প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনিিপ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার অব্যহত রাখছে। মামলা হামলা গ্রেফতার অব্যহত রেখে আওয়মী সরকারের শেষ রক্ষা হবেনা। নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তীকে গ্রেফতার করে যুবদলে গণতান্ত্রিক আন্দোলকে স্তব্দ করার চেষ্টা করেছে। আজকের সমাবেশ প্রমান করে যুবদল দমে যায়নি বরং আরো শক্তিশালী হয়ে রাজপথে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে মোশারফ হোসেন দিপ্তীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও মোশাররফ হোসেন দিপ্তীসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবী জানাচ্ছি। এই ফ্যাসিবাদী সরকার হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে এই আন্দোলনকে থামানো যাবে না। এখন শেখ হাসিনার পতন কোন ভাবেই থামানো যাবে না। যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে আর থামিয়ে দেয়া যাবে না। এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। গতিশীল করতে হবে। দেশ বাঁচাতে, জনগণ ও গণতন্ত্র বাঁচাতে চলমান এই আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলন করছি।এই আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের সামিল হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন ফ্যাসিবাদী সরকার দমন পীড়ন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। আমরা বাংলার জনগণকে সাথে নিয়ে সরকারের সকল অপকর্মের সমুচিত জবাব দিব।

    নগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, সদস্য এডভোকেট মফিজুলক ভূঁইয়া,বক্তব্য রাখেন, নগর যুবদলের সহ সভাপতি আজমল হুদা রিংকু, নূর আহমদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল করিম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, মুহাম্মদ মুসা, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, হাসান মুরাদ, মুজিবুর রহমান, আবু সুফিয়ান, অরূপ বড়–য়া, মোহাম্মদ আলী সাকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম, হুমায়ুন কবীর, মো. সেলিম, ইকবাল পারভেজ, এরশাদ হোসেন, মো. তাজুল ইসলাম তাজু, আবদুর হামিদ পিন্টু, দীপংকর ভট্টচার্য, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, জিয়াউল হুদা জিয়া, শাহীন পাটোয়ারী, এস এম ফারুক, রাজন খান, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, কামাল পাশা, আসাদুর রহমান টিপু, জাহাঙ্গীর আলম বাচা, ওসমান গণি, শাহজালাল পলাশ, মুজিবুর রহমান রাসেল, আহাদ আলী সায়েম, জাফর আহমদ খোকন, মো. ইয়াছিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মদ সাগীর, মো. জসিম উদ্দিন সাগর,

    মো. আলাউদ্দিন, গাজী ফারুক, মোহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মো. নুরুল আমিন, মো. ইকবাল, ওমর ইমতিয়াজ টিটু, মো. নওশাদ, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক বৃন্দ আতিকুর রহমান, মো. কামাল উদ্দিন, মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জ্যোতি বড়–য়া, কামরুল ইসলাম, জিয়াউল হক মিন্টু, মঞ্জুরুল আলম, মোহাম্মদ হাসান, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, হামিদুল হক চৌধুরী, মো. আনোয়ার হোসেন আনু, আরিফ হোসেন, ইয়াছিন আজাদ, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, মো. আবুল কালাম, মো. সালাহ উদ্দিন, আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, মো. জসিম উদ্দিন, হাফেজ কামাল উদ্দিন, রুবেল বড়–য়া, মো. সিরাজুল ইসলাম সিকদার, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুদ্দিন যুবরাজ, ফারুক হোসেন স্বপন,মো. ইদ্রিছ, গুলজার হোসেন মিন্টু, ইলিয়াছ হাসান মঞ্জু, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, হোসেন উজ্জামান হোসেন, নুর জাহেদ বাবলু, এ কে আজাদ, মো. ইব্রাহিম খান, মো. সাইদুল ইসলাম, মিফতাহ উদ্দিন সিকদার টিটু, মো. ইউসুফ, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, নগর যুবদলের সদস্য আফসার উদ্দৌলা অপু, শাখাওয়াত হোসেন টিপু, লতিফুর বারী সুমন, আইয়ুব আলী, শাবাব ইয়াজদানী, মাহাবুব খান জনি, মো. কলিম উল্লাহ, সোহাগ খান, সাইদুল হক সিকদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. আকবর হোসেন, সাব্বির ইসলাম ফারুক, আবদুল করিম, আজিজ চৌধুরী, শাখাওয়াত কবীর সুমন, থানা যুবদলের আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন টুনু, শফিউল আজম, বজল আহমদ, মোশাররফ আমীন সোহেল, ইসমাঈল হোসেন লেদু, হোসনে মোবারক রিয়াদ, মো. খোরশেদ, মো. সেলিম, মো. ইসমাঈল, সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, মো. হাসান, শওকত খান রাজু, তাজ উদ্দিন তাজু, ইলিয়াছ খান, এ জে এম সোহেল, হাবিবুল্লাহ খান রাজু, সারোয়ার হোসেন, মো. রাশেদ, মুশফিকুর রহমান নয়ন, থানা যুবদলের সি: যুগ্ম আহবায়ক আবদুল জলিল, মো. ইয়াছিন, সাইফুল আলম রুবেল, খালেদ সাইফুল্লাহ, সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম, মো. সোহেল, ইউনুছ মুন্না, সফিকুর রহমান, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, এস এম আলী, মো. আকতার, মোহাম্মদ ইউনুছ, মো. সাইফুল আলম, মো.মুজাহিদ, বাদশা আলমগীর, মনসুর আলম, জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাসান, মো. সাদেক, আবু বক্কর বাবু, মো: আবু তৌহিদ, মো. জাবেদ, মো. শাহবাজ, মো. সাইফুল ইসলাম, রাসেল খান, দেলোয়ার হোসেন ও আবদুল্লাহ আল ফিরোজ টিপুসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব চলছে: ডা. শাহাদাত

    দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব চলছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব চলছে। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্নীতিতে দ্বিতীয় স্থান হয়েছে। এটা বাংলাদেশী জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক। সরকার বেসামাল হয়ে বিদ্যুতের মূল্য আবারো বৃদ্ধি করেছে। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আবারও হুহু করে বাড়ছে।বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন বন্ধ এবং কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া আর কোন পথ নেই। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম দফায় দফায় বাড়ছে, প্রত্যেকটি জিনিসের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ সীমাহীন দুর্ভোগকে পড়েছে। ব্যাংকে গেলে মানুষকে টাকা দিতে পারেন না। লুটপাটের কারণে ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, মানুষের প্রতি এদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবীতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রঘোষিত বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে চট্রগ্রাম বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে হবে। চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে ও এই সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের প্রতিবাদে মহানগর যুবদলকে মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগদান করার প্রস্তুতি নিতে হবে।

    অবিলম্বে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, যুবদল নেতা মুসাসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন গ্যাস ও বিদ্যুতের অতিরিক্ত দাম নিয়ে সংসারের হিসাব সমন্বয় করতে তারা গলদঘর্ম হচ্ছেন। গত একবছরে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, বহু পরিবারে শুধু বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল বাবদ খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষ। আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের নির্যাতন, রাজবন্দীদের মুক্তি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কমানোর জোর দাবী জানাচ্ছি।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, আওয়ামীলীগের আর সময় নেই। নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীসহ যুবদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কোন কিছুতেই আন্দোলন থামানো যাবে না। চলমান আন্দোলন সর্বত্র চলছে, চলবে। আরও হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার করলেও শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, যুবদল নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে নিলেও আন্দোলন বন্ধ হয়নি বরং আরো তীব্রতর হয়েছে। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কেউ বন্ধ করতে পারবে না।

    নগর যুবদলের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, জসিমুল ইসলাম কিশোর, অরূপ বড়–য়া, মোহাম্মদ আলী সাকী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, মো. সেলিম উদ্দিন, মো. এরশাদ উল্লাহ, আবদুল হামিদ পিন্টু, দীপংকর ভট্টাচার্য, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, মো. জসিম উদ্দিন সাগর, মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, মহিউদ্দিন মুকুল, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক বৃন্দ আতিকুর রহমান, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, কামরুল ইসলাম, সাহেদুল ইসলাম, জিয়াউল হক মিন্টু, মোহাম্মদ নওশাদ, হাফেজ কামাল উদ্দিন, মোঃ সালাউদ্দীন, সাইফুদ্দিন যুবরাজ, ফারুক হোসেন স্বপন, আবু বক্কর সিদ্দিকী আবু, গুলজার হোসেন মিন্টু, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, মোঃ ইদ্রিস, হোসেন উজ জামান, মিফতাহ উদ্দিন সিকদার টিটু, মোহাম্মদ ইউসুফ, আবুল কালাম আবু, মো. বেলাল, সদস্য সাইদুল হক সিকদার, শাবাব ইয়াজদানী, থানা যুবদলের আহবায়ক ইসমাঈল হোসেন লেদু, মো. সেলিম, মোশাররফ আমিন সোহেল, মো. ইসমাইল, সদস্য সচিব মো. হাসান, শওকত খান রাজু, তাজ উদ্দিন তাজু, মো. সরওয়ার, আ জ ম সোহেল, মনজুরুল আলম মঞ্জু, হাবিব উল্লাহ খান রাজু, মো. রাশেদ, সি: যুগ্ম আহবায়ক আবদুল জলিল, সাইফুল আলম রুবেল, শাহেদ খান পারভেজ, ইউনুছ মুন্না, মোঃ মিল্টন, ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ হাসান, মোহাম্মদ জাবেদ, মো. আকতার, মো. আবু তৌহিদ, রাসেল খান, আবদুল্লাহ আল ফিরোজ টিপুসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • নাশকতার ২ মামলায় ডা. শাহাদাতের জামিন

    নাশকতার ২ মামলায় ডা. শাহাদাতের জামিন

    ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে কারাগারে পাঠানাের প্রতিবাদে মেহেদীবাগ এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার অভিযােগ এনে চকবাজার থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় জামিন পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হােসেন।

    সোমবার (১৬ মে) সকালে চট্টগ্রামের ৫ম অতিরিক্ত দায়রা জজ নার্গিস আক্তারের আদালতে তিনি স্বশরীরে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।

    এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৩ মে) এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন চট্টগ্রামের ৫ম অতিরিক্ত দায়রা জজ নার্গিস আক্তারের আদালত সময়ের আবেদন না মঞ্জুর করে ডা. শাহাদাতের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরােয়ানা জারি করেন।

    দুপুরে অপর আদালতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির সমাবেশে পুলিশের হামলা ও কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় আইনজীবী অসুস্থ থাকায় সময়ের আবেদন করেন। চট্টগ্রাম জেলা দায়রা জজ আবদুল আজিজ ভূঁইয়া আগামী ২৬ মে পর্যন্ত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।

    আসামী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এড. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, এড. এ এস এম বদরুল আনোয়ার, এডভোকেট এনামুল হক, এড. আবদুস সাত্তার, এড. নাজিম উদ্দীন চৌধুরী, এড. মফিজুল হক ভুইয়া, এড. ইফতেখার মহসিন চৌধুরী, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, এড. আহমেদ কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ, এড. নেজাম উদ্দীন খানসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী।

    উল্লেখ্য, চকবাজার থানায় পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলায় ২০১৯ সালের ২১ মার্চ তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।