Tag: ডিএমপি

  • আদালতের নির্দেশনার পর আর আন্দোলনের অবকাশ নেই : ডিএমপি

    আদালতের নির্দেশনার পর আর আন্দোলনের অবকাশ নেই : ডিএমপি

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ: মহিদ উদ্দিন বলেছেন, কোটা নিয়ে গতকাল বুধবার আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আর কোটা নিয়ে আন্দোলনের কোনও অবকাশ নেই। আমরা অনুরোধ করব, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আর নতুন করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কর্মসূচি দেবেন না, অন্তত এই চার সপ্তাহ। এরপরেও যদি আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।

    বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আয়োজিত জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

    সমসাময়িক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    মহিদ উদ্দিন বলেন, গত ১ জুলাই থেকে শাহবাগসহ বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনের কারণে যানবাহন, মানুষের চলাফেরা ও জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি বদ্ধপরিকর। আমরা চেষ্টা করেছি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য, সহনশীল আচরণ করেছি।

    তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রসমাজের ব্যানারে গত ৬ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেছেন। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন। সাধারণ মানুষ, অ্যাম্বুলেন্স, বিভিন্ন সেবা প্রতিষ্ঠান, ফায়ার সার্ভিস, বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আমরা শুরু থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি, যেন সবকিছু স্বাভাবিক থাকে।

    তিনি আরও বলেন, আন্দোলনের ব্যাপারে হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে কোটা ব্যবস্থা থাকবে না মর্মে পরিপত্র জারি করা হয়েছিল। সেটির ব্যাপারে গত ৫ জুলাই একটি রায় আসে। এরপর বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হয়। আপিল বিভাগ থেকে চার সপ্তাহের জন্য সেই নির্দেশনা স্থগিত করা হয়েছে। অর্থাৎ জনপ্রশাসনের সেই পরিপত্র বলবৎ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একত্রিত হয়ে নতুন করে আন্দোলন করার আর কোনও অবকাশ বা প্রয়োজন আছে বলে মনে করে না ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।

    ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, যারা আন্দোলন করছেন, তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা ও ভালোবাসা আছে। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত আইন ও দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে আমরা বাধ্য। ছাত্ররা শিক্ষিত, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে আমি অনুরোধ করব, তারা যেন আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর মানুষকে দুর্ভোগ দিয়ে কোনও কর্মসূচি না দেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ, আর কোথাও নামবেন না।

    তিনি বলেন, গতকাল ২১টি পয়েন্টে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে তাদের মোকাবিলা করেছি, কথা বলেছি। এটা মনে রাখতে হবে যে, ৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নগরবাসীর নিরাপত্তা, চলাফেরা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বাধ্য। কাজেই আমরা আশা করব, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কী আবেদন, সর্বোচ্চ আদালতের যে নির্দেশনা… তারা মানবেন। আদালতের নির্দেশনাও শিক্ষার্থীদের পক্ষেই আছে।

    আন্দোলনের আর কোনও যৌক্তিকতা নেই উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা শহরে এইচএসসি পরীক্ষা চলছে, গত ৭ জুলাই রথযাত্রা হয়েছে, পুলিশকে প্রচণ্ড পেশার নিতে হয়েছে। এরপর আবার রথযাত্রা আছে, আশুরার অনুষ্ঠান আছে। যেহেতু এটা সেটেল হয়ে গেছে, সুতরাং ফারদার কোনও কর্মসূচি দিয়ে জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবেন না।

    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা শুনছেন, তারা যেন সহকর্মীদের জানিয়ে দেন, তাতে আমাদের জন্য, তাদের জন্য সবার জন্যই মঙ্গল।

    আরেক প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশনা ও আমাদের অনুরোধ সত্ত্বেও যদি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে কিন্তু তা হবে সংবিধান অনুযায়ী ওফেন্স (অপরাধ)। আমি মনে করি, তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না। কারণ তারা আন্দোলন শুরু করার পর থেকে আমরা এমন কোনও আচরণ করিনি, যাতে তারা আমাদের পেশাককে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন।

    তিনি বলেন, এরপরও যদি কেউ নিজেদের অবস্থানে থাকেন বা আমাদের কথা না শোনেন, আদালতের নির্দেশনা না মানেন… তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ আমাদের জবাবদিহিতা তো সবার কাছে। সবার অধিকার তো আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

  • নাশকতা রোধে যে ১০ নির্দেশনা দিল ডিএমপি

    নাশকতা রোধে যে ১০ নির্দেশনা দিল ডিএমপি

    অবরোধ ও হরতালের নামে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পেট্রলবোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে নাশকতা করার চেষ্টা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে কেউ যেন পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে অগ্নিসংযোগ করাকে বেছে নিতে না পারে এবং পেট্রলপাম্প থেকে পেট্রল/জ্বালানি তেল সংগ্রহ করে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সে লক্ষ্যে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

    শনিবার (১০ নভেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনাগুলো হলো-

    ১। পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগসহ সব ধরনের নাশকতা রোধকল্পে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও নজরদারি বৃদ্ধি করবেন।

    ২। সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে অবস্থিত পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক নিরাপত্তা তদারকি করবেন এবং কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।


    অবরোধে বাস চলাচল নিয়ে যে ঘোষণা দিল মালিক সমিতি
    ৩। প্রত্যেক অপরাধ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার ও থানার ওসি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনগুলোর মালিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা নিশ্চিত করবেন।

    ৪। নিজ নিজ পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক (২৪/৭) নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

    ৫। প্রত্যেক পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন এলাকা রাত্রিকালীন ছবি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ও ডিভিআরসহ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা এবং ডিভিআর নিরাপদ স্থানে স্থাপন।

    ৬। সংশ্লিষ্ট থানার ডিউটি অফিসার, ইন্সপেক্টর (তদন্ত/ অপারেশনস্), ওসি, ফায়ার সার্ভিস ও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন নম্বর দৃশ্যমান স্থানে ঝুলিয়ে রাখবেন।

    ৭। পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ সরঞ্জাম রাখা এবং মহড়া করে সরঞ্জামাদির কার্যকারিতা যাচাই করবেন।

    ৮। রিজার্ভারে তেল লোডের সময় নিজস্ব জনবল দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ওই সময়ে সব ধরনের যানবাহন পেট্রল পাম্পে প্রবেশ করতে না দেওয়া।

    ৯। লুজ/খোলা জ্বালানি তেল বিক্রি সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখা তবে বাড়ি/ফ্যাক্টরি/প্রতিষ্ঠানের জেনারেটর চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সংশ্লিষ্ট থানার ওসির কাছ থেকে নিরাপত্তা ছাড়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে বিক্রি করা এবং পেট্রল পাম্প ও সিএনজি স্টেশনে রক্ষিত রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা।

    ১০। পেট্রলিয়াম বিধিমালা ২০১৮-এর লাইসেন্সের শর্তাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করার পাশাপাশি যে কোনো প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করার জন্য বলা হয়।

  • মাঠ ছাড়া রাস্তাঘাটে সমাবেশের অনুমতি পাবে না বিএনপি: ডিএমপি

    মাঠ ছাড়া রাস্তাঘাটে সমাবেশের অনুমতি পাবে না বিএনপি: ডিএমপি

    রাজধানীতে মাঠ ছাড়া রাস্তাঘাটে সমাবেশ করার অনুমতি বিএনপি পাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া অন্য কোনো স্থানের নাম প্রস্তাব বিএনপি এখনো করেনি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ সামনে রেখে সমাবেশস্থল নির্ধারণ বিষয়ে সোমবার (৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন।

    এর আগে গতকাল রোববার বিকেলে সমাবেশের ভেন্যুর বিষয়ে আলোচনা করতে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে।

    ওই বৈঠক শেষে ডিএমপির সদরদপ্তরের প্রধান ফটকের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেছিলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি নয়াপল্টনে সমাবেশ করবো। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে আমাদের একাধিকবার আলোচনা হয়েছে।

    এর মধ্যে পুলিশ আমাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়ে চিঠি দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে আজ (রোববার) আলোচনা করতে এসেছিলাম। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তাকে আলোচনা করে এ বিষয়ে ঠিক করতে বলা হয়েছে। ভেন্যুর বিষয়ে আলোচনা তারা করবেন। আগামীকাল (সোমবার) থেকেও এ আলোচনা চলতে পারে। এরপরই ভেন্যু চূড়ান্ত হবে।

    তবে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ নয়াপল্টনেই করার দলীয় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

    সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহজাহানপুরে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আব্বাস বলেন, খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে পুলিশের তল্লাশি চৌকি, নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানি, আমার বাসা ঘেরাও সবই একইসূত্রে গাঁথা। বাসা ঘেরাও করে ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশ দমানো যাবে না। সমাবেশ বানচাল করতে ভয় পেয়ে সরকার এসব করছে।

    গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ ডিসেম্বরের ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশের অনুমতি না পেয়ে বিএনপি এখন সমাবেশের জন্য নতুন ভেন্যু খুঁজছে।

    তিনি বলেন, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে নতুন ভেন্যুর প্রস্তাব দেয়নি। আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিয়েছি। তারাই নতুন ভেন্যুর কথা বলছে। তবে আমরা আশা করি, বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই তাদের সমাবেশটি করবে।

    তিনি আরও বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কারণ, আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্যানটি নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বেশি নিরাপদ। আমরা বিএনপিকে অনুরোধ করেছি, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করার জন্য। ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে যত ধরনের নিরাপত্তা সহযোগিতা করার দরকার সব পদক্ষেপ আমরা নেবো।

    নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে গত ১৫ নভেম্বর পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দেয় বিএনপি। তবে যানজট ও নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টির কারণ দেখিয়ে গত ২৯ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিএনপিকে দেওয়া অনুমতিপত্রে সমাবেশের জন্য ২৬টি শর্ত জুড়ে দেয় ডিএমপি। তবে বিএনপির নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকে।

    গতকাল রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া ঢাকার ভেতরে সমাবেশের জন্য বিকল্প ভেন্যুর প্রস্তাব পেলে তা বিবেচনা করা হবে।

  • ২৬ শর্তে সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি

    ২৬ শর্তে সোহরাওয়ার্দীতে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি

    আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপিকে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে। এজন্য দলটিতে ২৬টি শর্ত মানার শর্ত দিয়েছে ডিএমপি।

    মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) আব্দুল মোমেনের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে সমাবেশের অনুমতির কথা বিএনপিকে জানানো হয়েছে। ওইদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।

    আজ বিকেলে ডিএমপির পক্ষে পল্টন থানার ওসি সালাউদ্দিন মিয়া এই অনুমতিপত্র বিএনপি কার্যালয়ে পৌঁছে দেন।

    বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কার্যালয় থেকে যাওয়ার পথে পার্টি অফিসের সামনে এই অনুমতিপত্র গ্রহণ করেন।

    বিএনপি নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণসমাবেশ করতে অনড়। এ জন্য গত ২০ নভেম্বর ডিএমপির কাছে আবেদনও করে তারা।

    তবে ডিএমপি জানায়, নয়াপল্টনে সমাবেশ করলে যানজট ও নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে। এতে ওই স্থানের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৬ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
    শর্তগুলো হলো
    ১. এই অনুমতি পত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
    ২. স্থান ব্যবহারের অনুমতি পত্রের উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
    ৩. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
    ৪. নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্তসংখ্যক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
    ৫. স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের ভেতরে ও বাইরে উন্নত রেজুলেশন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
    ৬. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি প্রবেশ গেটে আর্ট স্থাপন করতে হবে এবং সমাবেশস্থলে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
    ৭. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ভিউকল স্ক্যানারের মাধ্যমে সমাবেস্থলে আসা সব যানবাহন তল্লাশির ব্যবস্থা করতে হবে।
    ৮. নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
    ৯. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে ও আশপাশে মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
    ১০. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
    ১১. সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
    ১২. আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক ব্যবহার করা যাবে না।
    ১৩. ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
    ১৪. অনুমতি দেওয়া সময়ের মধ্যে সমাবেশের কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
    ১৫. সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।
    ১৬. সমাবেশস্থলের আশপাশসহ রাস্তায় কোনো অবস্থাতে সমবেত হওয়াসহ যান ও মানুষ চলাচলে প্রতিবন্ধকতা করা যাবে না।
    ১৭. পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন-বহনের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না
    ১৮. আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনো কার্যকলাপ করা যাবে না
    ১৯. রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেওয়া যাবে না।
    ২০. উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না
    ২১. মিছিল সহকারে সমাবেশস্থলে আসা যাবে না।
    ২২. নির্ধারিত স্থানে গাড়ি পার্কিং করতে হবে, মূল সড়কে কোনো পার্কিং করা যাবে না।
    ২৩. সমাবেশস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে।
    ২৪. স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করে সমাবেশ করতে হবে।
    ২৫. উল্লেখিত শর্তাবলী পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
    ২৬. জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়া এই অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন

    দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও দলের প্রধান খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে দুই মাস ধরে সারাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ের সমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে আটটি বিভাগে সমাবেশ শেষ করেছে দলটি। এরই অংশ হিসেবে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

    পূর্বনির্ধারিত এই কর্মসূচি দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াপল্টনে করার বিষয়ে অনড় অবস্থানে দলটি। কিন্তু সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা ঢাকার পাশে পূর্বাচল, কখনো মিরপুরের কালশীতে সমাবেশ করতে দেওয়ার কথা বলেছেন।

    মহাসমাবেশের স্থান দিয়ে দুই দলের নেতাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের মধ্যে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য সরকার অনুমতি দেবে। দ্রুতই বিএনপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু বিএনপি অনুমতি না পেলেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ করবে বলে অনড় অবস্থানে আছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।

    এমন অবস্থার মধ্যে আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপিকে মহাসমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।

    উল্লেখ্য, এর আগে, রাজধানীর নয়াপল্টনে গণসমাবেশের আয়োজন করতে আবেদন করে বিএনপি। তবে জনদুর্ভোগের কথা বলে নয়াপল্টনে এ সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে কিনা তা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয়। এরপর সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শর্ত সাপেক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে।

    এদিকে, নয়াপল্টনেই গণসমাবেশ করা হবে বলে বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন। এক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত অনড় অবস্থানে দলটি। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গণসমাবেশ ঘিরে সরকার নানা ধরনের বাধা দিতে পারে। তবে কোনোভাবেই পিছপা হবে না বিএনপি। আর সরকারে দাবি, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে নয়াপল্টনে জেদ করে গণসমাবেশ করতে চাইছে দলটি।

    তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করব, এখন পর্যন্ত এটাই আমাদের দলের সিদ্ধান্ত। আমরা সেখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করব।

  • ছাদেও ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা

    ছাদেও ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা

    করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ‘থার্টিফার্স্ট নাইট’ উদযাপন ঘিরে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ৩১ ডিসেম্বর রাতে সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে কোনো ধরনের জমায়েত বা অনুষ্ঠান করা যাবে না।

    মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিধি-নিষেধের কথা জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠান সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে।

    ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে ৩১ ডিসেম্বর রাতে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে নির্ধারিত অনুষ্ঠানসমূহ পালিত হবে। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুসারে উন্মুক্ত স্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।
    ৩১ ডিসেম্বর রাতে পটকাবাজি, আতশবাজি, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালনাসহ যে কোনো ধরনের অশোভন আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    ঢাকার নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ডিএমপি কর্তৃক যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে :
    ঢাকার সার্বিক নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভার, রাস্তায়, ভবনের ছাদে এবং প্রকাশ্যে স্থানে কোনো ধরনের জমায়েত, সমাবেশ বা উৎসব করা যাবে না।

    উন্মুক্ত স্থানে নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান বা সমবেত হওয়া যাবে না বা নাচ, গান ও কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। কোথাও কোনো ধরণের আতশবাজি-পটকা ফোটানো যাবে না।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পরে বহিরাগত কোনো ব্যক্তি বা যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় বসবাসরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি নির্ধারিত সময়ের পর পরিচয় দেওয়া সাপেক্ষে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে।তবে পরিচয় দেওয়া সাপেক্ষে নীলক্ষেত ক্রসিং দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশ করা যাবে।

    গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবেন না। তবে ওই এলাকার বাসিন্দারা নির্ধারিত সময়ের পর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং দিয়ে পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।

    একইভাবে উপর্যুক্ত সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে গুলশান, বনানী, বারিধারা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক এলাকায় যে সব নাগরিক বসবাস করেন না তাদের এসব এলাকায় প্রবেশে নিরুৎসাহিত করা হলো।

    রাত ৮ টার পর হাতিরঝিল এলাকায় কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।

    গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার নাগরিকদের ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টার মধ্যে নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তনের অনুরোধ করা হলো।
    ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকার কোনো বার খোলা রাখা যাবে না। রাত ১০টার পর সব ফাস্টফুডের দোকান বন্ধ থাকবে।

    তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত আকারে আবাসিক হোটেলগুলোতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠান করা যাবে। তবে কোনোভাবেই ডিজে পার্টি করতে দেওয়া হবে না।

    ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ, জনসমাবেশ ও উৎসবস্থলে সব ধরনের লাইসেন্সকৃত আগ্নেয়াস্ত্র বহন না করার জন্য নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ করা হলো। ডিএমপি উপর্যুক্ত নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।

    যেসব এলাকায় যান চলাচলে থাকবে বিধিনিষেধ
    ৩১ ডিসেম্বর রাত ৮টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় যানবাহনযোগে প্রবেশের জন্য কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ (কাকলী ক্রসিং) এবং মহাখালী আমতলী ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে। সে ক্ষেত্রে গুলশান, বনানী ও বারিধারায় বসবাসরত নাগরিকদের রাত ৮টার মধ্যে এলাকায় প্রবেশের জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

    রাত ৮ টা থেকে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় প্রবেশের ক্ষেত্রে মহাখালী এলাকা-ফিনিক্স রোড ক্রসিং, বনানী ১১ নং রোড ক্রসিং, চেয়ারম্যান বাড়ি ক্রসিং, ঢাকা গেট, শুটিং ক্লাব, বাড্ডা লিংক রোড, ডিওএইচএস বারিধারা-ইউনাইটেড হাসপাতাল ক্রসিং ও নতুন বাজার ক্রসিং উক্ত এলাকাসমূহে প্রবেশের জন্য ব্যবহার করা যাবে না, তবে বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।

    একইভাবে ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরদিন ভোর ৬ টা পর্যন্ত শুধুমাত্র শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। এজন্য পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

    ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে টিএসসি, রোমানা স্কয়ার, ঢাকা মেডিক্যাল সেন্টার, জগন্নাথ হল ক্রসিং, ভাঙ্কর্য ক্রসিং, পলাশী ক্রসিং, বকশীবাজার ক্রসিং, দোয়েল চত্বর ক্রসিং এবং শহীদুল্লাহ হল ক্রসিং দিয়ে কোনো যানবাহন প্রবেশ করবে না, শুধু বের হওয়ার ক্ষেত্রে এসব ক্রসিং ব্যবহার করা যাবে।

    হাইকোর্ট ক্রসিং থেকে আগত সব যানবাহন দোয়েল চত্বরের বামে মোড় নিয়ে শহীদুল্লাহ হল হয়ে চাঁনখারপুল ক্রসিং দিয়ে বের হয়ে যেতে পারবে। কেউ বেপরোয়া, মদ্যপ ও বিপজ্জনক অবস্থায় গাড়ি চালালে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি।

    সড়ক ব্যবহার সংক্রান্তে যে কোন জরুরি প্রয়োজনে ফোন করা যাবে, ডিসি ট্রাফিক (গুলশান)-০১৩২০-০৪৪৩৬০, এডিসি ট্রাফিক (গুলশান)-০১৩২০-০৪৪৩৬১, এসি ট্রাফিক (গুলশান)-০১৩২০-০৪৪৩৭২, এসি ট্রাফিক (মহাখালী)-০১৩২০-০৪৪৩৭৫, ডিসি ট্রাফিক (রমনা)-০১৩২০-০৪২২৬০, এডিসি ট্রাফিক (রমনা)-০১৩২০-০৪২২৬১, ডিসি (গুলশান)-০১৩২০-০৪১৪২০ ও ডিসি (রমনা)-০১৩২০-০৩৯৪৪০।

  • করোনায় ১১তম পুলিশ সদস্য রশিদ’র মৃত্যু

    করোনায় ১১তম পুলিশ সদস্য রশিদ’র মৃত্যু

    মহামারি করোনাভাইরাস আরও এক পুলিশ সদস্যের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এই নিয়ে করোনা যুদ্ধে ১১তম পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হলো। মারা যাওয়া এ পুলিশ সদস্য হলেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নায়েক মোহাম্মদ আল মামুন-রশিদ।

    বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানী রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নায়েক মামুনকে বাঁচানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করা হলেও তাকে ধরে রাখা যায়নি।

    সোহেল রানা বলেন, দেশ ও মানুষের সেবা একটি বিরল সুযোগ। এই সুযোগটি বাংলাদেশ পুলিশের দুই লাখ দেশপ্রেমী সদস্য মনে-প্রাণে সর্বান্তকরণে কাজে লাগাচ্ছে। দেশের মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য জীবন বাজি রেখে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা। ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার ৩০০ (৩ হাজার ২৩৫) সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এরমধ্যে ১১ জন গর্বিত দেশপ্রেমিক পুলিশ সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন।

    তিনি বলেন, এই তালিকায় ১১তম অর্থাৎ সর্বশেষ আত্মদানকারী পুলিশ সদস্য হচ্ছেন- ঢাকা মহানগর পুলিশের নায়েক মো. আল মামুনুর রশিদ। তিনি ডিএমপির পরিবহন বিভাগে কর্মরত ছিলেন।

    তার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানায়। তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা রেখে গেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নিজ এলাকার ২ কি.মি’র মধ্যে কেনাকাটা, লাগবে পরিচয়পত্র

    নিজ এলাকার ২ কি.মি’র মধ্যে কেনাকাটা, লাগবে পরিচয়পত্র

    করোনাকালীন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন এলাকা সমূহে শপিংমল ও মার্কেট খোলা রাখার ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ১৪টি নির্দেশনা জারি করেছে।

    বৃহস্পতিবার (৭ মে) বিকালে ডিএমপির কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম নির্দেশনাগুলো জারি করেন।

    নির্দেশনাগুলো হলো:

    ১. সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সময় সকাল ১০.০০ টা থেকে বিকাল ০৪.০০ টা পর্যন্ত শপিংমল ও দোকান খোলা রাখা যাবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার/ফেরীওয়ালা/অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেয়া যাবেনা।

    ২. করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ক্রেতাগণ তাঁদের নিজ নিজ এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত শপিংমল সমূহে ঘোষিত সময়ের মধ্যে কেনা-কাটা করতে পারবেন। এক এলাকার ক্রেতা অন্য এলাকায় অবস্থিত শপিংমলে কেনাকাটা বা গমনাগমন করতে পারবেন না।

    ৩. বসবাসের এলাকা সম্পর্কে নিশ্চিত হবার জন্য প্রত্যেক ক্রেতা তার নিজ নিজ পরিচয়পত্র (যেমন: ব্যক্তিগত আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স/বিদ্যুৎ/গ্যাস/পানির বিলের মূল কপি ইত্যাদি) বহন করবেন এবং তা প্রবেশমুখে প্রদর্শন করবেন।

    ৪. প্রত্যেক শপিংমলের প্রবেশমুখে স্বয়ংক্রিয় জীবানুনাশক টানেল বা চেম্বার স্থাপন করতে হবে এবং তাপমাত্রা মাপার জন্য থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেক দোকানে পৃথকভাবে তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    ৫. প্রতিটি শপিং মলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরিধান ব্যাতীত কোন ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবেনা। সকল বিক্রেতা ও দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস্ পরিধান করতে হবে।

    ৬. প্রতিটি শপিংমল/বিপণি বিতানের সামনে সতর্কবাণী “স্বাস্থ্য বিধি না মানলে, মৃত্যু ঝুঁকি আছে” সম্বলিত ব্যানার টানাতে হবে।

    ৭. প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশ, বাহির ও কেনাকাটার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাকে কমপক্ষে ১ মিটার (প্রায় ৪০ ইঞ্চি) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এই নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে দোকানে যতজন ক্রেতা অবস্থান করতে পারেন তার বেশি ক্রেতাকে প্রবেশ করতে দেয়া যাবেনা।

    ৮. সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য প্রত্যেক দোকানের সামনে দূরত্ব মেপে মার্কিং করতে হবে।

    ৯. শপিংমল গুলোতে বয়স্ক, শিশু ও অসুস্থদের (হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য) গমনাগমনে নিরুৎসাহিত করতে হবে।

    ১০. কেনা-কাটা শেষে মার্কেটে অযথা জটলা বা ভীড় সৃষ্টি করা যাবে না। যাদের কেনাকাটা শেষ হয়ে যাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে তাদের বের করে দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।

    ১১. শপিংমল গুলোতে প্রবেশ ও বাহিরের আলাদা পথ নির্ধারণ করে দিতে হবে।

    ১২. যারা মাস্ক না পড়ে আসবে তারা মার্কেট থেকে কিনে নিবে অন্যথায় যাতে মার্কেটে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    ১৩. প্রত্যেক শপিংমলের পার্কিং লটে গাড়ী জীবানুমুক্ত করণের ব্যবস্থা থাকতে হবে। এছাড়াও ড্রাইভাররা যাথে একত্রিত হয়ে আড্ডা না দেয় এবং নিজ নিজ গাড়ীতে অবস্থান করে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

    ১৪. শপিংমল গুলোতে যাতায়াতের জন্য সীমিত পরিসরে সাধারণ রিকশা ও সিএনজি চালু থাকবে। তবে সিএনজি-তে ২(দুই) জনের অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে নিরুৎসাহিত করা হলো। প্রতিটি যাত্রী এবং চালক মাস্ক পরিধান করবেন।

    উল্লেখিত বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ রাজধানীবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছে।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • ডিএমপিকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দিল ফেসবুক গ্রুপ লিজেন্ড

    ডিএমপিকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দিল ফেসবুক গ্রুপ লিজেন্ড

    সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, শুধু মাত্র যোগাযোগই বাড়ায় না এর মাধ্যমে গড়ে তোলা যেতে পারে একটি সুন্দর মননশীল প্ল্যাটফর্ম। তাই প্রমাণ করলো বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় গ্রুপ “এসএসসি ২০০০ ও এইচএসসি ২০০২ বাংলাদেশ”।

    বুধবার (৮ এপ্রিল) করোনা ভাইরাস মহামারী মোকাবিলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদস্যদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও সুরক্ষার জন্য ৩০০ পিস ইমপোর্টেড এন৯৫ মাস্ক ও ৩০০ পেয়ার হ্যান্ড গ্লাভস হস্তান্তর করা হয়।

    ডিএমপি কমিশনার এর বিশেষ সহকারী এসপি রবিউল ইসলাম এগুলো গ্রহণ করেন।

    এই হস্তান্তর কার্যক্রম টি অনুষ্ঠিত হয় ডিএমপির প্রধান কার্যালয়ে।

    এস এস সি ২০০০ এবং এইচ এস সি ২০০২ বাংলাদেশ গ্রুপ এর পক্ষ থেকে আরফাদুর রহমান বান্টি এই সরঞ্জাম গুলো তুলে দেন এসপি রবিউল ইসলামকে সাথে ছিলেন রাজীব মোতালেব।

    ইতিপূর্বে করোনা মোকাবিলায় দেশের ৫ টি অঞ্চল যথা খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ১০০০ অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে গ্রুপটি।

    একটি পরিবার নিম্নে ২০ দিন চলার মতো চাল,ডাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

    লিজেন্ড গ্রুপের এডমিন শাহ্ মোয়াজ্জেম মিলন বলেন, করোনা মোকাবিলায় আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে। তাছাড়া ইতিপূর্ববে আমাদের লিজেন্ড গ্রুপের ডাক্তার বন্ধুদের উন্নতমানের পিপিই সেট হস্তান্তর করা হয়েছে।

     

  • আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ডিএমপি’র চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ডিএমপি’র চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে

    গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নির্বিঘ্নে পালনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র(ডিএমপি) পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সবধরনের প্রস্তুতি। একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে কোন নিরাপত্তার হুমকি নেই, সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে ডিএমপি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে ঘিরে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

    বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীদের একথা জানান ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম।

    বাঙালি জাতির গৌরব ও ভালোবাসার বিষয়ের মধ্যে ২১শে ফেব্রুয়ারি অন্যতম বলে উল্লেখ্য করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, অন্যান্য বারের ন্যায় এবারও শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    শহীদ মিনারকে ঘিরে থাকবে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শহীদ মিনার কেন্দ্রীক প্রত্যেক জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। শহীদ মিনার চত্ত্বরে আর্চওয়ে ও তল্লাশী ছাড়া কোন ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। নিরাপত্তায় ২৪ ঘন্টায় আমাদের ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

    পাশাপাশি যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রস্তুত থাকবে। সমস্ত এলাকা সুইপিং করা হবে।নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাদা পোশাকে ডিবি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসাররা মোতায়েন থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক পুলিশের পর্যাপ্ত মোবাইল ও পেট্রোল টিম থাকবে। জনসাধারণ যাতে সাচ্ছন্দ্যে শহীদ মিনারে প্রবেশ ও বাহির হতে পারে সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।

    তিনি আরো বলেন, অতীতের ন্যায় এবারও পলাশী মোড় হয়ে শহীদ মিনারে আসতে হবে। শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ শেষে রোমানা চত্ত্বর ও দোয়েল চত্ত্বর দিয়ে বাহির হয়ে যাবেন। প্রবেশ ও বাহির পথে উল্টো দিক থেকে না আসতে সকলকে অনুরোধ করছি। শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এক্ষেত্রে আমাদের শক্ত অবস্থান থাকবে।

    ২১ শে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে কোন নিরাপত্তা হুমকি আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে কোন নিরাপত্তার হুমকি নেই, আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি।

  • ডিএমপির শ্রেষ্ঠ এসি ইলিয়াছ হোসেন

    ডিএমপির শ্রেষ্ঠ এসি ইলিয়াছ হোসেন

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শ্রেষ্ঠ সহকারী কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন মো. ইলিয়াছ হোসেন। দু’টি ক্যাটাগরিতে চকবাজার জোনের এই কর্মকর্তা এ পুরস্কার পান।দ্বিতীয়বারের মতো তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন।

    সোমবার বেলা ১১টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার মোহা.শফিকুল ইসলাম।

    সভায় ঢাকা মহানগরের আইন-শৃংখলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আরও পুরস্কার প্রদান দেওয়া হয়। জানুয়ারি মাসে ডিএমপির আট ক্রাইম বিভাগের মধ্যেযৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেলালবাগ ও তেজগাঁও বিভাগ।

    এর মধ্যে মো.ইলিয়াছ হোসেন শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার এবং বিট পুলিশিং কার্যক্রম- এই দু’টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পান।

  • ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় পর্যটকদের জিনিসপত্র উদ্ধার করল ডিএমপি

    ৮ ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় পর্যটকদের জিনিসপত্র উদ্ধার করল ডিএমপি

    ভারতীয় চার নাগরিকের পাসপোর্ট, সব জরুরি কাগজপত্রসহ ব্যাগ ৮ ঘণ্টার মধ্যেই উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের একাধিক টিম।

    গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওয়ারী থানার অভয়দাস লেন এলাকায় সবকিছু খোয়া যায় ভারতীয় ওই চার পর্যটকের।

    ওয়ারী থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) সুজিত কুমার সাহা জানান, দুপুর ১২টার দিকে ভারতীয় চার প্রবীণ নাগরিক থানায় এসে ঘটনার বর্ণনা দেন। তাদের মৌখিক বিবরণের ওপর ভিত্তি করেই পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে।

    অবশেষে দিনগত রাত ৮টার দিকে রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকার একটি বাসা থেকে তাদের সব মালামাল উদ্ধার করা হয়।

    ঘটনার বর্ণনায় তিনি জানান, গত ৫ ফেব্রুয়ারি মাঘী পূর্ণিমার উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশের মাদারীপুরের বাজিতপুর প্রণব মঠে আসেন ভারতীয় চার প্রবীণ নাগরিক। এদের মধ্যে দু’জন নারী ও দু’জন পুরুষ।

    মঙ্গলবার বিভিন্ন মন্দির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখার জন্য তারা মাদারীপুর থেকে বাসযোগে ঢাকায় আসেন। সায়েদাবাদ নেমে ভারতে ফেরার ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য প্রথমে তারা কমলাপুর রেলস্টেশনে যান।

    কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি মৈত্রী এক্সপ্রেসের চারটি টিকিট কেটে সকাল পৌনে ১১টার দিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে স্বামীবাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর মন্দিরে রওনা দেন। তারা হালকা নাস্তা করবেন বলে ভাড়াকৃত সিএনজিচালককে একটি খাবারের দোকানের সামনে থামানোর জন্য অনুরোধ করেন। সে অনুযায়ী বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওয়ারী থানার অভয়দাস লেনের একটি খাবারের দোকানের সামনে অটোরিকশা থামান চালক।

    চার পর্যটকের সবাই অটোরিকশা থেকে নামেন এবং চালককেও তাদের সঙ্গে নাস্তা করতে যাওয়ার অনুরোধ করেন। সিএনজিচালক যাত্রীদের সঙ্গে না গিয়ে তাদের নাস্তা করে আসতে বলেন। যাত্রীরা নাস্তা খেয়ে বাইরে এসে আর অটোরিকশা ও চালক খুঁজে পাননি। আশপাশে খোঁজাখুজি করে বুঝতে পারেন, অটোরিকশাচালক যাবতীয় মালামাল চুরি করে পালিয়েছেন।

    তাদের চুরি যাওয়া মালামালের মধ্যে ছিল দু’টি ট্রলি ব্যাগ, কাঁধে ও হাতে ঝুলানো চারটি ব্যাগ ও মহিলাদের ভ্যানিটি ব্যাগ দু’টি। যার মধ্যে কাপড় ছাড়াও ভারতীয় সাত হাজার রুপি, বাংলাদেশি সাড়ে তিন হাজার টাকা, চারজনের পাসপোর্ট, সবার ভারতীয় আধার কার্ড, প্যানকার্ড, ভোটার কার্ড ও কলকাতাগামী ট্রেনের চারটি টিকিট। পরে স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে তারা ওয়ারী থানায় যান।

    পরিদর্শক সুজিত কুমার সাহা বলেন, ঘটনার বিবরণ শুনে নিজেই দায়িত্ব নেই। তাৎক্ষণিক এক সার্জেন্টের মাধ্যমে সিএনজির মালিকানা সংক্রান্ত কিছু তথ্য সংগ্রহ করি। এরমধ্যে ওয়ারলেসে ডিএমপির সব থানায় মেসেজটি পাঠিয়ে এ ধরনের কোনো অটোরিকশা পেলে আটক করে ওয়ারী থানাকে জানানোর অনুরোধ করি।

    প্রাপ্ত তথ্যাবলীর মধ্যে একটি ফোন নম্বর পেলেও বন্ধ পাওয়া যায়। আরেকটি ফোন নম্বর জোগাড় করে যোগাযোগ করে জানা যায়, বর্ণিত অটোরিকশাটি ঠেঙ্গামারা সমাজকল্যাণ সংস্থা থেকে লোন নিয়ে কেনা। ঠেঙ্গামারা সমাজকল্যাণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনো সহযোগিতা না পাওয়ায় অপর নম্বরটিতে যোগাযোগের চেষ্টা অব্যাহত রাখি।

    একসময় যোগাযোগ সম্ভব হলে সিএনজির মালিকের বিষয়ে তথ্য পাই এবং চালক হাবিব হাওলাদার নামে একজন বলে জানা যায়। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যাত্রাবাড়ী থানা থেকে একটি টিম সিএনজি মালিকের কাছে পাঠানোর অনুরোধ করি। যাত্রাবাড়ী থানার টিম তাৎক্ষণিক অটোরিকশার মালিকের কাছে পৌঁছে বেশ কিছু তথ্য জানান।

    এরপর ওয়ারী বিভাগের ডিসির সঙ্গে আলোচনা করে ওয়ারী ও যাত্রাবাড়ী থানার দু’টি টিম যৌথভাবে ‘ঢাকা মেট্রো থ-১৪-৬৮৯০’ এর চালকের নাম-ঠিকানা শনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে। অবশেষে ধোলাইপাড়ে ওই অটোরিকশাচালকের বাসা থেকে সব মালামাল উদ্ধার করা হয়।

    তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে যেখানেই যোগাযোগ করেছি, সবদিক থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। সবার চেষ্টায় দ্রুততম সময়ে চুরি যাওয়া মালামালগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে চালক হাবিব হাওলাদার বাসায় মালামালগুলো রেখেই পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

  • বাংলাদেশ পুলিশ জনতার পুলিশে রূপান্তরিত হয়েছে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    বাংলাদেশ পুলিশ জনতার পুলিশে রূপান্তরিত হয়েছে:স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো: আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পুলিশ বাহিনী চেয়েছিলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ধীরে ধীরে সেই ধরনের পুলিশের যোগ্যতা অর্জন করেছে। জনতার পুলিশে রূপান্তরিত হয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে আয়োজিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: মোস্তাফা কামাল উদ্দীন ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।

    এছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য, বিভিন্ন রাষ্ট্রের কূটনৈতিকবৃন্দ, পুলিশের সাবেক আইজিপিগণ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, চলচ্চিত্র অভিনেতা-অভিনেত্রী ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটি চক্র বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করেছিল, বর্তমান সরকারের আমলে পুলিশের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের কারণে সেখান থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে বেরিয়ে এসেছে।

    তিনি বলেন, ‘মাদকের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। জঙ্গিবাদ নিমূল হয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে জয় আমাদের হবেই’।

    আসাদুজ্জামান খান বলেন, পুলিশ আজ জনগণের পুলিশ হিসেবে গঠিত হচ্ছে, পুলিশ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিচ্ছে।জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদক নিমূলে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করছে।

    তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রুপান্তরিত করতে হলে নিরাপত্তার বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগের চেয়ে পুলিশের সক্ষমতা অনেক বেড়েছে।পুলিশ জনতার সাথে মিশছে, জনতাও তাদের সহযোগিতা করছে।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, ‘আমরা পুলিশকে এমন একটি অবস্থানে নিয়ে গেছি এখন কেউ অপরাধ করে পালিয়ে থাকতে পারে না। ধরা পড়তেই হবে’।

    পুলিশকে পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, পুলিশে জনবল, যানবাহন ও লজিস্টিক সাপোর্টেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে,অনেক চ্যালেঞ্জ আছে তারপরও থানাকে সকল সেবার কেন্দ্র বিন্দু করতে হবে। জনগণ যাতে নির্ভয়ে তাদের অভিযোগ জানাতে পারে থানায় আগতদের সেই সেবা নিশ্চিত করতে হবে।

    তিনি বলেন, ঢাকাকে নিরাপদ রাখতে ৩৫ হাজার পুলিশ সদস্য নিরাপত্তায় কাজ করছে। ঢাকাকে নিরাপদ শহর হিসেবে গড়ে তোলা হবে। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মাধ্যমে জঙ্গি, মাদক ও সন্ত্রাস নিমূলে কাজ করছে পুলিশ।

    ডিএমপি কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম বলেন, অপরাধ মুক্ত শহরের স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি, তবে পৃথিবীর কোন শহরই অপরাধ মুক্ত নয়, ঢাকা শহরকে অপরাধমুক্ত করতে আমরা চেষ্টা করছি।থানাগুলোতে সেবা প্রত্যাশীরা ঠিকমতো সেবা পাচ্ছে কিনা, আমরা সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে তা মনিটরিং করছি। সেবা প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলছি,তারা কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে কিনা নিশ্চিত করা হচ্ছে।

    এর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে শেষ হয় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে গিয়ে। র‌্যালিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সকল স্তরের পুলিশ সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও যুক্ত ছিল ডিএমপির সুসজ্জিত ব্যান্ড দল, সোয়াট, বোম্ব ডিসপোসাল ইউনিটসহ অন্যান্য ইউনিটের সদস্যরা।

    এছাড়াও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৪৫তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এ অনুষ্ঠানে দেশের খ্যাতনামা অভিনেতা, অভিনেত্রী , সংগীত ও নৃত্যশিল্পীরা এবং বাংলাদেশ পুলিশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের শিল্পীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন ।