Tag: ডিএমপি কমিশনার

  • ছাড়া পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের

    ছাড়া পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি ডিএমপি কমিশনারের

    ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে সরকার বদলের প্রেক্ষাপটে অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। এবার তাদের নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান।

    ছাড়া পাওয়া সন্ত্রাসীরা পুলিশের নজরদারিতে আছেন জানিয়ে তিনি বলেছেন, কারামুক্ত সন্ত্রাসীরা নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর পল্টন ময়দানে আয়োজিত ওয়ালটন-ক্র্যাব ক্রীড়া উৎসব-২০২৪ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ রকম যারা এরই মধ্যে মুক্তি পেয়েছে, তারা দীর্ঘ সময় জেল খেটে আদালতের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে। তারা আমাদের সার্ভিল্যান্সে (নজরদারি) আছেন। নতুন করে অপরাধে যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    পুলিশে এখনো যোগদান না করা সদস্যদের বিষয়ে তিনি বলেন, যারা যোগদান করেননি সেটা একেবারেই মিনিমাম নম্বর।

    যারা যোগদান করেননি তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে আমাদের কাজ চলছে।
    এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকার সব থানার কার্যক্রম চলছে, তিন-চারটি থানা রিপেয়ারের অপেক্ষায় আছে। যেগুলো আগামী ৪-৫ তারিখের মধ্যে কমপ্লিট হয়ে যাবে।

    মাদক, সন্ত্রাস ও অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জেনেভা ক্যাম্পে অভিযানে অনেক অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে এবং অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। রাজধানীর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশ নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছে।

  • একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

    একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

    আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবসকে ঘিরে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাবিবুর রহমান৷

    সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি৷

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই মুহুর্তে আমাদের কাছে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। তারপরও পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা হুমকি বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে৷

    তিনি বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বইমেলায় রয়েছে৷ সেখানে একটা কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে ক্যামেরার মাধ্যমে সব ধরনের সিকিউরিটি ইকুইপমেন্ট এবং সিকিউরিটি ইউনিট সেখানে কাজ করছে৷ আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ সব সময় প্রস্তুত রয়েছে৷ একুশে ফেব্রুয়ারি যেহেতু গভীর রাত এবং ঢাকা শহরের মানুষ এদিকে আসবেন সেজন্য যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে৷ কিছু কিছু জায়গায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত থাকবে৷ কোনো কোনো জায়গা দিয়ে গাড়ি এদিকে ঢুকতে পারবে সাধারণত পলাশীর মোড় দিয়ে শহীদ মিনারে আসার রাস্তাটা রাখা হয়েছে এবং বাহির হওয়ার রাস্তাটাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, সমগ্র এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা আচ্ছাদিত থাকবে। আমাদের বোম্ব ডিস্পোজাল টিম, সোয়াট টিম, ফায়ার সার্ভিস, মেডিকেল টিমমহ অন্যান্য টিম নিরাপদ দূরত্বে স্ট্যান্ডবাই থাকবে। শহীদ মিনার এলাকায় সার্বক্ষণিক তল্লাশি ব্যবস্থা এবং পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে৷ ড্রোন পেট্রলিং, মোবাইল পেট্রলিং এবং সাইবার পেট্রলিং এর মাধ্যমে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷

    ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, যারা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে আসবেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ সবাই পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এখানে আসবেন এবং শৃঙ্খলা মেনে চলবেন৷ সব নাগরিকের কাছ থেকে পুলিশ সহনশীল আচরণ প্রত্যাশা করে৷

  • আগুন দেওয়া হয় ট্রেনের ভেতর থেকে: ডিএমপি কমিশনার

    আগুন দেওয়া হয় ট্রেনের ভেতর থেকে: ডিএমপি কমিশনার

    মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভেতরে যারা ছিল তারাই আগুন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, প্রথমে একটি সিটে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে চারদিক ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।

    মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ট্রেনে নাশকতায় আহতদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, একজনকে আমরা আহত পেয়েছি, তিনি হাসপাতালে ভর্তি। তার কাছ থেকে যতটুকু জানা গেছে, ট্রেনের ভেতর যারা ছিল তারাই আগুন দিয়েছে। তিনি দেখেছেন প্রথমে একটি সিটে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে ধোঁয়ায় চারদিক আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এসময় যাত্রীরা যে যেদিকে পারেন ছোটাছুটি করতে থাকেন। কেউ জানালা দিয়ে, কেউবা দরজা দিয়ে লাফ দিয়ে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

    তিনি বলেন, ভোরে ঘটনা ঘটায় অনেক যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। একজন মা নাদিরা আক্তার পপি, যিনি তিন বছরের শিশুসন্তানকে জড়িয়ে ধরে ছিলেন। মা ও সন্তান উভয়ই বাঁচার চেষ্টা করছিলেন।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি মনে করি যারা অবরোধ-হরতাল দিচ্ছে তারাই এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। এর আগেও তারা এভাবে ট্রেনে নাশকতা করেছে। গাজীপুরে রেললাইন কেটে ফেলা হয়েছিল এবং সেখানে একজনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া তেজগাঁওয়ে রেলের আগুনকেও আমি হত্যা বলতে চাই।

    হাবিবুর রহমান বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কোনো অবস্থাতেই পার পাবে না। অতীতেও পার পায়নি। বাস-ট্রেনে জ্বালাও-পোড়াওয়ের প্রত্যেকটি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা স্বীকারোক্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ও রাজনীতি টিকিয়ে রাখার স্বার্থে এই কাজ করতে বাধ্য হয়েছে।

    এ ধরনের ঘটনার নির্দেশনা দেশ থেকে নাকি দেশের বাইরে থেকে আসছে- জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা হরতাল-অবরোধ দিচ্ছে, জ্বালাও-পোড়াও করছে, যারা নাশকতা করছে, তাদের বিদেশি নেতাদের দেশীয় এজেন্ট-অনুসারীদের দিয়ে এসব কাজা করানো হচ্ছে, যা দিবালোকের মতো স্পষ্ট।

    তিনি আরও বলেন, নিহতদের মধ্যে বাকি দুজনের ডিএনএ সংগ্রহ করে অচিরেই তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হবে। এরপর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

  • বিএনপি তাদের অফিসে তালা মেরে রেখেছে, ঢুকতে চাইলে আপত্তি নেই: ডিএমপি কমিশনার

    বিএনপি তাদের অফিসে তালা মেরে রেখেছে, ঢুকতে চাইলে আপত্তি নেই: ডিএমপি কমিশনার

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নিজেরাই তাদের অফিসে তালা মেরে রেখেছে। তারা অফিসে ঢুকতে চাইলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

    দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধদের দেখতে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে এসে এ কথা বলেন তিনি।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাসে অগ্নিসংযোগ রুখে দিতে শুধু পুলিশ একাই দায়িত্ব পালন করলে হবে না, সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে এসে অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করতে হবে। বাসে অগ্নিসংযোগের সময় আমরা হাতেনাতে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং এ ঘটনায় জড়িত ১৯ জনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। আমরা বলেছি, বাসে উঠলে বাসের চালকরা যেন তাদের সবার (যাত্রী) ছবি তুলে রাখেন।

    বিএনপি কার্যালয়ে আপনারা তালা মেরে রেখেছেন, ঢুকতে দিচ্ছেন না, ঘিরে রেখেছেন– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিএনপি কার্যালয়ে তালা মেরে রাখিনি, তারা নিজেরাই তালা মেরে রেখেছে। তাদের কার্যালয়ে তারা যেকোনো সময় আসতে পারবে। এতে আমাদের কোনো বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ সেখানে মোতায়েন থাকবে।

    গতকাল (সোমবার) খিলক্ষেত এলাকায় পুলিশের এক এএসআইকে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতের ঘটনায় করা এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো ঘটনার সম্পৃক্ততা নেই। খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

    অবরোধে বেশিরভাগ বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটছে সন্ধ্যার পর এবং ভোরে– এ বিষয়ে আপনারা কী পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে আমি এটি বলব, আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় সজাগ রয়েছে। তবে তারা কিছু চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটাচ্ছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

    এসময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার

    ধরিয়ে দিলে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার

    চলমান অবরোধের মধ্যে যারা সহিংসতা ও নাশকতা করছে, যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রোল বোমা মারছে, তাদের ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। নাশকতাকারীকে যিনি ধরিয়ে দেবেন তাকে ২০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

    সোমবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপির সঙ্গে পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে এই মতবিনিময় সভা।

    সভায় ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিভিন্ন স্থানে যারা গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, পেট্রোল বোমা মারছে, সহিংসতা-নাশকতা করছে তাদের অনেককে আমরা হাতেনাতে ধরেছি। অনেককে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকাকে নিরাপদ করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদা তৎপর রয়েছে। পুলিশ দিবারাত্রি কাজ করছে। প্রত্যেক পেট্রোল পাম্পে রাতে একবার করে হলেও পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে। রাজনৈতিক কর্মসূচি, অবরোধ চলাকালে পুলিশের অ্যাক্টিভিটিজ কিন্তু দৃশ্যমান। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ কাজ করছে। আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রমও অব্যাহত আছে।

    হাবিবুর রহমান বলেন, ঢাকা অনেক বড় শহর, অনেক মানুষের বসবাস এখানে। কিছু কিছু ঘটনা তো ঘটে যাচ্ছে। পুলিশ কিন্তু অনেক ঘটনা নিবৃত করেছে। অনেককে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। হাতেনাতে অনেককে আটক করা হয়েছে। হাতেনাতে আটক করার ক্ষেত্রে যারা আমাদের সহযোগিতা করেছেন তাদেরও আমরা নগদ পুরস্কার দেব।

    তিনি বলেন, কীভাবে আমরা নিরাপদে সামনের দিনগুলো চলতে পারি, এটাই এখন আমাদের মূল উদ্দেশ্য। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি চলছে। আপনারা জানেন একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। এটা সবাইকে মেনে নিতে হবে। কারণ আমরা একেক জন একেক দল পছন্দ করি। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও হচ্ছে, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ হচ্ছে। সচেতন নাগরিক হিসেবে পরিবহন সেক্টরের লোকদের দায়িত্বশীল হিসেবে প্রতিরোধ গড়তে হবে। এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে ঘটাতে না পারে।

    পেট্রোল পাম্প মালিকদের অনুরোধ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এর আগে কিন্তু হরতাল-অবরোধের সময় পেট্রোল পাম্পে আগুন দেওয়া হয়েছিল। সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিয়ম রয়েছে, মাসে অন্তত একবার পেট্রোল পাম্প ভিজিট করা। আমাদের অফিসাররা অনেক সময় ব্যস্ততার কারণে যেতে পারেন না। এখন যদি আমাদের অফিসাররা যান, তাহলে সহযোগিতা করবেন, তথ্য দেবেন। কোনো সমস্যা হলে নিকটস্থ থানায় যোগাযোগ করবেন। পেট্রোল পাম্পে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করুন। পুরো পেট্রোল পাম্প এলাকা যেন সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকে, সেটি নিশ্চিত করুন।

  • বাজার অস্থির করলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি ডিএমপির

    বাজার অস্থির করলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি ডিএমপির

    কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করেই এই কাজটি করছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি ও আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় এসব কথা উঠে আসে। এসময় পণ্য পরিবহনে সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি বাজারকে অস্থির করলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার।

    বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির হেডকোয়ার্টারের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিশেষ সভায় এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

    ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, যারাই সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াবে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা মিলে সমন্বিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রান্তিক পর্যায় থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত মনিটরিং করতে হবে। ঢাকার বাইরে থেকে কাঁচামাল আসতে যাতে কোনো বাধা না আসে, চাঁদাবাজি না হয়, সেদিকেও তদারকি বাড়ানোর আহবান জানান ব্যবসায়ীরা।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগে রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির দৃশ্য দেখা যেত। বর্তমানে রাস্তায় কোনো হয়রানি বা চাঁদাবাজি দেখা যায় না। তারপরও কেউ অভিযোগ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি। আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টিতে খুচরা-পাইকারি কোনো ব্যবসায়ীরাই ভূমিকা রাখছে না। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার সমিতিগুলো তাদের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করছে না বলেই দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা বাজার অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে, সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। আর যে কোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার জন্য ডিএমপি সক্ষম। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করব।

    নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।

    নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পরিস্থিতি ও আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত বিশেষ সভার আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। অংশ নেন বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী, সিটি কর্পোরেশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা।

  • অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় নয় : ডিএমপি কমিশনার

    অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় নয় : ডিএমপি কমিশনার

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় নয়।

    আজ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নবনিযুক্ত কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় নয়।

    আজ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

    তিনি বলেন, ঢাকা একটি মেগাসিটি। ৩০৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ঢাকা শহরে জনসংখ্যার ঘনত্ব ৭৩ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস। যা যেকোনো শহরের তুলনায় সর্বোচ্চ। এই শহরের পুলিশিং বড় চ্যালেঞ্জ ও জটিল প্রক্রিয়া। তারপরও ডিএমপি সৃষ্টির পর থেকে অত্যন্ত দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে জনগণের পাশে রয়েছে, দায়িত্ব পালন ও সমস্যার সমাধান করে আসছে।

    হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশের নিত্য-নৈমিত্যিক কাজ চুরি-ছিনতাই ডাকাতি নিয়ন্ত্রণ করা, জনশৃঙ্খলা রক্ষা, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া। তবে বৈশ্বিক অবস্থা ও প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে নতুন সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে সাইবার ক্রাইম। এই সাইবার অপরাধ দমনে বিভিন্ন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে ডিএমপি। আজ থেকে ১৫ বছর আগের তুলনায় এখন ঢাকার চিত্র অনেক ভিন্ন। আমরা এখন দেখতে পাই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, মেট্রো রেল। এই যানজটের নগরী ঢাকায় অট্টালিকা প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে। রাস্তা কিন্তু কমেছে। জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী ঢাকায় দরকার ৭৫ বর্গ কি.মি. সড়ক। সেখানে আছে ২৮ বর্গ কি.মি. সড়ক। সুতরাং যানজট এই শহরের বড় সমস্যা।

    তিনি আরও বলেন, ২ কোটি ২৪ লাখ জনগণের জন্য আমাদের জনবল মাত্র ৩৪ হাজার। তবুও ডিএমপি দক্ষতা ও যোগ্যতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছে।

    বিট ও কমিউনিটি পুলিশিংকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই শহরকে নিরাপদ ঢাকা, বেটার ঢাকা গড়ার লড়াই চালিয়ে যাবো। ঢাকাকে আইনশৃঙ্খলা, জনশৃঙ্খলার দিক দিয়ে একটি নিরাপদ ও শক্তিশালী শহর হিসেবে গড়তে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

    শীর্ষ সন্ত্রাসী নাছির, লম্বু সোহেল, মামুনরা আন্ডারওয়ার্ল্ডকে অস্থির করে তুলেছে। সর্বশেষ তেজগাঁওয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। নতুন কমিশনার হিসেবে কী কৌশল গ্রহণ করবেন? জানতে চাইলে নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার বলেন, জামিন একটি বিচারিক প্রক্রিয়া। একজন অপরাধী আদালত থেকে আইন অনুযায়ী জামিন পেতেই পারে। এ ক্ষেত্রে কিন্তু পুলিশের কিছু করার থাকে না। তবে পুলিশ যেটা করতে পারে সেটা হলো, যদি কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়ে কিংবা উদ্যত হয় বা অপরাধ সংঘঠিত করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া। আমরা বদ্ধপরিকর অপরাধী ছোট কিংবা বড় কাউকে ছাড় নয়। ব্যবস্থা নিতে ডিএমপি বদ্ধপরিকর। শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কঠোর মনিটরিং করতে সকল কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

  • সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে না সব দল

    সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে না সব দল

    কয়েকটি দলকে তাদের সমাবেশের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

    তিনি বলেন, ‘সমাবেশ করার জন্য আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ এ পর্যন্ত মোট ৯টি রাজনৈতিক দলের আবেদন পেয়েছি। আমরা পর্যালোচনা করে, কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে কয়েকটি দলকে তাদের সমাবেশের জন্য অনুমতি দিব।’

    বুধবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে রাজধানী হোসনি দালানে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।

    গোলাম ফারুক আরও বলেন, ‘যারা সমাবেশের জন্য অনুমতি পাবেন, রাজনৈতিক সমাবেশ করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দায়িত্ব এবং কর্তব্য। আপনাদের (সাংবাদিক) মাধ্যমে সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ করব, এই যে ওয়ার্কিং ডে-তে বিশাল বিশাল সমাবেশ করে লাখ লাখ মানুষকে রাস্তায় যানজটে আটকে রাখা, সেই জিনিসটা মাথায় রেখে তারা যেন ভবিষ্যতে ওয়ার্কিং ডের কর্মসূচিগুলো পরিবর্তন করে বন্ধের দিনে নিয়ে যান। যারা সমাবেশস্থলে আসবেন, তারা যেন কোনোভাবেই লাঠিসোঁটা নিয়ে না আসেন, কোনো ব্যাগ নিয়ে না আসেন, যেখানে বিস্ফোরক দ্রব্য থাকতে পারে।’

     

  • রাজধানীকে ছিনতাইকারীমুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ডিএমপি কমিশনার

    রাজধানীকে ছিনতাইকারীমুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে: ডিএমপি কমিশনার

    রাজধানীকে ছিনতাইকারীমুক্ত না করা পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

    তিনি বলেন, ঈদের বন্ধে রাজধানীতে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আমরা ঈদের আগেই অনেক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছিলাম। কিন্তু এরপরও দুঃখজনকভাবে বিষয়গুলো ঘটেছে। পুলিশ এসব বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। রাজধানীকে ছিনতাইকারীমুক্ত না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে। এর জন্য আমাদের যা করা লাগে, যত পরিশ্রম করা লাগে আমরা করব।

    মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ছিনতাইকারীর হামলায় আহত ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সহকারী প্রযোজক চিকিৎসাধীন রাকিবুল হাসানকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ কনস্টেবলকে হত্যার ঘটনায় আমরা সবাইকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক রকিবুল হাসানকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত ছুরি, মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। আরেক আসামি নজরদারিতে আছে, তাকেও যে কোনো সময় গ্রেপ্তার করা হবে।

  • জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি, নিয়ন্ত্রণে আছে: ডিএমপি কমিশনার

    জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি, নিয়ন্ত্রণে আছে: ডিএমপি কমিশনার

    ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন দেশে জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি, আমরা বলবো নিয়ন্ত্রণে আছে।জঙ্গিবাদের সুপ্ত বীজ লুকিয়ে থাকতে পারে।

    শনিবার (১ জুলাই) সকালে গুলশানে হলি আর্টিসান জঙ্গি হামলায় শহীদ দুই পুলিশ সদস্যের মোড়ালে প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজ থেকে সাত বছর আগে ২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিসানে বিদেশি নাগরিকদের অতর্কিতভাবে জঙ্গিদের জিম্মি করা ও তাদের হত্যা করা হয়। এসময় তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের দুই জন সিনিয়র পুলিশ সদস্য শহীদ হোন। আজকেও আমাদের মনে এইটা দগ্ধ ঘায়ের মতো জ্বলে। দেশি-বিদেশি আন্তর্জাতিক চক্রান্তে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে স্তব্ধ করতে ২০১৫-১৬ সালে বিভিন্ন জঙ্গি হামলা ঘটানো হয়। হলি আর্টিসান হামলার পর আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে ভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে থাকে।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুলিশ ও জনগণ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। সব উন্নয়ন সহযোগীদের স্পষ্ট দেওয়া হয় বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের উৎখাত করবো, আপনারা ফিরে আসেন। তারপর আমাদের উন্নয়ন সহযোগীরা দেশে ফিরে আসেন এবং আমাদের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। এরপর থেকে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করা, গ্রেফতার ও বিচারে সোপর্দ করা অব্যাহত ছিল। যারা ফলে সমগ্র বাংলাদেশে জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে আছে। জঙ্গিবাদ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি, আমরা বলবো যে এইটা নিয়ন্ত্রণে আছে।

    হলি আর্টিসান হামলায় বিদেশিসহ মোট ২২ জন নিহত হন। এ ঘটনায় সিটিটিসি তদন্ত করে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। যদিও এ ঘটনার অনেক অভিযুক্ত বিভিন্ন সময় জঙ্গি হামলা করতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। আর বাকিদের সাঁজা হয়ে গেছে। আমরা এখন অনেকটা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আশাকরি, ভবিষ্যতে জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ ধরে রাখতে পারবো।

    এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জেএমবি, নব্য জেএমবিসহ জঙ্গিবাদ নেই বললেও চলে। তবে, জঙ্গিবাদের সুপ্ত বীজ লুকিয়ে থাকতে পারে। নতুন কয়েকটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। নতুন জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া একটি। এ সংগঠনের ডাকে অনেক তরুণ হিজরত করেছিল পাহাড়ে ও প্রশিক্ষণ নিয়েছিল।

    আমাদের পুলিশ, র্যাব নতুন জঙ্গি সংগঠনের অনেককে গ্রেফতার করেছে। আবার অনেকে ভুল বুঝতে পারে আত্মসমর্পণ করেছে। আমরা কয়েক দিন আগেও শারক্বীয়ার প্রধানকে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা আশা করছি তারা যে নামেই আসুক না কেন তারা বাংলাদেশ স্থান পাবে না।

    অপর আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটিইউ, সিটিটিসি ও র্যাব জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অনবরত কাজ করে যাচ্ছে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ ও খোঁজখবর নেওয়া কাজ করছে। এছাড়া জঙ্গিবাদের বিষয়ে মানুষ জনকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন সময় নানা প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি এবং কাজ করেছি।

    যারা দুই/চারজন ভুল পথে যাওয়া চিন্তা-ভাবনায় ছিল, তাদের যদি ইসলামের সঠিক আদর্শটা তুলে ধরতে পারি, আমাদের বিভিন্ন মাওলানা সাহেব ও আলেম সমাজ যারা আছেন তারও বিভিন্ন ধর্ম সভায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। আশা করছি এভাবে আমাদের মুষ্টিমেয় তরুণ ছেলে-মেয়ে বিপথে গিয়েছিল তারা ফিরে আসবে।

  • ঈদের জামাত ঘিরে কোনো হুমকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

    ঈদের জামাত ঘিরে কোনো হুমকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

    পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতকে কেন্দ্র করে নতুন করে কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। তিনি বলেন, ‘ঈদের জামাতকে ঘিরে কোনো হুমকি নেই। তবে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অতীতের দুর্ঘটনার বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

    আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ঢাকায় অসংখ্য জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রপতিসহ রাষ্ট্রের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নামাজ পড়তে আসবেন। প্রায় ৩৫ হাজার লোক একসঙ্গে এখানে নামাজ পড়বেন। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররমসহ ঢাকার অনেক জায়গায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’

    খন্দকার গোলাম ফারুক আরও বলেন, ‘প্রত্যেক ঈদের জামাতে আমাদের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। মুসল্লিরা কোনো শঙ্কা ছাড়া ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। সিটিটিসির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে পুরো মাঠ সুইপিং করা হয়েছে, যা ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। পুরো এলাকায় পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা পাহারায় থাকবেন। ঈদের দিন সিটিটিসির সোয়াত টিম আশপাশে থাকবে, যাতে যে কোনো পরিস্থিতিতে তারা সঙ্গে সঙ্গে রেসপন্স করতে পারে।’

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জাতীয় ঈদগাহ মাঠে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। পুরো মাঠ সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। জাতীয় ঈদগাহে আসা প্রত্যেককে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। এজন্য যাতে সবাই একটু সময় নিয়ে মাঠে আসেন। মাঠে জায়নামাজ ছাড়া অন্যকোনো কিছু সঙ্গে আনবেন না। কোনো দাহ্য পদার্থ আনা যাবে না।’

  • রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই : ডিএমপি কমিশনার

    রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই : ডিএমপি কমিশনার

    বাংলা নববর্ষ বরণ উপলক্ষে রমনার অনুষ্ঠান ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

    উড়োচিঠির হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, জঙ্গি নয়, দুষ্টু পোলাপান চিরকুট দিয়ে হুমকি দিয়েছে। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বেলা সোয়া ১১টায় বাংলা নববর্ষ ১৪৩০ বরণ উপলক্ষে রমনা বটমূলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে উড়োচিঠি এসেছে তা দেওয়া হয়েছে দাজ্জাল বাহিনী নামে। দাজ্জাল বাহিনী নামে বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি সংগঠন নেই। কোনো দুষ্টু পোলাপান অতিউৎসাহী হয়ে চিরকুট লিখছে।

    জানা যায়, মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত পৌনে ১০টার দিকে চারুকলা অনুষদ পশ্চিম পাশের দেওয়ালে রঙের কাজ তদারকি করার সময় প্লাস্টিক চেয়ারের ওপর সাদা কাগজে ৫০ টাকার নোট পাওয়া যায়। ওই কাগজে লেখা ছিল- ‘শোভা যাত্রা কাজটা শিরকের এখানে এসে ক্ষতি করোনো তোমাদের। হামলা হতে পারে এনি টাইম ঐদিনের দাজ্জালি বাহিনী পাবেনা টের মোদের।’

    এ ঘটনায় আবতাহী রহমান (২৫) নামে এক শিক্ষার্থী শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। তিনি শাহবাগ থানাধীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদের মঙ্গল শোভাযাত্রা উদযাপন কমিটির অর্থ ও নিরাপত্তাবিষয়ক সদস্য।

    এদিকে মঙ্গল শোভযাত্রা বের করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগ। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ‘বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে বের হওয়ার কথা রয়েছে। মঙ্গল শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে পুনরায় চারুকলা অনুষদে গিয়ে শেষ হবে। নির্মাণাধীন মেট্রোরেলের জন্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় জনসমাগম সীমিত রাখতে সকলের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে।