Tag: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

  • রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে শাকিবের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

    রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে শাকিবের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

    প্রযোজক রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান।

    আজ সোমবার (২৭ মার্চ) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াতের আদালতে এ মামলা করেন তিনি।

    এ দিন আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

    এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) একই আদালতে তিনি মামলা করতে এলে বিচারক মামলা ফাইলিংয়ের সময় চলে যাওয়ায় মামলা না নিয়ে তার আইনজীবীকে আজ সোমবার আসতে বলেন।

    শাকিব খানের আইনজীবী তানভীর আহমেদ তনু বিষয়টি জানিয়েছেন।

    সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৬ জুনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

    এদিকে গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে রহমত উল্লাহ নামে এক প্রযোজকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন চিত্রনায়ক শাকিব খান। মামলার অভিযোগে শাকিব উল্লেখ করেন, তিনি নাইট ক্লাবে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যান। এছাড়া আসামি রহমত উল্লাহ তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছেন বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।
    অন্যদিকে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ এনে গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) শাকিব খানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। রহমত উল্লাহর পক্ষে অ্যাডভোকেট তবারক হোসেন ভূঁইয়া এ নোটিশ পাঠিয়েছেন। নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে শাকিব খানকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
    ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাঙালি প্রযোজক রহমত উল্লাহ শুটিংয়ে শিডিউল ফাঁসানো, অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস ও নারী সহ-প্রযোজককে ধর্ষণের মতো গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন শাকিব খানের বিরুদ্ধে।

    এই প্রযোজকের নামে মানহানি মামলা করতে গত শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে গুলশান থানায় গিয়েছিলেন শাকিব খান। সেখানে তার মামলা নেওয়া হয়নি। পরের দিন রোববার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন বলে গণমাধ্যমকে জানান শাকিব খান। সেখানে শাকিব তার বক্তব্যে গণমাধ্যমের কাছে রহমত উল্লাহকে ‘বাটপার, প্রতারক ও ভুয়া প্রযোজক’ বলে উল্লেখ করেন।

  • তথ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, চট্টগ্রামে আইসিটি আইনে মামলা

    তথ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার, চট্টগ্রামে আইসিটি আইনে মামলা

    দেশের বাইরে থেকে ফেসবুক ও ইউটিউবে “লন্ডন বাংলা চ্যানেল” নামে একটি পেইজ ও চ্যানেল থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপিকে জড়িয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ধরণের মিথ্যা ও অসত্য তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন একটি স্বার্থান্বেষি মহল। পেইজটির এডমিন আবদুর রব ভুট্টো (প্রকাশ : এ.আর.ভুট্টো)। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন নগরীর পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা।

    মামলায় আবদুর রব ভুট্টো ও তার পরিচালিত চ্যানেল “লন্ডন বাংলা চ্যানেল” কে আসামী করা হয়।

    বুধবার (১১ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) এর চকবাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫ (১)(ক)(খ)/ ২৬(৩)/ ২৯(২)/ ৩১(৩)/ ৩৫(২) ধারায় মামলাটি রুজু করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ মঞ্জুর কাদের মজুমদার।

    মামলার এজাহারে বাদি অভিযোগ করেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “লন্ডন বাংলা চ্যানেল” নামে একটি পেইজ খুলে মধ্যপ্রাচ্যের দুবাইয়ে বসে আবদুর রব ভুট্টো দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরণের দেশ বিরোধী অপপ্রচার ও গুজব রটাচ্ছেন। সম্প্রতি দেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে আমার প্রিয়নেতা তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে জড়িয়ে অসত্য ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভিডিও তৈরী ফেসবুক ও ইউটিউবে প্রচার করেন। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভিডিওটি আবার আবদুর রব ভুট্টো নিজের আইডি এবং আরো নয়টি ফেসবুক লিংক থেকে পোস্ট ও শেয়ার করেন।

    মাসুদ রানা বলেন, এসব অপপ্রচারে আমিসহ আমাদের নেতা তথ্যমন্ত্রীর হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে ও দেশের বিভিন্ন এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিদেশে বসে দেশের সম্মানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে এ ধরণের অপপ্রচার ও সম্মানহানি করে গুজব রটনাকারীদের আইনের আওতায় আনতে তিনি মামলা করেছেন বলে জানান। একই উদ্দেশ্যে এসব মিথ্যা ভিডিও লাইক, শেয়ার ও কমেন্টকারীদেরও আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানান তিনি।

    চকবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঞ্জুর কাদের মজুমদার বলেন, মামলাটি পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। দেশবিরোধী অপপ্রচার ও গুজব রটনাকারীদের সনাক্তপূর্বক আসামীদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

  • ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাবেক এমপির কন্যার মামলা

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাবেক এমপির কন্যার মামলা

    এবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন রাঙামাটিসহ তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি ও রাঙামাটি জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ফিরোজা বেগম চিনুর মেয়ে নাজনীন আনোয়ার। গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জহিরুল কবির মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে আগামী ১৩ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

    মামলায় দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকম সম্পাদক ফজলে এলাহী, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক অনির্বাণ শাহরিয়ার, জাগো নিউজের রাঙামাটি প্রতিনিধি সাইফুল হাসান, দীপ্ত টিভির বিশেষ প্রতিনিধি বায়েজিদ আহমেদ, টিবিএসের খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি দিদারুল আলম ও বণিক বার্তার রাঙামাটি প্রতিনিধি প্রান্ত রনির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করা হয়।

    মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নাম উল্লেখিত ব্যক্তিরাসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে পোস্ট করেন। এ কারণে বাদী এবং তার মা (সাবেক এমপি ফিরোজা বেগম চিনু) সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে অপদস্থ হয়ে মানসিক ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। মামলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৩, ২৫, ২৬, ২৯, ৩১, ৩৪, ৩৫ ও ৩৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

    এর আগে, নিজ সম্পাদিত অনলাইন দৈনিক পাহাড় টোয়েন্টিফোর ডটকম ও দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রামে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের ডিসি বাংলো পার্কে অবস্থিত ‘পাইরেটস্’ রেস্টুরেন্ট নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে সাংবাদিক ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে মামলা করেন নাজনীন আনোয়ার। ওই মামলায় গত ৭ জুন সন্ধ্যায় ফজলে এলাহীকে গ্রেফতার করে রাঙামাটির কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ৮ জুন রাঙামাটির আদালতে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান ফজলে এলাহী। এরপর ১৪ জুন চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালত থেকে স্থায়ী জামিন পান তিনি। গ্রেফতারের ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে সাংবাদিক ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও জামিন দাবিতে সরব থাকার জেরে এবার ফজলে এলাহী ও পাঁচ সাংবাদিকের নাম উল্লেখ করে, অজ্ঞাতনামা আরও অনেককে আসামি করে মামলা করার অভিযোগ উঠেছে।

    মামলার বাদী নাজনীন আনোয়ার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শামীমের স্ত্রী।

    এদিকে আবারও ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করে সাংবাদিকদের হয়রানির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাঙামাটি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক হেফাজত সবুজ বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করার অপচেষ্টা রুখতে হবে সম্মিলিতভাবে।

    রাঙামাটি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সৈকত বাবু ও সাধারণ সম্পাদক মিশু দে পৃথক এক বিবৃতিতে এই মামলাকে ‘হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ দাবি করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

    বান্দরবান প্রেস ইউনিটের সভাপতি আলাউদ্দীন শাহরিয়ার, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মংসানু মারমা, সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক আল ফয়সাল বিকাশ পৃথক পৃথক বিবৃতিতে মামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জিতেন বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের মোহাম্মদ এক বিবৃতিতে ছয় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে, অবিলম্বে সাংবাদিক হয়রানির সব পদক্ষেপ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।

    দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পাদক ফজলে এলাহীসহ সাত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়ন। খাগড়াছড়ি সাংবাদিকদের সংগঠন কেইউজে’র সভাপতি প্রদীপ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত দেওয়ান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

    চট্টগ্রামে ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

    শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে নিয়ে কুৎসা, মিথ্যা, বানোয়াট ও কটূক্তি করার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫, ২৯ ও ৩১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার ইয়াছির আরাফাত (তানিম)।

    মামলা দায়েরের বিষয়টি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অ্যাডভোকেট মো. ইব্রাহিম হেসেন চৌধুরী বাবুল। তিনি বলেন, আদালত শুনানি শেষে সিআইডিকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

    মামলার এজাহারে বাদী অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার ইয়াসির আরাফাত উল্লেখ করেছেন, গত ১ জুন বাংলাদেশ ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের নামে সমাবেশ ডেকে বাংলাদেশ সরকারসহ বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে আসামি নুরুল হক নুর ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে গুন্ডালীগ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এছাড়া শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আরেক গুন্ডা, উন্মাদ বলে মন্তব্য করেছেন। এছাড়াও সরকারবিরোধী বক্তব্য, সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বার্তা বলে
    আসামি ও তার দলীয় লোকজন অশ্লীল বাক্য আক্রমণাত্মক ভীতি প্রদর্শক মিথ্যা তথ্য উপাত্ত ভিডিও আসামির নিজের ব্যবহৃত Bangla News BD নামক ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট করেন। এছাড়া আসামি নুরুল হক নুর নামের ফেসবুক আইডি থেকেও এসব বক্তব্য সম্বলিত ভিডিও প্রচার করেন।

    মামলার বাদী শাহরিয়ার ইয়াছির আরাফাত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তাই মহিবুল হাসান চৌধুরী সম্পর্কে আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক ও মানহানীকর বক্তব্যের ভিডিও আসামি নিজের ফেসবুকে প্রচার করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করা হয়েছে।

  • বোয়ালখালীতে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা

    বোয়ালখালীতে ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে থানায় মামলা

    বোয়ালখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর মিথ্যা পোস্ট দেওয়ায় সৌরভ আহমদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন এক শিক্ষক ও সাংবাদিক।

    তিনি গত ২৪জুলাই শুক্রবার রাতে এ মামলাটি দায়ের করেন বলে জানিয়েছে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল করিম।

    মামলার এজাহারে জানা গেছে, উপজেলার পোপাদিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সৈয়দপুর গ্রামের মো. ইদ্রিছের ছেলে সৌরভ আহমদ নিজের ফেসবুক আইডিতে গত ৬জুন ওই শিক্ষক ও সাংবাদিকের নামে মিথ্যা, সম্মানহানিকর, উদ্দেশ্যমূলক পোস্ট দেয়। এতে নানা অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যও করে সে।

    এছাড়া গত ২ ও ২০জুলাই একই ব্যক্তি ফেসবুকে উপজেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়েও বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে যা অভিভাবকদের বিভ্রান্তি করে। এছাড়া ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়ে বাজে ও কুরুচিপপূর্ণ মন্তব্য করেন।

    এরপর গত ২১ ও ২৩ জুলাই ওই স্কুলের ফেসবুক পেইজে সৌরভ আহমদ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপন করেন এবং ২২ জুলাই সৈয়দ মোহাম্মদ মঞ্জু নামে একটি আইডিতে তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন মিথ্যা ভিত্তিহীন মন্তব্য করে। এতে ওই সাংবাদিক ও শিক্ষক পারিবারিক এবং সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্নসহ মানহানি হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

    জানতে চাইলে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল করিম জানান, সৌরভ আহমদ নামক আইডি ও অন্যান্য উল্লেখিত আইডি থেকে বিভিন্ন পোস্টের স্ক্রীনশর্ট নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামী গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/পুজন

  • ধর্মানুভুতিতে আঘাত ও উস্কানির অভিযোগ : ব্লগার আসাদ নুরের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

    ধর্মানুভুতিতে আঘাত ও উস্কানির অভিযোগ : ব্লগার আসাদ নুরের বিরুদ্ধে রাঙ্গুনিয়ায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

    ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার মাধ্যমে ধর্মানুভুতিতে আঘাত, মানহানিসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ ব্লগার আসাদ নুরের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    তিনি অনলাইনে ভিডিও প্রচার করে ইসলাম ধর্ম, মুসলমান জাতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে আপত্তিকর ও স্পর্শকাতর মন্তব্য করে উস্কানি দিয়েছেন বলে মামলার অভিযোগে জানা যায়।

    আসাদ নুর’স ব্লগস নামের আইডি থেকে এধরণের ভিডিও প্রচার করা হয় ১৩ জুন সোমবার। ব্লগার আসাদুজ্জামান নুর (৩৮) বরগুনা জেলার আমতলি উপজেলার উত্তর টিয়াখালি গ্রামের তফাজ্জল হোসেনের পুত্র।

    রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শিমুল দাশ গুপ্ত বাদি হয়ে মামলাটি করেন।

    মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি রুজু করা হয়। মামলায় উস্কানিমূলক ভিডিও বার্তাটিতে যারা কমেন্ট ও শেয়ার করে প্রচার করেছেন তাদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    এরআগে ছাত্রলীগ নেতা শিমুল দাশ গুপ্তের মোবাইলে হেয় প্রতিপন্ন ও আপত্তিকর অডিও বার্তাও পাঠান ব্লগার আসাদ নুর। মামলাটিতে সাক্ষি করা হয়েছে অভিজিত তালুকদার বড়ুয়া পাভেল, বাবলা তালুকদারর ও মাসুদ পারভেজকে।

    মামলার অভিযোগে জানা যায়, ইসলাম ধর্ম, মুসলমান জাতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নিয়ে ফেসবুক ফেইজে উস্কানিমূলক ও মর্যাদাহানিকর মন্তব্য করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অটুট অবস্থানকে কলুষিত করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে ‘আসাদ নুরস ব্লগস’। আসাদুজ্জামান নুর ও সহযোগীরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভিডিও তৈরী ও শেয়ার করে রাঙ্গুনিয়ায় বৌদ্ধ সমাজ ও মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন বিনষ্ট করার অপচেষ্ঠা চালাচ্ছেন।

    মামলার বাদি শিমুল গুপ্ত বলেন, ব্লগার আসাদ নুর ভিডিও বার্তায় রাঙ্গুনিয়ায় আরেকটা ২০১২ সালের রামু ট্র্যাজেডি সৃষ্টির উস্কানি দেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ভিডিও বার্তায় ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে নানা কটুক্তি করে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানে। আমার হোয়টসআ্যাপেও আপত্তিকর অডিও বার্তা পাঠান। তার উস্কানিমূলক এসব ভিডিও বার্তার কারণে রাঙ্গুনিয়ায় বৌদ্ধ ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আসাদ নুর ও সহযোগীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।

    রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব মি‌ল্কি ব্লগার আসাদ নুরের বিরুদ্ধে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। এধরণের উস্কানিমূলক কর্মকান্ড যারা শেয়ার ও প্রচার করে উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন তারাও আইনের আওতায় আসবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর