Tag: ডিবি

  • তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন: জড়িতদের নাম পেয়েছে ডিবি

    তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন: জড়িতদের নাম পেয়েছে ডিবি

    রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িতদের নাম পেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

    বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ। এর আগে গত মঙ্গলবার ভোরে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কমলাপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

     

  • আমরা জানি কারা আগুন লাগাচ্ছে, যেখানেই থাকুক ছাড় নয় : হারুন

    আমরা জানি কারা আগুন লাগাচ্ছে, যেখানেই থাকুক ছাড় নয় : হারুন

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও গোয়েন্দা প্রধান হারুন-অর-রশীদ বলেছেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে যারা জনগণের জানমাল, সরকারি সম্পত্তিতে আগুন লাগাচ্ছে, তাদের অনেকের নাম আমরা পেয়ে গেছি। তারা বাংলাদেশের যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা তাদের আইনের আওতায় আনব।

    রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

    সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর কর্মসূচির মধ্যে যানবাহনে আগুন দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি মনে করি, এটা গর্হিত কাজ। একটি মানুষের শেষ সম্বল একটি বাস। যাত্রী পরিবহন করে তার সংসার চলে। তার একমাত্র অবলম্বন যদি রাত ৩টা, দেড়টার সময় তারা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়, তার লাইফটাই তো শেষ হয়ে যাবে। মানুষের জানমালের ওপর আঘাত করা, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা, ককটেল নিক্ষেপ করা, এসব কাজ যারা করছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা।

    রাজনীতি নয়, অপরাধ করায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন বিএনপি নেতারা
    এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা যেটা জেনেছি, ২৮ তারিখ যারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছে, আমাদের পুলিশ ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের মেরেছে এবং ওই দিন বাসে যারা আগুন লাগিয়েছে—তারাই পরদিন হরতাল ডেকেছে। হরতালের মধ্যেও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। অবরোধ ডেকেছে, অবরোধের মধ্যে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটছে।

    হারুন বলেন, এতদিন তো আগুন লাগেনি। অবরোধ ডাকার পরে বাসে আগুন কারা লাগাচ্ছে আমরা জানি। তাদের নাম আমরা পেয়েছি, ছবি পেয়েছি। আমরা অবশ্যই তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসব। আমরা জানি, কারা বোমা বানাচ্ছে, কারা ককটেল নিক্ষেপ করছে।

  • নাশকতার কোনো শঙ্কা নেই, নিয়মিত অভিযান চলবে : হারুন

    নাশকতার কোনো শঙ্কা নেই, নিয়মিত অভিযান চলবে : হারুন

    ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. হারুন অর রশীদ বলেছেন, আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা সমাবেশ ঘিরে কোনো ধরনের নাশকতার আশঙ্কা নেই। ডিএমপি কমিশনার কর্তৃক যে রাজনৈতিক দলই সমাবেশ করার অনুমতি পাবেন তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য পুলিশ কাজ করবে।

    তিনি বলেন, আমাদের নিয়মিত চেকপোস্ট, টহল অভিযান চলবে। মামলা, ওয়ারেন্টের আসামি ধরার অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোনো ধরনের রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের নামে হয়রানি করা হচ্ছে না।

    রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

    বিএনপির পক্ষ থেকে ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ডাকা হয়েছে। এই সমাবেশ ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার হয়রানি ও চেকপোস্টের নামে ঢাকায় আসা নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি’র গোয়েন্দা প্রধান বলেন, এটা ঠিক না। ঢাকায় অনেক কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান আছে। অনেক উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। ডিএমপি সেগুলোর নিরাপত্তা তদারকি দিয়ে থাকে। ঢাকা শহরে এসে অনেক বহিরাগত এসে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এটা আমাদের রুটিন কাজ। এটা সব সময়ই করি। আজও আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। চেকপোস্ট, অভিযান আছে বলেই ঢাকায় মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারছে। টহল পার্টি, চেকপোস্ট না থাকলে তো ঢাকা অপরাধের অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।

    আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, আমরা যখন ছাত্র ছিলাম তখন দেখেছি, বিরোধী দলের কোনো মত নেই, এক দল সমাবেশ করত, আরেক দলকে সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। এখন কিন্তু ঢাকা শহরে একই দিনে ৩/৪ টা দল সমাবেশ করছে। প্রত্যেকটা সমাবেশকে আমরা নিরাপত্তা দিচ্ছি। কোনো সমাবেশ ঘিরে অপ্রীতিকর কিছু ঘটছে না। আমরা আশাবাদী আগামী ২৮ অক্টোবরও নাশকতা বা অপ্রীতিকর কিছু ঘটনা আশঙ্কা বা সম্ভাবনা নেই।

    তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কাকে ঘিরেই আমরা কিন্তু নিরাপত্তা পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি। আমরা প্রত্যেকটা দলের সমাবেশেই ডিএমপি কমিশনার পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেন। পরবর্তী ২৮ অক্টোবর যদি বিএনপি মহাসমাবেশের অনুমতি পায় তবে আমরা পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা দেব। আইনশৃঙ্খলা যাতে ঠিক থাকে, সাধারণ মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারে।

    ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি’র ১০ লাখ নেতাকর্মী ঢাকায় ঢুকে গেছে। জাহাঙ্গীর কবির নানকও তাই বলেছেন। এই তথ্যগুলো তো গোয়েন্দা তথ্যেই পায়। ডিবি পুলিশের কাছে কি এ ধরনের তথ্য রয়েছে? জানতে চাইলে হারুন বলেন, রাজনৈতিক নেতারা কে কি বলেন, সেটা আমরা ভাবছি না। আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বাইরে যাওয়ার কথা না।

  • ফারদিনের আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

    ফারদিনের আত্মহত্যার সম্ভাব্য কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

    বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশকে হত্যা করা হয়নি। তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন এবং নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

    বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টুরোডের ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, ‘তার (ফারদিন) স্পেন যাওয়ার কথা ছিলো, টাকা ম্যানেজ হয়নি। তার পরীক্ষার রেজাল্ট খারাপ হচ্ছিলো। সবকিছু মিলেই মনে হয়েছে সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলো।

    ডিবি প্রধান বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমরা এর তদন্ত করছি। ঘটনার দিন তিনি ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেছেন। তিনি ওই রাতে এলোমেলো ঘুরে বেড়িয়েছেন। তার মানসিক সমস্যা ছিলো বলেই তিনি এরকম এলোমেলো ঘুরে বেড়িয়েছেন।’

    ‘ফারদিন ৪টা টিউশন করাতেন’ উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এই টাকা দিয়ে তিনি নিজের ও ছোট ২ ভাইয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতেন। তারপরও তার বাড়িতে শাসন ছিলো, তাড়াতাড়ি বাসায় ফেরার নির্দেশ ছিলো। হলে থাকা যাবে না। তিনি এক ধরনের চাপের মধ্যে ছিলেন, যেটা তিনি মানতে পারেননি।’

    ফারদিনের গ্রামীণফোনের নম্বর ট্র্যাক করে তার অবস্থান ডেমরা সেতুর উপর অনুমান করা হয়েছে এবং এই লোকেশনটিতে তিনি লেগুনা থেকে নেমেছিলেন বলে লেগুনা চালক জানিয়েছিলেন। এই দুই লোকেশনের মধ্যে মিল পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করেন ডিবি প্রধান। আরও পড়ুন: বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন আত্মহত্যা করেছে: ডিবি

    ডিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘ফারদিন সাঁতার জানতো না। সবকিছু মিলে আমরা মনে করছি এটি আত্মহত্যা।’

    হারুন বলেন, ‘ফারদিন নারায়ণগঞ্জের চানপাড়ায় কোনো অবস্থাতেই যায়নি। কাঁচপুরের সুলতানা কামাল ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে বলে আমরা ধারণা করছি। ব্রিজ থেকে পড়ে যে শব্দ হয় সে ব্যাপারে আমরা প্রমাণও পেয়েছি।’

    ডিবি প্রধান বলেন, ‘ঘটনা রাতে তার বান্ধবী বুশরাকে রামপুরা ব্রিজে নামিয়ে দেয়ার পর রাত নয়টার দিকে কেরানীগঞ্জের একটি ব্রিজের কাছে গিয়েছিলো ফারদিন। এরপর সেখান থেকে জনসন রোডে যায়। এরপর গুলিস্তান হয়ে যাত্রাবাড়ীতে। এরপরে সেখান থেকে রাত দুইটার দিকে যাত্রাবাড়ী। দুইটা সাত মিনিটে লেগুনাতে উঠে। পরে দুইটা ৩৪ মিনিটে সুলতানা কামাল ব্রিজে যায়।’

    ডিবির প্রধান আরও বলেন, ‘ফারদিন যেসব জায়গায় ঘোরাঘুরি করছে এগুলো পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, সে একাই ছিলো। তার সাথে কেউ ছিলো না। এছাড়া সে যার যার সাথে কথা বলেছে তাদের সাথে আমরা কথা বলেছি।’

    ফারদিনের বান্ধবী ইফাত জাহান মুমুর সঙ্গে মেসেঞ্জার ও টেলিগ্রামে কথোপকথন পুলিশের হাতে আছে উল্লেখ করে ডিবি প্রধান জানান, ‘সেসব কথোপকথনে ফারদিন তার হতাশার কথা ব্যক্ত করেছেন অনেকবার। মুমুর ভাষ্যমতে ফারদিন হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। ফারদিন আত্মহত্যা করতে পারেন বলে মুমু মনে করেছিলেন।’

    ফারদিনের সুরতহাল প্রতিবেদনে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যে ডাক্তার ময়নাতদন্ত করেছেন, তাদের সঙ্গে আমরা অনেকবার যোগাযোগ করি। ভিসেরা রিপোর্ট এখনো আসেনি। পূর্ণাঙ্গ মতামত তারা দেবেন। প্রাথমিকভাবে যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেখানে মাথায় আঘাতের কথা বলা আছে। কিন্তু খুবই সামান্য আঘাত, যে আঘাতে সর্বোচ্চ অজ্ঞান হতে পারে বলে ডাক্তার জানান। যদিও মিডিয়ার সামনে বলে ফেলেছেন মাথায় অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন আছে। অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন থাকলে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে উঠে আসতো।’

    এরকম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীও উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরির পর আত্মহত্যা করেছিলেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ফারদিনও এরকম একা একা ঘুরে বেড়িয়েছেন উদ্দেশ্যহীনভাবে। বুশরাকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে নামানোর পর উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়িয়েছেন এবং কারও সঙ্গে দেখা করেননি। ফারদিনের গত ১ বছরের ফোনের কল ডিটেইল রেকর্ড বা সিডিআর পর্যালোচনা করে আগে কখনো এমন দেখা যায়নি।’

  • বিএনপির সমাবেশ থেকেই বিচারপতি মানিকের ওপর হামলা: ডিবি

    বিএনপির সমাবেশ থেকেই বিচারপতি মানিকের ওপর হামলা: ডিবি

    সুপ্রিমকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের ওপর হামলা ‘বিএনপির সমাবেশ থেকেই হয়েছিল’ বলে ধারণা করছে পুলিশ।
    গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক ধারণা হলো— যেহেতু সেখানে বিএনপির সমাবেশ হচ্ছিল, সেই সমাবেশ থেকে এ হামলা হয়।

    ‘ইমো’ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মলনে এসেছিলেন হারুন। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সাবেক বিচারপতি মানিকের ওপর হামলার প্রসঙ্গ উঠে আসে।

    হারুন অর রশিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে জেনেছি, বিচারপতি মানিকের গাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তা ফাঁকাই ছিল। আর সেখানে বিএনপির সমাবেশ হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য পাওয়া গেলে পরে জানান হবে।

    গত ২ নভেম্বের রাজধানীর পল্টনের পশ্চিম দিকে ফকিরাপুল বাজার মোড়ে সড়কে বিচারপতি মানিকের ওপর হমলার ঘটনা ঘটে। তার অভিযোগ, ওই সময়ে বিএনপির একটি মিছিল থেকে তার ওপর হামলা করা হয়।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • লকডাউনের সুযোগে সক্রিয় প্রতারকচক্র :  সীতাকুণ্ডে জনতার হাতে ধরা ৩ ভুয়া ডিবি

    লকডাউনের সুযোগে সক্রিয় প্রতারকচক্র : সীতাকুণ্ডে জনতার হাতে ধরা ৩ ভুয়া ডিবি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ : সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি :  প্ররাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণে দেশব্যাপী লকডাউনের সুযোগে পুলিশ পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি করছে কয়েকটি প্রতারক চক্র। 

    সীতাকুণ্ডের বড় কুমিরা এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারসহ এমনই এক চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

    গতকাল মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে উপজেলার বড় কুমিরা মাজার গেইট রহমতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয়রা জানায়, উক্ত ৩ ব্যাক্তি নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিয়ে করোনা ভাইরাসের বন্ধের মধ্যে দোকান খোলা রাখার কারণে ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যবসায়িদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল।

    এসময় তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে স্থানীয় আলাউদ্দীন মেম্বার এবং সীতাকুণ্ড ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মেজবা ও কুমিরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাইহান এবং কুমিরা ৭/৮ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে এলাতার জনগন তিনজনকে আটক করেন।

    পরে খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি ফিরোজ মোল্লা, ওসি তদন্ত শেখ শামীম ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আটত তিনজন পুলিশ প্রশাসনের কোন দপ্তরেই কর্মরত নয় জানিয়ে তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।

    ওসি জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। স্থানীয়দের  বরাতে তিনি জানায়, এসব ভুয়া পুলিশ মূলত সড়কের পাশে দোকানে অভিযানের নামে বেধড়ক মারধর করে টাকা নিয়ে যায়। বেশ কয়েকটি দোকান হতে টাকা নেয়া শেষে বড় কুমিরা মাজার গেইটে গিয়ে একই কায়দায় টাকা দাবী করলে সেখানে জনতার সন্দেহ হলে আটক করে থানায় খবর দেয়।

    এসময় জনতা তাদের ব্যবহ্নত একটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করেছে। গাড়িটি পুলিশ জব্দ করেছে। তাছাড়া আটককৃত প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় ওসি।

    ২৪ ঘণ্টা/কামরুল দুলু/আর এসপি

  • ছিনতাইয়ের অভিযোগ: এসআই-কনস্টেবলসহ আটক ৩

    ছিনতাইয়ের অভিযোগ: এসআই-কনস্টেবলসহ আটক ৩

    সাতক্ষীরার দেবহাটায় দুই গরু ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতায়ের অভিযোগে যশোর ডিবি পুলিশের এক পরিদর্শক (এসআই) ও এক কনস্টেবলসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

    এদের মধ্যে সাতক্ষীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আদালতের বিচারক বিলাশ মন্ডলের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেন নামে একজন। আটককৃত অপর দুইজন যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মলয় বসু ও কন্সটেবল রফিকুল ইসলামকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

    গত বুধবার (১১ মার্চ) দুপুরে সাতক্ষীরা-কালিগঞ্জ সড়কের পুষ্পকাটি এলাকায় এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী গ্রামের গরু ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে তালা থানায় একটি ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের করেন।

    মামলার বিবরনে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদরের কুশখালী গ্রামের মৃত. গোলাম বারীর ছেলে গরু ব্যবসায়ী শওকত হোসেন ও নেছারউদ্দীনের ছেলে হাফিজুর রহমান গত শনিবার সন্ধ্যার পর গরু কিনতে কালিগঞ্জের মৌতলা গরু হাটের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে দেবহাটা উপজেলার পুষ্পকাটি এলাকায় একটি সাদা প্রাইভেটকারে থাকা তিনজন তাদের নামিয়ে নেয়। তারা ডিবির লোক বলে পরিচয় দেন। এরপর তাদের কাছে থাকা এক লাখ ২৯ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেন।

    এ ঘটনায় জড়িত মোশাররফকে প্রথমে জেলা পুলিশ আটক করে। তার দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মলয় বসু ও কন্সটেবল রফিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। আজ অভিযোগকারী ওই দুই গরু ব্যবসায়ীকে দিয়ে আটককৃত ডিবি অফিসার ও কন্সটেবলকে জড়িত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়।