Tag: ডিমলা

  • সাফল্য দেখানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিমলা পুলিশের ভুয়া তথ্য প্রচার!

    সাফল্য দেখানোর জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিমলা পুলিশের ভুয়া তথ্য প্রচার!

    নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশের বিরুদ্ধে কৃতিত্ব অর্জনের লোভে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহার করে ভুয়া তথ্য প্রচারের অভিযোগ উঠেছে।

    ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে।

    অনুসন্ধানে জানা যায়,উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের শুটিবাড়ী বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মোস্তাক আহমেদ খানের একমাত্র পুত্র সন্তান সিয়াম খান (১২) ও ডাবলু মৃধার ছোট ছেলে রাকিব মৃধা (১২) গত ২২সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে খেলার কথা বলে বেড়িয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

    পরিবারের লোকেরা তাদের অনেক খোঁজাখুঁজি করে সন্ধান না পেয়ে পরেরদিন ২৩ সেপ্টেম্বর ডিমলা থানায় সাধারণ ডায়েরি নং-৯৩৭,তারিখ ২৩/৯/২০২০ইং রুজু করেন।

    এক পর্যায়ে সিয়াম না ফিরলেও শিশু রাকিব গত মঙ্গলবার(৬ অক্টোবর) সকালে একাই নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। পরে তার পরিবার ডিমলা থানা পুলিশকে রাকিবের ফিরে আসার বিষয়ে অবগত করলে পুলিশ অপর নিখোঁজ শিশু সিয়ামের ব্যাপারে রাকিবের কাছে তথ্য নেয়ার কথা বলে তাকে থানায় ডেকে আনেন। রাকিবের বাবা সেদিন ঢাকায় থাকার সুবাদে রাকিবকে তার মা আনোয়ারা বেগম নিজেই বিকেলে থানায় নিয়ে আসলে তাদের সাথে নিয়ে ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম ও ওসি(তদন্ত) সোহেল রানা বেশকিছু ছবি ক্যামেরাবন্দী করেন। পরে রাতে ওই ছবি ও নাম-ঠিকানা সহ ডিমলা থানা নীলফামারী নামের একটি ফেসবুক পেজে এবং ওসি ডিমলা থানার ফেসবুক আইডি থেকে পোষ্টের মাধ্যমে শিশু রাকিব কে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অতি কষ্টে উদ্ধারের পর তার মায়ের নিকট বুঝিয়ে দেবার দাবি করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়।

    ফিরে আসা শিশু রাকিবের মা আনোয়ারা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার ছেলের মোবাইল ফোন নেই।সে নিখোঁজের ১৬দিন পর গত মঙ্গলবার সকালে একাই বাড়িতে ফিরে এসেছে। পরে পুলিশ রাকিবকে থানায় নিয়ে যেতে বলায় বিকেলে আমি তাকে সাথে করে থানায় নিয়ে গেলে সেখানে আমাদের ছবি তোলা হয়।একই কথা বলেন, শিশুটির বাবা ডাবলু মৃধা।

    শিশু রাকিব বলেন, আমি মোবাইল ব্যবহার করিনা। আমি ও আমার বন্ধু সিয়াম দুজনে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে ঢাকার এক বাড়িতে মাস্ক তৈরীর কাজ করতাম। আমি বাড়ি ফেরার কয়েকদিন আগে সিয়াম সেখান থেকে অন্যত্রে পালিয়ে যাওয়ায় ওই বাড়ির মালিক আমাকে ঢাকা থেকে ট্রেনে উঠিয়ে দিয়ে হাতে দুইশত টাকা ধরিয়ে দিয়ে পাঠিয়ে দেন।পরে ট্রেন এক স্থানে এসে থেমে যাওয়া(জায়গার নাম বলতে পারেনি)আমি গাড়িতে করে একাই বাড়িতে ফিরে আসি।

    এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন,আমরা শিশুটির অবস্থান জানতে পেরে ঢাকায় লোক পাঠিয়ে তাকে উদ্ধার করি।এ ঘটনায় অপর নিখোঁজ শিশুকেও উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/সুজন

  • ডিমলায় কলেজ ছাত্রী ও গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার।

    ডিমলায় কলেজ ছাত্রী ও গৃহবধূর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার।

    নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় পৃথক স্থান থেকে এক কলেজ ছাত্রী ও দুই সন্তানের এক জননী সহ দুই নারীর রহস্যজনক লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

    তবে এ ঘটনা গুলোর রহস্য অনেকটা স্পষ্ট হবার পরও হত্যা অথবা হত্যা প্ররোচনা মামলা না হয়ে অপমৃত্যু মামলা হওয়ায় এলাকা জুড়ে আলোচনা-সমলোচনার ঝড় বইছে।

    জানা যায়, সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের রুপাহারার ডাঙ্গা পাড়া গ্রামের নিজ বাড়ির শয়ন ঘরের তীরের সাথে ওড়না পেঁচানো রিমু আক্তার (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় প্রতিবেশি এক শিশু। পরে শিশুটি ছাত্রীটির পিতাকে বিষয়টি জানালে পরিবারের লোকেরা ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে ডিমলা সরকারি হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ছাত্রীটিকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে ছাত্রীটির লাশ পুনরায় বাড়িতে নিয়ে এসে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে সন্ধ্যায় লাশ ময়না তদন্তে প্রেরনের জন্য থানায় নেয়।

    এ সময় পুলিশ ছাত্রীটির ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও দুটি চিঠি উদ্ধার করেছেন বলে স্থানীয় সুত্র জানায়।

    ছাত্রীটি একই এলাকার দিনমুজুর মজিবুল ইসলাম ওরফে বোগার মেয়ে ও ডিমলা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী।

    তবে এলাকাবাসীর অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে অভিযোগ বলেন, ওই ছাত্রীটির সাথে ডিমলা হাসপাতাল মোড়ের হোটেল ব্যববায়ী কাঁচেরের কলেজ পড়ুয়া ছেলে চাঁদের সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

    প্রেমিক চাঁদ ছাত্রীটির সাথে প্রতারনা করায় সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে যার একাধিক তথ্য প্রমাণ মেয়েটির মোবাইলেই রয়েছে।

    আসলে মেয়েটি প্রেমের বলি। এটা সরাসরি হত্যা মামলা না হলেও হত্যা প্ররোচনা মামলা হওয়া উচিত ছিল বলে তাদের অভিমত।

    অপরদিকে একইদিনের বিকেলে ডিমলা সরকারি হাসপাতালে দুই সন্তানের জননী মুক্তা চন্দ্র রায় (২৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামীর পরিবারের লোকেরা।

    ওই গৃহবধূ উপজেলার ডিমলা সদর ইউনিয়নের ভাটিয়াপাড়ার প্রভাতি গ্রামের মৃত, রমেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী সুমন চন্দ্র রায় ওরফে ঘুঘুর স্ত্রী ও নীলফামারী সদরের কবরস্থান মোড় সংলগ্ন সওদাগর পাড়ার নরেশ চন্দ্র রায়ের মেয়ে।

    পুলিশ হাসপাতালে ওই গৃহবধূর লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তে প্রেরনের জন্য রাতে লাশ থানায় নেয়।

    ওই গৃহবধূর পিতার পরিবার অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে মুক্তার সাথে সুমনের পারিবাড়িক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের কিছু বছর পর থেকেই কারনে-অকারনে তার স্বামী ও শশুর পরিবারের লোকেরা মুক্তাকে অমানবিক নির্যাতন করত। কিন্তু আমরা তার দুটি সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে নিরবে তা মেনে নিয়ে মুক্তাকে একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে বলে বুঝিয়ে আসতাম। ঘটনার দিন মুক্তাকে তার স্বামী ও তার স্বামীর পরিবারের লোকেরা অমানবিক নির্যাতনের এক পর্যায়ে তার অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে রশিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে দেবর সুধিরসহ কয়েকজন তাকে ডিমলা সরকারি হাসপাতালে আনলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করায় লাশ হাসপাতালে রেখে সে সহ অন্যরা পালিয়ে যায়। আমরা এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

    এদিকে মৃত কলেজ ছাত্রীর ঘটনাস্থল ও গৃহবধূর লাশের ঘটনাস্থল (হাসপাতাল) পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-ডিমলা সার্কেল)জয়ব্রত পাল ও ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম।

    এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন,পৃথক দুটি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

    মামলা নম্বর কত তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা দেয়া যাবেনা ও রিপোর্টে তা লাগেনা! মামলা নম্বর উল্লেখ করা হলে রিপোর্ট আরো তথ্য বহুল হবে বলায় ওসি উত্তেজিত হয়ে বলেন, এত পেঁচান কেনো ধুর। ওসি এ সময় বিরক্তবোধ হয়ে অন্যান্য প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই অশোভনীয় ভাবে আবারও ধুর বলে সাংবাদিকের মোবাইল সংযোগটি কেটে দেন।

    ডিমলা থানার ওসির বিরুদ্ধে ওই থানায় যোগদানের পর থেকেই স্বেচ্ছাচারিতা ও সাংবাদিকদের সাথে অশোনীয় আচরণ বিদ্যমান।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/সুজন

  • মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রি,ডিমলায় ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রি,ডিমলায় ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় মেয়াদোত্তীর্ণ কীটনাশক বিক্রি করার অপরাধে এক ব্যবসায়ী কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রামমান আদালতের বিচারক।

    বুধবার (২ সেপ্টেম্বর)দুপুরে ডিমলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মীর মোঃ আল কামাহ তমাল অভিযান চালিয়ে মেসার্স মেহেদি ট্রেডার্স এর সত্ত্বাধিকারী মেহেদি হাসানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও দোকানে রক্ষিত মেয়াদোত্তীর্ণ প্রায় ৩ লাখ টাকার ছত্রাকনাশক ধ্বংস করেন।

    এর আগে মঙ্গলবার(১ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট বাজারের মেসার্স মেহেদি ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে(কীটনাশক ব্যবসায়ী) মেহেদি হাসান তার দোকানে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ছত্রাকনাশক ঔষধের প্যাকেটের গায়ে নিজেই ২০২২ সাল পর্যন্ত মেয়াদের লোগো লাগিয়ে গ্রাহকদের নিকট বিক্রি করে প্রতারনা করে আসবার সংবাদের ভিত্তিতে ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী সেখানে যান।

    এ সময় তিনি সেখানে ৩০০প্যাকেট সিটি বায়ার ইন্দোনেশিয়া প্রস্তুতকারক কোম্পানি বাংলাদেশের পরিবেশক বায়ার ক্রপসায়েন্স লিমিটেডের ইনফিনিটো প্রো ৭২.৭ ডব্লিউ পি নামীয় মেয়াদোউত্তীর্ণ ছত্রাক নাশক পাউডার জব্দ করে প্রতিষ্ঠানটিতে তালা লাগিয়ে দেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • ডিমলায় সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন

    ডিমলায় সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন

    এম আই সুজন,নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত কাজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

    বুধবার(২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিমলা শহীদ মিনার চত্বরে ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী হতে ডিমলা উপজেলার শহীদ মিনার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১২ ফুট প্রস্থের সড়কটিকে ১৮ ফুট প্রস্থে উন্নিত করণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা)আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিমলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, ডিমলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তবিবুল ইসলাম, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়, ডিমলা উপজেলা প্রকৌশলী সফিউল ইসলাম, ডিমলা থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু, নীলফামারী জেলা পরিষদ সদস্য ফেরদৌস পারভেজ প্রমুখ।

    উপজেলা প্রকৌশলী সফিউল ইসলাম জানান, মোট ৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার অধিক ব্যয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শাহ্ মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত কাজের বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আল্লাহর দান নামের ২০ মণ ওজনের গরুর ক্রেতা মিলছেনা,চিন্তিত খামারী(ডিভিসহ)

    আল্লাহর দান নামের ২০ মণ ওজনের গরুর ক্রেতা মিলছেনা,চিন্তিত খামারী(ডিভিসহ)

    নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় দীর্ঘ ৪ বছর নিজ সন্তানের মত লালন পালন করে শরিয়ত মোতাবেক কুরবানির উপযুক্ত হিসেবে প্রস্তুত করা প্রায় ২০ মণ ওজনের গরুর ক্রেতা না পেয়ে চিন্তায় পড়েছেন সুলতান নামে এক ক্ষুদ্র খামারী।

    সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের কুঠিরডাঙ্গা এলাকার আব্দুল রউফের পুত্র ক্ষুদ্র খামারী শাহাসুলতান ও তার স্ত্রী কুরবানী দেয়া ব্যক্তির নিকট বিক্রি করার উদ্যেশ্যে অনেক আশা নিয়ে ফিজিয়ান জাতের এক ষাড় গরুকে দীর্ঘ ৪ বছর লালন-পালন করে বড় করেছেন। অনেক আদর করে তারা গরুটির নাম রেখেছেন আল্লাহর দান।৫ ফিট উচ্চতা ও ৯ ফিট দৈর্ঘ্যতার সাদা-কালো রঙ্গের ২ শিং এবং ৬ দাতের গরুটির বর্তমান ওজন প্রায় ২০ মণ। যার বাজার মুল্য দাবি করেছেন খামারী ৬ লাখ টাকা।

    গরুটি এক নজর দেখার জন্য বিভিন্ন এলাকার মানুষজন প্রতিনিয়তই খামারীর বাড়িতে ভিড় করে থাকেন। তবে আসন্ন কুরবানির ঈদে গরুটি তিনি বিক্রি করতে চাইলেও বর্তমান দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্রেতা সঙ্ককের কারনে গরুর মালিক সুলতান পড়েছেন ভিষন দুঃচিন্তায়।

    গরুর মালিক শাহাসুলতান বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর যাবত গরুটিকে অনেক আশা নিয়ে নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করে বড় করেছি। গরুটি আমি কুরবানি দেয়া ব্যক্তির নিকট বিক্রির করব বলে অনেক অর্থনৈতিক সমস্যাতেও তা অন্যকারো নিকট বিক্রি করিনি। গরুটি ৪ বছর লালন-পালন করতে গিয়ে আমি অনেক ঋনগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আসন্ন কুরবানির ঈদে গরুটি বিক্রি করতে না পারলে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব।গরুটির মুল্য আমি ৬ লাখ টাকা আশা করলেও যে কোনো ব্যক্তি আলোচনা সাপেক্ষে ক্রয় করতে পারবেন।

    তিনি আরও বলেন, আমার মত ক্ষুদ্র খামারীরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে তিল তিল করে সন্তানের মতই লালন-পালন করে গরু বড় করে থাকেন সমাজের বিত্তবানরা ন্যায্য মুল্য দিয়ে তা কুরবানির উদ্যেশ্যে ক্রয় করবেন বলেই। দেশের যে কোনো প্রান্তের ও প্রবাসী ব্যক্তিরা আমার রোগ-বালাই মুক্ত গরুটি ক্রয় করতে চাইলে সরাসরি আমার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে(০১৭৪৫০৮১৫১২)যোগাযোগের জন্য অনুরোধ করছি আমি। এছাড়াও প্রয়োজনে গরুটি অনলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেও যে কেউ দর করে তা ক্রয় করতে পারবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • নীলফামারীর ডিমলায় ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    নীলফামারীর ডিমলায় ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

    নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় মাহাবুবা আক্তার(১৩)নামের ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

    রবিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সদরের বাবুরহাট ঝাকুয়া পাড়া গ্রামের দাদার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত স্কুল ছাত্রী একই এলাকার মাহাবুল ইসলামের মেয়ে ও উপজেলা সদরের দিলরুবা মহিকুল শিক্ষা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।

    তবে নিহতের পরিবারের দাবি সে অজানা কারনে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহত স্কুল ছাত্রীর পরিবার সুত্রে জানা গেছে,নিহত মাহাবুবার গর্ভধারিনী মা মুত্যুবরন করার পর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় সে দাদা মাহমুদ আলী ও দাদী মর্জিনা বেগমের সাথেই ওনাদের বাড়িতে বসবাস করে লেখাপড়া করতেন। তার বাবা ও সৎ মা আলাদা বাড়িতে একই এলাকায় থাকতেন।

    ঘটনার দিন বিকেলে মাহাবুবাকে খুজে পাওয়া না গেলে অনেক খোজা-খুজির পর দাদার বাড়ির শয়ন ঘরের রুয়ার টানার সাথে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পান তার দাদী ও বড় ভাই আশিক(১৭)।তারা সহ স্থানীয়রা দ্রুত তাকে সেখান থেকে নামিয়ে ডিমলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)জয়ব্রত পাল।

    ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আমরা খবর পেয়ে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি।ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই নিশ্চিত হওয়া যাবে আসল কারন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • ডিমলায় মানষিক ভারসাম্যহীন যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

    ডিমলায় মানষিক ভারসাম্যহীন যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

    নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় আব্দুল্লাহ(৩০)নামের মানষিক ভারসাম্যহীন এক যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

    শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে উপজেলার পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের মিয়া পাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। সে ওই এলাকার আব্দুল কুদ্দুস আলীর ছেলে।

    তবে নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা বলছেন, সে নিজেই নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

    নিহতের পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে ছাতনাই বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী কবরস্থানের পাশে একটি মুদি দোকানের সামনে তার নিজের গলায় ব্লেড চালিয়ে আত্মহত্যার করেন।

    পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সে মানষিক ভারসাম্যহীন একজন রোগী (পাগল) ছিল। এর আগেও সে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। আজ তার নিজের গলা সে নিজেই ব্লেড দিয়ে কেটে ফেলায় ঘটনাস্থলে মারা যায়।

    মৃত ব্যক্তির বাড়ি ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডোমার-ডিমলা সার্কেল) জয়ব্রত পাল,ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ।

    ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সে একজন মানষিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ছিল।তবে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে মৃত ব্যক্তির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য উদ্ধার করেছি।এসময় ডিমলা থানার এসআই আক্তারুজ্জামান, মিঠুন চন্দ্র রায় সহ সঙ্গীয় ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • ডিমলায় ৯টি ভারতীয় গরু সহ গ্রেফতার ৭ (ভিডিওসহ)

    ডিমলায় ৯টি ভারতীয় গরু সহ গ্রেফতার ৭ (ভিডিওসহ)

    মহিনুল সুজন, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় ভারত থেকে অবৈধ ভাবে নিয়ে আসা ৯টি ভারতীয় গরু ট্রাকে করে পাচারের সময় আটক করেছে থানা পুলিশ।

    এ ঘটনায় চোরাকারবারির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ৭ গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর গ্রেফতারকৃত আরও ১ চোর ও মাদক মামলার ১ ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী সহ মোট ৯ জনকে শনিবার(২৭ জুন)বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছেন ডিমলা থানা পুলিশ।

    গরুর ব্যাপারে গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের মধ্য ছাতনাই গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে চোরাকারবারি সাজু ইসলাম(৩৫), একই ইউনিয়নের ঠাকুরগঞ্জ মাঝিপাড়ার মফিজ উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম(৩৬), ঠাকুরগঞ্জ জালিয়া পাড়ার মৃত কেশব দাশের ছেলের গনেশ দাশ(২৮), ঠাকুরগঞ্জ মাঝি পাড়ার মৃত আব্দুল হকের ছেলে তপন হক(২৭), ডোমার উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের তাতীপাড়া গ্রামে ঝাইয়ারু দেবনাথের ছেলে জীবন দেবনাথ ওরফে কাত্তিক(২৭), গরু বহনকারী ট্রাকটির ড্রাইভার ও সিরাজগঞ্জ বন্যাকান্দি উল্লাপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইদুল ইসলাম(৩৫), ট্রাকটির সহযোগী(হেলপার) ও সিরাজগঞ্জ শলঙ্গার চড়িয়াকান্দি গ্রামের সামসুল আলমের ছেলে সেলিম রেজা(২৪)।

    জানা যায়, শুক্রবার (২৬ জুন) বিকেল পাঁচটার পর ভারতীয় গরু পাচারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট বাজারের পাশে ডোমার গোমনাতী রোডের একটি ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ডিমলা থানার এসআই বাকিনুর ইসলাম,মাসুদ মিয়া,এএসআই জহুরুল হক,মাহবুবুল ইসলাম সঙ্গীয়ফোর্স সহ অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রো ড-১৩৫৫৬০ নম্বরের একটি ট্রাকে থাকা ৯টি গরুর ৬টি গরু আটক করেন।

    পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই কিছু দুস্কৃতকারীরা ট্রাকে থাকা ৯টি গরুর মধ্যে ৩টি গরু আত্মসাতের জন্য অন্যত্রে সরিয়ে নেয়ার খবরে পুলিশ আশ-পাশের এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ওই ৩টি গরুও উদ্ধারের পর ৯টি গরু সহ ট্রাকটি আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। গরু গুলোর বাজার মুল্য আনুমানিক ৬ লাখ টাকা। এ ঘটনায় চোরাকারবারির সাথে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ রাতেই উল্লেখিত ৭ জনকে গ্রেফতার করে।

    শনিবার ডিমলা থানার এসআই বাকিনুর ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত ৭ ব্যক্তি সহ নামীয় ১০জন ও অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা নং-২১,তারিখ ২৭/৬/২০২০ইং দায়ের করেন।

    অপরদিকে শনিবার দুপুরে ডিমলা থানার এএসআই শাহিন আলম উপজেলার দক্ষিন সোনাখুলি ইউনিয়নের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী আসাদুর রহমান(২৫)কে উক্ত ইউনিয়নের বাজার থেকে গ্রেফতার করেন ও থানা পুলিশ ডিমলা সদরের পোস্ট অফিস মোড়ের একটি বাড়ি চুরির ঘটনায় নুরুজ্জামান(৩৪)নামের এক যুবককে গ্রেফতারের পর বিকেলে গ্রেফতারকৃত মোট ৯ জনকেই আদালতে সোপর্দ করেন।

    আটককৃতরা জানান, গরু গুলো পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের সাজু ইসলামের কাছ থেকে ট্রাকে করে টাঙ্গাইল মধুপুরের গরু ব্যবসায়ী জৈনিক আশরাফুলের কাছে যাচ্ছিল।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন,
    ট্রাক সহ ৯টি ভারতীয় গরু আটক ও ৭ জন গ্রেফতারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
    গরুর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৭ জন,বাড়ি চুরির ঘটনায় ১ জন ও মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত ১ জন আসামী সহ মোট গ্রেফতারকৃত ৯ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কোটি টাকার চাল ও বস্তা চুরি:ডিমলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

    কোটি টাকার চাল ও বস্তা চুরি:ডিমলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

    মহিনুল ইসলাম সুজন,নীলফামারী প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সরকারি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হিমাংশু রায়ের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯০ মেট্রিক টন সরকারি চাল ও ১৩ হাজার ৯৬৫টি ৫০কেজির বস্তা সহ প্রায় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় খাদ্য গুদামটির অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) হিমাংশু রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় ও প্রথমে ডিমলা থানায় একটি সাধারন ডায়রি ও পরে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

    জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন অভি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,২০১৯ সালের ১৪ জুনে ডিমলা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন হিমাংশু।যোগদানের পরপরই তার বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।গত ২৪ মার্চ এসব অনিয়ম তদন্তে জেলা খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অঃদাঃ) মাহমুদ হাসানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

    গত সোমবার (৮ জুন) সরেজমিনে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করে সেই কমিটি। তদন্তে অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্থ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিমাংশুর বিরুদ্ধে গুদামের সরকারি ১৮৯ দশমিক ২৭০ মেট্রিক টন চাল এবং ১৩ হাজার ৯৬৫টি খালি বস্তা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।যার বাজার মূল্য ৯৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯শত ৭৮ টাকা(প্রায় কোটি টাকা)।সেদিনেই গুদাম সীলগালা করে দেয়া হয়।এর আগেও তিনি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্ডাবাড়ি খাদ্যগুদামে কর্মরত থাকাবস্থায় সেখানেও নানা অনিয়ম খাদ্যশষ্য আত্মসাতের সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।

    তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে গত সোমবার খাদ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও তদন্ত কমিটি পুনরায় ডিমলা সরকারি খাদ্যগুদামে গেলে ওই অভিযুক্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা পালিয়ে যাওয়ায় প্রথমে সাধারন ডায়রি (জিডি)নং-৩২০, তারিখ ৮/৬/২০২০ ও পরে তার বিরুদ্ধে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জগদীশ চন্দ্র সরকার (অঃদাঃ) বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৯ জুন) মামলা নং-৮,তারিখ ৯/৬/২০২০ইং দায়ের করে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

    ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ডিমলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হিমাংশু কুমার রায়ের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (৯ জুন) ৯৩ লাখ ৪৭ হাজার ৯শত ৭৮ টাকা মূল্যের সরকারি চাল ও খালি বস্তা আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জগদীশ চন্দ্র সরকার একটি মামলা করেন।আমরা মামলা রুজু করে তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্য্যালয় রংপুরে পত্র প্রেরন করেছি।

    এদিকে স্থানীয়দের দাবি অভিযুক্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা হিমাংশু রায়কে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ও তদন্ত পুর্বক উক্ত গুদামের আরও কোনো অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে কি-না তা সহ যারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে খাদ্য গুদামে অসৎ উপায়ে ব্যবসা করে কোটি-কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছেন তাদেরও শনাক্ত করে দৃস্টান্তমুলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হলে তবেই সরকারি খাদ্য গুদামে অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলনামুলক ভাবে কমবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • ডিমলায় সরকারি কাজে বাধায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত,আটক ২ (ভিডিও)

    ডিমলায় সরকারি কাজে বাধায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত,আটক ২ (ভিডিও)

    নীলফামারী প্রতিনিধি:করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় ও প্রাদূর্ভাব রোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে হোটেল খোলা রাখাকে কেন্দ্র করে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় থানা পুলিশের এক এসআই ও তিন কনস্টেবল সহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।এ ঘটনায় রাতে সে বাজার থেকে আলম(৪৫)নামের এক লেথ ব্যবসায়ী ও শুক্রবার (৫ জুন) সকালে উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই এলাকা থেকে জড়িত মুল ব্যক্তি হোটেল মালিককে আটক করেছে পুলিশ।

    বর্তমানে ওই এলাকার ব্যবসায়ীসহ সাধারন মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হোক এটা সকলের কাম্য তবে নিরাপরাধ কোনো মানুষের নামে মামলা ও তারা যেন কোনো রকম হয়রানীর শিকার না হন।

    জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুন) বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার মনিটরিংয়ের ধারাবাহিকতায় উপজেলার খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের টুনিরহাট বাজারে থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়শ্রী রানী রায়।

    এ সময় ওই বাজারের মিম হোটেল এন্ড রেষ্টুরেন্টটি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বিকেল ৪টার পরও খোলা দেখতে পেয়ে ইউএনও তা বন্ধ করতে বলে সেখান থেকে চলে যান।কিন্তু দীর্ঘ প্রায় এক ঘন্টা পরও সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুনরায় ফিরে সেই হোটেলটি খোলা দেখে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার অপরাধে একই ইউনিয়নের দোহলপাড়া গ্রামের মৃত,মিনুর ছেলে ও হোটেলটির মালিক মিলন আহম্মেদ(৩৮)ওরফে বিটিশের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় অন্যথায় তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করার কথা বলা হয়।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানটির মালিক দোকানে থাকা মোগলাই ও পুড়ি কাটা একটি ছোরা হাতে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারকের উপড় চড়াও হয়ে বাধা প্রদান করেন।

    এ সময় উপস্থিত জাহাঙ্গীর নামের এক পুলিশ কনস্টেবল তাকে শান্ত হতে বললে হোটেল মালিক বিটিশ ছোরা নিয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে ধাওয়া করেন। পরে এসআই বাকিনুর ইসলাম ওই পুলিশ কনস্টেবলকে বাঁচাতে গেলে দোকানের বারান্দার একটি বাঁশের খুটি ভেঙ্গে তার কান ছুয়ে ঘাড়ে পড়লে তার কান ফেটে রক্ত ক্ষরন হয় ও তিনি ঘারে প্রচন্ড আঘাত পায়।

    একই সময় হোটেলের মালিক বিটিশ ও তার ছোট ভাই আলম(২২)সহ অপর দুই পুলিশ কনস্টেবল আউয়াল ও সফিকুল ইসলামের উপড় হামলা চালিয়ে তাদেরও লাঞ্চিত করে আহত করেন। আহত এসআই বাকিনুর ইসলামের কানে চারটি সেলাই ও তিন পুলিশ কনস্টেবল সহ চার পুলিশ সদস্য ডিমলা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

    রাতেই পুলিশ ওই বাজারে অভিযান চালিয়ে এক ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী ও শুক্রবার(৫জুন)সকালে উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন থেকে উক্ত হোটেল মালিককে আটক করতে সক্ষম হন।

    তবে অভিযুক্তদের পরিবার ও বেশকিছু এলাকাবাসীর দাবি ঘটনার সময় হোটেল মালিককে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক মৌখিক ভাবে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছিল।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন,এ ঘটনায় থানা পুলিশের এক এসআই ও তিন কনস্টেবল সহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। রাতে ঘটনায় জড়িত একজন ও শুক্রবার সকালে ঘটনার মুল অপরাধীসহ দুইজনকে আমরা আটক করতে সক্ষম হই।এ ব্যাপারে মামলার চলমান রয়েছে।

    ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়শ্রী রানী রায় বলেন,ওই হোটেল মালিককে বিকেলে হোটেল বন্ধ করার কথা বলা হলেও তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি নির্দেশ অমান্য করে হোটেল খোলা রাখার খবরে পুনরায় সেখানে গিয়ে তার দোকান এখনও খোলা কেনো তা জানতে চেয়ে তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করতে চাইলে তিনি পুলিশ সহ আমাদের উপড় ক্ষিপ্ত হয়ে ছোরা হাতে নিয়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান সহ পুলিশকে ধাওয়া করেন।এ সময়ে ওই পুলিশ সদস্যকে বাচাতে গিয়ে দোকানের বারান্দার একটি বাশ খুলে পড়ে থানা পুলিশের এসআই বাকিনুরের কান ফেটে রক্ত ক্ষরন হয়ে ও তিনি ঘারে আঘাত পেয়ে আহত হন।আমি ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা প্রদানের কারনে থানায় একটি জিডি(সাধারন ডায়েরী) করেছি।

    এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,আমরা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার প্রসেস করার আগেই ওই হোটেল মালিক আমাদের উপড় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠায় তা করা সম্ভব হয়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • ডিমলায় পল্লীশ্রী’র ত্রাণ সহায়তা বিতরণ

    ডিমলায় পল্লীশ্রী’র ত্রাণ সহায়তা বিতরণ

    নীলফামারী প্রতিনিধি:করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে নীলফামারীর ডিমলায় বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা পল্লীশ্রী রি-কল প্রকল্পের উদ্যোগে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে।

    সোমবার (১৮ মে) সকালে অক্সফাম বাংলাদেশের অর্থায়নে ও পল্লীশ্রী রি-কল ২০২১ প্রকল্পের আয়োজনে উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ডালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ত্রাণ সহায়তা বিতরণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়।

    পরে দিনব্যাপী পর্যায়ক্রমে উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন,খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন,পুর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন ও পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে পাচঁটি ইউনিয়নের কর্মহীন হয়ে পড়া বিধবা, প্রতিবন্ধী,দিন মুজুর,দুঃস্থ,অসহায় ২৬০জন সিবিও সদস্যদের মাঝে এই ত্রাণ সহায়তা বিতরণ করা হয়।

    এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকার.পুর্বছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খাঁন,খগাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিথন.টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক,একই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক,ডালিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান,পল্লীশ্রী রি-কল ২০২১ প্রকল্পের ডিমলা সমন্বয়কারী পুরান চন্দ্র বর্মন,
    হিসাবরক্ষক রবিউল ইসলাম,মাঠকর্মী গোলাম মোস্তফা, দবিরুল ইসলাম,কমিউনিটি ভলান্টিয়ার শামসুদ্দিন মিয়া প্রমুখ।

    ত্রাণ সহায়তা হিসেবে প্রত্যেক উপকারভোগীকে দশ কেজি করে চাল,দেড় কেজি মসুর ডাল,এক লিটার সয়াবিন তৈল,এক কেজি লবন,হাফ কেজি ডিটারজেন্ট পাউডার,দুটি সাবান,দুটি মাস্ক ও এক প্যাকেট স্যানিটারী ন্যাপকিন প্যাকেজ করে বিতরণ করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • ডিমলায় এক নার্সসহ নীলফামারীতে আরো দুইজন করোনায় আক্রান্ত

    ডিমলায় এক নার্সসহ নীলফামারীতে আরো দুইজন করোনায় আক্রান্ত

    নীলফামারী প্রতিনিধি:::ডিমলা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক সিনিয়র নার্স সহ নীলফামারীতে আরো দুইজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৫ জন।

    বৃহস্পতিবার (৭ মে) রাতে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রের রিপোর্টে এক নার্স সহ জেলায় নতুন করে আরো দুই জন করোনায় আক্রান্তের তথ্য পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও সদর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ দিন পরেও দুই জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।নতুন করে আক্রান্তরা হলেন-ডিমলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স ও জেলা শহরের বাড়াই পাড়ার বাসিন্দা এবং সৈয়দপুর শাখা ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা।আক্রান্ত নার্সকে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ও জেলা শহরের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তাকে সদর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে।
    উল্লেখঃ-জেলায় এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত ৩৫জন ব্যক্তির মধ্যে ৯জন চিকিৎসা নিয়ে নিজ-নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন ও এক বৃদ্ধ রিপোর্ট আসবার আগেই মৃত্যুবরণ করেন।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর/সুজন