Tag: ডিমলা

  • ডিমলায় কৃষকের মাঝে ধান কাটার মেশিন বিতরণ

    ডিমলায় কৃষকের মাঝে ধান কাটার মেশিন বিতরণ

    নীলফামারী প্রতিনিধি:::নীলফামারীর ডিমলায় কৃষকের মাঝে ধানকাটা রিপার মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

    বুধবার (৬ মে)দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিস চত্ত্বরে পরিচালন বাজেটের আওতায় ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত উন্নয়ন সহায়তার মাধ্যমে অর্ধেক মুল্যে(৫০%ভর্তুকি) রিপার মেশিনটি ডিমলা সদর ইউনিয়নের দক্ষিন তিতপাড়ার মৃত, কমির উদ্দিনের ছেলে আদর্শ কৃষক মোকছেদ আলীর মাঝে বিতরণ করা হয়।

    এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেকেন্দার আলী,কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • ডিমলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    ডিমলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

    নীলফামারী প্রতিনিধি:::নীলফামারীর ডিমলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতে ৫০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    বুধবার (৬ মে)দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের একটি পুকুরে মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছিলেন একই গ্রামের মৃত, ইব্রাহীম আলীর ছেলে লুৎফর রহমান(৬০)।

    খবর পেয়ে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ২০১০ সালের বালু মহল আইনের ১৫ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জয়শ্রী রানী রায়।

    এ সময় ডিমলা থানার এসআই মাহাবুব রহমান সহ সঙ্গীয়ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • ডিমলায় আগুনে ২৬টি দোকান পুড়ে গেছে,ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পাশে নেই প্রশাসন

    ডিমলায় আগুনে ২৬টি দোকান পুড়ে গেছে,ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের পাশে নেই প্রশাসন

    নিজস্ব প্রতিবেদক:::নীলফামারী ডিমলায় রহস্যজনক ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে প্রায় ২৬টি ছোট-বড় দোকান।এতে নগদ অর্থ ও পুড়ে যাওয়া মালামাল সহ প্রায় দেড় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

    শুক্রবার (১ মে) রাত ২টা ৩০মিনিটে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের চাপানী হাট বাজারে রহস্যজনক এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।

    একদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে দোকানপাট বন্ধ ও অন্যদিকে রহস্যজনক আগুনের এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় ও উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক কোনো রকমের সহযোগীতা না পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে না গেলেও খালি হাতেই শনিবার(২রা মে)বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়।

    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় মধ্যরাতে হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে পাশ্ববর্তী জলঢাকা উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও ডিমলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হলেও জলঢাকা ফায়ার সার্ভিস আগে ও পরে ডিমলা ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগীতায় দীর্ঘ দুই ঘন্টা প্রচেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।এতে আগুনের ভয়াল থাবা থেকে ওই বাজারের আশ-পাশের কয়েক শতাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রক্ষা পেলেও তার আগেই বাজারের মুদি,তুলা,ঔষধ,হোটেল,হার্ডওয়ার,টিন,জুয়েলারি, কম্পিউটার সার্ভিসিং,কসমেটিক, দোকানসহ প্রায় ২৬টি দোকান পুড়ে যায়।

    এসময়ে বেশকিছু দোকানের মালামাল ও নগদ অর্থ লুট করে নেন লুটেরারা।তবে আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে ও প্রথম কোন দোকান থেকে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি কেউ।

    ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ,ডিমলা ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছালে ক্ষতির পরিমান হয়তোবা এতবেশি হতোনা।

    ঝুনাগাছ চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,ডিমলা ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হয়তোবা এতবেশি ক্ষতি হতোনা।ভয়াবহ আগুনে ছোট-বড় ২৬টি দোকানপাট পুড়ে গিয়ে বর্তমানে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা।এতে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির পরিমান প্রায় দেড় কোটি টাকা।

    ডিমলা ফায়ার সার্ভিস টিম লিডার আবু বক্কর সিদ্দীক জানান,ঘটনাস্থল জলঢাকা উপজেলার কাছে হওয়ায় সেখানকার ফায়ার সার্ভিস হয়তোবা ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছাতে পেরেছেন।আমাদের ঘটনাস্থলের রাস্তা অনেক আকা-বাকা তাই দেরী হয়েছে।আমাদের হিসেবে ১৬টি দোকান পুড়ে গেছে।যার ক্ষতির পরিমান ২০লাখ টাকা হতে পারে।সেখানকার একটি তুলোর দোকানের বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে বলেও জানান তিনি।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিমলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেসবাহুর রহমান মানিক বলেন,
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।আমাদের ডি-ফান্ড নেই তাই উপস্থিত ক্ষতিগ্রস্থদের কোনো রকম সহায়তা করা সম্ভব হয়নি! উক্ত ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যানকে তালিকা করতে বলেছি। তালিকা হাতে পেয়ে তা জেলায় পাঠিয়ে বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্থদের দেয়া হবে?

    এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়ের ব্যবহৃত সরকারি(০১৭৩৩৩৯০৬৬৩)নম্বরে কল করা হলে তিনি তা রিসিভ না করায় কোনো মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

    তবে নীলফামারী জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন,বিষয়টি আমি জেনেছি ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ডিমলার স্বাস্থ্যকর্মী সহ নীলফামারীতে আরো দুইজন করোনায় আক্রান্ত

    ডিমলার স্বাস্থ্যকর্মী সহ নীলফামারীতে আরো দুইজন করোনায় আক্রান্ত

    নীলফামারী প্রতিনিধি॥ডিমলা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নমুনা সংগ্রহকারী স্বাস্থ্যকর্মী সহ নীলফামারীতে আরো দুইজনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

    এ ঘটনায় ডিমলা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির প্যাথলজি বিভাগটি লকডাউন করা হয়েছে ও পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সেখানে অন্যান্য সেবা সীমিত পরিসরে চালু থাকবে বলে উপজেলা প্রশাসন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।

    বৃহস্পতিবার(৩০ এপ্রিল)রাতে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র হতে নীলফামারী জেলায় দুইজনের করোনা ভাইরাস পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে।তারা হলেন ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাব

    সহকারী(প্যাথলজিষ্ট)করোনা নমুনা সংগ্রহকারী(৪২) ও ঢাকা ফেরত শ্রমিক নীলফামারী জেলা সদরের কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের বাসিন্দা(২০)।

    আক্রান্ত ওই দুইজনকে জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে।

    এ নিয়ে জেলার সৈয়দপুরের বাসিন্দা ও রংপুরের এক সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যকর্মী সহ করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭জন।

    জেলায় গত ২৪ঘন্টায় নতুন করে ৫২জনসহ হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন এক হাজার ১৪০জন।

    উল্লেখ্যঃ-নীলফামারী জেলায় এ পর্যন্ত ১৭জন কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড হতে ৬ জন সুস্থ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন

  • ডিমলায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় ১৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

    ডিমলায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় ১৩ ব্যবসায়ীকে জরিমানা

    নীলফামারী প্রতিনিধি॥নীলফামারীর ডিমলায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রাখার দায়ে ১৩জন দোকান মালিককে ১৯হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

    সোমবার(২০এপ্রিল)দিনব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার মনিটরিং করার সময়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে নিজ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান(দোকান) খোলা রাখার দায়ে উপজেলা সদরের বাবুহাট বাজারের মুদি ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেনকে ৫হাজার, পান ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনকে ২হাজার, খগারহাট বাজারের চা দোকানি সেরিনা বেগমকে ১হাজার,ডাঙ্গারহাট বাজারের শ্যালো পার্টস ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে ১হাজার, চা দোকানি আক্তার আলীকে ১হাজার, কলোনি বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী আবুল হোসেনকে ৫শত,হাফিজার রহমানকে ১হাজার, কসমেটিক ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলামকে ১হাজার, ইউসুফ আলীকে ১হাজার, জুতা ও স্যান্ডেল ব্যবসায়ী হাকিম উদ্দিনকে ১হাজার,ঠাকুরগঞ্জ বাজারের মোবাইল ব্যবসায়ী মজিবুলকে ২হাজার, ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামকে ২হাজার,মোটর সাইকেল মেকার্নিক শরিফুলকে ৫শত টাকা সহ মোট ১৩ ব্যবসায়ীকে ১৯হাজার টাকা জরিমানা করেন ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট জয়শ্র রানী রায়।

    এ সময় ডিমলা থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায়।

  • ডিমলায় ট্রলি চাপায় কিশোর শ্রমিক নিহত

    ডিমলায় ট্রলি চাপায় কিশোর শ্রমিক নিহত

    ক্রাইম রিপোর্টার নীলফামারী॥ নীলফামারীর ডিমলায় ট্রলি উল্টে অমিতকর্মকার(১৫)নামের এক কিশোর শ্রমিক নিহত হয়েছেন।এ ঘটনায় আরো দুই শ্রমিক অল্পের জন্য প্রাণে বেচে গেছেন।

    বুধবার(১৫)এপ্রিল দুপুরে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের মধ্যম সুন্দরখাতা ডাঙ্গা পাড়ায় এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।

    নিহত কিশোর জেলার ডোমার উপজেলার ছোটরাউতা বক্করের মোড় এলাকার অমল কর্মকারের ছেলে।

    এলাকাবাসী ও পলিশ সুত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে একটি রড বোঝাই ট্রলি নিয়ে কয়েকজন শ্রমিক সহ বালাপাড়া ইউনিয়নের একটি ব্রিজ নির্মাণ কাজের সাইডে যাবার সময় ট্রলিটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ঘটনাস্থলের পাশের একটি ধান ক্ষেতে উল্টে গেলে তিনজন শ্রমিক ট্রলির নিচে চাপা পড়েন।

    পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ডিমলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্রমিক অমিককে মৃত ঘোষনা করেন।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিমলা থানা ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন,নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • ডিমলায় শিশুর চার টুকরো মরদেহ উদ্ধার!

    ডিমলায় শিশুর চার টুকরো মরদেহ উদ্ধার!

    নীলফামারী প্রতিনিধি॥নীলফামারীর ডিমলায় রুজেল ইসলাম(১১) নামের এক শিশুর চার টুকরো লাশ ভুট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করেছে এলাকারাসীর সহযোগীতায় পুলিশ।

    বুবধার(১৫এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে জেলা মর্গে প্রেরন করেন।ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল) জয়ব্রত পাল।শিশুটি ডিমলা সদর ইউনিয়নের রামডাঙ্গা গ্রামের মৃত, মোজাম উদ্দিনের ছেলে।

    শিশুটির স্বজন ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, ডিমলা সদর ইউনিয়নের রামডাঙ্গা আমতলী গ্রামের মৃত, মোজাম উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্র রুজেল ইসলাম বাবা-মা মারা যাবার পর থেকে তার নানী ভিক্ষুক রেজিয়া বেগমের বাড়িতে থাকত। গত ৮ এপ্রিল থেকে শিশুটি হঠাৎ নিখোজ হয়ে যায়।পরিবারের পক্ষে অনেক খোজাখুজির পর মাইকিং করেও কোনো সন্ধান মেলেনি।

    বুধবার সকালে ডিমলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট দক্ষিনপাড়া গ্রামের এতিমখানা সংলগ্ন হোটেল ব্যবসায়ী বাবুলের বাড়ির সামনে কুকুর শিশুটির খন্ডিত একটি হাত ফেলে রেখে গেলে তা দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়।পরে এলাকাবাসী অনেক-খোজা খুজির এক পর্যায়ে পচা গন্ধ অনুভূত হলে রামডাঙ্গা আমতলী বাজারের উত্তর দিকে একটি কালভার্ডের পাশে লেলিন নামের একজনের ভুট্টা ক্ষেতে শিশুটির বাকী তিন খন্ডিত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানালে ডিমলা থানা পুলিশ শিশুটির চার খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে পাঠায়।

    স্থানীয়দের ধারনা শিশুটি নিখোজের দিন তাকে হত্যা করে ভুট্রাক্ষেতে হয়তোবা ফেলে রাখা হয়েছিল।

    ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, শিশুটিকে পরিকল্পিত ভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ ভুট্রাক্ষেতে ফেলে রাখা হয়েছিল।পরে হয়তোবা লাশটির পচা গন্ধ পেয়ে শিয়াল ও কুকুর লাশটিকে খন্ডিত করেছে। লাশটি শোয়ানো অবস্থায় ছিল।এ রিপোট লেখা পর্যন্ত মামলা হয়নি তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল।

  • মধ্যরাতে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ নিয়ে হাজির পুলিশ সুপার

    মধ্যরাতে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ নিয়ে হাজির পুলিশ সুপার

    নীলফামারী প্রতিনিধি॥ নীলফামারী ডিমলায় করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে মধ্যরাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ বিতরণ করেছেন নীলফামারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান(বিপিএম পিপিএম)।

    বৃহস্পতিবার(২এপ্রিল)দিনগত মধ্যরাতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে ডিমলা উপজেলার দুই শতাধিক অতি দরিদ্র,দিনমজুর,হরিজন সম্প্রদায়,প্রতিবন্ধী ও কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় স্বল্প আয়ের মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এ সব খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণের প্যাকেট বিতরণ করা হয়।

    সরেজমিনে দেখা যায়,বিতরণের সময় পুলিশ সুপার পায়ে হেটে উপজেলার বাবুর হাট সদরের সরকারি মহিলা কলেজ পাড়া,টিএন্ডটি মোড়,পোস্ট অফিস মোড় ও দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে নিম্ন আয়ের কর্মহীন হয়ে পড়া অতি দরিদ্র ওইসব স্বল্প আয়ের অর্ধশতাধিক বাড়িতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনে তাদের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ তুলে দেন এবং মাস্ক পড়িয়ে দিয়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল নাগরিকদের দায়িত্বের বিষয়ে সচেতনতামূলক আলোচনা করেন।

    এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান,সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার(ডোমার-ডিমলা সার্কেল)জয়ব্রত পাল,ডিমলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মফিজ উদ্দিন শেখ,ওসি(তদন্ত)সোহেল রানা জনি, থানায় কর্মরত বেশকিছু এসআই,এ এসআই, পুলিশ সদস্য,ডিমলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম লিটন,সাংবাদিক মহিনুল ইসলাম সুজন, গোলাম রব্বানী প্রমুখ।

    পরে ডিমলা থানা পুলিশ ডিমলা সদরের এক শতাধিকের মধ্যে অবশিষ্ট অর্ধশতাধিক,উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক পরিবারকে পুলিশ সুপারের নির্দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণের একই প্যাকেট পৌঁছে দেন।

    খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ হিসেবে এতে ছিলো, ৫ কেজি চাল,২কেজি আলু,১কেজি মসুর ডাল,১লিটার ভোজ্য তৈল, পেঁয়াজ,মরিচ,লবন, ১টি কাপড় কাছা সাবান,১টি গোসল করা সাবান।

  • ডিমলায় অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বাড়ির চারটি বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে ছাই

    ডিমলায় অগ্নিকাণ্ডে তিনটি বাড়ির চারটি বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে ছাই

    নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের পুরান(পুরনো)থানা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে এক দিন মজুরের বাড়ির বসতভিটার তিনটি পরিবারের চারটি বসতঘর,ঘরে থাকা আসবাবপত্র,পোশাক,খাদ্য সামগ্রী,জীবিকা নির্বাহের বিভিন্ন উপকরণ সহ নগদ অর্থ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।যার ক্ষতির পরিমান প্রায় ৫ লাখ টাকা বলে ধারনা করা হয়েছে।

    এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, বুধবার (১এপ্রিল) দুপুরের দিকে মৃত সতিষ চন্দ্র রায়ের ছেলে দিন মজুর হরিশ চন্দ্র রায়(৫০)এর বাড়ির রান্না ঘর থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটে। সে আগুনে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ডিমলা ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসী সহযোগীতায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হন।

    কিন্তু তার আগেই নিমিষেই হরিশ চন্দ্র রায় সহ অক্ষয় চন্দ্র রায়(৪৫) ও অধির চন্দ্র রায়(৪০)এর বাড়ির চারটি বসত ঘর ও ঘরে থাকা মালা-মাল,নগদ অর্থ সহ সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
    জীবনের সব উপার্জনে করা বসত বাড়ি-ঘর সহ সর্বস্ব পুড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলো।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিমলা সদর ইউনিয়ন পরিষদ আবুল কাশেম সরকার।

    ডিমলা ফায়ার সার্ভিস ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দীক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে বাড়ির চুলার উপর রাখা খড়ি থেকে আগুনের সুত্রপাত ঘটেতে পারে।আমরা এলাকাবাসীর সহযোগীতায় অল্প সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হওয়ায় আশ-পাশে অবস্থিত অন্যান্য বাড়ি-ঘর রক্ষা পায়।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেসবাহুর রহমান মানিক জানান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাধ্যমে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে শুকনা খাবার ও কম্বল ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে প্রদান করা হয়েছে।অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোর মাঝে সহায়তা হিসেবে চাল,ডাল, আলু, তেল ও সাবান দিয়ে সহযোগীতা করেছেন উপজেলা ছাত্রলীগের অর্থায়নে সংগঠনটির আহ্বায়ক আবু সায়েম সরকার ও জীবিকার বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে সহযোগীতা করেছেন ডিমলা মানিক ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী আমিনুর রহমান।

  • ডিমলায় শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিকে নির্যাতনে নবজাতকের মৃত্যু,হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন প্রসূতি!

    ডিমলায় শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিকে নির্যাতনে নবজাতকের মৃত্যু,হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন প্রসূতি!

    মহিনুল ইসলাম সুজন, নীলফামারী প্রতিনিধি ॥নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের অনুমোদনহীন অবৈধ নাম সর্বস্ব শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াই এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে শারিরিক নির্যাতনসহ ভুল চিকিৎসা ও কর্তৃপক্ষের অবহেলাসহ স্বেচ্ছাচারিতায় নবজাতকের মৃত্যু এবং প্রসূতির গোপনাঙ্গের কাটা সাইড সেলাই না করার ঘটনায় এলাকা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।বর্তমানে ওই প্রসূতি অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    এ ঘটনায় বুধবার(১১মার্চ)রাতে অসুস্থ্য প্রসূতির পিতা শহর আলী ক্লিনিকের মালিক কর্তৃপক্ষ,অনভিজ্ঞ নার্স ও আয়া সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    অভিযুক্তরা হলেন-উক্ত ক্লিনিক ও ডায়াগষ্টিক সেন্টারটির মালিক মোস্তাফিজার রহমান খন্দকার ওরফে মতিয়ার(৩৮)আব্দুল্লাহ আল মামুন(৫০)শিক্ষক চিত্তরঞ্জন রায়(৫২),নার্স শারমিন আক্তার(২৪),আয়া রশিদা বেগম(৩৮)।

    অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিন খড়িবাড়ী গ্রামের শহর আলীর কন্যা শিউলী আক্তার(২১) এর সাথে দুই বছর পুর্বে একই ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ী গ্রামের আনছার আলীর পুত্রের বিয়ে হয়।বিয়ের পর অন্তঃসত্ত্বার শিউলি আক্তারের সন্তান প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসায় মঙ্গলবার(১০মার্চ)সকালে তার প্রসব ব্যথা শুরু হলে শশুর বাড়ির লোকেরা তাকে কাছে হওয়ায় শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সিজারিয়ানের জন্য নিয়ে যান।

    এ সময়ে অন্তঃসত্ত্বা রোগী দেখা মাত্রই ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটির একাংশের মালিক মোস্তাফিজার রহমান খন্দকার ওরফে মতিয়ার,নার্স শারমিন ও আয়া রশিদা বেগম তড়িঘড়ি করে সিজারিয়ানের কথা বলে অন্তঃসত্ত্বা শিউলি আক্তারকে দ্রুত ভ্যান থেকে নামিয়ে সোজা অপারেশন(ডেলিভারি) রুমে নিয়ে গিয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসক না থাকার পরও অধিক মুনাফার লোভে জোর পুর্বক সিজারিয়ান ব্যতিত ফরসেপ ডেলিভারি করতে পেটে প্রচুর চাপ প্রয়োগ করতে থাকে।এতে অন্তঃসত্ত্বা শিউলী অসহ্য ব্যথা সহ্য করতে না পেরে তাদের বাধা দিলে নার্স ও আয়া তার গালে ও পিঠে চর-থাপ্পর মেরে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে জোরপুর্বক জরায়ুতে আঘাত করে এবং গোপনাঙ্গের সাইড কেটে পুনরায় পেটে চাপ দিয়ে বাচ্চা প্রসব করতে গেলে নবজাতক পুত্র সন্তানটি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে গর্ভেই মৃত্যুবরন করেন।

    পরে প্রসূতি শিউলী আক্তারের কেটে ফেলা গোপনাঙ্গের সাইডে সেলাই দিতে ভুলে গিয়ে দ্রুত মৃত নবজাতক শিশু সন্তানটিকে দীর্ঘ এক ঘন্টা অন্য একটি রুমে রাখার পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে সুকৌশলে নিজেকে ঝামেলা মুক্ত রাখতে প্রসূতি শিউলীর স্বজনদের নবজাতক শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ(রামেক)হাসপাতালে নিতে বলেন।তাদের কথা মত স্বজনেরা রামেক হাসপাতালে নবজাতক শিশুটিকে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতকটি পৃথিবীর মুখ দেখার আগেই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে গর্ভে মৃত্যুবরন করেছে মর্মে নিশ্চিত করেন।

    মৃত নবজাতককে নিয়ে প্রসূতির স্বজনরা আবারও রংপুর হতে ফিরে ওই ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে গিয়ে সিজারিয়ান না করা সহ নবজাতকের মৃত্যুর কারন জানতে চাইলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাদের এখানে নবজাতক জীবিত ছিলেন বলে প্রসুতিকে ছারপত্র প্রদান করেন ও মৃত নবজাতক শিশুটিকে দ্রুত দাফন করার চাপ প্রয়োগ করেন।ঘটনারদিন বিকেলে মৃত নবজাতক শিশুটিকে দাফন করার পর রাতেও প্রসূতি শিউলীর রক্তক্ষরন বন্ধ না হওয়ায় ও গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় তাকে তার পরিবারের লোকেরা ডিমলা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।সেই সময়ের হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স সাবিনা বেগম ও সুমাইয়া আক্তার শিউলীর কাটা গোপনাঙ্গের সাইডে সেলাই না করার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাটা সাইডে তারা ১০টি সেলাই দিয়ে চিকিৎসা দেন।

    এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ,ডিমলা উপজেলা জুড়ে প্রশাসনের নাকের ঠগায় উপর রাতা-রাতি ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে ওঠা নাম সর্বস্ব একাধিক অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গুলোতে একের পর এক ভুল রিপোর্টে রোগী প্রতারিত ও ভুল চিকিৎসায় কখনো নবজাতক ও কখনো প্রসূতির মৃত্যুর তালিকা দিনে-দিনে দীর্ঘ হলেও প্রশাসনের পক্ষ হতে তা প্রতিরোধে অজানা কারনে দৃশ্যমান কোনো তদারকি এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এমনকি অবৈধভাবে বছরের পর বছর ওইসব ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসলেও সেগুলোতে নিয়মিত ভাম্যমান আদালত পরিচালনাও করা হয়না।স্থানীয় অনেকের অভিযোগ,ব্যক্তিগতভাবে সুবিধা নেয়া থেকে শুরু করে সরকারি বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও কর্মসুচিতে ওইসব অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গুলো থেকে প্রশাসন অনেক সময় চাদা নেয়ার কারনেই তাদের বিরুদ্ধে জোড়ালো কোনো পদক্ষেপ গ্রহন করেননা।আর এ জন্যই অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার মালিক কর্তপক্ষ যত্রতত্র ভাবেই গোজামিল দিয়ে দেদারছে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

    শুটিবাড়ী সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটির একাংশের মালিক মোস্তাফিজার রহমান খন্দকার ওরফে মতিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, রোগীর কাটা সাইড সেলাই করা হয়েছে কিনা তা আমি জানিনা নার্সের কাছে জানতে হবে।তবে নবজাতক শিশুটি আমার ক্লিনিকে থাকা অবস্থায় জীবিত ছিল।

    নবজাতকটির ওজন কতটুকু ছিলো এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,মরা বাচ্চাকে কেউ ওজন করে নাকি।

    এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আমরা বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছি,তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা সারোয়ার আলম বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই? তবে আমি লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

    নীলফামারী সিভিল সার্জন ডাঃ রনজিৎ কুমার বর্মণ এই প্রতিবেদককে বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা,ভুক্তভোগীর পরিবারের উচিৎ অভিযোগ নয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করে দেয়া।আমি জেলার অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গুলো বন্ধ করে করতে এবং সেগুলোতে নিয়মিত প্রশাসনের অভিযান পরিচালনা করতে তালিকা সহ অনেকবার জেলা প্রশাসকের কাছে ধর্না দিয়েও কোনো সুফল পাইনি!আমাকে ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা গ্রহন করব।

    নীলফামারী জেলা প্রশাসক(ডিসি) হাফিজুর রহমান চৌধুরী এই প্রতিবেদককে বলেন,আপনারা সিভিল সার্জনকে জানান ওনারা(সিভিল সার্জন)আমাদের তালিকা দিলে আমরা সেগুলো বন্ধ করে দিব।

    সিভিল সার্জন একাধিক বার অভিযোগ করেও সুফল পাননি বলে জানিয়েছেন জানালে তিনি(ডিসি)বলেন,সিভিল সার্জন হলেন মেম্বর সেক্রেটারি তাকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে,তিনি অলিখিত ভাবে মুখে বললে হবেনা, লিখিত তালিকা দিলে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সে গুলো বন্ধ করে দিব।এ ছাড়াও ভুক্তভোগীর পরিবার আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।

     

  • ডিমলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিশোর চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু

    ডিমলায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কিশোর চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু

    নীলফামারী প্রতিনিধি ॥ মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে মাসুদ(১৬) নামের এক কিশোর চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

    ঘটনাটি ঘটেছে,সোমবার(১০ ফেব্রুয়ারি)রাত ৯টার সময় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের ঘাটেরপাড় লিপির বাজার নামক স্থানে।

    সে একই উপজেলার গয়াবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ি গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে।

    নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, কিশোর মাসুদ ঘটনার দিন রাতে নিজ বাড়ি থেকে চাচাতো ভাইয়ের ব্যবহৃত সুজুকি মোটরসাইকেল চালিয়ে একাই ডিমলা সদরে যাবার পথে নাউতারা ইউনিয়নের ঘাটেরপাড় লিপির বাজার নামক সংলগ্ন স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের একটি গাছে সাথে স্ব-জোরে ধাক্কা লেগে মাটিতে পড়ে যায়।

    পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

    ডিমলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেই সময়ের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মাহামিদুর রহমান বলেন,আমরা ওই কিশোরকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তবে তার মাথা ও পাজরে প্রচন্ড আঘাতের কারনে প্রচুর রক্তক্ষরন হওয়ায় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন,নিহত কিশোরের স্বজনদের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।এ ব্যাপারে একটি জিডি(সাধারন ডায়েরি) করা হবে।

  • ডোমারে ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪

    ডোমারে ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৪

    নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমারে চোরাচালান মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও একই উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সুজনসহ অন্যান্য মামলায় ৪জনকে আটক করেছে ডোমার থানা পুলিশ।

    আটককৃতদের আজ সোমবার(১০ ফেব্রুয়ারি)আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    রবিবার গভীর রাতে ডোমার থানা পুলিশ গোমনাতীর ভারতীয় সীমান্ত এলাকা থেকে গোমনাতী বাজার এলাকার আব্দুর রউফ এর ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সুজন(৪০)কে আটক করে।

    ডোমার থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,সুজন বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২৫/ বি ধারায় চোরাচালানী মামলা নং- ০৮, তারিখ- ১৩/১২/১৯ এর এজাহার ভুক্ত আসামী।সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। তার বিরুদ্ধে মাদক, চোরাচালানসহ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এবং পাশ্ববর্তি ডিমলা থানায় সে ছিনতাই মামলায় পূর্বে একবার গ্রেফতার হয়ে হাজত খেটেছিল।

    অপরদিকে গতরাতে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের অভিযানে উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চান্দখানা বোদাপাড়া এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে আপেল (২২) ও মৃত আব্দুল করিমের ছেলে দুলাল হোসেন (২৩), কালাম হোসেন (২৫) কে চিলাহাটি এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে জিআর মামলা নং- ৭১/১৮ দায়ের আছে। সোমবার সকালে সকল আসামীকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়।