Tag: ডিসি

  • হবিগঞ্জের ডিসি, দুই জেলায় ওসি প্রত্যাহারের নির্দেশ

    হবিগঞ্জের ডিসি, দুই জেলায় ওসি প্রত্যাহারের নির্দেশ

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    পাশাপাশি গাজীপুরের কালিগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক এবং চাঁদপুরের মতলব ও মাদারীপুরের ডাসার থানার ওসিকে প্রত্যাহারে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে ইসি।

    সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ইসির উপ-সচিব মো. মিজানুর রহমান এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন।

    নির্দেশনায় ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। তাকে প্রত্যাহার করে তদস্থলে উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়নের জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

    পৃথক নির্দেশনায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে হবিগঞ্জের ডিসি, গাজীপুরের কালিগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক, চাঁদপুরের মতলব ও মাদারীপুরের ডাসার থানার ওসি প্রত্যাহার করে উপযুক্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

  • দুই ডিসিকে বদলির আদেশ

    দুই ডিসিকে বদলির আদেশ

    আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দুই জেলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ডিসি মো. মোস্তাফিজুর রহমানকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে উপসচিব ও সুনামগঞ্জের ডিসি দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীকে ময়মনসিংহের নতুন ডিসি করা হয়েছে। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সংযুক্ত উপসচিব মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরীকে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক করা হয়েছে।

    শনিবার (২ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

    প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তাদের বদলির আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

    এর আগে দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্তের কথা জানায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে ইসি।

    চিঠিতে বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।

     

  • ডিসি-ইউএনওদের জন্য বিলাসবহুল ২৬১ গাড়ি কেনার অনুমোদন

    ডিসি-ইউএনওদের জন্য বিলাসবহুল ২৬১ গাড়ি কেনার অনুমোদন

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন এবং মাঠপর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন সেবা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জন্য বিলাসবহুল ২৬১টি জিপ গাড়ি কেনার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

    উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ছাড়াই সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণ করে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২)-এ উল্লেখিত মূল্যসীমার অতিরিক্ত দামে এসব গাড়ি কেনা হবে।

    বুধবার (১১ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে যে কয়টি প্রস্তাব উঠেছিল সবগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়ছে।

    বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ডিসি ও ইউএনওদের ২৬১টি জিপ গাড়ি কেনা সংক্রান্ত এই একটি প্রস্তাবই ছিল। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবটি আনা হয়।

    অন্যদিকে টেবিলের একটি প্রস্তাবসহ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ১৫টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এরমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের ৩টি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ৩টি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ৩টি, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩টি, শিল্প মন্ত্রণালয়ের ২টি এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা ছিল। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

    এই ১৫টি প্রস্তাবই মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। অনুমোদন দেওয়া প্রস্তাবগুলোর মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৯০৮ কোটি ৫৮ হাজার ৪৪০ টাকা। এরমধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৪২০ কোটি ৮২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮৭ টাকা এবং দেশি ব্যাংক ও বৈদেশিক অর্থায়ন এক হাজার ৪৮৭ কোটি ১৮ লাখ ১৯ হাজার ৭৫৩ টাকা।

    জানা গেছে, ডিসি এবং ইউএনওদের ২৬১ জিপ গাড়ি কিনতে নিয়মিত বরাদ্দের অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন। এজন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর), ২০০৮ এর বিধি ৭৬(২)-এ উল্লেখিত মূল্যসীমার বেশি দামে কেনার নীতিগত অনুমোদন চাওয়া হয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কাছে। মন্ত্রিসভা কমিটি তা অনুমোদন দিয়েছে।

    এর আগে সম্প্রতি ডিসি ও ইউএনওদের জন্য ২৬১টি গাড়ি কেনার জন্য যানবাহন অধিদপ্তরের চাহিদাপত্র জনপ্রশাসনের মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওই চাহিদাপত্র অনুযায়ী, ডিসিদের জন্য গাড়ি কেনা হবে ৬১টি। প্রতিটি গাড়ি কিনতে ব্যয় হবে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। এতে ৬১টি গাড়ি কিনতে মোট ব্যয় হবে ৮৮ কোটি ৯৬ লাখ ৫৪ হাজার ৫০০ টাকা।

    আর ইউএনওদের ব্যবহারের জন্য কেনা হবে ২০০ গাড়ি। প্রতিটি গাড়ির দাম ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা। ফলে ২০০টি গাড়ি কিনতে মোট লাগবে ২৯১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের মাধ্যমে এসব গাড়ি কেনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

    এসব জিপ গাড়ি কেনার যৌক্তিকতা হিসেবে চাহিদাপত্রে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ মাঠপর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন পরিবহন সেবা নিশ্চিত করতে এসব গাড়ির প্রয়োজন হবে।

    এদিকে বৈশিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) দ্বিতীয় দিনে অর্থাৎ ২ জুলাই সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সকল প্রকার যানবাহন ক্রয় (মোটরযান, জলযান, আকাশযান) বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনা জারি করা সরকার।

    একই সঙ্গে পরিচালন বাজেটের আওতায় মোটরযান, জলযান, আকাশযান খাতে বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। তবে ১০ বছরের বেশি পুরোনো মোটরযান প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদন নিয়ে ব্যয় করার সুযোগ দেওয়া হয়।

    এছাড়া পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ কারার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় কিছু ক্ষেত্রে সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করার সুযোগ দেওয়া হয়।

    সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত বা আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    এই নিষেধাজ্ঞার পর এক মাস না যেতেই আগস্টের শুরুতেই সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আবার গাড়ি কেনার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এমনকি গাড়ির জন্য বরাদ্দ আগের থেকে বাড়িয়ে দেওয়া হয়। আগে সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে শীর্ষ কর্মকর্তাদের জন্য সর্বোচ্চ ৯৪ লাখ টাকা দামের গাড়ি কেনা যেতো। নতুন নির্দেশনায় এই বাজেট বাড়িয়ে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা করা হয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের গ্রেড ১ ও ২ পর্যায়ের কর্মচারী এই গাড়ি কিনতে পারবেন। আর গ্রেড ৩ বা তার চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের কর্মচারীদের জন্য কেনা যাবে ৬৫ লাখ টাকা দামের গাড়ি। আগে তাদের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বসীমা ছিল ৫৭ লাখ টাকা।

    সরকারের এই গাড়ি কেনার সিদ্ধান্তের মধ্যে কার, জিপ, পিক-আপ, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, অ্যাম্বুলেন্স, কোস্টার/মিনিবাস (এসি), মিনিবাস (নন এসি), বাস, ট্রাক রয়েছে। এরমধ্যে ৪৫ লাখ টাকা দিয়ে ১৬০০ সিসির কার, ৬৫ লাখ টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ ২০০০ সিসির জিপ, ৩৮ লাখ টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ ২৫০০ সিসির পিক-আপ (সিংগেল কেবিন), ৫৫ লাখ টাকা দিয়ে ২৫০০ সিসির পিক-আপ (ডাবল কেবিন), ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে সর্বোচ্চ ১২৫ সিসির মোটরসাইকেল, ৫২ লাখ টাকা দিয়ে ২৭০০ সিসির মাইক্রোবাস, ৫৪ লাখ টাকা দিয়ে ২৭০০ সিসির অ্যাম্বুলেন্স, ৭৫ লাখ টাকা দিয়ে ৪২০০ সিসির কোস্টার/মিনিবাস (এসি), ৩২ লাখ টাকা দিয়ে ২৭৭১ সিসির মিনিবাস (নন এসি), ৪৬ লাখ টাকা দিয়ে ৫৮৮৩ সিসির বাস (বড়, নন এসি), ৩৯ লাখ টাকা দিয়ে ৫ টনের ট্রাক এবং ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে ৩ টনের ট্রাক কেনা যাবে।

  • আউটার স্টেডিয়ামে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার আয়োজন রাখতে চাই: ডিসি

    আউটার স্টেডিয়ামে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার আয়োজন রাখতে চাই: ডিসি

    চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, আমরা আউটার স্টেডিয়ামকে ফুটবল মাঠ হিসেবে ব্যবহার করতে চাই। এখানে যাতে ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলার প্র্যাকটিস হয় সে সব আয়োজন রাখতে চাই। একইসঙ্গে ওয়াকওয়ে হবে। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আমরা মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্ট করতে চাই। এজন্য শিগগিরই মাটি ভরাট ও ঘাস লাগানোর কাজ শুরু হবে। আউটার স্টেডিয়ামের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনা হবে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

    আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় আউটার স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, আউটার স্টেডিয়াম থেকে আকরাম, নান্নু, আশিষ ভদ্র, তামিম, আফতাবদের মতো অনেকেই উঠে এসেছে। খেলোয়ার ও অ্যাথলেটস সৃষ্টি করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে মেলার পরিবর্তে খেলাধূলা চলমান রয়েছে। নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজসহ অন্যান্য মাঠগুলো খেলার উপযোগী করে গড়ে তোলার কাজ চলমান রয়েছে। জেলার ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে পৃথক পৃথক খেলার মাঠ তৈরীর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মহিলাদেরকে খেলাধূলা ও অনুশীলনে পারদর্শী করতে এম.এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম মাঠকে তৈরী করা হচ্ছে।

    ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ দখলদারেরা আউটার স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য ম্লান করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছিলেন। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান দায়িত্ব নিয়েই সেসব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেন। কথা দেন, এ স্টেডিয়ামকে খেলার উপযোগী করে গড়ে তুলবেন। তিনি কথা রাখলেন, স্থাপন করলেন উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর। ইতিমধ্যে মাঠের চারপাশে ফেন্সিং দিয়ে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও সিজেকেএস সহ-সভাপতি রাকিব হাসান, সিজেকেএস সহ-সভাপতি লায়ন দিদারুল আলম চৌধুরী, সিজেকেএস সহ-সভাপতি ও রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, কাউন্সিলর ও নির্বাহী সদস্য হাসান মুরাদ বিপ্লব, সৈয়দ আবুল বশর, গোলাম মইিউদ্দিন হাসান, নাসির মিয়া, হারুন-আল রশিদ, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোঃ আসলাম হোসেন খান প্রমুখ।

    চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামকে সাজানো হচ্ছে নতুন রূপে। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে শুরু হচ্ছে কাজ। জেলা প্রশাসন মেলাসহ নানান অনুষ্ঠান বন্ধ করে আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুরো মাঠ নতুনভাবে সাজাতে চায় সংশ্লিষ্টরা।

    জানা গেছে, আউটার স্টেডিয়ামের বর্তমান আয়তন ১১ হাজার বর্গফুট। এর মধ্যে ৮ হাজার বর্গফুটে হবে ফুটবল খেলার মাঠ। মাঠের চারপাশে ক্রিকেট নেট প্র্যাকটিস, ভলিবলসহ নানা খেলাধুলার জন্য ব্লক থাকবে। সুইমিং পুলের দেয়ালের দিকে হবে নেট প্র্যাকটিস ব্লক। স্টেডিয়ামের গ্যালারির দিকে ১৫০ থেকে ২০০ লোকের বসার জন্য গ্যালারি এবং সার্কিট হাউজ প্রান্ত ও নুর আহমদ চৌধুরীর প্রান্তে হবে ওয়াকওয়ে। এছাড়া বাকি জায়গায় টয়লেট সুবিধা, ড্রেসিং রুম এবং বসার জায়গা থাকবে।

  • আরও ৮ জেলায় নতুন ডিসি

    আরও ৮ জেলায় নতুন ডিসি

    আরও আট জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার (১০ জুলাই) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

    এর আগে গত ৬ জুলাই ১০ জেলায় ডিসি পদে পরিবর্তন আনে সরকার। এর তিনদিনের মধ্যে সর্বশেষ রোববার (৯ জুলাই) আরও ১০ জেলার ডিসি পদে রদবদল আনা হয়। এর একদিন পর আবার আজ সোমবার আবার এ পরিবর্তন এলো। ফলে গত পাঁচদিনের মধ্যে ২৮ জেলার ডিসি পদে পরিবর্তন এলো।

    মেহেরপুর, শেরপুর, জামালপুর, মুন্সিগঞ্জ, রংপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. শামীম হাসানকে মেহেরপুর, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল খায়রুমকে শেরপুর, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপসচিব মো. ইমরান আহমেদকে জামালপুর, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো. আবু জাফর রিপনকে মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    এছাড়া জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসানকে রংপুর ও রেহেনা আকতারকে মানিকগঞ্জ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) মো. মাহমুদুল হককে নারায়ণগঞ্জ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কিসিঞ্জার চাকমাকে চুয়াডাঙ্গার ডিসি করা হয়েছে।

    অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গার ডিসি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, মানিকগঞ্জের ডিসি মুহাম্মদ আব্দুল লতিফকে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব, শেরপুরের ডিসি সাহেলা আক্তারকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, রংপুরের ডিসি চিত্রলেখা নাজনীনকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, জামালপুরের ডিসি শ্রাবন্তী রায়কে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এবং মেহেরপুরের ডিসি মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামকে তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

  • ৯ জেলায় নতুন ডিসি

    ৯ জেলায় নতুন ডিসি

    দেশের নয় জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, দিনাজপুর, কুষ্টিয়া, হবিগঞ্জ, রাঙামাটি, ঝিনাইদহ, জামালপুর ও ভোলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    জামালপুরের ডিসিকে ময়মনসিংহ এবং হবিগঞ্জের ডিসিকে কুষ্টিয়ায় বদলি করা হয়েছে। অন্য সাত জেলায় নতুন কর্মকর্তাদের ডিসি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) থেকে এই নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করেছে।

    জামালপুরের ডিসি মোহাম্মদ এনামুল হককে ময়মনসিংহে এবং হবিগঞ্জের ডিসি মো. কামরুল হাসানকে কুমিল্লার ডিসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

    বিদ্যুৎ বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব খালেদ মোহাম্মদ জাকি দিনাজপুর এবং স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম সার্ভিস ডেলিভারির প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম কুষ্টিয়ার ডিসি নিয়োগ পেয়েছেন।

    ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ইশরাত জাহানকে হবিগঞ্জ এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে রাঙামাটির ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

    যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. মিজানুর রহমানকে ঝিনাইদহ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে সংযুক্ত উপসচিব মুর্শেদা জামানকে জামালপুর এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে সংযুক্ত উপসচিব মো. তৌফিক-ইলাহী-চৌধুরীকে ভোলার ডিসি করা হয়েছে।

    কুমিল্লার ডিসি মো. আবুল ফজল মীরকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপসচিব, কুষ্টিয়ার ডিসি মো. আমলাম হোসেনকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উপসচিব, ময়মনসিংহের ডিসি মো. মিজানুর রহমানকে জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব এবং রাঙামাটির ডিসি একেএম মামুনুর রশিদকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পদে বদলি করা হয়েছে।

    ঝিনাইদহের ডিসি সরোজ কুমার নাথ, ভোলার ডিসি মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক এবং দিনাজপুরের ডিসি মো. মাহমুদুল আলমকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব পদে বদলি করেছে সরকার।

  • ডিসিদের ৩ যানবাহন প্রস্তুত রাখার নির্দেশ

    ডিসিদের ৩ যানবাহন প্রস্তুত রাখার নির্দেশ

    দেশের প্রত্যেক জেলা থেকে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের জন্য দুইটি ও রোগী পরিবহনের জন্য একটি যানবাহন প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

    বুধবার (৮ এপ্রিল) এক চিঠিতে দেশের সব জেলা প্রশাসককে (ডিসি) এই নির্দেশ দিয়েছে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ।

    চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবেলায় দেশের প্রত্যেক জেলায় ডিসিদের আহ্বায়ক করে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করার জন্য ইতিমধ্যে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগে কয়েকটি ‘টেস্ট ল্যাব’ স্থাপন করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রতিটি জেলায় নমুনা সংগ্রহের জন্য কমপক্ষে দুইটিযানবাহন ও রোগী পরিবহনের জন্য একটি যানবাহন প্রস্তুত রাখার জন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন।

    এদিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত (সাধারণ ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনসহ) স্বাস্থ্য বিভাগের সব শাখা ও অধিশাখা খোলা রাখতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বলা হয়েছে।

  • তেজগাঁও জোনের ডিসি ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব

    তেজগাঁও জোনের ডিসি ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব তলব

    ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সন্তানদের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

    আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের নামে থাকা সব ব্যাংক হিসাবের লেনদেন তথ্য, বিবরণীসহ পাঠাতে বলা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার তাদের হিসাব তলব করতে ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএফআইইউয়ের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

    চিঠিতে পুলিশ কর্মকর্তা আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সাবেক নারী সংসদ সদস্য ফাতেমাতুজ্জহুরা তাদের ছেলে নাফিস তাহিয়াত ও মেয়ে আনিসা ফাতেমার ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।

    আনিসুর রহমান বর্তমানে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার স্ত্রী ফাতেমা তুজ্জহুরা দশম জাতীয় সংসদে শেরপুরের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।

    এছাড়া বিএফআইইউ অন্য এক চিঠিতে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুকের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে তারও সব ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।

    এর আগে ক্যাসিনো কেলেঙ্কারির ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও সদস্য সদস্য নুরুন্নবি চৌধুরী শাওনের ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়েছে।