Tag: ডেঙ্গু

  • চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৭

    চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৮৭

    চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭ জন। এতে জেলায় চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬৪ জনে। আর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ১৮ জনে।

    সোমবার (১৭ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

    সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৮০ জন। এরমধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৮০ জন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ১৮ জন এবং জেলায় অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ২৮২ জন ভর্তি রয়েছেন।

    বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক হাজার ৮৪ জন।

  • ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬২৩

    ডেঙ্গুতে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬২৩

    শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ১৬২৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৬৮ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৫৫ জন।

    শনিবার (১৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৪৯৪৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩২৩৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৭০৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

    চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১৯ হাজার ৪৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৩ হাজার ১০৯ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬ হাজার ৩৪৫ জন।

    আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ হাজার ৪০৭ জন। ঢাকায় ৯ হাজার ৭৯৩ এবং ঢাকার বাইরে ৪ হাজার ৬১৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

  • ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪৪৯

    ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৪৪৯

    গত একদিনে (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৪৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮৪ জন। আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৬৫ জন। তবে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

    শুক্রবার (১৪ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৪ হাজার ২২০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২ হাজার ৭৫৫ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ১ হাজার ৪৬৫ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

    চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১৭ হাজার ৮৩১ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১১ হাজার ৯৪১ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৮৯০ জন।

    আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ হাজার ৫১৮ জন। ঢাকায় ৯ হাজার ১১২ এবং ঢাকার বাইরে ৪ হাজার ৪০৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    তবে আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় বেশিরভাগ হাসপাতাল ডেঙ্গুর রিপোর্ট দেয়নি বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

  • আরও ১২৩৯ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, পাঁচজনের মৃত্যু

    আরও ১২৩৯ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, পাঁচজনের মৃত্যু

    প্রতিদিনই যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৩৯ জন এবং মারা গেছেন ৫ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ জনে।

    বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৩৯ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭৫৬ জন ও ঢাকার বাইরের ৪৮৩ জন।

    চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৭ হাজার ৩৮২ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার ৭৫৭ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ৬২৫ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৩ হাজার ২২০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮ হাজার ৯৭৫ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪ হাজার ২৪৫ জন।

    এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

    ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জন মারা যান।

  • একদিনে রেকর্ড ১২৪৬ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, পাঁচজনের মৃত্যু

    একদিনে রেকর্ড ১২৪৬ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, পাঁচজনের মৃত্যু

    দিন যত গড়াচ্ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ততই বাড়ছে। প্রায় প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যায় গড়ছে রেকর্ড। পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যু। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে।

    গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ২৪৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার একদিনে এক হাজার ৫৪ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তির তথ্য জানানো হয়।

    বুধবার (১২ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ২৪৬ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭০৯ জন ও ঢাকার বাইরের ৫৩৭ জন।

    চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৬ হাজার ১৪৩ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার এক জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৫ হাজার ১৪২ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১২ হাজার ২৬৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৮ হাজার ৪০২ জন এবং ঢাকার বাইরের ৩ হাজার ৮৬২ জন।

    এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

    ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

  • ডেঙ্গুতে রেকর্ড ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত হাজার ছাড়াল

    ডেঙ্গুতে রেকর্ড ৭ জনের মৃত্যু, শনাক্ত হাজার ছাড়াল

    সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রেকর্ড ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সর্বোচ্চ ১০৫৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬২৮ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২৬ জন।

    মঙ্গলবার (১১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ৩৩০৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঢাকার ৫৩ সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ২৩০৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৯৯৭ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

    চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৮৯৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১০ হাজার ২৯২ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৬০৫ জন।

    আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ হাজার ৫১১ জন। ঢাকায় ৭ হাজার ৯২১ এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৫৯০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত (১১ জুলাই) ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

  • ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড ৮৮৯ শনাক্ত, মৃত্যু ৩

    ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড ৮৮৯ শনাক্ত, মৃত্যু ৩

    ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ জনে। একদিনে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৮৯ ডেঙ্গুরোগী, যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে রোববার (৯ জুলাই) একদিনে সর্বোচ্চ ৮৩৬ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

    সোমবার (১০ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, রোববার (৯ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৮৯ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫৭৪ জন ও ঢাকার বাইরের ৩৩১৫ জন।

    চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৪৩ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৬৬৪ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ১৮৯ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১০ হাজার ৫১৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৭ হাজার ৫২৫ জন এবং ঢাকার বাইরের ২ হাজার ৯৮৯ জন।

    এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

    ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

  • ডেঙ্গুতে দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, আক্রান্ত অর্ধশতাধিক

    ডেঙ্গুতে দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, আক্রান্ত অর্ধশতাধিক

    ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দুই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ডিএমপির অর্ধশতাধিক সদস্য ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    মারা যাওয়া দুই সদস্য হলেন- হাজারীবাগ থানার কনস্টেবল রাসেল শিকদার ও গেন্ডারিয়া থানার কনস্টেবল আয়েশা আক্তার।

    সোমবার (১০ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) এ কে এম হাফিজ আক্তার।

    তিনি বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত আমাদের দুই পুলিশ সদস্য মারা গেছেন। গত সপ্তাহে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ডিএমপির অর্ধশতাধিক সদস্য রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে পুলিশ সদস্যদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    একদিনে রেকর্ড ৬ জনের মৃত্যু

    এদিকে, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বছর এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বাধিক মৃত্যুর ঘটনা এটি। এ নিয়ে এই মৌসুমে ডেঙ্গুতে ৭৩ জনের মৃত্যু হলো।

    এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৩৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫১৬ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২০ জন।

    রোববার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এর আগের ২৪ ঘণ্টায় (শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা ছিল ৮২০। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সে সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

    রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২৭৫০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ১৯৬৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

    চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯ হাজার ৯০ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৪ জন।

    আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ হাজার ১৩১ জন। ঢাকায় ৭ হাজার ৬৬ এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৬৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

  • ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৩৬

    ডেঙ্গুতে একদিনে রেকর্ড ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৩৬

    শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৮৩৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৫১৬ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩২০ জন। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা চলতি বছর একদিনে সর্বোচ্চ।

    আজ রোববার (৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    এর আগে শনিবার (৮ জুলাই) তার আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৮২০ জন। যা ছিল চলতি বছর সর্বোচ্চ। তবে আজ সে সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। আর সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল গত ৪ জুলাই, ৫ জন।

    রোববারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২৭৫০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১৯৬৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৮২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

    চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার ৯৫৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৯ হাজার ৯০ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৮৬৪ জন।

    আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ হাজার ১৩১ জন। ঢাকায় ৭ হাজার ৬৬ এবং ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৬৫ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

    চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

  • বছরের সর্বোচ্চ ৮২০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, দুইজনের মৃত্যু

    বছরের সর্বোচ্চ ৮২০ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে, দুইজনের মৃত্যু

    ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ জনে। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮২০ ডেঙ্গুরোগী। যা চলতি বছরে একদিনে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ৪ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ৬৭৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হন।

    শনিবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ ডা. মো. জাহিদুল ইসলামের সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার (৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮২০ জন রোগী। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬০৩ জন ও ঢাকার বাইরের ২১৭ জন।

    চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১ হাজার ১১৮ জন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮ হাজার ৫৭৪ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৫৪৪ জন। একই সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯ হাজার ৫৪৯ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৬ হাজার ৭৫০ জন এবং ঢাকার বাইরের ২ হাজার ৭৯৯ জন।

    এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

    ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

  • ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানতে হবে ৫ নির্দেশনা

    ডেঙ্গু প্রতিরোধে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মানতে হবে ৫ নির্দেশনা

    পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি কাটিয়ে রোববার (৯ জুলাই) খুলছে দেশের সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে রোববার সকাল থেকেই নিয়মিত ক্লাস শুরু হবে।

    এদিকে ডেঙ্গু রোধে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখাসহ ৫ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার অধিদপ্তর থেকে এ নির্দেশনা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশটি সব সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে অধিদপ্তর।

    এতে বলা হয়, মশার বংশবিস্তার রোধে প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ ও ভবনে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ফুলের টবগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা ও যাতে পানি জমতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আর ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়গুলো প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের জানাতে বলা হয়েছে শিক্ষকদের।

    মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

    প্রশাসন শাখার উপ-পরিচালক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাস স্বাক্ষরিত আদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেগুলো হলো-

    ১. খেলার মাঠ ও ভবন নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে

    ২. মাঠ বা ভবনে জমে থাকা পানি দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে

    ৩. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য যেসব ফুলের টব রাখা হয়েছে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে

    ৪. এডিস মশার প্রজননস্থলে যাতে পানি জমতে না পারে তা নিশ্চিত করতে হবে

    ৫. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকরা ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায় নিয়ে প্রত্যহ শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে

    আদেশে আরও বলা হয়, দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। বহু মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছেন ও হচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ ও ভবনগুলোর মাঝে পানি জমে থাকে এমন জায়গা, ফুলের টবে জমে থাকা পানি এডিস মশার উপযুক্ত প্রজনন কেন্দ্র। তাই ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটির পর খোলোর পর এসব ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

  • ডেঙ্গুতে মৃত্যু হচ্ছে শক সিনড্রোমে: স্বাস্থ্য ডিজি

    ডেঙ্গুতে মৃত্যু হচ্ছে শক সিনড্রোমে: স্বাস্থ্য ডিজি

    চলতি বছর এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের প্রায় প্রত্যেকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

    শনিবার (১০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

    স্বাস্থ্য ডিজি জানান, চলতি বছরে ঢাকার বাইরে তেমন একটি রোগী ভর্তি নেই। বেশিরভাগ রোগী রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসাপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ ১৪৭ জন রোগী মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। সারাদেশে রোগী সংখ্যা কম থাকলেও আমরা সারাদেশের সকল হাসপাতাল প্রস্তুত রেখেছি। এ বিষয়ে সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশোধিত গাইডলাইন প্রত্যেক হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়েছে। হাসপাতালগুলোর চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক, ওষুধসহ সবকিছু সরবরাহ করা হচ্ছে।

    ডেঙ্গুতে মৃত্যুর কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা ক্লিনিক্যাললি তাদের মৃত্যুর কারণ জানান চেষ্টা করেছি। আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত মৃতদের প্রায় প্রত্যেকে ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে ভুগছিলেন এবং শক সিনড্রোমে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও অন্য আরও কারণ থাকতে পারে। যা জানার জন্য অটোপসি করা প্রয়োজন। কিন্তু তা পরিবার অনুমোদন দেবে না। আর এটা সাধারণ প্র্যাকটিসও নয়।

    পরীক্ষার বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক খুরশীদ আলম বলেন, যারা আমাদের কাছে আসছে তাদের ডায়াগনোসিস কর হচ্ছে। যারা আসছে না তাদের তো করা সম্ভব না। এ বিষয়ে আমরা সচেতনতা বাড়াতে কাজ করছি। গণমাধ্যমসহ সকলকেও এ বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। জ্বর হলে তারা যেন ডেঙ্গু পরীক্ষা করান।

    তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক বিভাগে ডেঙ্গু চিকিৎসায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে মশা নিধন করাটা সব থেকে জরুরি। সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটি সফল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে প্রত্যেক হাসপাতালে মশারি সরবরাহ করা হচ্ছে তবে রোগীরা মশারির ভেতর থাকছেন না বলেও জানান স্বাস্থ্য ডিজি।

    হাসপাতাল শাখার পরিচালক জানান, ডেঙ্গু পরীক্ষায় গুরুত্ব দিতে সকল হাসপাতালকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এক্ষেত্রে আমাদের গত বছরই পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেক হাসপাতালে গাইডলাইন সরবরাহ করা হয়েছে। সকল রোগীদের জন্য মশারি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু রোগীরা মশারির ভেতর থাকছেন না। চিকিৎসক আসলে তারা মশারির ভেতর থাকছেন, বাকি সময়টা বাইরে থাকছেন। রোগীদেরকে মশারির ভেতর রাখার বিষয়ে পুলিশিং ব্যবস্থা আমাদের নেই। এ বিষয়ে আমাদের রোগীদেরকেই সচেতন হতে হবে।

    এ সময় ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুস্থ হওয়ার পর রোগীদের জটিলতা বেশি দেখা যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

    ডেঙ্গু রোগীদের সকল তথ্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে জানিয়ে অধিদফতরের এমআইএস শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য ও ডেঙ্গুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে রোগীদের তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালগুলোকে আগত রোগীদের মোবাইল নম্বর ও ঠিকানা সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গু বিফিংয়ের আওতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখন থেকে রাজধানীর ৫৩টি ডেডিকেটেড হাসপাতালে সাথে আরও ৩২টি হাসপাতালে মিলিয়ে মোট ৮৫টি হাসপাতালে তথ্য তুলে ধরা হবে।