Tag: ডেঙ্গু

  • বেসরকারিতে ডেঙ্গু পরীক্ষা খরচ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা

    বেসরকারিতে ডেঙ্গু পরীক্ষা খরচ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা

    বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু সংক্রমণের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ মূল্য ৫০০ টাকা এবং সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু সংক্রমণ পরীক্ষা ১০০ টাকা। কোনো হাসপাতালের বেশি নেওয়া হলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

    রোববার (২৮ মে) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।

    তিনি বলেন, পরীক্ষাসহ ডেঙ্গু চিকিৎসায় আমরা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করে দিয়েছি। গাইডলাইন অনুযায়ীই সবাইকে চিকিৎসা দিতে হবে। প্লাটিলেট ব্যবহার নিয়েও গাইডলাইনে নির্দেশনা রয়েছে।

    ডা. আহমেদুল কবির বলেন, সব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি বেড়ে গেলে করণীয় কী হবে, প্রতিটি হাসপাতালকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। রোগী বাড়লে অতিরিক্ত আবাসিক চিকিৎসক এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দিতে হবে, যেন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা ব্যহত না হয়।

    হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত মশারির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট পরিচালকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

    কোন সিটিতে রোগী বেশি- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, বেশিরভাগ হাসপাতাল দক্ষিণে, উত্তর থেকে কোনও রোগী দক্ষিণের হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়, তাহলে সঠিক উপাত্ত নিয়ে আসা কঠিন। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে আরও কাজ করবো। কোনও তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেলে আপনাদের জানানো হবে।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের একটি ভুল ধারণা রয়েছে। ডেঙ্গু হলেই আমরা প্লাটিলেটের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে যাই। কিন্তু ডেঙ্গু আসলে প্লাটিলেট ডিজঅর্ডার নয়, এক্ষেত্রে ঝুঁকির কারণ হতে পারে প্লাজমা লিকেজ। এককথায় বলতে গেলে ডেঙ্গুতে প্লাটিলেটের কোনও ভূমিকা নেই। প্লাটিলেটের চেয়ে ডেঙ্গু রোগীর জন্য বেশি দরকার ফ্লুইড।

    তিনি বলেন, ডেঙ্গুর বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। ডেঙ্গুতে শট হতে পারে, ডেঙ্গুতে হেমারেজ হতে পারে। এমনকি অর্গান ইনভলমেন্টও হতে পারে, যা শরীরের বিভিন্ন অর্গানকে ইনভলব করে ফেলে। এটি হলো সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়। এই অবস্থায় আসা রোগীদের বাঁচানো অনেক কঠিন।

  • ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

    ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

    ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বুধবার (২৪ মে) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের প্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    আবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে, এ নিয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, গত বছর ৫০ লাখ লোকের দেশ সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আমাদের চেয়েও বেশি ছিল। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত ছিল আড়াই লাখের মতো, ফিলিপাইনে এই সংখ্যাটা প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি। দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো।

    বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে অনেক লোক মারা যাচ্ছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে।

    জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, তারা মনে করেন খুবই অল্পসময়ে অনেক অর্জন আছে বাংলাদেশের। এসব অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তার কারণ কী; তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের ধারণা, বাংলাদেশের এই উন্নতি যদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে সেই পথনকশা বিশ্বের অন্য দরিদ্র দেশগুলোতে তারা ব্যবহার করতে পারবেন।

    রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মো. তাজুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা বলতে চান, জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশগুলো সবাই মিলে চেষ্টা করছে যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।

    রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তারা বাংলাদেশকে কী ধরনের সহযোগিতা দেবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনগত সহায়তা ও মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া সহজ করতে আলোচনা তারা করছে।

  • ডেঙ্গু বাড়ছে, সজাগ থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    ডেঙ্গু বাড়ছে, সজাগ থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    দেশে গত কিছুদিন ধরে আবারও ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, দেশে আবারও ডেঙ্গুর প্রভাব বাড়ছে, ডেঙ্গুর সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবাইকে সজাগ হতে হবে।

    রোববার (৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসা-বাড়ির ছাদ, আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

    টিকাদান কার্যক্রম প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও সারা বিশ্বজুড়ে টিকাদান সপ্তাহ পালিত হয়েছে। আমরা প্রতি বছর সাড়ে দুই কোটি শিশুকে টিকা দিয়ে থাকি, সবমিলিয়ে প্রায় ১০টিরও বেশি অসুখের টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রোগ্রামের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার সেন্টার করে থাকি। এছাড়াও আমরা ১৫ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের টিকা দিয়ে থাকি। তাদেরও ১০ রকমের রোগের টিকা দেওয়া হয়।

    তিনি বলেন, দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী, তারা খুবই আনন্দের সঙ্গে টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। তারাই আমাদের টিকাদানে সফলতার পেছনের বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাও বড় কারণ। এই কার্যক্রমে বিরাট একটা লজিস্টিক সাপোর্ট লাগে, যা সরকার দেয়। টিকাদানের সময় অন্যান্য কাজকর্মও আমরা করে যাচ্ছি।

    সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৯৫ শতাংশ শিশু টিকার আওতায় এসেছে, যা ২০০১ সালেও ছিল ৫২ শতাংশ। আর নারীদের মধ্যে টিকার হার ৮০ শতাংশ। টিকায় আমাদের অনেক সফলতা আছে, সফলতার স্বীকৃতি পেয়েছি অনেক। বড় স্বীকৃতি হলো আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভ্যাকসিন হিরো সম্মাননা পেয়েছেন। এই টিকার কারণেই আমরা এসডিজি অর্জন করেছি। টিকার কারণে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমেছে। টিকা এখানে বড় অবদান রেখেছে। আমাদের গড় আয়ু ৭৩, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও ৫০ ছিল।

    জাহিদ মালেক বলেন, করোনায় বিশ্বে ৭০ লাখ মানুষ মারা গেছে, ৭০ কোটি লোক আক্রান্ত হয়েছে। আমরা ৩৬ কোটি টিকা দিতে সক্ষম হয়েছি। টিকা দেওয়ার কারণেই আমাদের দেশে মৃত্যুর হার কম ছিল।

    সভায় বক্তারা বলেন, বিভ্রান্তিকর তথ্য বা সেবা গ্রহণে বিভিন্ন বাধা বিশেষত কোভিড অতিমারিকালে আমাদের নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থানের কারণে অনেকেই যথাসময়ে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত টিকাগুলো গ্রহণ করতে পারেননি। ফলে টিকা বঞ্চিত ও টিকাপ্রাপ্ত সুরক্ষিত শিশুদের মধ্যে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার সুস্পষ্ট ব্যবধান তৈরি হয়েছে। যে কারণে বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যে পোলিও, ডিফথেরিয়া, যক্ষ্মাসহ অন্যান্য টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে শুরু করেছে, যা নিরসনে টিকা বঞ্চিত শিশুদের টিকা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

    তারা বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ সরকারও দেশের সব শিশু (০-১ বছর) ও সন্তান ধারণক্ষম নারীদের (১৫-৪৯ বছর) টিকাদানে বদ্ধ পরিকর। এরই ধারাবাহিকতায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক সহযোগিতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি তথা ইপিআই ১৯৭৯ সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি সুনামের সঙ্গে দেশে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে।

    অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বর্তমানে দেশে প্রায় ৭০০টি স্থায়ী ও ১ লাখ ২০ হাজার অস্থায়ী টিকাকেন্দ্রের মাধ্যমে শিশু ও নারীদের সরকারিভাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ১০টি মারাত্মক সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে জীবন রক্ষাকারী টিকা প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া আরও কয়েকটি টিকা অচিরেই নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচিতে যুক্ত হতে চলেছে, যার মধ্যে এইচপিডি টিকা অন্যতম, যার সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে সুরক্ষা প্রদান করতে পারব।

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মুহাম্মদ খুরশীদ আলম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ডা. বরদান জুং রানাসহ আরও অনেকে।

  • ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    ডেঙ্গু প্রতিরোধে বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘরবাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) নিয়মিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

    প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডেঙ্গু ছড়ানোর প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা সকলের বাড়িঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে, বিশেষ করে বাড়ির ভেতরে ও বাইরে পানি জমে থাকা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, এডিস মশা তার বিস্তারের জন্য পানি ভর্তি পাত্রের দেয়ালে এবং অন্যান্য স্থানে ডিম পাড়ে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিশেষ করে সিভিল এভিয়েশনকে প্রতিদিন ফগিং মেশিনের মাধ্যমে মশা নিরোধক স্প্রে জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এছাড়াও, সিটি করপোরেশন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে ডেঙ্গু ও এডিস মশার বিস্তার সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে বলা হয়েছে। ২০১৯ সালে দেশে এক লাখের বেশি ডেঙ্গু রোগী রেকর্ড করা হয় উল্লেখ করে, খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বছর এ পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ঢাকায় ২৩ হাজার ডেঙ্গু রোগী, চট্টগ্রামে ৪ হাজার, খুলনায় ১ হাজার ৬০০ এবং সিলেটে ৫৩ জন। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৭৩

    ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৭৩

    দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭৩ জন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।

    আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩ হাজার ৫৮৪ জন। আর চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪১ জন।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নতুন ভর্তি হওয়া রোগীদের ৫৪৫ জনই ঢাকার বাসিন্দা। আর ঢাকার বাইরের ৩২৮ জন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের ২ হাজার ৩০৯ জন ঢাকার এবং ১ হাজার ২৭৫ জন ঢাকার বাইরে।

    প্রসঙ্গত, দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে ২০১৯ সালে। ওই বছর ১ লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১৪৮ জন। পরের বছর ডেঙ্গু রোগের বিস্তার ঘটেনি। ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে এসে উদ্বেগজনকহারে বাড়তে থাকে ডেঙ্গ রোগী।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্তের দিনে ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু

    রেকর্ড সংখ্যক আক্রান্তের দিনে ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু

    ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া রেকর্ড ১০২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

    রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গু বিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও এক হাজার ২০ জন নতুন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী ভর্তি হয়েছেন।

    এর মধ্যে ঢাকায় ৬১৮ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে ৪০২ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
    বর্তমানে সারাদেশে সর্বমোট তিন হাজার ৬৩০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে দুই হাজার ৩৫০ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে এক হাজার ২৮০ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি রয়েছেন।

    চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৩৭ হাজার ১৫১ জন।

    এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ২৫ হাজার ৪৭১ জন এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ১১ হাজার ৬৮০ জন।
    ২৪ঘণ্টা/এনআর

     

  • দেশে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬০ জন

    দেশে ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৪৬০ জন

    গত ২৪ ঘন্টায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৬০ জন। এরমধ্যে ঢাকায় ৩২০ এবং ঢাকায় বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪০ জন।

    আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

    এতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১ হাজার ৭৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঢাকার ৫০টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ১ হাজার ৩১৪ এবং অন্যান্য বিভাগে ভর্তি রয়েছে ৪২৪ জন রোগী।

    সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, চলতি বছরের এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৫৪ জন। আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে ১৪ হাজার ৮২২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ১১ হাজার ৩৯১ এবং আর ঢাকার বাইরে ৩ হাজার ৪৩১জন।

    অন্যদিকে, চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছে ১৩ হাজার ৩০ জন। এর মধ্যে ঢাকায় ১০ হাজার ৫০ এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ২ হাজার ৯৮০ জন।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন রোগী শনাক্ত ৪৮২

    ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, নতুন রোগী শনাক্ত ৪৮২

    দেশে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে। এসময় ৪৮২ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।

    এদের মধ্যে ৩২৮ জন ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং বাকি ১৫৪ জন ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক হাজার ৬৯২ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    এর মধ্যে এক হাজার ২৯৪ জন ঢাকার মধ্যে এবং ৩৯৮ জন রোগী ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে।

    সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৪ হাজার ৩৬২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

    এর মধ্যে ঢাকায় ১১ হাজার ৭১ জন এবং ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন তিন হাজার ২৯১ জন ডেঙ্গু রোগী।

    অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে ১২ হাজার ৬১৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।

    এদের মধ্যে নয় হাজার ৭৫১ জন ঢাকার এবং বাকি দুই হাজার ৮৬৬ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।

    চলতি বছরে ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা ৫৩ জনে পৌঁছেছে।

    ২৪ঘণ্টা/বিআর

  • ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি মেয়র নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন

    ডেঙ্গু সহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সিটি মেয়র নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন

    ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসায়, ফুলের টবে, ছাদে, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রাপ্তবয়স্ক মশা নিধনের জন্য এডাল্টিসাইড এবং মশার লার্ভা (ডিম) ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ফগার মেশিনের সাহায্যে। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে ১০ লিটার পানিতে ১০ সিসি লার্ভিসাইড মিশিয়ে দ্রবণ তৈরিপূর্বক স্প্রে ছিটানোর পরিমাণ অনেক বৃদ্ধ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, এখণই এডিস মশার বংশবৃদ্ধির উপযুক্ত সময়। ভারী বর্ষণ কিংবা থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাড়ীর আশপাশ, ফুলের টব, আবর্জনা ফেলার পাত্র, প্লাষ্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাষ্টিকের ড্রাম,মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারিকেলের মালা, ব্যাটারী শেল, পলিথিন, চিপসের প্যাকেট এবং নালা-নর্দমায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে এডিস মশার প্রজনন বৃদ্ধি পেতে পারে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতাকে সমধিক গুরুত্ব দিলেন সিটি মেয়র।

    তিনি বলেন, বর্ষাকালে কোনো পাত্রেই পানি জমিয়ে রাখা যাবে না। তার ওপর বৃষ্টির পর বাড়ীর আশপাশে পানি জমে থাকলে তাও পরিস্কার করে ফেলতে হবে। জমে থাকা পানি ছাড়া এডিস মশা বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। এসব বিষয়ে বিশেষ নজর দিয়ে চসিক পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে আরো বেশি তৎপর হয়ে কাজ করার জন্য তাগিদ দিলেন সিটি মেয়র।

    ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে নগরবাসীর মধ্যে জনসচেতনা সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র মশা – মাছির উপদ্রব এবং মশার প্রজনন রোধে দীর্ঘমেয়াদী ওষুধ ছিটানোর ক্রাশ প্রোগাম, মাইকিং, প্রচার পত্র বিলি, পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্টান সমূহে সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং নালা – নর্দমা পরিস্কারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে তিনি নির্দেশ দেন।

    তিনি বলেন, বিশেষ মশক নিধন অভিযান উদ্বোধনের পর নগরের ৪১ ওয়ার্ডে ১২০ জন শ্রমিক ওষুধ ছিটানো শুরু করেছে। এবার ২ কোটি টাকার ২৫ হাজার লিটার এডাল্টিসাইড, ১০ হাজার লিটার লার্ভিসাইড ওষুধ কিনেছে চসিক। চসিকে ১১০টি জার্মানির ফগার মোশিন ও ৩৫০টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন রয়েছে। প্রতিবছর সেপ্টে¤\^র থেকে মে পর্যন্ত মশক নিধন কার্যক্রম চললেও এবার চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে চসিক।

    মেয়র বলেন, মশক নিধন কার্যক্রম শতভাগ নিশ্চিতকরণের ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রতি ওয়ার্ডে জীবানুনাশক পানি ছিটানোর পাশাপাশি মশা নিধনে লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো শুরু হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, আগামীকাল থেকে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওষুধ ছিটানো হবে। এ কাজে নিয়োজিত কর্মীরা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জীবানুনাশক ছিটাবেন।

    তিনি বলেন, আমরা কিছু লার্ভিসাইড ও মশার ডিম ধ্বংসকারী ওষুধ ( কালো তেল) সংগ্রহ করেছি। তিনি বলেন জলাবদ্ধতা নিরসনে চাক্তাইখাল সংস্কার, গভীরতা বৃদ্ধি এবং জলপ্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তার পূর্ত কাজ সম্পন্ন করছেন সেনাবাহীনী। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চাক্তাই খালের বেশ কয়েকটি জায়গায় বাঁধ দেয়ায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ স্থির হয়ে আছে। স্থির হওয়া পানিই এডিস মশা প্রজনের অন্যতম ক্ষেত্র।

    চসিক মেয়র সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলে পাইপ লাইন বসিয়ে স্থির পানিগুলো সরিয়ে ফেলতে বলেছেন মর্মে জানান। অবশ্য সেনাবহীনি বিকল্প ব্যবস্থায় পানি প্রবাহ গতিশিল রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছেন। কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা না হলে এডিস মশার প্রজনন বেড়েই চলবে। এছাড়াও বাসা-বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন জায়গার ঝোপঝাড় পরিস্কার করে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করে ফেলার জন্য নগরবাসীর প্রতি মেয়র উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন।

  • চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে তরুণীর মৃত্যু

    চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে তরুণীর মৃত্যু

    চট্টগ্রাম নগরীতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে সুমি বৈদ্য (১৯) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওমরগণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এ বছর এইচএসসি পাস করেছেন। এদিকে সুমীর ছোট ভাই অরুপ বৈদ্যও (১৬) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদিবাগে বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সুমীর মৃত্যু হয়।

    সুমি বৈদ্য নগরীর ফ’য়সলেক এলাকার সুমী মেডিকোর মালিক সুনিল বৈদ্যের মেয়ে।

    হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রদীপ বড়ুয়া জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর জ্বরে আক্রান্ত সুমি বেসরকারি ইউএসটিসি হাসপাতালে ভর্তি হন।

    বৃহস্পতিবার তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার দুপুরে তাকে আবার নিজাম রোডের মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয়।

    এর পর তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে শনিবার রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন থেকে তার মৃত্যু হয়।

    এদিকে সন্ধ্যায় সুমি ও অরুপের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ার পর সন্ধ্যায় নগরীর বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেন স্বাস্থ্য দপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীর ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী।

    আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘মূলত ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে আক্রান্ত হওয়ায় সুমির শরীরে রক্ত প্রবাহিত হয়েছে। তাদের দুজনের খবর শুনে আমরা দেখে এসেছি। এর কিছুক্ষণ পরেই সুমির মৃত্যু হয়। যতটুকু শুনেছি, সুমির ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর তার বাবার ফার্মেসির দোকান থাকায় নিজে নিজেই চিকিৎসা করেছিলেন। এ বিষয়ে অবহেলা না করে যদি প্রথমেই চিকিৎসা করাতো হয়তো সুমি বেঁচে যেতেন। তবে চমেক হাসপাতালে গিয়ে সুমির ছোট ভাই অরুপকে দেখে এসেছি। সে বর্তমানে কিছুটা ভালো আছে। আশা করছি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।’

  • ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু মাগুরায়

    ডেঙ্গু আক্রান্ত যুবকের মৃত্যু মাগুরায়

    ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মাগুরায় নাজমুল হোসেন (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে তার মৃত্যু হয়। নিহত নাজমুল মাগুরা সদরের বরুণাতৈল গ্রামের আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে। তিনি শহরের পারনান্দুয়ালী মসজিদ মার্কেট এলাকায় ভাঙ্গারীর ব্যবসা করতেন।

    প্রতিবেশী সোহাগ হোসেন জানান, নাজমুল গত শুক্রবার জ্বরে আক্রান্ত হন। ওইদিন পরীক্ষা করে তার ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    মঙ্গলবার সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে সন্ধ্যায় পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    মাগুরায় নাজমুল মোল্লাসহ এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অন্য তিনজন হচ্ছেন- সদরের পুটিয়া গ্রামের জয়া সাহা, ধরহরা চাঁদপুর গ্রামের কলেজছাত্র সুমন মোল্লা ও সিকিরিটি কর্মী জয়নাল শরীফ।

    এ পর্যন্ত মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রন্ত হয়ে মোট ৪১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে পাঁচজন ভর্তি আছেন। যারা সবাই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত বলে জানিয়েছেন হাসাপাতালের ।

  • খুলনায় ডেঙ্গুতে গৃহবধূর মৃত্যু

    খুলনায় ডেঙ্গুতে গৃহবধূর মৃত্যু

    ডেঙ্গু জ্বরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাভলী আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূ মারা গেছেন। তিনি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের জমির আলীর স্ত্রী। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার পার্থ প্রতীম দেবনাথ জানান, লাভলী আক্তার কয়েকদিন ধরে ডেঙ্গু জ্বরে ভুগছিলেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় গতকাল সন্ধ্যায় তিনি হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হন এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাত আড়াইটার দিকে মারা যান।

    আরো:: হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু