Tag: ডেনমার্ক

  • এবার ডেনমার্কে কোরআন অবমাননা, বাংলাদেশের নিন্দা

    এবার ডেনমার্কে কোরআন অবমাননা, বাংলাদেশের নিন্দা

    চলতি মাসে সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় মুসলিম বিশ্বের কড়া প্রতিবাদের মধ্যেই এবার ডেনমার্কে একই ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দেশটির রাজধানী কোপেনহেগেনে একটি মসজিদ ও তুরস্কের দূতাবাসের কাছে এ বর্বর কর্মকাণ্ড ঘটানো হয়। এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার এক বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানায়।

    বিবৃতিতে বাংলাদেশ জানায়, সারা বিশ্বের মুসলমানদের মূল্যবোধ ও ধর্মীয় প্রতীককে অপমান করার মতো জঘন্য ঘটনায় বাংলাদেশ আবারও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সম্প্রীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জন্য এ ধরনের অযৌক্তিক উসকানি ও ইসলামোফোবিয়া থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

    উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি সুইডেনে পবিত্র কোরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ করেন রাসমাস পালুদান নামে ওই ব্যক্তি। সেই ঘটনায় বিশ্বের সব মুসলিম দেশ কড়া প্রতিক্রিয়া জানায়। এর মধ্যেই এবার ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কে উগ্রবাদের পুনরাবৃত্তি হলো।

  • ডেনমার্কের বিদায়, নকআউটে অস্ট্রেলিয়া

    ডেনমার্কের বিদায়, নকআউটে অস্ট্রেলিয়া

    গত বছরের ইউরোতে দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছিল ডেনমার্ক। কাতার বিশ্বকাপে সেজন্য তাদের ‘ডার্ক হর্স’ বলা হচ্ছিল। কেউ কেউ ফেবারিটও বলছিলেন। কাসপার স্মাইকেল, ক্রিস্টিয়ান এরিকসন, ডেমসগার্ডদের মতো খেলোয়াড় তাদের দলে। ওই ডেনিসরা আসরে কোন জয়ই পায়নি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে এশিয়া অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে তারা। গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে নকআউট নিশ্চিত করেছে সকারুরা।

    ফ্রান্সের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে আসর শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে পরের ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল সকারুরা। ডেনমার্কের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ড্র করলেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হতো অস্ট্রেলিয়ার। হারলে নিতে হতো বিদায়। ওই ম্যাচ প্রথমার্ধে গোল শূন্য সমতায় শেষ হয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোল করে জয় তুলে নিয়েছে গ্রাহাম অরনাল্ডের দল।

    ম্যাচের ৬০ মিনিটে দলের হয়ে গোল করে ম্যাথু লেকি। অস্ট্রেলিয়ার নাম্বার সেভেনকে বল বানিয়ে গোল করান ম্যাকগ্রি। ওই গোল ডেনমার্ক শোধ করতে পারেনি। ৬৮ ভাগ বলের পজিশন রাখলেও গোল হওয়ার মতো তেমন সুযোগ ডেনিসরা তৈরি করতে পারেনি। বরং অল্প বলের দখল রেখেও পোস্টে ডেনমার্কের চেয়ে বেশি শট নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

    এই জয়ে তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোয় নাম তুলেছে অস্ট্রেলিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে এখন তাদের প্রতিপক্ষের অপেক্ষা। রাতে গ্রুপ ‘সি’র ম্যাচে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড এবং সৌদি আরব-মেক্সিকো। ওই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দলের বিপক্ষে পরবর্তী লড়াইয়ে নামবে অস্ট্রেলিয়া। তাদের প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা, পোল্যান্ড হয় নাকি সৌদি আরব, মেক্সিকো সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

  • এমবাপ্পের দুর্দান্ত ডাবলে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স

    এমবাপ্পের দুর্দান্ত ডাবলে শেষ ষোলোয় ফ্রান্স

    চ্যাম্পিয়নের মতো খেলেই ‘চ্যাম্পিয়নদের অভিশাপ’ কাটাল ফ্রান্স। ২০১০ আসরের চ্যাম্পিয়ন স্পেন পরের আসরে গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল। রাশিয়ায় গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। ফ্রান্স ওই অঘটনের কোন সুযোগই দিল না। নিজেদের শুরুর দুই ম্যাচেই দাপুটে জয় নাম তুলল শেষ ষোলোয়।

    প্রথম ম্যাচে জিরু-এমবাপ্পের মাথায় ভর করে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল দিদিয়ের দেশমের ফ্রান্স। শনিবার রাতে আসরের ‘ডাক হর্স’ খ্যাতি পাওয়া ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে লেস ব্লুজরা। দুই গোলই করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।

    ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি ফ্রান্স। তবে আক্রমণাত্মক খেলায় ত্রস্ত করে রেখেছিল ডেনিসদের। গোল মুখে প্রথমার্ধে সাতটি আক্রমণ তুলেছিল। চারটি পরিষ্কার শট ছিল লক্ষ্যে। কিন্তু ডেনিস গোলরক্ষক কাসপার স্মাইকেল দুর্দান্ত দক্ষতায় তা ফিরিয়ে দেন।

    দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণের ধারা ধরে রাখে দেশমের দল। ফলও পেয়ে যায়। ম্যাচের ৬১ মিনিটে ফ্রান্সম্যান এমবাপ্পে গোল করেন। লেফট ব্যাক থিও হার্নান্দেজের ক্রস ধরে বল জালিয়ে পাঠিয়ে দেন রাশিয়া বিশ্বকাপে সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া এমবাপ্পে।

    কিন্তু প্রথমার্ধে রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকা ডেনমার্ক মুহূর্তেই ফ্রান্সের ওই গোল শোধ করে দেয়। ম্যাচের ৬৮ মিনিটে গোল করেন বার্সায় খেলা ডেনিস ডিফেন্ডার আন্দ্রে ক্রিস্টেনসেন। আবার জমে ওঠে ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত গোলে সাতটি শট নেওয়ার পরে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে জয় সূচক গোলটি করেন এমবাপ্পে। বদলি নামা কিংসলি কোম্যান একেবারের গোলের মুখে ক্রস দেন। দ্রুতগতির এমবাপ্পে শরীর ঠেকিয়ে বল জালে পাঠিয়ে স্টেডিয়াম উল্লাসে ভাসান।

  • ডেনমার্ককে রুখে দিল তিউনিসিয়া

    ডেনমার্ককে রুখে দিল তিউনিসিয়া

    দিনটা শুরু হয়েছিল সৌদি আরবের কাছে আর্জেন্টিনার পিলে চমকে যাওয়া দিয়ে। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে এবার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের ডেনমার্ককে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দিল তিউনিসিয়া।

    গেল ইউরোর সেমিফাইনালিস্ট ডেনমার্ক। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও খেলেছে বেশ দাপটের সঙ্গে। সেই দলটিকে এবারের ডার্ক হর্স বলেও মনে করা হচ্ছিল বেশ। সেই ডেনমার্ককেই দারুণভাবে রুখে দিল আজ তিউনিসিয়া।

    তবে স্কোরলাইন যেমন বলছে, খেলাটা অমন ম্যাড়মেড়ে ছিল না মোটেও। ডি গ্রুপের প্রথম ম্যাচে আল রাইয়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই তিউনিসিয়া বেশ শক্তির পসরা সাজিয়ে বসেছিল। শুরুতে দাপট ছিল তাদেরই।

    ডেনমার্ক অবশ্য ধীরে ধীরে ফিরে আসে ম্যাচে। বলের দখলে আধিপত্য বিস্তার শুরু করে দলটি। তবে তিউনিসিয়ার দাপট তাতে কমেনি একটুও। দুই অর্ধে বারদুয়েক দারুণ সুযোগ এসেছিল দলটির সামনে, কাজে লাগানো হয়নি যদিও।

    তবে ম্যাচের সেরা সুযোগটা এসেছিল ডেনমার্কের আন্দ্রেয়াস কর্নেলিয়াসের কাছে। তবে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তার হেডারটা প্রতিহত হয় পোস্টে।

    দুই অর্ধে দুই দলই বেশ সুযোগ পেয়েছে, যদিও কাজে লাগানো হয়নি কারোই। তাই ম্যাচটা শেষমেশ শেষ হয়েছে গোলহীন এক ড্রয়েই। ২০১৮ বিশ্বকাপে প্রথম গোলশূন্য ড্রয়ের জন্য যেখানে ৩৭ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে, সেখানে এবার গোলহীন ড্রয়ের দেখা মিলে গেল ষষ্ঠ ম্যাচেই।

    তাতে তিউনিসিয়া অবশ্য একটা বার্তাও দিয়ে দিল বাকি গ্রুপের বাকি দুই দল ফ্রান্স আর অস্ট্রেলিয়াকে। দলটাকে হালকাভাবে নিলে বড় ভুলই হয়ে যাবে!

  • বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিল ডেনমার্ক

    বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিল ডেনমার্ক

    করিম বেনজেমার দুর্দান্ত গোলও জেতাতে পারল না ফ্রান্সকে। পিছিয়ে পড়েও শেষ দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে উয়েফা নেশন্স লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দিয়েছে ডেনমার্ক।

    শুক্রবার প্যারিসের স্তাদে ফ্রান্সে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় পেয়েছে ডেনিশরা। সফরকারীদের হয়ে দুটি গোলই করেন আন্দ্রেয়াস কর্নিলিউস।

    ম্যাচজুড়ে দাপট দেখিয়েছে ফ্রান্স। বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছে করিম বেনজেমারা। গোলের উদ্দেশ্যে নেওয়া মোট ১৯ শটের ৬টি লক্ষ্য ছিল ফরাসিদের। অন্যদিকে, ডেনমার্কের ৮ শটের পাঁচটিই ছিল লক্ষ্য।

    প্যারিসের ন্যাশনাল স্টেডিয়াম, দুদিন আগে যেখান থেকে এমবাপ্পের সামনে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে নিয়ে গিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এবার সেই একই মঞ্চে ডেনমার্কের সামনে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে কিলিয়ান। যদিও দিন শেষে তা ছিল বড্ড মলিন। ম্যাচের প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল অতিথিরা। যদিও ফরোয়ার্ডের ভুলে জালে যায়নি বল। বেঁচে যায় ফ্রান্স।

    পাল্টা আক্রমণের সুযোগ আসে ফরাসিদের সামনেও। কিন্তু ক্লাবের বেনজামার সঙ্গে জাতীয় দলের বেনজামার যে আকাশ পাতাল পার্থক্য। বলটাকে প্রতিপক্ষের গায়ে মেরে হতাশ করেন সমর্থকদের। পরে আবার গোলও করেছিলেন তিনি, যদিও তা বাতিল হয়ে যায় অফসাইডে।

    এর পরই ম্যাচের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সামনে পড়তে হয় দিদিয়ের দেশমকে। আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন কিলিয়ান এমবাপ্পে। গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।

    বিরতি থেকে ফিরে আর গোলের জন্য কষ্ট করতে হয়নি স্বাগতিকদের। ৫১ মিনিটেই দলকে এগিয়ে দেন কারিম বেনজামা। এনকুকুর সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়া এবং ফুটবলীয় স্কিলের অসাধারণ এক প্রদর্শনী দেখে ফরাসি সমর্থকরা।

    গোল খেয়ে যে দমে যায় ডেনমার্ক, তা কিন্তু নয়। বরং দ্বিগুণ গতিতে হামলে পড়ে চ্যাম্পিয়ন শিবিরে। ৬৮ মিনিটে যার ফলও পেয়ে যায় তারা। অফসাইড ট্র্যাপ করতে গিয়ে ভুল করে বসেন ফরাসি ডিফেন্ডাররা। সুযোগ বুঝে স্কোর করেন কর্নিলিউস।

    সমতায় থাকা ম্যাচটা জমে উঠে ৮০ মিনিটের পর থেকেই। দুই গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে রীতিমতো ঝড় বইয়ে দেন ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু স্মাইকেল আর লরিস ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।

    যদিও, ৮৮ মিনিটে ব্যর্থ হন হুগো লরিস। কর্নিলিউসের কোনাকুনি শটে স্তব্ধ হয়ে যায় স্তাদে দি ফ্রান্স। ২-১ এর স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডেনিশরা। এমবাপ্পের ইনজুরির সঙ্গে হারের হতাশাও ভর করে ফরাসি শিবিরে।

  • চট্টগ্রাম নগরে মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে আগ্রহ ডেনমার্কের

    চট্টগ্রাম নগরে মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে আগ্রহ ডেনমার্কের

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে সহযোগিতা করবে ডেনমার্ক সরকার। সোমবার বিকেলে টাইগারপাস সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন এ কথা বলেন।

    ওই সময় উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জেকব কাহল জেপসেন,ফায়ার এক্সপ্রেসেস এর ম্যানেজিং ডাইরেক্টর হেনরিক নাবাই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে: কর্ণেল সোহেল আহমদ, সচিব আবু শাহেদ চৌধুরী,প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ একেএম রেজাউল করিম ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক।

    সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মিষ্টার হেনরিক অগ্নি নিরাপত্তার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি কার্যকারীতা সম্পর্কে একটি তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন। সরু রাস্তায় ও বহুতল ভবণে আগুন লাগলে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে তা দ্রুত নেভানোর সক্ষমতা এ তথ্যচিত্রে তুলে ধরা হয়।

    চট্টগ্রাম নগরীতে এই অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য ডেনমার্ক সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা দিতে প্রস্তত বলে বাংলাদেশস্থ ডেনমার্ক রাষ্ট্রদুত সিটি মেয়রকে অবহিত করেন। এব্যাপারে তিনি সিটি মেয়রের সহযোগিতা কামনা করেন।

    ডেনমার্ক রাষ্ট্রদূত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনসহ বাংলাদেশের সঙ্গে ডেনমার্কের সহযোগিতার ক্ষেত্র সমূহ সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীনকে বৈঠকে জানান।

    এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র ডেনমার্ক রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতাত্তোর সময়ে ডেনমার্ক সরকার এদেশের উন্নয়নে সরাসরি অংশ নিয়েছে। তারা বাংলাদেশে পরিবহন,পানি পরিবহন,কৃষি,মৎস্য,গ্রামীণ উন্নয়ন,প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে সহায়তা প্রদান করেছে। এই জন্য তিনি ডেনমার্ক বাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সেই দেশের সরকার ও জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    তিনি বলেন,সাগর নদী ও পাহাড় পর্বত বেষ্টিত এই শহর। দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর ও বাণিজ্যিক রাজধানী। জীবন জীবিকার তাগিদে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষ ছুটে আসে এ শহরে। এই নিম্ন আয়ের মানুষ বস্তি ও পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে থাকে।

    বর্তমানে এ শহরে লোক সংখ্য ৭০লক্ষ বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন। তিনি বলেন ঘন বসতি কারণে প্রায়শ: শুস্ক মৌসুমে অগ্নিকান্ড সংঘঠিত হয়ে থাকে। এতে জান-মালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তাই অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়নের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের সরু রাস্তায় ও বহুতল ভবনে আগুন লাগলে তা দ্রুত নেভানোর লক্ষে ভ্রাম্যমান মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান সিটি মেয়র।

    মেয়র এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। বৈঠকে দ্বি পাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ বিষয় নিয়ে তাঁর আলোচনা করেন। রাষ্ট্রদূত সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে এসে পৌঁছলে সিটি মেয়র তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মনোগ্রাম খচিত ক্রেস্ট উপহার প্রদান করেন।