Tag: ড্যাব

  • নতুন বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশে এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ চলছে: আমীর খসরু

    নতুন বিশ্ব প্রেক্ষাপটে দেশে এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ চলছে: আমীর খসরু

    বাংলাদেশের দূর্ভিক্ষ এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসুরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে রাতে ধরে তুলে নিয়ে গেছে। কি জন্য? একটি মানুষ তার পেটের ক্ষিধের কথা বলেছে। শামসুজ্জামান অনেক কম বলেছে। আপনারা যদি ইতিমধ্যে সাউথ এশিয়ান ইকোনোমিস্ট এর একটি রিপোর্ট যদি দেখেন সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে গত ছয় মাসে দেশের ২৮ শতাংশ মানুষ এক বেলা না খেয়ে আছে। ৭২ শতাংশ মানুষ ধার করে চলছে। ৫২ শতাংশ মানুষ পুষ্টিকর খাবার খেতে পারছেনা। সুতরাং প্রথম আলোর সাংবাদিক যা বলেছে কম বলেছে। এটাকে বলে নীরব দুর্ভিক্ষ। আজকাল নতুন বিশ্ব পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে আগের মতো দুর্ভিক্ষ এখন আর হয়না। বাংলাদেশের দূর্ভিক্ষ এই যুগের নতুন দুর্ভিক্ষ।

    তিনি সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকালে চকবাজার কাতালগঞ্জস্থ কিশলয় কমিউনিটি সেন্টারে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার উদ্যোগে চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জেলা ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালীর পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আবদুস সালাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

    আওয়ামী লীগ সংবিধানের সবকিছু লঙ্ঘন করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘সংবিধান লঙ্ঘন করে সংবিধানের বাইরে গিয়ে তারা নির্বাচন করতে রাজি নেই। তবে বাংলাদেশের সংবিধানের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের সুরক্ষা দেওয়া। দেশের মানুষের অধিকার ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। জীবনের নিরাপত্তা দেওয়া। আজকে তার সংবিধানের সব কিছু লঙ্ঘন করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার সহ সব অধিকার তারা কেড়ে নিয়েছে। সংবিধান যা যা সুরক্ষা দিয়েছে,সবকিছু তারা লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ভোট চুরির বেলায় সংবিধানের দোহাই তারা দিচ্ছে। দিনের ভোট রাতে নিচ্ছে।

    তিনি বলেন, বাকশাল করার সময় বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার হনন করে ১৩ মিনিটের মাথায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে তারা সংবিধান পরিবর্তন করেছে। আবার তারাই বলছে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোট করা যাবে না। যারা গনতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে, আইনের শাসন কেড়ে নিয়েছে তারা যদি সংবিধানের দোহাই দেয় সেটা চলবে না। সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার পাওয়া যাবে না।’

    আমীর খসরু বলেন, রাষ্ট্রপতি সাহাবউদ্দিনের সময় ঐক্যবদ্ধভাবে সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছিলো। তখন সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো না। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়েছিলো। দুইটাই সংবিধান দুইটাই কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়েছিলো। একটা নির্বাচনের আগে ও একটা নির্বাচনের পরে। আমি সরকার প্রধানকে বলবো আপনি চিন্তা করেন আগে সংবিধান সংশোধন করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেবেন নাকি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের পরে যে সংসদ আসবে তারাই সংবিধান সংশোধন করবে। দুইটাই সম্ভব। চিন্তা করেন কি করবেন। সংবিধানের দোহাই দিয়ে পার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে জনগণের ভোতাধিকার নিশ্চিত করা ছাড়া আগামীদিনে ভোট চুরি করে ক্ষমতায় যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোটচোরদের তালিকা হচ্চে। দেশে ও বিদেশেও হচ্ছে। ভোট চোরদের রেহায় নেই।

    প্রধান বক্তা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, দেশের কোন সেক্টরেই ঠিক নেই। সরকার ভয় পেয়ে গেছে। সারাদেশে আমাদের কর্মসূচিতে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে, কিন্তু তারা সফল হতে পারে নাই। সাধারণ মানুষ এখন বিএনপির সাথে রাস্তায় নেমেছে। এই সরকারের আর সময় নেই। বিএনপি এখনো চুড়ান্ত আন্দোলনের ডাক দেয়নি, যখন ডাক দিবে তখন এই আওয়ামীলীগের কি হবে আল্লাহই জানে।

    ডা. হারুন আল রশিদ বলেন, বর্তমান অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে না। এর ভেতরে কোনো ফাঁকফোকর কিছু নেই। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেই হবে।

    ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রী দৈনিক প্রথম আলো দেশ ও গণতন্ত্রের শত্রু বলে সমালোচনা করেছেন। এরা যখন ড. ইউনুস ও প্রথম আলোর বিরুদ্ধে বলছে তখন বুঝতে হবে তাদের পায়ের তলায় মাঠি নেই। তাই চিকিৎসকদেরকে আগামী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

    কাদের গণি চৌধুরী বলেন, সরকার দেশের মানুষকে দাসত্বের শৃংখলে বন্দি করে রেখেছে নিরপরাধ মহিলা জেসমিনকে হত্যা করেছে। তাই এই সরকার আর সময় দেওয়া যাবেনা। সরকারের পতনের জন্য আগামীতে ১ দফার আন্দোলনে সবাইকে শরিক হতে হবে।

    আবুল হাশেম বক্কর বলেন, ২০১৪ ও ১৮ সালের মতো নির্বাচন করার দিন শেষ হয়ে গেছে। আমরা এখন রাজপথে মরণপণ লড়াই করছি। তরুণ চিকিৎসকরা মাঠে নামলেই সরকারের পতন হবে।

    বক্তব্য রাখেন জেলা ড্যাবের সভাপতি প্রফেসর ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ চট্টগ্রামের আহবায়ক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা খুরশিদ জামিল চৌধুরী, এ্যাবের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মো জানে আলম, চবি শিক্ষক সমিতির অধ্যাপক ড. নসরুল কদির, ড্যাবের যুগ্ম মহাসচিব ডা. সাইফুদ্দিন নিসার আহমেদ তুষান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. রেজাউল আলম নিপ্পন, চমেক ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়েজুর রহমান, ইউএসটিসির ডা. এ এম রায়হান উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ড্যাবের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, ড্যাব নেতা ডা. মাসুদ রানা, ডা. জাহিদ ইকবাল, ডা. জাহিদুল ইসলাম, ডা. মঈনউদ্দীন, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. মেহেদী হাসান প্রমূখ।

  • রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা খরচ করে তারেক জিয়ার নামে অপপ্রচারে ব্যস্ত সরকার: ডা. শাহাদাত

    রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা খরচ করে তারেক জিয়ার নামে অপপ্রচারে ব্যস্ত সরকার: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও চসিক মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন,বর্তমান শাসকগোষ্ঠি ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিএনপির নেতাকর্মী ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা খরচ করে তারা সর্বদা তারেক জিয়ার নামে অপপ্রচারে ব্যস্ত।

    দেশের সাধারণ জনগণ থেকে জিয়া পরিবারকে দূরে রাখতেই সরকারের এই কূটকৌশল। তারা তারেক রহমানকে দেশান্তরি করে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে নেতৃত্ব শূন্য করে বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের মিথ্যা স্বপ্ন পুরণ হয়নি বরং তারাই এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বিদেশে চিকিৎসাধীন তারেক রহমানের সুদূরপ্রসারী চিন্তায় বিএনপি আরো সুসংগঠিত হয়েছে। এই দুঃসময়ে তিনি দলকে পরিচালিত করছেন, সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। তিনি তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকীতে তার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন।

    তিনি শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রবর্তক মোড়স্থ ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে তারেক রহমানের ৫৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম শাখার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    এদিনটি উপলক্ষে ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল ও জন্মদিনের কেক কাটা হয়।

    এসময় ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, দেশে আজ জালিমের শাসন বিদ্যমান। সরকার দেশের গণতন্ত্র ও বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশের হারানো গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার করে দেশকে আওয়ামী দু:শাসন থেকে মুক্ত করবে। অচিরেই দেশ ও দেশের মানুষ মুক্তি পাবে এবং তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ। তিনি অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিপূর্ণ মুক্তি ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

    জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম শাখার সমন্বয়কারী ও ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ জসিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ তমিজ উদ্দীন আহমেদ মানিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের আহবায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উপদেষ্টা অধ্যাপক নসরুল কদির।

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ এস এম সারোয়ার আলমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর ড্যাবের সভাপতি ডাঃ মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দীন, চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সাধারন সম্পাদক ডাঃ বেলায়েত হোসেন ঢালী, সহ সভাপতি ডাঃ শেখ মুজিবুর রহমান, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক মোঃ ইদ্রিস আলী, ডাঃ মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন প্রমূখ।

  • জনশূণ্য নয়, ফলপ্রসু নির্বাচন চাই : ডা.শাহাদাত

    জনশূণ্য নয়, ফলপ্রসু নির্বাচন চাই : ডা.শাহাদাত

    ডক্টর’স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ড্যাব) কতৃক আয়োজিত মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ কালে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএনপি জনগণের দল, দেশের জনসাধারণকে নিয়ে বিএনপির রাজনীতি। জনগণের স্বার্থ আমাদের কাছে মূখ্য।বর্তমানে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের জনগণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরুপ পরিস্থিতিতে যদি ভোট হয়, মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে শঙ্কা বোধ করবে।

    বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এলাকায় মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ কালে তিনি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।

    একজন ডাক্তার হিসেবে প্রথমে চাইবো মানুষের নিরাপত্তা। মানুষকে নিরাপত্তাহীনতায় রেখে যদি ভোট হয় এবং এর ফলে যদি অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে এর সর্ম্পূণ দায়ভার সিইসিকে নিতে হবে। এর আগে টানা বন্ধের পর নির্বাচনের তারিখ পেছানোর দাবি করেছিলাম। বর্তমানে মানুষের মাঝে যে ভীতি কাজ করছে, এ অবস্থায় মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করা হউক। আমি ২০% লোকের নগর সেবক হতে চাই না। আমি চাই সবাই তাদের গণতান্ত্রিক ভোটের অধিকার বাস্তবায়ন করবেন।

    এসময় তিনি সকলকে করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সঠিক নিয়ম ও প্রতিরোধের উপর গুরুত্বারোপ করেন। ঘনঘন হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার ও ফ্লু প্রতিরোধের সাধারন নিয়মাবলী অনুসরণ করতে সবাইকে আহবান জানান।

    মাস্ক বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, চাকসু ভিপি নাজিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভুইয়া, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, ড্যাব মেডিকেল শাখার সভাপতি ডা. মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপির সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ডা. লুসি খান, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. শাকির উর রশিদ, ডা. হাসানুল বান্না, ডা. ফাহাদ, ডা. ফয়সাল, জামালখান ওর্য়াড কাউন্সিলর প্রার্থী আবু মহসিন চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া প্রমুখ।

  • ষড়যন্ত্রমূলকভাবে খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করা হচ্ছে

    ষড়যন্ত্রমূলকভাবে খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করা হচ্ছে

    কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন জানিয়ে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার।

    যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তার এই অবস্থা স্থায়ীরুপ নিতে পারে। অথচ বিএসএমএমইউ কতৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশারায় খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভন্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে সরকার খালেদা জিয়ার জামিন প্রক্রিয়া বারবার বাধাগ্রস্থ করছে।

    বুধবার (১১ ডিসেম্বর) নগরীর লাভলেইনস্থ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ের বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জানাতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেগম জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে বিএসএমএমইউ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন যা খুবই দু:খ জনক। বিএসএমএমই পরিচালক বলেছেন যে খালেদা জিয়ার অসহযোগিতার কারনেই তার সাথে চিকিৎসকরা দেখা করতে পারছেন না, যা সম্পুর্ণরুপে মিথ্যা।

    সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সভাপতি ও ড্যাব কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যখন নেত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ তখন ওনাকে ফিজিওথেরাপি দিতো সাবরিনা ইয়াসমিন নামের একজন প্রথম শ্রেণির চিকিৎসক। আমি একজন ফিজিওথেরাপিষ্ট হিসাবে ওনার জন্য উন্নত একটি ফিজিওথেরাপি মেশিন পাঠিয়েছিলাম। সেটা জানার পর ডা. সারিনা ইয়াসমিনকে চিকিৎসা থেকে বাদ দেয়া হয়। ওই জায়গায় তৃতীয় শ্রেণীর একজন চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এসব সরকারের নীল নকশার অংশ।

    ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমান লিখিত বক্তব্যে বলেন, ইদানিং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তিলে তিলে নিঃশেষ করার অপপ্রয়াসে তার স্বাস্থ্য সম্পকৃত অসত্য সংবাদ পরিবেশ করা হচ্ছে যা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

    বেগম খালেদা জিয়ার রোগের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, তাঁর হাতে এবং পায়ে ছোট ছোট জয়েন্টগুলোসহ শরীরের বিভিন্ন জয়েন্ট ফুলে গেছে। তাতে তিব্র ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। যার কারণে জয়েন্টগুলি শক্ত এবং বাঁকা হতে চলেছে। যা কিনা অচিরেই স্থায়ী রুপ ধারণ করতে পারে। যার কারণে বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে অন্যের সাহায্য ছাড়া চলাফেরা, ওঠা, বসা এমনকি নিজ হাতে খাবার পর্যন্ত খেতে পারছেন না।

    তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ নয় বছর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আপোষহীনভাবে নেতৃত্ব দিয়ে স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হন। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র পূন:প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সাল পর্যন্ত গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলেও এক এগারো পরবর্তী সময় তা ব্যাহত হয়। এক এগারো সরকার কর্তৃক দায়েরকৃত একটি ভিত্তিহীন মামলায় আদালতের রায়ে বর্তমানে তিনি কারাবন্দী আছেন। একই সময়ে একই রকম মালা যা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বেগম খালেদা জিয়া তার স্বাভাবিক আইনগত অধিকার থেকে বঞ্চিত।

    খালেদা জিয়ার শরীরিক অবস্থা মারাত্মক জানিয়ে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া চরম অসুস্থতায় ভুগছেন। বাস্তবিক অর্থে উনি ধীরে ধীরে পঙ্গুত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই সময় যথাযথ চিকিৎসা না দিলে তার এই অবস্থা স্থায়ীরুপ নিতে পারে।

    বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ সরকারের অশুভ ইশরায় জাতিকে বিভ্রান্ত করতে এবং খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন ভন্ডুল করতে সত্য গোপন করছেন। ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারী বেগম খালেদা জিয়া গাড়ি থেকে নেমে নিজ পায়ে হেঁটে জেলখানায় প্রবেশ করেন, নিজে হেঁটে দোতলায় তার নির্ধারিত রুমে যান, এমন কি জেলখানা থেকে এর আগের বার যখন বিএসএমএমইউতে আসেন তখন গাড়ী থেকে নেমে নিজে লিফট পর্যন্ত হেঁটে যান। সময়ের পরিক্রমায় তিনি কিভাবে আজকের অবস্থায় উপনীতি হলেন সেটা প্রশ্ন রাখতে চাই। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে সঠিক চিকিৎসার অভাবে তিনি ধীরে ধীরে এই অবস্থায় উপনীত হয়েছেন। তিনি সুচিকিৎসা পেলে এই অবস্থা হতো না।

    ড্যাব চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালির সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, ড্যাব চমেক শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. জসিম উদ্দিন, জেলা শাখার সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিক, মহানগর সভাপতি ডা. আব্বাস উদ্দিন, উপদেষ্টা আবুল কালাম, নগর বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. এস এম সরোয়ার আলম, ড্যাব নগর সহসভাপতি ডা. কাজী মাহবুব আলম, ড্যাব নেতা ডা. ইফতেখার আদনান, ডা. নুরুল করিম চৌধুরী, ডা. খোরশেদ আলম, ডা. মিনহাজুল আলম, ডা. মইন উদ্দিন, ডা. ওমর ফারুক পারভেজ, ডা. জাহেদুল আলম, ডা. মীর কাশেম মজুমদার, ডা. ওয়াসিফ কামাল নাদিম, ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা. সাদ্দাম, ডা. জাহেদ, মোহাম্মদুল হক জনি, সাইফুল ইসলাম আজিজ, নয়ন প্রমুখ।