Tag: ড. বেনজীর আহমেদ

  • সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনাকালও একদিন শেষ হবে: আইজিপি

    সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনাকালও একদিন শেষ হবে: আইজিপি

    দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘দীর্ঘতম রজনী শেষেও একসময় ভোরের আলো আসে। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ করোনাকালও একদিন শেষ হবে।’

    বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফায়েড পেজ থেকে দেয়া এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি একথা বলেন।

    ঈদ শুভেচ্ছায় আইজিপি বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম। ঈদ মোবারক। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এ দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আমরা এক ভিন্ন পরিস্থিতিতে এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। করোনা মোকাবেলায় আপনারা সকলে সচেতন থাকবেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।’

    ‘দীর্ঘতম রজনী শেষেও একসময় ভোরের আলো আসে। আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ করোনাকালও একদিন শেষ হবে। আমরা ফিরে যাবো স্বাভাবিক জীবনে। সেই দিনের জন্য তোলা থাক এবারের ঈদ। ঈদের আনন্দ যেটুকু সম্ভব এবার ঘরে বসেই উপভোগ করুন।’

    ‘সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। সবাইকে আবারও ঈদের শুভেচ্ছা।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ত্রাণ নিয়ে নয়-ছয় করলে তাৎক্ষণিক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি:র‍্যাব ডিজি

    ত্রাণ নিয়ে নয়-ছয় করলে তাৎক্ষণিক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি:র‍্যাব ডিজি

    করোনা সংকটে যারা ত্রাণ নিয়ে নয় ছয় করছেন তাদের হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই, ত্রাণ নিয়ে কোনো প্রকার নয়-ছয় করতে দেবো না। ধরতে পারলে তাৎক্ষণিক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।

    সোমবার (১৩ এপ্রিল) র‍্যাব ফোর্সেস থেকে বিদায়ের প্রাক্কালে অনলাইনে সাংবাদিকদের সাঙ্গে মতবিনিময়ের সময় র‍্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এসব কথা বলেন।

    র‍্যাব ডিজি বলেন, এই সংকটে মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে তাদের হক ত্রাণ নিয়ে নয় ছয় করবেন, তা বরদাস্ত করব না। ধরতে পারলে তাৎক্ষণিক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।

    র‍্যাবের ডিজি বলেন, আবার কেউ কেউ এক সের চাল দিতে গিয়ে ২০ জন মানুষকে একত্রিত করে। যাদের সাহায্যের প্রয়োজন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়েও দিয়ে আসা যায়। এতে শৃঙ্খলা থাকে। লোকসমাগম করার তো দরকার নাই।

    সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নূন্যতম প্রয়োজন ছাড়া কোথাও বের হবেন না। এই পরিস্থিতিতে ঘরের বাইরে যাওয়ার চিন্তাও করবেন না। এই মহামারী থেকে রক্ষা পেতে ব্যক্তি সচেতনতা, পারিবারিক সচেতনতা, সামাজিক সচেতনতার, কোনো বিকল্প নেই।

  • নতুন আইজিপি বেনজীর আহমেদ

    নতুন আইজিপি বেনজীর আহমেদ

    ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) ইন্সপেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ পুলিশ (আইজিপি) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

    স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার প্রজ্ঞাপন নং:৮৮.০০.০০০০.০৯৪.১৯.০০১.১৯.৩৪১ মোতাবেক বুধবার (৮ এপ্রিল) তাকে ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে।

    আগামী ১৫ এপ্রিল ২০২০ তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। তিনি বর্তমান ইন্সপেক্টর জেনারেল বাংলাদেশ পুলিশ ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) এর স্থলাভিষিক্ত হবেন। সপ্তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে তিনি সরাসরি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন।

    একজন দক্ষ, পেশাদার, আধুনিক ও বিজ্ঞানমনস্ক পুলিশ অফিসার বেনজীর তার বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে ডিআইজি (প্রশাসন ও অপারেশন্স) ও ডিআইজি (ফিন্যান্স অ্যান্ড বাজেট) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি পুলিশ সুপার হিসেবে কিশোরগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন।

    তিনি ২০১০-২০১৫ মেয়াদে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জনগণের সেবা প্রাপ্তির বিষয়টি আরও সহজতর ও গতিশীল করার লক্ষ্যে তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে থানার সংখ্যা, জনবল ও ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের তদারকী বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন। ফলে তার কর্মকালের প্রায় সূচনালগ্নেই তিনি ডিএমপিতে ৪ টি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ৫ টি যুগ্ম কমিশনার, ৭ টি ডিসির পদসহ ৮ টি থানার জনবলের পদ সৃজন করেন।

    ডিএমপি কমিশনার হিসেবে তিনি ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজত বিরোধী আন্দোলন অত্যন্ত সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা ও দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করেন এবং ঢাকা শহর তথা দেশকে এক মারাত্মক বিপর্যয় থেকে মুক্ত করেন। এছাড়াও ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের রাজনৈতিক অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমা সন্ত্রাস অত্যন্ত সাহসিকতা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দমন করেন। বিশেষ করে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাস ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক বহুসংখ্যক ভয়াবহ অগ্নিসন্ত্রাস, বোমা সন্ত্রাস ও পুলিশকে টার্গেট করে আক্রমন তিনি অত্যন্ত দক্ষতা, সাহসিকতা ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে দমন করেন।

    ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহন করেন। র‌্যাবের মহাপরিচালক হিসেবে দৃঢ়তার সাথে দায়িত্বপালন করে তিনি সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত করেন। যা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বহু বছরের আইন-শৃঙ্খলাজনিত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত ছিল। নারায়ণগঞ্জ জেলার ৭ হত্যা মামলাসহ কতিপয় ঘটনার ক্ষেত্রে যখন র‌্যাবের ভূমিকা ও ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ এবং র‌্যাব সদস্যদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম তখন তিনি দৃঢ়তার সাথে সেই নাজুক পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা করার পাশাপাশি জনসম্মুখে র‌্যাবের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

    তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও গুরুত্বপূর্র্ণ দায়িত্বপালন করেছেন। ড. বেনজীর আহমেদ উপমহাদেশের মধ্যে প্রথম যিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ডিপার্টমেন্ট অব পিস কিপিং অপারেশন্স এর অধীন মিশন ম্যানেজমেন্ট এন্ড সাপোর্ট সেকশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি কসোভো মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্ট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন।

    বেনজীর আহমেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি এলএলবি ও এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। লেখাপড়ার প্রতি তার ঐকান্তিক আকর্ষণের কারণেই সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ফ্যাকাল্টি থেকে ডক্টর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিবিএ) ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ একাডেমিতে পেশাগত বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে তিনি রেক্টর’স মেডেল প্রাপ্তির কৃতিত্ব অর্জন করেন। এছাড়াও চাকরি জীবনে তিনি বিভিন্ন সময়ে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রেকর্ড সংখ্যক সর্বোচ্চ ছয়বার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-কে ভূষিত হয়েছেন। এই দূরদর্শী ও প্রজ্ঞাবান কর্মকর্তা বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর তিনবার সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন।

    তিনি ১৯৬৩ সালে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বিবাহিত এবং তিন কন্যা সন্তানের জনক।

  • মাদক ব্যবসায়ীদের নিশ্চিহ্ন করা হবে: বেনজীর আহমেদ

    মাদক ব্যবসায়ীদের নিশ্চিহ্ন করা হবে: বেনজীর আহমেদ

    র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ীদের স্থান নেই। যেখানেই লুকিয়ে থাক না কেন তাদের খুঁজে বের করে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করা হবে। এই কাজে সহযোগিতা করার জন্য আগামীর বাংলাদেশের সোনালি ভবিষ্যৎ ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে আসতে হবে।

    মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বগুড়ায় র‌্যাব-১২ আয়োজিত মাদকবিরোধী সাইকেল র‌্যালির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। এ উন্নয়নের বড় বাধা হচ্ছে মাদক। দেশের ৮০ লাখ মানুষ মাদকসেবী। দেশে প্রতিদিন আড়াইশ কোটি টাকা শুধু মাদক সেবনে অপচয় হয়।

    তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘তোমাদের পরিচিত কেউ যদি মাদকাসক্ত থাকে তবে তাকে মাদক ছাড়াতে তার চিকিৎসা এবং কাউন্সিলিং করতে হবে। আমাদের মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। সেই যুদ্ধে জয়ী হতে হবে। এসো আমরা এই মাদক নামক দানবকে সোনার বাংলা থেকে নিশ্চিহ্ন করি, বিলুপ্ত করি। আমাদের অবশ্যই মাদক নামক ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকে পরাজিত করতে হবে।’

    মাদকাসক্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যারা মাদকাসক্ত তারা চিকিৎসা নিন, মাদকের পথ থেকে ফিরে আসুন। সুস্থ জীবন যাপন করুন। সমাজের মূলধারায় ফিরে আসুন।’

    এ সময় তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘যারা মাদকের ব্যবসা করে তারা গণশত্রু। বাংলাদেশে আপনাদের স্থান হবে না। এমন কোনো শক্তিধর আপনারা হননি যে আপনারা টিকে থাকবেন। ১৮ কোটি মানুষ আপনাদের একটা একটা করে খুঁজে বের করে দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করবে। আমাদের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার ক্ষমতা আপনাদের কেউ দেয়নি। আমরা দেশবাসী মিলে এই গণশত্রুদের সমাজ থেকে পোকামাকড়ের মতো খুঁজে খুঁজে নিশ্চিহ্ন করবো।’

    তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আজ থেকে চার দশক আগে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তোমাদের কোনো ধারণাই নেই সেই সময় বাংলাদেশ কেমন ছিল। আমরা যখন পাকিস্তানের অংশ ছিলাম তখন এই জনপদের মানুষের অবস্থা কেমন ছিল তোমরা ধারণাই করতে পারবে না। এই অঞ্চলে ছিল অভাব, এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে ছিল দারিদ্র্য, ছিল অশিক্ষা এবং অন্ধকার। সেখান থেকে বাংলাদেশ আজ কোথায় এসেছে? হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজকে আমাদের বাংলাদেশ যেভাবে আছে, সেটা আমরা অর্জন করতে পারতাম না। বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর মানচিত্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অন্যতম প্রাগ্রসর জাতি।’

    মাদকবিরোধী সাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাজাহান আলী, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি একেএম হাফিজ আকতার, বগুড়ার জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহামেদ, বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা, র‌্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম।

    সাইকেল র‌্যালিতে বগুড়া শহরের ১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৮শ ছাত্র-ছাত্রী অংশ গ্রহণ করে। র‌্যালিটি আজিজুল হক কলেজ পুরাতন ভবন থেকে শুরু হয়ে শিববাটি, কালিতলা, দত্তবাড়ি, বড়গোলা, থানার মোড়, সাতমাথা হয়ে সেন্ট্রাল স্কুল মাঠে শেষ হয়।

     

  • ছিনতাইকারী কিংবা ম্যানহোলের ঢাকনা চোর যেন নির্বাচিত হতে না পারে: র‌্যাব ডিজি

    ছিনতাইকারী কিংবা ম্যানহোলের ঢাকনা চোর যেন নির্বাচিত হতে না পারে: র‌্যাব ডিজি

    রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছিনতাইকারী কিংবা ম্যানহোলের ঢাকনা চুরি করে এমন শ্রেণির লোকরা যেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর হতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে ভোটারদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ।

    ঢাকার শনিবারের ভোট নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপর র‌্যাবের পক্ষ থেকে নেয়া নিরাপত্তার বিভিন্ন দিক সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরছিলেন র‌্যাবের প্রধান। রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সংস্থাটির মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিকালে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

    নির্বাচনের জন্য যেসকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া দরকার তার সবই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়েছে জানিয়ে বেনজীর বলেন, ‘যাতে প্রতিটি ভোটার নিরাপদ পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পারে, তারা যাকে ইচ্ছে তাকে ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট প্রদান করতে পারেন। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রস্তত।’

    র‌্যাব প্রধান জানান, গত নির্বাচনের চেয়েও বেশি র‌্যাব সদস্য মাঠে থাকবে। প্রতিটি কেন্দ্রে র‌্যাবের একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি করে পেট্রোলিং থাকবে। ঢাকায় পাঁচটি ব্যাটেলিয়ন রয়েছে, স্ট্যাইকিং ফোর্স থাকবে। কমান্ড বাহিনী ছাড়াও হেলিকপ্টার, বোম্ব স্কোয়াড, ডগ স্কোয়াড মোতায়েন থাকবে। তাছাড়া ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ মনিটরিং করা হবে।

    সংবাদ সম্মেলনে ছিনতাইকারী ও ম্যানহোল চুরি করে এমন লোকরা যেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে আসতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে ঢাকার ভোটারদের অনুরোধ জানান র‌্যাবের ডিজি।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য খুব দুঃখজনক যে স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও ম্যানহোলের ঢাকনা চোর কাউন্সিলর হয়ে আসে, যা দুঃখজনক। সম্মানিত ভোটারদের প্রতি থাকবে অনুরোধ ছিনতাইকারী ম্যানহোলোর ঢাকনা চোর শ্রেনির লোক যেন নির্বাচিত হয়ে না আসে।’

    ‘খেয়াল রাখবেন আমাদের সামাজিক যে যুদ্ধগুলো আছে- বিশেষ করে মাদকের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ; এজন্য যারা নির্বাচিত হয়ে আসবেন তাদের প্রত্যেকে যথাযোগ্য লোক হয়ে আসবেন। তাদের সঙ্গে নিয়েই আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’

    তিনি বলেন, ‘ঢাকায় ভোটের আয়োজনে সব ধরণের ঝুঁকি পর্যালোচনা করেছি। আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দারা সতর্ক রয়েছে। ক্রমাগতভাবে নজরদারি করছে। যাতে কোনো ধরণের আতঙ্ক কেউ সৃষ্টি না করতে পারে।’

  • জঙ্গিবাদ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা সোশ্যাল মিডিয়া, এখানের সবকিছু বিশ্বাস করা যাবে না

    জঙ্গিবাদ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা সোশ্যাল মিডিয়া, এখানের সবকিছু বিশ্বাস করা যাবে না

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-এর মহাপরিচালক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ইসলামের নামে দেশে জঙ্গিবাদী অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এটি একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। ইসলামি চিন্তাবিদদের এ বিষয়ে কথা বলতে হবে। কারণ জঙ্গিবাদকে ইসলাম কোনভাবেই সমর্থন করে না।

    জঙ্গিবাদের দর্শন ইসলামের সাথে যায় না। সম্মিলিতভাবে জঙ্গিবাদের প্রচার ও প্রসারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ ছড়ানোর অন্যতম জায়গা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। সোশ্যাল মিডিয়ার সব কিছুই বিশ্বাস করা যাবে না। কোনটি মিথ্যা, কোনটি গুজব সে বিষয়ে যাচাই-বাছাই করতে হবে।

    আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) অডিটোরিয়ামে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের নবাগত শিক্ষার্থীদের সমারম্ভ ২০২০ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত “মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ হোক যুবসমাজের অঙ্গীকার” শীর্ষক সমারম্ভ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো: মাহাবুবর রহমান।

    অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. নূরুল আবছার খান ও ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল আহাদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন।

    ড. বেনজীর আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মাদক এমন একটি জিনিস-যা যুবসমাজের বিকাশ ও সম্ভাবনা ধ্বংস করে দেয়। মাদকের কারণে পরিবেশ ও সমাজ ব্যবস্থা বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। এটি আমাদের জন্য অভিশাপ।

    তিনি আরও বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকের সরবরাহ বন্ধে কাজ করছে। কিন্তু মাদকের চাহিদা বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা চাহিদা বন্ধ না হলে সরবরাহ বন্ধ করা কঠিন হয়ে যাবে। মাদক নির্মূলে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

    নবীন শিক্ষার্থীদের মাদক থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, তোমাদের হাতেই আগামীর বাংলাদেশ। তোমরা হচ্ছো বাংলাদেশের ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। তোমাদের রয়েছে অমিত সম্ভাবনা। তোমাদের লক্ষ্য হবে ‘গ্লোবাল সিটিজেন’ হবার। তোমরাই একদিন বিশ্বের নেতৃত্বে দেবে।জঙ্গিবাদ অপতৎপরতায় ইসলামি সংগঠনগুলো সিভাসুতে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির

    অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম ও সিনিয়র শিক্ষকবৃন্দ, র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে: কর্ণেল মশিউর রহমান জুয়েল, সিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনাসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

    উল্লেখ্য, ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩টি অনুষদে (ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদ, ফুড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদ ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ) মোট ২৪৫ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। দেশে প্রথমবারের মতো ৭টি কৃষি সংশ্লিষ্ট বিশ^বিদ্যালয়ের গুচ্ছপদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এসকল ছাত্রছাত্রী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।