Tag: ড. হাছান মাহমুদ

  • বিডিআর হত্যাকান্ডের প্রত্যুষে কেন খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলেন প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রী’র

    বিডিআর হত্যাকান্ডের প্রত্যুষে কেন খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে গেলেন প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রী’র

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের দিনে বেগম খালেদা জিয়া, যিনি দিনের বারোটার আগে ঘুম থেকে উঠেননা, তিনি কেন প্রত্যুষে ক্যান্টনমেন্টের বাইরে চলে গিয়েছিল ? তিনি কেন এদিন তারেক রহমানের সাথে ৩০ থেকে ৪০ বার কথা বললেন ? এই রহস্যগুলো বের হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। তাহলেই মুখোশ উম্মেচিত হবে কারা এর পেছনে কলকাঠি নেড়েছিল।

    শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তথ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজি পুকুর পাড়স্থ বাসভবনে সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিং করেন।

    এসময় সাংবাদিকরা বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার করবেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ নানা ধরণের প্রশ্ন উপস্থাপন করেছেন, এই হত্যাকান্ডের পেছনে আরো কারা কারা আছে সেগুলো নিয়ে তারা ক্ষমতায় গেলে তদন্ত করবেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসলে এটি আমাদেরও প্রশ্ন, যিনি ঘুম থেকে দুপুর বারোটার আগে উঠেননা, অথচ সেদিন খালেদা জিয়া বিডিআর হত্যাকান্ডের আগে খুব সকালে ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন কেন ? সেদিন তিনি তারেক রহমানের সাথে ৩০ থেকে ৪০ বার ফোনে কথা বলেছেন, এটার পেছনে রহস্যটা কি ?

    তিনি বলেন, তখন সদ্য সরকার গঠন করেছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, আমাদের সরকারের তখনো দুইমাস পূর্তি হয়নি, প্রায় দেড় মাসের মাথায় এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছিল। এই হত্যাকান্ড সংগঠনের পেছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল সরকারকে অস্থিতিশীল করা।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার ইতিমধ্যেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, দেশের ইতিহাসে নয় শুধু পৃথিবীর অন্যান্য দেশের নিরিখেও এতবড় একটি হত্যাকান্ডের এতগুলো আসামীর বিচার কম হয়েছে। আমাদের দেশের ইতিহাসে এতজন আসামীর বিচার আর হয়নি। বিশ্ব পেক্ষাপটেও এতগুলো আসামীর বিচার কোথাও হয়েছে বলে আমার জানা নেই।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের মামলার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে মামলা যে কেউ করতে পারে, মামলা করার অধিকার সবারই আছে, তবে বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে বিএনপিকে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডা. শাহাদাতকে আমি অনুরোধ জানাবো তার দলের কেন্দ্রিয় নেতাদের প্রশ্ন রাখার জন্য, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সুস্থ সবল থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে কেন্দ্রিয় নেতারা কেউ চট্টগ্রামে আসলেননা কেন। এমনকি চট্টগ্রামে যে সমস্ত কেন্দ্রিয় নেতা আছেন তারাও কিন্তু নির্বাচনের সময় তার পক্ষে নামেননি। আমির খসরু মাহমুদকে দুয়েকবার দেখা গেলেও তা প্রেস কনফারেন্সের মধ্যে সীমাবদ্ধ। তার দলের স্থানীয় নেতারাও প্রথমে কিছুটা সরব থাকলেও পরবর্তীতে তারা ঘরের মধ্যে চলে যান। এজন্য ডা. শাহাদাতকে বলবো এই প্রশ্নগুলো তার দলের নেতাদের কাছে করে তাদের বিরুদ্ধেও যাতে একটা মামলা করেন।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে বাংলাদেশের সব মানুষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার জন্য। ডিজিটাল বিষয়টা আজ থেকে ১০-১৫ বছর আগে ছিলনা, সুতরাং ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়টিও ছিলনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ অনলাইনে যখন একজন সাংবাদিকের চরিত্র হনন করা হয়, একজন গৃহিনীকে যখন অপবাদ দেয়া হয়, একজন সাধারন মানুষ যখন ডিজিটাল আক্রমণের শিকার হন, তিনি কোন আইনে প্রতিকার পাবেন, তখন কোন আইনের বলে সে নিরাপত্তা পাবে, সেজন্য একটা আইনের দরকার। এই জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন।

    মুশতাক আহমেদের মৃত্যুটা সত্যিই অনভিপ্রেত জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমিও তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি, সেখানে কারা কর্তৃপক্ষের কোন গাফেলতি ছিল কিনা সেটা খুঁজে দেখা যেতে পারে। তবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার যাতে নাহয় সেটির জন্য আমরা সচেতন আছি, বিশেষত সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে যাতে এই আইনের অপব্যবহার নাহয়, সেজন্য তথ্যমন্ত্রণালয় ও আমি ব্যক্তিগত ভাবে সবসময় সচেতন আছি এবং কোনখানে এধরণের ঘটনা ঘটলে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়, বলেন- তথ্যমন্ত্রী।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে খবর দেয়া উচিৎ ডা. জাফরুল্লাহ’র এমন বক্ত্যব্যের বিষয়ে সাংবাকিরা জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ডা. জাফরুল্লাহতো নানা কথা বলেন, যেমন করোনার টিকার বিরুদ্ধে খুব সোচ্চার ছিলেন, আবার নিজে করোনার টিকা নিয়ে বলেছেন এই টিকা সবার নেয়া উচিৎ। সুতরাং আজকে জাফরুল্লাহ সাহেব যে কথা বলেছেন দুদিন পর দেখবেন নিজের কথারই তিনি আবার অন্য সুরে কথা বলবেন। সুতরাং এটার উত্তর দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা।

  • হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে -তথ্যমন্ত্রী

    হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে -তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, হাইকোর্টের নির্দেশ পেলে আলজাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। হাইকোর্ট যদি কোন আদেশ দেন এটিকে বন্ধ করার জন্য, সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের আদেশ আমাদেরকে মানতে হবে।

    শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় তথ্যমন্ত্রীর চট্টগ্রাম নগরীর বাসায় সমসাময়িক বিষয়ে ব্রিফিংকালে হাইকোর্ট তথ্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছিল আল জাজিরার রিপোর্টটা ইউটিউব এবং অন্যান্য চ্যানেল থেকে বাদ দেয়ার জন্য এটা বাদ দিচ্ছেননা কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাইলে আলজাজিরার সম্প্রচার আমাদের দেশে বন্ধ করতে পারতাম, অনেক দেশে বন্ধ করা হয়েছে, এবং বন্ধ রয়েছে। এমনকি ভারতেও কিছুদিনের জন্য বন্ধ ছিল। এখনো ৬-৭টি দেশে আলজাজিরার সম্প্রচার বন্ধ আছে। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার যেহেতু গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে তাই আমরা সেই উদ্যোগ নিইনি।

    তিনি বলেন, স্বাধীনতার যেমন দরকার, দায়িত্বশীলতারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু স্বাধীনতা মানে এই নয়, ভুল, মিথ্যা, পক্ষপাত দুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অপরের স্বাধীনতা হরণকারী সংবাদ পরিবেশন করা। এটা কোনভাবেই সমীচিন নয়। আলজাজিরার রিপোর্ট একটি মিথ্যা বানোয়াট, কিছু কাট পেস্ট করে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে। এটি একটি ব্যক্তিগত আক্রোশের বশঃবতী হয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।

    করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে বিএনপি নেতারা অনেক ধরণের বিরোধীতা করে আসছিল, এখন তারাও ভ্যাকসিন নিচ্ছেন সাংবাদিকরা এবিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন-বিএনপি নেতারা করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অনেক অপপ্রচার চালিয়েছেন, তারা প্রথমে বলেছে সরকার ভ্যাকসিন সময়মতো আনতে পারবেনা, যখন সময়মতো চলে আসলো তখন বললেন এটি নিলে কোন কাজ হবেনা। এই ভ্যাকসিন দিয়ে বিএনপি নেতাদের মেরে ফেলতে চাচ্ছেন এধরণের কথাও বলেছেন তারা।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নানা ধরণের প্রশ্ন তুলে, দায়িত্বহীন অনেক কথা বলে শেষ পর্যন্ত বিএনপির অনেক নেতা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, এবং নেয়ার পক্ষে কথাও বলেছেন, সেজন্য তাদের সাধুবাদ জানাই। কথা আছেনা ‘গাধা জল ঘোলা করে খায়’, করোনা ভ্যাকসিন নেয়ার ক্ষেত্রে বিএনপির ভুমিকাও সেরকমই ঘটেছে।

    আমরা চাই তারা ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ ও সবল থাকুক, তারা বিরোধী দল, বিরোধীতার ভুমিকায় তারা আছেন, আমাদের বিরোধীতা করুক- বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমানের ভুমিকা আসলে কি ছিল সেটি নিয়ে নানা প্রশ্ন আছে। মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরনে তিনি প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার খেতাব বাতিলের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ততো হয়নি এখনো। এটা নিয়ে জামুকাতে আলোচনা হয়েছে মাত্র।

    বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিতো বিরোধী দল, তারা বিক্ষোভ করতেই পারে। কিন্তু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনসহ অন্যান্য যেসমস্ত ইস্যুতে তারা বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন তা হাস্যকর।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ কিংবা পাশবর্তী দেশে যে ধরণের স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় সেই নিরিখে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটা ভালো নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে কিন্তু কার্যত মাঠে ছিলনা। ভোটেরদিন তাদের কাউকে দেখা যায়নি।

    তথ্যমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে বিএনপির মহাসচিব কি চট্টগ্রাম এসেছিল ? তিনি কি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন ? একটা মিটিং করেছেন ? অথচ তাদেরতো প্রচারণা চালাতে কোন অসুবিধা ছিলনা।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের নানা বাধ্যবাদকতার কারণে আমাদের দলের এমপি এবং মন্ত্রীদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা ছিল। মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের দলের নোতারা যারা প্রতিদিন নয়াপল্টনে কথা বলেন, তাদেরতো কোন সমস্যা ছিলনা। তারা কিন্তু আসে নাই। অর্থাৎ তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, কিন্তু মাঠে ছিলনা, এটি তাদের ব্যর্থতা এবং দলীয় দূর্বলতা, একারণেই এই শহরে তারা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৪ সালে আমাদের প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন থেকেই বিএনপির পরাজয় শুরু। মাঝখানে একবার আওয়ামী লীগ থেকে মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুকে হায়ার করে নিয়ে গিয়ে তারা জয় লাভ করেছিল। তারা কখনোই এই শহরে জয়লাভ করেনি, বরাবরই আওয়ামী লীগই জয়লাভ করেছে। কারণ এটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, সুতরাং এই নিয়ে বিক্ষোভ করে কোন লাভ নেই।

  • যারা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সেসব ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে -তথ্যমন্ত্রী

    যারা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সেসব ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে -তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন যারা নির্যাতন ও কষ্ট সহ্য করেছে, যারা ২১ বছর বুকে পাথর বেঁধে দল করেছে, সেই সব ত্যাগী নেতাদের দলে মূল্যায়ন করতে হবে। তবেই তৃণমূল পর্যায়ে দল সুসংগঠিত হবে।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া মানুষের দল, এ দলে সুযোগ সন্ধানীদের কোন স্থান নেই। যারা দলের জন্য নিবেদিত তাঁরাই আসন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রাধান্য যেমন পাবেন, তেমনি দলীয় ভাবেও পদ পদবীতে স্থান পাবেন। আগামীতে কোন কাউয়ার স্থান আওয়ামী লীগে হবে না। অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে বিতাড়িত করা হবে।

    শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বিকালে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিআইপি, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কর্নেল ফোরকান আহমদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা আহমেদ মোস্তাক, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম।

    তথ্যমন্ত্রী ড, হাছান মাহমুদ বলেন, এক শ্রেণীর লোক আওয়ামী লীগকে ‘নিরাপদ স্থান’ হিসেবে ব্যবহার করতে দলে ঢুকে পড়ছে। যারা অপকর্মে লিপ্ত, যারা অবৈধ আয়ের পথে রয়েছে, যারা অবৈধ আয়ের টাকা রক্ষা করতে মরিয়া মূলত তারাই দলে অনুপ্রবেশকারী। নৌকায় বেশী যাত্রী হলে ডুবে যাবার উপক্রম হয়, তাই আর কোন যাত্রীর দরকার নেই বলেন- তথ্যমন্ত্রী।

    আগামী স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন বিষয়ে নেতাদের উদ্দেশ্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তৃণমূল থেকে নাম পাঠানোর সময় দলের জন্য ত্যাগী, বিশ্বস্তদের নাম পাঠাবেন। দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচনে অংশ নিলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

    কক্সবাজার কেন্দ্রিক সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনার চিত্র তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, কক্সবাজারের মানুষ ভাবেনি এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি বিমান বন্দর হবে। স্বপ্নকে হার মানিয়ে উন্নয়ন হচ্ছে। গৃহহীনকে ঘর দেয়া হয়েছে।

    তিনি বলেন, কয়েক বছর আগেও কক্সবাজারের এই চিত্র ছিল না। এখানে যেসব উন্নয়ন কাজ হচ্ছে তা অকল্পনীয়। দেড়শ বছর পর দেশের রেল লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। আগামী বছর জুন মাস নাগাদ কক্সবাজারেও রেল যোগাযোগ শুরু হবে, সেটা স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে দেশের প্রতিটি মানুষের চেহারার পরিবর্তন হয়েছে। রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। এখন আর ছেঁড়া কাপড়, খালি পায়ে মানুষ দেখা যায়না। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ গেছে। গ্রামে-গঞ্জেও ব্যাপক উন্নয়নের জোয়ার। তা আওয়ামী লীগের নেতাদের কারণে সম্ভব হয়েছে। শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে দেশ আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন হাছান মাহমুদ।

    মতবিনিময় সভায় বার বছর আগের উন্নয়ন এবং এখনকার উন্নয়ন চিত্র মানুষের মাঝে তুলে ধরতে তৃণমূলের দলীয় নেতা কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান -তথ্যমন্ত্রী।

  • পদ্মা সেতু নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছিল তারা কি আশাহত না লজ্জা পেয়েছে ? প্রশ্ন জনগণের: তথ্যমন্ত্রী

    পদ্মা সেতু নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলেছিল তারা কি আশাহত না লজ্জা পেয়েছে ? প্রশ্ন জনগণের: তথ্যমন্ত্রী

    দেশের জনগণের স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রায় সম্পন্ন হওয়ায় দেশের মানুষ উল্লাসিত হলেও বিএনপিসহ যে সব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতু নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সভা-সেমিনারে নানা অভিযোগ তুলেছিল তারা কি এখন আশাহত হয়েছে নাকি লজ্জা পেয়েছে এমন প্রশ্ন এখন জনগনের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে এবং জনগণ প্রশ্ন রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    শনিবার দুপুরে তথ্যমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন থেকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত “যদিও মানছি দূরত্ব, তবুও আছি সংযুক্ত” শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার যখন পদ্মা সেতুর কাজে হাত দেয় তখন এক টাকা ছাড় না দিয়েও বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু প্রকল্পে দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিল তখন বিশ্বব্যাংকের সাথে সুর মিলিয়ে বিএনপি সহ দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিবর্গ, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ বিভিন্ন সভা-সিম্পোজিয়ামে পদ্মাসেতু নিয়ে নানা ধরনের অভিযোগ করেছিল। তাদের পক্ষে যা যা করা সম্ভব তখন তাই করেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কানাডার আদালতে প্রমাণিত হয় যে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ মিথ্যা। বিশ্বব্যাংক পরবর্তীতে প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চাইলেও বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বব্যাংকের সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এবং সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতু তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন তখনও বিএনপি সহ এসব ব্যক্তি-সংস্থার মুখ বন্ধ ছিল না। তারা সবসময়ই এ প্রকল্প নিয়ে নেতিবাচক বক্তব্য অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু গত ১০ ডিসেম্বর পদ্মার দুইপাড় সংযুক্ত হওয়ার পর তাদের আর কোন বক্তব্য শোনা যাচ্ছে না। তাই জনগণের এখন প্রশ্ন বিএনপিসহ এসব ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান কি লজ্জায় মুখ লুকিয়েছেন নাকি আশাহত হয়েছেন?

    দেশের বা সরকারের কোন কাজে ভুল পেলে বিদেশীরা যে সুরে কথা বলেন বিএনপিসহ এসব সংস্থা-ব্যক্তি তার চেয়েও দশগুণ সুরে আওয়াজ তোলেন। দেশের এমন সাফল্যে যেখানে সবাই শেখ হাসিনা ও তার দলকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন সেখানে তাদের এমন নীরবতাই আসলে প্রমাণ করে তারা আসলে আশাহত হয়েছেন- বক্তব্যে যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ এ সেতু করতে পারবে না। আর করতে পারলেও কেউ এ সেতু দিয়ে যাবে না। তাই এখন জনগণের প্রশ্ন বিএনপির নেতারা কি এখন সেতুর উপর দিয়ে যাবেন না নিচ দিয়ে যাবেন।

    তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বে বর্তমানে আইটি ও আইসিটি নির্ভর চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে।বাংলাদেশ আগের তিনটি শিল্প বিপ্লবে অনেক পিছিয়ে থাকলেও বর্তমানের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথেই একসাথে পথ চলছি। ভারত যেখানে ২০১৬ সালে ডিজিটাল ভারতের কিংবা ইউকে যেখানে ২০১৮ সালে ডিজিটাল ইউকের ঘোষণা দিয়েছিল সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২০০৮ সালেই ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি তার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশকে সত্যিই ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন। দেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটি, ফেসবুক ইউজার ৪.৫ কোটি। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ১০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী বছরে এর সংখ্যা দ্বিগুণে উন্নীত করা সরকারের লক্ষ্য। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে যেখানে ২০০৮ সালে রপ্তানি আয় ছিল ২৬ মিলিয়ন ডলার এখন তা হয়েছে ১ বিলিয়ন বা ১০০০ মিলিয়ন ডলারে। ডিজিটাল লেনদেন বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে উদাহরণ। করোনা মহামারীতে যেখানে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য স্থবির হয়ে ছিল সেখানে ডিজিটালাইজেশনের ছোয়ায় আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। ফলে যেখানে করোনাকালে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ছিল সেখানে বিশ্বের যে কটি দেশ ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছিল বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম।

  • তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাত

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাত

    আবুল কালাম আজাদ : তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আল হামুদী এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছেন।

    মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া, সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ এনামুল আহসানসহ তথ্য মন্ত্রণালয় ও ঢাকাস্থ সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাসের পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।

    বাংলাদেশের বিপুল জনশক্তি নির্ভর মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত মাননীয় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি ছাড়াও আরব বিশ্ব এবং মুসলিম বিশ্বে চলমান বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলাচনা করেন। বিশেষত মানবসম্পদ খাতে অধিকতর সহযোগিতার বিষয়ে মতবিনিময় করা হয়।

    এ সময় আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক ও গভীর, যার অন্যতম ভিত্তি হলো মানব সম্পদ খাতে পারষ্পারিক সহযোগিতা। তিনি আগামীতে জনশক্তিখাতে সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তাঁর সরকারের ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেন।

    আমিরাতের রাষ্ট্রদূত কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত ইতিপূর্বে গঠিত যৌথ কমিটির সভা ঢাকায় অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আরব আমিরাতের সম্মতির কথা ব্যক্ত করেন।

    মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভূমিকার ভূঁয়সী প্রশংসা করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, আমিরাত সরকার বাংলাদেশের সাথে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখে এবং বাংলাদেশের যে কোন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়কে সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ দুই দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্ রচনায় বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং আরব আমিরাতের জাতির পিতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

    তথ্যমন্ত্রী আমিরাতে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আমিরাত সরকার ও জনগণের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আরব আমিরাতের খাদ্য নিরাপত্তা সহযোগিতার আওতায় কৃষি ও সর্বোচ্চ নিয়োগকারী খাত ‘এসএমই’-তে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য আমিরাত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

  • ভাস্কর্যকে মূর্তির সাথে তুলনা বিভ্রান্তি-উস্কানির অপচেষ্টা মাত্র : তথ্যমন্ত্রী

    ভাস্কর্যকে মূর্তির সাথে তুলনা বিভ্রান্তি-উস্কানির অপচেষ্টা মাত্র : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ভাস্কর্যকে মূর্তির সাথে তুলনা করে বিভ্রান্তি ছড়ানো ও উস্কানি দেয়ার অপচেষ্টা পরিহার করার আহবান জানিয়েছেন।

    তিনি আজ দুপুরে সচিবালয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। এসময় ‘বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যকে মূর্তি বলে এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন কেউ কেউ, কিন্তু জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্য নিয়ে তারা কিছু বলছেন না কেন’ এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের আর সব দেশের মতো আমাদের দেশেও অনেকের ভাস্কর্য বহু বছর আগে নির্মিত হয়েছে। তখন কিন্তু কেউ প্রশ্ন উত্থাপন করেনি। এখন এটি নিয়ে প্রশ্ন করা মানে এটি নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা। আর আমরা প্রথম থেকেই বলে এসেছি, ভাস্কর্য আর মূর্তির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। একটি মহল উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভাস্কর্যকে মূর্তির সাথে তুলনা করে সমাজকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’ পুরো পৃথিবী এমনকি যদি ইসলামী দেশগুলোর দিকেই তাকাই, তাহলেও আমরা দেখতে পাই, ইরানে যেখানে ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে আয়াতুল্লাহ খোমেনীর ভাস্কর্য আছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ইরাকেও রাস্তায় রাস্তায় ভাস্কর্য আছে। তুরস্কে সেখানে ইসলামী ডানপন্থী দলই ক্ষমতায়, সেখানে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ভাস্কর্য আছে। পৃথিবীর অন্যান্য ইসলামী দেশ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নানা ভাস্কর্য এমনকি সেখানকার শাসকদের ছবি সম্বলিত ভাস্কর্যও রাস্তায় রাস্তায় আছে।

    সৌদি আরবের উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে আমাদের মক্কা শরীফ, মসজিদে নববী অবস্থিত, সেখানে জেদ্দাসহ বিভিন্ন শহরে ঘোড়া, উট এমনকি সৌদি প্রশাসকদের ছবি সম্বলিত ভাস্কর্য আছে। এছাড়া জেদ্দায় পৃথিবীর বিখ্যাত ভাস্করদের দিয়ে ভাস্কর্য বানিয়ে তৈরি করা হয়েছে স্কাল্পচার মিউজিয়াম, যার আরবীয় নাম হচ্ছে আল-হামরা। নারী-পুরুষ, জীবজন্তুসহ বহুকিছুর ভাস্কর্য সেখানে আছে।’ তুরস্কে কবি ফেরদৌসি, সেখ সাদী, হযরত জালাল উদ্দীন রুমী’র ভাস্কর্য আছে, এমনকি সেখানে মসজিদের সামনেও ভাস্কর্য আছে, বলেন হাছান মাহমুদ।

    ভাস্কর্য একটি দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি- ইতিহাসের অংশ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে সৌদি আরবেও কেউ প্রশ্ন তোলেনি। আর যারা পাকিস্তানী ভাবধারায় এ নিয়ে প্রশ্ন করছেন, তাদের অতীত ইতিহাস ঘাঁটলে দেখতে পাবো, তাদের পূর্বপুরুষরা বা তারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তনের জন্য লড়াই করেছিলেন কিম্বা পাকিস্তানের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন। তাদের সেই সাধের পাকিস্তানে মোহাম্মদ আলীর জিন্নাহ’র ভাস্কর্য আছে, কবি ইকবালের ভাস্কর্য আছে, লিয়াকত আলী খানসহ আরো বহুজনের ভাস্কর্য আছে। সেখানেও কেউ কখনো প্রশ্ন তোলেনি।

    ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে মন্ত্রী বলেন, পলাশীর যুদ্ধের পর ইংরেজরা শাসন ক্ষমতা নেবার আগে উপমহাদেশে সরকারি ভাষা ছিল ফার্সি এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে উর্দু ভাষা চালু করা হয়েছিল। ইংরেজ শাসনের শুরুতে তারা ইংরেজি চালু করলো, সরকারি ভাষা হয়ে গেল ইংরেজি। আজকে যারা ভাস্কর্য নিয়ে কথা বলছে তাদের মতো অনেকেই তখন ইংরেজি শিক্ষাকে হারাম বলে ফতোয়া দিয়েছিল। এবং এই ফতোয়া দেয়ার কারণে কিন্তু বহু বছর অনেক মুসলিম ইংরেজি শেখেনি, সে কারণে উপমহাদেশে মুসলিমরা চাকুরিতে পিছিয়ে গিয়েছিল।

    ড. হাছান বলেন, আবার যখন মানুষ চাঁদে গেল, তখন অনেকে ফতোয়া দিয়েছিল মানুষ চাঁদে গেছে এটি বিশ্বাস করা হারাম, শিরক। যখন টেলিভিশন চালু হলো, অনেকে টেলিভিশন দেখা হারাম বলেছিল। আবার অনেকে হজে যাওয়ার সময় ছবি দিয়ে দরখাস্ত করা যাবে না, এটা বলেও বিতর্ক তৈরি করা হয়েছিল। এখন যারা এই সমস্ত কথা বলেন, তারা কিন্তু টেলিভিশনে বক্তব্য দেন, টেলিভিশনে বক্তব্য তাদেরটা গেলে তারা খুশি হন এবং তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা ধরণের পোস্ট দেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এই সমস্ত কথা বলে সমাজকে বিভ্রান্ত করতে চায়, আমি আশা করবো, এ ধরণের বিভ্রান্তিমূলক, উস্কানিমূলক বক্তব্য তারা পরিহার করবেন। এগুলো কখনো জনগণ মেনে নেয়নি, মেনে নেবেনা। এসবের বিরুদ্ধে জনগণ বক্তব্য দিয়েছে। এ ধরণের উস্কানিমূলক বক্তব্য যদি ক্রমাগতভাবে দেয়া হতে থাকে সেক্ষেত্রে সরকার নিশ্চয়ই বসে থাকবে না। বাংলাদেশে কোনো মৌলবাদের স্থান নেই, কোনো জঙ্গিবাদের স্থান নেই।’

    অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, তদন্ত রিপোর্ট প্রাপ্তিসাপেক্ষে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধন একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এ নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।

  • সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে বিএনপি -তথ্যমন্ত্রী

    সরকারকে টেনে নামাতে গিয়ে রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে বিএনপি -তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির কয়েকজন নেতা বক্তব্য দিয়েছেন এই সরকারকে টেনে নামিয়ে ফেলতে হবে। তবে, উনাদের টেনে নামানোর হুমকির মধ্যে প্রায় একযুগ ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করার মাসখানেক পর থেকেই তারা আমাদের টেনে নামানোর চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন। সরকারকে টেনে নামাতে গিয়েই রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে গেছে বিএনপি।

    তিনি বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে তখন নানামূখি ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব যখন বলেন স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির কথা, তখন হাসি পায়। যারা ইতিহাসকে বছরের পর বছর, দশকের পর দশক ধরে বিকৃতি করেছেন তাদের মুখে এসব শোভা পায়না। আজকে যখন দেশের মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে পারছে, তখন তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে। তারা ইতিহাসের খল নায়ককে নায়ক বানিয়েছিলেন, স্কুলের দপ্তরিকে তারা হেড মাষ্টার বানানোর চেষ্ঠা করেছিলেন। এধরণের হাস্যকর বক্তব্য ক্রমাগতভাবে না দিয়ে বরং নিজেদের দলকে গুছিয়ে, নিজেদের ঘরটাকে সংগঠিত করার পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    বুধবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি সমন্বয়ন পরিষদের আয়োজনে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

    বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি সমন্বয়ন পরিষদের সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবি সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রিয় সদস্য সচিব ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস, কেন্দ্রিয় যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট বাসেত মজুমদার, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, রতন কুমার রায়, ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, আবু মো. হাশেম প্রমূখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন, এই সরকার কখনো পদ্মা সেতু করতে পারবেনা, তাদের বলবো, পদ্মা পাড়ে গিয়ে দেখে আসুন। ঢাকা শহরে মেট্টোরেল ও চট্টগ্রামে কর্ণফুলি বঙ্গবন্ধু টানেল আগামী বছর চালু হবে, ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রামেও মেট্টোরেল প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সাল নয় তার অনেক আগেই ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হবে। সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়ার মতো বদলে যাওয়ার অগ্রগতির গল্প যদি বিশ্ববাসীকে জানান দিতে হয়, শেখ হাসিনাকে একটু সময় দিতে হবে। তার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

    তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। বঙ্গবন্ধুর সফলতা সেখানেই যেই পাকিস্তান সংশয় প্রকাশ করতো বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে ঠিকবে কিনা। সেই পাকিস্তানের মানুষ শুধু নয় তাদের প্রধানমন্ত্রীও আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে আক্ষেপ করেন। আমরা সামাজিক অর্থনৈতিক ও মানব উন্নয়নের সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে অতিক্রম করেছি কয়েকবছর আগে। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৭৩ বছর পাকিস্তানের ৭০ বছর, বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের আমাদের তিনভাগের এক ভাগ। বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ ডলার, পাকিস্তানের ১৮’শ ডলারের নিচে। শুধু পাকিস্তানকে নয়, সামাজিক ও মানব উন্নয়ন সুচকে আমরা ভারতে অতিক্রম করেছি অনেক আগে। এই করোনাকালে যেখানে পৃথিবীর মাত্র ২২টি দেশ পজিটিভ ইকোনোমিক জিডিপি গ্রোথ রাখতে সক্ষম হয়েছে তৎমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ভারত পাকিস্তানের গণমাধ্যমে ঝড় উঠছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে। কিন্তু একটি পক্ষ প্রশংসা করতে পারেননা। বিএনপি আর তার দোসরেরা দেখেও দেখেনা, শোনেও শোনেনা, চোখ থাকিতে অন্ধ, কান থাকিতে বধির।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মুজিব শুধু বাঙালির নেতা নয়, তিনি বিশ্ব পেক্ষাপটে একজন বিশ্ব নেতা ও নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের কণ্ঠস্বর।

    তিনি শুধু বাংলাদেশ সুচনা করেছেন তা নয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যখন আমরা অর্জন করি, তখন সমগ্র দেশ পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছিল। সমস্ত ব্রীজ কালভার্ট বিধ্বস্ত করেছিল। সেই দেশকে বঙ্গবন্ধু মুজিব পূনঃগঠিত করেছিলেন। ৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয় তখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ।

    অনেকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার অনেক কারণ উপস্থাপন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, পুরো ক্যানভাসটা আমাদের বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। বাসন্তিকে জাল পড়িয়ে কাগজের পাতায় ছবি ছাপিয়ে নানা ধরণের অপবাদ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই বাসন্তিকে যারা ছবি তুলে কাগজের পাতায় ছাপিয়েছিল তারা বাসন্তিকে কাপড় কিনে দেননি।

    বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর সেই বাসন্তিকে দেখতে গিয়ে কাপড় কিনে দিয়েছেন এবং ঘর বানিয়ে দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে রেকর্ড ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, তাকে হত্যা করার ৪০ বছর পর পর্যন্ত কেউ সে রেকর্ড অতিক্রম করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমরা সেই রেকর্ড অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার বহু আগেই বাংলাদেশের সমৃদ্ধির গল্প শুনতো পৃথিবীর মানুষ। বঙ্গবন্ধুকে তারাই হত্যা করেছিল যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তি।

  • নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি’র নির্বাচনে অংশগ্রহণ : তথ্যমন্ত্রী

    নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি’র নির্বাচনে অংশগ্রহণ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে যা তাদের কথাতেই প্রতিফলিত হয়।

    তিনি বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ নূর হোসেন’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হবার উপায় নেই’ মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে একথা বলেন।

    ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপিকে বলবো, তারা যে পথে হাঁটছেন, যেভাবে নির্বাচন বানচাল করার জন্য অতীতে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছেন, বানচাল করতে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছেন, এটি দেশের মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। সুতরাং আজকেও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে অপচেষ্টা, সেটিও মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে।’

    ‘আমরা চাই দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘শক্তিশালী বিরোধী দল থাকলে দেশে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি নিজেদের মধ্যে অনৈক্য ঘুচাতে এবং শক্তিশালী হতে পারছে না। বিএনপি যদি তাদের এই ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার না করে, মানুষকে জিম্মি করা, পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে হত্যার পথ পরিহার না করে, তাহলে বিএনপির পক্ষে কখনো আর জনগণের প্রিয় হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’

    ড. হাছান বলেন, ‘আজ ঢাকা উত্তরে এবং সিরাজগঞ্জে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত এক যুগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এতে জননেত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে, একইসাথে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। জনগণ তো অন্য কোনো দলকে ভোট দেয়ার কথা নয়। সুতরাং বিএনপি এই নির্বাচনে পরাজিত জেনেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য। সে লক্ষ্যেই বহু আগে থেকে তারা এই কথাবার্তাগুলো বলে আসছে, আজকেও সেই একই কথার প্রতিধ্বনি। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার যে সংস্কৃতি তারা লালন করছে, সাত সমুদ্র-তেরো নদীর ওপারের অনেকের সাথে এটি মিলে যাচ্ছে। আমি তাদের বলবো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিতে।’

    হাছান মাহমুদ এসময় শহীদ নূর হোসেনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘শহীদ নূর হোসেন জীবন দিয়ে তার জীবন্ত পোস্টারকে চির স্মরণীয় করে রেখে গেছেন। যে গণতন্ত্রকে বাংলাদেশে বারবার শিকলবন্দী করা হয়েছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নূর হোসেনসহ আরো মানুষের রক্তের বিনিময়ে সেই গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলনে নূর হোসেনের জীবন্ত পোস্টার দেশের ইতিহাসে জীবন্ত হয়েই থাকবে, গণতন্ত্রের ইতিহাসে তার নাম সবসময় রক্তাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে।’

    বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: শাহাদত হোসেন টয়েলের পরিচালনায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মান্নাফী, শহীদ নূর হোসেনের ভাই আওয়ামী মটরচালক লীগের সভাপতি আলী হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ৭ নভেম্বর ইতিহাসের একটি কালো দিন : তথ্যমন্ত্রী

    ৭ নভেম্বর ইতিহাসের একটি কালো দিন : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কালো দিন এবং সৈনিক ও অফিসার হত্যা দিবস।

    তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের একথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি এই দিনকে বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে পালন করে অথচ প্রকৃতপক্ষে ১৯৭৫ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়েছিল। এমনকি যে কর্নেল তাহের বন্দীদশা থেকে জিয়াউর রহমানকে মুক্ত করেছিলেন, সেই পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল তাহেরকেও জিয়া পরবর্তীতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছিলেন।’

    ড. হাছান বলেন, ‘হত্যার রাজনীতির মাধ্যমেই বিএনপির অভ্যূদয়, তারা এদিনটি যেভাবে পালন করে, তাতেই প্রমাণ হয় এবং এদিনই আসলে জিয়াউর রহমান বহু সৈনিক ও অফিসারের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন’।

    তিনি বলেন, ‘জিয়া প্রথমে তার মনোনীত বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক পদে রাখেন কিন্তু উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ক্ষমতা ছিলো তার হাতেই।’

    ‘জিয়া শুধু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করাই নয়,সেই ক্ষমতা নিষ্কণ্টক রাখতে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর অফিসার হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রেখেছিলেন’, উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    এসময় সাংবাদিকবৃন্দ বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে ক্ষমতায় টিকে আছে’ – এ মন্তব্যের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত একটি সরকার। আর পক্ষান্তরে বিএনপিই এদেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘অগণতান্ত্রিকভাবে সেনা ছাউনিতে বিএনপি’র জন্ম। ক্ষমতায় থেকে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে তারা দল গঠন করেছে। আজ যারা বড়বড় কথা বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন, মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তারা সবাই সেই উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। আর গত একযুগ ধরে আমরা দেখছি, বিএনপি নির্বাচনকে বর্জন করছে, প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা এমনকি নির্বাচন ঠেকানোর নামে শতশত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে গণতন্ত্র নস্যাৎ করতে চেয়েছে, কিন্তু জনগণ তা হতে দেয়নি।’

    বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়ের মন্তব্যর জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নয়, বিএনপিই এখন লাইফ সাপোর্টে। কারণ তাদের নেতাদের ওপর কর্মীদের আস্থা নেই, আর নেতাদের মধ্যে ঐক্য নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • উন্নয়নের প্রশংসায় উপমহাদেশে তোলপাড় অথচ ‘দলকানা’ বিএনপির মুখে শুধুই সমালোচনা : তথ্যমন্ত্রী

    উন্নয়নের প্রশংসায় উপমহাদেশে তোলপাড় অথচ ‘দলকানা’ বিএনপির মুখে শুধুই সমালোচনা : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসায় ভারত-পাকিস্তানসহ সমগ্র উপমহাদেশ জুড়ে তোলপাড় হলেও ‘দলকানা’ বিএনপির মুখে শুধু সমালোচনাই’।

    মন্ত্রী আজ দুপুরে ঢাকায় মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে দেশের চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির শীর্ষ নেতাদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

    চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, প্রযোজক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, পরিচালক সমিতির মহাসচিব বদিউল আলম খোকন এবং প্রযোজক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, আইএমএফ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী এবছরের শেষে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে যাবে। অর্থনৈতিক, মানবিকসহ সমস্তসূচকে আমরা পাকিস্তানকে বহু আগেই এবং অনেক সূচকে ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছি। বিশেষ করে এখন অর্থনৈতিক সূচক যেমন ‘পার ক্যাপিটা জিডিপি’র ক্ষেত্রেও আমরা ভারতকে ছাড়িয়ে যাচ্ছি।’
    শুধু আইএমএফ নয়, এশীয়উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা মহামারির এবছরে ভারত-পাকিস্তনসহ পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই যেখানে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক, সেখানে বাংলাদেশ সেই হাতেগোণা কয়েকটি দেশের একটি যাদের প্রবৃদ্ধি ধ্বনাত্বক উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, যে বাংলাদেশের জনসংখ্যার ঘনত্ব বিশ্বে সর্বোচ্চ আর মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ সর্বনিম্ন, ঝড়-বন্যা-জলোচ্ছ্বাস যে দেশের নিত্যসঙ্গী, জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে সেই বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব অগ্রগতি নিয়ে ভারত-পাকিস্তানসহ সমগ্র উপমহাদেশে ব্যাপক আলোচনা- প্রশংসা হচ্ছে।

    ভারতের গণমাধ্যমে খবর ও টক-শো’তে তাদের বুদ্ধিজীবীরা এবং পাকিস্তানের গণমাধ্যমও সরকারের ব্যাপক প্রশংসা করছে। ‘কিন্তু এদেশের একটিমাত্র দল বিএনপি এবং তার কিছু মিত্র এই প্রশংসা করতে পারছেনা’।

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি শুধু বলে বেড়ায়, সরকার তাদের কথা বলতে দেয় না অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সকালে একবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন, বিকেলে আরেকবার করেন এবং টিভি খুললেই দেখা যায়, টেলিভিশনগুলোতে তার এই বিষোদগার প্রচার হয়। তারা শুধু অহেতুক বিষোদগারই করতে পারে, প্রশংসা করতে পারেনা।’

    ‘এটি বিএনপির রাজনৈতিক ও চিন্ত-চেতনার দৈন্য এবং তারা যে ‘দলকানা’ অর্থাৎ শুধু দল নিয়ে ভাবে, দেশ ও দশের কথা ভাবে না, সেটিরই বহিঃপ্রকাশ’ বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

    চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিচালকদের সাথে আলোচনা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী চেতনায় এদেশে যে চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশে ইতোমধ্যেই যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন। চলচ্চিত্রে অনুদানের সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ দুই-ই বাড়ানো হয়েছে। নতুন সিনেমা হল নির্মাণ, বন্ধ হল চালু ও সংস্কারের জন্য এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করে স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। সরকার বিশ্বাস করে, দেশের মানুষকে সুস্থ বিনোদন দেয়া ও তরুণ সমাজকে অবক্ষয় থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে বিএনপি দলগতভাবেই এইসব অপকর্ম করেছিল -তথ্যমন্ত্রী

    নৌকায় ভোট দেয়ার অপরাধে বিএনপি দলগতভাবেই এইসব অপকর্ম করেছিল -তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘণ্টা, ডেস্ক নিউজ : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন তারাতো দলগতভাবে এসমস্ত অপকর্ম করেছে। নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে আট বছরের শিশু থেকে শুরু করে অন্ত:সত্ত্বা নারী, ষাট বছরের বয়স্ক নারী পর্যন্ত কেউ রক্ষা পায়নি বিএনপির লেলিয়ে দেয়া বাহিনীর হাত থেকে। যারা নারী নির্যাতন-ধর্ষনগুলো দলগতভাবে অতীতে করেছে এনিয়ে যখন তারা কথা বলে, তখন হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য হাস্যকর।

    তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবরা যখন কথা বলেন তখন ভুলে যান তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কি করেছে। এই জন্য এরকম লাগামহীন কথা বলতে পারেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকার এধরণের ঘটনা অতীতে যেগুলো ঘটেছে সেগুলোর বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়েছে। এখনো যেগুলো ঘটেছে সেগুলোরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর।

    শনিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বাংলাদেশ বেতারের উদ্যোগে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে নারী ও শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারকে আর সময় দেয়া যাবেনা বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের ব্যাপারে সাংবাদিকরা তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসব কথা বলেন।

    বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, চট্টগ্রাম বেতারের পরিচালক এসএম আবুল হোসেন প্রমূখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, উনারা অবশ্য আমাদেকে সময় দিচ্ছেননা বহু আগে থেকে। ২০০৯ সালে আমরা সরকার গঠনের তিন মাসের মাথা থেকে উনারা আমাদেরকে কখনো সময় দিতে চাননি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে জনগণ আমাদের সময় দিয়েছে। এবং প্রায় পৌণে ১২ বছর ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা একটানা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন, সুতরাং মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সময় দিলেন কি দিলেন না, সেটি বড় ব্যাপার নয়, জনগণ সময় দিচ্ছে কিনা সেটিই হচ্ছে মূখ্য বিষয়।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে। স্থানীয় সরকার পর্ষদে ৩৩ শতাংশ নারীর জন্য সংরক্ষিত কোটা তিনিই করেছিলেন। নারী সংসদ সদস্যের সংখ্যা পঞ্চাশে উন্নিত করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। দেশের ইতিহাসে প্রথম পররাষ্ট্র মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, স্পীকারসহ নানা পদে নারীর পদায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নতি হয়েছে সেটা পৃথিবীর সামনে বড় উদাহরণ।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে যেই ঘটনাগুলো ঘটছে এগুলো যে আগে ঘটে নাই তা নয়। কিন্তু আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকতা ছিলনা বিধায় সেগুলো মানুষ জানতে পারতোনা। নোয়াখালীর ঘটনাটা কোন টেলিভিশন কিংবা কোন পত্রপত্রিকায় এমনকি কোন অনলাইনেও প্রথম প্রকাশ করেনি। এটি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, এরপর অন্যান্য মূলধারার গণমাধ্যম সেটি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করেছে। অর্থাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে কিন্তু এখন কোন ঘটনাই ঢাকা থাকেনা। এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভাল দিক।

    মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বেতারের ভুমিকার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন স্বাধীন বাংলা বেতারের কথা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দেশ বিনির্মাণে বেতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। বেতারের অনেকগুলো অনুষ্ঠান অত্যন্ত ভাল এবং জনমানুষের কাছে সেই অনুষ্ঠানমালার ব্যাপক আবেদন রয়েছে। আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে লালন করার ক্সেত্রে বেতার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। দূর্যোগ-দূর্বিপাকে বেতারই কিন্তু মানুষের কাছে খবর পৌঁছায়। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও স্মার্টফোনের ব্যাপকতা বেড়েছে তখন একটি রেডিও বহন করা সম্ভবপর নয়। তাই রেডিওকে অ্যাপসের মাধ্যমে টেলিফোনের আনার উদ্যোগ নিয়েছি। এখন অ্যাপসের মাধ্যমে বিভাগীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ বেতার মোবাইলেও শোনা যায়।

    তিনি বলেন, ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও আশপাশে পাহাড়সহ নানাকারণে ফেনীতেও চট্টগ্রাম বেতারের অনুষ্ঠান শোনা যায়না। অথচ ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন খুলনা কেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রতিবন্ধকতা না থাকায় এখানে শোনা যায়। গুরুত্ব বিবেচনায় ব্যবসা বাণিজ্য ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিসহ নানা সংবাদ ও কৃষ্টি সংস্কৃতির চাহিদা রয়েছে সারা দেশে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি ঢাকা কেন্দ্রের মতো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে আপলিঙ্ক করে সেটি আবার বিভিন্ন বেতার কেন্দ্রে ডাউনলিঙ্ক করে সারাদেশে শোনানো হয় চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠানও খুবসহসা সেভাবে উদ্বোধন হবে। এটি চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের ইতিহাসে বিরাট মাইলফলক হয়ে থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই – তথ্যমন্ত্রী

    কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই – তথ্যমন্ত্রী

    ক্রীড়া ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও এর ওয়েভভিত্তিক বিভিন্ন এন্টারটেনমেন্ট অ্যাপসগুলোর ব্যাপারে আসক্তি থেকে আমাদের তরুণ সমাজকে বের করে আনতে হবে। কিশোর-যুবাদের অবক্ষয়মুক্ত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই।

    তিনি বলেন, ছেলেরা এখন আর মাঠে গিয়ে খেলে না। আমাদের ছোটবেলায় আমরা মাঠে গিয়ে খেলার জন্য এবং সন্ধ্যার আগে বাসায় না ফেরার জন্য প্রতি সপ্তাহে বাবা-মা’র বকা শুনতাম। আর এখনকার ছেলেদের জোর করে ধরে মাঠে পাঠাতে হয়। বিষয়টা উল্টো হয়ে গেছে। আসলে খেলাধুলার কোন বিকল্প নাই। সেই জন্য খেলাধুলার আয়োজনও করতে হবে। আয়োজন না থাকলে তো ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করবে না। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা (সিজেকেএস) একটি ভাল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    শুক্রবার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিজেকেএস’র সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, টুর্ণামেন্ট কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এসএম মেহেদী হাসান, সিজেকেএস’র সহ-সভাপতি দিদারুল আলম চৌধুরী, এহসানুল হায়দার বাবুল, হাছান সিদ্দিকী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস প্রমুখ।

    তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে ধর্ষণসহ কিশোর গ্যাং নানা অপরাধ করছে, নানা ধরণের অপরাধের সাথে বিভিন্ন কিশোর গ্যাং যুক্ত হচ্ছে। এটি থেকে রক্ষা করার একটি বড় উপায় হচ্ছে পাড়ায় পাড়ায় খেলাধুলার ব্যাপকতা বাড়ানো। এটি অত্যন্ত প্রয়োজন। করোনাকালে আমরা যেভাবে স্থবির হয়ে গেছি, এই স্থবিরতা বেশিদিন রাখা যায় না। এই স্থবিরতা কাটানোর জন্য খেলাধুলার কোন বিকল্প নাই। আমি মনে করি খুব শিগগির চট্টগ্রামে লীগের খেলাও আয়োজন করা প্রয়োজন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনার কারণে পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশের কোথাও করোনার কারণে এ টুর্ণামেন্ট শুরু করা হয়নি এখনো। কিন্তু করোনার জন্য জীবন স্তব্ধ হয়ে থাকতে পারে না। আমাদের সবাইকে করোনা মোকাবেলা যেমন করতে হবে, জীবন এবং জীবিকা দুটিই আমাদেরকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। একইভাবে জীবনের সাথে ওঁৎপ্রোতভাবে যুক্ত খেলাধুলা, সেটাও আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই করোনাকালে বাংলাদেশে প্রথম সিজেকেএস ফুটবল টুর্ণামেন্টের যাত্রা শুরু করলো। সেজন্য সিজেকেএসকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।

    তিনি বলেন, এখানে অনেকে জানেন না বঙ্গবন্ধু নিজেও কিন্তু ফুটবল খেলতেন। বঙ্গবন্ধু যখন স্কুলের ছাত্র তখন স্কুৃল ম্যানেজমেন্টের সভাপতি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান। তখন শেখ লুৎফর রহমানের টিমের সাথে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন টিমের খেলা হয়েছিল টুঙ্গিপাড়ায়। সেই খেলায় বাবার টিমকে তিনি হারিয়ে দিয়েছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম