Tag: ড. হাছান মাহমুদ

  • শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব : তথ্যমন্ত্রী

    শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন বিশেষজ্ঞদের মতামতকে ভুল প্রমাণ করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্ব প্রমাণ করেছে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারলে করোনা ভাইরাসের মতো দুর্যোগ মোকাবেলা সম্ভব।

    তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিরোধী দল ঘরের মধ্যে বসে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে টলিভিশনে উঁকি দিয়ে দিয়ে কথা বলে ঘর থেকে বের হয় না। উঁকি দিয়ে কথা বলে সরকারের সমালোচনা করে। আমরা একদিনও বসে ছিলাম না, জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আমাদের দলের অনেক নেতা, সংসদ সদস্য, মন্ত্রী আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যুবরণ করেছে। আমরা জানি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হলে কি হতে পারে, সেটি মাথায় রেখে কাজ করেছি। সংকট মোকাবেলায় জনগণের পাশে থাকতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদেরকে এমন শিক্ষা দিয়েছেন।

    সোমবার (৩ আগস্ট) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম। এসময় সিইউজে নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীকে বিভিন্ন দাবি-ধাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা মাথায় রেখে নানা ধরনের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সাংবাদিকদের মধ্যে যারা বেতন পাচ্ছেনা, যারা চাকরীচ্যুত কিংবা দীর্ঘদিন ধরে বেকার এই তিন ক্যাটাগরির সাংবাদিকদের মধ্যে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য এককালীন সহায়তা প্রদান করার জন্য তিনি আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা প্রথম ধাপে সারাদেশে দেড় হাজার সাংবাদিকদের এককালীন ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছি। এটি এই দেড় হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা, পরবর্তী পর্যায়ে আরো চেক বিতরণ করা হবে।

    তিনি বলেন, আপনারা জেনে নিশ্চিত খুশি হবেন আমাদের আশপাশের দেশ ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কায়ও সাংবাদিকদের এধরনের সহায়তা করা হচ্ছেনা। সেখানে সহায়তা করা হচ্ছে শুধুমাত্র যারা করোনায় মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরকে। আমরাও সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের কারণে কেউ যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে তাদেরকেও এককালীন তিন লাখ টাকা করে অনুদান দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন কে দেয়া হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে প্রথম মাসে সবকিছু বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অনেককিছু খুললেও এখনো অনেক কিছু খুলেনি। কিন্তু সাংবাদিকদের কাজকর্ম কখনো বন্ধ ছিলনা। সাংবাদিকরা এই করোনা ভাইরাসের মধ্যে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে। সংবাদ সংগ্রহ করেছে, সংবাদ পরিবেশন করেছে, যে কারণে পত্রিকা বের হয়েছে, টেলিভিশনে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। সাংবাদিক ভাই-বোনেরা যদি এভাবে ঝুঁকি নিয়ে কাজ না করতো তাহলে পত্রিকায় ও টেলিভিশনের সংবাদ পরিবেশন করা সম্ভবপর হতো না। এর জন্য বহু সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ভাই-বোন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

    তিনি বলেন, এই পরিস্থিতিতে আমি তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসেবে শুরু থেকেই সংবাদপত্র টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ার মালিকপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছিলাম যাতে সাংবাদিক ভাই-বোনদের বেতন ভাতা ঠিকমতো দেয়া হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে এমন কোন সেক্টর নাই নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি, সমগ্র বিশ্বব্যাপী এটি হচ্ছে চিত্র। তাই আমি বারংবার অনুরোধ জানিয়েছিলাম এই করোনাভাইরাসের মধ্যে আমরা কষ্টটা যেন ভাগ করে নিই। এই দুর্যোগ কিন্তু সব সময় থাকবেনা, তাই দুর্যোগের সময় আমাদের অসুবিধা হলেও আমি সমস্ত গণমাধ্যমের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানাবো সাংবাদিকদের বেতন ভাতা যতোটুকু সম্ভব সঠিক ভাবে যেন পরিশোধ করা হয়।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দেশের তুলনায় সফলভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। যদি তাই না হতো তাহলে আমাদের দেশে মৃত্যুর হার এত কম হতো না। মৃত্যুর হার উন্নত দেশগুলোর চেয়ে তো কম বটেই এমনকি আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার ভারত পাকিস্তানের চেয়েও কম।

    পান থেকে চুন খষলেই হৈ হৈ রৈ রৈ করা সঠিক নয় জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রথম দিকে চট্টগ্রামে অনেক অসুবিধা ছিল, আইসিইউ বেড থেকে শুরু করে নরমাল বেডের সমস্যা ছিল। আজকে আইসিইউ বেড খালি আছে, নরমাল বেডও খালি। প্রথমদিকের পত্র-পত্রিকায় যে সংবাদ গুলো এসেছে সেগুলো আমার চোখে পড়েছে। চট্টগ্রামে রোগী ৫’শ বেড আছে ৪’শ এধরণের খবর পরিবেশিত হয়েছে। অথচ করোনা আক্রান্ত শতকরা ৮০ ভাগের বেশি হাসপাতালে যেতে হয় না।

    তিনি বলেন, সংবাদপত্র এবং গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সংবাদপত্র সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার জন্য, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়ার জন্য, দায়িত্বশীলদের ভূমিকা যাতে আরো সঠিক ভাবে পালন করতে পারে সেই ক্ষেত্রে গণমাধ্যম সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। সুতরাং যখন কাজের ত্রুটি হয় সেটি অবশ্যই গণমাধ্যম উঠে আসবে। যখন কাজ ভাল হয় তখন সেটিও গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রয়োজন। আজকে যে ভালো পরিস্থিতিতে আমরা আসতে পেরেছি সেটিও গণমাধ্যমে উঠে আসা প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

    পরে চট্টগ্রাম বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে করোনা ভাইরাসসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন তথ্যমন্ত্রী। এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বিসহ চট্টগ্রাম বিভাগের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ধর্ম যার যার উৎসব কিন্ত সবার -তথ্যমন্ত্রী

    ধর্ম যার যার উৎসব কিন্ত সবার -তথ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্ম যার যার উৎসব কিন্তু সবার। আমাদের দেশে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলমান খ্রীস্টান কোন ভেদাভেদ নেই।

    তিনি বলেন, আজকে মুসলমানদের কোরবানির ঈদ উদযাপিত হচ্ছে, আজকে সবার ঈদ উৎসবের সময়। আমরা গ্রামে সকল ধর্মের মানুষ মুসলমান হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান একসাথে ভাই ভাই হিসেবে বড় হয়েছি। এটি সমগ্র বাংলাদেশের চিত্র। কিন্তু আমাদের গ্রামে এই সম্প্রীতি অন্যান্য জায়গার তুলনায় আরও বেশি। আমাদের এখানে কখনো কোন ভেদাভেদ ছিলনা, ভবিষ্যতেও থাকবেনা, কেউ চেষ্টা করলেও সেটা নষ্ট করতে পারবেনা।

    রোববার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় তথ্যমন্ত্রীর গ্রামের বাড়ি সুখবিলাস ভগবানপুর ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারে জ্ঞাতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।

    রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ জনসাধারণবৃন্দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত জ্ঞাতি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুখবিলাস ধর্ম্মাংকুর বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাস্থবীর।

    এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, উর্ধ্বতন সভাপতি পরমানন্দ মহাথের এমএ, বাটাপাহাড় সার্বজনিন শালবন বিহার অধ্যক্ষ সুমনতিষ্য থের, ফলহারিয়া সদ্ধর্মলঙ্কার বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ দেবময় ভিক্ষু, পশ্চিম শিলক বনরত্ন বিহারের অধ্যক্ষ সিদ্ধার্থ বংশভিক্ষু, মাষ্টার রঞ্জন বড়ুয়া, আশীষ বড়ুয়া, অধীর বড়ুয়া, রাজন তালুকদার শিবলু, বিধু মুৎসুদ্দী, টিটু বড়ুয়া প্রমুখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের যখন প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠিত হয় তখন ফানুস উড়ানো হয়। তখন কিন্তু শুধু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ নয়, সবাই মিলে ফানুস উড়ান। সবাই কিন্তু সেই উৎসবে শামিল হয়। আমাদের যখন ঈদ উৎসব হয় তখন মুসলমানদের বাড়িতে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই যান। এটাই আমাদের দেশের ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।

    তথ্যমন্ত্রী নিজ গ্রামের এই বৌদ্ধ বিহারের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, ছোটবেলা থেকে আমি এই বিহারে আসতাম। এখানে আসলে বৌদ্ধ বিহারের যিনি অধ্যক্ষ ছিলেন তিনি আমাদের চকলেট দিতেন, নাড়ু ও বাতাসা খাওয়াতেন, আমাদের মত বাচ্চাদের দেখলে নানা ধরনের আপ্যায়ন করতেন। তখনকার যেসব ভিক্ষুরা ছিলেন তাদের আমি পায়ে ধরে সালাম করতাম। বর্তমানেও যিনি আছেন তিনিও প্রায় আমার বাবার বয়সি। উনিও আমার পিতৃতুল্য শ্রদ্ধাভাজন।

    সুখবিলাস ভগবানপুর ধর্ম্মাঙ্কুর বিহারটি ১৯০২ সালে প্রতিষ্টিত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি ১১৮ বছর আগের পুরনো বৌদ্ধ বিহার। এই বিহারসহ আশপাশের বিহারগুলোর উন্নয়নে আমি অনেক কাজ করেছি। আমি মনে করি এটা আমার গ্রামের বৌদ্ধ মন্দির মানে আমার মন্দির। এবারও এই বিহারসহ পাশের দুই বিহারের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এভাবে রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি বৌদ্ধমন্দির একাধিকবার বরাদ্দ পেয়েছে।

    তিনি বলেন, এই বিহারে আরও দুটি সোলার লাইট এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বাইরে আরো কিছু প্রয়োজন থাকলে সেটিও কাজ করা হবে। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী পাশের সুখবিলাস সার্বজনীন লুম্বীনিকানন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন এবং বৌদ্ধ ধর্র্মীয় নেতৃবৃন্ধদের নিয়ে ফানুস উড়ান।

    এর আগে বিকেলে তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা চক্ষু হাসপাতাল এর ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম রোধ করতেই হাসপাতালগুলোতে অভিযান চলছে : তথ্যমন্ত্রী

    স্বাস্থ্যখাতে অনিয়ম রোধ করতেই হাসপাতালগুলোতে অভিযান চলছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতি রোধ করতেই হাসপাতালগুলোতে অভিযান চলছে।

    তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম’ এর সাথে মতবিনিময় শেষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

    ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন মতবিনিময়কালে বক্তব্য রাখেন।

    মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে সব ধরণের অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে সরকারের কর্মসূচির অংশ হিসেবেই শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মালিক শাহাবুদ্দিন সাহেব বিএনপির একজন নেতা। তিনি গত নির্বাচনে বিএনপি’র পক্ষ থেকে সংসদ নির্বাচনও করেছিলেন।’

    এখানে কে কোন দলের, সরকার তা দেখছে না উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘প্রতারক সাহেদ আওয়ামী লীগের কোনো কমিটিতে না থেকেও আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু পার পায়নি। অনিয়মের সাথে যুক্ত যেই হোক, দলমত নির্বিশেষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।’

    বেসরকারি টেলিভিশনগুলোর মধ্যে যে কোনো বিষয়ে লাইভ সম্প্রচারের প্রতিযোগিতা সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপ-আমেরিকায় হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে সরাসরি সম্প্রচারের অনুমতি দেয়া হয় না, অন্যান্য ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। আমাদের দেশেও সেটি হওয়া বাঞ্ছনীয়।

    সবক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনার চেয়ে নিজস্ব বিবেক-বিবেচনা প্রয়োগের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘যে কোনো বিষয় প্রদর্শন বা সরাসরি সম্প্রচারের ক্ষেত্রে জনমনে সেটির প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকা একান্ত প্রয়োজন। শিশু-কিশোরদের মনে নেতিবাচক প্রভাব বা সমাজে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো কিছু প্রচার করা সমীচীন নয়। অভিযানের সময় লাইভ সম্প্রচার অনেক সময় অপরাধীদের পক্ষে সহায়ক হতে পারে, এ বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন।’

    করোনাকালে প্রকৃতি ও পরিবেশ নিজস্ব গতিতে বিকশিত হচ্ছে -এমন বিষয় উত্থাপনের প্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সমগ্র পৃথিবীতেই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর আগের মতো কার্বন নি:সরণ হচ্ছে না, গাড়ি-কলকারখানা আগের মতো চলছে না, মানুষের ছুটোছুটি আগের তুলনায় কমেছে। সেকারণেই প্রকৃতি নিজস্বতায় বিকশিত হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি শুধু বাংলাদেশ নয়, এই ইতিবাচক পরিবর্তন থেকে সমগ্র বিশ্ববাসীর শেখার রয়েছে এবং এটিকে কিভাবে ধরে রাখা যায়, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা প্রয়োজন।

    এসময় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দেশের অগ্রণী ভূমিকার কথা তুলে ধরে পরিবেশ গবেষক ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম ২০০৯ সালে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একটি সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং পৃথিবীর হাতেগোনা দু’একটি দেশের মধ্যে প্রথম নিজস্ব অর্থায়নে ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে। এই ট্রাস্ট ফান্ড এখনও চলমান এবং এর মাধ্যমে নেয়া উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলো অন্যান্য দেশের জন্য উদাহরণ।

    তথ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, “আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় কার্বন নি:সরণ কমানো, বিশ্বের উষ্ণায়ন হ্রাসে ক্লাইমেট চেঞ্জ সংলাপ-সমঝোতায় বাংলাদেশের অব্যাহত নেতৃত্বের কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৫ সালে পরিবেশ বিষয়ক পৃথিবীর সর্বোচ্চ ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।”

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দলকানা হতে গিয়ে জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

    কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দলকানা হতে গিয়ে জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবার পর মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ কেন কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করল, সেই কারণে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিলেন। বিএনপি যে জনগণের জন্য ভাবেননা, সেটির উদহারণ হলো তারা শুধুমাত্র দলকানা নয় দলকানা হতে গিয়ে জনগণেরও বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।

    তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোড়গোড়ায় জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয় পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ আশপাশের দেশগুলোর কোথাও এই ব্যবস্থা নাই।

    শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে ইউজিডিপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ এবং ২৫ হাজার গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রেহানুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল আলম, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আসলাম খাঁন, চট্টগ্রাম মহানগর রেড ক্রিসেন্টের সাধারন সম্পাদক আবদুল জব্বার প্রমূখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েকবছর আগে আঞ্চলিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের একটা সম্মেলন বাংলাদেশে হয়েছিল। সেখানে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অকপটে স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে যেভাবে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে, এটি থেকে অনেক দেশ শিখতে পারে।

    তিনি বলেন, মানুষকে আরো ভালোমতে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আরো শক্তিশালী করার জন্য স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। একইসাথে প্রধানমন্ত্রী শিশু কিশোরদের জন্য স্কুল শিক্ষা অবৈতনিক করেছেন, এবং ছাত্রীদের জন্য ডিগ্রী পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোন মা কোনদিন ভাবেনি তার সন্তান স্কুলে গেলে মোবাইলে টাকা চলে আসে। বাংলাদেশে দেড়কোটি মা মোবাইলে টাকা পান, কারণ তাদের সন্তানেরা স্কুলে যাই। এটি পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে কিনা আমার জানা নেই। নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। যা অন্যান্য অনেক দেশের জন্য এটি উদাহরন।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর প্রধানমন্ত্রী সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করছেন। যেকারণে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার সমগ্র পৃথিবীতে হাতেগোনা যে কয়টি দেশে সবচে কম তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার চায়না এবং ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আহবান জানিয়েছিলেন সবাইকে সম্মিলিত ভাবে এই দূর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য। আজকে যারা সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হাত প্রসারিত করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা যদি সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্ঠা চালায় তাহলে করোনা ভাইরাস কেন যেকোন দূর্যোগ আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে পারবো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সকল সম্প্রদায়ের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম -তথ্যমন্ত্রী

    সকল সম্প্রদায়ের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম -তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। লাল সূর্য খচিত সবুজ পতাকার জন্ম হয়েছে বাংলাদেশ। আজকে আমরা মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান যেভাবে সুন্দর করে বসেছি আমাদের বাংলাদেশও ঠিক এরকম সুন্দর। আমাদের রাঙ্গুনিয়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য আরো সুন্দর।

    তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পকে চিরতরে বিদায় করার লক্ষ্যেই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছিলাম। তাই এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নাই। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যারা ছড়ায় তারা প্রকৃতপক্ষে মানবতা ও বাংলাদেশের শত্রু।

    শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান াতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    রাঙ্গুনিয়ায় সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যঅন ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারন সম্পাদক হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন আলকাদেরী, রাঙ্গুনিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সভাপতি ধর্মসেন মহাস্থবির, সাধারন সম্পাদক সুমঙ্গল মহাথের, রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, সৈয়দবাড়ি ধর্মপ্রবর্তন বিহারের অধ্যক্ষ পরমানন্দ থের। হিন্দু ধর্মীয় পুরোহিত সুজন চক্রবর্তী, অসিম চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য আঞ্চলিক চার্জ সংঘের প্রধান পালক রেভারেন্ড সহখরীয় বৈরাগী, রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী আস্তানা শরীফের পীরজাদা মাওলানা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, সরফভাটা মোয়াবিনুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবুল বয়ান, উপজেলা আওয়ামী লেিগর উপদেষ্ঠা মাওলানা আইয়ুব নুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লেিগর সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমূখ।

    মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দ বলেন, যুগ যুগ ধরেই রাঙ্গুনিয়ায় সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সেতুবন্ধনে একসাথে বসবাস করে আসছে। ভবিষ্যতেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তাঁর নেতৃত্বে আমরা কিভাবে অসাম্প্রদায়িকতাকে লালন করতে হয় কিভাবে মুসলমান, হিন্দু , বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ভাই ভাইয়ের মতো মিলিত হয়ে চলতে হয় সেই শিক্ষা আমরা পেয়েছি। আমাদের রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি গ্রামের চিত্র হচ্ছে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলমান একযোগে সুন্দরভাবে বসবাস করছে। আমার গ্রাম সুখবিলাসে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীস্টানের পাশাপাশি চাকমা মারমারাও আছে। আমরা যেভাবে শতশত বছর ধরে একসাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বসবাস করছি সেটি সমগ্র বাংলাদেশের জন্য উদাহরণ। তাই কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোন গোষ্ঠির কারণে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারেনা।

    তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার অপচেষ্ঠা চালানো হয় দেশ এবং বিদেশ থেকে। যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয় তখন তারা ফেসবুক এবং ইউটিউবের আশ্রয় নেন। সেটির মাধ্যমে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্ঠা করে। তাই এগুলোতে বেশি কান দেয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ যদি সেরকম করে সেটি নিয়ে মাতামাতি করার কোন প্রয়োজন নেই। আমরা সবাই শতশত বছর ধরে ভাই ভাইয়ের মতো ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও হাজার বছর ধরে থাকবো।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি আমাদের প্রথম পরিচয় হচ্ছে বাঙালি, আমাদের দ্বিতীয় পরিচয় কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ, কে খ্রীস্টান। এটিই হচ্ছে যারা আওয়ামী লীগ করেন তাদের সাথে যারা বিএনপি জামাত করেন তাদের পার্থক্য। আমি ২০০৮ সালে যখন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তখন আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিল স্বজন কুমার তালুকদার বড়ুয়া, ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রধান এজেন্ট ছিলেন। এটির কারণ হলো উনি হিন্দু নাকি বৌদ্ধ নাকি মুসলিম এটি আমার বিবেচনায় নাই। এটি বিবেচ্য বিষয়ও নয়। বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে উনি আমার দলও আমাদের নেত্রীর প্রতি আস্থাশীল ও অনুগত কিনা।

    সকল ধর্মীয় নেতাদের প্রতি শান্তির জনপদ রাঙ্গুনিয়াকে আরো শান্তিময় ও প্রীতিময় করার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফেসবুকে কে একটা লিখলো সেটা নিয়ে অন্যরা লেগে থাকবো এটাও হতে পারেনা। আমাদের কাছে কে কোন ধর্মাবলম্বি সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়, কে মানুষ কে বাঙালি সেটা বিবেচ্য বিষয়। তাই সকলের কাছে অনুরোধ কোন ব্যক্তির কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারেনা। এবং সেই লক্ষ্যে যেকোন অশুভ শক্তির ব্যাপারে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যেন এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে নাপারে।

    তিনি বলেন, কদিন আগে রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের জন্য আমাকে সরকার থেকে এককোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে। তখন আমি ভাগ করে সেখান থেকে চল্লিশ লাখ টাকা দিয়েছি মন্দির, বিহারসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ের জন্য।

    প্রধানমন্ত্রীকে বলে স্বজন কুমার তালুকদার বড়ুয়াকে পরপর দুবার বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। একইভাবে পরপর তিনবার হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের সদস্য করেছিলাম শ্রীযুক্ত রাখাল চন্দ্র দাশ গুপ্তকে। রাঙ্গুনিয়ায় ইসলাম ধর্মের জন্যও অনেক কাজ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১টি করে নতুন মসজিদ করা করা হয়েছে। শতাধিক মসজিদ ভিত্তিক মক্তব করা হয়েছে। প্রতিটি মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিশেষ ভাবে টাকা এনে হিন্দু ধর্মীয় মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারগুলোর উন্নয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী নিজের জীবনের সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ টেনে বলেন, আমি যখন ছাত্রজীবনে ঢাকায় যেতাম তখন আমি কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারে থাকতাম। সেখানকার গুরুভান্তে সদ্য প্রয়াত শুদ্ধানন্দ মহাথেরো’র বাড়ি আমাদের এলাকায়। আমার বাবার সমসাময়িক। আমি তাকে পিতার মতো শ্রদ্ধা করতাম, উনিও আমাকে সন্তানের মতো আদর করতেন। এটার মধ্যে কোনো খাদ ছিলনা। দিনের বেলা না খেলেও রাতের বেলা সেখানে খেতাম। একথা আমি ঢাকায় বৌদ্ধ মন্দিরসহ সবখানে বলেছি। মানুষ বড় হলে অতীতের কথা বলেনা, ভুলে যায়। আপনাদের দোয়া ও আশির্বাদে আল্লাহর রহমতে প্রধানমন্ত্রী আমাকে একবার প্রতিমন্ত্রী, দুবার কেবিনেট মন্ত্রী করেছেন, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। যারা আমাকে নানাভাবে স্নেহ দিয়েছেন বড় করেছেন তাদের কথা আমি ভুলতে পারিনা। তৎমধ্যে অন্যতম শুদ্ধানন্দ মহাথের। আমার ছোটকালে একজন শিক্ষক ছিলেন মৌলভি আবদুর রহমান, তিনি আমাকে দশ বছর পড়িয়েছেন। আমার জীবনের সমস্ত নীতি নৈতিকতার অনেক কিছু আমি তাঁর কাছে শিখেছি -বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার করোনা ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। অনেকেই সমালোচনা করেন ঘরে বসে টেলিভিশনে উঁকি দিয়ে, তারা ঘর থেকেও বের হয়না। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবারই সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় মহামারি দূর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য আহবান জানিয়েছিলেন, সেই আহবানে যারা সাড়া দিয়েছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

    তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে জেকেজি ও রিজেন্ট গ্রুপের অনিয়ম গুলো সরকারই উদ্ঘাটন করেছে। কোন পত্রিকার রিপোর্ট দেখে বা বিরোধী দল বলেছে এরকম অনিয়ম হচ্ছে সেকারণে এটি উদ্ঘাটন হয়নি। এখানে যাতে কোন ধরণের অনিয়ম দূর্নীতি নাথাকে সেজন্য সরকারই উদঘাটন করেছে। অবশ্য আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এব্যাপারে আরেকটু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন ছিল।

    শুক্রবার (১৭ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে শিল্প প্রতিষ্ঠান এস আরম গ্রুপের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১’শটি হাইফ্লো নজুল ক্যানুলা প্রদান চট্টগ্রাম মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালকে কোভিড-১৯ হসপিটালে রূপান্তরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন এর উদ্বোধন ও কক্সবাজার জেলায় দুটি এ্যাম্বুলেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদের সভাপতিত্বে ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির, চট্টগ্রাম বিএমএ’র সভাপতি ডা. মুজিবুল হক, সাধারন সম্পাদক ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, এসআলম গ্রুপের প্রতিনিধি আকিজ উদ্দিন প্রমূখ।

    চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রান্তরে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শিলালিপিতে এস আলম গ্রুপের বিভিন্ন হাসপাতালে সহায়তা কর্যক্রম উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ, এদেশে মানুষের ঘনত্ব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ণ শহর গুলোর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম শহর অন্যতম। নানা প্রতিকুলতা ও স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর উন্নত দেশ গুলোর চেয়ে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বের কারণে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার পৃথিবীর যে কয়টি হাতেগোনা দেশের মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম তৎমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। অনেকে বলতে পারেন ইউরোপে বেশি এই অঞ্চলে কম। এই অঞ্চলেও বাংলাদেশে মৃত্যুর হার আমাদের উপমহাদেশে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও কম। এটি সম্ভব হয়েছে নিশ্চয়ই নেতৃত্বে গতিশীলতার কারণে।

    তিনি বলেন, শুরুতে চট্টগ্রামে অনেক সঙ্কট ছিল। কিন্তু আল্লাহর রহমতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বর্তমানে চট্টগ্রামে সেই সঙ্কট নেই। আইসিইউ নিয়ে হাহাকার ছিল। কিন্তু এখন আইসিইউ বেড খালি পড়ে আছে। হাইফ্লো নজুল ক্যানুলা স্বল্পতা ছিল, সেটিও সরকারি বেসরকারি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় আমরা গুছাতে সক্ষম হয়েছি। ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই এগিয়ে এসেছেন।

    সিটি মেয়রও একটি আইসোলেশন সেন্টার খুলেছেন। ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার ভাই ডাক্তার বিদ্যুৎ বড়ুয়াসহ চট্টগ্রামের অনেক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ও সংগঠক এগিয়ে এসেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার জন্য শুরুতে কোন কিছুই ছিলনা। করোনা ভাইরাস যে আসছে সেটিকে অস্বীকার করার চেষ্ঠা করেছিল চায়না। চায়নাতে যখন প্রথম শনাক্ত হয়, যে ডাক্তার করানো ভাইরাসের সংবাদ দিয়েছিল তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অন্যদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে সেই ডাক্তার নিজেই মৃত্যুবরণ করেন।

    তিনি বলেন, আজকে আমরা বিভিন্ন উন্নত দেশ গুলোতে দেখতে পাচ্ছি, তারা করোনা ভাইরাসের কাছে কত অসহায়। তাদের অর্থনৈতিক ও সামরিক সামর্থ কোন কিছুই কাজ করছেনা। আজকে বিশ্বব্যাপী প্রশ্ন দেখা দিয়েছে আমরা কি সমর সজ্জার জন্য বেশি ব্যয় করবো নাকি এধরণের আরো ভাইরাস ভবিষ্যতে আসতে পারে সেজন্য আমাদের সামর্থ রিসার্চ গুলো আরো বাড়াবো।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে এই ভাইরাসই শেষ ভাইরাস নয়, পৃথিবীর সমসাময়িক ইতিহাস যদি দেখি বহু ভাইরাস এসেছে অতীতে কোটি কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনো করোনা ভাইরাসের কারণে একভাগ মিলিয়নের একটু বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। পৃথিবীতে যখন এক’শ কোটি জনসংখ্যা তখন পৃথিবীর পাঁচ ভাগ মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে ভাইরাসের কারণে। ভবিষ্যতেও এরকম ভাইরাস আরো আসতে পারে।

    তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচানোর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শুরু থেকেই অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চীনের উহানে যখন করোনা ভাইরাস দেখা দেয় তখন সেখান থেকে বাঙ্গালীদের চাটার্ড বিমানে ভাড়া দিয়ে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। বিদেশ তেকে যারা এসেছিল তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। অনেক ব্যবস্থা নেয়ার পরও করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে এসেছে। পৃথিবীর অনেক দেশই মোটামুটি ব্যবস্থা নিয়েছিল তারপরও কোন দেশ নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারেনি।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যেখানে স্ত্রী স্বামীর লাশ ধরছেননা, বাবার সৎকারে ছেলে এগিয়ে আসছেনা তখন চট্টগ্রামে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাশ দাফন ও সৎকারে এগিয়ে এসেছেন। আমার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারা শুধু মুসলমান সম্প্রদায়ের লাশ নয় তারা হিন্দু বৌদ্ধসহ সকলের লাশ তারা সৎকার করছে। যেসব স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন আইসোলেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে সঙ্কট মোকাবেলায় এগিয়ে এসেছেন তাদেরও ধন্যবাদ জানান তথ্যমন্ত্রী।

    এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ একজন প্রচার বিমূখ মানুষ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবসময় মানুসকে সহায়তা করেন, কিন্তু প্রচার করেননা তিনি। তার এই উদ্যোগ নিয়ে আমার সাথে ফোনে কথা হয়। আমি তাকে বরং পরামর্শ দিয়েছিলাম এসব কাজ প্রচার করতে যাতে অন্যরা উৎসাহিত হয় ও এগিয়ে আসেন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামের শিল্প প্রতিষ্ঠান গুলোর অনেকেই এগিয়ে এসেছে, আরো অনেকেই এগিয়ে আসার কথা ছিল, আশাকরি তারাও এগিয়ে আসবেন, যারা এখনো হাত প্রসারিত করেনি, তারাও হাত প্রসারিত করবেন। তাহলে আমরা সম্মিলিতভাবে এই সঙ্কট মোকাবেলা করতে পারবো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সমালোচনার বাক্সবাহী বিএনপিসহ অনেকেই জনগণের পাশে নেই : তথ্যমন্ত্রী

    সমালোচনার বাক্সবাহী বিএনপিসহ অনেকেই জনগণের পাশে নেই : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সমালোচনার বাক্সবাহী বিএনপিসহ অনেকেই জনগণের পাশে নেই।

    তিনি বলেন, করোনা মহামারির এসময়ে সমালোচনার বাক্স নিয়ে বসে থাকা বিএনপি ও এমন আরো অনেকেই জনগণের পাশে নেই। বিবেকহীন অন্ধ সমালোচনা পরিহার করে তাদের জনগণের পাশে দাঁড়াবার আহবান জানান মন্ত্রী।

    ড. হাছান আজ দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে করোনা পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের মাঝে সহায়তা চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শুরু করে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ও বিশ্বের শীর্ষ পত্রপত্রিকা যেখানে করোনা মোকাবিলায় সরকারের সক্ষমতা ও পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেছে, সেখানে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা প্রতিদিন যে ভাষায় শুধু সমালোচনাই করে যাচ্ছেন, তা অত্যন্ত দু:খজনক।’

    ড. হাছান বলেন, “অবশ্যই সমালোচনা থাকবে, সরকারকে সবাই পরামর্শ দিতে পারে, সেই গণতান্ত্রিক রীতি আমরা সমাদৃত করি, কিন্তু অন্ধ ও বিবেকহীন সমালোচনা ও কোনো কাজে ভালো দেখতে না পারা, চোখ থাকতে অন্ধের মতো আচরণ দু:খজনক।”

    তিনি বলেন, জনগণের পাশে না দাঁড়িয়ে প্রতিদিন গণমাধ্যমে উঁকি দিয়ে সমালোচনা করে বিএনপি নিজেদেরকে জনগণের কাছে হাস্যকর করে তুলছে।

    তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘দেশে বহু এনজিও আছে যারা বিদেশি অর্থ পায়, এখন তাদের পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক প্রশ্ন রাখেন, কয়টি এনজিও এখন মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে? ’

    ড. হাছান বলেন, ‘করোনাদুর্যোগে জনগণকে সহায়তায় সরকার প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিহাসের বৃহত্তম ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ তাদের মোবাইল ফোনে সহায়তার টাকা পেয়ে যাচ্ছে, যা কেউ আশা করেনি, আগে কখনো এমনটি ঘটেনি। এসময় জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন।’
    বিভিন্ন দেশে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পাশের দেশ ভারতে বিরোধী দলীয় জোট প্রধান সোনিয়া গান্ধী সেদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সরকারের উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের সাথে একাত্মতা জানিয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো একাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে সাংবাদিকরা করোনাকালে কাজ করছেন। অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকজন মৃত্যুবরণ করেছেন। সাংবাদিকরা হাত গুটিয়ে বসে থাকলে মালিকেরা চাইলেও গণমাধ্যম চালু থাকতো না।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মানবিক বিবেচনায় সরকার সাংবাদিকদের সহায়তা করছে। এসময় তেমনিভবে গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদেরও সাময়িক কষ্ট হলেও গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করতে ও তাদেরকে চাকুরিচ্যুত না করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করেন।

    গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তায় সরকারি পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল পরিশোধের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সকল মন্ত্রণালয়ে পত্র ও তাগিদ দেয়া হয়েছে যাতে করে সংবাদকর্মীদের বেতন দিতে সুবিধা হয়।

    প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার আলোচনার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ও করোনা উপসর্গে মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের প্রত্যেকের পরিবারকে ইতোমধ্যে ৩ লাখ টাকা করে সহায়তা দেয়া হয়েছে, সেই পরিবারেরা আবেদন করলে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আরও সহায়তা দেয়া হবে।

    ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদ ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল।

    সহায়তাপ্রাপ্ত সাংবাদিক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তৃতা করেন আতাউর রহমান জুয়েল ও মোহাম্মদ তারিক আল বান্না। বক্তারা এ সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান। এদিনের অনুষ্ঠানে ২০০ সাংবাদিককে চেক প্রদান করা হয়।

    ডিইউজে সভাপতি জানান, চলমান সহায়তার প্রথম পর্বে এ পর্যন্ত ৪৮টি জেলায় সাংবাদিক ইউনিয়ন ও প্রেসক্লাবের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে সহায়তা পৌঁছেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা : ডঃ হাছান মাহমুদ

    যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা : ডঃ হাছান মাহমুদ

    তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, “যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা”- এমন সমালোচনা যেন না হয়। গণমাধ্যমে অনেক বিশেষজ্ঞের শংকাকে মিথ্যে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ।

    অনেক বিশেষজ্ঞ বিবৃতি দিয়ে, টেলিভিশন টকশো এবং ফেসবুক লাইভে অনেক নেতিবাচক শঙ্কার কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর জনবান্ধব নেতৃত্বের কারণেই করোনায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশে একজনও না খেয়ে মরেননি।

    তথ্যমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ শুক্রবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা ও করোনাকালিন বিশেষ অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, ডিইউজে-ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব কাজী মহসিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

    সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ , সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল, নির্বাহী সদস্য মহররম হোসেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক , যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন , সাংবাদিকদের করোনা সময়ের বিশেষ সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত চার কোটি ৩১ লক্ষ টাকা সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির কথাও জানান মন্ত্রী। সাংবাদিকদের করোনা চিকিৎসার অগ্রাধিকার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকসহ দেশের সব মানুষের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার কাজ করছে।

    তিনি বলেন, করোনাকালীন মৃত্যু ঠেকাতে সরকার সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে । বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তান ও ইউরোপ-আমেরিকা থেকেও কম। করোনা অভিন্ন শত্রু। এখানে কারো মিসাইল বা এন্টি মিসাইল কাজ করেনি। আমরা এখন সমন্বিতভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপে মানব স্বার্থে কাজ করবো, নাকি যুদ্ধ সংঘাতের পথে থাকবো -এটা বিবেচনার জন্য এখন সর্বোচ্চ সময়।

    তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

    অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিত এবং সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, সরকার এ পর্যন্ত সাত কোটি মানুষের কাছে সরাসরি করোনাকালীন সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।

    ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা সময় কালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগও ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষকে সহায়তা দিয়েছে।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএফইউজের সহ-সভাপতি ও পেশাজীবী নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী কল্যাণ ট্রাস্টে ঢাকার বাইরের প্রতিনিধিত্ব, গণমাধ্যম কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা, যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় নানা বিষয়ে সরকারের আরো কঠোর মনিটরিং দাবি করেন।

    তিনি বলেন, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বৈষম্য কাটাতে হবে। কল্যাণ ট্রাস্ট ও মনিটরিং সেলের ঢাকার বাইরে প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে আরো প্রায় চার বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

    ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ সাংবাদিকদের সহায়তার ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের গণমাধ্যম বান্ধব চরিত্রের কথা উল্লেখ করেন।

    তিনি বলেন, সাংবাদিকদের প্রধান দাবি-দাওয়া থাকবে মালিকপক্ষের কাছে। সে দাবি-দাওয়া আদায়ে সরকার সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

    চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জন্য মন্ত্রীর বিশেষ তহবিল প্রত্যাশা করেন।

    তিনি সাংবাদিক সমাজের পাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

    সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিনিধিত্ব সহ ঢাকার সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের পরিস্থিতি তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা প্রত্যাশা করেন।

    অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী তথ্যমন্ত্রীসহ আগতদের কৃতজ্ঞতা জানান এবং চট্টগ্রামের সংবাদপত্রগুলোতে পরিবহন সুবিধা ছাড়া রাত তিনটায়ও কাজ করতে বাধ্য করাসহ চট্টগ্রামের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘লাইফ-লাইন’:তথ্যমন্ত্রী

    তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘লাইফ-লাইন’:তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘লাইফ-লাইন’। এই খাতসহ বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

    বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ের নিজ দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামের সল্টগোলায় ৫০ শয্যার বিজিএমইএ কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন।

    বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক, প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও বোর্ড সদস্যবৃন্দ উদ্বোধনী সভায় অংশ নেন।

    চট্টগ্রামে ৫০ শয্যার বিজিএমইএ কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্টা করায় তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ’কে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, করোনার শুরুতে চট্টগ্রামে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিকূলতা, সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু আমরা ক্রমাগতভাবে সমন্বয় সভা করে প্রশাসন, পুলিশ, ব্যবসায়ী-স্বেচ্ছাসেবী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছি, সে কারণে আগের পরিস্থিতি এখন নেই, অনেক উত্তরণ ঘটেছে। আইসিইউ, ভেন্টিলেটরসহ যে সুবিধাগুলোর অপ্রতুলতা ছিল, আমরা সেই সংকট সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি।

    উপস্থিত সাংবাদিকরা এসময় কুয়েতে মানবপাচারের দায়ে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপলু গ্রেপ্তারের ফলে সেখানে কর্মী রপ্তানি ব্যাহত হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কুয়েতের তদন্তে সেখানকার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে এসেছে। তাদের সম্পৃক্ততা, সহযোগিতা ছাড়া এই কাজগুলো হতো না, সুতরাং তারাও সমভাবে দায়ী। সুতরাং এ ঘটনায় আমাদের শ্রমবাজারে অর্থাৎ কুয়েতে কর্মী রপ্তানীর ক্ষেত্রে আমাদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।’

    সংসদের সামনে বাজেটের কপি ছেঁড়া বিএনপি’র ঔদ্ধত্যের নতুন বহি:প্রকাশ -তথ্যমন্ত্রী

    ‘সংসদের সামনে বাজেটের কপি ছেঁড়া বিএনপি’র ঔদ্ধত্যের নতুন বহি:প্রকাশ’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, যারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষকে হত্যা করেছিল। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের কর্মসূচি যে রাজনৈতিক দল দেয়, সংসদের সামনে গিয়ে তাদের বাজেটের কপি ছিঁড়ে ফেলা খুব স্বাভাবিক। যে উদ্ধত আচরণ তারা সবসময় করে আসছে, সেটিরই নতুন বহি:প্রকাশ হচ্ছে সংসদের সামনে গিয়ে বাজেটের কপি ছিঁড়ে ফেলা।’

    তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যে এবারই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছে তা তো নয়, গত ১১ বছর ধরে প্রতিবারই তারা বাজেট প্রত্যাখ্যান করছে এবং প্রতিবারেই বলেছে বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য না, জনগণের কল্যাণে আসবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু গত ১১ বছর ধরে সমস্ত বাজেটই বাস্তবায়িত হয়েছে এবং বাস্তবায়নের হার ৯৭-৯৮ শতাংশ। সেই বাজেটগুলো বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে দেশের দারিদ্র্য কমে অর্ধেকে নেমেছে, মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, জিডিপি প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের পথে উন্নীত হয়েছে। এটিই হচ্ছে বাস্তবতা। কিন্তু তারা কোনোবারেই বাজেট গ্রহণ করতে পারেনি।’

    ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি সেখানে বলেছে, মাত্র একদিন বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়, পুরো বাজেট সেশনেই কিন্তু বাজেটের ওপর বক্তৃতা হয়েছে। তারা নিজেরা বাজেট অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেনি, বাজেট অধিবেশনে যে আলোচনা হয়েছে সেটিও ঠিকমত খেয়াল রাখেনি, সে কারণেই তারা এ ধরণের ভুল বক্তব্য দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন সংসদ চালানো সম্ভবপর নয়। পৃথিবীর কোনো দেশে সেটি হচ্ছে না। আমাদের দেশে এখন করোনাভাইরাস প্রায় তুঙ্গে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, গড়ে প্রায় ৪০ জন বা তার বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। এই সময় তো সংসদ প্রতিদিন চালানো সম্ভবপর নয়, এই বাস্তবতা তারা বুঝেও এ ধরণের অসত্য, অপ্রাসঙ্গিক কথাগুলো বলে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • টিআরপি নির্ধারণ পদ্ধতিতে শৃঙ্খলা আনা হবে : তথ্যমন্ত্রী

    টিআরপি নির্ধারণ পদ্ধতিতে শৃঙ্খলা আনা হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অনুমোদনহীন টিআরপি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, এক্ষেত্রে একটি শৃঙ্খলা অবশ্যই আনতে হবে।’

    তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, ‘এখন কে কাকে টিআরপি দেয়, সেটি আমাদের জানা নেই। টিআরপি যারা করছে তারা কোথা থেকে অনুমতি নিয়েছে, কে তাদেরকে লাইসেন্স দিয়েছে -সেটি অনেকের প্রশ্ন। কারণ, বাংলাদেশে টিআরপি নির্ধারণের জন্য সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।’
    আগে যেমন ক্যাবল নেটওয়ার্কে টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল সামনের দিকে রাখার জন্য, এমনকি টিভি চ্যানেল যাতে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, সেজন্যও নানা ধরণের অশুভ প্রতিযোগিতা ছিল,

    অনৈতিকতার আশ্রয় নেয়া হতো, সেটি বন্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘তেমনি আমরা জানতে পেরেছি, যে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানগুলো টিআরপি নির্ধারণ করে, সেখানেও অশুভ, অসুস্থ প্রতিযোগিতা হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

    ভারত, শ্রীলংকা এবং ইউরোপের দেশগুলোতে টিআরপি কিভাবে নির্ধারণ হয় সরকার তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, জানান তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় টেলিভিশন শিল্পের দেশ ভারতে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি সংস্থা আছে সেই সংস্থা টিআরপি ঠিক করে দেয়।

    তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, এবিষয়ে এটকো (এসোসিয়েশন অভ্ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স), ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার এবং অন্যান্য অংশীজন যারা আছে, তাদের সাথে আলোচনা করে আমরা এখানে অবশ্যই খুব সহসা একটি শৃঙ্খলা নিয়ে আসা হবে। কোনো অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান কোন টেলিভিশন কে কত বেশি দেখে, সেটি বলার বৈধ কোনো এখতিয়ার রাখে না।

    অনুমোদনহীন টিআরপি নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে একটি শৃঙ্খলা নিয়ে আসবো এবং যারা অনুমোদন ছাড়া যারা এ কাজটি করে আসছে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

    এসময় অবৈধ ও অনৈতিক ওয়েবসিরিজ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ওয়েবসিরিজ, সিনেমা বা যেকোনো কিছু নির্মাণ ও প্রচার করার ক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়। আমাদের একটি কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি আছে, আমাদের সমাজের একটি মূল্যবোধ আছে। এটি অনেক সময় অনেকে মাথায় রাখেন না।

    বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে এই দোহাই দিয়ে আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে কোনো কিছু করা কখনোই সমীচীন নয়, আইনানুযায়ীও সেটি দন্ডনীয় অপরাধ, বলেন ড. হাছান।

    বাংলাদেশে ২০১২ সালে প্রণীত এ সংক্রান্ত আইনানুযায়ী এ ধরণের অশ্লীলতা প্রচারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদন্ড, উল্লেখ করেন তিনি।

    যে সমস্ত সার্ভিস প্রোভাইডার এ ধরণের ওয়েজসিরিজ প্রচার করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের এ কাজের জন্য আদৌ কোনো লাইসেন্স আছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি, জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যদি লাইসেন্স না থাকে তাহলে এই অবৈধ কাজের জন্য অবশ্যই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর লাইসেন্স থাকলেও তাদের ডোমেইন ব্যবহার করে এ ধরণের অশ্লীল জিনিস প্রচার করাও দন্ডনীয় অপরাধ। সে বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো আলেম-ওলামাদের জন্য কেউ ভাবেন না : তথ্যমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো আলেম-ওলামাদের জন্য কেউ ভাবেন না : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মতো দেশের আলেম-ওলামাদের জন্য কেউ ভাবেন না’।

    আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তথ্যমন্ত্রী তার নিজ নির্বাচনী এলাকার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় পাঁচ শতাধিক মসজিদের ইমাম-ওলামাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় থাকাকালেও আলেম-ওলামাদের কথা ভাবেনি। কিন্তু নির্বাচনের সময় তারা ঠিকই ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে।’

    অপরদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আলেম-ওলামাদের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণ, এক লাখ মসজিদে সাড়ে চার হাজার টাকা মাসিক ভাতায় একজন শিক্ষকসহ মক্তব স্থাপন, কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষাকে স্বীকৃতি প্রদান, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের প্রায় সব মসজিদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদানের এসব মাইলফলক উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ভাবনারই ফসল।

    ড. হাছান মাহমুদ এসময় বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী ও তথ্য অধিদফতরের সাবেক উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও সাহিত্যিক জাফর আলমের সদ্যপ্রয়াণে গভীর শোক জানান ও তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

    রাঙ্গুনিয়া প্রান্তে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মো. মোকাম্মেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার।

    এ আয়োজনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ার ৫০৪টি মসজিদের প্রত্যেকটির ইমাম-ওলামাদের মাঝে করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার নগদ পাঁচ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়।

    অনুষ্ঠান শেষে সবাই দেশ ও বিশ্বের সবার নিরাপদ ও সুস্থ জীবনের জন্য প্রার্থনায় অংশ নেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়েই আওয়ামী নেতাকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন : তথ্যমন্ত্রী

    জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়েই আওয়ামী নেতাকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য ও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা জনগণের জন্য কাজ করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

    তিনি আজ বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সদ্যপ্রয়াত নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফেরাত ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের আশু আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা ও দোয়া মাহফিল শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদ সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা জনগণকে সুরক্ষা এবং সহায়তা করার জন্য ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।
    যে কারণে আমরা দেখতে পাচ্ছি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বহু নেতাকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষ করে বরেণ্য নেতা মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ, সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান মৃত্যুবরণ করেছেন। এর মূল কারণ হচ্ছে, তারা জনগণের পাশে থেকে কাজ করছিলেন এবং তা করতে গিয়েই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    ‘বিএনপি নেতাদের করোনায় আক্রান্তের খবর পাওয়া যাচ্ছে না’- সাংবাদিকদের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেউ আক্রান্ত হোক, সেটি আমরা কখনো কামনা করি না। বিএনপি নেতারা সবাই সুস্থ থাকুন, আমরা এবং সব মানুষ যেন সুস্থ থাকে সেটিই আমরা কামনা করি। সেইসাথে এটিও সত্য যে, যারাই জনগণের পাশে থেকে কাজ করছেন, তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন ও তাদেরই আক্রান্তের আশংকা বেশি।

    অপরদিকে বিএনপি নেতারা যারা হাতগুটিয়ে বসে আছেন, ঘরের মধ্যে থেকে প্রেস ব্রিফিং আর কিছু ফটোসেশনের মধ্যে কাজকর্ম সীমাবদ্ধ রেখেছেন, জনগণের পাশে দাঁড়াননি, তাদের আক্রান্ত হবার আশংকা কম। তবে, আমি সবসময় প্রার্থনা করি, বিএনপি নেতৃবৃন্দ সবাই সুস্থ থাকুন, বলেন তিনি।

    এসময় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের ‘দেশে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে’ মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যতটুকু আছে, সেই সামর্থকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসনের প্রাণান্তকর চেষ্টায় এখনো বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে কম মৃত্যুহারের দেশগুলোর একটি। সেইসাথে স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নের সকল উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। সুতরাং, অর্বাচীনের মতো কথা না বলে তাদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ জানাই।’

    এর আগে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রয়াত নেতা মোহাম্মদ নাসিম, সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ, সিলেটের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানসহ দলের সদ্যপ্রয়াত নেতৃবৃন্দের আত্মার মাগফেরাত ও অসুস্থ নেতাকর্মীদের আরোগ্য কামনা করে প্রার্থনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সরাসরি উপস্থিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি.এম মোজাম্মেল হক, এস.এম কামাল হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ এতে অংশ নেন।

    মাহফিল শেষে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গল কামনা এবং দেশ ও বিশ্বকে করোনা থেকে মুক্তির জন্য মুনাজাত করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর