Tag: ড. হাছান মাহমুদ

  • জনগণ আ’লীগ ও শেখ হাসিনার সাথে আছে : তথ্যমন্ত্রী

    জনগণ আ’লীগ ও শেখ হাসিনার সাথে আছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে। তাদের এধরণের মিথ্যে ভাষণে জনগণ বিভ্রান্ত হবেন না। জনগণ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার সাথে রয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীর বিক্রমের স্মরণে নাগরিক শোক সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    প্রয়াতের বড় ভাই ইসমাঈল হোসেন মানিকের সভাপতিত্বে চুনতি মেহেরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    বিএনপি নেতা আমীর খসরু চৌধুরীর বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মিথ্যা ভাষণ দিয়ে তারা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন। তাদের বলবো এ ধরণের মিথ্যে ভাষণ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে লাভ হবেনা।’

    চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপনির্বাচন নির্বাচনে ‘প্রবাসী ও মৃত ব্যক্তিরাও ভোট দিয়েছেন’ আমীর খসরু চৌধুরীর এমন অভিযোগের জাবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, এ আসনের মহানগর অংশে ভোটারের সংখ্যা প্রায় পৌনে ৪ লাখ। তারমধ্যে মোসলেম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী মাত্র ৩৬ হাজার ভোট পেয়েছেন। যদি ভোট কেন্দ্র দখল হতো এবং তার ভাষ্য অনুযায়ি এই ধরণের ভোটাররা ভোট দিতো তাহলে বিজয়ী প্রার্থী ৩৬ হাজার নয় ১ থেকে ২ লাখ ভোট পেতেন।

    তথ্যমন্ত্রী এসময় প্রয়াত জয়নুল আবেদীনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘তিনি মানুষের জন্য নিভৃতে কাজ করেছেন, সেকারণে তিনি আজকে এত জনপ্রিয়। তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ হাজার হাজার মানুষের সমাগত হয়েছে।’

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদীন রাজনীতি করতেন না। কিন্তু তার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকার বাসায় কেউ গেলে দেখতে পেতেন, একজন রাজনীতিবিদের বাড়িতে যেভাবে সকাল বেলা প্রচুর মানুষ দেখা করতে যায়, সে রকম মানুষের যাতায়াত। তার গ্রামের বাড়িতেও একইভাবে গণমানুষের যাতায়াত ছিল। রাজনীতি না করেও সারাজীবন তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, জয়নুল আবেদীনের হাত ধরে বহুজনের জীবনে পরিবর্তন এসেছে, বহুজন জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, অনেকের জীবনে আমূল পরিবর্তন এসেছে ‘

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতভাগ বিশ্বস্ত জয়নুল আবেদীনের সহায়তা নিতেন, কারণ তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে এমনভাবে পরিবেশন করতেন, তাতে সম্মতি আদায় করা যেত।”

    চট্টগ্রামের বে টার্মিনাল প্রকল্প হাতে নেওয়ার জন্য প্রয়াত জয়নুল আবেদীন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন ‘প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আসার সুযোগ না পেলেও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন জয়নুল আবেদীনের উদ্যোগের কারণে। আজকে বে টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে। শুধু চট্টগ্রামের নয়, বাংলাদেশের বহু উন্নয়ন প্রকল্প মেজর জেনারেল জয়নুল আবেদীনের কারণে গতি পেয়েছে।’

    শোক সভায় দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপি, কানিজ ফাতেমা এমপি, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, আওয়ামী লীগের তথ্যও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। স্বাগত বক্তব্য দেন আবু রেজা নদভী এমপি।

  • মানবিক মূল্যবোধ সুরক্ষা করতে পারে চলচ্চিত্র : ড. হাছান মাহমুদ

    মানবিক মূল্যবোধ সুরক্ষা করতে পারে চলচ্চিত্র : ড. হাছান মাহমুদ

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আধুনিক সভ্যতার অগ্রগতির সাথে মানুষ ক্রমশ যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে বলেছেন, চলচ্চিত্র বর্তমানে অবক্ষয়ের সম্মুখীন মানবিক মূল্যবোধ সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে।

    তথ্যমন্ত্রী রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে নয় দিনব্যাপী অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসববের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে একথা বলেন।

    সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

    ড. হাছান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশে চলচ্চিত্রের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রতিষ্ঠা করেন। সেই ১৯৫৭ সালে শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন বিল উত্থাপন করেন এবং তা পাস হয়। এভাবে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্প যাত্রা শুরু করে।

    মন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র আমাদের হাসায়, কাঁদায়, আমাদের মধ্যে আনন্দ-উল্লাস সঞ্চার করে। কখনো কখনো এটি আমাদের মনের গভীরে একটি স্থায়ী দাগ কাটে, যা কখনো মুছে ফেলা যায় না।’

    এবারের উৎসবের প্রতিপাদ্য ছিল – ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’।
    ড. হাছান এ প্রসঙ্গে বলেন ‘এটি সুস্পষ্ট যে, ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক আমাদের একটি আলোকিত সমাজের দিকে চালিত করে।’

    ড. হাছান এ উৎসবের পৃষ্ঠপোষক ও আয়োজকদের তাদের অব্যাহত প্রচেষ্টা ও সাফল্যের জন্য ধন্যবাদ জানান।

    সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মকে চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহিত করতে হবে। আর তখনই এ শিল্প এগিয়ে যাবে।’

    উৎসবে আফগানিস্তান, বেলজিয়াম, বসনিয়-হার্জেগোভিনা, চীন, ক্রোয়েশিয়া,প্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইরান, লেবানন, মেক্সিকো, ফিলিপাইন, পোল্যান্ড, কাতার, শ্রীলংকা, তুরস্ক,ও বাংলাদেশের প্রায় ১৫০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। বাংলাদেশের ‘ ন ডরাই’ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করেছে।

    ইরানের পরিচালক মিরকারিমী রেজার ক্যাস্টেল অব ড্রিমস এশিয়ান ক্যাটাগরিতে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে।

    তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

  • সিডিএ’র উদ্দ্যেশে তথ্যমন্ত্রী : পাহাড় কেটে রাস্তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

    সিডিএ’র উদ্দ্যেশে তথ্যমন্ত্রী : পাহাড় কেটে রাস্তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলোর আরো যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি খেয়াল করে না।

    তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত আশ্চর্য হয়েছি, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর মতো একটি প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের নামে রাস্তা বানাতে গিয়ে আজ থেকে দেড়-দুই বছর আগে এশিয়ান উইমেন ইউনিভার্সিটির পাশে ৩০০ ফুট পাহাড় কেটে সমতল করে ফেলেছে। এটি আমাকে প্রচণ্ড পীড়া দিয়েছে।

    মন্ত্রী বলেন, যেভাবে পাহাড় কেটে সেখানে রাস্তা করেছে, এটি কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। চট্টগ্রাম শহরের সৌন্দর্য হচ্ছে পাহাড়। সেই পাহাড়কে সংরক্ষণ করে, পাহাড়কে বজায় রেখে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করা যায়।

    চট্টগ্রামে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করার সময় পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি ভাবার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভবন বানাতে গিয়ে, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে যেন এই পরিবেশ-প্রকৃতি নষ্ট না হয়, এই নান্দনিকতা যেন হারিয়ে না যায়। সেটি মাথায় রাখতে হবে।

    শনিবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এর পুণর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এস. এম. মতিউর রহমান, নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মোহাম্মদ বেলাল, চবি ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক প্রফেসর গিয়াস উদ্দিন, ফরেস্ট্রি’র এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    দেশে বনের বাইরে ও ভেতরে গাছের সংখ্যা বেড়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজ থেকে ১১-১২ বছর আগে বাংলাদেশের বৃক্ষাআচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ ছিল ১৯ শতাংশের নিচে, এখন সেটি ২৪ শতাংশের বেশী।

    মানুষ বেড়েছে গত ১১ বছরে, মানুষের জন্য নতুন বসতি নির্মাণ করতে হয়েছে, শহরগুলোর আকার বেড়েছে, একইসাথে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে, দুই লেনের রাস্তা চার লেন হয়েছে, শিল্পায়ন হয়েছে, এরপরও বৃক্ষাআচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ বেড়েছে। এর কারণ হচ্ছে, মানুষের মধ্যে গাছ লাগানোর চেতনা জাগ্রত হয়েছে। আগে আমাদের বনভূমিতেই শুধু গাছ ছিল। এখন দেখা যায়, বনভুমির বাইরেও লোকালয়ে প্রচুর গাছ আছে, লাগানো হচ্ছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ একটি ছোট্ট দেশ বাংলাদেশ। প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১১শ’র বেশী মানুষের বসবাস। মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ পৃথিবীতে সর্বনিন্ম। এরপরও বাংলাদেশ পৃথিবীকে অবাক করে দিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।

    বাংলাদেশ আজকে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে একটি কেস স্টাডি। কিভাবে পৃথিবীর ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ, যে দেশে মাথাপিছু জমির পরিমাণ পৃথিবীতে সর্বনিন্ম , ঝড়-বন্যা, জলোচ্ছ্বাস যে দেশের নিত্য সঙ্গী। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত যেখানে দৃশ্যমান, বিদ্যমান, সেই দেশ কিভাবে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হল, এটি আজকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে, বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে বড় বিস্ময়, একটি কেস স্টাডি।

    এটি সম্ভব হয়েছে, আমাদের দেশ ছোট হলেও উর্বর দেশ। এখানে বায়ো ডাইভারসিটি এত ব্যাপক, এত প্রাচুর্যময়, সেই কারণে এটি সম্ভবপর হয়েছে।

    চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ লাগানোর প্রস্তাব দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমার তিন সন্তানের মধ্যে দ্ইু সন্তানের জন্ম হয়েছে বেলজিয়ামে। জন্মের কয়েকদিন পর আমরা পৌর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে চিঠি পেলাম, সেখানে লেখা তোমাদের সন্তানদের নিয়ে অমুক দিন অমুক জায়গায় হাজির হতে হবে। সেখানে একটি গাছ লাগানো হবে এবং একটি নেমপ্লেট দেয়া হবে। সেই গাছটি থেকে যাবে, নেমপ্লেটটিও থেকে যাবে। অর্থ্যাৎ প্রতি সন্তান জন্মলাভের পর সেখানে সন্তানের নামে একটি গাছ লাগানো হয়। সেই গাছটি থেকে যাই। সেটি কাটা হয় না। সে যখন বড় হয়, তখন সে নেমপ্লেট থাকায় গাছটাকে খুঁজে পায়।

    ‘আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে অনুরোধ জানাবো, ফরেস্টি ডিপার্টমেন্ট সেক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যত নবজাতকের জন্ম হবে, তাদের নামে যেন একটি করে গাছ লাগানো হয়, সেজন্য একটি এলাকাকে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এটি যদি আপনারা করেন, আপনারা বাংলাদেশে প্রথম কর্তৃপক্ষ হবেন, এই কাজটি করার ক্ষেত্রে। অনেকেই চাইলেও এই কাজটি করতে পারবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেও পারবে না, কারণ তাদের গাছ লাগানোর জায়গা নেই।’

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও আফ্রিকার কোন কোন জায়গায় এখন দাবানল ও খরতাপ দেখা যাচ্ছে। পাকিস্তানের মত জায়গায় হচ্ছে বন্যা। এটি হচ্ছে পৃথিবীর মাত্র এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার কারণে। মানুষ যেভাবে নির্বিচারে কার্বন নিঃসরণ ঘটাচ্ছে, প্যারিস চুক্তিতে বিভিন্ন দেশ যে প্রতিশ্রুতিগুলো দিয়েছে, সেই প্রতিশ্রুতিগুলো যদি পুরোপুরি বাস্তবায়নও হয়, পৃথিবীর তাপমাত্রা সাড়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে।

    এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়ার কারণে যেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি আমরা দাঁড়িয়েছি। সেখানে তাপমাত্রা সাড়ে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে সেটি অনুমান করাও কঠিন।

    জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য হুমকি নয় মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট দুর্যোগের মোকাবেলা করছি। জলবায়ু পরিবর্তন এখানে বাস্তবতা, হুমকি নয়। এখানে আসবে তা নয়, এটা এসে গেছে। যখন আগ্রাবাদে আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়, তখন উচ্চ মধ্যবিত্ত সবাই সেখানে প্লট নিয়েছে, এখন তারা সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।

    কারণ বর্ষাকালে জোয়ারের পানি সেখানে সবসময় আসে। চট্টগ্রাম শহরে আমার পৈত্রিক বাড়ি আশির দশকে আমার বাবা তৈরি করেন। সেখানে কখনো দেখিনি পানি আসে।

    প্রায় ১৫ বছর আগে বাড়ির অভ্যন্তরে ড্রেনের মধ্যে দেখি জোয়ারের পানি আটকে আছে। এর আগে কখনো দেখিনি জোয়ারের পানি বাসা পর্যন্ত চলে আসতে। জোয়ার-ভাটার পানি যেভাবে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন জায়গায় এখন আসছে, এটি আগে ছিল না।

  • চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার: তথ্যমন্ত্রী

    চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ বলেছেন, সরকার দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে এবং বিশ্বব্যাপী চলচ্চিত্রের বাজার ধরতে চায়।

    সচিবালয় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বিসিএসএস) নবনির্বাচিত নির্বাহী কমিটির সদস্যরা মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্র জগতের বন্ধ্যাকাল শেষ হয়েছে। কিন্তু এ শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে আমাদের সময়ের প্রয়োজন।’ মন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র শিল্প বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মাধ্যম।

    তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাজের উপর চলচ্চিত্রের প্রভাব উপলব্দি করে ১৯৫৭ সালে ফিল্ম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (এফডিসি) গঠনের জন্য পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক পরিষদে একটি বিল উত্থাপন করেছিলেন এবং সেই ধারাবাহিকতায় এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

    চলচ্চিত্র হল সমাজের একটি আয়না এবং এটি মানুষের কথা বলে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করার জন্য চলচ্চিত্রের শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনতে আমাদেরকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’

    তিনি বলেন, একটি চলচ্চিত্র মানুষের ইতিহাস, তাদের জীবনযাত্রা এবং দুঃখ এবং সুখের গল্পগুলোকে চিত্রিত করে। তিনি আরো বলে, ‘চলচ্চিত্রে মানুষের জীবন এবং তাদের (জনগণের) চিন্তাভাবনা ফুটিয়ে তুলতে অসামান্য ভূমিকা পালন করে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাধারণ দর্শকরা সিনেমা হল বিমুখ হওয়ায় দেশের অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। সিনেমা হলগুলো বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির স্বার্থেই সিনেমা হলগুলোকে রক্ষা করা উচিত।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সিনেমা হল মালিকদেরকে সহজ ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দেয়ার জন্য আমি ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।’

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশের জন্য এফডিসিতে প্রায় ৩২২ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সম্বলিত একটি নতুন ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

    তিনি বলেন, আমরা এফডিসির আধুনিকায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করব।

    মন্ত্রী বলেন, গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বিশ্বমানের স্পটে পরিণত হবে। ভালো সিনেমা বাংলাদেশে নির্মিত হচ্ছে এবং কয়েকটি চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক পুরষ্কার পেয়েছে এবং প্রশংসিত হয়েছে।

    মন্ত্রী চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশের জন্য প্রযোজক ও চলচ্চিত্র পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ভালো চলচ্চিত্র তৈরি করার আহ্বান জানান।

    বিসিএসএসের সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন ডিপজল এবং মাসুম পারভেজ রুবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সুব্রত, নির্বাহী সদস্য অরুণা বিশ্বাস, অঞ্জনা, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো ও রোজিনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-তথ্যমন্ত্রী

    দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

    আজ শনিবার ১৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) দুইদিন ব্যাপি ১৬তম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।

    সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত দুইদিন ব্যাপি বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিভাসু উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।

    অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভাসু’র ওয়ান হেলথ ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. শারমীন চৌধুরী।

    এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য: “Intensification of Livestock and Fisheries for Achieving Food Safety and Nutritional Security: Challenges and Opportunities”।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয় কত বড় সেটার উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা নির্ভর করে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও মর্যাদা নির্ভর করে গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা কর্মের উপর। পৃথিবীতে অনেক ছোট ছোট বিশ্ববিদ্যালয় আছে যেগুলো শিক্ষা ও গবেষণা কর্মে খুবই ভালো।

    ঢাকায় টিচিং এন্ড ট্রেনিং পেট হসপিটাল ও রিসার্চ সেন্টার স্থাপন, রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকে ভ্রাম্যমান গবেষণা তরী নির্মাণ, হাটহাজারীতে রিসার্চ এন্ড ফার্ম বেইজড ক্যাম্পাস ও কক্সবাজারে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনসহ সিভাসু অনেক উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়েছে যা দেখে আমি মুগ্ধ। সিভাসুর শিক্ষার্থীরা বিদেশে যাচ্ছে এবং বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষণা কর্মকে সমৃদ্ধ করার জন্য এধরণের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

    তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং পেশাজীবীদের এ সম্মেলন জ্ঞান ও গবেষণার নতুন ক্ষেত্র তৈরি করবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, আমি স্বপ্ন দেখি উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে সিভাসু একটি ‘সেন্টার অব এক্সেলেন্স’ হবে এবং কৃষি বিজ্ঞান বিষয়ে এটি হবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সিভাসু কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার গুণগত মান বজায় রাখার আহ্বান জানান।

    মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেড়েছে, কমেছে আবাদি জমির পরিমাণ। তারপরও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশ আজ বিদেশে খাদ্য রপ্তানি করছে। উন্নয়নের অনেক সূচকে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পাকিস্তানকে এবং কিছু কিছু সূচকে ভারতকেও অতিক্রম করেছে। আর এগুলোর সবই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে।

    আগে আমরা ঈদ-উল-আযহার সময় কোরবানির প্রাণীর জন্য পাশ্ববর্তী দেশের উপর নির্ভর করতে হতো। এখন আমাদের পর্যাপ্ত প্রাণিসম্পদ রয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে গবেষণা এবং নতুন নতুন আবিষ্কারের ফলে। আর এর পিছনে অবদান রয়েছে সিভাসু’র মতো বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় এবং গবেষকদের।

    বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গুণগত শিক্ষা ও গবেষণা ছাড়া দেশের ধারাবাহিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণে গবেষণার সুদূর প্রসারী ভূমিকা রয়েছে। সিভাসুকে গবেষণার উন্নত প্লাটফর্ম উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পেট্রোনাইজ করলে দেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে।

    দুইদিনের সম্মেলনে মোট ৭টি টেকনিক্যাল সেশনে ৪টি মূল প্রবন্ধ এবং ৫২টি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। সম্মেলনে বিষয়সংশ্লিষ্ট ৫২টি পোস্টার প্রদর্শিত হয়।

    আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ভারতসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রায় ৩০০ জন বিজ্ঞানী, গবেষক, শিক্ষাবিদ, পরিবেশবিদ, পেশাজীবী, এনজিও কর্মী, উন্নয়ন সহযোগী ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করছেন।

  • উই পোকা যেন সরকারের উন্নয়ন খেয়ে না ফেলে-তথ্যমন্ত্রী

    উই পোকা যেন সরকারের উন্নয়ন খেয়ে না ফেলে-তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, উই পোকা যেন সরকারের উন্নয়ন খেয়ে না ফেলে। জনগণের সামনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড যথাযথভাবে উপস্থাপনা করতে হবে।

    শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, পরপর তিন বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের দলে অনেক অনুপ্রবেশ ঘটেছে। এখন সবাই আওয়ামী লীগ হতে চায়। সবাই আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায়। যেমন তেমন লোক নৌকায় তোলার প্রয়োজন নেই। যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী ইতিমধ্যেই ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা একসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করতো সবাই এখন আওয়ামী লীগের নৌকায় উঠতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, একসময় যারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচরণ করতো, তারা নানাভাবে পদ পদবি পেয়েছে। এ আবর্জনা সম্মেলনের আগেই পরিষ্কার করতে হবে। পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই পদ-পদবির দাবিদার।

    দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। তাই মাদক নির্মূলে দলের সবাইকে কাজ করতে হবে। দলের কারণে আমরা রাষ্ট্রক্ষমতায়। দল আমাদেরকে রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে গেছে। কিছু মানুষের কারণে আমাদের দলের দুর্নাম হতে পারে না। তাই এ ব্যাপারে দলের সকল নেতাকর্মীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

    জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সভাপতিত্বে কক্সবাজার শহরের হিল ডাউন সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, আশেক উল্লাহ রফিক এমপি, নারী সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক মুকুল, সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদি, এথিন রাখাইন প্রমুখ।

    মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে ডঃ হাছান মাহমুদ কক্সবাজার বিমান বন্দরে পৌঁছলে তাকে ফুলের সম্ভাষণ জানান জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

    জেলা আওয়ামীলীগের মতবিনিময় সভা শেষে তথ্যমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ রামু আওয়ামী লীগ আয়োজিত একটি সভায় যোগদান করেন।