Tag: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান

  • ঢাকায় অবস্থানরতদের সহায়তা চসিককে সক্ষমতার ভিত্তি দেবে: সুজন

    ঢাকায় অবস্থানরতদের সহায়তা চসিককে সক্ষমতার ভিত্তি দেবে: সুজন

    চট্টগ্রামের সামগ্রিক উন্নয়নে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন ঢাকায় অবস্থানরত চট্টগ্রামের সন্তান সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সাংস্থার সাবেকও বর্তমান পদস্থ কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিসহ বিশিষ্ট নাগরিকদের সহযোগিতা প্রদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নগরী হওয়ায় জাতীয় অর্থনীতির হৃদপিন্ড। চট্টগ্রাম থেকে চীন পর্যন্ত সরাসরি সড়ক যোগাযোগ এবং বন্দরের মাধ্যমে পূর্ব ভারতের ৭টি রাজ্য, নেপাল ও ভূটানের সাথে ট্রানজিট লিংক এতদ্ অঞ্চলের অথনৈতিক সমৃদ্ধি ও শ্রী বৃদ্ধির সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে। তাই চট্টগ্রাম বাঁচলে শুধু দেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার যুগান্তকারী পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বৈল্পবিক ভূমিকা রাখবে।

    তিনি আজ ঢাকায় সমাজ উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক’র চেয়ারপার্সন হোসাইন জিল্লুর করিমের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে একথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, জাতীয় আয়ের ৮০ শতাংশেরও বেশি চট্টগ্রাম থেকে অর্জিত হলেও জাতীয় আয় বৃদ্ধির অনেকগুলো খাত নির্জিব রয়ে গেছে। এগুলোকে জাগিয়ে তোলা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, উপকূলীয় অঞ্চলে পর্যটন কেন্দ্র ও স্থাপনা গড়ে তোলা, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো দেশি-বিদেশী বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করা সম্ভব হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিশন-ভিশন অনুযায়ী বাংলাদেশ উন্নত দেশের মাইল ফলক স্পর্শ করবে।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি কল্পে আয়বর্দ্ধক প্রকল্প বাস্তবায়ন, প্রধান সেবা খাত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিভাগের গতিশীলতা আনয়ণে ঢাকায় অবস্থঅরতন চট্টগ্রামের বিশিষ্ট জন ও কৃতি সন্তনদের প্রণোদনামূলক সহায়তার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তাঁরা এগিয়ে এলে চসিক জনকল্যণমূখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়াবার ভিত্তি পাবে।

    ব্র্যাক চেয়ারপার্সন হোসাইন জিল্লুর করিম চসিক প্রশাসকের বক্তব্যের সাথে সহমত পোষণ করে বলেন, প্রশাসক হিসেবে খোরশেদ আলম সুজনের প্রচেষ্টা আশা জাগানিয়া। মহৎ ও ভালো কাজের জন্য যে মানসিক ও নৈতিক দৃঢ়তা প্রয়োজন তা থাকলে কোন কিছুই অসাধ্য নয়।

    তিনি আরো বলেন, সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকান্ড এবং রাস্তা-ঘাটের সংস্কার বর্তমানে যে গতি পেয়েছে সে গতি ধরে রাখতে পারলে চট্টগ্রাম নগরী অচিরেই একটি সুন্দর, সুস্থ এবং পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত হবে।

    তিনি চসিক প্রশাসকের যে কোন কর্মকান্ডে সর্বাত্নক সহযোগিতার আশ্বাসও প্রদান করেন। সেসময় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব ও ব্র্যাকের উপদেষ্টা আবদুল করিম, চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ব্র্যাক প্রধান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মা করোনা আক্রান্ত ছিলেন

    ব্র্যাক প্রধান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মা করোনা আক্রান্ত ছিলেন

    তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্র্যাক প্রধান নির্বাহী ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের রত্নগর্ভা মা জোহরা বেগম করোনা আক্রান্ত ছিলেন।

    মারা যাওয়ার আগে তিনি নগরীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছিলেন।

    মরহুমা জোহরা বেগমের ছোট ছেলে আমেরিকার ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. আদনান মোর্শেদ লিখিত একটি দৈনিকে প্রকাশিত কলামে লিখেছেন, মা ঘর থেকে বের হন না, তারপরও চট্টগ্রামের নিজের বাসায় অপ্রত্যাশিতভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ১৩ জুনের দিকে। আমার বোন আর ভাই ডাক্তার। আমি নিজে পৃথিবীর আরেক প্রান্তে থাকলেও নিশ্চিন্তে থাকি এই ভেবে যে বোন আর ভাই মাকে সুস্থ করে তুলবে। মায়ের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকল। একসময় পারিবারিক প্রভাব খাটিয়ে একটা প্রাইভেট ক্লিনিকের আইসিইউতে জায়গা পাওয়া গেল। সেখানকার পরিস্থিতি অপ্রতুল। অনেক কষ্টে করোনা প্রতিরোধে জনপ্রিয় ও প্রয়োজনীয় জোগাড় করা গেল। কিন্তু ওষুধ দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই মায়ের কিডনি অকেজো হয়ে যায়।

    প্রসঙ্গত, তাদের মা জোহরা বেগম (৮৭) গত বুধবার (১৭ জুন) ভোর রাতে নগরের পাঁচলাইশ নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/এ আর

  • এক মহীয়সী মায়ের বিদায়/ মানব কল্যাণে নিয়োজিত সমাজের সর্ব উচ্চ শিখরে থাকা ৪ সন্তান

    এক মহীয়সী মায়ের বিদায়/ মানব কল্যাণে নিয়োজিত সমাজের সর্ব উচ্চ শিখরে থাকা ৪ সন্তান

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আলীউর রহমান : ড. হোসেন জিল্লুর রহমান, ডাক্তার তাহমিনা বানু, ডাক্তার মহসীন জিল্লুর করিম, ড. আদনান মোর্শেদ চারজনই দেশের নক্ষত্র। তাদের মা জোহরা বেগম (৮৭) মঙ্গলবার রাত দুইটায় পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন।

    নিরবে আড়ালে থেকে আজীবন তিনি নিজ সন্তানদের মানুষের কল্যাণে কাজ করার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। একজন মায়ের চার সন্তান সমাজের সর্ব উচ্চ শিখরে অবস্থান করে গণমানুষের কল্যাণে কাজ করে এমন নজির দেশে বিরল। তিনি চন্দনাইশের বড়মা গ্রামের ডাক্তার আবদুল মতিন স্ত্রী।

    চার সন্তানের পরিচিতি :

    (১) ড. হোসেন জিল্লুর রহমান : জন্ম ২৬ জুলাই ১৯৫১। তিনি একজন শিক্ষাবিদ, অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাকের চেয়ারম্যান। তিনি ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন এবং বাণিজ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

    বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, যুক্তরাজ্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগ, ডেনিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা, সুইডিশ আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতা সংস্থা, টেকসই উন্নয়ন কমিশন, অ্যাকশন এইড, জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সংস্থার পরামর্শদাতা ছিলেন। তাছাড়াও বাংলাদেশের নীতি নির্ধারক ও সুশীলদের একজন হিসেবে পরিচিত ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।

    (২) ডাক্তার তাহমিনা বানু : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে অধ্যাপক হিসাবে অবসর গ্রহনকারী এই মহিয়সী নিজে ঘর সংসার করেননি। দেশের ক্রটি নিয়ে জন্মগ্রহণ কারী কঠিন রোগে কষ্ট পাওয়া শিশুরাই তার সন্তান।

    ১৯৯৩ সালে ডা. তাহমিনা বানুর হাত দিয়ে যাত্রা করে শিশু সার্জারি বিভাগ। দেশে অসংখ্য শিশুর ক্রিটিক্যাল অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে ‘শিশুবন্ধু’ খ্যাত এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে। অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছেন শিশু সার্জারিসহ চিকিৎসা নিয়ে নানা গবেষণা।

    শিশু সার্জারি জগতে আন্তর্জাতিক আঙিনায় ইতিমধ্যে তৈরি করেছেন নিজের সর্বোচ্চ অবস্থান। দেশি ৬৯টি এবং আন্তর্জাতিক ৪১টি চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ।

    বিশ্বে প্রথম তিনি জন্মগত ত্রুটির ওপর গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেন ২০১৩ সালে। এর আগে বিষয়টি ভারতে আলোচনা হলেও লিখিতভাবে প্রথম আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ হয়। তাছাড়া, বর্তমানে দেশের একমাত্র চিকিৎসক তিনি, যিনি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অক্সফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবে ক্লাস নেন।

    তাঁর ‘লো কস্ট কোলাবোরেট’ ফান্ড ২০১৭ সালে যাত্রা করা এ ফান্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যে ২৫০ জন রোগীর সেবা দেওয়া হয়েছে। যেখানে কোটি টাকার চিকিৎসা খরচ হয় শিশুদের এমন জটিল রোগ বিনা পয়সায় অথবা সামর্থ্য অনুযায়ী ফিতে করা হয়।

    (৩) ডাক্তার মহসীন জিল্লুর করিম : MBBS, MRCP, FRCP, FACC. Cardiacare Heart and General HospitalSt। দেশের নাম করা কার্ডিয়াক বিশেষজ্ঞ। তিনি গত ১৫ বছর ধরে নিজ এলাকা চন্দনাইশে ফ্রি ক্লিনিক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামে যে কোন চ্যারিটি চিকিৎসা ক্যাম্পে ডাকলেই চলে আসেন।

    (৪) ড. আদনান মোর্শেদ : তিনি বর্তমানে স্কুল অফ আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিং, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়াশিংটন ডিসির সহযোগী অধ্যাপক। এমআইটি, এবং বি আর্চ থেকে আর্কিটেকচারে মাস্টার্স ওপিএইচডি করেছেন।

    তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করেছেন। ওয়াশিংটন, ডিসির স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনের জাতীয় বায়ু ও মহাকাশ যাদুঘরে স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন তিনি।

    তিনি সোসাইটি অফ আর্কিটেকচারাল হিস্টোরিস্টসের পরিচালনা পর্ষদে, মানবিক অনুদানের জন্য জাতীয় অনুদানের জন্য জুরি এবং সম্প্রতি, অ্যালিস ডেভিস হিচকক বই পুরস্কারের জন্য সোসাইটি অব আর্কিটেকচারাল হিস্টোরিয়ানস কমিটির সভাপতিত্ব করেছেন।

    আদনান মোর্শেদকে ন্যাশনাল গ্যালারী অফ আর্টের ভিজ্যুয়াল আর্টস (সিএএসভিএ) এর সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিতে ওয়াইথ ফেলোশিপ, অন্যদের মধ্যে অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন; ওল্ফসোনিয়ান-ফ্লোরিডা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়; আর সোসাইটি অফ আর্কিটেকচারাল হিস্টোরিয়ানস।

    তাঁর গবেষণা গ্রাহাম ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল এন্ডোমেন্ট ফর হিউম্যানিটিস এবং এমআইটি থেকে সম্মানজনক গবেষণা অনুদান পেয়েছে। তিনি ইম্পসিবল হাইটস: স্কাইস্ক্রেপার্স, ফ্লাইট এবং মাস্টার বিল্ডার (ইউনিভার্সিটি মিনেসোটা প্রেস, ২০১৫) এবং ওকুলাস: অ্যাডসাইড অফ ইনসাইটস ইন বাংলাদেশি অ্যাফেয়ার্স (ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ২০১২)।

    তিনি আধুনিক স্থাপত্য ও নগরবাদের ইতিহাস এবং তত্ত্ব, নগর পরিবেশ ও জেন্ডার ন্যায়বিচার এবং উন্নয়নশীল দেশগুলিতে টেকসই নগর পরিকল্পনার বিষয়ে বিশ্বজুড়ে বক্তৃতা দিয়েছেন।

    তাঁর নিবন্ধগুলি সোসাইটি অফ আর্কিটেকচারাল হিস্টোরিয়ানস, জার্নাল অফ আর্কিটেকচারাল এডুকেশন, জার্নাল অফ সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ, থ্রেশহোল্ডস (এমআইটি), সেন্টার (আর্ট গ্যালারী অফ আর্ট), কনস্ট্রাক্টস (ইয়েল), নিউ জিওগ্রাফিজ (হার্ভার্ড), স্থাপত্য নকশা এবং dition ঐতিহ্যগত আবাসন এবং সেটেলমেন্ট পর্যালোচনা। আরো পড়ুন : মারা গেছেন ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের মা

    তিনি বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক রেফার্ড জার্নালের জন্য পর্যালোচক হিসাবে কাজ করেছেন। ২০১২ সালে, তিনি দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি শহর: ঢাকা, দিল্লি এবং চণ্ডীগড়ে সোসাইটি অব আর্কিটেকচারাল হিস্টোরিয়ান্সের অধ্যয়ন সফরে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

    বর্তমানে তিনি প্রফেসর মার্ক জারজমবেকের নেতৃত্বে এমআইটি’র গ্লোবাল আর্কিটেকচার হিস্ট্রি টিচিং কোলাবরেটিভকে M1M মেলন ফাউন্ডেশন মঞ্জুরি বোর্ডেও কাজ করছেন। একজন অনুশীলনকারী স্থপতি এবং নগরবিদ, আদনান মোর্শেদ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, লেবানন, মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশে ভবনগুলি নকশা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স