Tag: ঢাকা

  • ঢাকায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা

    ঢাকায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা

    চারদিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে এসেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় তিনি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।

    বিমানবন্দরে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এসময় তাকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা দেওয়া হয়।

    পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৪-১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সফর করবেন জোসে রামোস হোর্তা। তার সফরে অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি হবে। এছাড়া সফরকালে ঢাকায় পূর্ব তিমুরের অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়ে ঘোষণা আসবে।

    গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এ সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিন জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হোর্তার এই সফরে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে।

    তিনি জানান, তিমুর লেস্তের রাষ্ট্রপতির সরকারি সফরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ও একটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেগুলো হলো-অফিসিয়াল এবং কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি ও দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক পরামর্শমূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাবিষয়ক সমঝোতা স্মারক।

    পররাষ্ট্র সচিব জানান, এই দুটি সমঝোতা সইয়ের মাধ্যমে তিমুর লেস্তের সঙ্গে একটি ব্যাপক অংশীদারত্বের দিকে এগিয়ে যেতে পারবো এবং দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা স্থাপনের মধ্যে দিয়ে দুদেশই লাভবান হতে পারবো। এই সফরকালে বাংলাদেশে তিমুর-লেস্তে অনারারি কনস্যুলেট খোলার বিষয়েও ঘোষণা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    তিনি জানান, দুদেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, বিমান পরিষেবা, সাংস্কৃতিক বিনিময়, শিক্ষা, পেশাদার ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ক্ষুদ্রও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) এবং ক্ষুদ্র অর্থ ও ক্ষুদ্রঋণসহ দারিদ্র্য বিমোচনের বিষয়ে চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, সমঝোতা সহযোগিতা সইয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

  • ঢাকায় পৌঁছেছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল

    ঢাকায় পৌঁছেছে বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল

    বাংলাদেশে টেকসই অর্থনীতি, স্থিতিশীলতা, প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি অর্থবহ ও মানসম্পন্ন চাকরির ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে ৪ দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছে বাইডেন প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল।

    শুক্রবার সকালে ঢাকায় পৌঁছে শ্রমিকের কাজের পরিবেশ এবং বিস্তারিত নিয়ে শ্রমিক সংগঠন সলিডারিটি সেন্টারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তারা। এদিন দুপুরে বৈঠক করবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর সঙ্গে। এছাড়াও সরকারি প্রতিটি পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে।

    প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন আন্তর্জাতিক শ্রমবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি কেলি এম ফে রজরিগেজ এবং শ্রম বিভাগের পক্ষে ডেপুটি আন্ডার সেক্রেটারি থিয়া লি।

    সফরকালে প্রতিনিধি দল অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকর্তা, পোশাক শিল্পের মালিকপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়নের অংশীজনের সঙ্গে দেখা করবে। তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগ করা মার্কিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বৈশ্বিক শ্রম বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতি, গণতন্ত্র ও শ্রমিকদের কীভাবে সর্বোত্তমভাবে সহায়তা করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা করবে তারা।

    এই সফরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রমের মান; সেই সঙ্গে টেকসই প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অগ্রগতির প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

  • আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

    আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

    কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে আজারবাইজানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

    সোমবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।

    প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।

    আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে এবার কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

    শফিকুল আলম বলেন, জলবায়ু সম্মেলন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ১১-১৪ নভেম্বর আজারবাইজানে সরকারি সফরে থাকবেন।

    তিনি জানান, এই সফরে প্রধান উপদেষ্টা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাবেন। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ বাকুতে নিজেদের দাবি-দাওয়া এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ যে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে- এসব বিষয় তিনি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবেন।

    তিনি আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূস কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলনের বিভিন্ন ফোরামে বক্তব্য রাখবেন এবং সেখানে অংশগ্রহণকারী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

    বাংলাদেশ যে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে, সেটিও তুলে ধরা হবে এই সম্মেলনে।

    ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটি ড. ইউনূসের দ্বিতীয় বিদেশ সফর। তার প্রথম সফর ছিল নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম সাধারণ অধিবেশন।

    এর আগে প্রধান উপদেষ্টা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেশের অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য একটি বিশেষ লাউঞ্জ উদ্ধোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, অভিবাসী শ্রমিকরা আমাদের মেহমান।

  • ‘লন্ডভন্ড’ ঢাকা, মোড়ে মোড়ে সহিংসতার ক্ষতচিহ্ন

    ‘লন্ডভন্ড’ ঢাকা, মোড়ে মোড়ে সহিংসতার ক্ষতচিহ্ন

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল রাজধানী ঢাকা। দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষে ১৯৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে (সূত্র প্রথম আলো)। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুক্রবার রাতে (১৯ জুলাই) ঢাকাসহ সারাদেশে কারফিউ জারির পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করে সরকার।

    কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয় ১ জুলাই। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার পরদিন থেকে সারা দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ১৮ থেকে ২০ জুলাই—এই তিন দিনে সবচেয়ে বেশি হতাহত হয় এবং ৮৯টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বিটিভি, সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে হামলার ঘটনা ঘটে।

    বুধবার (২৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন পুলিশ বক্সটি যেন ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে। ভেতরে থাকা চেয়ার-টেবিল, খাতাপত্রসহ সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এমনকি আন্দোলনের সময় দেওয়া আগুনে অন্তত ১০-১৫টি পুলিশের মোটরসাইকেল, একাধিক পুলিশ ভ্যান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ বক্সটির পাশেই কিছু পুলিশ সদস্য বসে থাকলেও তারা আতঙ্কে আছেন, কখন যেন ভেঙে পড়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ বক্সটি।

    জানা গেছে, কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের শাটডাউন কর্মসূচিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলি ও একাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী মৃত্যুর খবরে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা৷ আগুন নেভাতে খিলগাঁও ফায়ার স্টেশন থেকে পানিবাহী গাড়ি বের হলে রাস্তায় গাড়িটি আটকে দেয় উত্তেজিত জনতা। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের মারধর করে গাড়িটিকে স্টেশনে ফিরে যেতে বাধ্য করে।

    এতে রাষ্ট্রায়ত্ত এই টেলিভিশনটির একাধিক গাড়ি, ক্যান্টিনসহ বিভিন্ন অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বেলা পৌনে ৩টায় আগুনের সূত্রপাত হলেও রাত ৯টার দিকেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস বা কোনো উদ্ধারকারী বাহন। ফলে প্রায় ৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা এই অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় টেলিভিশনটি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যেদিকেই চোখ যায়, সেদিকেই যেন শুধু তান্ডবের ক্ষতচিহ্ন।

    রামপুরা-মালিবাগ এলাকায় গিয়েও পুলিশ বক্সসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞের দেখা পাওয়া যায়। গতকাল পর্যন্ত মালিবাগ রেলগেট থেকে আবুল হোটেল হয়ে রামপুরা পর্যন্ত মূল সড়কে গত কয়েক দিনের আন্দোলন ও সংঘর্ষের বিভিন্ন ক্ষতচিহ্ন ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকতে দেখা যায়। সড়কের পাশে কোথাও উপড়ে ফেলা রোড ডিভাইডার, ইটের টুকরা ইত্যাদিও পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

    রামপুরা এলাকার টিভি রোডের বাসিন্দা মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, বেলা পৌনে ৩টার দিকে সর্বপ্রথম বিটিভিতে আক্রমণ শুরু হয়। এসময় ক্যান্টিনের সামনের একটি গাড়িতে আগুন ও ক্যান্টিন ভাঙচুর করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলনের পক্ষে এবং বিভিন্নস্থানে পুলিশের গুলিতে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এরপর দলে দলে আরও শিক্ষার্থী আসতে থাকেন, এ সময় স্থানীয় কিছু মানুষও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দেয়। এক পর্যায়ে ভয়ে-আতঙ্কে দৌড়ে তিনি বাসায় চলে যান।

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, সেদিন রামপুরায় পুলিশ ছাত্রদের ওপর প্রথম গুলি ছুড়ে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলা ও গুলির খবর শোনার পর ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়কে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। এ সময় রামপুরায় অবস্থান করা পুলিশ সদস্যরা তাদের ওপর গুলি চালায় এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এরপরই আশেপাশের স্থানীয় মানুষ আর ছাত্ররা রামপুরার দিকে দৌড়ে আসে, এসময় পুলিশের গুলিতে আরও কয়েকজন আহত হন। এক পর্যায়ে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

    মালিবাগ এলাকার আরেক বাসিন্দা বলেন, আন্দোলনে এই এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা ছিল। যে কারণে তাদের সংখ্যা বেশি থাকায় সেদিন পুলিশ অনেকটাই কোণঠাসা ছিল। শুরুতে পুলিশ গুলি করলেও এক পর্যায়ে তারা পিছু হটে এবং শিক্ষার্থীরা পুরো রামপুরা-মালিবাগ এলাকা দখল নেয়। গত ১৭ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত প্রায় ৫দিন রামপুরা এলাকায় কোন পুলিশ বা অন্যকোনো বাহিনী ঢুকতে পারেনি।

    মহাখালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে গিয়ে দেখা গেছে, দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে অধিদপ্তরের পুরো ১০ তলা ভবন পুড়ে গেছে। ভবনের নিচে জেনারেটর, সার্ভার স্টেশনসহ সম্পূর্ণ ফ্লোরই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

    গত ১৮ জুলাই মহাখালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তেজগাঁও ফায়ার স্টেশন থেকে একটি পানিবাহী গাড়ি, একটি ইঞ্জিনবাহী গাড়ি এবং একটি অ্যাম্বুলেন্সবাহী গাড়ি রওনা হয়। উত্তেজিত জনতা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে গাড়িটি আটকে ভাঙচুর করে।অ্যাম্বুলেন্সটি ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় পাঁচজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হন।

    এর পরদিনই (১৯ জুলাই) মোহাম্মদপুরের সলিমুল্লাহ রোডের একটি আগুনের ঘটনায় পানিবাহী ও পাম্পটানা গাড়ি দুটি ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

    মহাখালী এলাকার ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ১৮ জুলাই মহাখালীর আমতলী মোড় থেকে বীর উত্তম একে খন্দকার সড়কে আন্দোলনকারী একদল যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসে। তারা তিতুমীর কলেজের আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সামনে এসে ইটপাটকেল ছোড়ার পাশাপাশি সড়কে এবং ভবনটির প্রবেশপথের সামনে থাকা কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে পাশে থাকা গাড়িগুলোতে আগুন ধরে যায়। আধা ঘণ্টা জ্বলার পর আগুন ওই ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে।

    এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাঝে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ৫০০ কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

    ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত হবে তা জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল ওয়াদুদ গণমাধ্যমকে বলেন, আগুনে ভবনের ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার পুড়ে গেছে, যেখান থেকে সারা দেশে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। দেশে যেকোনো দুর্যোগ হলে এখান থেকে ত্রাণ বা সহায়তা দেওয়া হয়। এছাড়াও ভবনের সামনে ও পার্কিংয়ে অধিদপ্তরের ৫৩টি গাড়ি এবং ১৩টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি অন্তত ৫০০ কোটির বেশি হবে।

    এদিকে বাংলাদেশ টেলিভিশনের হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ডিজি ড. জাহাঙ্গীর আলম।

    তিনি বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা যায়নি। তবে আমরা আশঙ্কা করছি কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি তো হবেই। তারা বিটিভির কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে, ক্যামেরাসহ অনেককিছুই পুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক যন্ত্রপাতি লুটপাটও করেছে। স্পেসিফিক ক্ষতির পরিমাণ বের করতে হলে তো আমাকে তালিকা করতে হবে। তারপরও আমি ক্ষতির পরিমাণটা নির্ধারণ করতে পারব না।

    তিনি বলেন, ছাত্ররা আমাদের ১৭টি গাড়ি পুড়িয়েছে, ৯টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে, দুইটি সম্প্রচার ভ্যান পুড়ানো হয়েছে। এছাড়াও আগুনে বিল্ডিংয়ের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবমিলিয়ে ভয়াবহ একটা হামলা ও অগ্নিকাণ্ড বিটিভিতে হয়েছে, যেই পরিস্থিতি আমাদের পক্ষে তুলে ধরাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

  • ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন

    ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন

    চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি জানান, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া ও রাজশাহীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

    প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।

    গতকাল সোমবার দুপুর থেকে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত থেমে থেমে চলা সংঘর্ষে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। রাত ১০টার পর আন্দোলনকারীরা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন এবং সারা দেশের সব পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে তাদের সমর্থনে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।

    আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর ১৫-২০টি স্থানে একযোগে সড়ক অবরোধ শুরু করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অবরোধে গোটা রাজধানী অচল হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, বগুড়াসহ দেশের প্রায় সর্বত্র শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে এসেছেন। দুপুরের পর থেকে ঢাকার সায়েন্সল্যাব ও চানখারপুল এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সংঘর্ষ শুরু হয়।

    শেষ খবর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রংপুরে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে ৫ জন নিহত হয়েছেন।

  • ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলবে আরও একজোড়া নতুন ট্রেন

    ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলবে আরও একজোড়া নতুন ট্রেন

    ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে আরও একজোড়া নতুন ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন এ ট্রেনের রেক তৈরি করা হবে কোরিয়ান কোচ দিয়ে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে এটি শুরু করতে পারে।

    বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

    চিঠিতে বলা হয়, পর্যটকদের চাহিদার প্রেক্ষিতে ঢাকা-কক্সবাজার-ঢাকা রুটে সদ্য আমদানি করা কোরিয়ান কোচ দিয়ে আরও একজোড়া ননস্টপ আন্তঃনগর ট্রেন পরিচালনা করা যেতে পারে।

    নতুন এ ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তিনটি। নামগুলো হচ্ছে- পালংকি এক্সপ্রেস, তরঙ্গ এক্সপ্রেস এবং প্রবাল এক্সপ্রেস। নতুন এ ট্রেনের নাম্বার হবে ৮১৫ এবং ৮১৬। ট্রেনটি ৩২টি বগির ওপর ১৬টি কোচ নিয়ে চলবে। ট্রেনের আসন সংখ্যা হবে ৭৮০টি। রোববার থাকবে ট্রেনের সাপ্তাহিক বন্ধ।

    প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি (৮১৫) কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ৮টায়। চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে এবং ছাড়বে ১১টা ১৫ মিনিটে। ট্রেনটি বিমানবন্দর স্টেশনে পৌঁছাবে রাত ৩টা ৫০ মিনিটে ও ছাড়বে ৩টা ৫৩ মিনিটে এবং ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে রাত সাড়ে ৪টায়।

    অন্যদিকে ৮১৬ নাম্বার ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে। বিমানবন্দর স্টেশন পৌঁছাবে ভোর ৬টা ৩৮ মিনিটে ও ছাড়বে ৬টা ৪৩ মিনিটে, চট্টগ্রাম স্টেশনে পৌঁছাবে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে ও ছাড়বে ১১টা ৪০ মিনিটে এবং কক্সবাজার স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ৩টায়।

  • ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ

    ঢাকা থেকে কক্সবাজার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ

    ঢাকা থেকে কক্সবাজার রুটে ১২৫ টাকা সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করে ট্রেন ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত বাণিজ্যিক দূরত্ব ৫৩৫ কিলোমিটার ধরে এ ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।

    প্রকাশিত তালিকাতে দেখা গেছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজার যেতে সর্বনিম্ন ভাড়া লাগবে ১২৫ টাকা আর মেইল ট্রেনে লাগবে ১৭০ টাকা। শোভন চেয়ারে ৫০০ ও এসি বার্থে (ভ্যাটসহ) পড়বে এক হাজার ৭২৫ টাকা।

    এ ছাড়া সুলভ শ্রেণির ২৫০, শোভন শ্রেণির ৪২০, প্রথম চেয়ার/সিট ভাড়া (ভ্যাটসহ) ৬৭০, প্রথম বার্থের (ভ্যাটসহ) এক হাজার, স্নিগ্ধা শ্রেণির (ভ্যাটসহ) ৯৬১ এবং এসি সিট শ্রেণির ভাড়া এক হাজার ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর কমিউটার ট্রেনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২১০ টাকা।

    রেলওয়ের পরিবহন বিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আরও দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন সার্ভিস চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ না হওয়ায় আপাতত ঢাকা থেকে প্রতিদিন এক জোড়া ও চট্টগ্রাম থেকে এক জোড়া ট্রেন চালানো হবে। রেক বা কোচ ও ইঞ্জিন পাওয়া সাপেক্ষে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারে আরও একজোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালানো হবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে।

    ঢাকার ট্রেনটি (৮১৪) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছবে। ফিরতি পথে বেলা ১টায় কক্সবাজার থেকে ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছবে। সময় লাগবে ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিট। ট্রেনটি শুধু চট্টগ্রাম স্টেশনে ৩০ মিনিটের যাত্রাবিরতি দেবে।

    অন্যদিকে ৮২৪ নম্বর ট্রেন কক্সবাজার থেকে সকাল ৭টায় ছেড়ে বেলা ১০টা ৫ মিনিটে চট্টগ্রাম পৌঁছবে। সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা ৫ মিনিট। অন্য ট্রেনটি (৮২১) সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে ১০টা ২০ মিনিটে কক্সবাজারে পৌঁছবে। সময় লাগবে ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট।

    ঢাকা-কক্সবাজার আন্তঃনগরে কোচ থাকবে ১৮টি। আসন থাকবে দিনের বেলায় ৮২৪টি, রাতে ৭৭৯টি। অন্তত ২০ শতাংশ আসন চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

    চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের আন্তঃনগর ট্রেনটি ষোলশহর, জালানী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে যাত্রাবিরতি দিয়ে কক্সবাজারে যাত্রী পরিবহণ করবে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের ট্রেনটির রেকে মোট কোচ সংখ্যা হবে ১২টি। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রীরা সকালে গিয়ে রাতেই চট্টগ্রামে ফিরতে পারবেন।

    বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ১ ডিসেম্বর থেকে কক্সবাজারে ট্রেন চালাতে আমরা প্রস্তুত। প্রথম ট্রেনটি চলাচল শুরু করবে ঢাকা থেকে। দ্বিতীয় বাণিজ্যিক ট্রেনটি চলবে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম।

    কক্সবাজারকে ঘিরে অন্তত ছয় জোড়া ট্রেনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হলেও শুরুতে দুই কিংবা তিন জোড়া ট্রেন চালানো হবে। পর্যায়ক্রমে বাকি ট্রেনগুলো চালানো হবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে (পূর্বাঞ্চল) চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম।

    গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কাছাকাছি নির্মিত দেশের প্রথম এবং এশিয়ার বৃহত্তম দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রেলস্টেশন চত্বরে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের রেল চলাচলও উদ্বোধন করেন তিনি।

  • বিশ্বের বাসযোগ্য ১৭৩ শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬

    বিশ্বের বাসযোগ্য ১৭৩ শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৬৬

    বিশ্বের বাসযোগ্য শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। ২০২৩ সালের এই ইনেডেক্সে ১৭৩ শহরের মধ্য বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১৬৬তম।

    তালিকার শীর্ষে আছে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা। এরপরে যথাক্রমে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, সিডনি, কানাডার ভ্যানকুভার, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, কানাডার ক্যালগেরি, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা, কানাডার টরন্টো। আর যৌথভাবে ১০ নম্বরে রয়েছে জাপানের ওসাকা ও নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড।

    তালিকার শেষের দিক থেকে যথাক্রমে রয়েছে সিরিয়ার দামেস্ক, লিবিয়ার ত্রিপোলি, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, নাইজেরিয়ার লাগোস, পাকিস্তানের করাচি, পাপুয়া নিউ গিনির পোর্ট মোর্সবি, বাংলাদেশের ঢাকা, জিম্বাবুয়ের হারারে, ইউক্রেনের কিয়েভ ও ক্যামেরুনের দৌয়ালা।

    গত বছরও বাসযোগ্য শহরের তালিকায় ১৬৬তম অবস্থানে ছিল ঢাকা। তালিকায় শেষের দিকে থাকা শহরগুলো বসবাসের জন্য একেবারেই অযোগ্য বলে মনে করা হয়।

    তাছাড়া ২০২২, ২০১৮ ও ২০১৯ সালেও বসবাসযোগ্য শহরগুলোর মধ্যে শীর্ষে ছিল ভিয়েনা। তবে ২০২১ সালের জরিপে বসবাসের যোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান দখল করে নিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড।

    বসবাসযোগ্য শহরের তালিকা করা হয় পাঁচটি দিক বিবেচনা করে। সেগুলো হলো স্থায়িত্ব, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো।

     

  • ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

    ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত

    রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৬ জুন) বেলা ১০টা ৪৭ মিনিটের দিকে কেঁপে উঠে এই সব এলাকা।

    ভলকানো ডিসকোভারি নামের একটি সাইটে বলা হচ্ছে, ভূমিকম্পটি ছিল ৪ দশমিক ৮ মাত্রার। এর উৎসস্থলের দূরত্ব সিলেট থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে শিলচরে। যার প্রভাব বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়।

    সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টেও অনেক ব্যবহারকারী দুটি মৃদৃ কম্পনের কথা উল্লেখ করেছেন।

  • বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা

    বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ঢাকা

    বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে উঠেছে রাজধানী ঢাকা।

    শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ১৮ মিনিটে বায়ু মানের সূচক (একিউআই) অনুযায়ী ঢাকায় বাতাসের মান ছিল ২৮৩। সেই হিসেবে ঢাকাকে দ্বিতীয় অবস্থানে রাখা হয়েছে।

    এ ছাড়া একিউআই স্কোর ২৯৪ নিয়ে শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর। ২২৪ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে পাকিস্তানের করাচি।

    তথ্যমতে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে থাকলে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়।

    ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

  • ঢাকায় আসছেন দক্ষিণ এশিয়ার ৪ শীর্ষ নেতা

    ঢাকায় আসছেন দক্ষিণ এশিয়ার ৪ শীর্ষ নেতা

    ঢাকা সফরে আসছেন দক্ষিণ এশিয়ার চার শীর্ষ নেতা। নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারি ও মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইবরাহিম মোহামেদ সলিহ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে চলতি মাসেই ঢাকায় আসবেন।

    বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত নিরাপত্তা বিষয়ক উপকমিটির সভা শেষে কমিটির আহ্বায়ক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আগামী ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী ধারাবাহিকভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। অনুষ্ঠানে দুটি দেশের রাষ্ট্রপতি ও দুটি দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন।

    অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এখন পর্যন্ত ভারত ও শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী এবং নেপাল ও মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির সফরে আসার কথা রয়েছে।

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিদেশি কূটনীতিকদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিদেশি অতিথিদের যাতায়াতে এবং যেসব হোটেলে তারা অবস্থান করবেন, সেগুলোর ভেতরে ও বাইরে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সব অনুষ্ঠানে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে। অনুষ্ঠানস্থলে অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিস রাখা হবে। সঙ্গে জরুরি মেডিকেল সাপোর্টও রাখা হবে।

    জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বয়ের জন্য একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে সব ধরনের ইউটিলিটি সেবাও থাকবে। এছাড়া মশক নিধনের ব্যবস্থাও করা হবে।

    অনুষ্ঠান চলাকালে যানজট এড়াতে কী পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের পুলিশ প্রধানসহ নিরাপত্তা বাহিনী এটা নিয়ে কাজ করবে। তারা অনুষ্ঠানের আগে সুনির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দেবে কীভাবে যান চলাচল করবে, কোন রাস্তা কতক্ষণের জন্য বন্ধ থাকবে।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

  • বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সবার শীর্ষে ঢাকা

    বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সবার শীর্ষে ঢাকা

    বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) শুক্রবার সকালে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। সকাল ১০টা ৩২ মিনিটে ২১৬ একিউআই স্কোর নিয়ে রাজধানীর বাতাস বিবেচিত হয় ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে।

    শুক্রবার ভিয়েতনামের হ্যানয় এবং আফগানিস্তানের কাবুল যথাক্রমে ২০৯ ও ২০৫ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।

    শীতের শুষ্ক মৌসুমে প্রতি বছরই ঢাকার বাতাস গুরুতর হয়ে উঠে। তবে এবার কোভিড-১৯ মহামারির কারণে চলাচল সীমিত এবং সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মনে করা হয়েছিল বাতাসের মানে উন্নতি হবে। কিন্তু নির্মাণ কাজের আধিক্যের কারণে বাতাস অস্বাস্থ্যকরই থেকে গেছে।

    একিউআই সূচকে ১৫১ থেকে ২০০ এর মাঝে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এ সময় প্রত্যেকের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আর সংবেদনশীল মানুষদের ঝুঁকির মাত্রা থাকে গুরুতর।

    প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।

    একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। এ সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। তবে একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ার সম্ভাবনা থাকে।

    এছাড়া একিউআই মান ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এ সময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়।

    বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

    গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মৌসুমি জলবায়ুর কারণে বাংলাদেশে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে বৃষ্টিপাত, উচ্চ তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতায় বৈচিত্র্য দেখা যায়।