Tag: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন

  • উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলে রাখলে ওয়াসাকে জরিমানা করা হবে : তাপস

    উন্মুক্ত স্থানে ময়লা ফেলে রাখলে ওয়াসাকে জরিমানা করা হবে : তাপস

    নর্দমা থেকে ময়লা-আবর্জনা তুলে উন্মুক্ত স্থানে ফেলে রাখলে ঢাকা ওয়াসাকে জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

    আজ রবিবার (২১ জুন) ডিএসসিসির দুটি স্পটে নর্দমা পরিষ্কারকরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এমন হুঁশিয়ারি দেন।

    তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসার কর্মীরা অনেক সময় কাজ শেষে রাস্তায় ময়লা ফেলে রাখে। আপনারা নর্দমা পরিষ্কার করে রাস্তায় আর ময়লা ফেলে রাখতে পারবেন না। তা হলে জরিমানা করা হবে, আপনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এদিন দক্ষিণ সিটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সংলগ্ন নর্দমা পরিষ্কার করা হয়। এ কার্যক্রম বছরব্যাপী চলবে বলে জানান মেয়র তাপস।

    তিনি বলেন, এ কার্যক্রম স্বল্প সময়ের জন্য নয়, চলমান থাকবে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডের সকল নর্দমা মাসে দুবার করে পরিষ্কার করা হবে।

    সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে জনগণকেও সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোথাও যদি নর্দমা আটকে যায়, যদি উপচে পড়ে কিংবা যদি কোথাও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, তা হলে আপনারা কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সিটি করপোরেশনকে জানাবেন। তার পরও যদি সুরাহা না হয়, তা হলে সরাসরি আমাকে জানাবেন।

    এ সময় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. এমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, সচিব আকরামুজ্জামান এবং ২২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দায়িত্ব নিয়েই দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করলেন মেয়র তাপস

    দায়িত্ব নিয়েই দুই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করলেন মেয়র তাপস

    দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিনেই দুর্নীতির অভিযোগে দুই কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

    চাকরিচ্যুত দুই কর্মকর্তা হলেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই কমিশন বাণিজ্য, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

    রবিবার সন্ধ্যায় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ ইমদাদুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে দুপুরে নগর ভবনে করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেন নতুন মেয়র।

    মেয়র বলেন, ‘দুর্নীতি এবং দায়িত্ব পালনে কোনোরূপ শৈথিল্য বরদাশত করা হবে না। এধরনের কোনো কিছু নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং যত বড় কর্মকর্তাই হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। এজন্য যদি কাউকে বিদায় দিতে হলেও পিছুপা হবো না।’

    গত ১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস। আগের মেয়র সাঈদ খোকনের মেয়াদ শেষ না হওয়ায় তাকে কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়। গতকাল শনিবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঢাকা দক্ষিণে তাপসের জয়

    ঢাকা দক্ষিণে তাপসের জয়

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে তাপস নূর।

    তিনি বিপুল ব্যবধানে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে পরাজিত করেছেন।

    ভোটগ্রহণ শেষে বিভিন্ন কেন্দ্রের ফল সন্নিবেশিত করে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে এই ফল ঘোষণা করেন এই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন।

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ১১৫০টি কেন্দ্রের সব কটিতেই চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। এর মধ্যে শেখ ফজলে তাপস নূর পেয়েছেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫টি ভোট। অপর দিকে বিএনপি সমর্থিত ইশরাক হোসেন পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২টি ভোট।

    দেরির কারণ নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বাতেন বলেন, প্রিজাইডিং অফিসাররা ট্যাবে রেজাল্ট পাঠাতে ভুল করেছেন, অনেকে ম্যানুয়ালি পাঠিয়েছেন। যারা ভুল করেছেন, তাদের আলাদা আলাদাভাবে কল করে আমরা ম্যানুয়ালি রেজাল্ট নিচ্ছি।

    এই সিটিতে মেয়র প্রার্থী ছিলেন মোট সাতজন।

    অন্যদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আবদুর রহমান হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫২৫ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ৫৯৩ ভোট। গণফ্রন্টের প্রার্থী আবদুস সামাদ সুজন মাছ প্রতীকে ১২ হাজার ৬৮৭ ভোট পেয়েছেন। বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. আক্তারুজ্জামান ওর‌ফে আয়াতুল্লাহ ডাব প্রতীকে ২ হাজার ৪২১টি ভোট পেয়েছেন। আর ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. বাহারা‌নে সুলতান বাহার আম প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ ভোট।

  • পাঁচ পরিকল্পনায় তাপসের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

    পাঁচ পরিকল্পনায় তাপসের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীন মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস পাঁচ পরিকল্পনায় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

    তাপস আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন।

    তার নির্বাচনী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ঐতিহ্যের ঢাকা, সচল ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা ও উন্নত ঢাকা।

    এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • মশা নিধন ও পরিছন্ন ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা তাবিথের

    মশা নিধন ও পরিছন্ন ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা তাবিথের

    মশা নিধন ও পরিছন্ন ঢাকা গড়ার অঙ্গীকারসহ ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশ‌তেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

    সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে গুলশা‌নে ইমানুয়্যেলস ব্যাংকুয়েট হলে নির্বাচনী ইশ‌তেহা‌র ঘোষণা করেন তিনি।

    ঘোষিত ১৯ দফার মধ্যে রয়েছে- দূষণমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ঢাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ, যানজট ব্যবস্থাপনা, গণপরিবহন, সড়ক নিরাপত্তা, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, নারী শিশু ও প্রতিবন্ধী বান্ধব ঢাকা, নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি, নিরাপদ খাদ্য, পাবলিক টয়লেট, ক্ষুদ্র ব্যবসা, ইন্টেলিজেন্ট সিটি অপরাধ দমন ও বিনোদন, আবাসন ও নগর প্রশাসন।

    ইশতেহার ঘোষণাকালে তাবিথ বলেন, ‘এ দফাগুলো বাস্তবায়নে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

    এসময় তা‌বিথ আউয়াল ব‌লেন, ‘নগর প্রশাসন ক‌রে নাগ‌রিক সেবা ওয়ার্ড পর্যা‌য়ে বি‌কেন্দ্রীকরণ করা হ‌বে। নগর সরকার ক‌রে মানু‌ষের নিরাপত্তা নি‌শ্চিত করা হ‌বে।’

    ‌তি‌নি ব‌লেন, ‘ঢাকা সি‌টি‌তে মশার উপদ্রপ এক‌টি অন্যতম সমস্যা। বর্তমান সরকার ও মেয়রেরা মশা নিধ‌নে ব্যর্থ হ‌য়ে‌ছে। আমরা নির্বা‌চিত হ‌লে বছরব্যাপী মশা নিধ‌নে কার্যত্রম গ্রহণ কর‌বো। যানজট নিরস‌নে কাজ কর‌বো। বায়ুদূষণ রো‌ধে কার্যকর উদ্যোগ নেবো।’

    ‌নির্বাচিত হলেও বি‌রোধী দ‌লে থে‌কে ইশতেহার বাস্তবায়ন ক‌রেত পারবেন কিনা- সাংবা‌দিক‌দের এমন প্রশ্নের জবা‌বে তাবিথ আউয়াল ব‌লেন, ‘জনগণ পা‌শে থাক‌লে ‌বি‌রোধী দ‌লে থে‌কেও ইশতেহার বাস্তবায়ন ক‌রা সম্ভব।’

    ইশতেহার ঘোষণা করে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘সরকার চায় আমরা মাঠ ছেড়ে যাই, সেজন্য সবাইকে ভোটাধিকার প্রয়োগোর আহ্বান জানাচ্ছি। হুমকি ভয়ভীতি ছড়াচ্ছে, ভোটাররা যেনে কেন্দ্রে না যায়। কিন্তু এসব হুমকিতে ভীত হবেন না, ১ ফেব্রুয়ারি নির্ভয়ে সবাই ভোট দিতে যাবেন।’

    মেয়র নির্বাচিত হলে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু মহামারি ও ঢাকার দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।

    তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হলে বাসা ভাড়া নির্ধারণে, আবাসনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাচেলর স্টুডেন্টড হাউজিং, চাকুরিজীবী নারীদের আবাসনের জন্য সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে জনগণের ক্ষমতা ব্যবহার করে বিদ্যমান সংকট সমাধান করা হবে।’

    তাবিথ বলেন, ‘বিজয়ী হলে সততা সদিচ্ছা দিয়ে ওয়াসার সাথে সমন্বয় করা হবে। নারীদের জন্য নিরাপদ ঢাকা গড়ে দেয়া হবে। প্রথম দিন থেকেই নগরবাসীকে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান করা হবে।’

    ইশতেহার ঘোষণার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা

  • বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই:ইশরাক

    বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই:ইশরাক

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারণায হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় নেতাকর্মীকে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, ‘এ ধরনের হামলার ঘটনা ন্যক্কারজনক। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এটি দেখে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এধরনের একটা ঘটনা ঘটিয়েছে সরকার।’

    রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ বাসার নির্বাচনী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহবান জানান।

    নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে খোকাপুত্র বলেন, ‘আমি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই— আপনারা শান্ত থাকবেন, বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। শুধু নির্বাচনকে বানচাল করার, ভয়-ভীতি দেখানোর, ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের একটা অপচেষ্টা। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। আমরা অবশ্যই পহেলা ফেব্রুয়ারি ভোটারদের আহ্বান জানাব— আপনারা নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবেন, এসব ঘটনায় আপনারা বিন্দুমাত্র বিচলিত হবেন না।’

    এই হামলার কারণে পরবর্তীতে কয়দিন আছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কোন শঙ্কা বোধ করছেন কিনা এমন প্রশ্নে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘একদমই না। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।এর আগেও আমি বলেছি, আমি জীবন দিতে প্রস্তুত। রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত। কারণ আমরা জনগণের অধিকারের লড়াইয়ে আছি। সেটার জন্য এই গুলির শব্দে আমি ভয় পাই না। কোন হামলা ভয় পাইনা আমি থাকবো। মরতে হলে আমি মরবো আবারও বলছি সন্ত্রাসী তোমাকে মারতে আসে আমি মাঠ ছেড়ে দেবো না।’

    ইশরাক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করে বাসায় আসছিলাম। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড লাভলী চৌধুরী ক্যাম্প থেকে আমরা আসছিলাম। আকস্মিকভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। তিনজন সাংবাদিক ও ৮/১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নয়া দিগন্তের সাংবাদিক ইকবাল মজুমদার, সময় টিভির ক্যামেরাম্যান আশরাফুল ইসলাম ও বাংলাভিশনের সিনিয়র ক্যামেরাপারসন উজ্জ্বল দাস আহত হয়েছেন। আমার উপরে হামলার আশঙ্কা ছিল আমার নেতাকর্মীরা আমাকে সুরক্ষা দিয়েছে।’

    নির্বাচন কমিশনার এর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওখান থেকে যখন চলে আসি তখন কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়, আমি নিজে গুলির শব্দ শুনতে পাই। আমি একজন মেয়রপ্রার্থী আমি গণসংযোগ করে বাসায় আসছি তখন এই ধরনের একটা হামলা।’

    যখন যে ধরনের হামলা হয়েছে কাউন্সিলর প্রার্থীরা মেয়র প্রার্থীদের উপরে সেসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। আমি নিজেই একজন প্রার্থীকে থানা গিয়ে দেখে এসেছি তার মাথা থেকে রক্ত পড়ছে কিন্তু থানা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আর কি বলব? আপনারা জানেন যে বাংলাদেশ এখন কি চলছে।’

    একজন মেয়র প্রার্থী হিসেবে যে ধরনের নিরাপত্তা পাওয়ার কথা আপনি সে ধরনের পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন জানান, ‘কোন ধরনের নিরাপত্তা পাননি।’

    পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে তারা এসেছেন। এর আগেও আমি আপনাদের বলেছি কিছু কিছু থানায় কিছু কিছু কর্মকর্তারা আমাদের সাহায্য করেছেন। কামরাঙ্গীরচরে আজকের মত এরকম একটা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। সেখানে তারা যথেষ্ট পরিমাণ সুরক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু ওয়ারী থানায় ন্যাক্কারজনকভাবে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। কাউন্সিলর প্রার্থীর ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, আরেক জনের মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। এই থানার কর্মকর্তা তিনি একেবারেই দায়সারা তিনি কোনকিছুর পরোয়া করেন না। এখানে আমরা একটা ডিফারেন্স দেখতে পাচ্ছি। তাদের কেউ সাহায্য করছে এবং একেবারে কেউ কেউ দলীয় ভূমিকা পালন করছেন।’

    এ ঘটনায় কোনো মামলা করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি মামলা করব। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমাদের এতগুলো মানুষ আহত হয়েছে গণমাধ্যমের ভাইয়েরা আহত হয়েছে। মামলা তো করবোই।’

  • দুই সিটিতে ভোট ১ ফেব্রুয়ারি

    দুই সিটিতে ভোট ১ ফেব্রুয়ারি

    সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ দুইদিন পেছানো হয়েছে। পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    নির্বাচন নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়ায় শনিবার জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিকেল ৪টায় নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।

    বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানানো, ৩০ জানুয়ারি ভোটের দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচনের তারিখ দুইদিন পেছানো হয়েছে। পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

    বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হদা। বৈঠকে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে নির্বাচন কমিশনারদের ফোন করে বৈঠকে আসার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া বৈঠকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের দুই রিটার্নিং কর্মকর্তাকেও আসতে বলা হয়।

    ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণের জন্য ৩০ জানুয়ারি নির্ধারণ করে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ভোটের দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ৩০ জানুয়ারি নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার পাশাপাশি ভোটগ্রহণের জন্য নতুন তারিখ নির্ধারণ করার জন্য আদালতে রিট করা হয়। গত ১৪ জানুয়ারি ভোটের দিন পরিবর্তনের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। পরে রিট খারিজের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়েছে।

  • সরস্বতী পূজার কারণে দুই সিটির নির্বাচন ৩১ জানুয়ারী

    সরস্বতী পূজার কারণে দুই সিটির নির্বাচন ৩১ জানুয়ারী

    সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের তারিখ একদিন পিছিয়ে ৩১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

    রোববার দুপুর সাড়ে তিনটায় ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে কমিশনারদের নিয়ে বৈঠকে বসে কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার।

    এর আগে নির্বাচনের তারিখ পেছাতে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের দাবির পর দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেয় জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা। এরই প্রেক্ষিতে ভোটের তারিখ পরিবর্তনের বিষয়টি বিবেচনা করতে কমিশনকে চিঠি দেন দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।

  • জানুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন

    জানুয়ারিতে ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন

    আগামী বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে ১৫ নভেম্বরের পর।

    রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের একথা জানান নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর।

    দুই সিটি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ইভিএম এর মাধ্যমে। এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান ইসি সচিব।

    ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি এবং চট্টগ্রাম সিটির নির্বাচন একযোগে সম্পন্ন হয়েছিল। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরের পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হবে মেয়াদপূর্তির আগের ১৮০ দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে। আর চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট।

    উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হন সাঈদ খোকন। আর ঢাকা উত্তরে মেয়র নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী নেতা আনিসুল হক। আনিসুল হকের মৃত্যুর পর ভোটে নির্বাচিত হয়ে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র হন আরেক ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম। আর চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন আ জ ম নাছির উদ্দীন।

  • কাউন্সিলর মঞ্জু চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার

    কাউন্সিলর মঞ্জু চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুকে অবৈধ দখলদারি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

    বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    ওয়ারী থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলার সূত্র ধরে কাউন্সিলর মঞ্জুর নিজ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    শাফিউল্লাহ বুলবুল জানান, কাউন্সিলর ময়নুল হক মঞ্জুর বিরুদ্ধে অবৈধ দখলদারি, চাঁদাবাজি, মাদক কারবার ও জুয়ার আসর পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারের সময় তার কার্যালয় থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়।

  • ডিএসসিসি’র ২১ কাউন্সিলরকে শোকজ

    ডিএসসিসি’র ২১ কাউন্সিলরকে শোকজ

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এর ১৯ সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও দুইজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর টানা তিনটি বোর্ডসভায় উপস্থিত না থাকায় তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে

    গত ২৩ অক্টোবর ডিএসসিসি সচিব স্বাক্ষরিত পত্রে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে।

  • কাউন্সিলর সাঈদ বরখাস্ত

    কাউন্সিলর সাঈদ বরখাস্ত

    ক্যাসিনো বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ বরখাস্ত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) মতিঝিল এলাকার এই কাউন্সিলরকে অপসারণ করে আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

    ক্যাসিনো কাণ্ডে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা জি কে শামীম, কৃষক লীগ নেতা সফিকুল আলম ওরফে ফিরোজ, মোহামেডান ক্লাবের ডিরেক্টর ইনচার্জ লোকমান হোসেন ভূঁইয়া, গেণ্ডারিয়ার আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু, রুপম ভূঁইয়া এবং অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধান।

    এ পর্যন্ত ১০ জনের বেশি ক্যাসিনো হোতা আটক হলেও অধরা রয়ে গেছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা আবু কাওসার ও কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। তারা দুজন ক্যাসিনো সম্রাটের ক্যাসিনো ব্যবসার দেখভাল করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের মধ্যে সাঈদ অভিযান শুরুর পর থেকে সিঙ্গাপুরে পলাতক। আবু কাওসার কিছু দিন দেশের বাইরে থেকে এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। সাঈদ ক্যাসিনো ব্যবসায় সম্রাটের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত।