Tag: ঢাকা প্লাটুন

  • চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে

    চট্টগ্রাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে

    বিপিএলের চলতি আসরে এলিমিনিটর ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের ৩ ও ৪ নম্বর দলের লড়াইয়ে শেষ হাসি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের। ঢাকা প্লাটুনকে ৭ উইকেটে হারিয়ে অলিখিত সেমিফাইনালের (কোয়ালিফায়ার) টিকিট পেল দলটি।

    এদিন আগে ব্যাট করে শাবাদ খানের ঝড়ো ইনিংসের উপর ভর করে চট্টগ্রামের সামনে ১৪৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় ঢাকা। এই টার্গেট টপকাতে ক্রিস গেইলের সাথে ইনিংস শুরু করত আসেন জিয়াউর রহমান। শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে থাকেন জিয়া। মেহেদী হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে ৩টি চার ও ২টি ছয়ের মারে ১২ বলে ২৫ রান করেন তিনি।

    এরপর গেইল ধীরগতির ব্যাটিং করলেও অন্য প্রান্তে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন ইমরুল কায়েস। ৩টি ছয়ের সাথে ১টি চারের মারে মিরপুরের ভরা গ্যালারীকে আনন্দে ভাসান তিনি। শাদাব খানের বলে থিসারা পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ২২ বলে ৩২ রান করেন ইমরুল। ততক্ষণে অবশ্য জয়ের ভিত গড়া হয়ে গেছে চট্টগ্রামের।

    তবে এই ম্যাচে খোলস ছেড়ে বের হতেই পারলেন না গেইল। বাঁহাতে ১৪ সেলাই নিয়ে গালিতে দাঁড়িয়ে গেইলকে একহাতে তালুবন্দী করে ফেরান মাশরাফি বিন মুর্তজা। আউট হওয়ার আগে ৪৯ বলে ৩৮ রান করেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দানব।

    শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৪ বলে ৩৪ এবং চ্যাডউইক ওয়ালটনের ১০ বলে ১২ রানের সুবাদে ১৪ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌছে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এই জয়ের ফলে অলিখিত সেমিফাইনালে টিকিট পেল বন্দরনগরীর দলটি। একই সাথে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হয়ে গেল তারকায় ঠাঁসা দল ঢাকা প্লাটুনের।

    এর আগে মুমিনুল হককে নিয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে এসে একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ১০ বলে ৩ রান করে রুবেল হোসেনের বলে আউট হন তিনি। এরপর দলীয় পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে এনামুল হক বিজয় ও লুইস রিস শূন্য হাতে ফিরলে ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।

    খানিক বাদে ৭ রান করে ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান ও ০ রান করে জাকের আলীও আউট হলে ৯ ওভারে মাত্র ৪৩ রান তুলতেই ৫ উইকেট যায় ঢাকা প্লাটুনের। তবে সতীর্থ্যরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে যান ওপেনার মুমিনুল হক। ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে ৩১ বলে সমান ৩১ রান করে যান তিনি।

    এরপর থিসারা পেরেরাকে নিয়ে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন শাদাব খান। দুজনের ৪৪ রানের পার্টনারশিপের পর ১৩ বলে ২৫ করে আউট হন পেরেরা। শেষদিকে মাত্র ৩৬ বলের নিজের ফিফটির তুলে নেন শাদাব। শেষপর্যন্ত ৪১ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এর ফলে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৪৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা প্লাটুন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৪৪/৮ (২০ ওভার)
    শাদাব ৬৪*, মুমিনুল হক ৩১, পেরেরা ২৫; এমরিট ৩/২৩, নাসুম ২/১১, রুবেল ২/৩৩।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৪৭/৩ (১৭.৪ ওভার)
    গেইল ৩৯, কায়েস ৩২, জিয়াউর ২৫; শাদাব ২/৩২, মেহেদী ১/২০।

    ফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।

  • হাতে ১৪ সেলাই,মাশরাফির বিপিএল শেষ

    হাতে ১৪ সেলাই,মাশরাফির বিপিএল শেষ

    বিপিএলের চলতি আসরে রাউন্ড রবিন লিগের শেষ ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরে শীর্ষ দুইয়ে থেকে লিগ পর্ব শেষ করার আশা চূর্ণ হয়েছে ঢাকা প্লাটুনের। সেই সাথে আরও একটি দুঃসংবাদ পেয়েছে ঢাকা বিভাগের প্রতিনিধিত্বকারী দলটি। দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা পড়েছেন চোটে।

    মাশরাফির ইঞ্জুরিটি বেশ গুরুতরই। খুলনা টাইগার্সের ইনিংসে ক্যাচ ধরতে গিয়ে চোট পেয়েছিলেন বাঁ হাতের আঙুলে। চোট পাওয়া সেই হাতে লেগেছে ১৪টি সেলাই!

    খুলনার ইনিংসের ১১তম ওভারে মেহেদী হাসানের বলে সজোরে হাঁকান রাইলি রুশো। এক্সটা কভারে ছুটে যাওয়া বলটি তালুবন্দি করতে গিয়ে বাঁ হাতের আঙুলে আঘাত পান মাশরাফি।

    সেই আঘাতের পর আর মাঠেই থাকতে পারেননি। তীব্র ব্যথায় কাতর হয়ে মাঠ ছেড়ে যান ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ খ্যাত ক্রিকেটার। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সাজঘরে ফেরে চোটাক্রান্ত স্থানে লেগেছে ১৪টি সেলাই।

    ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা প্লাটুনের প্রতিনিধি এনামুল হক বিজয় বলেন-

    ‘মাশরাফি ভাইয়ের হাতে সেলাই পড়েছে দশটার বেশি। বাঁ হাতের অনেকখানি কেটে গেছে। বড় সেলাই পড়েছে যেহেতু উনার জন্য পরের ম্যাচগুলো খেলা একটু কঠিনই হয়ে যায়। এখনো নিশ্চিত না। পরের ম্যাচ খেলা তার জন্য অবশ্যই কঠিন হবে।’

    এই চোটের কারণে মাশরাফির বঙ্গবন্ধু বিপিএলের বাকি অংশে অংশগ্রহণ একপ্রকার অনিশ্চিতই হয়ে পড়েছে। ১২ ম্যাচে ৭ জয় নিয়ে চতুর্থ স্থানে থেকে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করেছে ঢাকা প্লাটুন। এলিমিনেটর ম্যাচ জিতলেও ফাইনালে উঠতে হলে দলটিকে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলতে হবে।

    মাশরাফির এই চোটের কারণে বেশ বেকায়দায় পড়বে ঢাকা। তিনি পরের ম্যাচে না থাকলে ‘নকআউট’ হয়ে ওঠা খেলায় দলের নেতৃত্বেও আসবে পরিবর্তন। চোট পাওয়ার দিনে ৩ ওভার বল করে ২৬ রান খরচ করেন মাশরাফি, পাননি কোনো উইকেট। ইঞ্জুরিতে মাঠ ছাড়ায় চার ওভারের কোটাও পূর্ণ করতে পারেননি।

  • প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    প্লে-অফ লাইন-আপ চূড়ান্ত

    বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সপ্তম ও বিশেষ আসর বঙ্গবন্ধু বিপিএলের রাউন্ড রবিন লিগ পর্বের খেলা শেষ হয়েছে। ৪২টি ম্যাচ শেষে চূড়ান্ত হয়েছে প্লে-অফের লাইন-আপও।

    পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ চারে থেকে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স, রাজশাহী রয়্যালস, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকায় খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস ফাইনালে যাওয়ার জন্য দুটি সুযোগ পাচ্ছে। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ঢাকা প্লাটুন তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে থাকায় দল দুটির জন্য বিপিএল যাত্রা হয়ে উঠেছে ‘নকআউট’, অর্থাৎ কোনো ম্যাচে হারলেই বিদায়।

    রাউন্ড রবিন লিগের পর এক দিনের বিরতি শেষে ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে শেষ চারের লড়াই। ১৩ জানুয়ারি ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে দুটি ম্যাচ।

    দিনের প্রথম খেলায় এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও চতুর্থ দল ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচের জয়ী দল ফাইনাল খেলার জন্য আরও একটি সুযোগ পাবে, পরাজিত দল আসর থেকে বিদায় নেবে।

    দিনের দ্বিতীয় খেলায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালস। এই ম্যাচের জয়ী দল উঠে যাবে ফাইনালে। পরাজিত দল দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এলিমিনেটর ম্যাচের জয়ী দলের মোকাবেলা করবে।

    দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট বাছাইয়ের সেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। ফাইনালে ওঠা দুই দল শিরোপার জন্য লড়বে ১৭ জানুয়ারি।

    একনজরে শেষ চারের পূর্ণাঙ্গ সময়সূচি

    ম্যাচ তারিখ ও সময় লড়াই
    এলিমিনেটর ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), দুপুর দেড়টা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স বনাম ঢাকা প্লাটুন

    প্রথম কোয়ালিফায়ার ১৩ জানুয়ারি (সোমবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা খুলনা টাইগার্স বনাম রাজশাহী রয়্যালস

    দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ১৫ জানুয়ারি (বুধবার), সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা প্রথম কোয়ালিফায়ারের পরাজিত দল বনাম এলিমিনেটরের জয়ী দল

    ফাইনাল ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার), সন্ধ্যা সাতটা প্রথম কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল বনাম দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারের জয়ী দল

  • শান্তর সেঞ্চুরিতে খুলনার দুর্দান্ত জয়

    শান্তর সেঞ্চুরিতে খুলনার দুর্দান্ত জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আগে ব্যাট করে খুলনা টাইগার্সের সামনে ২০৬ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে ঢাকা প্লাটুন। যার জবাবটা জুতসই ভাবে বুঝিয়ে দিল খুলনা। নাজমুল হোসেন শান্তর ঝড়ো সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে দলটি। একই সাথে রাজশাহী রয়্যালসের পর নিশ্চিত করলো কোয়ালিফায়ারের খেলা।

    এদিন মুমিনুল হকের ৯১ ও মেহেদী হাসানের ৬৮ রনের সুবাদে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে ঢাকা। পাহাড় সম এই টার্গেট টপকাতে নেমে খুলনাকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন মিরাজ। শান্ত একপ্রান্ত ধরে খেললেও অপর প্রান্তে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন মিরাজ। চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে ২৫ বলে ৪৫ রান করে আউট হন তিনি। যেখানে ৫টি চারের সাথে ছক্কা হাঁকান ২টি।

    সতীর্থ্যকে হারিয়ে খোলস ছেড়ে বের হন শান্ত। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে মাত্র ২৮ বলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। এরপর আরও বেশি বিধ্বংসী হয়ে উঠেন শান্ত। থিসারা পেরেরার করা ইনিংসের ১৩তম ওভারে ৩টি ছয়ের মারে তুল নেন ২০ রান। পরের ওভারেই ফিরতে হয় রাইলি রুশোকে। ১৭ বলে ২৩ রান করে রুশো আউট হলে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি।

    এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান এবং তামিম ইকবালের পর পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে বিপিএলে সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন শান্ত। দ্বিতীয় কনিষ্ঠতম ক্রিকেটার হিসেবে এ নজির গড়েন তিনি। যা ডেভিড মালান ও আন্দ্রে ফ্লেচারের পর চলতি বিপিএলে তৃতীয় ব্যক্তিগত শতক।

    শেষদিকে ৫১ বলে শতক হাঁকানো শান্তর ৮টি চার ও ৭টি ছয়ের সাহায্যে ৫৭ বলে ১১৫ রানের কল্যাণে ৮ উইকেটে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে খুলনা টাইগার্স। যা বিপিএলে রেকর্ড করা চেজ। এদিন মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। এ জয়ের ফলে রাজশাহীর সাথে কোয়ালিফায়ার পর্ব নিশ্চিত করলো খুলনা। ম্যাচ হেরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচ খেলতে হবে ঢাকা প্লাটুনকে।

    এর আগে টস হেরে ব্যাট কর‍তে নেমে সুবিধা করতে পারেননি ঢাকার দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। তামিম ৫ বলে ১ এবং এবং বিজয় আউট হন ১০ বলে সমান ১০ রান করে। খানিক বাদে জাকের আলীও ৭ বলে ১৪ রান করে ফিরে গেলে বিপাকে পড়ে ঢাকা। এরপরের গল্পটা মুমিনুল হক এবং মেহেদী হাসানের। দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বাকি সময়টা খুলনার বোলারদের শাসন করতে থাকেন দুজন।

    এরই এক ফাকে ৪১ বলে ফিফটি তুলে নেন মুমিনুল। একই পথে হাঁটেন মেহেদীও। টুর্নামেন্টে নিজের তৃতীয় ফিফটির স্বাদ পেতে তিনি খরচ করেন ৩১ বল। এরপর আরো আগ্রাসী হয় উঠেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তবে নিজেদের ইনংসের শেষদিকে এসে আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় মুমিনুলকে। সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে অর্থাৎ ৯১ রান করে আউট হন তিনি। এতেই ভাঙে চতুর্থ উইকেটে দুজনের ১৩৫ রানের পার্টনারশিপ।

    শেষদিকে মেহেদীর ৩৬ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের কল্যাণে ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ঢাকা প্লাটুন। নিজের ইনিংসটিতে ৩টি চারের সাথে ৫টি ছয় হাকান মেহেদী।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ২০৫/৪ (২০ ওভার)
    মুমিনুল ৯১, মেহেদী ৬৮*, জাকের আলী ১৪; ফ্রাইলিঙ্ক ২/৩৫, আমির ১/৩৫, শফিউল ১/৫০।

    খুলনা টাইগার্স: ২০৭/২ (১৮.১ ওভার)
    শান্ত ১১৫*, মিরাজ ৪৫, রুশো ২৩; শাদাব ১/৩২।

    ফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।

  • ঢাকার বোলিং তোপে রংপুরের বিদায়

    ঢাকার বোলিং তোপে রংপুরের বিদায়

    বিপিএলের চলতি আসরে ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছিল ঢাকা প্লাটুন। বাকি ৩ ম্যাচে একটা জয় পেলেই নিশ্চিত হতো শেষ চার। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে আজ রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬১ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।

    এদিন আগে ব্যাট করে রংপুরের সামনে ১৪৫ রানের টার্গেট দাঁড় করে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বস্ত রংপুর। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে নাইম শেখ এবং শেন ওয়াটসনের উইকেট তুলে নেন স্পিনার মেহেদী হাসান। এরপর ২০ রানে থাকা ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে ফেরান ফাহিম আশরাফ।

    সেখান থেকে একে একে ফজলে মাহমুদ (৩), লুইস গ্রেগরি (৫) এবং আল-আমিন জুনিয়র (২৩) আউট হয়ে গেলে মাত্র ৫৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায় দলটির জয়ের আশা। পরে মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে রংপুরের হারের ব্যবধানটাই কমলো শুধু।

    রংপুরকে ৮৪ রানে আটকে দিয়ে ৬১ রানে ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ পর্ব নিশ্চিত করে ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচ হারের ফলে খালি হাতে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হলো রংপুর রেঞ্জার্সের।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন লুইস গ্রেগরি। বিজয় করেন ৭ বলে ১১ রান। এর আগে ব্যাট হাতে চমক দেখানো মেহেদী হাসান মাঠ ছাড়েন ৬ বলে ১ রান করে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ঢাকার তৃতীয় উইকেটটি শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ১২ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরিফুল হক।

    সুবিধা করতে পারেননি মুমিনুল হকও। ৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। পরে তাসকিনের বলে শেন ওয়াটসনের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেয়ার আগে তামিম করেন ৩৮ বলে ৪০ রান। এরপর আসিফ আলিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও পূরণ করতে পারেননি তাসকিন।

    জোড়া ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন থিসারা পেরেরা। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পেরেরার উইকেট শিকারের মাধ্যমে মেহেদী হাসান রানার সাথে যৌথভাবে চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন মুস্তাফিজ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান। শেষের দিকে ১৯ বলে ৩১ রানের ছোট ক্যামিও দেখান শাদাব খান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৪৫/৯ (২০ ওভার)
    তামিম ৪০, শাদাব ৩১*, আরিফুল ১৩;
    তাসকিন ৩/৩২, মুস্তাফিজ ৩/৩৪, নবী ২/২১।

    রংপুর রেঞ্জার্স: ৮৪/১০ (১৫.৩ ওভার)
    আল-আমিন ২৩, ডেলপোর্ট ২০, নবী ১২; মেহদী হাসান ২/১২, মাশরাফি ২/১৮।

    ফল: ঢাকা ৬১ রানে জয়ী।

  • হাসানের বোলিং নৈপুণ্যে ঢাকার জয়

    হাসানের বোলিং নৈপুণ্যে ঢাকার জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে সিলেট পর্বে দ্বিতীয় দিনে বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম খেলার মাঝখানে ছন্দ হারালেও ঢাকা প্লাটুন ফের ফিরেছে পুরনো দাপটে। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ৩১তম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ১২ রানের ব্যবধানে হারিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছে দলটি। ঢাকার তরুণ পেসার হাসান মাহমুদ একাই শিকার করেছেন ৪ উইকেট। তার পারফরম্যান্সে ম্লান হয়ে গেছে খুলনার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ঝড়ো ইনিংস।

    সিলেটে বৃষ্টির কারণে বিলম্বিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান জড়ো করে ধাক। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে আসিফ আলী। ছয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩ বলের মোকাবেলায় ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে। তার দ্রুতগতির ব্যাটিংয়েই দল পায় বড় পুঁজি।

    এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে মুমিনুল হক ৩৬ বলে ৩৮, আরিফুল হক ৩০ বলে অপরাজিত ৩৭ ও ওপেনার তামিম ইকবাল ২৩ বলে ২৫ রান করেন।

    খুলনার পক্ষে মোহাম্মদ আমির ২টি এবং আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শফিউল ইসলাম ১টি করে উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই আমিনুল ইসলাম বিপ্লব (৪), মেহেদী হাসান মিরাজ (১৫), ও শামসুর রহমানের (৩) উইকেট হারায় খুলনা। প্রতিরোধ গড়তে পারেননি রাইলি রুশোও, ১৮ রান করে তিনি ফেরেন সাজঘরে। এরপর নাজিবউল্লাহ জাদরানের (৩১) সাবধানী ব্যাটিংয়ে সমর্থন পেয়ে চড়াও হন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

    শেষদিকে ঢাকাকে বেশ ভয়ও পাইয়ে দিয়েছিলেন মুশফিক। ২৭ রানে আসরের তৃতীয় অর্ধ-শতক পূর্ণ করার পরও দ্রুত রান তুলছিলেন। তবে হাসান মাহমুদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৩৩ বলে ৬৪ রান করে, যে ইনিংসে হাঁকিয়েছিলেন ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা।

    এই ম্যাচে দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে ২০০০ রানের মাইলফলক গড়া মুশফিক বিদায় নিলে খুলনা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার থেকে ৮ উইকেট হারানো খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৬০ রান, ঢাকা পায় ১২ রানের জয়।

    ঢাকার পক্ষে হাসান মাহমুদ ৪টি এবং মাশরাফি বিন মুর্তজা, থিসারা পেরেরা ও শাদাব খান একটি করে উইকেট শিকার করেন। নিজের চতুর্থ ওভারে ১৪ রান বিলি করলেও বল হাতে হাসানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সই ঢাকার জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: খুলনা টাইগার্স

    ঢাকা প্লাটুন ১৭২/৪ (২০ ওভার)
    আসিফ ৩৯*, মুমিনুল ৩৮, আরিফুল ৩৭*তামিম ২৫
    আমির ২৭/২, বিপ্লব ১৫/১, শফিউল ৪৪/১

    খুলনা টাইগার্স ১৬০/৮ (২০ ওভার)
    মুশফিক ৬৪, জাদরান ৩১, রুশো ১৮
    হাসান ৩২/৪, শাদাব ২৫/১, মাশরাফি ২৬/১

    ফল: ঢাকা প্লাটুন ১২ রানে জয়ী।

  • ওয়াহাব রিয়াজের বোলিং তোপে ঢাকার সহজ জয়

    ওয়াহাব রিয়াজের বোলিং তোপে ঢাকার সহজ জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে আজকের ম্যাচ দিয়েই এবারের পর্ব শেষ হচ্ছে পাকিস্তানি পেসার ওয়াহাব রিয়াজের। নিজ দেশ পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার আগে রাজশাহী রয়্যালসকে রীতিমত একাই ধসিয়ে দিলেন তিনি। ওয়াহাব রিয়াজের তাণ্ডবে ৭৪ রানে জয় পেয়েছে ঢাকা প্লাটুন।

    ম্যাচে মাত্র ৮ রান খরচে ৫ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় বোলার হিসেবে বিপিএলে ত্রিপল-উইকেট মেডেন নোওয়ার কীর্তি গড়ে দেখান ওয়াহাব রিয়াজ।

    এদিন তামিম ইকবাল ও আসিফ আলীর ফিফটিতে আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৭৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে ঢাকা। বিশাল এই টার্গেট টপকাতে নেমে রাজশাহীর হয়ে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। মাত্র ৩ ওভারেই উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৩৯ রান।

    এরপরই রয়্যালস শিবিরে ধ্বস নামান ওয়াহাব রিয়াজ। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথমবারের মত বল করতে এসে একে একে সাজঘরে ফেরান লিটন (১০), অলক কাপালি (০) ও শোয়েব মালিককে (০)। ফলে ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুকতে থাকে পদ্মা পাড়ের দলটি।

    পরে ২৩ বলে ৩১ করে আফিফ ও ১১ বলে ১০ রান করে রবি বোপারা আউট হয়ে গেলে ৬৬ রানে ৫ উইকেট হারায় রাজশাহী। আন্দ্রে রাসেলকেও সুবিধা করতে দেননি পেসার হাসান মাহমুদ, বদলি উইকেটরক্ষক জাকের আলির হাতে ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন ৭ রানের মাথায়। এর ফলে বিপিএলে প্রথম উইকেটরক্ষক হিসেবে এক ম্যাচে ৫ ক্যাচ নেওয়ার নজির গড়েন জাকের। পরে আরও একটি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি।

    এরপর রাজশাহীর আর কোন ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়তে না পারলে মাত্র ১০০ রানে থামে তাদের ইনিংস। ফলে ৭৪ রানের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে ঢাকা প্লাটুন।

    এর আগে টসে হেরে ঢাকার হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ২০ রান। যেখানে আউট হওয়ার আগে বিজয়ের অবদান ১০ রান। এরপর লুইস রিসও ৯ রান করে আউট হলে ৩৫ রানে দুই উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা।

    তামিম আর মেহেদী হাসানের তৃতীয় উইকেট পার্টনারশিপ থেকে আসে ৩৭ রান। ১১ বলে ২১ রান করে মেহেদী সাজঘরে ফিরলে ধ্বস নামে প্লাটুন শিবিরে। আরিফুল হক (৭) ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে (০) ফেরান ফরহাদ রেজা। ফলে ৮৪ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি।

    তবে সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট করে চলতি বিপিএলে নিজের তৃতীয় ফিফটি তুলে নেন তামিম। এর আগেই অবশ্য নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন দলের পাকিস্তানি রিক্রুট আসিফ আলী। তিনি অর্ধশতকের স্বাদ পেয়েছেন মাত্র ২৪ বলে। শেষদিকে তামিমের ৫২ বলে ৬৮ ও ২৮ বলে আসিফের অপরাজিত ৫৫ রানের সুবাদে ১৭৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা প্লাটুন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৭৪/৫ (২০ ওভার)
    তামিম ৬৮*, আসিফ ৫৫*, মেহেদী ২১; ফরহাদ রেজা ২/৪৪, মালিক ১/১৩, বোপারা ১/১৭।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১০০/১০ (১৬.৪ ওভার)
    আফিফ ৩১, নাহিদুল ১৪, লিটন ১০; ওয়াহাব রিয়াজ ৫/৮, শাদাব ১/৯।

    ফল: ঢাকা ৭৪ রানে জয়ী।

  • জয়ের ধারায় ফিরেছে চট্টগ্রাম

    জয়ের ধারায় ফিরেছে চট্টগ্রাম

    চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে হার। এরপর টানা তিন ম্যাচে জয়ের দেখা পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। পরে আবার টানা দুই হার দিয়ে চট্টগ্রাম পর্ব শেষ করেছিল চ্যালেঞ্জাররা। ঢাকা পর্বে ফিরে আজ (শুক্রবার) আবার জয়ের ধারায় ফিরল দলটি। লো স্কোরিং ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনকে ৬ উইকেটে হারিয়ে শক্ত করলো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান।

    আজকের ম্যাচে আগে ব্যাট করে চট্টগ্রামের সামনে ১২৫ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে ঢাকা। এই টার্গেট টপকাতে ওপেন করতে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিকীকে সাথে নিয়ে দলকে উড়ন্ত সূচনার আভাস দেন লিন্ডল সিমন্স। তবে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি তিনি, মাশরাফির বলে আউট হওয়ার আগে করেছেন ১৫ রান। পরে জুনায়েদ ৮ রান করে ফিরলে মিরপুরে ঝড় তোলেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ৩টা ছক্কা ও ১টা চারের সাহায্যে ১৬ বলে ২৫ রান করে ওয়াহাব রিয়াজের শিকারে পরিণত হন তিনি।

    ওয়ালটনের বিদায়ের পর রায়ান বার্লকে নিয়ে দেখে খেলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৩৪ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে বার্লের অবদান ১৩ রান। এরপর নুরুল হাসান সোহানকে সাথে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি নিজের ফিফটি তুলে নেন ইমরুল। ৬ উইকেটের জয়ে নিজে অপরাজিত থাকেন ৫৪ রান নিয়ে। ৫৩ বলের ইনিংসটি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান সাজিয়েছেন ৫টা চার ও ২টা ছয়ের মারে।

    এর আগে টসে হেরে ঢাকার হয়ে নিজেদের ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। প্রথম থেকেই দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুজন। ৩৪ বলে ৩২ রানের পার্টনারশিপের মাথায় ১৪ রানে থাকা বিজয় রান আউটে কাটা পড়লে ধ্বসের শুরু হয় ঢাকা শিবিরে। আগের দুই ম্যাচে অর্ধশতক হাঁকানো মেহেদী হাসান আজ ফিরেছেন শূন্য হাতে। এরপর ২৭ বলে ২১ রানে থাকা তামিমকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন নাসুম আহমেদ।

    খানিক বাদে জাকের আলী (৩), শহীদ আফ্রিদি (০), সাদাব খান (০) ও থিসারা পেরেরা (৬) আউট হয়ে গেলে মাত্র ৬৮ রানে তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে ঢাকা। এই ধ্বংসস্তূপের মাঝে ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৩২ রানের ইনিংস খেলেন মুমিনুল হক। এরপর শেষদিকে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার ১৭ ও ওয়াহাব রিয়াজের ২৩ রানের সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ১২৪ রানে থামে ঢাকা প্লাটুনের ইনিংস।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১২৪/৯ (২০ ওভার) মুমিনুল ৩২, ওয়াহাব রিয়াজ ২৩, তামিম ২১; বার্ল ২/১, মুক্তার ২/১৮, নাসুম ১/২১।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১২৫/৪ (১৮.৪ ওভার) কায়েস ৫৪*, ওয়ালটন ২৫, সিমন্স ১৫; ওয়াহাব রিয়াজ ২/১৮, মাশরাফি ১/১৪, মেহেদী ১/২৩।

    ফল: চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে জয়ী।

  • মেহেদীর বোলিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের রোমাঞ্চকর জয়

    মেহেদীর বোলিং নৈপুণ্যে চট্টগ্রামের রোমাঞ্চকর জয়

    ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে আজ বিপিএল ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। স্কোর বোর্ডে জমা করেছিলো ২২১ রান। শেষপর্যন্ত ম্যাচ হারলেও লড়াই চালিয়েছে ঢাকা। পরে সবমিলিয়ে ৪২৬ রানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১৬ রানে জয় পায় চট্টগ্রাম।

    চট্টগ্রামের দেওয়া ২২২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার এনামুল হক। এরপর জাকের আলীকে নিয়ে ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার মুমিনুল হক। যেখানে জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন মুমিনুল। তবে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি লরি ইভান্স (১৭) ও আসিফ আলী (১৫)। পরে মাত্র ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল।

    অবশ্য ফিফটি পূরণ করার পরে সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। ৫২ রান করে নাসির হোসেনের বলে আউট হয়েছেন তিনি। খানিক বাদে শহিদ আফ্রিদিও ৯ রান করে একই পথের সারথি হলে জয়ের আশা একপ্রকার ফিকে হয়ে যায় ঢাকার। তবে শেষ চেষ্টা চালিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। ইনিংসের ১৬ তম ওভারে নাসিরকে টানা ৩ ছাক্কা ও ১টা চার হাঁকিয়েছেন তিনি। পরের বলেই অবশ্য মাত্র ৫ বলে ২৩ রান করে বিদায় নিতে হয় মাশরাফিকে।

    এরপর থিসারা পেরেরার ২৭ বলে ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংসে লড়াই জমিয়ে তুলেছিলো ঢাকা প্লাটুন। তবে নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের ইনিংস থামে ২০৫ রানে। ফলে ঘরের মাঠে ১৬ রানের জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। নিজেদের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে শুরু থেকেই ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হন লেন্ডল সিমন্স ও আভিস্কা ফানান্দো। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে এনে দেন ৫১ রান। আভিস্কা মাত্র ১৩ বলে ২৬ রান করে আউট হওয়ার পর ২৪ বলে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন সিমন্স। পরে ইমরুল কায়েসের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ৫৭ রানে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। এরপর সাগরিকায় ঝড় তোলেন মাহমুদল্লাহ, হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়েই চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে বসেন তিনি।

    এদিন কম যাননি ইমরুলও, ২৪ বলে ৪০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরে চোটকে সঙ্গী করে মাত্র ২৪ বলে অর্ধশত তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৯ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে ৫টা চারের সাথে ৪টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। শেষদিকে ওয়ালটনের অপরাজিত ২৭ রানের সুবাদে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যাতে চলতি বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরকে (১৯২) টপকে যায় চট্টগ্রাম। একই সাথে এবারের বিপিএল প্রথমবারের মত দেখে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২২১/৪ (২০ ওভার)
    মাহমুদউল্লাহ ৫৯, সিমন্স ৫৭, ইমরুল ৪০; মাহমুদ ২/৫৫, সাকিল ১/২৭।

    ঢাকা প্লাটুন: ২০৫/১০ (২০ ওভার)
    মুমিনুল ৫২, পেরেরা.৪৭, জাকের আলী ২৭; মুক্তার ৩/৪২, উইলিয়ামস ২/৪৮, মেহেদী হাসান ৩/২৩।

    ফলাফল: চট্টগ্রাম ১৬ রানে জয়ী।

  • জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তামিম

    জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি তামিম

    দীর্ঘ ছয় পর ব্যাট হাতে ফিরে কয়েক ম্যাচ খেলতে না খেলতেই আবারো ব্যাট-গ্লাভস তুলে রাখতে হচ্ছে তামিমকে। প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জাতীয় দল ও বিপিএলে ঢাকা প্লাটুনের এই বাঁহাতি ওপেনার।

    ঢাকা পর্ব শেষ করে তামিমকে ছাড়াই বন্দরনগরীতে এসেছে ঢাকা। দলটির ম্যানেজার আহসানউল্লাহ হাসান জানান, “চট্টগ্রামে প্রথম ম্যাচে হয়তো তামিমকে পাওয়া যাবে না। প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে সে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।”

    উল্লেখ্য, ঢাকা পর্বের প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও শেষ দুই ম্যাচে ৭৪ ও ৩১ রানের ইনিংস খেলে ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত দেন তামিম। কিন্তু এরই মধ্যে জ্বরের কারনে ছিটকে পড়তে হলো তাকে।

    চট্টগ্রাম পর্বে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার দল ঢাকা প্লাটুনের প্রথম ম্যাচ আগামী বুধবার। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের বিপক্ষে এ ম্যাচে তামিমের খেলার সম্ভাবনা নেই সেটি নিশ্চিত। তবে পরের ম্যাচে ফিরতে পারবেন কি সেটা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা।

  • ঢাকা প্লাটুনের দাপুটে জয়

    ঢাকা প্লাটুনের দাপুটে জয়

    চলতি বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে হারলেও বেশ লড়াই করেছিলো সিলেট থান্ডার। এরপর রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে হারের পর আজ ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে পরাজয়। সবে মিলে তিন ম্যাচে টানা তিন হার সুরমা পাড়ের দলটির। মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পরেও এখনো দেখা হলো না জয়ের মুখ।

    শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকার দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে সিলেট। ইনিংস শুরু করতে এসে উড়ন্ত সূচনার ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার ও রনি তালুকদার। তবে ১০ রানে থাকা ফ্লেচারকে ফিরিয়ে সিলেটের সেই স্বপ্নকে হতাশায় পরিণত করেন হাসান মাহমুদ। এরপর রনি ১৪, জনসন চার্লস ১৯, শফিকউল্লাহ ২ ও মিঠুন ৮ রান করে বিদায় নিলে ৬১ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে সিলেট।

    সেখান থেকে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুললেও লাভ হয়নি তাতে। নাঈম হাসান ১০ রান করে রান আউট হয়ে গেলে আরো কঠিন হয়ে কাজ। পরে দেলোয়ার হোসেনও ফিরে যান ১৭ রান করে। ফলে ১৫৮ রানে থামে সিলেটের ইনিংস। ২৪ রানের জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঢাকা। মাত্র ৩৪ বলে অর্ধশতক করা মোসাদ্দেক শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৬০ রানে।

    এর আগে টসে হেরে ঢাকার হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। শুরুতে দেখে খেললেও ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে হাত খুলে খেলতে থাকেন দুজন। তবে নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশিদূর টানতে পারেননি তামিম। ফিরেছেন ৩১ রান করে। ৫টা চারের মারে ইনিংসটি সাজাতে তিনি খরচ করেছেন ২৮ বল। তামিমের আউটের পর নিজের অর্ধশতক তুলে নেন এনামুল। পরে আউট হয়েছেন ৪২ বলে ৬২ রানে।

    এরপর দলের হাল ধরেন লরি ইভান্স ও জাকের আলী। তৃতীয় উইকেটে ৩০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। যেখানে ফ্লেচারের অনবদ্য এক ক্যাচে ২০ রান করে আউট হতে হয় জাকেরকে। শেষদিকে ওয়াহাব রিয়াজের ১৭ এবং থিসারা পেরেরার অপরাজিত ২২ রানের কল্যাণে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা প্লাটুন।

    সংক্ষিপ্ত:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৮২/৪ (২০ ওভার)
    বিজয় ৬২, তামিম ৩১, পেরেরা ২৩*; মোসাদ্দেক ১/১৬ দেলোয়ার ১/২৮, নাঈম হাসান ১/৩৫।

    সিলেট থান্ডার: ১৫৮/৭ (২০ ওভার)
    মোসাদ্দেক ৬০*, চার্লস ১৯, দেলোয়ার ১৭; হাসান মাহমুদ ২/২৪, মাশরাফি ২/২৯।

    ফলাফল: ঢাকা ২৪ রানে জয়ী।

  • তামিম-থিসারা নৈপুণ্যে জয়ের স্বাদ পেল ঢাকা

    তামিম-থিসারা নৈপুণ্যে জয়ের স্বাদ পেল ঢাকা

    চলতি বিপিএলের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ছন্দ ফিরে পেলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। এদিন ব্যাট হাতে তামিমের সাথে ঝড় তুলেছিলেন থিসারা পেরেরা। বল হাতেও কম গেলেন না এই লঙ্কান ক্রিকেটার। একাই তুলে নিয়েছেন ৫ উইকেট। চলতি বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারলেও আজ জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা প্লাটুন। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে হারিয়েছে ২০ রানের ব্যবধানে।

    ঢাকার দেওয়া ১৮১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে কুমিল্লা। উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ২ ওভার ৫ বল থেকে ৩২ রান এনে দেন ভানুকা রাজাপাকশা ও ইয়াসির আলী। যেখানে ১২ বলে ২৯ রানের ছোটখাটো এক ঝড় তোলেন ভানুকা। লঙ্কান এই ব্যাটসম্যানের আউটের ৪ রান পরে একই পথ ধরেন ইয়াসির। এরপর ডেভিড মালানকে নিয়ে কুমিল্লা দলের হাল ধরেন সৌম্য সরকার। তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজন যোগ করেন ৫০ রান।

    ২৬ বলে ৩৫ রান করে সৌম্য ওয়াহাব রিয়াজকে উইকেট দেওয়ার পর বেশিক্ষণ টিকেননি নতুন ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমানও। মাত্র ৪ রান করে পেরেরার প্রথম শিকারে পরিণত হন তিনি। কুমিল্লা শিবিরে সবথেকে বড় ভরসা যাকে নিয়ে, সেই শানাকা আউট হয়েছেন কোনো রান না করে। ফলে ৯৮ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে ওয়ারিয়র্স। শেষদিকে মালান আর মাহিদুল চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি তাতে।

    শেষ ৫ ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লার ৬২ রান প্রয়োজন হলে ৪১ রান তুলতে পারে কুমিল্লা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে থামে ১৬০ রানে। ফলে ২০ রানে জয় তুলে নেয় ঢাকা। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে এটিই ঢাকা প্লাটুনের প্রথম ম্যাচ জয়। ব্যাট হাতে ৪২ রানের ইনিংসের পাশাপাশি বোলিংয়েও ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন পেরেরা।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলে আউট হয়ে যান এনামুল হক বিজয়। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে বেশ সময় লাগে ঢাকার। ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকেন তামিম এবং মেহেদী হাসান। পরে মেহেদী ১২ রান করে আউট হলে দেখেশুনে কুমিল্লার বোলারদের মোকাবেলা করতে থাকেন তামিম ও লরি ইভান্স। ৫৬ বলে দলীয় অর্ধশত রান পার করা ঢাকা পরে খোলস ছেড়ে বের হয় ইনিংসের দশম ওভারে।

    ১০ থেকে ১৩ ওভারে দলীয় স্কোরে যোগ করে ৪২ রান। এরই এক ফাঁকে নিজের ফিফটি তুলে নেন তামিম। তাতে অবশ্য বল খরচ করেন গুনে গুনে ৪০টি। দলীয় ১০১ রানের মাথায় শানাকার বলে আউট হন ইভান্স। এর আগে তামিমের সাথে গড়ে যান ৭৫ রানের পার্টনারশিপ। এরপর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন তামিম, সাথে যোগ দেন পেরেরা। আবু হায়দারের করা ইনিংসের ১৬ তম ওভারে টানা ৪টি চার মারেন পেরেরা, তার আগে হাঁকিয়েছেন আরো একটি ছয়।

    এরপর সাজঘরের পথ ধরেন তামিম। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৫৩ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। যেখানে ৬টা চারের সাথে ৪টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শেষদিকে মাত্র ১৭ বলে পেরেরার অপরাজিত ৪২ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষ ১৮০ রানের পুঁজি পায় ঢাকা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৮০/৭ (২০ ওভার) তামিম ৭৪, পেরেরা ৪২, ইভান্স ২১; সৌম্য ২/৩৯, শানাকা ২/৪৮

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৬০/৯ (২০ ওভার) মালান ৪০, সৌম্য ৩৫, মাহিদুল ইসলাম ৩৭, ভানুকা ২৯; পেরেরা ৫/৩০, রিয়াজ ২/১৬

    ফলাফল: ঢাকা ২০ রানে জয়ী।