Tag: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

  • করোনার কাছে হেরে গেলেন আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ডা. সাজ্জাদ/আইসিইউতেই মৃত্যু

    করোনার কাছে হেরে গেলেন আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ডা. সাজ্জাদ/আইসিইউতেই মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক : টানা ১৪ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে করোনার কাছে হেরে গেলেন বিআরবি হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান এবং এনেস্থেসিওলজির সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসাইন।

    গতকাল ১৩ জুন শনিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    গত বৃহস্পতিবার থেকে তার স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।

    বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটিসের (এফডিএসআর) জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী।

    তিনি বলেন, ডা. সাজ্জাদ হোসাইন প্রথমে বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ২৯ মে তাকে বিআরবিতে নিয়ে যাওয়া হলেও অবস্থার অবনতি দেখে একই দিন সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়।

    অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় ওই দিন রাতে ভেন্টিলেশনে নেয়া হয়। সেখানে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থেকে শনিবার রাত ৯টায় তিনি মারা যান। তার মরদেহ আল-মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

    ডা. সাজ্জাদ হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তিনি ছিলেন সিএমসির ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

    উল্লেখ্য : করোনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ৫ জনসহ মোট ৩৬ জন চিকিৎসক মারা গেছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • সরকারি ওষুধ পাচারের সময় কেন্দ্রীয় নার্স নেতা তপন আটক

    সরকারি ওষুধ পাচারের সময় কেন্দ্রীয় নার্স নেতা তপন আটক

    শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিটিউট থেকে অবৈধভাবে সরকারি ওষধ নিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স তপন কুমার বিশ্বাসকে (৪৫) হাতেনাতে আটক করেছে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা এনএসআই।

    আজ মঙ্গলবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাসপাতালের সামনে থেকে ওষধসহ তাকে আটক করা হয়।

    ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া।

    তিনি বলেন, ‘বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তপন কুমারকে আটক করার পর শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’

    ঢামেকের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল বলেন, ‘আটক হওয়া তপন কুমার আমাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ সিনিয়র স্টাফ নার্স। তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ যেকোনো সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ নেবেন বলেও জানান তিনি।

    গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি ওষুধ চুরি করে আসছিলেন তপন।

    সিনিয়র স্টাফ নার্স তপন কুমার বিশ্বাস স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ-স্বানাপ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢামেক বার্ন ইউনিট শাখার সভাপতি। তিনি বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে কর্মরত।

    এ ব্যাপারে স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজ গণমাধ্যমকে বলেন, সংগঠনের কোনো ইউনিটের কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    তপন কুমার বিশ্বাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি ওষুধসহ আটক হওয়ায় প্রচলিত আইনে তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক। আমাদের সংগঠনে কোনো চোর-প্রতারকের জায়গা নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঢামেকে ২ জনের প্লাজমায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে

    ঢামেকে ২ জনের প্লাজমায় প্রয়োজনীয় মাত্রায় অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাজমা ডোনেট করেছেন এমন ২ জনের রক্তের নমুনায় প্রয়োজনীয় মাত্রা অনুযায়ী অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।

    রোববার (১৭ মে) দিনগত রাতে এ তথ্য জানিয়েছে কিওর অ্যান্ড স্মাইল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।

    করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত একাধিক চিকিৎসক জানিয়েছেন, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর যারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন, তাদের প্রত্যেকের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। অর্থাৎ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। করোনাজয়ী ব্যক্তির দেহে তৈরি অ্যান্টিবডি যদি করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

    এর আগে শনিবার (১৬ মে) বেলা ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে এ কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় কোভিডজয়ী চিকিৎসকের দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা হয়।

    এ থেরাপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরীক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট মানে উত্তীর্ণ হলেই প্রথম ঢাকা মেডিকেলে করোনা রোগীদের দেহে প্রয়োগ করা হবে এ প্লাজমা।

    অত্যাধুনিক অ্যাফারেসিস মেশিনের মাধ্যমে রক্তের প্লাজমা দান করেন দেলোয়ার হোসেন নামে এক চিকিৎসক। সেসময় তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে সীমিত সুযোগের প্রেক্ষাপটে এ থেরাপি আশার আলো হয়ে উঠেছে। কোভিড নাইন্টিন থেকে সেরে ওঠা সামর্থ্যবান মানুষদের প্লাজমা দেওয়ার অনুরোধ করেন এ চিকিৎসক।

    অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে করোনাজয়ীর অ্যান্টিবডি প্রয়োগের পর অনেকে সুস্থ হয়ে ওঠায় চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের অনেক দেশে প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগ শুরু হয়েছে।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মানুষের রক্তের জলীয় অংশকে বলা হয় প্লাজমা। রক্তে প্লাজমা থাকে ৫৫ ভাগ। করোনাজয়ীর অ্যান্টিবডি থাকে রক্তের প্লাজমায়। সুস্থ ব্যক্তির দেহ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করে তা করোনায় সংক্রমিত অসুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রয়োগ করা হয় বলে এই চিকিৎসাপদ্ধতির নাম হয়েছে ‘প্লাজমা থেরাপি’।

    উল্লেখ্য, এই প্লাজমা থেরাপি ঠিকঠাক কার্যকর হলে উন্নত দেশগুলোর মতো বাংলাদেশের করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এটি হবে নতুন দিগন্ত। এমনটা মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঢামেকে আজ থেকে করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি

    ঢামেকে আজ থেকে করোনা চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি

    করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) চিকিৎসায় আজ শনিবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ভবন-২ এ প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা শুরু হবে।

    প্লাজমা থেরাপি ঠিকঠাক কার্যকর হলে উন্নত দেশগুলোর মতো দেশেও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এটি হবে নতুন দিগন্ত। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

    জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগ করোনাজয়ী তিনজন চিকিৎসকের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করবে।

    প্রাথমিকভাবে এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৪৫ জন গুরুতর অসুস্থ করোনা রোগীর ওপর আশা জাগানিয়া ‘প্লাজমা থেরাপি’ প্রয়োগ করা হবে।

    এ ব্যাপারে বাংলাদেশে প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হেমাটোলোজি বিভাগের অধ্যাপক এম এ খান বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনা রোগীদের সুস্থ করে তোলার জন্য প্লাজমা থেরাপির পরীক্ষামূলক বৈজ্ঞানিক গবেষণার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে আজ শনিবার থেকে তা শুরু হচ্ছে।’

    তিনি বলেন, ‘করোনার সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা তিনজন চিকিৎসকের প্লাজমা সংগ্রহ করা হবে। প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের কাজটি শেষ হতে পারে আগামী জুনে।’

    করোনাজয়ী যে তিনজন চিকিৎসক প্লাজমা দিতে রাজি হয়েছেন, তারা হলেন- ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক দিলদার হোসেন বাদল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসক পিয়াস ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের আতিয়ার রহমান।

    প্লাজমা থেরাপি হলো, আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়া রোগীর শরীরে এই ভাইরাস প্রতিরোধী এক ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। সেই অ্যান্টিবডিযুক্ত প্লাজমা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত অন্য রোগীর শরীরে প্রবেশ করিয়ে ভাইরাসটিকে মেরে ফেলা হয়।

    প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগে কীভাবে করোনা রোগী সুস্থ হতে পারেন, সে ব্যাপারে অধ্যাপক এম এ খান বলেন, ‘প্লাজমা থেরাপি হলো শতবর্ষের পুরোনো চিকিৎসাপদ্ধতি। প্লাজমায় অনেক ধরনের অ্যান্টিবডি থাকে। যখন কেউ কোনো রোগে আক্রান্ত হন, তখন সেই ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে তার রক্তে এক ধরনের অ্যান্টিবডি প্রোটিন তৈরি হয়। ওই প্রোটিন ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের চারপাশে আবরণ তৈরি করে, যা ভাইরাস-ব্যাবটেরিয়াকে অকেজো বা নিষ্ক্রিয় করে ফেলে। এভাবে অ্যান্টিবডি শরীরের ভেতর সক্রিয় ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার কার্যক্রম ধ্বংস করে দেয়। এটাই হলো বেসিক মেকানিজম।’

    তিনি আরও বলেন, ‘করোনা যাদের ফুসফুস একেবার নষ্ট করে ফেলেছে, যাদের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়েছে, এমন রোগীদের বেলায় প্লাজমা থেরাপির প্রয়োগে খুব বেশি ভালো ফলাফল আসছে না বলে জানতে পেরেছি। তবে আইসিউতে নেওয়ার আগে করোনা থেরাপি প্রয়োগ করলে অল্প সময়ের ব্যবধানে রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন। কারণ করোনাজয়ীর অ্যান্টিবডি করোনা রোগীর শরীরে গিয়ে ভাইরাসকে অকেজো করে দেবে। ফলে ফুসফুসে তীব্র সংক্রমণ (একিউট লাং ইনজুরি) হবে না। এসব রোগীর আইসিইউতে নেওয়া লাগবে না। এমনকি ভেন্টিলেশনও দেওয়া লাগবে না। তবে এমন না যে শতভাগ রোগীর ক্ষেত্রে এটা কাজ করবে। করোনার চিকিৎসায় কার্যকর উপায় না থাকায় বিশ্বে প্লাজমা থেরাপির ব্যবহার শুরু হয়েছে।’

    করোনাজয়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক এম এ খান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা করোনাজয়ী সুস্থ ব্যক্তিদের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ শুরু করব। যারা প্লাজমা দেবেন, তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা নেই।’

    ‘অনেকে মনে করেন, প্লাজমা দিলে বোধ হয় আবার রি-ইনফেকশন হওয়ার সুযোগ থাকবে। এটা কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। সাধারণ করোনাজয়ী ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ এবং সরকারি সহযোগিতা ছাড়া প্লাজমা সংগ্রহের কাজ সফল করা মোটেও সম্ভব নয়’ যোগ করেন এই চিকিৎসক।

    একজন করোনাজয়ীর প্লাজমা অন্তত দুই থেকে তিনজন করোনা রোগীর দেহে প্রয়োগ করা যাবে বলেও জানান অধ্যাপক এম এ খান।

    জানা গেছে, ঢামেক হাসপাতালে যেসব কোভিড-১৯ রোগী আছেন, তাদের ওপরই আপাতত এ পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। এ ছাড়া ঢাকার আরও দু-একটি হাসপাতালে রোগীদের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

     

  • ঢামেকে ৭-৮ দিনের মধ্যে করোনার পরীক্ষাগার স্থাপন

    ঢামেকে ৭-৮ দিনের মধ্যে করোনার পরীক্ষাগার স্থাপন

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি হাসপাতালে ৭-৮ দিনের মধ্যে করোনার পরীক্ষাগার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    সোমবার (২৩ মার্চ) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

    তিনি জানান, দুই ধরনের টেস্টিং কিট দিয়ে বিভিন্ন ল্যাবে করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকারের হাতে পর্যাপ্ত কিট রয়েছে। করোনা শনাক্তকরণে আরও ৫০ হাজার কিট অর্ডার দেয়া হয়েছে।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের হাতে পর্যাপ্ত কিট রয়েছে করোনা শনাক্তকরনে। আরো ৫০ হাজার কিট অর্ডার দেয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের গুলো পাওয়া গেলে মোট এক লাখ কিট পাওয়া যাবে।

    তিনি জানান, দেশে ১৮ হাজার জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। দেশের মানুষকে ঝুঁকিতে না ফেলতে বিদেশ ফেরতদের প্রতি আহ্বানও জানা তিনি।

    এদিকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ীদের সহায়তায় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার করোনা শনাক্তকরণ কিট ও ৫০ হাজার পিপিই প্রদান করা হবে। শিগগিরই এসব হস্তান্তর করা হবে।

    মরণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ে প্রথমবারের মতো বিকেলে অনলাইন লাইভ ব্রিফিং করবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

    স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। আজ সোমবার (২৩ মার্চ) বিকেল ৩টার পরে এ লাইভ ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।

    প্রোগ্রামে যুক্ত থাকতে হলে হেলথ মিনিস্ট্রি মিডিয়া উইং গ্রুপে অথবা হেলথ মিনিস্টার জাহিদ মালেক পেজে যুক্ত থাকতে হবে। অনলাইন ব্রিফিং শুরু হলে গ্রুপে প্রবেশ করে গণমাধ্যমকর্মীর নাম ও যে মিডিয়াতে কর্মরত রয়েছেন তা লিখে কমেন্ট করলে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমকর্মীকে লাইভ প্রশ্নোত্তর পর্বে যুক্ত করা হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এ তথ্য জানান।

    এর আগে, দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকেই সংবাদ সম্মেলন করে আসছে আইইডিসিআর। এরমধ্যে একদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন করোনা পরিস্থিতি জানাতে। এরপরই করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আইইডিসিআর-এর ব্রিফিংয়ে একাধিক দাপ্তরিক লোকজন ও গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি করোনা পরিস্থিতিতে আদৌ নিরাপদ কিনা- এমন প্রশ্ন উঠতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববারই আজ থেকে অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ের কথা জানায় আইইডিসিআর।

  • ঢাকা মেডিকেলের ৪ ডাক্তার হোম কোয়ারেন্টাইনে

    ঢাকা মেডিকেলের ৪ ডাক্তার হোম কোয়ারেন্টাইনে

    বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ১৪ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদিকে, করোনা সন্দেহে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার চিকিৎসককে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    বুধবার (১৮ মার্চ) এক বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ঢামেক অধ্যক্ষ খান মো. আবুল কালাম আজাদ। চারজনই ঢামেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক।

    পরীক্ষার পর প্রমাণিত হওয়া করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে আসা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার ডাক্তারকে নিজ দায়িত্বে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ।

    আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস ধরা পড়ার পর থেকে ঢামেক হাসপাতালে নিউমোনিয়া, জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি নিয়ে প্রচুর রোগী প্রতিদিন আসছে। এদের মধ্যে ৩ থেকে ৪ জন রোগীর বক্তব্য শোনার পর তাদের ঢামেকের বাইরে সরকারের বরাদ্দ করা হাসপাতলে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানে ওই রোগীদের করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। আর তাদের যেসব চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়েছেন এমন চারজনকে তাই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

    আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামান্য জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে কোনো রোগীর হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে তাদের।

    এর আগে, সকালে ঢামেকের অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন এক জরুরি বৈঠকে বসেন। দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা বৈঠকে করোনা ভাইরাস নিয়ে আলোচনা হয়।