Tag: ঢাকা

  • ২০২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার পথে ট্রেন: মন্ত্রী

    ২০২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার পথে ট্রেন: মন্ত্রী

    আগামী ২০২২ সালের মধ্যেই দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেল লাইন চালু করা হবে। কক্সবাজারবাসী ২০২২ সালের শেষদিকে রেলে চড়ে সারাদেশে যাতায়াত করতে পারবেন। সেজন্য দ্রুতগতিতে রেললাইন নির্মাণের কাজ এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। যার অগ্রগতি বেশ দৃশ্যমান ও আশাব্যঞ্জক। কিছু ভূমি বিষয়ক জটিলতা থাকলেও তা সমাধান করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই এই রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে ইনশাআল্লাহ।

    দোহাজারি-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজার আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন ভবন নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে প্রধান অতিথি রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এমপি এ আশ্বাস দেন।

    বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারী) বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামানের সভাপতিত্বে কক্সবাজার শহরে রেল স্টেশনের দৃষ্টিনন্দন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন-কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-রামু) আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নাদিরা সুলতানা জলি এমপি, কানিজ ফাতেমা মোস্তাক এমপি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, কক্সবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল (অব.) ফোরকান আহমদ প্রমূখ।

    রেলপথ নির্মাণে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ক্ষতিপূরণের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ার বিষয়টি রেলপথ মন্ত্রীর নজরে আনেন কক্সবাজার-১ আসনের এমপি জাফর আলম এবং কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল। এমপিদ্বয় বলেন, ‘রেললাইন নির্মাণে কক্সবাজার জেলায় ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম এবং অনেক ক্ষেত্রে জায়গার প্রকৃত মালিকেরা ক্ষতিপূরণের টাকা পাননি বলে অহরহ অভিযোগ উঠেছে। তাই বিষয়টির প্রতি সুদৃষ্টি দিয়ে জমির প্রকৃত মালিকেরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি মাননীয় মন্ত্রীর মহোদয়ের কাছে।’

    বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, দোহাজারী থেকে সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, রামু, কক্সবাজার, উখিয়া এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিমি রেললাইন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। ভূমির মালিকদের ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে প্রকল্প ব্যয় বাড়তে পারে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এ প্রকল্পে অর্থের জোগান দিচ্ছে। কাজটি বাস্তবায়নে ২০১৭ সালে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রেলওয়ের চুক্তি হয়। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা থাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজও দেরিতে শুরু হয়।

  • ঢাকাকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম

    ঢাকাকে বিদায় করে দিয়ে ফাইনালে চট্টগ্রাম

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বেক্সিমকো ঢাকাকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। ১৮ ডিসেম্বরের ফাইনালে দলটির প্রতিপক্ষ জেমকন খুলনা।

    আসর জুড়ে বেশিরভাগ অধিনায়কই টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিক। এদিন বদলে যায় ঢাকার ওপেনিং জুটি। সাব্বির রহমানের সাথে ব্যাটিং উদ্বোধনে নামেন মুক্তার আলী।

    তবে দলের এই পরীক্ষানিরীক্ষা সুফল বয়ে আনেনি। সাব্বির ১১ বলে ১১ ও মুক্তার ৭ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। নাঈম শেখ ১৭ বল মোকাবেলা করলেও ব্যাট হাতে সুবিধাও করতে পারেননি, রান করেন মাত্র ১২। ফের দায়িত্ব বর্তায় অধিনায়ক মুশফিক ও ইয়াসির আলির কাঁধে।

    ইয়াসির বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও মুশফিক খেলছিলেন ধীরগতিতে। স্ট্রাইক রেট একশরও নিচে রেখে তাকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়। ৩১ বলে মাত্র ২৫ রান করে দুটি চার হাঁকানো মুশফিক। থিতু হতে পারেননি ইয়াসিরও। ২১ বলে ২৪ রান করে ধরেন মুশফিকের পথ। আল-আমিন জুনিয়র ১৮ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে ব্যাকফুটে চলে যায় ঢাকা। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ঢাকা সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৬ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান তিনটি এবং শরিফুল ইসলাম দুটি উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ছন্দে থাকা দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় চট্টগ্রাম। সৌম্য সরকারের মারকুটে ব্যাটিং দলের রানের গতিও রেখেছে চাঙা। তবে সৌম্যকেই প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ধরতে হয় প্যাভিলিয়নের পথ। ৫টি চারে ২৩ বলে ২৭ রান করে তিনি আকবর আলীর রান আউটের শিকার হন।

    এরপর মোহাম্মদ মিঠুন রানের চাকা সচল রাখার দায়িত্ব নেন, আর সাবধানী ব্যাটিং চালিয়ে যান লিটন। ৪৯ বলে ৪০ রান করে অবশ্য আল-আমিন জুনিয়রের শিকার হতে হয় লিটনকে। মিঠুনও ৩৫ বলে ৩৪ রান করে বিদায় নেন। তবে সেটি দুই ব্যাটসম্যানের বিদায় জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি। ম্যাচ শেষ ওভারে গড়ায়, যে ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১ রান। শেষ ওভারের প্রথম বলেই ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় চট্টগ্রাম।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বেক্সিমকো ঢাকা

    বেক্সিমকো ঢাকা : ১১৬/১০ (২০ ওভার)
    মুশফিক ২৫, আল-আমিন ২৫, ইয়াসির ২৪, নাঈম ১২
    মুস্তাফিজ ৩২/৩, শরিফুল ১৭/২, নাহিদুল ১৫/১

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১১৭/৩ (১৯.১ ওভার)
    লিটন ৪০, মিঠুন, সৌম্য ২৭, শামসুর ৯*
    আম-আমিন ৩/১, মুক্তার ২৮/১

    ফল : গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৭ উইকেটে জয়ী।

  • বরিশালকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে ঢাকা

    বরিশালকে বিদায় করে কোয়ালিফায়ারে ঢাকা

    শ্বাসরুদ্ধকর এক জয়ে কোয়ালিফায়ারে পৌঁছে গেল বেক্সিমকো ঢাকা। আগে ব্যাটিং করে ইয়াসির আলির অর্ধশতকে ১৫০ রানের সংগ্রহ পায় মুশফিকুর রহিমের দল। জবাবে রানে ১৪১ থামে বরিশাল। ৯ রানের জয়ে বরিশালকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিল ঢাকা।

    ১৫১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিলেন সাইফ হাসান। কিন্তু তার ৩টি চারের ইনিংস থেমে যায় ওই ১২ রানেই। শফিকুল ইসলামের বলে ড্রাইভ করতে ব্যর্থ হয়ে বোল্ড হয়ে যান সাইফ। তারপর তামিম ইকবাল ও পারভেজ হোসেন ইমন ধীরগতিতে খেলেন। ১১ বলে ২ রান করে ইমন বোল্ড হয় রবিউল ইসলাম রবির বলে।

    ২৮ বলে ২২ রান করে আউট হন তামিম। ওদিকে ত্বরত্বর করে বাড়তে থাকে বরিশালের প্রয়োজনীয় রানরেট। আফিফ হোসেন ধ্রুব দ্রুতগতিতে রান তুলে বরিশালের জয়ের আশা জিইয়ে রাখেন। শুরুতেই একবার তাকে আম্পায়ার আউট দিয়েছিল তবে রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান আফিফ।

    ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ফিল্ডারদের ভুলে রান আউট থেকেও বেঁচে যান আফিফ। তবে ওই ওভারেই টানা দুই বলে তৌহিদ হৃদয় ও সোহরাওয়ার্দী শুভকে আউট করেন ম্যাচ ঢাকার পক্ষে হেলিয়ে দেন আল আমিন জুনিয়র। অপরপ্রান্তে ৩২ বলে অর্ধশতক তুলে নেন আফিফ।

    দলকে কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড় করিয়ে ৩৫ বলে ৫৫ রান করে বিদায় নেন আফিফ। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা। আফিফের বিদায়ের সাথে সাথে বরিশালের বিদায় ঘণ্টাও বেজে যায়। তবে শেষে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিলেন মিরাজ। কিন্তু তা যথেষ্ট হয়নি। ৯ রানের হারে বরিশালকে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।

    আল আমিন ৪ ওভারে ২২ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। রবি ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় নেন ১টি উইকেট।

    তার আগে টস হেরে ব্যাটিং করে ঢাকা। বরিশালের পক্ষে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন তাসকিন আহমেদ। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের প্রতিদান দিয়ে বরিশালের বোলাররা ভালো শুরু করেন। পাওয়ারপ্লের মধ্যেই ঢাকার ৩টি উইকেট তুলে নেন তারা। প্রথম ৬ ওভারে ঢাকা সংগ্রহ করে কেবল ২৪ রান। ঢাকা শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তারপরে তাসকিন আহমেদ। মোহাম্মদ নাঈম শেখ ৫ (১১), আল আমিন জুনিয়র ০ (২) ও সাব্বির রহমান ৮ (১৪) ফিরে যান। সাব্বিরকে বোল্ড করেন সোহরাওয়ার্দী শুভ।

    ইয়াসির আলি রাব্বিকে সাথে নিয়ে ঢাকার ব্যাটিং বিপর্যয় সামাল দেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৪৮ রানের জুটি। মুশফিক ৩০ বলে ৪৩ রান করে বিদায় নেন।

    বোলার কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে সুবিধামতো শট না নিতে না পারার ফলে বোলারদের হাতেই তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

    চতুর্থ উইকেটে জুটি গড়েন ইয়াসির ও আকবর আলি। ইয়াসির এক প্রান্তে ধীরগতিতে ব্যাটিং করলেও আকবর নেমেই দ্রুত রান তুলতে থাকেন। তবে থিতু হতে পারেননি আকবর। ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৯ বলে ২৩ রানের ছোট্ট ঝড় তুলে মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান।

    ঢাকার পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংস আছে ফর্মে থাকা ব্যাটসম্যান ইয়াসিরের উইলো থেকে। ৪৩ বলে ৫৪ রান করে কামরুলের শিকার হন ইয়াসির। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ঢাকা পেয়েছে ১৫০ রানের সংগ্রহ।

    বরিশালের স্পিনার মিরাজ ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় নেন ২টি উইকেট। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে তাসকিন নেন ১টি উইকেট। অপরদিকে খরুচে বোলার কামরুল ২টি উইকেট পেলেও খরচ করেন ৪০ রান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    বেক্সিমকো ঢাকা ১৫০/৮ (২০ ওভার)
    ইয়াসির ৫৪, মুশফিক ৪৩, আকবর ২১;
    মিরাজ ২/২৩, কামরুল ২/৪০, তাসকিন ১/২১, শুভ ১/৩২।

    ফরচুন বরিশাল ১৪১/৯ (২০ ওভার)
    আফিফ ৫৫, তামিম ২২;
    আল আমিন ২/২২

    ফল: বেক্সিমকো ঢাকা ৯ রানে জয়ী।

  • নাঈমের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও হেরে গেল ঢাকা, প্লে-অফে বরিশাল

    নাঈমের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও হেরে গেল ঢাকা, প্লে-অফে বরিশাল

    বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে বেক্সিমকো ঢাকাকে ২ রানে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে ফরচুন বরিশাল। বরিশালের জয়ে প্লে-অফের আগেই বাদ পড়ল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। অন্যদিকে তৃতীয় স্থানে থেকেই লিগ পর্ব শেষ করল ঢাকা।

    ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করে বরিশাল। দলের পক্ষে অর্ধশতক হাঁকান সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও তৌহিদ হৃদয়।

    ৪৩ বলে ৫০ রান করা সাইফ গড়ে দিয়েছিলেন ইনিংসের ভিত। তামিম ইকবাল ১৯ ও পারভেজ হোসেন ইমন করেন ১৩ রান। তাদের সমর্থন কাজে লাগিয়ে শেষদিকে বিধ্বংসী রুপ নেন আফিফ ও হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে দুজনে গড়েন ৯১ রানের অনবদ্য অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ, মাত্র ৩৮ বলে।

    ১ চার ও ৫ ছক্কায় আফিফ ২৫ বলে ৫০ এবং ২ চার ও ৪ ছক্কায় হৃদয় ২২ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন। হৃদয়ের ব্যাট থেকে আসে টুর্নামেন্টের দ্রুততম ফিফটি, আফিফের ফিফটি ছিল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দ্রুততম।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে সোহরাওয়ার্দী শুভর বোলিং তোপে পড়ে ঢাকা। ৬২ রানের মধ্যেই ঢাকার তিন ব্যাটসম্যানকে শিকার করে নেন শুভ। এরপর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন ওপেনার নাঈম শেখ ও ইয়াসির আলী রাব্বি। নাঈমের বিধ্বংসী ব্যাটিং ঢাকাকে নিয়ে যায় জয়ের কাছে। ৬০ বলে শতক হাঁকান নাঈম, যিনি অর্ধশতক করেছিলেন ৪৩ বলে। নাঈম যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ঢাকার জয়কে মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাঈমকে শিকার করেন সুমন খান। ৬৪ বলে ১০৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার, হাঁকান ৮টি চার ও ৭টি ছক্কা। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। ঐ ওভারে রান আউট হন ইয়াসির (২৮ বলে ৪১)। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৯১ রান। বরিশাল পায় ২ রানের কষ্টার্জিত জয়।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস : বেক্সিমকো ঢাকা

    ফরচুন বরিশাল : ১৯৩/৩ (২০ ওভার)
    হৃদয় ৫১*, আফিফ ৫০*, সাইফ ৫০
    আল-আমিন ৫/১, রুবেল ২৮/১, মুক্তার ৪৮/১

    বেক্সিমকো ঢাকা : ১৯১/৫ (২০ ওভার)
    নাঈম ১০৫, ইয়াসির ৪১, সাব্বির ১৯
    শুভ ১৩/৩

    ফল : ফরচুন বরিশাল ২ রানে জয়ী।

  • রবির দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ চারে ঢাকা,ব্যাটে-বলে ব্যর্থ খুলনার সাকিব

    রবির দুর্দান্ত বোলিংয়ে শেষ চারে ঢাকা,ব্যাটে-বলে ব্যর্থ খুলনার সাকিব

    জেমকন খুলনার সাথে দ্বিতীয় দেখায় ব্যাট ও বল দুই বিভাগেই দাপট দেখিয়েছে বেক্সিমকো ঢাকা। ব্যাট হাতে সাব্বির-নাঈম-আকবরদের পরে বল হাতেও দলের ভরসার প্রমাণ দেন রবি-মুক্তাররা। দলগত এই নৈপূণ্যে ২০ রানের জয় পেয়েছে মুশফিকুর রহিমের দল। রবিউল ইসলাম রবি পেয়েছেন ৫টি উইকেট।

    টস হেরে আগে ব্যাটিং করে বেক্সিমকো ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৭৯ রান। সাব্বির রহমানের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে সাকিব আল হাসানের ওপরে চড়াও হয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ২৬ রান সংগ্রহ করেন মোহাম্মদ নাঈম। ১৭ বলে ৩৬ রান করে শহিদুল ইসলামের শিকার হন তিনি। দলে যোগ দিয়েই একাদশে সুযোগ পেয়ে তা কাজে লাগান আল আমিন জুনিয়র। তিনি ২৫ বলে ৩৬ রান করেন।

    নাঈমের মতোই এক ওভারে চারটি ছক্কা হাঁকান আকবর আলিও। তার আক্রমণে বিধ্বস্ত হন নাজমুল ইসলাম অপু। এই বিশ্বকাপজয়ী ব্যাটসম্যান ১৪ বলে ৩১ রানের ক্যামিও দেখান। এরপরে আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন সাব্বির।

    ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা সাব্বির করেন ৩৮ বলে ৫৬ রান। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। স্ট্রাইকরেট ১৪৭.৩৬!

    মাশরাফি ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় শিকার করেন একটি উইকেট। হাসান ২৩ রানে ১টি ও শহিদুল ৩১ রান খরচে নেন ২টি উইকেট। প্রথম ওভারে কেবল ৩ রান খরচ করার পরেও ৪ ওভার শেষে ৫১ রান খরচ করেন অপু। সাকিব ৩ ওভারে দেন ৩৬ রান।

    বড় লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। ঢাকার পক্ষে প্রথম দুইটি সাফল্যই এনে দেন রবিউল ইসলাম রবি। জাকির হাসানকে ১ রানে ও সাকিব আল হাসানকে ৮ রানে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান এই স্পিনার।

    মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ধীরগতিতে ২৩ রান (২৬ বল) করেন। মাশরাফি ১ ও আরিফুল ৭ রানে ফিরে যান। সম্ভাবনা দেখিয়েছিলেন শামীম হোসেন। তবে তিনিও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২ চার ও ২ ছক্কায় ৯ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন এই তরুণ।

    সতীর্থদের আসা-যাওয়া দেখতে দেখতে অর্ধশতক তুলে নেন জহুরুল ইসলাম। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ৫৩ রান করেন তিনি। তবে তার একার এই লড়াই খুলনাকে জেতাতে সক্ষম হয়নি। খুলনা অলআউট হয়েছে ১৫৯ রানে। ফলে ঢাকা পেল ২০ রানের জয়।

    ঢাকার পক্ষে রুবেল ও মুক্তার আলি ২টি করে উইকেট শিকার করেন। রবি একাই শিকার করেন ৫টি উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    বেক্সিমকো ঢাকা ১৭৯/৭ (২০ ওভার)
    সাব্বির ৫৬, আল আমিন ৩৬, আকবর ৩১;
    শহিদুল ২/৩১, হাসান ১/২৩, মাশরাফি ১/২৬, অপু ১/৫১;

    জেমকন খুলনা ১৫৯/১০ (১৯.৩ ওভার)
    জহুরুল ৫৩, শামীম ২৪, রিয়াদ ২৬,
    রবি ৫/২৭, রুবেল ২/৩০, মুক্তার ৪/৩৫;

    বেক্সিমকো ঢাকা ২০ রানে জয়ী।

  • ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে : রেলপথ মন্ত্রী

    ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে : রেলপথ মন্ত্রী

    রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি নতুন যাত্রীবাহী ট্রেন চালানো হবে।

    মন্ত্রীর সঙ্গে তার দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এ কথা বলেন।

    সাক্ষাৎকালে আগামী ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের চিলাহাটি এবং ভারতের হলদিবাড়ি অংশের মধ্যে নতুন রেল যোগাযোগ উদ্বোধন করবেন এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

    এ সময় জানানো হয়, উদ্বোধন উপলক্ষে একটি খালি ওয়াগণ চিলাহাটি থেকে হলদিবাড়ি যাবে। পরবর্তীতে মালবাহী ট্রেন এই রুটে চালানো হবে।

    রেলপথ মন্ত্রী ঢাকা-শিলিগুড়ি নতুন ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানান।

    এ সময় বাংলাদেশে চলমান ভারতীয় অর্থায়ন এলওসি এর অধীনে যে সকল প্রকল্প চলমান ও আগামীতে কাজ হবে সেগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে খুলনা-মংলা রেল লাইন, ঈশ্বরদীতে আইসিডি নির্মাণ, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ নতুন রেলপথ নির্মাণ, যশোর থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ, সৈয়দপুরে একটি আধুনিক কারখানা প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে আলোচনায় উঠে আসে।

    এর পাশাপাশি সিরাজগঞ্জে একটি অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার ডিপো (আইসিডি) নির্মাণ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং এর সুফল সম্পর্কে উভয় পক্ষ আলোচনায় তুলে ধরেন।

    রেলপথ মন্ত্রী জানান, ২০২২ সালের শেষের দিকে ঢাকা থেকে কক্সবাজার নতুন ট্রেন চালানো হবে।

    তিনি বলেন ডাবল লাইন ছাড়া রেলপথের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব নয়, কাজেই সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলোকে ডাবল লাইনে উন্নত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

  • আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর, ঢাকায় আতাতুর্কের ভাস্কর্য নির্মাণ হবে

    আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধুর, ঢাকায় আতাতুর্কের ভাস্কর্য নির্মাণ হবে

    তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। সেই সাথে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আতাতুর্ক মোস্তফা কামাল পাশার একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করবে তুরস্ক। শিগগিরই এই কাজ শুরু করা হবে বলে জানান তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তফা ওসমান তুরান।

    বুধবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত।

    এ সময় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করি আমরা মুজিববর্ষের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেব। বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রতীক আর কামাল আতাতুর্ক হচ্ছেন তুরস্কের প্রতীক। এই দুই নেতার ভাস্কর্য দুই দেশে স্থাপন করবো এ ব্যাপারে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    আঙ্কারায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং ঢাকার কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য স্থাপিত হবে।

    তুর্কি রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ইস্তাম্বুল ও চট্টগ্রামেও এ ধরনের কিছু করা যায় কি না সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করবেন। একই সঙ্গে ঢাকায় আধুনিক তুস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করবেন।

    আমরা আরও আলোচনা করেছি তুরস্কের বাণিজ্যিক রাজধানী ইস্তাম্বুল ও বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামেও এ রকম কিছু করা যায় কি না সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে।

  • ঢাকাকে নিয়ে ছেলেখেলা করলো চট্টগ্রাম

    ঢাকাকে নিয়ে ছেলেখেলা করলো চট্টগ্রাম

    ব্যাট-বলের দুর্দান্ত পারফর্মে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করল মোহাম্মদ মিঠুনের দল গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের বোলিং তান্ডবে আগে ব্যাটিং করে কেবল ৮৮ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল ঢাকা। জবাবে চট্টগ্রামকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে দেন সৌম্য-লিটন।

    স্বল্প লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেন সৌম্য সরকার ও লিটন দাস। দুইজনের ব্যাট থেকেই নিয়মিত বিরতিতে আসতে থাকে বাউন্ডারি। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে এই দুইজনে যোগ করেন ৫১ রান। রানের উদ্বোধনী ছুটতে থাকে দুর্দান্ত গতিতে। দলকে জয়ের বন্দরে রেখে নাসুম আহমেদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে লিটন করেন ৩৩ বলে ৩৪ রান। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও একটি ছক্কা।

    দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন সৌম্য। তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ৪৪ রান। ইনিংসটি সাজানো ছিল চারটি চার ও দুইটি ছক্কায়। চার হাঁকিয়ে চট্টগ্রামের জয় নিশ্চিত করেন মুমিনুল হক। ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেল চট্টগ্রাম।

    তার আগে ব্যাটিং করে মাত্র ৮৮ রানে অলআউট হয় বেক্সিমকো ঢাকা। টস জিতে চট্টগ্রামের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ঢাকাকে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ২১ রানের মধ্যেই ঢাকার টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম ও নাহিদুল ইসলাম। সাব্বির রহমান ১০ বলে ০ রান করে বিদায় নেন। গোল্ডেন ডাকের শিকার হন মুশফিকুর রহিম।

    একপ্রান্তে ঢাকার পক্ষে দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন নাঈম শেখ। তার ব্যাটে ভালো পুঁজির স্বপ্ন দেখছিল ঢাকা। তবে মোসাদ্দেকের জোড়া আঘাতে ভেঙে যায় সেই স্বপ্ন। শরিফুল ও মুস্তাফিজুর রহমান নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ঢাকাকে ঠেলে দেন ব্যাকফুটে। সেই ধাক্কা সামলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ঢাকা। ৮৮ রানেই অলআউট হয়েছিল তারা।

    চট্টগ্রামের পক্ষে দুইটি করে উইকেট শিকার করেছিলেন মোসাদ্দেক, শরিফুল, মুস্তাফিজ ও তাইজুল। মুস্তাফিজ ও শরিফুল একটি করে মেডেন ওভারও উপহার দেন। একটি করে উইকেট পান নাহিদুল ও সৌম্য সরকার।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর
    বেক্সিমকো ঢাকা ৮৮/১০ (১৬.২ ওভার)
    নাঈম ৪০, আকবর ১৫, মুক্তার ১২, নাসুম ৮, তানজিদ ২, দীপু ২;
    মোসাদ্দেক ২/৯, শরিফুল ২/১০, মুস্তাফিজ ২/১৩, তাইজুল ২/৩২, সৌম্য ১/২, নাহিদুল ১/১৩।

    গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ৯০/১ (১০.৫ ওভার)
    সৌম্য ৪৪*, লিটন ৩৪, মুমিনুল ৮*;
    নাসুম ১/৫।

  • বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি: মেহেদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয়ে শুরু রাজশাহীর

    বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি: মেহেদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয়ে শুরু রাজশাহীর

    মেহেদি হাসানের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুর্দান্ত জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি২০ কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু করলো মিনিষ্টার গ্রুপ রাজশাহী। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ঢাকাকে ২ রানে হারিয়েছে রাজশাহী।

    তীব্র প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট হাতে ৩২ বলে ৫০ রান ও শেষ ওভারে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দারুন বোলিং করে করে ঢাকার বিপক্ষে রাজশাহীর জয়ে বড় রাখেন মেহেদি হাসান।

    টস জিতে প্রথমে বোলিংএর সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাই প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করে রাজশাহী। ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন রাজশাহীর মেহেদি হাসান। জবাবে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান করে ঢাকা।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলো রাজশাহীর দুই ওপেনার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আনিসুল ইসলাম ইমন। ২৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তারা।
    ২টি ছক্কায় ১৬ বলে ১৭ রান করে ঢাকার স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে আউট হন শান্ত। এরপর তিন ব্যাটসম্যান- রনি তালুকদার, মোহাম্মদ আশরাফুল ও ফজলে মাহমুদ দ্রুতই ফিরেন। রনি ৬, আশরাফুল ৫ রান করে ঢাকার পেসার মুক্তার আলীর শিকার হন। রানের খাতা না খুলেই রান আউট হন ফজলে। এর মাঝে ২৩ বলে ৩৫ রান করে থামেন ওপেনার ইমন। তার ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।

    দলীয় ৬৫ রানে রাজশাহীর পঞ্চম উইকেট পতনের দলের হাল ধরেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ও মেহেদি। ঢাকার বোলারদের উপর আক্রমনাত্মক ব্যাট চালান তারা। ষষ্ঠ উইকেটে ৪৯ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন নুরুল ও মেহেদি।
    ২০ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৯ রান করে ঢাকার মুক্তারের তৃতীয় শিকার হন নুরুল। তবে ৩১ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন মেহেদি। হাফ-সেঞ্চুরিতে পা দিয়েই থামতে হয় তাকে। মেহেদির ইনিংসে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিলো। শেষদিকে ফরহাদ রেজার ৬ বলে অপরাজিত ১১ রানে লড়াকু পুঁজিতে পৌছায় রাজশাহী। ঢাকার মুক্তার ৪ ওভারে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন।

    ১৭০ রানের লক্ষ্যে ভালো শুরু হয়নি ঢাকার। ৫৫ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। তবে তাদের রান তোলার গতি ছিলো ওভারপ্রতি ৮এর কাছে।
    দুই ওপেনার তানজীদ হাসান-ইয়াসির আলি যথাক্রমে ১৮ ও ৯ রান করেন। তিন নম্বরে নামা মোহাম্মদ নাইম ২৬ রানে ফিরেন।

    ৪১ বলে ৩ উইকেট পতনের পর দলকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম ও সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আকবর আলী। ৫৩ বলে ৭১ রানের জুটি গড়েন তারা। এরমধ্যে ২৯ বলে ৩৪ রান অবদান ছিলো আকবরের। তার ইনিংসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো।

    আকবরকে শিকার করে রাজশাহীকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন পেসার ফরহাদ। আকবরের ফিরে যাবার কিছুক্ষণ পর আউট হন মুশফিকও। এমন অবস্থায় ম্যাচ নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় ঢাকা। ম্যাচ জিততে শেষ ৩ ওভারে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৬ রানের প্রয়োজন পড়ে তাদের। ১৯তম ওভারে ফরহাদকে তিনটি ছক্কা মারেন মুক্তার আলী। তাতে ম্যাচ জয়ের সুযোগ তৈরি হয়ে যায় ঢাকার সামনে। শেষ ওভারে ৯ রানের দরকার পড়ে তাদের।

    শেষ ওভারের প্রথম তিন বলে কোন রান দেননি রাজশাহীর মেহেদি। চতুর্থ বলে বাউন্ডারি তুলে নেন মুক্তার। পরের ডেলিভারিটি নো-বল করেন মেহেদি। তাতে শেষ ২ বলে ৪ রানের সমীকরন দাড়ায় ঢাকার সামনে।

    পঞ্চম বল ডট ও শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি মুক্তার। ফলে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয় ঢাকা। দলের সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন মুশফিক। তার ৩৪ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা ছিলো। রাজশাহীর মেহেদি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ব্যাট হাতে ৫০ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন মেহেদি। তাই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী : ১৬৯/৯, ২০ ওভার (মেহেদি ৫০, নুরুল ৩৯, মুক্তার ৩/২২)।
    বেক্সিমকো ঢাকা : ১৬৭/৫, ২০ ওভার (মুশফিক ৪১, আকবর ৩৪, মেহেদি ১/২২)।
    ফল : মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ২ রানে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা : মেহেদি হাসান (মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী)।

  • ঢাকায় মাস্ক পরা নিশ্চিতে নামছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

    ঢাকায় মাস্ক পরা নিশ্চিতে নামছে ভ্রাম্যমাণ আদালত

    রাজধানী ঢাকায় মাস্ক পরা নিশ্চিতে করতে মোবাইল কোর্ট (ভ্রাম্যমাণ আদালত) পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

    আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এ কথা জানান।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

    মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানানোর সময় তিনি বলেন, কোভিড নিয়ে আরেকটু স্ট্রিক্ট ভিউতে যেতে হবে। (করোনাভাইরাসের সংক্রমণ) একটু বেড়েও যাচ্ছে মনে হচ্ছে। সেজন্য আরেকটু সতর্কতা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কোভিড-১৯ নিয়ে আরো সতর্ক থাকার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীতে মাস্ক পরা নিয়ে নতুন করে অভিযান শুরু হচ্ছে।’

    মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো জানান, তুরস্কে রফতানি বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ-তুরস্ক মিউচুয়াল অ্যাসিসটেন্ট ইন কাস্টমস ম্যাটার চুক্তি মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ঢাকায় বিসিকে ফিনান্সিয়াল এনালাইসিস এন্ড ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ

    ঢাকায় বিসিকে ফিনান্সিয়াল এনালাইসিস এন্ড ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট প্রশিক্ষণ

    রাজধানীতে শুরু হল বিসিক কর্মকর্তাদের ৫ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ। ‘ফিনান্সিয়াল এনালাইসিস এন্ড ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট ফর এসএমই’স’ শিরোনামে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে বিসিক ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্প।

    রোববার সকালে উত্তরায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্কিটিতে এ কর্মশালাটি শুরু হয়।

    এ প্রশিক্ষণের বিসিকের ২৫ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করছেন। এটি পরিচালনা করছেন প্রিজম প্রকল্পের টিম লিডার আলী সাবেত। এর আগে আরো ২৫ কর্মকর্তাকে এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

    ৫ নভেম্বর পর্যন্ত এ প্রশিক্ষণ চলবে। প্রশিক্ষণ শেষে কর্মকর্তাদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • ঢাকায় ভারতীয় নতুন হাইকমিশনার হচ্ছেন বিক্রম দোরাইস্বামী

    ঢাকায় ভারতীয় নতুন হাইকমিশনার হচ্ছেন বিক্রম দোরাইস্বামী

    বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার পদে পরিবর্তন হচ্ছে। নতুন হাইকমিশনার হিসেবে আসছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিক্রম দোরাইস্বামী। বর্তমান হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) পদে পদোন্নতি পেয়ে নয়াদিল্লী ফিরে যাচ্ছেন।

    গতকাল শনিবার (১১জুলাই) কূটনৈতিক সূত্রে এ খবর জানা যায়। রিভা গাঙ্গুলী দাশ দেড় বছর আগে বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেন।

    বিক্রম দোরাইস্বামী ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বাংলাদেশ ও মিয়ানমার) হিসেবে ইতিপূর্বে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর