Tag: ঢাকা

  • দেশে করোনার ছোবলে কাবু ঢাকা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৮১/ মোট আক্রান্ত ১৩৭৭০

    দেশে করোনার ছোবলে কাবু ঢাকা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬৮১/ মোট আক্রান্ত ১৩৭৭০

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স // দেশের মধ্যে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে মোট আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। মোট আক্রান্তের সিংহভাগই ঢাকা বিভাগে।

    গতকাল ৯ মে শনিবার পর্যন্ত সরকারি ওয়েভ সাইট http://covid19tracker.gov.bd/ সংযুক্ত তথ্য মতে করোনা ভাইরাসে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৭শ ৭০ জন।

    এরমধ্যে শুধু ঢাকা বিভাগেই আক্রান্ত হয়েছে ৮ হাজার ৯শ ৮৭ জন। এই বিভাগের অন্য জেলাগুলোতেও সংক্রমণ বেশি।

    ঢাকা বিভাগের মধ্যে শুধুমাত্র ঢাকা শহর ও জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৬শ ২৯ জন। এরপরেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। এ জেলায় গতকাল পর্যন্ত সরকারি হিসেবে মতে ১ হাজার ১শ ৭৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এরপরেই আছে গাজীপুর। এ জলায় মোট আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে ৩শ ৩২ জন।

    ঢাকা বিভাগের মধ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলায় ২শ ১২ জন, কিশোরগঞ্জ জেলায় ২শ ২ জন, নরসিংদী জেলায় ১শ ৭১ জন, শরিয়তপুর জেলায় ৫৭ জন, মাদারিপুর জেলায় ৫৪ জন, গোপালগঞ্জ জেলায় ৫০ জন, টাঙ্গাইল জেলায় ৩১ জন, মানিকগঞ্জ জেলায় ২৮ জন, রাজবাড়ী জেলায় ২৩ জন এবং এ বিভাগের সবচেয়ে কম ফরিদপুর জেলায় গত শনিবার পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২১ জন।

    এদিকে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত চট্টগ্রাম বিভাগেও এখন পর্যন্ত ৬শ ৮১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ৯ মে শনিবার রাত পর্যন্ত শুধুমাত্র চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় ২১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি।

    গতকাল ৯ মে শনিবার পর্যন্ত সরকারি ওয়েভ সাইট http://covid19tracker.gov.bd/ সংযুক্ত তথ্য মতে করোনা ভাইরাসে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্যান্য জেলার মধ্যে চট্টগ্রামের পরেই রয়েছে কুমিল্লা। এ জেলায় গতকাল পর্যন্ত সর্বমোট ১শ ৬৯ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে।

    এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে কক্সবাজার সদর ও জেলায় ৭৭ জন, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৫৮ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৫৭ জন, চাঁদপুর জেলায় ৫৫ জন, নোয়াখালী সদর ও জেলায় ২৭ জন, ফেনী সদর ও জেলায় ৮ জন, রাঙ্গামাটি জেলায় ৪ জন, বান্দরবান জেলায় ৪ জন এবং সর্বশেষ সরকারি তথ্য অনুযায়ী খাগড়াছড়ি জেলায় ৩ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে।

    এর আগে গতকাল শনিবার (৯ মে) দুপুরে করোনা ভাইরাস নিয়ে নিয়মিত অনলাইন সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা: নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৬শ ৩৬ জন জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    এ নিয়ে মোট ১৩ হাজার ৭শ ৭০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮ জন। এ নিয়ে দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ২১৪ জনে দাড়িয়েছে।

    এরমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান সহকারী খলিলুর রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়ে শনিবার সকালে মারা গেছেন। এর আগে একজন পরিচালকের মৃত্যু হয় করোনার ছোবলে। তাছাড়া দেশের মধ্যে পুলিশের মধ্যেই সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ১৫শ ৯ জন পুলিশ সদস্য করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৭ জন।

    করোনার প্রবণতা বিশ্লেষণে সরকার গঠিত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ দলের সদস্য অধ্যাপক শাহ মনির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেছেন, তাদের টীম পর্যবেক্ষণ করে যে পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহটি হবে সংক্রমণের চরম সময়। জুনের শেষ সপ্তাহ নাগাদ ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণে নেয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই অভিজ্ঞ চিকিৎসক।

    স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে দিনে ৬৫ হাজারের মত মানুষ সংক্রমিত হতে পারে। যদি এমনই হয় তাহলে এর পাঁচ ভাগের এক ভাগকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হবে।

    করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির উপদেষ্টা ডা. এবি এম আবদুল্লাহ বলেছেন, যেহেতু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল করা হয়েছে এখন এর প্রভাবে যদি সংক্রমণ বেড়ে যায় তখন আবারো কঠোর লকডাউন এমন কি প্রয়োজনে কারফিউ দেয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • রাজধানীতে করোনায় মৃত্যুর সেঞ্চুরি

    রাজধানীতে করোনায় মৃত্যুর সেঞ্চুরি

    রাজধানী ঢাকায় করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গোটা দেশে যে পরিমাণ মৃত্যু ও আক্রান্ত হচ্ছে তার অর্ধেকই ঢাকার।

    বুধবার পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে ১১ হাজার ৭১৯ জন আক্রান্ত এবং ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়।

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মোট রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০০ জন রাজধানী ঢাকার।

    এছাড়া ঢাকা জেলায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ১, মাদারীপুর ২, নারায়ণগঞ্জ ৪১, মুন্সিগঞ্জ ৪, নরসিংদী ১, টাঙ্গাইল ৩, শরীয়তপুর ১।
    চট্টগ্রাম জেলায় ২, কুমিল্লা ৪, ব্রাহ্মণবারিয়া ২, লক্ষ্মীপুর ১, নোয়াখালী ১ জন। সিলেট জেলায় ২ ও মৌলভীবাজার ৩ জন। রংপুর বিভাগে ১, দিনাজপুর ১, মেহেরপুর ১, ময়মনসিংহ ৩, জামালপুর ৩, বরগুনা ১, পটুয়াখালী ১, জয়পুরহাট ১, পাবনা ১ ও রাজশাহীতে ২ জনের মৃত্যু হয়।
    আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৫ হাজার ৬৭৪ জন, ঢাকা জেলায় ১৬৮, গাজীপুর ৩২৮, কিশোরগঞ্জ ২০২, মাদারীপুর ৫৩, মানিকগঞ্জ ২৮, নারায়ণগঞ্জ ১ হাজার ৭২, মুন্সিগঞ্জ ১৭০, নরসিংদী ১৬৭, রাজবাড়ী ২৩, ফরিদপুর ২১, টাঙ্গাইল ৩০, শরীয়তপুর ৫৪, গোপালগঞ্জ ৪৫, চট্টগ্রাম ১১২, কক্সবাজার ৪০, কুমিল্লা ১৩০, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫৬, খাগড়াছড়ি ২, লক্ষ্মীপুর ৪৫, বান্দরবান ৪, নোয়াখালী ২২, ফেনী ৭, চাঁদপুর ৩৭, মৌলভীবাজার ২৯, সুনামগঞ্জ ৩৫, হবিগঞ্জ ৭০, সিলেট ২৭, রংপুর ৮২, গাইবান্ধা ২৪, নীলফামারী ৩১, লালমনিরহাট ৪, কুড়িগ্রাম ২২, দিনাজপুর ২৯, পঞ্চগড় ৮, ঠাকুরগাঁও ২০, খুলনা ১৭, যশোর ৭৫, বাগেরহাট ২, নড়াইল ১৩, মাগুরা ৮, মেহেরপুর ৪, সাতক্ষীরা ৪, ঝিনাইদহ ৩৩, কুষ্টিয়া ১৮, চুয়াডাঙ্গা ১৫, ময়মনসিংহ ১৯৮, জামালপুর ৭৯, নেত্রকোনা ৬২, শেরপুর ২৭, বরগুনা ৩৩, ভোলা ৬, বরিশাল ৪৪, পটুয়াখালী ২৮, ঝালকাঠি ১০, জয়পুরহাট ৩৪, পাবনা ১৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২, বগুড়া ১৮, নাটোর ১১, নওগাঁ ১৭, সিরাজগঞ্জ ৪ এবং রাজশাহীতে ২৬ জন রয়েছেন।

    রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে আরও ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মহামারীতে। অর্থাৎ ঢাকা বিভাগেই সর্বোচ্চ ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট মৃতের প্রায় ৮৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    ঢাকার পাশাপাশি গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জও করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই দুই জেলায় বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েক জনের।

    স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগের সর্বোচ্চ আট হাজার ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৮৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

    ঢাকা বিভাগের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৬৭৪ জন (৫৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ) এবং ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় দুই হাজার ৩৬১ জন (২৪ দশমিক ৪০ শতাংশ) আক্রান্ত হন।

    অবশিষ্ট সাত বিভাগ মিলিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬৮৪ জন।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • স্বামী বেকার ঘরে অভাব, দুই সন্তানসহ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা চেষ্টা মায়ের

    স্বামী বেকার ঘরে অভাব, দুই সন্তানসহ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা চেষ্টা মায়ের

    ২৪ ঘণ্টা জেলা সংবাদ || ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালিপাড়া এলাকার বাসিন্দা সোহেল। সে স্থানীয় একটি পোষাক কারখানায় চাকরি করলেও বর্তমানে সে বেকার।

    ফলে স্ত্রী ও দুই সন্তান এবং পিতাকে নিয়ে ৫/৬ জনের পরিবারে সংসারিক অভাব অনটন লেগে আছে নিত্যদিন।

    আর এ অভাবের তাড়নায় দুই সন্তানসহ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন সোহেলের স্ত্রী লাইজু বেগম।

    মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয়রা জানান, স্বামী সোহেলের চাকরি চলে যাওয়ায় সংসারে অভাব-অনটন চলছিল। এ নিয়ে লাইজুর চা বিক্রেতা শ্বশুর তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিতে চাইলে কথা কাটাকাটি হয়।

    একপর্যায়ে লাইজু দুই সন্তানসহ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের আগুনের হাত থেকে রক্ষা করেন।

    আহত লাইজু আক্তার বলেন, স্বামী সোহেল বর্তমানে বেকার। এ অবস্থায় বাড়ি থেকে শ্বশুর বের করে দিতে চাইছেন। আমার দুটি সন্তান রয়েছে। ছোট ছেলের বয়স ১০ মাস, বড় ছেলের ৬ বছর। এদের নিয়ে কোথায় যাব। সন্তানদের নিয়ে না খেয়ে দিন পার করছিলাম।

    গাংগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল কাদের মোল্লা বলেন, করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মাঝে হতদরিদ্রদের আমরা ত্রাণ বিতরণ করছি।

    যদি কেউ ত্রাণ না পেয়ে থাকে, তারা আমাদের জানালে তাদের বাড়িতে ত্রাণ চলে যায়। কিন্তু এ সময় কেউ যদি পারিবারিক কলহের কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন, তা হলে এ দায় তো আমাদের না।

    এ ব্যাপারে এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি বলে জানিয়েছেন কাওয়ালিপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ রাসেল মোল্লা।

    ২৪ ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • করোনা:সাবেক মন্ত্রীর বাসায় আক্রান্ত ৮, একজনের মৃত্যু

    করোনা:সাবেক মন্ত্রীর বাসায় আক্রান্ত ৮, একজনের মৃত্যু

    সাবেক এলজিআরডি প্রতিমন্ত্রী ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম জিয়াউল হক জিয়ার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডের বাসায় একজন মৃত ও ৮ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর খবর পাওয়া গেছে।

    মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ও আইইডিসিআরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং পুরো এলাকা লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।

    মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    এদিকে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ায় মোহাম্মদপুর এলাকার আরও তিন সড়ক লকডাউন করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) বিকালে এ তিনটি সড়কের প্রবেশপথ লকডাউন করা হয়েছে। ফলে এসব সড়কে কাউকে প্রবেশ এবং বাহির হতে দেয়া হচ্ছে না। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউনের আওতায় থাকবেন এসব এলাকার বাসিন্দারা।

    সড়কগুলো হলো-মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের ২০ সিরিয়াল রোড, বাবর রোডের কিছু অংশ ও বসিলার পশ্চিম অংশ।

    মোহাম্মদপুর ফাড়ির ইনচার্জ মো. প্লাবন আহমেদ রাজিব বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মোহাম্মদপুরের চারটি রোডে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। জানার সঙ্গে সঙ্গে ওসি স্যার ও এসি স্যারে নেতৃত্বে আমরা এই রোডগুলো লকডাউন করি। সবাই বাসায় থাকবেন। আমরা সতর্ক হওয়ার জন্য মাইকিং করছি। বিশেষ প্রয়োজন হলে ৩৩৩ তে কল দিয়ে আপনার কাঙিক্ষত সেবা পেতে পারেন।

    মোহাম্মদপুর থানার ওসি বলেন, আমরা মোহাম্মদপুরের চারটি রোডে ছয়জন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় রোডগুলো লকডাউন করে দিয়েছি। এ রোডে কারও প্রবেশ ও বাহির হওয়া নিষেধ করা হয়েছে।

  • মিরপুরে গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ

    মিরপুরে গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ

    রাজধানীর মিরপুরে গ্যাসের আগুনে একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। তারা হলে জাকির হোসেন, তার স্ত্রী রানী এবং ছেলে জিহাদ।

    শনিবার রাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

    দগ্ধদের প্রতিবেশী রিপন জানান, তারা ভাষানটেকে টিনশেড বাড়ির ঘরে ভাড়া থাকতেন। শনিবার রাতে ওই ঘরে বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। এতে সেখানে থাকা একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের অবজারভেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। তাদের শরীরের অধিকাংশ জায়গা পুড়ে গেছে।

    রিপন আরও জানান, সাত থেকে আট মাস আগে এই ঘরে আগুনে পুড়ে একজন মারা গিয়েছিল। প্রায় সময়ই এই ঘর থেকে গ্যাসের গন্ধ বের হতো।

    ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, দগ্ধদের বার্ন ইউনিটের অবজারভেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের শরীরের কতভাগ পুড়ে গেছে সেটা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক।

  • সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারে কাঠমান্ডুর প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল ঢাকা

    সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারে কাঠমান্ডুর প্রস্তাবকে স্বাগত জানাল ঢাকা

    বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে যোগাযোগ জোরদারের অংশ হিসাবে নিলফামারি জেলার সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারে কাঠমান্ডুর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা।

    আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রদীপ কুমার গ্যাওয়ালির মধ্যে দিপক্ষীয় বৈঠক শেষে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই বিমানরন্দর ব্যবহারের জন্য নেপাল একটি প্রস্তাব দিয়েছে।’

    তিনি বলেন, এখন একটি কারিগরি কমিটি দেখবে যে, কী ধরনের বিমান এখানে ওঠানামা করতে পারবে। এই বিমানবন্দরটি সম্প্রসারিত করা হচ্ছে।

    বর্তমানে ১২ থেকে ১৪টি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে চলাচল করে। তাই লোকজন সহজেই ঢাকায় আসতে পারছেন।’

    মন্ত্রী বলেন, দুই প্রতিবেশী দেশ বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে এবং এই ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা অপসারণ করতেও একমত হয়েছে।

    নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় সংস্থা জিএমআর নেপালে শিগগিরই একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করতে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশ আগামী পাঁচ/ছয় বছরের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ পেতে পারে। বাংলাদেশের আমন্ত্রণে গ্যাওয়ালি সোমবার এখানে পৌঁছেছেন।

    ১৯৭৯ সালে একটি অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসাবে যাত্রা শুরু করে সৈয়দপুর বিমানবন্দর। এটি মোট ১৩৬.৫৯ একর জমির উপর অবস্থিত। বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ এটি পরিচালনা করছে। বিমানবন্দরটি সৈয়দপুর শহর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে এবং রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

    তিনটি বিমান পরিবহন; বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার ও ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স বর্তমানে সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে তাদের যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

  • ঢাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকেও ডেন্টিস্ট বের হয়!

    ঢাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকেও ডেন্টিস্ট বের হয়!

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার কাটিরহাট স্কুল মার্কেটের ২য় তলায় চেম্বার খুলে দাঁতের চিকিৎসা করছেন হেলাল উদ্দিন নামের এক দন্ত চিকিৎসক। নিজেকে একজন ডেন্টিস্ট দাবী করলেও তার কাছে প্রয়োজনীয় কোন কাগজ পত্র নেই।

    শুধুমাত্র ঢাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এক বছর মেয়াদি কোর্স সম্পন্ন করে সে দাঁতের চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।

    অবশেষে বিষয়টি ধরা পড়েছে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে। আজ মঙ্গলবার ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর পৌণে ১টার সময় পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেওয়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিনের হাতেই ধরা খেলেন ভুয়া এ চিকিৎসক।

    জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে গেলে ভূয়া এ দন্ত চিকিৎসককে চেম্বারেই পেয়ে যান নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুহুল আমিন। এসময় তিনি ওই চিকিৎসককে প্রশ্ন করেন, আপনি কি দন্ত চিকিৎসক? উত্তরে তিনি বলেন জ্বি। এরপর তার কাছে জানতে চাওয়া হয় আপনার কি বিডিএস ডিগ্রী আছে? তিনি বলেন শিওর।

    পরে কপিগুলো দেখানোর কথা বলতেই তিনি ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিনের হাতে ঢাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এক বছর কোর্সের একটা এডমিট কার্ড ধরিয়ে দেন।

    এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, জীবনে এই প্রথম আমি জানলাম যে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকেও ডেন্টিস্ট বের হন।

    চিকিৎসকের কোন সনদ না থাকা সত্তেও ডেন্টিস্ট পরিচয়ে চিকিৎসা প্রদানের অপরাধে চেম্বারটি বন্ধ করার পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ভুয়া এ চিকৎসককে।

  • মেট্রোরেলের নমুনা কোচ ঢাকায়

    মেট্রোরেলের নমুনা কোচ ঢাকায়

    দেশে এসেছে মেট্রোরেলের প্রথম কোচ। আজ সোমবার উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোতে কনটেইনার থেকে বের করা হয়েছে কোচটির মোড়ক। জানা গেছে এটি মেট্রোরেলের কোচ হলেও এটি মূলত নমুনা কোচ। মেট্রোরেলে চড়তেও শেখানো হবে এই কোচটির মাধ্যমে। এই কোচ যুক্ত হবে না মূল পরিবহন বহরে।

    ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, এই কোচটি জাপানের মিৎসুবিশি ও কাওয়াসাকি থেকে তৈরি করে আনা হয়েছে কোচটি। এই কোচ শুধু প্রদর্শন করা হবে, যুক্ত হবে না যাত্রী পরিবহন বহরে। মূলকোচগুলো যে উপাদান দিয়ে যেভাবে তৈরি করা হবে এটিও সেভাবেই তৈরি হয়েছে। উত্তরায় মেট্রোরেলের যে তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে সেখানে এটি সাধারণ মানুষের দেখার ও শেখার জন্য প্রদর্শিত হবে।

    কোচটি প্রদর্শনীর জন্য আগামী মাস থেকেই উন্মুক্ত করা হবে । আর যাত্রীবাহী মেট্রোরেলের মূল কোচগুলো আগামী ১৫ জুন বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে বলে জানালেন এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি বলেন, গত এক বছর ধরে জাপানে এগুলো তৈরি করা হয়েছে। দেশে আসার পর এগুলো অপারেশন কন্ট্রোল সেন্টার (ওসিসি) এর সঙ্গে মিলে চলতে পারছে কিনা তার জন্য ট্রায়াল রান দেওয়া হবে।

    এম এ এন ছিদ্দিক আরও জানান, উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের ডিপোর পাশে ভিজিটর সেন্টার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এমআরটি তথ্য ও প্রদর্শন কেন্দ্রের ভেতরেই রাখা হবে নমুনা ট্রেনটি। সেখানেই দর্শনার্থীদের টিকেট কাটা, ট্রেনে চড়া, দাঁড়ানো, ট্রেন থেকে নামা- এসব বিষয়ে ধারণা দেওয়া হবে।

    ২০২১ সালে বিজয়ের মাসে প্রথম মানুষ মেট্রোরেলে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন ডিএমটিসিএলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর। তিনি বলেন, ‘সেই লক্ষ্যমাত্রা মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশে আসা মেট্রোরেল ট্রেন সেট জাতীয় পতাকার রঙে সাজানো থাকবে।

    জানা গেছে মেট্রোরেলের প্রতি র‍্যাকে ১ হাজার ৭৩৮ জন যাত্রীর পরিবহন করবে। ত তবে বেশিরভাগ যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। দাঁড়ানোর জন্য সুব্যবস্থা থাকবে ট্রেনের ভেতর। প্রতিটি কোচের দুদিকে চারটি দরজা থাকবে। ট্রেনে সিটের ধরন হবে লম্বালম্বি এবং প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইলচেয়ারের পাশাপাশি রাখার ব্যবস্থা। প্রতিটি ট্রেনের ছয়টি কোচের মধ্যে একটি কোচ শুধুমাত্র নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।

  • কাল ঢাকায় হরতাল

    কাল ঢাকায় হরতাল

    ঢাকা দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে আগামীকাল ভোর ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীতে হরতাল ডেকেছে বিএনপি।

    শনিবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    বিস্তারিত আসছে…

  • ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন

    ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন

    ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিন থেকেই রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দেশের শিল্পখাতের সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০ শুরু হয়েছে ।

    বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

    বরাবরের মত এবারও সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইবিপি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
    বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনকে সামনে রেখে দেশের পণ্য প্রদর্শনী এবং পারিবারিক বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দৃষ্টিনন্দন করে এবারের মেলাকে সাজানো হয়েছে। ৩২ একর জমির ওপর নতুন রূপে সাজানো হয়েছে এবারের মেলা। মেলার গেট সাজানো হয়েছে জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে। সঙ্গে রয়েছে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকা।

    মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৮৩টি স্টল থাকছে। স্টলের মধ্যে রয়েছে ১১২টি প্যাভেলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভেলিয়ন এবং ২৪৩টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়নকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

    মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, মরিশাস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়া।

    মেলা উপলক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা মাঠের অস্থায়ী সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

    প্রবেশ টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৪০ টাকা (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ) এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মোট টিকিটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে পাওয়া যাবে।

    খাবারের দোকানগুলোর জন্য খাবারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মেলায় খাবারের দাম যেন বেশি রাখা না হয়, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ থাকবে। একই সঙ্গে মেলার মাঠে চালু থাকবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম।

    অনলাইনে মেলার সব তথ্য পাওয়া যাবে। যানবাহন পার্কিংসহ মেলায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে ২টি মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপাক,ই-পার্ক এবং ব্যাংকের পর্যাপ্ত এটিএম বুথ।

  • ঢাকা-বাকু সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর

    ঢাকা-বাকু সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর

    বাংলাদেশ এবং আজারবাইজানের মধ্যে সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে আজ দু’দেশের মধ্যে একটি সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজারবাইজান প্রেসিডেন্ট ইলহাম এলিয়েভের মধ্যে এখানে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়।

    বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এবং আজারবাইজানের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রী ড. আবুলফাস গারায়েভ স্ব স্ব দেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম এলিয়েভ চুক্তি স্বাক্ষরকালে উপস্থিত ছিলেন।

  • আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ঢাকায় পড়তে চান না

    আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ ঢাকায় পড়তে চান না

    ঢাকায় আর না পড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বুয়েটে হত্যাকাণ্ডের শিকার মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের একমাত্র ছোট ভাই আবরার ফায়াজ।

    বর্তমানে তিনি ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। ঢাকা কলেজ ছেড়ে গ্রামের কোনো বিদ্যাপীঠে ভর্তি হতে চান তিনি।

    গতকাল শনিবার বিকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এ সিদ্ধান্তের কথা বলেন ফায়াজ।

    কেন এমন সিদ্ধান্ত সেই প্রশ্নের জবাবে গণমাধ্যমকর্মীদের ফায়াজ বলেন, ভাইকে হারিয়ে আমি একা হয়ে পড়েছি। ঢাকায় থাকার এখন কোনো মানে হয় না।

    তিনি বলেন, ‘ফাহাদ ভাই আমার অভিভাবক ছিলেন। আমাদের দুই ভাইয়ের মধ্যে যে সম্পর্কটি ছিল তা এক কথায় প্রকাশ করা যাবে না। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এমন ছিল যে মা–বাবার কথা তেমন মনেই হতো না। আর সেই ভাই এখন নেই। কার জন্য তা হলে ঢাকায় পড়ে থাকব। বড় ভাইকে হারিয়ে মা-বাবা এমনিতেই দিশেহারা। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ঢাকা আর না, কুষ্টিয়াতে পড়াশোনা করব। এটিই পরিকল্পনা।’

    উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দিন ফায়াজ কুষ্টিয়াতেই ছিলেন। আবরার ফাহাদ যেদিন (রোববার) কুষ্টিয়ার পিটিআই সড়কের বাড়ি থেকে চলে যান, সেদিন সকালে ঘুমিয়ে ছিলেন ফায়াজ।

    ফায়াজ বলেন, ‘ভাই যাওয়ার সময় মা ডেকেছিল। কিন্তু শুয়েই ছিলাম। আমাকে শুয়ে থাকতে দেখে ভাই বলল, তাড়াতাড়ি ঢাকায় চলে আসবি। আমি ঘুমের ঘোরেই হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়েছিলাম। ভাইয়ের সঙ্গে এটিই ছিল আমার শেষ কথা।’

    কান্নারত কণ্ঠে তিনি বলেন, এখন ভাই নেই, ঢাকায় আমি কার কাছে যাব?

    ভাইয়ের এমন হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর কি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ফায়াজ! তাই ঢাকায় না যাওয়ার সিদ্ধান্ত? এমন প্রশ্ন ওঠার আগেই নিজের আবেগের কথা জানালেন তিনি।

    তিনি বলেন, ‘কোনো ভয় থেকে নয়, সত্যি কথা হচ্ছে- ঢাকাতে নিয়ে ভাই (ফাহাদ) আমাকে ঢাকা কলেজে ভর্তি করিয়েছেন। সব ছিল ভাইয়ের ইচ্ছায়। ঢাকায় ও আমার অভিভাবক ছিল। বাবা-মা ওর হাতেই আমাকে তুলে দিয়েছিল। ভাই আমাকে সেভাবে যত্ন ও দেখভালও করতেন। এই যেমন ধরুন- মেসে পানি নেই, ভাইকে বলতাম, তিনি ব্যবস্থা করে দিতেন। এখন ও নেই, সেখানে কী করে থাকব আমি।’

    প্রসঙ্গত ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত ৫ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ।

    এর জের ধরে পর দিন ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খুনিরা।

    এমন ঘটনার সময় থেকে আবরার ফায়াজ কুষ্টিয়া গ্রামের বাড়িতেই আছেন। ঢাকায় ফেরেননি এখনও।