Tag: ঢাবি ছাত্রী

  • ঢাবি ছাত্রী সুমাইয়া হত্যা: স্বামী-শ্বশুর গ্রেপ্তার

    ঢাবি ছাত্রী সুমাইয়া হত্যা: স্বামী-শ্বশুর গ্রেপ্তার

    নাটোরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী সুমাইয়া হত্যার প্রধান দুই আসামি তার স্বামী মোস্তাক হোসেন ও শ্বশুর জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    আজ বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশের বিশেষ টিম বগুড়ার নন্দিগ্রাম এলাকা থেকে স্বামী মোস্তাককে এবং সকালে রাজশাহীর বাঘা এলাকা থেকে শ্বশুর জাকির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ের সমানে এক ব্রিফিংয়ে নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

    তিনি বলেন, ‘সোমবার সুমাইয়ার মৃত্যুর পর রাতেই তার মা নুজহাত সুলতানা জামাই মোস্তাকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে পুলিশ সুমাইয়ার শাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করে। তবে মূল আসামি স্বামী ও শ্বশুর পালিয়ে যায়। পরে তাদের গ্রেপ্তারে আটটি টিম গঠন করে অভিযান শুরু করে পুলিশ।’

    প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রী সুমাইয়া গত সোমবার নাটোর শহরের হরিশপুর এলাকার স্বামীর বাড়িতে নিহত হন। সংজ্ঞাহীন সুমাইয়াকে নাটোর সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা ডিবিতে হস্তান্তর

    ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা ডিবিতে হস্তান্তর

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) সকালে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে মামলাটি সোমবার রাতেই ডিবি পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটি ডিবি তদন্ত করবে।

    উল্লেখ্য, রাজধানীর কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার সন্ধায় এ ঘটনা ঘটে।

  • ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে

    ঢাবি ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) মেধাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।

    হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাক্তার সোহেল মাহমুদ এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তবে ধর্ষক একা ছিল নাকি একাধিক ছিল সেটি জানার জন্য ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া তার গলা এবং মুখমণ্ডল নখের আঁচড়ের চিহ্নও পাওয়া গেছে।

    সকালে হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি হওয়া ঢাবির ছাত্রীর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    বোর্ডের প্রধান করা হয় গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সালমা রবকে। এছাড়া ফরেনসিক বিভাগ ও ইএনটিসহ অন্য বিভাগের চিকিৎসক রয়েছেন বোর্ডে।

    ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাহবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী। এছাড়া মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

    রবিবার সন্ধ্যায় কুর্মিটোলায় বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাস থেকে নেমে ধর্ষণের শিকার হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী।

    বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খিলক্ষেত থানা এলাকার শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির একটি বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী।

    সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে পাশের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে চড়ে ক্যাম্পাসে ফেরেন। পরে রাত ১২টার দিকে তাকে ঢামেকের ওসিসিতে ভর্তি করান সহপাঠীরা।

  • ক্ষোভে ফুঁসছে ঢাবি ক্যাম্পাস

    ক্ষোভে ফুঁসছে ঢাবি ক্যাম্পাস

    রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার জেরে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা ক্যাম্পাস। রোববার দিবাগত রাতেই দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সোমবারও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নানা ধরনের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

    ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে সোমবার সকালে একাই অনশনে বসে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক ছাত্র। অনশনে বসা ওই ছাত্রের নাম সিফাতুল ইসলাম। দর্শন বিভাগের ২০১৩/১৪ সেশনের ছাত্র তিনি। পরে তার সঙ্গে যোগ দেন আর কয়েকজন শিক্ষার্থী। সেখানে ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে অনশন।’

    সিফাতুল ইসলাম বলেন, আমাদের বোন ধর্ষণের শিকার হয়েছে তার প্রতিবাদে আমরা অনশন পালন করছি। আমরা দ্রুত ধর্ষকদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বেলা ১১ টায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশাল মানববন্ধন করে তারা। এসময় ধর্ষণের প্রতিবাদ ও বিচার চেয়ে নানা ধরনের প্ল্যাকার্ড-ব্যানার ছিল তাদের হাতে।

    অন্যদিকে, ছাত্রী নির্যাতন ও ধর্ষণে জড়িতদের শাস্তির দাবিকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

    ছাত্রী নির্যাতনের প্রতিবাদে ঢাবি শামসুন নাহার হলের ভিপি তাসনীম আফরোজ ইমির আহ্বানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে শিক্ষার্থীদের অপর একটি অংশ।

    ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সাথে দেখা করতে যাওয়া সহপাঠী, শিক্ষক ও চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, রবিবার রাতে রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন তার মুখ চেপে ধরে। এ সময় তাকে মারধরও করা হয়। এক পর্যায়ে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। অচেতন অবস্থায়ই তাকে ধর্ষণ করা হয়।

    রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরার পর তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে এক বান্ধবীর বাসায় যান। এরপর সহপাঠীরা তাকে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

    চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত আছেন। আর সুচিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

    ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আব্দুল কাহান জানান, ২১ বছরের ওই শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের জানিয়েছেন, মুখ চেপে ধরায় তিনি অজ্ঞান হয়ে যান এবং রাত ১০টার পরে তার জ্ঞান ফেরে। এরপর বন্ধুদের ফোন করলে তারা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

    সহপাঠীরা জানান, হাসপাতালে নেওয়ার সময় ওই শিক্ষার্থী বাম পায়ে প্রচণ্ড ব্যথার কথা বলছিলেন।

    ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহান সাহান জানান, পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে।

  • কুর্মিটোলায় ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার

    কুর্মিটোলায় ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার

    রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাস থেকে নামার পর ঢাবি’র দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।

    গতকাল রোববার সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের (ঢামেক) ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    জানা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে শেওড়া যাওয়ার উদ্দেশে ঢাবির বাসে ওঠেন ওই শিক্ষার্থী। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কুর্মিটোলায় বাস থেকে নামার পর অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে অজ্ঞান করে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে তার ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে তিনি নিজেকে নির্জন স্থানে অবিষ্কার করেন। পরে সেখান থেকে সিএনজি যোগে নিজ গন্তব্যে পৌঁছালে তাকে রাত ১২টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

    পরে খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম হাসপাতালে দেখতে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।

    এই বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী জানান, ‘ঘটনা শোনার পর পরই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মেয়েটির শারীরিক ও মানসিক সহযোগিতা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় তৎপর রয়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’