Tag: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান

  • দেশে এখনো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয় : তথ্যমন্ত্রী

    দেশে এখনো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয় : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশে বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি না থাকলে, দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো। বাংলাদেশে এখনো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়।

    বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, অনেকে ভেবেছিল, বুদ্ধিজীবী হত্যার রায় হলেও বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু অনেকের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেও যুদ্ধপরাধীদের বিচার হয়েছে, সামনেও হবে।

    এর আগে এদিন শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। এসময় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল।

    ইতিহাস বলছে, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বরের হত্যাকাণ্ড ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম বর্বর ঘটনা। পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের পর ঢাকার মিরপুর ও রায়েবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের লাশ ফেলে রাখে।

    ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পরপরই নিকট-আত্মীয়রা মিরপুর ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে স্বজনের লাশ খুঁজে পায়। বুদ্ধিজীবীদের নিথর দেহজুড়েই ছিল আঘাতের চিহ্ন, চোখ, হাত-পা বাঁধা, কারও কারও শরীরে একাধিক গুলি ও অনেককে হত্যা করা হয়েছিল ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে। লাশের ক্ষতচিহ্নের কারণে অনেকেই তাদের প্রিয়জনের মৃতদেহ শনাক্তও করতে পারেননি।

  • বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি তাদের নেতারা: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির মূল নেতৃত্ব কার্যত তাদের দলের নেতাদের বিএনপি নামক ‘কারাগারে’ বন্দি করে রেখেছে, যেখান থেকে বের হয়ে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি করলে এখন কোনো নির্বাচন করা যায় না, সংসদ নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনও করা যায় না। আর তাদের সিদ্ধান্ত হয়, সাত সমুদ্র তের নদীর ওপার থেকে, যার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।’

    তিনি বলেন, ‘তবে বিএনপি নামক এ কারাগার থেকে অনেকেই বের হয়ে এসেছেন। আজকে অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপি সাবেক সংসদ সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারা অনেকেই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতাই স্বীকার করে যে, আসলে এ সিদ্ধান্তগুলো বিএনপিকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি এখন আকাশ আর পশ্চিমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে, যদি কিছু হয়। এভাবে একটি দল টিকে থাকতে পারে না। বিএনপি আজকে আবার হরতাল ডেকেছে এবং আরও না কি কর্মসূচি দেবে। কিন্তু এ হরতালে জনগণের কোনো সাড়া নেই এবং বিএনপি মূল নেতৃত্বের এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীরা একমত নয়।’

    নির্বাচনী আমেজ ও ডামাডোলে বিএনপির সব কর্মসূচি হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা একটি হাস্যকর দলে রূপান্তরিত হয়েছে। আমি আশা করবো বিএনপি এ অপরাজনীতির পথ থেকে বের হয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে ফিরে আসবে।’

    ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না- এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন টিআইবি নির্বাচনের দিন দেখতে পাবে। টিআইবির প্রতি প্রশ্ন, ২৮ অক্টোবর থেকে দেশে সহিংসতা হচ্ছে, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে, জাজেস কমপ্লেক্সে এমনকি পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালানো হলো, নার্সদের অপদস্ত করা হলো, অ্যাম্বুলেন্সসহ ১৯টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হলো, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালানো হলো, জীবন্ত মানুষকে বাসের মধ্যে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো, এ নিয়ে টিআইবির কি বিবৃতি, কি বক্তব্য?’

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কাউকে ঘুসি মারলে, ধাওয়া করলে টিআইবি বিবৃতি দেয় আর এত চোরাগোপ্তা হামলা, অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে সে নিয়ে আপনাদের জোরালো কোনো বক্তব্য দেখতে পাচ্ছি না। এভাবে টিআইবি আসলে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। টিআইবি যদি মনে করে একটি দল অংশগ্রহণ না করলে সেটি অংশগ্রহণমূলক নয়, তাহলে সেটি টিআইবির চিন্তার বা বোঝার দৈন্য। আজকে দেশে যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে। আর গণতন্ত্রে দল নয়, গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণ হচ্ছে মুখ্য।’

    সাংবাদিকরা এ সময় ‘পোশাক শ্রমিক নেতা কল্পনা আক্তার কার এজেন্ট’ প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি কার এজেন্ট আমি জানি না, আপনারা খুঁজে বের করুন। তবে, এক বছরে যতবার তিনি বিদেশ গেছেন এবং বিদেশ যাত্রায় ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে, তা থেকে প্রশ্ন আসে একজন শ্রমিক নেতার এত টাকা কোথা থেকে আসে, এতবার বিদেশ যাত্রাই বা কেন প্রয়োজন।’

  • উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমই থাকে : তথ্যমন্ত্রী

    উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমই থাকে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে কোনো দেশে যখন উপনির্বাচন হয়, তখন ভোটার টার্নআউট (উপস্থিতি) কম হয়। এটা আমাদের দেশেও সবসময় হয়ে আসছে। নির্বাচনের মাত্র পাঁচ মাস আগে উপনির্বাচন হলে ভোটার টার্নআউট খুবই কম হওয়াটাই স্বাভাবিক।

    সোমবার (১৭ জুলাই) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা-১৭ আসনে ভোটার উপস্থিতি কম থাকার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    নিজের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন একতারা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। তার এ অভিযোগ প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোন একজন প্রার্থী যদি বলে বসে যে আমার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে, সেটা আসলে সত্য কি না যাচাই করতে হবে। বললেই তো সেটা সত্য নয়। কিছু-কিছু প্রার্থী দাঁড়ায় এগুলো বলা এবং প্রচার পাওয়ার জন্য। এগুলো বললে একটু প্রচার হয়।

    ‘যে সব প্রার্থী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে-ঘুরে প্রার্থী হয় তাদের উদ্দেশ্য কী নির্বাচিত হওয়া নাকি প্রচার পাওয়া সেটি একটি প্রশ্ন’, বলেন ড. হাছান।

    সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে। বিএনপি মানুষকে আহ্বান জানিয়েছিল ভোট না দিতে, এরপরেও কোনো কোনো জায়গায় ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। সুতরাং বিএনপি না এলেই যে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না, সেটি যে সঠিক নয় তা প্রমাণ হয়েছে। অবশ্যই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে নির্বাচন বা গণতন্ত্র অনেক শক্তিশালী হয়।

    এর আগে সকালে ঢাকা-১৭ আসনের একতারা প্রতীকের প্রার্থী হিরো আলম বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কী না জানি না। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। আমার সঙ্গে কয়েকজন এজেন্ট আছে, তাদেরও বের করে দেওয়া হয়েছে। তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে তারা একতরফা ভোট করার চেষ্টা করছে। তা না হলে কেন আমাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়া হবে? মহিলা এজেন্টরাও ছাড় পাননি, তাদেরও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়েছে।

    হিরো আলম আরও বলেন, ফল কী হবে সেটা বিষয় না, আমরা শেষ সময় পর্যন্ত দেখব। দেখতে চাই তারা আমাদের ওপর কত অত্যাচার করতে পারে। নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি জানানোর পর বললো যে তারা দেখবে। এভাবে চললে তাদের ওপর আস্থা রাখা সম্ভব নয়।

  • আ.লীগ কমিটিতে তথ্যমন্ত্রীর পদোন্নতি : যুগ্ম-সম্পাদক হলেন ড. হাছান মাহমুদ

    আ.লীগ কমিটিতে তথ্যমন্ত্রীর পদোন্নতি : যুগ্ম-সম্পাদক হলেন ড. হাছান মাহমুদ

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ : জাতীয় ডেস্ক : আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের নব গঠিত কমিটিতে পদোন্নতি পেয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সদ্য বিলুপ্ত কমিটিতে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলেও বর্তমান নবগঠিত কমিটিতে তাকে পদোন্নতি দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

    তার সাথেই আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে পদোন্নতি পেয়ে দায়িত্ব পালন করবেন গত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

    শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের শেষ দিনে এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। পদোন্নতি পাওয়া এ দুই নেতা আগামী তিন বছরের জন্য যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে দলের উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডে ভুমিকা রাখবেন।

    তাছাড়া গত সম্মেলনে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক থাকা মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমানের মধ্যে জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমানকে এবারের সম্মেলনে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য পদে পদোন্নতি দিয়ে দায়িত্ব ভার অর্পণ করেন নির্বাচকরা। বাকি দুজনকে স্বপদে বহাল রেখেছেন।

    এর আগে আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনের শেষ দিনে নবম বারের মতো সভাপতি পদে নির্বাচিত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। এসময় সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য পীযুষ ভট্টাচার্য তা সমর্থন করলে পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়ে যায়।

    এরপর জাহাঙ্গীর কবির নানক ওবায়দুল কাদেরের নাম প্রস্তাব করেন। সমর্থন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। টানা দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদটিও ধরে রাখলেন ওবায়দুল কাদের।

    রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রায় সাত হাজার কাউন্সিলর এতে যোগ দিয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করে দলের নেতা নির্বাচন করছেন। নতুন কমিটিতে নির্বাচিত নেতারাই আগামী তিন বছর দলটির নেতৃত্ব দিবেন।