Tag: তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • যার জনপ্রিয়তা নেই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি : হাছান মাহমুদ

    যার জনপ্রিয়তা নেই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি : হাছান মাহমুদ

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের ৭১/৭২ জন বাদ পড়েছে, প্রতি নির্বাচনেই কিছু প্রার্থী বাদ পড়ে। এবার আগে থেকেই বলা হয়েছিল যারা জনপ্রিয়তার দৌড়ে পিছিয়ে গেছে, যে কোনো কারণে বিতর্কিত হয়েছেন তাদের মনোনয়ন দেওয়া হবে না। সেই কারণে এবার অনেক বেশি প্রার্থী বাদ পড়েছে, বাদ পড়াটা স্বাভাবিক। সেখানে কে মন্ত্রী বা বড় নেতা সেটি বিষয় নয়, জনপ্রিয়তা যার নেই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

    সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনেমা হল মালিকদের নবনির্বাচিত কমিটির সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

    তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মনোনয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান। এর বাইরে দুই বছরের বেশি সময় ধরে দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নানাভাবে তদন্ত করাচ্ছিলেন, সেই রিপোর্টগুলো সংগ্রহ করে জনপ্রিয়তা ও দলের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বিবেচনা করা হয়েছে, উইনেবল প্রার্থী নির্বাচিত করা হয়েছে।

    সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালেও আমরা জোটবন্ধভাবে নির্বাচন করেছিলাম, সেবারও কিন্তু প্রায় ৩০০ আসনে নমিনেশন দেওয়া হয়েছিল। পরে মহাজোটের মধ্যে সমন্বয় করা হয়। গতবারও প্রায় সব আসনে নমিনেশন দিয়ে পরে জোটের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছিল। এখনও ২৯৮ সিটে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছি, আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করব, সেটি কিন্তু আমাদের দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

    তিনি বলেন, নমিনেশন দিলেও জোটের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে, কোন জায়গায় কীভাবে করা হবে সেটি যেহেতু ঠিক করা হয়নি সেজন্য সব আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পরে জোটের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমরা ১৪ দলীয় জোটগতভাবে নির্বাচন করব। এছাড়া অন্যান্যদের সঙ্গে যদি সমন্বয় করতে হয় সেটিও করা হবে।

    রাশেদ খান মেননের আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে কি না? এ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই নয়। প্রায় সব আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। জোটের নেতারা কোথায় নির্বাচন করবে এবং তাদের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা, সমন্বয় হবে তখন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    ২০১৪ সালে যারা বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিল তাদের জরিমানা দিতে হয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, এবার সেই কথাটি মনে করিয়ে দিতে গিয়ে তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছেন, সেটি আমাদের দলের জন্য বলেননি, কেউ যদি প্রার্থী হতে চায় নানাভাবে, কোনো ছোটখাট দল থেকে এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থী যদি হতে চায় সেটিকে নিরুৎসাহিত না করার কথা বলেছেন। তার মানে এই নয় যে আমাদের দলকে বলেছেন।

  • সরকারের যথোপযুক্ত ব্যবস্থাতেই দেশে করোনায় মৃত্যুহার অনেক দেশের চেয়ে কম : তথ্যমন্ত্রী

    সরকারের যথোপযুক্ত ব্যবস্থাতেই দেশে করোনায় মৃত্যুহার অনেক দেশের চেয়ে কম : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের যথোপযুক্ত ব্যবস্থাতেই বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুহার বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে কম যা তথ্য-উপাত্তই বলে দেয়।’

    ওয়ার্ল্ডোমিটার উপাত্ত উদ্ধৃত করে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের ১.৪৮ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেছে, যা ভারতে ৩.২ এবং পাকিস্তানে ২.১৪ শতাংশ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ মৃত্যুহার শতকরা ৫.৯৬, যুক্তরাজ্যে ১৪.৩৬, স্পেনে ১০ এবং ইটালিতে ১৪.১১ শতাংশ।

    এ পরিসংখ্যানই বলে, সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপে দেশে করোনায় মৃত্যু বহুদেশের চেয়ে অনেক কম।

    তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে ঢাকায় তার সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবদান কালে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী’র সরকার মানুষ বাঁচাতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মন্তব্যের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে এ পরিসংখ্যান তুলে ধরে তার জবাব দেন।

    ড. হাছান বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সরকারের প্রশংসা হলেও বিএনপি শুধু সরকারের পদক্ষেপগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ও প্রশংসার বদলে সমালোচনায় প্রতিদিন মিথ্যাচারে ব্যস্ত।’

    গবেষণা সংস্থার নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার হচ্ছে- এবিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দেখতে পাই, যখন দেশে কোনো দুর্যোগ দেখা দেয় বা মানুষ কোনো বিপদে পড়ে, কিছু নিয়ে শংকা-আশংকায় থাকে, তখন কিছু নতুন নতুন গবেষণা সংস্থা গজিয়ে ওঠে। এগুলোকে অন্য সময় আর দেখা যায় না বা এরা কোনো গবেষণাও করেনা- উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারের সমালোচনা করার জন্য ও বিরোধীদের হাতে সমালোচনার অস্ত্র তুলে দেবার জন্যই এরা মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে। এধরনের মনগড়া রিপোর্ট জনসম্মুখে প্রকাশ গুজব রটনার শামিল এবং আমি আশা করবো, গুজব রটনার অপরাধ সংঘটন থেকে সবাই বিরত থাকবে, বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলো এই করোনা মহামারিতে সেবা না দিয়ে বরং বাণিজ্যমুখী আচরণ করছে’- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে, কিছু বেসরকারি হাসপাতাল করোনারোগীদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে যেভাবে এগিয়ে আসা প্রয়োজন ছিলো, সেভাবে আসেনি। অনেকগুলো হাসপাতাল, নিজেরাই অনেকটা বন্ধ করে রেখেছে। সেখানে কোনো করোনারোগী গেলে সেবা দেয়া তো দূরের কথা, তাকে অন্য কোথাও ঠেলে দেবার চেষ্টা চলছে, যা আমরা প্রতিনিয়ত পত্রিকায় দেখতে পাচ্ছি।

    কিছু বেসরকারি হাসপাতালের এ আচরণ অত্যন্ত অমানবিক, কারণ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয় মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাসপাতালের উদ্দেশ্য যদি বাণিজ্য হয়, তাহলে তাকে হাসপাতাল বলা কঠিন।

    তিনি বলেন, আমরা দেখছি, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো হাসপাতালকে যখন ভাড়া নেবার কথা বলা হয়, তখন অস্বাভাবিক অর্থ দাবি করা হয়।

    তিনি জানান, ২০০ বেডের একটি হাসপাতাল মাসে ১৭ কোটি টাকা দাবি করেছে, এবং একই সঙ্গে ডাক্তার-নার্সদের থাকা-খাওয়ার টাকাও দাবি করেছে, যা অস্বাভাবিক।
    এই সময়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলো বাণিজ্যের মানসিকতা পরিহার করে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবে-আশাপ্রকাশ করে ড. হাছান মাহমুদ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কোন জমিই অনাবাদি রাখা যাবেনা: তথ্যমন্ত্রী

    খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে কোন জমিই অনাবাদি রাখা যাবেনা: তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনা ভাইরাসের কারণে পৃথিবী স্তব্দ হয়ে গেছে। সমস্ত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড স্থবির হয়ে গেছে। বৈশ্বিক এই দূর্যোগের কারণে পৃথিবীতে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে। কিন্তু মহান স্রষ্টা বাংলাদেশকে উর্বর জমি দিয়েছে, খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশের কোন জমিই অনাবাদি রাখা যাবেনা।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শুরু থেকেই জনগণের প্রতি আহবান জানিয়েছেন, আমরা যেন এক ইঞ্চি জায়গাও অনাবাদি নারাখি। সেই লক্ষ্য নিয়েই সমগ্র বাংলাদেশে সরকার কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বীজ কীটনাশকসহ নানা ধরণের কৃষি যন্ত্র ভর্তুকিতে বিতরণ করছে। আমাদের খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমরা যদি অধিক খাদ্য উৎপাদন করতে পারি সেক্ষেত্রে অন্যদেরকেও সহায়তা করা যাবে।

    শুক্রবার (০৮মে) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তিক কৃষকের মাঝে সবজি বীজ, রিপার মেশিন বিতরণ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে সমন্বয় সভায় বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ.লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার, রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রিয় যুবলীগ নেতা শেখ ফরিদ উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা অংশ নেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিল, সেই খাদ্য ঘাটতির দেশকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্ব, সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তর করেছেন। সরকার কৃষিতে নানাবিদ ভর্তুকি দেয়ার মাধ্যমে শাক সবজি বীজ ও কীটনাশকের নিশ্চয়তা বিধান করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ করেছেন।

    তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়ায় প্রচুর শাক সবজি উৎপাদন হয়, সারা বাংলাদেশেই শাক সবজির প্রচুর ফলন হয়। আমাদের জমিতে তিনবার ফসল হয়। কোন কোন জমিতে চার ফসলও আবাদ হয়। সেজন্য কৃষকদের মাঝে নানা ধরণের সবজি বীজ বিতরণ করেছি। যাতে তারা শাক সবজি ফলাতে পারেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একেবারে গ্রাম পর্যায়েও যাতে মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায় সেজন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উপজেলা পরিষদগুলোকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীগুলো চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে। এই কর্মসুচির আওতায় একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কর্মসুচি গ্রহণ করেছে সরকার।

    স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর সঠিক বিতরণ যাতে নিশ্চিত হয় ইউপি চেয়ারম্যানদের এমন অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা করোনা থেকে এখনো অনেকটা সুরক্ষিত আছে। স্রষ্টার কাছে আমরা প্রার্থনা করি যেন আমাদের দেশকে সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত রাখে। সেটি করতে হলে আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী গুলো সঠিকভাবে বিতরণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে আমরা নিজেদেরকে সুরক্ষা করতে পারবো।

    জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য চেয়ারম্যানদের প্রতি আহবান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার যেই পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করেছে বীজ সার কীটনাশক একেবারে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে পৌঁছানোর, সেগুলো যেন নিশ্চিত হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

    তিনি বলেন, কোন কৃষক যাতে কোন জমি অনাবাদি না রাখে। প্রত্যেকে প্রত্যেককে যেন উদ্বুদ্ধ করার মাধ্যমে কৃষিতে উৎপাদন বাড়ানো যায় এবং নিজেদের জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে সেই উদ্যোগ নিতে হবে।

    ২৪ ঘন্টা/এম আর

  • মানুষের জীবন ও জীবিকা দু’টো রক্ষায়ই সরকার কাজ করছে : তথ্যমন্ত্রী

    মানুষের জীবন ও জীবিকা দু’টো রক্ষায়ই সরকার কাজ করছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মানুষের জীবন ও জীবিকা দু’টো রক্ষায়ই সরকার কাজ করছে।

    তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি মানুষের জীবিকাকেও রক্ষা করতে হয়। সেই কারণে জীবন ও জীবিকা দু’টো রক্ষায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকেই নানা রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করার কারণেই পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশের পরিস্থিতি এখনো অনেকটা ভালো।
    ‘তাই বলে সরকার বসে নেই। কারণ আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সংক্রমণ বাড়ছে। এবং যেকোন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সে জন্য আমরা সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করছি’, বলেন তিনি।

    তথ্যমন্ত্রী আজ বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।

    করোনা সঙ্কটে চট্টগ্রাম জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের পরিচালনায় সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ।

    এতে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের এমপি ওয়াসিকা আয়েশা খানম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুখ, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির ও সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি।

    ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার দেশের এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষকে নানাভাবে সহায়তার আওতায় এনেছে। এই বৈশ্বিক দুর্যোগের সময় পৃথিবীর খুব বেশি দেশে এভাবে এক তৃতীয়াংশ মানুষকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা যায়নি।

    তিনি বলেন, স্পেন, ইতালি, সিঙ্গাপুরসহ পৃথিবীর অনেক দেশে যেখানে প্রতিদিন এখনো আড়াই থেকে তিনশ’জন মানুষ মৃত্যুবরণ করছে সেখানে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। জীবন রক্ষা করার জন্য মানুষের জীবিকাকেও রক্ষা করতে হবে।
    ‘কিন্তু সেজন্য আমাদেরকে অবশ্যই অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করেই এই কাজগুলো করতে হবে। সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে দোকানপাট সকাল ১০টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সীমিত আকারে আগামী ১০ মে থেকে খোলার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে। সেখানে কিছু নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে’ বলেন হাছান মাহমুদ।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রামের হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল আসলে কোন ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করা হবে সেটি নিয়ে একটা সিদ্ধান্তহীনতা ছিল। আজকে আমরা স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি সরকারি ব্যস্থাপনাতেই সেটি চালু করা হবে। সভার সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়ে দেয়া হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু করতে হলেও তো কিছু আনুসাঙ্গিক কাজকর্ম আছে। সেগুলো করতে কিছুটা সময় লাগবে। চেষ্টা চলছে যতদ্রুত সম্ভব সেটা চালু করার।’
    করোনার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হচ্ছে এতে আক্রান্তরা ঘুরে বেড়াচ্ছে ও ছড়াচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আজকের সভায় বলা হয়েছে আগে টেস্টের রিপোর্ট পেতে সাত দিন লাগতো। এখন সেটি কমিয়ে চারদিনে এনেছে।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়েও আরেকটি করোনা পরীক্ষার ল্যাব চালুর বিষয়ে চেষ্টা চলছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক সভায় জানিয়েছেন। চট্টগ্রামে অন্তত প্রতিদিন ৫শ’ নমুনা পরীক্ষা যাতে করা যায় সেই চেষ্টাও চলছে।

    ক্রমান্বয়ে এ সমস্যা কমে যাবে উল্লেখ করে, যে সমস্ত ব্যক্তি নমুনা পরীক্ষার জন্য দিয়েছেন তারা যাতে আর কারো সাথে না মিশেন সেই অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনিতো নিজেকে সন্দেহ মনে করেই নমুনা পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষার জন্য পাঠানোর পর নিজের মধ্যে যেহেতু সন্দেহ হয় তখন থেকে যেন তিনি কারো সাথে মেলামেশা না করেন।’
    মার্কেট খুলে দেয়ায় সংক্রমণ বাড়বে কিনা এক সাংবাদিকের প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সবাই যদি সম্মিলিতভাবে মানুষকে সচেতন করতে পারি তাহলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা অনেক সহজ হবে। এ জন্য গণমাধ্যমকর্মীরা শুরু থেকেই প্রচারণা চালাচ্ছেন। কেউ যাতে অপ্রয়োজনে বাজারে না যান, মানুষ যাতে সমস্ত স্বাস্থ্য বিধি মেনে মার্কেট ও অন্যস্থানে যান।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামের মার্কেটগুলোর প্রবেশ পথে ডিজইনফেকশন চেম্বার স্থাপন করতে হবে। মাস্ক স্যানিটাইজারের পাশাপাশি যদি মার্কেটে প্রবেশের সময় ডিজইনফেকশন চেম্বারের মাধ্যমে প্রবেশ করেন তাহলে ডিজইনফেক্টেড হয়ে যাবে।

    ড. হাছান বলেন, প্রতিটি শপিংমল ও বিপনী বিতানের সামনে স্বাস্থ্য বিষয়ক সতর্কবাণী না মানলে মৃত্যুর ঝুঁকি আছে এমন ব্যানার সাঁটাতে হবে। এবং প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। ক্রেতা বিক্রেতা সবাইকে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সামাজিক ও শারিরীক দুরত্ব বজায় রাখতে হবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা রোগী সনাক্ত হবার কারণে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন করতে হচ্ছে। যেখানে লকডাউন হয় সেখানে দুইপাশে পুলিশ থাকতে হয়। কিন্তু আমাদের পুলিশ ফোর্স সীমিত। আক্রান্ত আরো যখন বাড়বে তখন আরো বেশি পুলিশের প্রয়োজন হবে। তখন পুলিশের অন্যান্য কাজ সেগুলো ব্যাহত হতে পারে। সেজন্য আজকের সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যেখানে লকডাউন সেখানে প্রয়োজনে আরো বেশি সংখ্যক আনসার ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয় : তথ্যমন্ত্রী

    মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয় : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া এবং বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    তিনি আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে নিজ দপ্তর থেকে অনলাইনে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে একথা বলেন।

    ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতা যেমন প্রয়োজন একইসাথে আমাদের সম্মিলিত দায়িত্বশীলতাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, মুক্ত, স্বাধীন ও একই সাথে দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া ও একটি বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

    বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সকল সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সাথে যারা যুক্ত আছেন তারা, এই বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনো পরিস্থিতির মধ্যে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যেই আমাদের একজন সাংবাদিক বন্ধু হুমায়ুন কবীর খোকন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিকভাবে মারা গেছেন।’
    তথ্যমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা এবং একই সাথে যেসব সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তারা যাতে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন, মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে সেই প্রার্থনা করেন।

    হাছান মাহমুদ এ সময় পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ এবং মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।

    তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৪৪৫টি, ২০২০ সালে এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১২৯৪টি। ২০০৯ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ২০৮টি, এখন সেটি ১২০৮।’

    ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের খতিয়ান দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ জানান, ‘রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ২০০৯ সালে ছিল ২টি, এখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ৪টি। বেসরকারি টেলিভিশন ২০০৯ সালের শুরুতে ছিল ১০টি। আর এখন ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এফএম বেতার ২০০৯ সালে মাত্র চারটি ছিল। এখন ২৪টি এফএম বেতার কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সম্প্রচারে আছে। কমিউনিটি রেডিও ২০০৯ সালে একটিও ছিল না। এখন ৩২টি কমিউনিটি রেডিও অনুমোদন দেয়া আছে। এরমধ্যে অনেকগুলো সম্প্রচারে আছে।’

    তিনি বলেন, ‘এই পরিসংখ্যানেই বলে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার গণমাধ্যমের অবাধ বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সে কারণেই গত ১১ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।’

    এ সময় বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রিজভী আহমেদের বক্তব্য দেখেছি। তিনি অসুস্থ ছিলেন, আরোগ্য লাভ করেছেন। এজন্য আল্লাহ’র কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।’
    ‘তবে তিনি যেভাবে বক্তব্য রাখছেন, তা আমার কাছে উদভ্রান্তের প্রলাপের মতো মনে হয়’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এই মহাদুর্যোগের সময় রিজভী আহমেদসহ বিএনপি নেতারা ফটোসেশন এবং বিষোদগার ও মিথ্যাচারের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা যাই বলুক না কেন, বিশ্ব করোনো পরিস্থিতির এই মহাদুর্যোগের সময় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করছেন, তা বিশ্বসম্প্রদায় কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, ফোর্বস ম্যাগাজিন এমনকি ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশনও তাঁর নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে।

    ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির নেতারা প্রশংসার সংস্কৃতি লালন করেননা। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, আর রিজভীর বক্তব্য উদভ্রান্তের প্রলাপ।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি ঢাকা অঞ্চলের তুলনায় অনেক ভাল আছে-তথ্যমন্ত্রী

    চট্টগ্রামে করোনা পরিস্থিতি ঢাকা অঞ্চলের তুলনায় অনেক ভাল আছে-তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম জেলায় করোনা পরিস্থিতি এখনো পর্যন্ত ঢাকা অঞ্চলের চাইতেও অনেক ভাল আছে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

    তিনি বলেন, আমরা যাতে এ পরিস্থিতি রক্ষা করে যারা ইতিমধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে সুস্থ করে তুলতে পারি সেজন্য চট্টগ্রামের সরকারী-বেসরকারী সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করবে।

    করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারি-বেসরকারি সংস্থা সকলে একযোগে কাজ করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    তিনি বলেছেন, করোনার প্রভাবে আজকে একটি মাস দেশের সমস্ত কর্মকাণ্ড বন্ধ। কিন্তু ১ জন মানুষও বাংলাদেশে না খেয়ে মৃত্যু বরণ করেনি। আমি বলবো-এটাই সরকারের সফলতা।

    তিনি বলেন, আজ ২৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় কিভাবে চট্টগ্রমের করোনা রোগীদের আলাদা করে চিকিৎসা দেওয়া যায়, ভবিষ্যতে আরো রোগী বাড়লে তাদেরকে কিভাবে চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং যারা ভাল আছেন তাদেরকে কিভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেওয়া যায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

    তিনি বলেন বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকারকে দুটি বিষয় ভাবতে হয়। এক জীবন যেমন রক্ষা করতে হবে দুই জীবিকাও রক্ষা করতে হবে। সুতরাং জীবন এবং জীবিকা দুটিই রক্ষাকল্পে আমরা আজকের সমন্বয় সভায় বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

    সমন্বয় সভায় প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃত্বদের আরো বেশি সমন্বয় ঘটিয়ে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করাসহ আরো বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়ে সিদ্ধান্তগুলো পরে গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হবে বললেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ।

    চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল। এতে তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রামের বিভিন্ন আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য বিভাগ কর্মকর্তা, সিভিল সার্জন অংশ নেন।

    এতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন সংস্থার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা ছাড়াও সরকার দলীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা সভায় অংশ গ্রহণ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • বিদেশীদের কাছে নির্বাচন নিয়ে নালিশ করাও একধরনের আচরণ বিধি লংঘন : তথ্যমন্ত্রী

    বিদেশীদের কাছে নির্বাচন নিয়ে নালিশ করাও একধরনের আচরণ বিধি লংঘন : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিদেশীদের কাছে নালিশ করাও একধরনের নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘন।

    তিনি বলেন, ‘যে কোন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে নালিশ উপস্থাপন করা এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে ছোট খাটো যে ঘটনা গুলো হচ্ছে, সেগুলো বিদেশীদের কাছে উপস্থাপন করাও তো এক প্রকার নির্বাচনী আচরন বিধি লংঘন।’

    হাছান মাহমুদ আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে বিএনপি হাইকোর্টে গিয়েছিল।সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে তারা হাইকোর্টে গিয়েছিল ইভিএম এর বিরুদ্ধে। হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি। সর্বোচ্চ আদালতে তাদের অবেদন রিজেক্ট করে দিয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘যেখানে হাইকোর্ট তাদের পক্ষে রায় দেয়নি, আবার সেই একই নালিশ বিদেশিদের কাছে গিয়ে উপস্থাপন করা তো আদালত অবমাননার শামিল এবং যে কোন নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের কাছে অভিযোগ করা এটিও তো আচরন বিধি লংঘন।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কোন অভিযোগ থাকলে তা ভোটার ও জনগনের কাছে উপস্থাপন করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশী রাষ্ট্রদুতের কাছে উপস্থাপন করা অনেকেই মনে করেন এটিও এক প্রকার আদালত আবমাননার শামিল।

    বিএনপির অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইভিএম হচ্ছে একটি অধুনিক প্রযুক্তি। পুরো ভারত বর্ষের সাধারণ নির্বাচনে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়েছে এবং ভারতে এই ভোট গ্রহণ বিষয়ে তেমন কোন অভিযোগ ওঠেনি। যুক্তরাষ্ট্রেও ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ হয়েছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, এই অধুনকি প্রযুক্তি দিয়ে কেন ভোট গ্রহণের বিরোধীতা করছে বিএনপি তা আমরা বোধগম্য নয়। তবে বিএনপি সব সময়ে অধুনিক প্রযুক্তির বিরোধীতা করে। কারণ তারা প্রযুক্তিকে ভয় পায়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল বাংলাদেশকে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তখনকার সরকার প্রধান খালেদা জিয়া সাবমেরিন ক্যাবল সুবিধা গ্রহণ করেননি। কারণ তিনি ভেবে ছিলেন যে দেশের অভ্যন্তরিন গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে। কিন্তু পরবর্তিতে আওয়ামী লীগের সরকারের সময় কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে সংযুক্ত হতে হয়েছে।

    তিনি বলেন, ইভিএম এর ক্ষেত্রেও বিএনপির মানসিকতা একই রকম। দেশে এক সময়ে হাত তুলে ভোট হত। পরবর্তিতে ব্যালোটের মাধ্যমে ভোট নেয়া শুরু হয়। ইভিএম ইতিপূর্বে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচন ও সংস্দ নির্বাচনের ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। এতে দেখা গেছে কেন্দ্র দখল, ব্যালটে সিল মারার তেমন কোন অভিযোগ আসেনি। কিন্তু তারপরও তারা ইভিএম নিয়ে অভিযোগ করছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে তারা পরিজিত হবে তা বুঝতে পেরে আগে থেকেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার পথ তৈরি করার চেষ্টা করছে। এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনার পদটি একটি সাংবিধানিক পদ। যেমন হাইকোর্টের বিচারপতি, সেগুলোও সাংবিধানিক পদ।

    হাইকোর্টের কোন বিচারপতি যেমন তাদের অভ্যন্তরিন বিষয় জনগনের সামনে উপস্থাপন করেন না এবং সেটি নিয়মও নয়। সাংবিধানিক পদে থেকে সেটি করা সমিচিন নয়। এটি একান্তই অভ্যন্তরিন বিষয়। তাই সাংবিধানিক পদে থেকে নিজেদের কর্মপরিবেশ নিয়ে নিজেদের ফোরামে কথা বলাই ভাল। সেটি জনসমুখে বিশেষ করে গণমাধ্যমের সামেনে বলা, সেটি তার সাংবিধানিক পদের বর খেলাপ কিনা সে বিষয়ে অনেকেই প্রশ্নে তুলেছেন।

  • শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে ভালো স্কুল হয়না-তথ্যমন্ত্রী

    শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে ভালো স্কুল হয়না-তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শুধুমাত্র অবকাঠামোগত উন্নয়ন দিয়ে ভালো স্কুল হয়না। ভালো স্কুল করতে হলে শিক্ষক মন্ডলীদেরকে ভালো পড়াতে হবে শিক্ষার্থীদের। ছাত্রছাত্রীদের মেধা বিকাশের পাশাপাশি মূল্যবোধ, দেশাত্ববোধ ও মমত্ববোধ শেখাতে হবে।

    তিনি বলেন, শুধুমাত্র পরীক্ষার ভালো রেজাল্ট দিয়ে ভালো স্কুলের মানদন্ড নির্ধারণ আমি মনে করিনা। আমি যেটি মনে করি, সেটা হলো গুরুজনের প্রতি কর্তব্যবোধ শেখাতে হবে। এগুলো আমরা ছোট বেলায় শিখেছি। বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা সেই জায়গায় এখন আর নাই।

    কিন্তু আমাদের পারিবারিক সংস্কৃতি, সামাজিক সংস্কৃতি সামাজিক ও পারিবারিক মূল্যবোধ এগুলোতে উন্নত দেশের তুলনায় আমরা অনেক বেশি সমৃদ্ধ। এটিকে সংরক্ষণ করতে হবে।

    শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া শিলক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি ও পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও পূনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আহবায়ক প্রফেসর মো. মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক জাবেদ তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামীলীগৈর সহসভাপতি স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শাহজাহান সিকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, শিলক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তালুকদার। বক্তব্য রাখেন বাকলিয়া সরকারি কলেজের অধ্যাপক মো. কামাল হোসেন, শফিকুল ইসলাম তালুকদার বাবু প্রমূখ।

    তথ্য মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল হচ্ছে মানুষ গড়ার মূল কারখানা, স্কুলের শিক্ষা হচ্ছে মেধার মূল ভিত্তি। মেধা বিকাশের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ, দেশাতত্ববোধ, মমত্ববোধ শেখাতে হবে। এগুলো শেখানোর মধ্য দিয়ে যাতে মানুষ গড়ার কারখানায় সঠিক মানুষ গড়তে পারি সেই প্রচেষ্ঠা চালাতে পারি। সেই কাজে আমি আপনাদের পাশে থাকবো।তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনীয়া

    তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেই অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে যে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে চাই আমাদের ও নতুন প্রজন্মের প্রচেষ্ঠায়, আমরা দেশকে সেই স্বপ্নের ঠিকানায় নয় শুধু স্বপ্নের ঠিকানাকেও যেন অতিক্রম করতে পারি সেই প্রত্যাশা করি।

    ড. হাছান মাহমুদ নিজের নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন গত ১১ বছরে যে উন্নয়ন হয়েছে তা বিগত ৪০ বছরেও হয়নি। কর্ণফুলী নদীর ভাঙ্গনসহ এমন কোন রাস্তাঘাট নেই যেখানে উন্নয়ন হয়নি।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাকে তিনবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করিয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে দল ও নেত্রী আমাকে অশেষ দিয়েছে।

    কিন্তু এত ব্যস্ততার মাঝেও আমার সাথে রাঙ্গুািনয়ার নাড়ির সম্পর্ক বিন্দুমাত্র কখনো ছিন্ন হয়নি। প্রতি সপ্তাহে এলাকায় সময় দিয়ে যাচ্ছি। এলাকার মানুষের সাথে আমার আত্ত্বিক সম্পর্ক কখনো ছিন্ন হয়নি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও হবেনা।

  • বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নির্বাচনে অংশ নেয়:তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নির্বাচনে অংশ নেয়:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঢাকার আসন্ন দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি নেতাদের মন্তব্যকে হটকারি উল্লেখ করে এর সমালোচনা করে বলেছেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিএনপির প্রচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়।

    শনিবার রাজধানীর তেজগাঁয়ে চ্যানেল আই-এর একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইছে, এটা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারা সব সময়ই নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে এবং মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির লক্ষেই নির্বাচনে অংশ নেয়।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পরিবর্তে জয়লাভের উদ্দেশ্যেই বিএনপি’র নির্বাচনে অংশ নেয়া উচিৎ।’

    এ সময় বিএনপি’র একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর গ্রেফতার সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘যদি বিএনপি, আওয়ামী লীগ বা অন্য কোন দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা অথবা গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকে, তবে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করতেই পারেন।’

    সিটি নির্বাচন সম্পর্কে বিএনপি নেতৃবৃন্দের বিবৃতি সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, তাদের বিবৃতিতে আসন্ন সিটি নির্বাচনে বিএনপি’র পরাজয়ের বিষয়টিই উঠে এসেছে।’

    তিনি আরো বলেন, ‘সিটি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এবং চলমান গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যহত করাই বিএনপি’র প্রধান লক্ষ্য।’

    তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র অভিযোগগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

    হাছান আরো বলেন, ‘বিএনপি জয়লাভ করার উদ্দেশ্যে নয়, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নির্বাচনে অংশ নেয়। ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভের জন্য অংশ নেয়নি। তারা নির্বাচনটিকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল। এখনও তারা তাই করছে।’

    এর আগে, মন্ত্রী বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’ আয়োজিত দিনব্যাপী পিএলজি প্রকৃতি মেলা উদ্বোধন করেন।

  • খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভীর বক্তব্য তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়-তথ্যমন্ত্রী

    খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভীর বক্তব্য তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া কিছু নয়-তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।রাজীব, চট্টগ্রাম : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, খালেদা জিয়ার হাঁটুর ব্যাথা ও কোমরের ব্যাথা নতুন নয়। এ ব্যাথা নিয়েই খালেদা জিয়া দুইবার প্রধানমন্ত্রী ও দুইবার বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং দলের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেছে।

    কিন্তু বেগম জিয়ার শারিরীক সমস্যা নিয়ে বিএনপি তথ্যসন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রিজভী আহমেদের গতকাল যে বক্তব্য রেখেছেন তা তথ্যসন্ত্রাস ছাড়া আর কিছুই নয়।

    বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। আরো খবর : মায়ের মমতায়, বোনের স্নেহে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে শেখ হাসিনা : তথ্যমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের যে দায়িত্ব অর্পণ করেছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে আস্থা এবং বিশ্বাস স্থাপন করে আমার উপর দায়িত্ব অর্পণ করেছেন আমি জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে সে আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করবো। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আরো খবর : শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। আরো খবর : নেতাকর্মীদের বিনয়ী হওয়ার আহবান তথ্যমন্ত্রীর

    এর আগে আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে অভিনন্দন ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে সকাল থেকে নগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং অংগ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দরা বিমান বন্দরে জড়ো হন। তাদের শুভেচ্ছা অভিনন্দনে শিক্ত হন তথ্যমন্ত্রী।

  • আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানি করেননি-তথ্যমন্ত্রী

    আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে বেঈমানি করেননি-তথ্যমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু কখনও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করেননি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ছিলেন। সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সকল লোভ-লালসাকে প্রত্যাখ্যান করে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরের কে বি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ যখন মহাবিপর্যয়ের মুখে তখন দলকে পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বাবু ভাই। তিনি চট্টগ্রামের মাটিতে আওয়ামী লীগের পতাকা উড্ডীন রেখেছেন। এছাড়াও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে যেসকল নেতার অবদান রয়েছে তার মধ্যে বাবু ভাই ছিলেন একজন।

    আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে বিভিন্ন চক্রান্তকারীদের প্রতিকূলতা, প্রতিবন্ধকতা ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয় মেয়াদে রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছে। আর তা সম্ভব হয়েছে বাবু ভাইদের মতো নেতাদের ত্যাগের বিনিময়ে। বাবু ভাই কর্মীদের নেতা ছিলেন, আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন সব সময় এগিয়ে। তিনি শেখ হাসিনার সাথে, আওয়ামী লীগের সাথে, বঙ্গবন্ধুর রক্তের সাথে কখনো বেঈমানি করেননি।

    দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যৈষ্ঠপুত্র, কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী।

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।

  • অনুপ্রবেশকারী উইপোকা ও ছারপোকা দল থেকে বের করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    অনুপ্রবেশকারী উইপোকা ও ছারপোকা দল থেকে বের করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দলে যে সমস্ত অনুপ্রবেশকারী উইপোকা ও ছারপোকা ঢুকেছে তাদেরকে বের করতে হবে।

    তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর আওয়ামীলীগ ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল না। বুকে পাথর বেধে তখন আন্দোলন সংগ্রাম করা হয়েছে। তখন সংগঠন দুর্বল ছিল না, শক্তিশালী ছিল। সেই শক্তির উপর ভর করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং সেই পোর খাওয়া নেতাকর্মীদের নেতৃত্বে সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেছে।’

    তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কিং অব চিটাগাং এ আওয়ামীলীগ আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় ৬ সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধি সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের পরিচালনায় প্রতিনিধি সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সেই পোর খাওয়া নেতৃত্বের আদলে এখন নেতাকর্মী দরকার। বাঙ্গালি না বাংলাদেশী দ্বিধাদ্বদ্ধে থাকা , মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী যে শক্তি একুশ বছর রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল, তখন আমাদের উপর যারা অত্যাচার করেছে, পেট্টোল বোমা মারার সাথে যারা যুক্ত ছিল তাদেরকে সংগঠনে দরকার নেই। তাদেরকে দল থেকে বের করতে হবে।”

    ‘পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণে কোন কোন এলাকায় আলস্যতা দেখা দিয়েছে’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই সুসময় সবসময় থাকবে এটি মনে করার কোন কারণ নেই। যেকোন পরিস্থিতির জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয় তখন কেউ ভাবেনি আমাদের দলে এই ধরনের একটি দুর্যোগ বয়ে আসবে।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পেট্টোলবোমা বাহিনী স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যারা আওয়ামীলীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় চাননা তারা বসে নাই। সুতরাং তাদের আজকের ষড়যন্ত্রের নতুন সংস্করণ হচ্ছে আমাদের সংগঠনের মধ্যে উইপোকা-ছারপোকা ঢুকিয়ে দিয়ে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা। এই ষড়যন্ত্র থেকে দলকে রক্ষা করতে হবে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুগে যুগে যখন আওয়ামী লীগের দুঃসময় এসেছে তখন অনেক নেতা ভোল পাল্টিয়ে মূল নেতৃত্বের কাছ থেকে সরে গেছে। ক্ষমতাসীনদের সাথে আপোষ ও আঁতাত করেছে। কিন্তু তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কারো সাথে আপোষ ও আঁতাত করেনি।

    সম্মেলনে উপস্থিত নেতা কর্মীদের আওয়ামী লীগের প্রাণ হিসাবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের কারণেই ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে টিকে আছে।’