Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘লাইফ-লাইন’:তথ্যমন্ত্রী

    তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘লাইফ-লাইন’:তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তৈরি পোশাক রপ্তানি খাত বাংলাদেশের অর্থনীতির ‘লাইফ-লাইন’। এই খাতসহ বৈশ্বিক মহামারি মোকাবিলায় সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

    বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ের নিজ দপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রামের সল্টগোলায় ৫০ শয্যার বিজিএমইএ কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন।

    বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক, প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম ও বোর্ড সদস্যবৃন্দ উদ্বোধনী সভায় অংশ নেন।

    চট্টগ্রামে ৫০ শয্যার বিজিএমইএ কোভিড-১৯ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্টা করায় তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি-বিজিএমইএ’কে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, করোনার শুরুতে চট্টগ্রামে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক প্রতিকূলতা, সীমাবদ্ধতা ছিল। কিন্তু আমরা ক্রমাগতভাবে সমন্বয় সভা করে প্রশাসন, পুলিশ, ব্যবসায়ী-স্বেচ্ছাসেবী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করেছি, সে কারণে আগের পরিস্থিতি এখন নেই, অনেক উত্তরণ ঘটেছে। আইসিইউ, ভেন্টিলেটরসহ যে সুবিধাগুলোর অপ্রতুলতা ছিল, আমরা সেই সংকট সমাধান করতে সক্ষম হয়েছি।

    উপস্থিত সাংবাদিকরা এসময় কুয়েতে মানবপাচারের দায়ে সংসদ সদস্য মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম পাপলু গ্রেপ্তারের ফলে সেখানে কর্মী রপ্তানি ব্যাহত হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কুয়েতের তদন্তে সেখানকার সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদদের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে এসেছে। তাদের সম্পৃক্ততা, সহযোগিতা ছাড়া এই কাজগুলো হতো না, সুতরাং তারাও সমভাবে দায়ী। সুতরাং এ ঘটনায় আমাদের শ্রমবাজারে অর্থাৎ কুয়েতে কর্মী রপ্তানীর ক্ষেত্রে আমাদের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না।’

    সংসদের সামনে বাজেটের কপি ছেঁড়া বিএনপি’র ঔদ্ধত্যের নতুন বহি:প্রকাশ -তথ্যমন্ত্রী

    ‘সংসদের সামনে বাজেটের কপি ছেঁড়া বিএনপি’র ঔদ্ধত্যের নতুন বহি:প্রকাশ’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল, যারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে মানুষকে হত্যা করেছিল। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের কর্মসূচি যে রাজনৈতিক দল দেয়, সংসদের সামনে গিয়ে তাদের বাজেটের কপি ছিঁড়ে ফেলা খুব স্বাভাবিক। যে উদ্ধত আচরণ তারা সবসময় করে আসছে, সেটিরই নতুন বহি:প্রকাশ হচ্ছে সংসদের সামনে গিয়ে বাজেটের কপি ছিঁড়ে ফেলা।’

    তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যে এবারই বাজেট প্রত্যাখ্যান করছে তা তো নয়, গত ১১ বছর ধরে প্রতিবারই তারা বাজেট প্রত্যাখ্যান করছে এবং প্রতিবারেই বলেছে বাজেট বাস্তবায়নযোগ্য না, জনগণের কল্যাণে আসবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু গত ১১ বছর ধরে সমস্ত বাজেটই বাস্তবায়িত হয়েছে এবং বাস্তবায়নের হার ৯৭-৯৮ শতাংশ। সেই বাজেটগুলো বাস্তবায়নের প্রেক্ষিতে দেশের দারিদ্র্য কমে অর্ধেকে নেমেছে, মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, জিডিপি প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশ খাদ্যে উদ্বৃত্ত হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের পথে উন্নীত হয়েছে। এটিই হচ্ছে বাস্তবতা। কিন্তু তারা কোনোবারেই বাজেট গ্রহণ করতে পারেনি।’

    ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি সেখানে বলেছে, মাত্র একদিন বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু আসলে তা নয়, পুরো বাজেট সেশনেই কিন্তু বাজেটের ওপর বক্তৃতা হয়েছে। তারা নিজেরা বাজেট অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেনি, বাজেট অধিবেশনে যে আলোচনা হয়েছে সেটিও ঠিকমত খেয়াল রাখেনি, সে কারণেই তারা এ ধরণের ভুল বক্তব্য দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রতিদিন সংসদ চালানো সম্ভবপর নয়। পৃথিবীর কোনো দেশে সেটি হচ্ছে না। আমাদের দেশে এখন করোনাভাইরাস প্রায় তুঙ্গে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪ হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, গড়ে প্রায় ৪০ জন বা তার বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করছে। এই সময় তো সংসদ প্রতিদিন চালানো সম্ভবপর নয়, এই বাস্তবতা তারা বুঝেও এ ধরণের অসত্য, অপ্রাসঙ্গিক কথাগুলো বলে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • টিআরপি নির্ধারণ পদ্ধতিতে শৃঙ্খলা আনা হবে : তথ্যমন্ত্রী

    টিআরপি নির্ধারণ পদ্ধতিতে শৃঙ্খলা আনা হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘অনুমোদনহীন টিআরপি সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়, এক্ষেত্রে একটি শৃঙ্খলা অবশ্যই আনতে হবে।’

    তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, ‘এখন কে কাকে টিআরপি দেয়, সেটি আমাদের জানা নেই। টিআরপি যারা করছে তারা কোথা থেকে অনুমতি নিয়েছে, কে তাদেরকে লাইসেন্স দিয়েছে -সেটি অনেকের প্রশ্ন। কারণ, বাংলাদেশে টিআরপি নির্ধারণের জন্য সরকার অনুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান নেই।’
    আগে যেমন ক্যাবল নেটওয়ার্কে টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল সামনের দিকে রাখার জন্য, এমনকি টিভি চ্যানেল যাতে বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, সেজন্যও নানা ধরণের অশুভ প্রতিযোগিতা ছিল,

    অনৈতিকতার আশ্রয় নেয়া হতো, সেটি বন্ধ করা হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘তেমনি আমরা জানতে পেরেছি, যে অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানগুলো টিআরপি নির্ধারণ করে, সেখানেও অশুভ, অসুস্থ প্রতিযোগিতা হয়, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

    ভারত, শ্রীলংকা এবং ইউরোপের দেশগুলোতে টিআরপি কিভাবে নির্ধারণ হয় সরকার তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে, জানান তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় টেলিভিশন শিল্পের দেশ ভারতে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে একটি সংস্থা আছে সেই সংস্থা টিআরপি ঠিক করে দেয়।

    তথ্যমন্ত্রী আরো জানান, এবিষয়ে এটকো (এসোসিয়েশন অভ্ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স), ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার এবং অন্যান্য অংশীজন যারা আছে, তাদের সাথে আলোচনা করে আমরা এখানে অবশ্যই খুব সহসা একটি শৃঙ্খলা নিয়ে আসা হবে। কোনো অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান কোন টেলিভিশন কে কত বেশি দেখে, সেটি বলার বৈধ কোনো এখতিয়ার রাখে না।

    অনুমোদনহীন টিআরপি নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা এখানে একটি শৃঙ্খলা নিয়ে আসবো এবং যারা অনুমোদন ছাড়া যারা এ কাজটি করে আসছে তাদের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

    এসময় অবৈধ ও অনৈতিক ওয়েবসিরিজ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ওয়েবসিরিজ, সিনেমা বা যেকোনো কিছু নির্মাণ ও প্রচার করার ক্ষেত্রে আমাদের সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হয়। আমাদের একটি কৃষ্টি এবং সংস্কৃতি আছে, আমাদের সমাজের একটি মূল্যবোধ আছে। এটি অনেক সময় অনেকে মাথায় রাখেন না।

    বিশ্বের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে এই দোহাই দিয়ে আমাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে অবজ্ঞা করে কোনো কিছু করা কখনোই সমীচীন নয়, আইনানুযায়ীও সেটি দন্ডনীয় অপরাধ, বলেন ড. হাছান।

    বাংলাদেশে ২০১২ সালে প্রণীত এ সংক্রান্ত আইনানুযায়ী এ ধরণের অশ্লীলতা প্রচারের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছর কারাদন্ড, উল্লেখ করেন তিনি।

    যে সমস্ত সার্ভিস প্রোভাইডার এ ধরণের ওয়েজসিরিজ প্রচার করার সুযোগ করে দিয়েছে, তাদের এ কাজের জন্য আদৌ কোনো লাইসেন্স আছে কি না, তা আমরা খতিয়ে দেখছি, জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যদি লাইসেন্স না থাকে তাহলে এই অবৈধ কাজের জন্য অবশ্যই আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর লাইসেন্স থাকলেও তাদের ডোমেইন ব্যবহার করে এ ধরণের অশ্লীল জিনিস প্রচার করাও দন্ডনীয় অপরাধ। সে বিষয়েও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো আলেম-ওলামাদের জন্য কেউ ভাবেন না : তথ্যমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো আলেম-ওলামাদের জন্য কেউ ভাবেন না : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মতো দেশের আলেম-ওলামাদের জন্য কেউ ভাবেন না’।

    আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তথ্যমন্ত্রী তার নিজ নির্বাচনী এলাকার রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় পাঁচ শতাধিক মসজিদের ইমাম-ওলামাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

    মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় থাকাকালেও আলেম-ওলামাদের কথা ভাবেনি। কিন্তু নির্বাচনের সময় তারা ঠিকই ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছে।’

    অপরদিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আলেম-ওলামাদের জন্য যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    তিনি বলেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণ, এক লাখ মসজিদে সাড়ে চার হাজার টাকা মাসিক ভাতায় একজন শিক্ষকসহ মক্তব স্থাপন, কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ পর্যায়ের শিক্ষাকে স্বীকৃতি প্রদান, ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের প্রায় সব মসজিদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে বরাদ্দ প্রদানের এসব মাইলফলক উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক ভাবনারই ফসল।

    ড. হাছান মাহমুদ এসময় বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী ও তথ্য অধিদফতরের সাবেক উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও সাহিত্যিক জাফর আলমের সদ্যপ্রয়াণে গভীর শোক জানান ও তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন।

    রাঙ্গুনিয়া প্রান্তে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ফিল্ড সুপারভাইজার মো. মোকাম্মেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার।

    এ আয়োজনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে রাঙ্গুনিয়ার ৫০৪টি মসজিদের প্রত্যেকটির ইমাম-ওলামাদের মাঝে করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার নগদ পাঁচ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়।

    অনুষ্ঠান শেষে সবাই দেশ ও বিশ্বের সবার নিরাপদ ও সুস্থ জীবনের জন্য প্রার্থনায় অংশ নেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামে আরো বেশি আইসোলেশন সেন্টার প্রয়োজন:তথ্যমন্ত্রী

    পরিস্থিতি মোকাবেলায় চট্টগ্রামে আরো বেশি আইসোলেশন সেন্টার প্রয়োজন:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, সারা বিশ্বে করোনা মহামারি পরিস্থিতি এখনও বিপদজনক পর্যায়ে রয়েছে। যতদিন পর্যন্ত ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিস্কৃত ও বাজারজাত হবে না করোনা পরিস্থিতির স্থায়ী নিরসন সম্ভব নয়।

    তারপরও সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও করোনা বিস্তার প্রতিরোধ এবং আক্রান্ত রোগীদের সাধ্যমত চিকিৎসা প্রদানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য নতুন অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে ২৯ হাজার ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা মোট খাতওয়ারী বরাদ্দের ৭.৪ শতাংশ। এতে প্রতীয়মান হয় যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলা এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রয়াস অব্যাহত রেখেছেন এবং স্বাস্থ্যখাতকে আরো বেশি সেবামূলক ও কার্যক্ষম করার জন্য ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।

    তিনি করোনাজনিত বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে বলেন, দিন দিন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশতো বটেই বিশ্বেও করোনা সংক্রমণ সম্পর্কে কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না। এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম কে নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই।

    অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী

    আজ বিকেলে আগ্রাবাদ এক্সেস রোডস্থ সিটি কনভেনশন সেন্টারে চসিকের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা ও অর্থায়নে নির্মিত ২৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় ও সমন্বিত উদ্যোগে সিটি মেয়র যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং আইসোলেশন সেন্টারটি প্রতিষ্ঠা করেছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা ও সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী। প্রায় ১ কোটি জনঅধ্যুষিত এই নগরীতে আজ পর্যন্ত ৪ হাজারেরও বেশি করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে এবং তা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা স্বীকার করতে দ্বীধা নেই যে, চট্টগ্রামে শনাক্ত রোগীদের জন্য যে পরিমাণ সেবাকেন্দ্র ও আইসোলেশন সেন্টার থাকা প্রয়োজন তা নেই। তাই আরো বেশি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করার প্রয়োজন রয়েছে। এই উপলদ্ধী থেকে চট্টগ্রামের সিটি মেয়র নগরীতে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ যে আইসোলেশন সেন্টারটি স্থাপন করেছেন এবং যা আজ উদ্বেধিত হলো তার সুফল অবশ্যই নগরবাসী পাবেন।

    তিনি আরো বলেন, আজ করোনা পরিস্থিতির সবকিছুই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে মনিটরিং করছেন। তাই হতাশার কোন কারণ নেই। আমরা এও জানি যে, বাংলাদেশতো বটেই, উন্নত দেশগুলো এত চেষ্টা করেও এই পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে পারছে না। আজ দূর্বল ও সবল একাকার হয়ে গেছে। তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন প্রত্যেকে নিজের সুরক্ষা এবং অপরেরও সুরক্ষা নিশ্চিত করা। তাহলেই আমাদের ভয় কেটে যাবে এবং আমরা আবার সামাজিক সক্ষমতায় ফিরে যেতে পারবো।

    প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী জননেতা মোহাম্মদ নাসিম এর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং করোনাকালে তাঁর মৃত্যুকে জাতির জন্য একটি ট্র্যাজেডি বলে উল্লেখ করেন।

    বক্তব্য দিচ্ছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন

    অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেন, আজকেই এই আইসোলেশন সেন্টারটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলেও প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, স্বাস্থকর্মী ও জনবল নিয়ে আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই এখানে রোগী ভর্তি করা হবে। প্রথমত এই সেন্টারে মৃদু ও মাঝারী পর্যায়ের রোগাক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর হবে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতাল সহ যেখানে আইসিইউ ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা আছে সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

    তিনি দেশের করোনা পরিস্থিতি ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম উপস্থাপন করে বলেন, এব্যাপারে চলমান কার্যক্রমকে সন্তোষজনক বলার অবকাশ নেই। একথা সত্য যে, মৃদু ও মাঝারী পর্যায়ের রোগীরা ভালো হয়ে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরে যান, তবে যাদের অবস্থা বিপজ্জনক ও গুরুতর তাদের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের অপ্রতুলতা রয়েছে। তাই যতবেশি আইসোলেশন সেন্টারের সংখ্যা বাড়ানো যাবে ততই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকবে।

    তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন যে, মানুষের মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা নিয়ে অবিশ্বাস এবং আস্থার অভাব রয়েছে। আমি জানি এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা লাগাতার পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তবে এটাও ঠিক যে, কোন কোন চিকিৎসক ভীত হয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন এবং কোভিড ও ননকোভিড রোগীদের হাসপাতাল ও চেম্বার থেকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এরফলে একাধিক হাসপাতালে গিয়ে গিয়ে ধর্না দেবার পরও ভর্তি হতে না পেরে মারা যাচ্ছেন। এই অবস্থাটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না।

    তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দাবী-দাওয়ার বিষয়ে আমি সচেতন। আমি এই বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে আগ্রহী। তবে তার আগে আপনাদের উপর যে অর্পিত দায়িত্ব রয়েছে কোন অযুহাতেই তাথেকে বিরত থাকবেন না।

    তিনি বলেন, শুধু করোনায় নয়,যে কোনভাবেই মৃত্যু হতে পারে এবং তা অবধারিত। আমরা মারা যেতে পারি কিন্তু মনুষ্যত্ব মারা গেলে মানবজন্ম বৃথা এবং স্রষ্টার সেরা সৃষ্টির শ্রেষ্টত্ব বলতে আর কিছুই থাকবে না। তাই মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে কোন চিকিৎসক যদি রোগীর জীবন রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালন না করেন তা হলে স্রষ্টার কাছেই অপরাধী হয়ে থাকতে হবে। এ কারণে কী পেলাম, কী পেলাম না এই চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে পেশাগত দায়িত্ব ও শপথকে বড় করে দেখতে হবে।

    মেয়র কনভেনশন সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সীকম গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল হকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    সিটি কনভেনশন হল আইসোলেশনের পরিচালক ডা. সুশান্ত বড়ুয়ার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমেদ, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী, ১৫ আনসার ব্যাটেলিয়ানের ডাইরেক্টর এ এস এম আজিজ উদ্দীন, উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ফারুক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক, মো. এরশাদ উল্লাহ, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফারহানা জাবেদ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, চসিক প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, ডা. মোহাম্মদ আলী,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, আবু সাদাত মো. তৈয়ব, আনোয়ার জাহান, আইটি অফিসার ইকবাল হাসান, সেলিম রেজা, হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, সিকম গ্রুপের এস এম নাসির উদ্দীন আল মামুন, গোলাম কিবরিয়া, ওয়াহিদুল আলম, জোবায়ের আলম, হামিদুল্লাহ চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সব সমালোচনাকে অসাড় প্রমাণিত করে এবারের বাজেটও বাস্তবায়িত হবে : তথ্যমন্ত্রী

    সব সমালোচনাকে অসাড় প্রমাণিত করে এবারের বাজেটও বাস্তবায়িত হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সব সমালোচনাকে অসাড় প্রমাণিত করে এবারের বাজেটও বাস্তবায়িত হবে।

    তিনি বলেন, ‘গত ১১ বছর ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাজেট বাস্তবায়িত হয়েছে। দেশ এগিয়ে গেছে। দারিদ্রতা কমে অর্ধেকে নেমেছে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ। জিডিপি গ্রোথ রেট পৃথিবীর অন্যতম বেশি গ্রোথ রেটের দেশে উন্নিত করতে সক্ষম হয়েছে। এবারের বাজেটও বাস্তবায়িত হবে।’

    হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাইফ পাওয়ার টেকের উদ্যোগে কোভিট-১৯ মোকাবেলায় এক’শ অক্সিজেন সিলিন্ডার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন, বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোস্তফা খালেদ আহমদ, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি, সাইফ পাওয়ার টেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করতে চান। সেজন্য তিনি বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ নানা ধরণের ভাতা চালু করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মেয়েরা কখনো ভাবেনি স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা পাবেন, ইউরোপের দেশেও স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা পায় না। এইধরণের ভাতায় বর্তমানে ৮৮ লক্ষ সুবিধাভোগী আছে। এইবার আরো ১১ লাখ মানুষকে নতুন করে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে। এই বাজেটে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের জন্য গত বাজেটের তুলনায় ১৪ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে এবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৯৫ হাজার ৫’শ ৭৪ কোটি টাকা।’

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই বাজেটে জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন।
    পত্রপত্রিকায় দেখলাম এত বেশি লক্ষ্যমাত্রা কেন স্থির করা হলো তা নিয়ে সমালোচনা করা হচ্ছে। ক’দিন আগে আইএমএফ বলেছে যদি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব খুব সহসা কেটে যায়, এবং বৈশিক মন্দাও যদি সহসা কেটে যায় তাহলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার নয় শতাংশের বেশি হতে পারে। এটি হচ্ছে আইএমএফ এর প্রাক্কলন। সুতরাং সেটি যদি বিবেচনায় নিই তাহলে ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিশ্চয়ই উচ্চাভিলাষী নয়।”

    ড. হাছান বলেন, ‘উচ্চাভিলাষ থাকতে হয়, উচ্চাভিলাষ না থাকলে অভিলাষ পুরণে জাতীর কোন তাগাদা থাকে না। ব্যক্তি জীবনে যেমন অভিলাষ না থাকলে সেই মানুষের লক্ষ্যে পৌঁছানোর কোন তাগাদা থাকে না। রাষ্ট্রিয় জীবনেও লক্ষ্য থাকতে হয় অভিলাষ থাকতে হয়। তাহলেই জাতি এগিয়ে যায়। যেভাবে গত ১১ বছর ধরে সেই বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে গেছে সমৃদ্ধি ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপুরণের পথে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রী একটি সাহসি বাজেট ঘোষণা করেছেন। পত্রপত্রিকায় অনেক মন্তব্য ও বিশ্লেষণ আমরা দেখতে পাচ্ছি। অনেক বিশেষজ্ঞরা তাদের মতামত দিচ্ছেন। এদের মধ্যে কিছু চিহ্নিত বিশেষজ্ঞ আছে। তারা সবসময় মতামত দেন। গত ১১ বছর ধরে যখনই বাজেট ঘোষণা হয়েছে ততবারই সিপিডি কোনদিন বাজেটের প্রশংসা করতে পারেনি। প্রতিবারই তারা বলেছেন এই বাজেট উচ্ছাকাঙ্খি,এটি বাস্তবায়নযোগ্য নয়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিন্তু গত ১১ বছরের আমরা যদি হিসেব নিয়ে থাকি তাহলে দেখতে পাব প্রতিবার বাজেটের ৯৩ থেকে ৯৬ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এবারও তাদের একই কথার ধারাবাহিকতা আমরা লক্ষ্য করছি। একইভাবে তারা সমালোচনা করছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে এধরণের উচ্চাভিলাষি বাজেট কেন দেয়া হলো। এধরণের কথাবার্তা তারা বলছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ১১ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য ছিল, সেই লক্ষ্য পুরণ করেই বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নিত করা সম্ভব হয়েছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধিকরা সম্ভব হয়েছে। দারিদ্রহার যেটি ৪০ শতাংশের বেশি ছিল সেটি ২০ শতাংশে নেমে এসেছে।’

    তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যখন সরকার গঠন করা হয় তখন ২০০৮-০৯ সালের বাজেট ছিল ৮৮ সহাজার কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে তা ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। ১১বছরে বাজেটের অংক সাড়ে ৬গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৬’শ ডলার। আজকে সেটি ২ হাজার ৮০ ডলারে উন্নিত হয়েছে। অর্থাৎ মানুষের মাথাপিছু আয় সাড়ে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘোষিত বাজেট বাস্তবায়নের পর মানুষের জনপ্রতি উপার্জন হবে প্রতিবছর প্রায় ২ লক্ষ টাকা।’

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সমালোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কালো টাকা সাদা করার সিস্টেম চালু করেছিলেন বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান। তিনি নিজেও কালো টাকা সাদা করেছিলেন, তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নিজেও কালো টাকা সাদা করেছিলেন। অর্থনীতির স্বার্থে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই ধরণের অপ্রদর্শিত টাকাকে বৈধ করার সুযোগ দেয়া হয়। বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদের উচিৎ সেই তথ্য ও উপাত্ত যাচাই বাছাই করা এবং আয়নায় নিজেদের চেহারাটাও একটু দেখার জন্য বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতালে রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে না এবং চিকিৎসা না দিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে কোনভাবেই রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত হচ্ছে না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে এ নিয়ে কয়েকটি সমন্বয় সভা হয়েছে। কয়েকটি হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। তবে, শুধু চট্টগ্রামে নয় শুধু, সারাদেশ এবং পৃথিবী জুড়েই আইসিইউ সঙ্কট আছে। ইতালি-নিউইর্য়কের মতো দেশে বহু বয়স্ক মানুষকে আইসিইউ সেবা দিতে না পারার কারণে মৃত্যুবরণ করেছে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তবে, এভাবে রোগী ফেরত দেওয়া কখনোই সমর্থনযোগ্য নয়। যেসমস্ত প্রতিষ্ঠান এভাবে রোগী ফেরত দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সরকার এটি ধর্তব্যের মধ্যে নিচ্ছে। সময়মত তাদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    শনিবার থেকে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট শুরু করবে। প্রয়োজনে তাদের লাইসেন্সও বাতিল হবে বলে জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবে না বলেই ‘লকডাউন’ প্রলম্বিত করতে চায় বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

    খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবে না বলেই ‘লকডাউন’ প্রলম্বিত করতে চায় বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবে না বলেই বিএনপি সারাদেশে লকডাউন প্রলম্বিত করতে চায়।

    তিনি আজ দুপুরে রাজধানীতে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা বলেন।

    ‘বিএনপি ক্রমাগত বলে আসছে লকডাউন তোলা ভুল হয়েছে’ এবিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিএনপি’কে পৃথিবীর দিকে তাকাতে অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতালি, স্পেন, বৃটেন, বেলজিয়ামসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশ ও আমেরিকার নিউইয়র্কেও যেখানে মৃত্যুর মিছিল থামানো যাচ্ছে না এবং এখনও প্রতিদিন মৃত্যু ঘটছে, সেসব স্থানেও কিছুদিন আগেই লকডাউন তুলে দিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল করা হয়েছে।’

    ‘তারা উন্নত অর্থনীতির দেশ হওয়া সত্ত্বেও মাসের পর মাস লকডাউন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আর ভারত, পাকিস্তানের মতো উন্নয়নশীল দেশ তো বিভিন্ন কাজকর্ম ও যোগাযোগ খুলে দিয়েছেই’, বলেন তিনি।

    ‘আমাদের দেশেও বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনার কারণে সবকিছু বন্ধের সময় প্রায় সাড়ে তিন কোটির বেশি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছিল, যাদেরকে সরকার নানাভাবে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা দিয়েছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি চায় এই খেটেখাওয়া মানুষগুলো অসুবিধায় নিপতিত থাকুক এবং সেকারণেই তারা সারাদেশে লকডাউন প্রলম্বিত করার কথা বলে। তারা খেটে খাওয়া মানুষের কথা ভাবে না বলেই এটা বলতে পারে, অন্যথায় কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল একথা বলতে পারে না।’ অন্যান্য দেশের মতো আমাদেরও অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে, সেইসাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুরক্ষা ও শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখেই কাজ করতে হবে, বলেন তিনি।

    ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিন বছরের বাজেট চেয়েছেন’ এবিষয়ে ড. হাছান বলেন, ‘বাজেট এক বছরের জন্যই প্রণয়ন করা হয়। পৃথিবীর প্রায় সবদেশেই তাই। সমগ্র পৃথিবীর ক্যানভাসের দিকে না তাকিয়ে একসময়ে ঢাকা কলেজে শিক্ষকতা করা ফখরুল সাহেবের তিন বছরের বাজেট দেয়ার কথা বলা অবাক হবার মতো। বরং তিনি যদি তিন বছরের একটি পরিকল্পনার কথা বলতেন, তাহলে যথার্থ হতো।’
    আগামী অর্থবছরের বাজেট প্রসঙ্গে

    এসময় মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে বিরাট ঝাঁকুনি পড়েছে এবং এর ফলে যে সম্ভাব্য মন্দার আশংকা রয়েছে, সরকার সেটি বিবেচনায় নিয়েই বাজেট প্রণয়ন করেছে।

    একইসাথে স্বাস্থ্যখাতকে ঢেলে সাজানোর জন্য এখাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, গত একনেক সভায় প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার আরো দু’টি প্রকল্প পাশ করা হয়েছে এবং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভবিষ্যতে আরো প্রকল্প নেয়া হতে পারে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ১ কোটি মানষকে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের আওতায় আনা ও করোনাকালে প্রায় ৭ কোটি মানুষকে নানাভাবে যে সহায়তা দেয়া হয়েছে, এ বাজেটেও তার প্রতিফলন থাকবে। ’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী আচরণ:তথ্যমন্ত্রী

    হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী আচরণ:তথ্যমন্ত্রী

    ‘করোনার এ সময়ে সুযোগসুবিধা থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী আচরণ’ উল্লেখ করে এসময়ে যারা চিকিৎসা দিচ্ছেন, তাদেরকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি ড. হাছান মাহমুদ।

    তিনি আজ শনিবার (৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা ইউনিট উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

    ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম ১৩ আসনের এমপি সাইফুজ্জামান চৌধুরী, শিক্ষা উপমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম ৯ আসনের এমপি ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন।

    ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অত্যন্ত দ্রুততার সাথে ৫০ বেডের কোভিড ইউনিট স্থাপনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আজ মা ও শিশু হাসপাতাল যেভাবে এগিয়ে এসেছে, তা অন্যদের জন্য উদাহরণ তৈরি করেছে।

    তিনি বলেন আজকের পত্রিকায়ও আমরা দেখছি, হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে স্ত্রীর সামনে অসহায়ভাবে স্বামীর মৃত্যু ঘটেছে। এধরণের মর্মান্তিক ঘটনা অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত।

    ‘কোনো হাসপাতাল থেকে রুগীকে এভাবে ফেরত দেয়া মানবতাবিরোধী কাজ এবং যেসব হাসপাতাল এটি করছে, তারা চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের কাছ থেকে শিক্ষা নেবে’ বলে আশা প্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    সেইসাথে তিনি জানান, সরকার এগুলো পর্যবেক্ষণ করছে এবং সময়মতো কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে করোনার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে তাদের এসময় কাজে আসতে না চাওয়াটা কোনোভাবে সমীচীন নয়।

    তিনি বলেন, ‘তারা মানুষকে চিকিৎসা ও সেবাদানের জন্যই লেখাপড়া করেছেন। তাদের হাত গুটিয়ে নেয়া যুদ্ধের ময়দান থেকে সৈন্য পলায়নের মতো।’

    এসময় পুলিশবাহিনীর উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, মৃত ব্যক্তির পরিবার যেখানে এগিয়ে আসেনি, পুলিশ ও প্রশাসন সেখানে সৎকারের ব্যবস্থা করেছে।

    তথ্যমন্ত্রী এ মহামারি পরিস্থিতিতে গুজব ও আতংক ছড়ানো প্রতিরোধে গণমাধ্যমকর্মীদের অব্যাহত ভূমিকার প্রশংসা করেন ও সবাইকে অহেতুক সমালোচনা পরিহার করে মানুষের কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।

    চট্টগ্রামে অন্যান্য হাসপাতালও মা ও শিশু হাসপাতালের মতো দ্রুত এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

    ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যেসব ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী এসময় কাজে আসতে অপারগতা জানিয়েছেন তাদের তালিকা তৈরি করতে বলেন।

    শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, এই ইউনিট চালুর ফলে চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসা একধাপ এগিয়ে গেলো।

    চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবি এম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতির সমন্বয়ক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল পরিচালনা পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম মোর্শেদ হোসেন, পরিষদ সদস্য ও করোনা ইউনিট উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ জাবেদ আবছার চৌধুরী এবং ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদও এ সময় বক্তব্য রাখেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সাংসদ ফজলে করিমের ভাই ফজলে রাব্বি’র মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

    সাংসদ ফজলে করিমের ভাই ফজলে রাব্বি’র মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

    রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও চট্টগ্রামের রাউজান আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর বড় ভাই এবিএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী মানিক (৭০) মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নানিল্লাহে—–রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    এবিএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী মানিক হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৪জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের বিরোধী দলীয় নেতা এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী ও সাজেদা কবির চৌধুরীর ৫ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এবিএম ফজলে রাব্বি চৌধুরী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও তিনি সফল ব্যবসায়ি ও নানা মানবিক ও সমাজসেবার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রামবাসী একজন প্রকৃত সমাজসেবককে হারিয়েছেন। তথ্যমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ : তথ্যমন্ত্রী

    হাসপাতাল থেকে রোগী ফেরানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘চিকিৎসার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল থেকে রোগী ফিরিয়ে দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

    তিনি আজ দুপুরে রাজধানীতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন।

    ‘বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে’ এমন বিষয়ে সাংবাদিকেরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘যারা এই সময়ে রোগীদেরকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ক্ষেত্রে পিছ-পা হচ্ছে এবং তাদের অবহেলার কারণে রোগীরা মৃত্যুবরণ করছে, তারা আসলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করছে।
    ‘আমি আশা করবো যে, বেসরকারি হাসপাতালগুলোসহ কোন হাসপাতালই এ ধরণের আচরণ করবে না। এখনই সময় আর্তমানবতার সেবায় হাতকে প্রসারিত করা’ বলেন তিনি।

    ‘তবে অনেক ডাক্তার, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা এই পরিস্থিতির মধ্যেও নিজের জীবনকে বিপন্ন করে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন, তাদেরকে আমি ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই, তারা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয় মানুষকে সেবা দেয়ার জন্য, মানুষকে সেবা না দিয়ে হাসপাতাল যদি হাত গুটিয়ে নেয়, সেটিকে তখন আর হাসপাতাল বলা যায় না উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আমি নিজেও ব্যথিত যে, প্রায়ই আমরা কাগজে ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি- অনেক রোগী একটার পর আরেকটা হাসপাতালে যাচ্ছেন, কিন্তু হাসপাতাল ভর্তি নিচ্ছে না।

    তিনি বলেন, আজকেও কাগজে দেখলাম, সিলেটে একে-একে ছয়টি প্রাইভেট হাসপাতালে একজন রোগী গেছেন, তাকে কোন হাসপাতালে ভর্তি নেয়নি। সেই রোগী শেষে এম্বুলেন্সের মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছেন। এগুলো অত্যন্ত দুঃখজনক এবং প্রাইভেট বা যেকোন হাসপাতালের এ ধরণের আচরণ অগ্রহণযোগ্য।’

    এ বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার এগুলো পর্যবেক্ষণ করছে, ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, কেউ রোগীদেরকে স্বাস্থ্যসেবা দিতে অবহেলা করলে তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখনও পর্যন্ত হুশিয়ারির মাধ্যমে তাদেরকে সেবামুখী করার চেষ্টা করা হলেও অবহেলার ঘটনা ক্রমাগত ঘটতে থাকলে অতি শিগগিরই কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।’

    সম্প্রতি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিক তদন্তে বলেছে, এখানে ইউনাইটেড হাসপাতালের গাফলতি ছিল। সুতরাং যে পাঁচজন মারা গেছেন, তাদের মৃত্যুর দায় কোনভাবেই ইউনাইটেড হাসপাতাল এড়াতে পারে বলে আমি মনে করি না।’

    উপস্থিত সাংবাদিকেরা এসময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকান্ডের পর চলমান স্মরণকালের সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাই না, কারণ এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’

    ‘আমি এবিষয়ে বলতে চাইনি, কিন্তু যেহেতু আপনারা প্রশ্ন করেছেন এবং যেহেতু বাংলাদেশে পান থেকে চুন খসলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিবৃতি দেয়, মানবাধিকার নিয়ে নানা প্রশ্ন তোলে, এমনকি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানবাধিকার নিয়েও তারা প্রতিবছর রিপোর্ট পেশ করে, সেজন্য বলছি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘ সেখানে গত ২৫ মে পুলিশ যেভাবে একজন আফ্রিকান-আমেরিকানকে গলার ওপর চেপে ধরে তাকে হত্যা করলো, এটি সেখানকার মানবাধিকারের কি পরিস্থিতি, তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।’

    যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা অনেক কম হলেও পুলিশের হাতে মৃত্যুবরণকারী কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা শ্বেতাঙ্গদের তিনগুণ, উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

    তিনি আরো বলেন, ‘এছাড়া আপনারা জানেন যে, সেখানে যারা অভিবাসী হতে অবৈধভাবে প্রবেশ করে, তাদের সন্তানদের বাবা-মার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে বাবা-মাকে তাদের দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়।

    আর মাসের পর মাস, বছরের পর বছর শিশুদেরকে আটকে রাখার পর দেখা যায়, তারা তাদের বাবা-মাকে চেনে না। এসব অমানবিক কাজই সেখানকার মানবাধিকারের পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র আমাদেও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দু’দফা ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক : তথ্যমন্ত্রী

    দু’দফা ক্ষমতায় থেকেও বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া দু’দফা ক্ষমতায় থেকেও জিয়া হত্যার বিচার না করা রহস্যজনক।

    তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে একথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী বেগম খালেদা জিয়া দুই দফায় দশবছর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, আরো একবার বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে একমাসের বেশি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছিলেন। এটি সত্যিই রহস্যজনক যে জিয়াউর রহমান হত্যার বিচার তিনি করেননি। সেকারণে জনগণের মনেও এটি প্রশ্ন যে, জিয়হত্যার বিচার করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে যাবে, এজন্যই কি তিনি বিচার করেননি।

    মন্ত্রী এসময় বলেন, ‘সরকারের সুদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই এখনো আশেপাশের দেশ ও ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্তদের মৃত্যুহার অনেক কম, কিন্তু রুহুল কবির রিজভীসাহেবসহ বিএনপিনেতারা যেভাবে কথাবার্তা বলছেন, তাতে মনে হয়, তারা বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থার উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।

    বিএনপি’কে আশেপাশের দেশসহ বিশ্বের দিকে তাকানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানে করোনা সংক্রমণের হার আমাদের চেয়ে বেশি। ভারতে সংক্রমণ চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। আর বেলজিয়ামে সংক্রমিতদের মৃত্যুহার ১৫ শতাংশ, বৃটেনে ১৪, যুক্তরাষ্ট্রে ৬, ভারতে ৩ দশমিক ২, পাকিস্তনে ২ এর বেশি আর আমাদের দেশে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

    ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা যদি ভালো না হতো, তাহলে মৃত্যুহার ভারত-পাকিস্তনের মতো বা তার চেয়ে বেশি হতো। প্রধানমন্ত্রীর সার্বক্ষণিক মনিটরিং ও সংশ্লিষ্ট সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই আমরা মৃত্যুহার কমিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’

    ‘বিএনপি’কে অনুরোধ জানাবো, মিথ্যাচার না করে জনগণের পাশে এসে দাঁড়ান, আর আমাদের দুয়ার খোলা আছে, প্রয়োজনে আমাদের সাথে আপনারা একযোগে জনগণকে সহায়তা করার জন্য কাজ করতে পারেন’ বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

    হাছান আরো বলেন, যাদের প্রয়োজন সেইসব মানুষকে খুঁজে খুঁজে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে। কেউ চায়নি, কিন্তু মোবাইলে আড়াই হাজার টাকা করে পৌঁছে গেছে, দাবি না থাকা সত্ত্বেও কওমী মাদ্রাসাগুলো সহায়তা পেয়েছে, ঈদের আগে সহায়তা পৌঁছেছে মসজিদগুলোতেও। সাংবাদিক, শিল্পীসহ বিভিন্ন পেশার অসহায় মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী সহায়তা দিচ্ছেন। আমি বিএনপি’কে একটু চক্ষু মেলিয়া আশেপাশের দেশে কোথাও এমন ত্রাণ ও সহায়তা দেয়া হয়েছে কি না দেখতে অনুরোধ জানাই।

    করোনা মহামারি মোকাবিলায় উহানে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেবার সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে তখন যারাই এসেছেন, সবাইকে ‘হোম’ এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। দেশে আগত সকল পণ্যবাহী জাহাজকে বহির্নোঙরে রেখে সবার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে নিশ্চিত হবার পরই ভিড়তে দেয়া হয়েছে, স্থলবন্দরের জন্যও সেব্যবস্থা ছিল। এরপরও ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনারোগী শনাক্ত হয়, যেমন বিশ্বের অন্যান্য দেশও নানা পদক্ষেপ নিয়েছিল, কিন্তু কোনো দেশই করোনা থেকে মুক্ত থাকেনি।

    হাছান মাহমুদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্ব ও সময়োপযোগী বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত সব শংকা-আশংকা মিথ্যে প্রমাণ করেছে।

    তিনি জানান, ‘করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ইতিহাসের বৃহত্তম ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন।

    সরকারের ব্যবস্থাপনায় ৬ কোটি মানুষ ত্রাণ ও আরো এক কোটি মানুষ নানা সহায়তা পেয়েছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২০ লাখ পরিবারকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে, যা অভাবনীয় এবং অন্য কোনো রাজনৈতিক দল তা করেনি।

    যেকারণে গত দু’মাসের বেশি প্রায় সবকাজ বন্ধ থাকার পরও পরম সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ আর আমাদের চেষ্টায় একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি।

    আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. রোকেয়া সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চট্টগ্রামের ৪ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে অধিগ্রহণ

    চট্টগ্রামের ৪ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে অধিগ্রহণ

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের ৪ হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে অধিগ্রহণ করেছে। প্রয়োজন হলে আরো হাসপাতাল অধিগ্রহণ করবে।

    তিনি বলেন “ইম্পেরিয়েল হাসপাতাল, হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল এবং ইউএসটিসির বঙ্গবন্ধু হাসপাতালসহ বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরো হাসপাতাল অধিগ্রহণ করবে সরকার।”

    এসব হাসপাতালের বাইরে চট্টগ্রামে আইসোলেশন ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এজন্য নগরীর আগ্রাবাদ এক্সেসরোডের সিটি কমিউনিটি হলে ৩শ’ বেডের একটি আইসোলেশন ইউনিট স্থাপন করা হবে। এরপরও যদি আরো আইসোলেশন ইউনিটের প্রয়োজন হয় তাহলে চট্টগ্রামের শীতাতাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্বলিত কমিউনিটি হলগুলোকে প্রয়োজনে আইসোলেশন ইউনিটে রূপান্তর করা হবে।

    এছাড়া চট্টগ্রাম শহরে করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে আরো ১১টি বুথ স্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি।

    হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভা শেষে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান বলেন, চট্টগ্রাম পৌণে এককোটি মানুষের শহর। আশপাশের জেলা ও উপজেলা মিলে প্রায় আড়াই কোটি মানুষের জন্য চট্টগ্রামে যেসকল মেডিকেল ফ্যাসিলিটিজ আছে সেগুলোতেই স্বাস্থ্যসেবা দিতে হচ্ছে। ইতোমধ্যেই চট্টগ্রামে দু’হাজারের বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং সংক্রমণও দ্রুত বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে করণীয় নির্ধারণে আজকের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    তিনি বলেন, আজকের সমন্বয় সভায় বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রশাসন ও পুলিশের প্রতিনিধি নিয়ে ৮ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়া হয়েছে। এই কমিটি এসব হাসপাতালগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে চালু করার জন্য কি কি প্রয়োজন সেগুলো নির্ধারণ করবেন। হাসপাতালগুলো আজ থেকেই অধিগ্রহণ করা শুরু হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী জানান, কমিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আজকেই হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল অধিগ্রহণ করা হবে। আগামীকাল অথবা পরশুদিনের মধ্যেই বাকিসব হাসপাতাল অধিগ্রহণ করা হবে। রেলওয়ে হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত বলে রেলওয়ের প্রতিনিধি সভায় জানিয়েছেন। সেখানে এখনই রোগী ভর্তি করানো যাবে।

    তিনি বলেন, ‘সভায় শিপব্রেকার্স এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, তাদের ১০০ বেডের হাসপাতালটিও করোনা রোগীদের চিকিৎসায় তারা দিতে পারবেন। নগরীর পার্কভিউ হাসপাতাল অলরেডি করোনা ইউনিট চালু করেছেন।’

    মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে এখানকার মানুষকে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য যতটুকু সম্ভব সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুততম সময়ে এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • এই অমানিশার অন্ধকার কেটে নতুন সূর্য উদিত হবে : তথ্যমন্ত্রী

    এই অমানিশার অন্ধকার কেটে নতুন সূর্য উদিত হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ঈদে অসহায় মানুষের পাশে থাকার আহবান জানিয়ে বলেছেন, ‘যারা অসহায়, ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেনা, তাদের পাশে সামর্থ্যবানদের দাঁড়ানোর মধ্যেই ঈদের সার্থকতা’।

    ঈদের দিন সকালে আজ রাজধানীতে সরকারি বাসভবনে ঘরোয়াভাবে আয়োজিত জামাত শেষে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন,“ ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই অমানিশার অন্ধকার কেটে গিয়ে নতুন সূর্য উদিত হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবো এবং দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।”

    এবারের ঈদের প্রেক্ষাপটের ভিন্নতা তুলে ধরে ড. হাছান বলেন,’গত ২০ বছরে এবারই প্রথম তিনি ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করছেন। প্রতিবছরই তিনি তার গ্রামের মানুষের সাথে ঈদের নামাজ আদায় করেন। করোনাভাইরাসের কারণে এবারের এই ব্যতিক্রম উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “করোনার কারণে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চিরাচরিত প্রথা ভেঙে, কোলাকুলি-করমর্দন না করে মানুষকে ঈদ উদযাপন করতে হচ্ছে, আমিও বাসায় ঘরোয়াভাবে ঈদ জামাত আয়োজন করেছি।”

    পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণান্তকর চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

    দেশ তথা সমগ্র বিশ্বের মানুষের করোনা মহামারি থেকে দ্রুত মুক্তি, অসুস্থদের সুস্থতা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
    ২৪ ঘণ্ট/এম আর