Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • করোনায় সংকটে পড়া সাংবাদিকদের জন্য সহায়তার ঘোষণা দিলেন তথ্যমন্ত্রী

    করোনায় সংকটে পড়া সাংবাদিকদের জন্য সহায়তার ঘোষণা দিলেন তথ্যমন্ত্রী

    করোনায় সংকটে পড়া সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    মঙ্গলবার দুপুরে (১৯ মে) রাজধানীতে বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ১৬শ সভাশেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ ঘোষণা দেন।

    ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ও তথ্যসচিব কামরুন নাহার, ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও পিআইবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাফর ওয়াজেদসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    করোনা পরিস্থিতিতে দেশের নানা পেশার মানুষের মতো বহু সাংবাদিকও অসুবিধায় নিপতিত হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অসুবিধায় নিপতিত সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তার বিষয়টি আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেছিলাম। সে প্রেক্ষিতে এ পরিস্থিতিতে যারা অসুবিধায় পড়েছে, তাদেরকে আর্থিকভাবে সহায়তার জন্য তাঁর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে আমরা আজকে একটি বিশেষ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহায়তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।’

    ‘কারা এই তহবিল থেকে সহায়তা পাবে সেটি নিয়েও আমরা বিস্তারিত আলোচনা করে কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি- যারা সম্প্রতি চাকুরিচ্যুত হয়েছে, গত ৬ মাস ধরে যারা বেকার রয়েছে, আবার যাদের চাকুরি আছে কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাচ্ছেন না -তারা এই এককালীন জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা সহায়তার আওতায় আসবেন’, জানান তথ্যমন্ত্রী।

    মন্ত্রী বলেন, ‘দলমত নির্বিশেষে সারাদেশে করোনা সংকটে পড়া সাংবাদিকরা এ সহায়তার আওতায় আসবেন। নির্ধারিত ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী কারা সহায়তা পাবেন সেটি সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং ইউনিয়ন ঠিক করবে।’

    এসময় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই ২০১৪ সালে এই কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ১১শ ৬৭জন সাংবাদিক এই কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ৯ কোটি ৬৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা হিসেবে পেয়েছে। ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার আগেও ২০১১ সাল থেকে ২০১৪ সালের শেষ পর্যন্ত ৬২৩ জন সাংবাদিককে ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছিল।’

    সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে প্রতিবছর দুস্থ, অসহায়, অসুস্থ সাংবাদিকদের যে সহায়তা দেয়া হয়, তা অব্যাহত আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, গতবছর সেই খাতে ১ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা সাংবাদিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছিল, আজকের বোর্ড মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই খাতে এ বছর ২ কোটি টাকা দেয়া হবে।

    করোনা মহামারির এসময় বাংলাদেশের সাংবাদিক ভাই-বোনেরা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছে ও ইতোমধ্যেই শতাধিক সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এবং ৩ জন সাংবাদিক এই করোনায় আক্রান্ত হয়ে করুণভাবে মৃত্যুবরণ করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এসময় প্রয়াতদের বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা করেন।

    তিনি বলেন, ‘এসত্ত্বেও সঠিক সংবাদ মানুষের কাছে পৌঁছার জন্য তারা এই দুর্যোগ, প্রতিকূলতা ও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার মধ্যেও কাজ করছেন, এজন্য সব সাংবাদিককে আমি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’

    সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রেস) এস এম মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু এবং দৈনিক সংবাদের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মো. কাশেম হুমায়ুন সভায় অংশ নেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দেশে ৬০ জন গণমাধ্যমকর্মী করোনায় আক্রান্ত:তথ্যমন্ত্রী

    দেশে ৬০ জন গণমাধ্যমকর্মী করোনায় আক্রান্ত:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনা মহামারীর মধ্যে সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন।

    সবকিছু লকডাউন হলেও গণমাধ্যম খোলা থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দেশে প্রায় ৬০ জন গণমাধ্যমকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং আমি আমার প্রিয় বন্ধুপ্রতিম সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনকে হারিয়েছি।

    ড. হাছান আজ দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ’তে ডিজইনফেকশন চেম্বার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার সদ্যপ্রয়াত নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খোকন স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এসময় প্রয়াত খোকনের আত্মার মাগফেরাত ও করোনা-আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থতা প্রার্থনা করেন মন্ত্রী।

    সাংবাদিকদের প্রতি গভীর মমতার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি সবসময় মন্ত্রী ছিলাম না বা থাকবো না, কিন্তু আমি সবসময় সাংবাদিকদের সাথে ছিলাম। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে আমি সকল সাংবাদিকের করোনা পরীক্ষার বিশেষ ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ করেছি, তারা সে ব্যবস্থা করেছে। বিশেষ বুথের জন্যও আমি তাদের তাগাদা দেবো। ’
    ‘সেইসাথে দুঃস্থ সাংবাদিকদের জন্য আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব কিছু করার চেষ্টা করছি, শিগগিরই কিছু করতে পারবো বলে আশা করি,’ জানান তথ্যমন্ত্রী।

    ড. হাছান আক্ষেপ করে বলেন, বিশ্বে রাষ্ট্রীয়ভাবে মেডিকেল গবেষণায় যে অর্থব্যয় হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি ব্যয় হয় সামরিক খাতে। কিন্তু সমগ্র বিশ্ব আজ এক অদৃশ্য শত্রুর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত, যেখানে শুধু মাস্ক, স্যানিটাইজার আর জীবাণুনাশক নিয়েই আমাদের কাজ কওে যেতে হচ্ছে।
    আমার প্রশ্ন, এখনো কি আমরা অস্ত্রের প্রতিযোগিতায় থাকবো, না কি সম্মিলিতভাবে মানব সমাজের জন্য কাজ করবো? আর অস্ত্রের প্রতিযোগিতা নয়, সবাই মিলে মানুষের সুরক্ষার জন্য কাজ করাই হোক পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের ব্রত, আশাপ্রকাশ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    মন্ত্রী এসময় করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক রূপ তুলে ধরে বলেন, এটি কোনো জাতীয় দুর্যোগ নয়, এটি বৈশ্বিক মহামারী। এসময় মানুষ যেন হতাশাগ্রস্ত হয়ে না পড়ে, সেজন্য আপনারা আশাব্যঞ্জক সংবাদ পরিবেশন করুন।

    এ প্রসঙ্গে সরকারের কর্মতৎপরতার কথা উল্লেখ করে ড. হাছান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের জীবন ও জীবিকারক্ষা, অর্থনৈতিক প্রণোদনাসহ দেশের এক-তৃতীয়াংশ মানুষকে সরকারি সহায়তার আওতায় এনে যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা আজ সমগ্র বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম, বিশ্বখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস এমনকি ইকনোমিস্ট-ও প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করেছে।

    তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সাড়া দিয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী অনুষ্ঠানে ডিআরইউ নেতৃবৃন্দের কাছে এন্টিসেপটিক সাবান ও হ্যান্ডস্যানিটাইজার হস্তান্তর করেন।

    এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সুজিত রায় বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশে যখন যেখানে প্রয়োজন, সেখানেই ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।

    ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিজইনফেকশন চেম্বার প্রদানকারী সংগঠন ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট অভ বাংলাদেশ-এনআইবি’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম ও ডিআরইউ সহ-সভাপতি নজরুল কবীর।

    ডিআরইউ’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোরসালিন নোমানী, দৈনিক বর্তমানের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মোতাহার হোসেন প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • তথ্যমন্ত্রী’র নির্দেশে রাঙ্গুনিয়ায় কৃষকের পাকা ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

    তথ্যমন্ত্রী’র নির্দেশে রাঙ্গুনিয়ায় কৃষকের পাকা ধান কেটে দিচ্ছে ছাত্রলীগ

    করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে অঘোষিত লকডাউনের কারণে বিপাকে পরা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন উপজেলা ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা।

    রমজানের রোজা রেখে তীব্র রোদের ভ্যাপসা গরমে মাঠে নেমে কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছে ছাত্রলীগ।

    এতে শ্রমিক সঙ্কটে থাকা দরিদ্র কৃষকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ার দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে নির্দেশনা দেন নিজের নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের।

    রাঙ্গুনিয়ায় দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    উপজেলা ছাত্র লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম রাসেল জানান, তথ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাঙ্গুনিয়ায় ইউনিয়ন ভিত্তিক টিম গঠন করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন রাঙ্গুনিয়ার কোননা কোন বিলে নেমে দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছে সামাজিক দুরত্ব মেনে। ইতিমধ্যে রাঙ্গুনিয়ার পারুয়া, পোমরা, পদুয়া, চন্দ্রঘোনাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে যে সমস্ত বিলে বোরা ধান পেকেছে সেসব এলাকার দরিদ্র কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ি ধান কেটে দিচ্ছে নেতাকর্মীরা।

    শনিবার (০২ মে) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের টিম ধান কেটেছে উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউনিয়নের গুমাইবিল অংশে।

    আধুরপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক আবুল কাশেমের ২৫শতক জমির ধান কেটে ছাত্রলীগ কর্মীরা কৃষকের ঘরে পৌঁছে দেন।

    উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শিমুল গুপ্তের নেতৃত্বে ধান কাটায় অংশ নেন চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি খাঁন, ইমাম গাজ্জালী কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রনি দাশ, ছাত্রলীগ নেতা লাভলু, ছোটন, অনুপ, ইলিয়াছ ইমন, সজিব, সৈকতসহ প্রায় ১৫জনের টিম।

    এরআগে শুক্রবার পোমরা ইউনিয়নের মো. শফি নামের এক কৃষকের ২০ শতক জমির ধান কেটে দিয়েছে পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ।

    একইদিন পারুয়া ইউনিয়নের হাজারি বিলের কৃষক লেদু মিয়ার ৪৪ শতক জমির ধান কাটেন উপজেলা ও পারুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগনেতা রাকিবুল হাসান বাবুর নেতৃত্বে ১৫ জনের টিম।

    গত ২৬ এপ্রিল পদুয়া ইউনিয়নের সাপলেজাপাড়া বিলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষক আবদুল কাদেরের ৩৫ শতক জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতা আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে টিম।

    এভাবে রাঙ্গুনিয়ার যেসমস্ত বিলে ধান পেকেছে এবং ধানকাটা শ্রমিকের অভাবে দরিদ্র কৃষকরা ধান কাটতে পারছেনা তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ছাত্রলীগ।

    পারুয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান বাবু বলেন, রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত সাংসদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের নির্দেশে পারুয়া ইউনিয়নে যেসমস্ত কৃষক শ্রমিক কিংবা অর্থ সংকটে পাকা ধান কাটতে পারছেননা তাদের সাহায্য করা হবে জানিয়ে ফেসবুকে নাম্বার দিয়ে একটি পোষ্ট দেওয়া হয়। কৃষক নুর মোহাম্মদ যোগাযোগ করলে আমরা তার পাশে দাঁড়াই।

    রাঙ্গুনিয়ায় দরিদ্র কৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

    রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শিমুল দাশ গুপ্ত বলেন, চট্টগ্রামের শস্য ভান্ডারখ্যাত গুমাই বিলসহ রাঙ্গুনিয়ার বিস্তির্ণ এলাকায় বেরো ধান পেকেছে। প্রতিবছরের ন্যায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এবার ধান কাটা শ্রমিকরা আসতে পারছেনা। কৃষকের এই সঙ্কটে তথ্যমন্ত্রী ছাত্রলীগসহ নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন দরিদ্র কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিতে। রাঙ্গুনিয়ার যেসমস্ত দরিদ্র কৃষক শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে বিপাকে পড়বে তারা যোগাযোগ করলেই ছাত্রলীগের টিম পৌঁছে যাবে বলে তিনি জানান।

    চট্টগ্রামের শস্য ভান্ডারখ্যাত রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলের কৃষক আবুল কাশেম জানান, আমি দুই কানি জমিতে বোরা ধানের চাষ করেছি, ধানও পেকেছে। দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বাজারে শ্রমিক না পেয়ে যখন আমার কপালে ভাঁজ পড়ে তখন ছাত্রলীগের ভাইয়েরা এসে আমার জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়ে গেলেন। এই সময়ে তারা কৃষকের পাশে এসে দাঁড়ানোয় রাঙ্গুনিয়ার অনেক দরিদ্র কৃষকের চিন্তামুক্ত হবে বলে জানান তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাঙ্গুনিয়ায় ২য় দফায় আরো ৫ হাজার পরিবার পাবে তথ্যমন্ত্রী’র খাদ্য সামগ্রী

    রাঙ্গুনিয়ায় ২য় দফায় আরো ৫ হাজার পরিবার পাবে তথ্যমন্ত্রী’র খাদ্য সামগ্রী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় দ্বিতীয় পর্যায়ের পাঁচ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আওয়ামী লী‌গের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

    এরআগে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে প্রথম পর্যায়ে তিন হাজার পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    আজ সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা প্রাঙ্গণে তথ্যমন্ত্রীর পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এন এন কে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়।

    এন এন কে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এবং তথ্যমন্ত্রীর ছোটভাই খালেদ মাহমুদ ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার উপস্থিত থেকে করোনা ভাইরাসের কারণে সমস্যাগ্রস্থ পরিবারের হাতে এসব খাদ্য সামগ্রী হস্তান্তর করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, পৌরসভার কাউন্সিলর মো. সেলিম, নুরুল আবছার, শিক্ষক রঞ্জন বড়ুয়া প্রমুখ।

    এনএনকে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ জানান, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আজ রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, মরিয়মনগর ও চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউনিয়নে দ্বিতীয় পর্যা‌য়ের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, পেয়াঁজ ও চিনিসহ ১০ কেজির নিত্যপণ্য রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এসব ত্রাণ সামগ্রী নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে বিতরণ করা হচ্ছে।

    করোনার কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে রাঙ্গুনিয়ার মানুষের জন্য তথ্যমন্ত্রী’র খাদ্য সামগ্রী বিতরণ পুরো রমজান মাস জুড়ে অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • বিক্ষোভ-সমাবেশে বিএনপি’র ইন্ধন আছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিক্ষোভ-সমাবেশে বিএনপি’র ইন্ধন আছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,বর্তমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংকটময় পরিস্থিতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে তাতে বিএনপির ইন্ধন রয়েছে।

    বর্তমান সংকটকালে বিএনপি সাহায্যের হাত না বাড়িয়ে নানাভাবে লোক ভাড়া করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশে নানাভাবে মদদ দিচ্ছে।

    ড.হাছান আজ দুপুরে মিন্টু রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বিএনপি ত্রাণ বিতরণের ফটোসেশনে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করে বলেন, বিএনপি সহয়োগিতা করতে জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি। কয়েকটি স্থানে কিছু ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে এবং ফটোসেশনে সরকারের সমালোচনাতেই তারা ব্যস্ত।

    তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণ সংকট পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১২ বিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমরা সবাইকে সাথে নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

    সরকার ৫০ লাখেরও বেশি পরিবারকে ১০ টাকা কেজি দরে প্রতিমাসে ত্রিশ কেজি করে চাল দিচ্ছে বছরে ৭ মাস। আরো ৫০ লাখ পরিবারের তালিকা করে রেশন কার্ড দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতিতে সরকার এবং দলের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য ৭০ হাজার জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছেন।

    আগামীতে যাতে দেশে কোন সংকট তৈরি না হয় তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। ত্রাণ সহায়তার ক্ষেত্রে যারা দুর্নীতি ও অপরাধ করবে তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে যেসব চেয়ারম্যান মেম্বার এসব দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েক জন বিএনপি ও জাসদসহ বিভিন্ন দলের চেয়ারম্যান-মেম্বার রয়েছেন। তেলসহ চাল নিয়ে যারা দুর্র্নীতি করেছে তাদের দলীয় বর্তমান ও অতীত থেকে দেখা যায় তারা জাপা, জাসদ এবং বিএনপির সমর্থক।

    মন্ত্রী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান।

  • রাঙ্গুনিয়ায় তথ্যমন্ত্রী’র ত্রাণ সমন্বয় কমিটি গঠন

    রাঙ্গুনিয়ায় তথ্যমন্ত্রী’র ত্রাণ সমন্বয় কমিটি গঠন

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের নির্দেশনায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ বিতরণে বৈষম্যরোধ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ত্রাণ সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান সমন্বয়কারী করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

    কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শাহজাহান সিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, প্রচার সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক কাউছার নুর লিটন, শ্রম সম্পাদক ফারুক আহমেদ তালুকদার।

    গ্রাম পর্যায়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে তালিকা তৈরী ও সংশ্লিস্ট ইউপি চেয়ারম্যান এবং দলীয় দায়িত্বশীলদের ব্যবস্থাপনায় ত্রাণের সুষম বণ্টনের ব্যবস্থা করবেন এই কমিটি।

    কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত সাংসদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ইতিমধ্যে ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়ার প্রান্তিক জনগোষ্ঠির পাশে দাঁড়িয়েছেন। কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের মাঝে সপ্তাহব্যাপী খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে রাঙ্গুনিয়ার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ চলছে। এসব বন্টণে যাতে কোন ধরণের অনিয়ম ও বৈষম্য না ঘটে সেটি তদারকি করতে কমিটি গঠন করেছেন। রাঙ্গুনিয়ার কোন মানুষ যাতে না খেয়ে থাকে সেজন্য তথ্যমন্ত্রীর উদ্যোেেগ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি ।

     

  • তথ্যমন্ত্রী’র উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়ার দুই ইউনিয়নের ৫’শ পরিবার পেল খাদ্য সামগ্রী

    তথ্যমন্ত্রী’র উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়ার দুই ইউনিয়নের ৫’শ পরিবার পেল খাদ্য সামগ্রী

    করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সঙ্কটে কর্মহীন হয়ে পড়া চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ও চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউনিয়নের দরিদ্র ৫’শ পরিবারে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয়।

    তথ্যমন্ত্রী’র পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বুধবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার মরিয়মনগর ও চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের কর্মহীন ৫’শ পরিবারে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শাহজাহান সিকদার, চন্দ্রঘোনা কদমতলি ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, মরিয়মনগর ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুল হক হিরু, জসিম উদ্দিন তালুকদার, এমরুল করিম রাশেদ, কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিম, শওকত হোসেন সেতু প্রমূখ।

    রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর ইউনিয়নে তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগের ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।

    এনএনকে ফাউন্ডেশনের জসিম উদ্দিন তালুকদার বলেন, প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, আলু ও সাবানসহ ১০ কেজির নিত্যপণ্য রয়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে এসব ত্রাণ সামগ্রী নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে বিতরণ করা হচ্ছে। রাঙ্গুনিয়ার কোন মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকে সেজন্য তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের উদ্যোগে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।

    রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব শাহজাহান সিকদার জানান, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি ইউনিয়নের কর্মহীন দরিদ্র পরিবারে পৃথক ভাবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু হয়। ক্রমান্বয়ে উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।

  • সত্যতা যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশ কোনোভাবেই সমীচীন নয় : তথ্যমন্ত্রী

    সত্যতা যাচাই না করে সংবাদ প্রকাশ কোনোভাবেই সমীচীন নয় : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সত্যতা যাচাই না করে কোন সংবাদ মাধ্যমে কোনো ধরণের কাল্পনিক তালিকা প্রকাশ করা কোনভাবেই সমীচীন নয়।

    তিনি আজ দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাশেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

    এসময় সম্প্রতি গ্রেফতারকৃত ‘পাপিয়া’র সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কাল্পনিক তালিকা প্রকাশের অভিযোগে দৈনিক মানবজমিন সম্পাদকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রুজু মামলার বিষয়ে মন্তব্য চাইলে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কিছু কাল্পনিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

    আমি মনে করি, সত্যতা যাচাই না করে এধরণের কাল্পনিক তালিকা প্রকাশ কোনভাবেই সমীচীন নয়। যদি কেউ করে থাকে, সেটি পত্রিকা হোক, অনলাইনে হোক বা অন্যভাবে হোক সেটার দায় তারা এড়াতে পারেননা।’

    ‘আমি কাগজে দেখেছি, আমাদের একজন সম্মানিত সংসদ সদস্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেছেন’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ সংক্ষুব্ধ হলে দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতেই পারেন। সেটি তার সাংবিধানিক অধিকার এবং যাচাই বাছাই না করে দায়িত্বশীল পত্রিকা কিম্বা কোন দায়িত্বশীল অনলাইন, কিম্বা দায়িত্বশীল কোন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার এ ব্যাপারে নাম প্রকাশ করা কোনভাবেই দায়িত্বশীলতার মধ্যে পড়ে না। সুতরাং এই দায়িত্বহীন আচরণ যদি কেউ করে থাকেন, দায়িত্বহীনতার দায় তাকে নিতে হবে।’

    ‘বিএনপি করোনা ভাইরাস নিয়ে সরকারকে দোষারোপ করছে’-এমন মন্তব্যের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বিএনপি মহাসচিবকে একটু পড়াশোনার জন্য অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপির কাজ হচ্ছে সমালোচনা করা। বিএনপি এই করোনা ভাইরাস নিয়ে জনগণের জন্য কি করেছে? তারা শুধুমাত্র ভুল খুঁজে বেড়ানোর রাজনীতিটা করছেন।’

    ‘আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো, এ ব্যাপারে একটু পড়াশোনা করার জন্য। কারণ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তকে সাথে সাথে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না। সংক্রমিত হওয়ার ১৫ দিন পরে তার দেহে করোনা ভাইরাস আছে কি-না সেটি নির্ণয় সম্ভব হয়। সুতরাং বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে সমস্ত ব্যবস্থা নেয়া সত্ত্বেও বিদেশ থেকে আসা বাঙ্গালিরা স্ক্রীনিং এর মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করলেও সাথে সাথে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, পরবর্তীতে তাদের দেহে সেটি পাওয়া গেছে, যেটি অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে ঘটেছে।’

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, ইটালিসহ পৃথিবীর উন্নত দেশ, যারা কারিগরি এবং মেডিকেল সায়েন্সের দিক দিয়ে অনেক বেশি উন্নত এবং সমৃদ্ধ, অর্থনৈতিক সক্ষমতাও আমাদের চেয়ে অনেক বেশি, সমস্ত প্রস্ততি নেয়া সত্ত্বেও তারা নিজেদেরকে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত রাখতে পারেনি জানিয়ে ড. হাছান বলেন, সরকার সময়োচিত সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারণে ১০০টি দেশ আক্রান্ত হওয়ার পর আমাদের দেশ আক্রান্ত হয়েছে। মাত্র ৩ জন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। আজকে এই বৈশ্বিক দুর্যোগের সময় রাজনৈতিক বাদানুবাদ না করে বরং সবাই একযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা প্রয়োজন।

    ‘আমাদের দেশে আমরা এখনও পর্যন্ত এই দুর্যোগ ঠেকিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছি’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আমরা স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা করি, যেন আমাদের দেশে এই দুর্যোগ কোনভাবেই আর না ছড়ায়। সেজন্য প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্দেশনা দিয়েছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও জনগণের পাশে থাকবে।’

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি একদিকে যেমন দেশ পরিচালনা করছেন, সরকার পরিচালনা করছেন, অন্যদিকে তিনি দলের প্রতিটি বিষয় নিয়ে খোঁজখবর রাখেন।

    জননেত্রী শেখ হাসিনাই হচ্ছেন আমাদের দলের অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। সেকারণেই আজকে আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এ দীর্ঘ সময়ে যে সমস্ত সুযোগসন্ধানী এবং সুবিধাবাদী দলের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে ঢুকে পড়েছে, দলকে তাদের থেকে মুক্ত করার জন্য আমরা কাজ করেছি।’

    তিনি বলেন, ‘দলের পোড় খাওয়া নেতাকর্মীরাই দলের নেতৃত্বে থাকবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, সবাই এ দল করতে পারে, সমর্থন করতে পারে, কিন্তু সবাই এই দলের নেতৃত্বে আসতে পারে না। নেতৃত্বে তারাই আসবেন, যারা দল এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্থাশীল। যারা দলের সুসময় এবং দুঃসময় সবসময়ে দলের জন্য অবিচল কাজ করবে এবং একইসাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল থেকে কাজ করবে, তারাই দলীয় নেতৃত্বে থাকবেন।

    আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদকও বারংবার বলেছেন, যারা মাদক বা জমি দখলের সাথে যুক্ত, যারা চাঁদাবাজ তারা নেতৃত্বে থাকবে না।’

    হাছান মাহমুদ জানান ‘বুধবার সকালে সম্পাদকমন্ডলীর সভায় দলের সিদ্ধান্তের কথা আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক আমাদের জানিয়ে গেছেন। মার্চ মাসে আমরা আর সম্মেলন করবো না। একইসাথে এপ্রিল মাসের শেষের দিকে রমজান শুরু হবে বলে এপ্রিল মাসেও আমরা ব্যাপক জনসমাবেশ করে সম্মেলন পরিহার করবো। তবে দলের কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর কয়েকদিন পরেই জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ১৭ মার্চ। এ উপলক্ষে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে সমস্ত জনসমাগমসম্পৃক্ত কর্মসূচিগুলো আপাতত স্থগিত করেছেন। কোনো কর্মসূচি বাতিল করা হয় নাই। আমরা পুর্নবিন্যাস করতে যাচ্ছি। জনসমাগম হবে এমন দলীয় কর্মসূচিগুলোও আমরা স্থগিত করেছি, পরবর্তীতে এগুলো সুবিধাজনক সময়ে পালিত হবে।’

    আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, নাটোর জেলার আওয়ামী লীগ সভাপতি মো: আব্দুল কুদ্দুস এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি, মো: শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি, দলের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ নাটোর জেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সভায় যোগ দেন।

  • ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে বিএনপি আর লজ্জা পাবে না : তথ্যমন্ত্রী

    ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে বিএনপি আর লজ্জা পাবে না : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, হাইকোর্ট ‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন। তাই এখন থেকে বিএনপি ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে আর লজ্জা পাবে না।

    আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘হাইকোর্ট ‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। আমরা এই রায়কে স্বাগত জানাই। বিএনপিসহ যারা জয় বাংলা স্লোগান দিতে আগে লজ্জা পেত, আমি আশা করি তারা এখন আর জয় বাংলা ম্লোগান দিতে লজ্জা পাবে না। তারা এখন থেকে জয় বাংলা ম্লোগান দিবে।’

    তিনি বলেন, ‘হাইকোর্ট আজ একটি রায় দিয়েছেন, জয় বাংলাকে জাতীয় স্লোগান হিসেবে গ্রহণের জন্য। সবাই যেন জয় বাংলা স্লোগান দেয়। এ রায়কে আমরা স্বাগত জানাই। এখন জয় বাংলা স্লোগান দিতে যাদের লজ্জা লাগে হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী বিএনপিসহ তাদের জয় বাংলা স্লোগান দেওয়া উচিত। দেশের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান রেখে, সব ক্ষেত্রেই আমাদের স্লোগান ছিল জয় বাংলা। জয় বাংলা কোনো দলের স্লোগান নয়, জয় বাংলা মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান।’

    করোনাভাইরাস নিয়ে বিএনপি রাজনীতি শুরু করেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি’র উচিত ছিল করোনাভাইরাস নিয়ে রাজনীতি না করে জনগণের পাশে দাঁড়ানো। এটি একটি বৈশ্বিক দুর্যোগ। এটি শুধুমাত্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নয়, সমগ্র পৃথিবীব্যাপী দুর্যোগ।

    হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাসের কারনে পৃথিবীব্যাপী বিমান চলাচল সংকুচিত করা হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউস থেকে পারত পক্ষে বের হচ্ছেন না। এভাবে বিশ্ব নেতারা তাদের কর্মসুচি সংক্ষিপ্ত করছেন। যারা জনগণের জন্য রাজনীতি করে এই বৈশ্বিক দুর্যোগে তাদের উচিত জনগণের পাশে দাঁড়ানো।

    তিনি বলেন, বিএনপি করোনাভাইরাস নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছে। সবকিছুর মধ্যে রাজনীতি খোঁজা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সোমবার যে বক্তব্য দিয়েছেন তা করোনাভাইরাস নিয়ে জনগণের সঙ্গে মশকরা করার শামিল।

    ড.হাছান বলেন, বিএনপি সব সময় চিন্তিত-ব্যস্ত আছেন দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে। জনগণের জন্য যদি তারা রাজনীতি করেন, দয়া করে করোনাভাইরাস নিয়ে রাজনীতি করবেন না।

    বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আবেদনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা জনগণের কথা ভাবেন না বিধায় বিএনপির রাজনীতিটাও খলেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের মধ্যে আটকে আছে। বেগম জিয়ার স্বজনরাও তাকে নিয়েই চিন্তা করছেন, অন্য কাউকে নিয়ে চিন্তা করছে না।

    এ সময়ে তথ্যমন্ত্রী বৈশ্বিক এই দুর্যোগ মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে দেশের জনগনের জন্য এক সাথে কাজ করতে সবার প্রতি আহবান জানান।

    হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের জন্য দেশবাসীর পক্ষ থেকে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনস্বার্থের কথা চিন্তা করে সেই প্রোগ্রামগুলো সংকুচিত করেছেন। কোন প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়নি। বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে এবং বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এই প্রোগ্রামগুলোকে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিশ্ব নেতারা মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার সম্মতি দিয়েছিলেন এবং নিশ্চিত করেছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর নিশ্চিত করে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। যেদিন মুজি বর্ষ উদযাপনে জাতীয় কমিটি বেশি জনসমাগম হওয়া অনুষ্ঠান আপাতত পরিহার করা হলো সেদিনও ভারতের সরকারের পক্ষ থেকে মোদির সফর নিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছিল।

    করোনাভাইরান নিয়ে কোন ধরনের আতঙ্ক না ছাড়াতে মিডিয়া গুলোর প্রতি আহবান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কিছু পত্র-পত্রিকা করোনা নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশে তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। আতঙ্ক ছড়ানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। করোনা মোকাবিলায় সরকার বহু আগে থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। বিদেশ থেকে যারা আসছিলেন এবং আসছেন সবাইকে স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে হয়েছে।

    মাস্ক-হ্যান্ডওয়াশের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, করোনাভাইরাসের কারনে একটি অসাধু ব্যবসায়ী মহল মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। নানা ধরনের ক্লিনিক্যাল ম্যাটারিয়ালসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার এ ব্যাপারে দৃষ্টি রাখছে। যারা এই কাজগুলো করবে সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    এ সময়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে স্কুল কলেজ বন্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

  • বিএনপি ভারত বিরোধী রাজনীতির জন্যই নরেন্দ্র মোদীর সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি ভারত বিরোধী রাজনীতির জন্যই নরেন্দ্র মোদীর সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র ভারত বিরোধী রাজনীতির ধারাবাহিকতার জন্যই মুজিববর্ষে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

    আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    হাছান মাহমুদ বলেন, মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আসা নিয়ে বিএনপি প্রশ্ন তুলছে। আসলে বিএনপির মূল রাজনীতিই হচ্ছে ভারত বিরোধীতা। ভারত বিরোধী রাজনীতি তাদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়, তাই এর ধারা বাহিকতা রক্ষার জন্যই ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই সকল অবান্তর প্রশ্ন তুলছেন।

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই ধরনের প্রশ্ন তোলা দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে একটি হচ্ছে তাদের ভারত বিরোধী যে রাজনীতি সেই রাজনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা, আর একটি হচ্ছে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি বিরাজ করছে তার উসকানি দেওয়া। আমি আশা করবো তারা এই পথ পরিহার করবে।

    মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের অংশগগ্রহণ না থাকলে মুজিববর্ষের পূর্ণতা পাবে না মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যদি ভারতের অংশগগ্রহণ না থাকে, তাহলে আমি মনে করি, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানটি পূর্ণতা পায় না। মুজিববর্ষে ভারতের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতে কী ঘটেছে, কী ঘটেনি সেটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশে তো এমন কোনো পরিস্থিতি বিরাজ করছে না যাতে এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।

    হাছান মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বেশ কয়েকমাস আগে। তিনি তা গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে কোনো দেশের যদি এককভাবে অবদান থাকে তা ভারত।

    বাংলাদেশের ১ কোটি মানুষ সেখানে (ভারত) আশ্রয় নিয়েছিল, তারা সর্বাত্মকভাবে আমাদের সহায়তা করেছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য ভারতের তৎকালীন সরকার ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বিভিন্ন দেশে ছুটে গেছেন। সেই আন্তর্জাতিক চাপ ও বিশ্বজনমতের কারণেই পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।

    তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় পেলেও বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি কারাগার থেকে ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসার মধ্যদিয়ে স্বাধীনতার পূর্ণতা পেয়েছে। সে কারণেই নরেন্দ্র মোদীকে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রতিবেশী অন্যান্য দেশকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    নরেন্দ্র মোদিকে প্রতিহতের ঘোষণায় সরকার কি ভাবছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা মনে করি দেশে একটি সাম্প্রদায়িক শক্তি রয়েছে যারা সবসময় বিরোধী রাজনীতি করে এবং সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দেয়ার চেষ্টা করে। তাদের পক্ষ থেকে এগুলো করা হচ্ছে। এখানে ভারতের সরকারকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। ভারতের কোন সরকার ক্ষমতায় আছে সেটি আমাদের কাছে বিবেচ্য বিষয় নয়, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    এ সময় ‘বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে শিল্প হিসেবে গ্রহণ করার জন্য একটি উকিল নোটিশে’র বিষয়ে মন্তব্য চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রাটাই শুরু হয়েছে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। বাংলাদেশে এর আগে প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল ছিল না। গত এগারো বছরে এ সেক্টরে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। ১০টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল, সেখান থেকে এখন ৩৪টি চ্যানেল চালু রয়েছে, সরকার ৪৫টির লাইসেন্স দিয়েছে।’

    ‘শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার পর থেকেই বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর নানাবিধ সমস্যা সমাধানে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছি’ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কারণ এ চ্যানেলগুলো শুধুমাত্র বিনোদনই দেয় না, দেশ, জাতি ও সমাজ গঠনে, নতুন প্রজন্মের মনন গঠনে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়া ও ভুলত্রুটি তুলে ধরার ক্ষেত্রে এ টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। ক্রমিকের বিষয়ে ক্যাবল অপারেটরদের হাতে জিম্মিদশা থেকে বেসরকারি টেলিভিশনগুলোকে মুক্ত করা হয়েছে, যেটি ১২ বছরে সম্ভবপর হয়নি, সেটি আমরা ৬ মাসে করতে সক্ষম হয়েছি।

    তিনি বলেন, অবৈধ ডিটিএইচের মাধ্যমে বিদেশি অনেক টেলিভিশন চ্যানেল দেখানো হচ্ছিল। এই অবৈধ সংযোগের বিরুদ্ধে আমরা ইতোমধ্যেই অভিযান পরিচালনা করেছি। দেশের প্রচুর বিজ্ঞাপন বিদেশে চলে যাচিছল, সেটিও রোধের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করার উদ্যোগ নিয়েছি, যদিও ক্যাবল অপারেটররা আমাদের দেয়া সময়সীমার মধ্যে করতে পারেনি।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, এবিষয়ে আমরা আরো কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছি, যাতে খুব সহসাই কেবল অপারেটিং সিস্টেমটা ডিজিটাল হয়। অর্থাৎ এখানে একটি শৃঙ্খলা স্থাপন করার জন্য আমরা প্রথম থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি এবং আপনাদের সহযোগিতাও পাচ্ছি।

    তথ্যমন্ত্রী এসময় প্রশ্নকারী সাংবাদিককে প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ দেন এবং বলেন, উকিল নোটিশে’র বিষয়টি পুরো দেখলে আমি সেটির জবাব দিতে পারবো।

  • খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সরকারের কোন করণীয় নেই : তথ্যমন্ত্রী

    খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সরকারের কোন করণীয় নেই : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতের এখতিয়ার। এখানে সরকারের কোন করণীয় নেই।

    আজ জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা ২০২০ এর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আদালত যদি মনে করেন, তবে জামিন দিবেন। আর যদি মনে করেন, তিনি (খালেদা) জামিন পাওয়ার যোগ্য নন, তাহলে জামিন দেবেন না। এটি একান্তই আদালতের ব্যাপার, সরকারের কোন বিষয় নয়।’

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিইউজের সভাপতি আবু জাফর সূর্য। বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোল্লা জালাল, মহাসচিব শাবান মাহমুদ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী স্বাগত বক্তৃতা করেন।

  • বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে নিবন্ধিত করতে সরকার কাজ করছে:তথ্যমন্ত্রী

    বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে নিবন্ধিত করতে সরকার কাজ করছে:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি শুধু তাদের নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন নিয়ে কথা বলে। এই আন্দোলন ১১ বছর ধরে তো দেখছি। গণমানুষের দাবি নিয়ে তো তাদের কোনও কর্মসূচি নেই। খালেদা জিয়ার মুক্তির একটিই পথ, সেটি হলো আইনি পথ।’

    শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো শেষে একথা বলেন তিনি।

    সরকার ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধকে লুণ্ঠিত করেছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আলমগীর সাহেব সব সময় এমন কথা বলেন। তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া বাংলা ভাষাকে কতটুকু ধারণ করেন সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। তার (খালেদা) মেট্রিকের রেজাল্ট উর্দুতে পাস ও বাংলায় ফেল।’

    আওয়ামী লীগের এই মুখপাত্র বলেন, ‘খালেদা জিয়া কোনো রাজবন্দি নন। তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাভোগ করছেন। তাদের জন্য এটাই দুঃখজনক। তাদের রাজনীতি খালেদা জিয়ার অসুস্থতা আর বন্দিদশার মধ্যে আটকে আছে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের এই দিনে আমাদের অঙ্গীকার, এই দেশকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে পরিণত করা। বাংলাকে জাতিসংঘের দাফতরিক ভাষা হিসেবে নিবন্ধিত করতেও আমরা কাজ করছি।’

    শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও আফজাল হোসেন, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।