Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • মুজিববর্ষে অঙ্গীকার হবে অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা:তথ্যমন্ত্রী

    মুজিববর্ষে অঙ্গীকার হবে অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মুজিব বর্ষে অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করার লক্ষ্যে নতুন করে শপথ নেয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    তথ্যমন্ত্রী আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ঢাকা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের (ডিজেএ) সভায় বক্তৃতাকালে বলেন, মুজিববর্ষে আমাদের অঙ্গীকার হবে বাংলাদেশ থেকে সকল অপরাজনীতি ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করা।

    ডিজেএ’র ৫ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করা হয়।

    হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে বিএনপি যদি নেতিবাচক রাজনীতি না করতো, তাহলে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যেতো। বিএনপি সরকারের সবকিছুরই সমালোচনা করে। কিন্তু সরকারের ভাল কাজ ও উন্নয়ন কর্মকান্ডের কথা তাদের স্বীকার করা উচিত।

    মন্ত্রী বলেন, তারা (বিএনপি) সাধারণ মানুষকে অবরুদ্ধ করেছে, পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষ মেরেছে। বাস, ট্রাক ও লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, স্কুলগামী শিশুদের উপর বোমা নিক্ষেপ করেছে। আমি আশা করি যে, জনগণ তাদের অপরাজনীতি থেকে মুক্ত হবে।

    বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোল ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা কি চান, তারা নিজেরাই তা জানেন না। বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ে তাদের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাছান মাহমুদ আরো বলেন, তাদের (বিএনপি) লক্ষ্য বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য ইস্যু পুঁজি করে অপরাজনীতি করা। তারা বেগম জিয়ার ভাল চান না।

    মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানব উন্নয়ন সূচকসহ অনেক আর্থ-সামাজিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়, গড় আয়ু বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে। এটা সম্ভব হয়েছে কেবল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য নেতৃত্বের কারণে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমান সরকারের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সুবাদে এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির বাংলাদেশ গৃহনির্মাণসহ দ্রুত নগরায়ন ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের কারণে চাষের জমি কমে আসার পরও এখন খাদ্যে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, কৃষি জমি এক ইঞ্চিও বাড়েনি অথচ বাংলাদেশ খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে এটা এখন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কেস স্টাডির বিষয় হয়েছে।
    মন্ত্রী বলেন, পল্লী অর্থনীতি জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা অন্য দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে দেশের প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

    মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, মুজিব বর্ষের মধ্যেই বাংলাদেশের শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে।

    তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ কোন স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তব এবং দিন এখন বদলে গেছে।

    বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ডিজেএ সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ এবং মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জেসমিন জুই অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি জহিরুল হক মিলু।

  • সিনেমা হলগুলো টিকে থাকলে চলচ্চিত্র শিল্প এবং শিল্পীরা বেঁচে থাকবে:তথ্যমন্ত্রী

    সিনেমা হলগুলো টিকে থাকলে চলচ্চিত্র শিল্প এবং শিল্পীরা বেঁচে থাকবে:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ আজ দেশের সিনেমা হলগুলো রক্ষার জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সিনেমা হলগুলো যদি টিকে থাকে তবে চলচ্চিত্র শিল্প এবং শিল্পীরা বেঁচে থাকবে।

    সচিবালয়ে তার কার্যালয়ের সভা কক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন অংশিজনদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি বলেন, সরকারের লক্ষ্য দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে আনা এবং বৈশ্বিক সিনেমা বাজারে দখল নেয়া।

    বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি (বিএফপিডিএ), বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি (বিএফডিএ) এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি (বিএফইএ) এর কার্যনির্বাহী সদস্যরা অংশ নেন। সভায় তথ্য সচিব কামরুন নাহারও বক্তব্য রাখেন।

    হাছান বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র জগতের দুঃসময় শেষ… সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি ভালো ও মানসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।

    চলচ্চিত্র শিল্পকে ‘বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন মিডিয়া’ হিসাবে অভিহিত করে হাছান বলেন, ১৯৫৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে এই শিল্পের যাত্রা শুরু হয়।

    জনগণ সিনেমা হলগুলোতে যাওয়া বন্ধ করে দেয়ার কারণে সারাদেশে অনেক সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গিয়েছে উলেøখ করে তিনি বলেন, সিনেমা হল রক্ষায় সকলকে একযোগে কাজ করা উচিৎ।

    হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্তাবধানে বর্তমান সরকার এই শিল্পকে প্রাণবন্ত করার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। সিনেমা হল মালিকদের জন্য সহজ ও দীর্ঘমেয়াদী ঋণের জন্য আমি ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।

    মন্ত্রী বলেন, দেশে সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষা করা দরকার। আর চলচ্চিত্র শিল্পকে রক্ষার প্রধান উপাদান হলো সিনেমা হল।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদানের পরিমাণ পাঁচ কোটি থেকে বাড়িয়ে দশ কোটি টাকা করেছে এবং অনুদানের জন্য এখন একটি নীতিমালা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী অনুদানের অর্থে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো সিনেমা হলে মুক্তি দিতে হবে।

    পাশাপাশি প্রতিটি চলচ্চিত্র নির্মাতার অনুদানের পরিমাণও বাড়িয়ে ৭৫ লাখ করা হয়েছে বলেও মন্ত্রী জানান।

    হাছান সিনেমা হল মালিকদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন চলচ্চিত্র শিল্প তার অতীত ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার করবে এবং বাংলা সিনেমা বিশ্বব্যাপী বাজার দখল করবে।

    সভায় বক্তব্য রাখেন বিএফপিডিএ সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু, বিএফডিএ সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, বিএফইএ সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ এবং বিএফইএর প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস প্রমুখ।

  • রোববার তথ্যমন্ত্রী’র পিতা’র স্মরণ সভায় আসছেন কৃষিমন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী

    রোববার তথ্যমন্ত্রী’র পিতা’র স্মরণ সভায় আসছেন কৃষিমন্ত্রী ও শিক্ষা উপমন্ত্রী

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি’র পিতা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক জেলা পিপি এডভোকেট নুরুচ্ছাফা তালুকদারের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। 

    আগামীকাল রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম কোর্ট হিলস্থ আইনজীবী অডিটরিয়ামে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষি মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। 

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখবেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সৈয়দ মোক্তার আহমদ, সাধারন সম্পাদক আবুল হোসেন মো. জিয়াউদ্দিন।

    এতে মরহুমের পরিবারের পক্ষে বক্তব্য রাখবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি। স্মরণ সভায় সকলকে যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন স্মরণসভা উদ্যাপন পরিষদের আহবায়ক এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল।

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের পিতা অ‌্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার রাঙ্গুনিয়া থানা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারপ্রাপ্ত সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সুনামের সঙ্গে পালন করে গেছেন। ২০১১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

  • অনলাইন পোর্টালের কার্ড নিয়ে যারা সাংবাদিক পরিচয় দেয় তারা সাংবাদিক নয়:তথ্যমন্ত্রী

    অনলাইন পোর্টালের কার্ড নিয়ে যারা সাংবাদিক পরিচয় দেয় তারা সাংবাদিক নয়:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ গণমাধ্যমের শৃংঙ্খলা প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। গত দশ বছরে দেশে গণমাধ্যম দ্রুত বিকশিত হওয়ায় তিনি এই আহ্বান জানান।

    আজ এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আজকে মিডিয়া বলতে শুধু খবরের কাগজকে বুঝায় না। এখন এতে খবরের কাগজ, টেলিভিশন, রেডিও এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

    সংবাদপত্রের চিত্র গত দশ বছরে বদলে গেছে।’
    প্রেস কাউন্সিল দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

    প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশে মিডিয়ার ব্যাপক বিকাশের কারণে মিডিয়ায় আরো অনেক নতুন চ্যালেঞ্জ যুক্ত হয়েছে।

    তিনি মনে করেন, যে কোন মিডিয়ায় যে কোন ধরণের ভুয়া নিউজ প্রচার হলে তা অনেক ক্ষেত্রেই সমাজের পাশাপাশি রাষ্ট্রের জন্যও ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।

    অনেকে সামাজিক মাধ্যমকে গণমাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করেন। তবে, এটি একটি অসম্পাদিত প্লাটফরম, গণমাধ্যম নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনলাইন পোর্টালের কার্ড নিয়ে যারা নিজেদেরকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেয়, তারা আসলে সাংবাদিক নয়।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ মিডিয়ায় শৃংঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দেশে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি কর্ম পরিকল্পনা তৈরির জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের প্রতি আহ্বান জানান।

    তিনি বলেন, মিডিয়া এখন চূড়ান্ত স্বাধীনতা ভোগ করছে। তবে, এটি এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যাতে অপরের স্বাধীনতা খর্ব না করে।

    প্রেস কাউন্সিল সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪ পাস করেছেন এবং পরে দেশের মিডিয়ার বিকাশের জন্য বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল গঠন করা হয়।

    দেশকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু তাঁর শাসনকালে প্রেস কাউন্সিল অ্যাক্ট ১৯৭৪ এর মতো অনেক আইন পাস করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য বহুত্ববাদী ও সমতা ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা।’

    অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এতে বক্তব্য রাখেন তথ্যসচিব কামরুন নাহার এবং দৈনিক অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।

  • খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার আন্তরিক : তথ্যমন্ত্রী

    খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার আন্তরিক : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়াকে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য সরকার আন্তরিকভাবে সব সময় কাজ করে যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, নিয়মিত তার (খালেদা) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন।

    তথ্যমন্ত্রী আজ বিশ্ব বেতার দিবস-২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত র‌্যালী উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার প্যারোলে তার মুক্তি চায়। কিন্তু, বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের কোন দাবি এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করা হয়নি। এমন কি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।

    তিনি বলেন, বেগম জিয়াকে কারাগারে না রেখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাকে তার পছন্দের গৃহ পরিচারিকাকে সাথে রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এটা শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, সমগ্র ভারত উপমহাদেশে এ ধরনের কোন নজির রয়েছে কি না আমার জানা নেই।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার যেসব শারীরিক সমস্যা রয়েছে, তা অনেক পুরনো সমস্যা। এসব সমস্যা নিয়েই তিনি দুই বার প্রধানমন্ত্রী এবং দুই বার বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে সব সময় তার স্বাস্থ্য সমস্যাকে ফুঁলিয়ে-ফাঁপিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হয়। এখন যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, সেটি তারই ধারাবাহিকতা। তিনি দেশে দুইবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং একটি বৃহৎ দলের নেত্রী। তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দিতে সরকার আন্তরিক।

    এ সময় তথ্য সচিব কামরুন নাহার ও বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।

    বেতার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃত পক্ষে বেতার হচ্ছে এমন একটি গণমাধ্যম যা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। বঙ্গোপসাগরে মাঝি-মাল্লারা বেতারের মাধ্যমে দুর্যোগ-দুর্বিপাকের বার্তা পায়। এছাড়াও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথেও জড়িয়ে আছে বাংলাদেশ বেতার। মুক্তিযুদ্ধের প্রারম্ভে ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে আওয়ামী লীগ নেতা এমএ হান্নান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন। পুরো নয় মাস জুড়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রেরণার কেন্দ্রবিন্দু।

    বেতারের গান, খবর ও অনুষ্ঠানমালা শুনে তারা উজ্জীবিত হতো। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাংলাদেশ বেতারের ইতিহাস স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

    পরে মন্ত্রী বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

    বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক হোসনে আরা তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্য সচিব কামরুন নাহার। বেতারের প্রধান প্রকৌশলী আহমেদ কামরুজ্জামান শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।

  • বিএনপি’র লাগামহীন দুর্নীতির কারণেই ওয়ান ইলেভেন’র সৃষ্টি : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি’র লাগামহীন দুর্নীতির কারণেই ওয়ান ইলেভেন’র সৃষ্টি : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র লাগামহীন দুর্নীতি এবং সরকার পরিচালনায় অব্যবস্থাপনার কারণেই ওয়ান ইলেভেন সৃষ্টি হয়।

    তিনি বলেন, ‘তখন হাওয়া ভবন তৈরি করে সরকার পরিচালনা করা হয়। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, নৈরাজ্য, জঙ্গিবাদের উত্থানের কারণে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।’

    তথ্যমন্ত্রী আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে ভাষাচিত্র প্রকাশনী আয়োজিত অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী রচিত ‘আমার দেখা ওয়ান ইলেভেন ’বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এর আগে তিনি গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন করেন।

    সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ বোরহান কবিরের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজের) মহাসচিব শাবান মাহমুদের পরিচালনায় এতে গ্রন্থের লেখক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব ডা. এম এ আজিজ, লেখক ও গবেষক সুভাষ সিংহ রায়, কবি শাহানা পারভীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা রাজনীতিকে বিরাজনীতি করতে চায় তারাই ওয়ান ইলেভেনের সুবিধাভোগী। এখনও একটি গোষ্ঠী রাজনীতিকদের চরিত্র হননের চেষ্টা করছে। বিরাজনীতি করনের প্রচেষ্টায় যারা যুক্ত ছিলেন তারা এখনও সক্রিয়। মাঝে মাঝে একত্রিত হয়।

    তিনি বলেন, রাজনীতিকে বিরাজনীতি করার চক্রান্ত হিসেবে পাকিস্তানেও মার্শাল-ল জারি করা হয়। আমাদের দেশে ওয়ান ইলেভেনের সময় রাজনীতি এবং রাজনীতিকদের জনসমুক্ষে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়, এটি সমীচিন নয়। তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রাণপন চেষ্টা করে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে না পেরে তাকে হত্যা করা হয়।

    এখনও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশলের ও নেতৃত্বের গুনাবলীর কাছে হেরে গিয়ে তারা চক্রান্ত করছে। বিএনপি এবং তাদের দোসররা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।

    তারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যে কোনো উপায়ে তারা আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করতে চায় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নেতারা মাঝে মাঝে বলেন, শেখ হাসিনার পরিণতি পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্টের মতো হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একমাত্র আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পান না।’

    মন্ত্রী বলেন, ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনার মুক্তির পর গণতন্ত্রের মুক্তি হয়। শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। বাংলাদেশ আজ মর্যাদাশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। শেখ হাসিনা এখণ শুধু আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, তিনি পৃথিবীর অনুকরনীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সফল রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বিশ্ব নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

    তিনি বলেন, যে রাজনীতিবিদ সাহসী নন তিনি এক সময় রাজনীতি থেকে হারিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতিকে প্রচন্ড ভালো বাসতেন। সূর্যসেনকে একজন ডাকাত হিসেবে ফাঁসি দেয়া হয়। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় সূর্যসেন স্মরনীয় হয়ে আছেন।

    ড.হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সঙ্গীত শিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের সামনে তীব্রভাবে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। এর দু’দিন পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। একে একে অনেকে গ্রেফতার হন। আমি তখন আমার বাসায় না থেকে অন্য বাসায় থাকি। আমার স্ত্রীও বাসা ছেড়ে বাইরে থাকতেন।’

    আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৭৫৭ সালে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেফতারের পরে প্রতিপক্ষ মিষ্টি বিতরন করে।

    ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পরেও পরবর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় মিষ্টি বিতরন করা হয়। ওয়ান ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকেও গ্রেফতারের পরে মিষ্টি বিতরন করা হয়।’

    অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে ‘আমার দেখা ওয়ান ইলেভেন’ শিরোনামে বই লেখার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেদিন কি ঘটেছিল তা মানুষকে জানানোর জন্য এই ধরনের একটি বইয়ের প্রয়োজন ছিল।

    সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে থাকতে হবে।

    সাইফুল আলম বলেন, সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী এ গ্রন্থটি রচনা করে সাহসী ভুমিকা রেখেছেন। এই গ্রন্থটি মানুষকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখার সংগ্রামে শক্তি ও সাহস যুগাবে।

    নঈম নিজাম বলেন, তৎকালীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতার লালসায় গণতন্ত্র ধবংসের খেলায় মেতে ওঠেছিল। দেশে ভীতিকর অবস্থা তৈরি হয়েছিল। গনতন্ত্র আরও শুক্তিশালী করতে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে হবে। তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।

  • মানসিকভাবে সুস্থ প্রজন্মই পারে জাতিকে সার্বিকভাবে উন্নত করতে : তথ্যমন্ত্রী

    মানসিকভাবে সুস্থ প্রজন্মই পারে জাতিকে সার্বিকভাবে উন্নত করতে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের নতুন প্রজন্মের সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য তাদেরকে সৃজনশীল বই পড়ার ব্যাপারে উৎসাহী করে তুলতে হবে। কেননা, মানসিকভাবে সুস্থ প্রজন্মই পারে একটি দেশ ও জাতিকে সার্বিকভাবে উন্নত করে তুলতে।

    আজ সোমবার বিকেলে এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনাসিয়াম হলে চট্টগ্রামে অমর একুশের বইমেলা উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে মেধা, মনন ও অর্থনৈতিকভাবে উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে নিয়ে যাওয়া। আমরা আরো আগেই এ লক্ষ্য অর্জন করতে পারতাম। গত ১১ বছরে দেশ আরো বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতো, যদি দেশে নেতিবাচক ও সংঘাতের রাজনীতি না থাকতো।

    অমর একুশের বইমেলার উদ্বোধন। ছবি: দেব প্রসাদ দেবু

    ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিদেশি কূটনীতিকদের কাছে নালিশ জানানোর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন নির্বাচন নিয়ে তাদের যদি নালিশ থাকলে তারা নির্বাচন কমিশনে যেতে পারতো, আদালতে যেতে পারতো।

    ভোটারদের কাছে নালিশ জানাতে পারতো। কিন্তু তা না করে বিদেশিদের কাছে নালিশ দিয়ে বিদেশে বিএনপি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্যের অপচেষ্টা করছে এবং এটা তারা বারবারই করছে। তারা বিদেশি রাষ্ট্রগুলোকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ করে দিতে চায়। এটি কখনো আমাদের দেশের জন্য সম্মানজনক নয়।

    তিনি এ ধরণের কর্মের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে আর ছোটো না কার জন্য বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানান।

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো সম্মিলিত বইমেলা আয়োজনের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে ড. হাছান বলেন, আগে বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্নভাবে বইমেলা হতো। এতে সাধারণ্যের মধ্যে আগ্রহ কম ছিল। গতবছর থেকে সবাইকে নিয়ে মেলা আয়োজনের কারণে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। এবারের মেলা গতবারের চেয়েও গুছানো বলে তিনি মন্তব্য করেন। একটি সময় এটি ঢাকার বইমেলার মতো অনেক বড় আঙ্গিকে আয়োজন হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।

    তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি চত্বরে চাদর বিছিয়ে বইমেলার যাত্রা শুরু হয়েছিল। এখন সেখানে ৮ লক্ষ বর্গফুট এলাকজুড়ে মেলা হচ্ছে।

    মন্ত্রী বলেন, চার/পাঁচ হাজার বছর আগেও মানুষ ও অন্য প্রাণীর মধ্যে তেমন পার্থক্য ছিল না। মানুষের সাথে প্রাণীর লড়াই হতো। অনেক প্রাণী আছে যারা মানুষের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। কিন্তু মানুষ তার বুদ্ধিমত্তা দিয়ে আস্তে আস্তে অন্যান্য প্রাণী থেকে বহুদূর এগিয়ে গেছে। মানুষ তার আবিষ্কার লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণে রাখে এবং এই সংরক্ষণের বড় মাধ্যম হচ্ছে বই। পরে আবার সেই ডকুমেন্টেড বিষয়গুলোকে চর্চার মাধ্যমে চরম উৎকর্ষ সাধন করেছে। এতেই প্রাণী থেকে মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। যেমন ১৫০ বছর আগে মানুষ গাড়ি বানিয়েছিল। পরে অনেক গবেষণার পর গাড়ি আজকের পর্যায়ে এসেছে। একইভাবে বিমান আবিষ্কারের পরও ক্রমাগত গবেষণার মধ্য দিয়ে বিমান বর্তমান অবস্থানে উঠে এসেছে।

    মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু এতে অনেকটা প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়ছে মানুষ। আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। এ আত্মকেন্দ্রিকতায় মানুষের স্বাভাবিক মূল্যবোধ লোপ পাচ্ছে। কিন্তু কোনোভাবেই মানুষের মানবিক মূল্যবোধকে নষ্ট হতে দেয়া যাবে না। এ মানবিক মূল্যবোধকে ধরে রাখা ও এর উৎকর্ষ সাধনের জন্য মানুষকে সৃজনশীল বই পড়তে হবে।

    ড. হাছান বলেন, আজকাল অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিচ্ছেন। কিন্তু যিনি এর প্রবক্তা সেই বিল গেটস ১৬ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে তাঁর কোনো সন্তানের হাতে স্মার্টফোন তুলে দেননি। আমরা স্মার্ট ফ্যামিলিগুলো বুঝতেও পারি না শিশুসন্তানের হাতে স্মার্টফোন তুলে দিয়ে আমরা তার কতো বড় ক্ষতি করছি। সে এ ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটে ঢুকে যা ইচ্ছে তা দেখতে পারছে।

    মন্ত্রী নিজের ছাত্রজীবনের কথা স্মরণ করে বলেন, আমার বাসা ছিল হেমসেন লেনে। সেখান থেকে কয়েক বন্ধু মিলে হেঁটে মুসলিম হাইস্কুলে যেতাম। আমাদের কিছু বন্ধু ছিল যারা হাঁটতে হাঁটতে বই পড়তো। আমাদের কাজ ছিল এ চলন্ত অবস্থায় বই পড়তে গিয়ে তারা যেন নালা-নর্দমায় পড়ে না যায় তা দেখা। আজকাল এরকম দৃশ্য দেখাই যায় না।

    তিনি বলেন, আমাদের ছোটোবেলায় দস্যু বনহুর মাসুদ রানার মতো কিছু আকর্ষক ধারাবাহিক বই ছিল। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে শিক্ষনীয় তেমন কিছু ছিল না। এসবের পাশাপাশি শিক্ষনীয় এবং নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন বহু বই ছিল। এসব বই পড়েই মানবিক মানুষ হওয়া যায়।

    তিনি ক্ষয়িষ্ণু মূল্যবোধ থেকে বের হয়ে মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে তুলতে শিশুদের বই পড়ার উৎসাহ সৃষ্টির জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, খেয়াল রাখতে হবে শিশুদের হাতে তুলে দেয়া এসব বই যেন মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন হয়।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হতে হবে অর্থনৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের উন্নত একটি রাষ্ট্র, যেটি দেখে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো আমাদের অনুকরণ করবে।

    মন্ত্রী আয়োজকদের পরামর্শ দিয়ে বলেন, সিটি কর্পোরেশনেরও অনেক স্কুল কলেজ আছে। এগুলোসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বইমেলায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা এবং বই পড়ার ক্ষেত্রে তাদের পুরস্কৃত করার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। এতে তারা বই পড়ায় উৎসাহী হয়ে উঠবে।

    সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামে এটি দ্বিতীয় সম্মিলিত মেলা। ভবিষ্যতে এ মেলাকে আরো বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের বই পড়তে উৎসাহী করে তুলতে মন্ত্রীর পরামর্শকে সাধুবাদ জানিয়ে এ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান।

    অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুদ্দোহা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউক ও মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম নিপু।

    এর আগে, জিমনাসিয়াম প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে ২০ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা ২০২০-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

  • সভা-সমাবেশ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না : তথ্যমন্ত্রী

    সভা-সমাবেশ করে খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সভা-সমাবেশ করে বগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে না, বরং বিএনপির এই দাবিতে সমাবেশ আইন-আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন।

    আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা আকরাম খাঁ মিলনায়তনে ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

    বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি’র শনিবারের সমাবেশ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির দায়ে আদালতের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে কেবল আদালতে জামিন বা খালাস পাওয়া ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির অন্য কোন পথ নেই।’

    মন্ত্রী এসময় পাকিস্তানের নওয়াজ শরিফ ও ভারতের জয়রাম জয়ললিতার বিচারের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, বিপুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও তাদের গ্রেফতার ও বিচার প্রক্রিয়ার আওতায় নেয়া হয়েছে। জয়ললিতার গ্রেফতার ও মৃত্যুর পর অনেক ভক্ত জীবন দিয়েছেন কিন্তু তার দল কখনো আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমাবেশ বা আন্দোলন করেনি।

    ‘বিএনপি’র মেশিন বেচার ইতিহাস রয়েছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তাদের আমলে আদমজী পাটকলসহ দেশের বিভিন্ন কলকারখানা বন্ধ করে সেখানকার মেশিনপত্র কেজি দরে বেচে দিয়েছিল বলেই তাদের নেতা খসরু সাহেব আজ নির্বাচনে হেরে ইভিএমগুলো কেজি দরে বেচার কথা বলার ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন।’

    সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা রাখার বিধানের বিরুদ্ধে বিএনপিনেতা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনাকে অযৌক্তিক বলে বর্ণনা করা ড. হাছান বলেন, ‘কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্বৃত্ত অর্থ বিভিন্ন তফসিলি ব্যাংকে রাখা হতো, যার হিসাব প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন প্রতিবেদনে সময়ে সময়ে অপ্রদর্শিত থাকায় তা অর্থনীতিতে যুক্তও হতো না।’

    ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ মেটানো ও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ রেখেই উদ্বৃত্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় খাতে জমা রাখা দেশের অর্থনীতির জন্য মঙ্গলের। এবিষয়টি না বুঝে বা বুঝেও মূর্খের মতো সমালোচনা করলে তারা নিজেরা লজ্জা না পেলেও আমরা লজ্জা পাই। এটি না করার অনুরোধ জানাবো।’

    সভার শুরুতে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ সমাগত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জন্ম না হলে ঘুমন্ত বাঙালি জাগ্রত হতো না, বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু দেশ স্বাধীনই করেননি, দেশের ভেতরে এক কোটি গৃহহারা ও ভারতে আশ্রিত প্রায় আরো এক কোটি মানুষকে পুণর্বাসিত করেছেন।পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে যাওয়া যাওয়া ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে দেশের অর্থনীতির ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছেন। আর তার মৃত্যুর পর দেশ যে দুর্নীতি-দুঃশাসনে পিছিয়ে পড়েছিল, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে দেশকে অদম্য গতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন। সমস্ত সূচকে আজ আমরা পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। গত ১১ বছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির গড় হার বিশ্বে সর্বোচ্চ।’

    ‘দেশের এই উন্নয়ন যারা সহ্য করতে পারেনা, শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে তারা যে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে, তা থেকে সমগ্র জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

    বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সারাহ বেগম কবরী’র সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিক কণ্ঠশিল্পী মো. রফিকুল আলম প্রমুখ।

  • বিএনপি’র আচরণ ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’র মতো : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি’র আচরণ ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’র মতো : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র আচরণ এখন ‘নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা’র মতো।

    তিনি বলেন, ‘বিএনপি সবসময় প্রযুক্তিকে ভয় পায়, আর যখনই নির্বাচনে হেরে যায় তখন তাদের আচরণ ‘নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা’র মতো। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে তাদের অভিযোগও সেরকম ।’

    হাছান মাহমুদ আজ দুপুরে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন।

    তথ্যমন্ত্রী বিএনপিকে এধরণের আজগুবি অভিযোগ উপস্থাপন না করে বাস্তবতাকে মেনে নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আপনাদের নেতাকর্মীরা কেন আপনাদের কাছ থেকে সরে গেছেন এবং তার কেন ভোটের দিন মাঠে ছিল না সেই বিশ্লেষণ করুন। তাহলে আপনাদের দল উপকৃত হবে।

    তিনি বলেন, ঢাকা সিটি নির্বাচনে শোচনীয় ভাবে পরাজিত হবার পর দেখলাম দুই মেয়র প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেখানে তারা কিছু আজগুবি অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন।

    তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা বলেছেন ইভিএম মেশিনে নাকি রাত পর্যন্ত ভোট দেওয়া হয়। ইভিএম মেশিনে যদি এমন সুযোগ থাকতো তাহলে ভোট গ্রহণের হার ২৫ শতাংশ থাকতো না, ৬০ শতাংশের উপরে যেত।

    ইভিএম মেশিন নিজেই সব দলের জন্য পোলিং এজেন্টের কাজ করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কারো যদি আঙ্গুলের ছাপ না মিলে তবে তার কোনভাবেই ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। এমনকি সিইসিকেও তা না মেলায় ভোট দিতে বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে।’

    আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দ্বিগুণ ভোট পেয়ে যখন জয়ী হয়েছে তখনতো বিএনপিকে নানা ধরণের অভিযোগ উপস্থাপন করতে হবে। সেটাই তারা করছে বলেন তিনি।

    ঢাকা দক্ষিণের চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করতে চারটা পর্যন্ত সময় কেন লাগলো বিএনপির এমন অভিযোগের ব্যাপারে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা তো বিএনপির মতো গোঁজামিল দিয়ে নির্বাচন শেষ হবার দু’ঘন্টার মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করিনি।

    সঠিক ফলাফল ঘোষণার জন্যেই নির্বাচন কমিশন সময় নিয়েছে। বিএনপির এসব অভিযোগ জনগণের কাছে নিজেদের হাস্যস্পদ করেছে।

    দেশের ইতিহাসে ঢাকা দুই সিটির নির্বাচন অন্যতম একটি ভালো নির্বাচন হয়েছে।

    বিএনপি সবসময় প্রযুক্তিকে ভয় পায় জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যখন প্রথম টেলিভিশন আসে তখন অনেকে বলেছে টেলিভিশন দেখলে ঈমান চলে যাবে। আবার যখন দেশে প্রথম মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু হয় তখনও গ্রামে গঞ্জে অনেকে প্রচারণা করেছে এটি ব্যবহার করা যাবে না। এখন কিন্তু পবিত্র হজ্বের অনুষ্ঠান এবং বিশ্ব ইজতেমার মোনাজাতও টেলিভিশনে লাইভ দেখানো হয়। বিএনপির অবস্থাও হয়েছে সেরকম।

    ইভিএম মেশিনেও ভোট দেয়া যাবে না বলে বিএনপি প্রচারণা চালাচ্ছে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তখন বাংলাদেশে বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ দেয়ার জন্য প্রস্তাব করা হলে তখন তিনি বলেছিলেন এই সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে বাংলাদেশ যুক্ত হলে দেশের সব গোপন তথ্য চলে যাবে। আর সেই সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে আমরা পরে সংযুক্ত হয়েছি রাষ্ট্রীয় কোষাগারের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি প্রথম থেকে বলে আসছে ঢাকা সিটির নির্বাচন হচ্ছে তাদের আন্দোলনের অংশ। তাদের আন্দোলন সম্পর্কে মানুষ জানে। ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন বানচাল করার জন্য পাঁচ’শ ভোট কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল।

    ভোটার ও নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসারসহ অনেককে হত্যা করেছে। সুতরাং, তারা যখন ঘোষণা দেয় এই নির্বাচন আন্দোলনের অংশ তখন মানুষ সেই হাঙ্গামার আশঙ্কা করে। সেই কারণেই অনেকে ভোট কেন্দ্রে যায়নি। এছাড়াও, বিএনপি প্রথম থেকে ইভিএমের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা না চালালে এই উপস্থিতি আরো ৮ থেকে ১০ শতাংশ বেশি হতো বলে জানান তিনি।

    তিনি বলেন, ঢাকা দুই সিটির নির্বাচনে কোন কেন্দ্র দখল, বড় কোন হাঙ্গামা হয়নি, সিল মারার কোন ঘটনা ঘটেনি। অতীতে দেখেছি আমাদের দেশে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে অনেক হাঙ্গামা, কেন্দ্র দখল ও মানুষ মারা যায়। ঢাকা সিটি করপোরেশনে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের ফলে এধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি।

    শুধুমাত্র দেশের বিচারে নয় উপমহাদেশীয় মানদন্ডেও ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল অত্যন্ত ভালো একটি নির্বাচন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে যে সরকার সেটা আওয়ামী লীগের সরকার, সরকারের আওয়ামী লীগ নয়। আমাদের মূল ঠিকানা দল। আমরা যারা নির্বাচিত এমপি, মন্ত্রী থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবার মূল ঠিকানা হচ্ছে দল। সুতরাং দায়িত্ব পালন করার সময় দলকে গুরুত্ব দিতে হবে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ৭৫-এর পরে আমরা অনেক বছর ক্ষমতায় ছিলাম না। বুকে পাথর বেঁধে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দল কিন্তু অনেক শক্তিশালী ছিল। দলের শক্তি বর্তমানের চেয়ে আমরা যখন

  • সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই বিএনপির প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছে:তথ্যমন্ত্রী

    সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই বিএনপির প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছে:তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে পরাজিত করার মতো কোনো রাজনৈতিক শক্তি দেশে নেই।

    তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই বিএনপির প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন।

    আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংগঠনটির রংপুর বিভাগীয় সম্মেলনে এসব তিনি কথা বলেন।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের যে সাংগঠনিক শক্তি সেটি আমরা ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেখাতে সক্ষম হয়েছি। আপনারা দেখেছেন ঢাকা সিটি নির্বাচনে আমাদের সংগঠন ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার কারণে বিপুল ভোট পেয়ে আমাদের মেয়র প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সাংগঠনিক শক্তির পাশাপাশি শেখ হাসিনার রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার অনন্য দক্ষতার কারণেই আমরা পরপর তিনবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। জনগণের সমর্থন ছাড়া আমরা একদিনও রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে চাই না। জনগণ সমর্থন দিলে অবশ্যই আমরা আবারও রাষ্ট্রক্ষমতায় আসব। নেতাকর্মীরা বিনয়ী হলে জনগণ অব্যাহতভাবে আমাদের ভোট দিয়ে রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব দেবে।’

    এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর প্রমুখ।

  • ফটিকছড়িতে সংবর্ধিত তথ্যমন্ত্রী

    ফটিকছড়িতে সংবর্ধিত তথ্যমন্ত্রী

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ এম.পি ফটিকছড়ির সুন্দপুর ইউনিয়নের আজিমপুর গ্রামে শ্বশুড়বাড়ীতে সংবর্ধিত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারী) বিকালে তাঁর শ্বশুড়বাড়ীর বিদ্যাপীঠ আজিমপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁকে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি শ্বশুড়বাড়ীর আজিমপুর গ্রামের মাস্টার বাড়ীতে স্বস্ত্রীক মধ্যাহ্নভোঁজ করেন। এরপর বিকাল ৪ টায় বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

    অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মরণিকা ‘স্বপ্ন ছোঁয়ার’ মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিবৃন্দ। এরপর প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি জয়নাল আবেদীন কাঞ্চনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ আলোচক ছিলেন নারী সাংসদ খাদিজাতুল আনোয়ার সনি (এমপি)। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এইচএম আবু তৈয়ব, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেবুন নাহার মুক্তা, ভাইস চেয়ারম্যান ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সায়েদুল আরেফিন, ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. ইসমাইল হোসেন, তথ্যমন্ত্রীর সহধর্মিনী জুরাইন ফাতেমা, সুন্দরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী, খিরাম ইউ.পি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনসহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

    অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফটিকছড়ি আমার শ্বশুড়বাড়ী। এখানে আমার অনেক কিছু দেওয়ার আছে। ফটিকছড়ির উন্নয়ন করা আমার দায়িত্ব। আমি ভবিষ্যতে ফটিকছড়ির সামগ্রীক উন্নয়নে ভূমিকা রাখব।

  • বিএনপি সিটি নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি সিটি নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার অপচেষ্টায় লিপ্ত : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়াামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ঢাকার দুই সিটির নির্বাচনের পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য একের পর এক ষড়যন্ত্র ও অরাজকতা সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

    তিনি বলেন,“ অপরাজনীতির সাথে বিএনপি জড়িত। তারা অতীতের মতো নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জ্বালাও পোড়াও ও সংঘেের্ষর রাজনীতি সৃষ্টি করার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে।”

    হাছান মাহমুদ আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে চলচ্চিত্র তারকা -পরিচালক -প্রযোজক- কলাকুশলীদের আনন্দ র‌্যালীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে আশা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নির্বাচনসহ দেশের কোন নির্বাচনই সরকারের অধীনে হয় না । নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সরকার নির্বাচন কমিশনকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে থাকে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আমাদের উদ্দেশ্য ২০৪১ সাল নাগাদ রাষ্ট্রকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা।

    একইসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য একটি উন্নত জাতি গঠন করা। শুধু উন্নত রাষ্ট্র গঠন করলে হবে না, উল্লেখ করে তিনি বলেন,“আমরা উন্নত রাষ্ট্র গঠন করার পাশাপাশি একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। আমরা অন্যদের অনুকরণে উন্নত রাষ্ট্র হতে চাই না।”

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে জাপান ও মালয়েশিয়ার মতো একটি উন্নত রাষ্ট্র রূপান্তরিত করতে চেয়েছিলেন। আমরা তার দেখানো পথেই হাঁটছি। আশা করছি ২০৪০ সালের আগেই বাংলাদেশকে আমরা পৃথিবীর মধ্যে এগিয়ে নিতে পারবো।

    বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশের চলচিচত্র জগতের যাত্রা শুরু হয়েছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চলচিচত্র উন্নয়ন কর্পোরশনের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের লক্ষে ৩২৭ কোটি টাকা বরাদ্ব করা হয়েছে। এছাড়া মুজিববর্ষ পালনের লক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে।

    রাজধানীর তেঁজগাওস্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রাঙ্গণে চলচ্চিত্র লীগের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালী বের করা হয়। তথ্যমন্ত্রী ও আওয়াামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ র‌্যালীতে নেতৃত্ব দেন।

    এসময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুসফিকুর রহমান গুলজার, সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম খোকন, চলচ্চিত্র লীগের সভাপতি এস, এ খালেক, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম কিরন, অভিনেতা মো. আলমগীর ও অভিনেত্রী মৌসুমি উপস্থিত ছিলেন।