Tag: তথ্যমন্ত্রী

  • ‘কেউ নির্বাচন করতে না চাইলে তাকে নিয়ে আসা সরকারের দায়িত্ব না’

    ‘কেউ নির্বাচন করতে না চাইলে তাকে নিয়ে আসা সরকারের দায়িত্ব না’

    কেউ নির্বাচন করতে না চাইলে তাকে নিয়ে আসা সরকারের দায়িত্ব না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    সোমবার (২০ নভেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়াদি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানানো হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসুক, সেটা আমরা চাই। একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় থাকা। নির্বাচন বর্জন যে কেউ করতে পারে, প্রতিহত করার এখতিয়ার কারও নেই।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তবে আমরা সবাইকে নিয়েই নির্বাচন করতে চাই। কেউ নির্বাচন করতে না চাইলে তাকে নিয়ে আসা সরকারের দায়িত্ব না।

    মন্ত্রী বলেন, গত ৪৮ ঘণ্টায় ১৮ যানবাহনে আগুন দিয়েছে বিএনপি। অবরোধ-হরতাল কেউ মানছেন না, জনগণ এমনকি বিএনপি সমর্থকদেরও কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অবরোধ হরতালের নামে বিএনপি মূলত গাড়িঘোড়া পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

    তিনি বলেন, একটি স্কুলে আগুন দেওয়া হয়েছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি না, এগুলো জঘন্য সন্ত্রাসী দেশবিরোধী অপতৎপরতা। এরা দেশ ও সমাজের শত্রুতে রূপান্তর হয়েছে। এরইমধ্যে যাদের ধরা হয়েছে, তারা বলেছে গাড়িতে আগুন দিলে দলের মধ্যে পদোন্নতি হয়। আগুন দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে পাঠানো হয়। যোগাযোগ থাকলে তা লন্ডনেও পাঠানো হয়।

    যে দলে গাড়িঘোড়ায় আগুন দিলে, মানুষ পুড়িয়ে মারলে পদোন্নতি হয়, যে দলের নেতারা গাড়িঘোড়া পোড়ানোর কর্মসূচি ঘোষণা করেন, তারা সবাই দুষ্কৃতিকারী। আমরা এই আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর, বলেন তিনি।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এ দেশে ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনের পরে যদি আমরা সরকার গঠন করতে পারি, আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করা হবে। এটিই হবে আমাদের প্রধান কাজ। নির্বাচনের আগেও তাদের নির্মূল করাই আমাদের প্রধান কাজ। কারণ তারা দেশ-জাতি ও সমাজের শত্রুতে পরিণত হয়েছে। নেতারাও সবাই দুষ্কৃতিকারীদের রূপান্তরিত হয়েছে।

    টেকনোক্র্যাটমন্ত্রীরা পদত্যাগ করেছেন। এরকম টেকনোক্র্যাটের বাইরে কোনো মন্ত্রীর পদত্যাগের সম্ভাবনা আছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, যেহেতু তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, গতবারও যারা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী ছিলেন, তারা পদত্যাগ করেছিলেন, এবারও যারা টেকনোক্র্যাটমন্ত্রী তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আর বাকি যারা সরকারের সংসদ সদস্য, তাদের মন্ত্রী হিসেবে থাকতে কোনো বাধা নেই।

  • বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি-জামায়াত দেশে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে। তারা এখন পাকিস্তানের চেয়েও খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে দগ্ধদের দেখতে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

    তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশে যে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে সেটা ১৯৭১ সালের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। কেন তারা সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করবে? বিএনপি-জামায়াতের কাছে আমার প্রশ্ন— সাধারণ মানুষের কি অপরাধ? তাদের কেন পুড়িয়ে হত্যা করছে? তাদের এই অপরাধের কোনো উত্তর তাদের কাছে নেই।

    তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের কারণে কীভাবে অসহায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো বার্ন ইউনিটে কাতরাচ্ছে। ঠিক একই কায়দায় তারা ২০১৩-১৪-১৫ সালে যেভাবে মানুষের উপর আক্রমণ করেছিল, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছিল, ঠিক একই কায়দায় তারা মানুষ ও যানবাহনের উপরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করছে। তারা যে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছে, তাদের জন্য নির্মমতা নিষ্ঠুরতা ও হিংস্রতা এই শব্দগুলো বাংলা ভাষায় যথেষ্ট নয়। কীভাবে অসহায় মানুষদের পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখানে দগ্ধ যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে গাড়িচালক, হেলপার, রিকশাচালক ও কর্মজীবী মানুষ রয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে যারা চিকিৎসাধীন আছেন তারা কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা তাদের খোঁজখবর নিতে এসেছি। এখানে যারা অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়ে দগ্ধ হয়েছেন, তাদের সমস্ত চিকিৎসার ব্যয় সরকার বহন করবে এবং তাদের আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করা হবে।

  • এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

    এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য: বিএনপিকে তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যতদিন চোরাগোপ্তা হামলা চলবে, ততদিন গ্রেফতার অভিযান চলবে। ২৮ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কীভাবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়েছিল, হাসপাতালে হামলা করা হয়েছিল, অ্যাম্বুলেন্সসহ গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। একজন পুলিশকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য। পাকিস্তানের বাহিনী মানুষকে হত্যা করেছে, কিন্তু জীবন্ত পুড়িয়ে মারেনি।

    সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি অবরোধের প্রতিবাদে আয়োজিত সর্তক অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা বলেন তিনি।

    হাছান মাহমুদ বলেন, কেউ মুরুব্বিয়ানা করবেন না। মানবাধিকারের কথা বলে যারা ধোয়া তোলেন— আমাদের দেশে মানবাধিকার সংগঠন, বুদ্ধিজীবী, যারা মাঝেমধ্যে বিবৃতি দেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের জন্য বিবৃতি দিয়েছেন। তারা কেন আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিচ্ছেন না? পুলিশ হত্যার ঘটনায় কেন বিবৃতি দিচ্ছেন না? আমাদের নারী কর্মীদের হেনস্তা করা হলো সেটা বিরুদ্ধে কেন বিবৃতি দিচ্ছেন না? প্রধান বিচারপতি বাড়িতে হামলা, হাসপাতালে হামলা, এটা নিয়ে কেন বিবৃতি দিলেন না?

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি, কীভাবে ২৮ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়েছিল, হাসপাতালে হামলা করা হয়েছিল, অ্যাম্বুলেন্সসহ কীভাবে গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। সাপকে যেভাবে পিটিয়ে মারে তার চেয়ে জঘন্য কায়দা একজন পুলিশকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে মাটিতে ফেলে পেটানো হয়েছে, এটি কোনো সভ্যতা হতে পারে না। এটি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড হতে পারে না। সেদিন ৩২ জন সাংবাদিককে আহত করা হয়েছিল। আমাদের দলীয় নারী কর্মীদের কাপড় ধরে টানাটানি করেছিল। এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য। পাকিস্তানের বাহিনী মানুষকে হত্যা করেছে, কিন্তু জীবন্ত পুড়িয়ে মারেনি। কিন্তু এরা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, রুহুল কবির রিজভী সাহেব গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন। যেভাবে আল-কায়েদার প্রধান গোপনে থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করতেন, এখন রিজভী সাহেবও ঠিক আল কায়দার মতো কর্মসূচি ঘোষণা করেন। অবরোধের নামে গাড়ি পোড়াতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ। এ হচ্ছে তাদের কর্মসূচি। অনেকে প্রশ্ন রেখেছেন, রিজভী সাহেব গোপন আস্তানা থেকে কর্মসূচি দিচ্ছেন এবং গাড়ি পোড়ানো হচ্ছে তারপরও কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না? এ পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ দেশে মানুষের মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীল পরিবেশ রাখার জন্য শান্তিপূর্ণ অবস্থা নিয়েছি। সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন দাবি উঠেছে প্রত্যেকটি সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। যতদিন এ চোরাগোপ্তা হামলা চলবে যতদিন, ততদিন গ্রেফতার অভিযান চলবে। ২৮ তারিখ কিছু করতে না পেরে এখন পোশাক খাতে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের সরকার পোশাকশ্রমিকদের ৫৬ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার টাকা করেছে, প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে। এক লাফে ৫৬ শতাংশ বৃদ্ধি।

    কোনো কোনো সংগঠন দাবি দিয়েছে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। আরে বেটা, বিসিএস পাস করে যখন জয়েন করে তখন বেতন পায় ২২ হাজার টাকা। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর এতগুলো পরীক্ষা দিয়ে যখন চাকরি শুরু করে বেতন শুরু হয় ২২ হাজার টাকায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে পাস করে ব্যাংকে চাকরি শুরু হয় ২০ হাজার টাকা করে। আগে ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে হবে। শ্রমিক সংগঠনকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা কেউ শ্রমিক না।

    এসময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সহ-সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, মো. মিরাজ হোসেন, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জগলুল কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • বিএনপি দেশে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি দেশে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির উদ্দেশ্য স্পষ্ট৷ তারা দেশের গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়৷ দেশে একটি বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    তিনি বলেন, এই স্বপ্ন দেখতে দেখতে পনেরো বছর কেটেছে; আগামীতে কত বছর কাটবে, জানি না৷

    রোববার (১২ নভেম্বর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া যে কোনো রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে৷ কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার এখতিয়ার কারো নেই৷ নির্বাচন প্রতিহত করার কথা বলা মানেই দেশবিরোধী কথা বলা৷ যারা দেশবিরোধী-গণতন্ত্রবিরোধী বক্তব্য দেবে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে৷ সরকার, জনগণ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রের যাত্রাকে অব্যাহত রাখা৷

    আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক৷ বিএনপি যে বলে, তাদের এতো জনপ্রিয়তা সেটি তারা যাচাই করুক৷ কিন্তু তারা তো ২০ মিনিটেই ময়দান ছেড়ে চলে গেছে৷ তারা কতটুকু মাঠে নামে আমরা একটু দেখি৷ তাদের এত জাঁদরেল নেতা আছে যারা আওয়াজ শুনেই মঞ্চ ছেড়ে চলে গেছে! কোনো গুলি হয় নাই, কোনো টিয়ার গ্যাসও ছোড়া হয়নি৷ তারা নির্বাচনে আসুক৷ এসে দেখুক তাদের কতটুকু জনপ্রিয়তা৷ কর্মীরা কতটুকু নামে৷ এই নেতাদের ওপর কতটুকু আস্থা রাখে। আমরা চাই তাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে৷

    তিনি বলেন, নির্বাচনের অপেক্ষা তো আমরা করতে পারি না৷ নির্বাচনের আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন৷ সেখানে একটা শিডিউল থাকবে৷ সেই শিডিউল অনুযায়ী নির্বাচন হবে৷ সেই শিডিউলে তারা নির্বাচনে এলে তাদের নিয়ে নির্বাচন হবে৷ আমরা চাই তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক৷ যদি না আসে তাহলে দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে৷ কোনো একটি দল না এলেও আরও অনেক দল তো থাকবে৷ দেশের জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে৷ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে৷

    তিনি আরও বলেন, তারা তো সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আসেনি৷ সে নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল৷ সে নির্বাচনগুলো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছিল।

  • আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: তথ্যমন্ত্রী

    আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলুন: তথ্যমন্ত্রী

    আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    গণপ্রকৌশল দিবস ২০২৩ ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার সমস্ত আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। যারা আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে, এরা দুষ্কৃতিকারী আর আগুন সন্ত্রাসের যারা নির্দেশদাতা-হুকুমদাতা-অর্থদাতা—এরাও অপরাধী। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি; ইন্টারনেটের মাধ্যমে উঁকি দিয়ে দিয়ে গাড়ি-ঘোড়া জ্বালানোর নির্দেশ দেয়! সুতরাং এরাও অপরাধী।

    ‘শেষ পর্যন্ত সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। সাধারণ মানুষের গাড়ি-ঘোড়া পোড়াবে, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারবে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা পরিচালনা করবে, পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়াবে, হাসপাতালে হামলা চালাবে; তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না,’ বলেন তিনি।

    প্রকৌশলীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কেবল ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমি আপনাদেরও অনুরোধ জানাবো, আপনাদের এই আঙ্গিনায় (আইডিইবি) হামলা চালিয়েছে, দুটি পোড়া গাড়ি এখনো আছে সেখানে। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায়-দেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। এরা আজকে জাতির শত্রুতে পরিণত হয়েছে।’

    তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যেমন পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়া হয়েছিল; পাকিস্তানি বাহিনীও মানুষকে জীবন্ত পোড়ায় নাই, তারা হত্যা করেছে। এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং এদের বিরুদ্ধেও পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার তাদেরকেই গ্রেপ্তার করছে, যারা এই আগুন সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত। হুকুমদাতা-অর্থদাতা, নির্দেশদাতা-আয়োজনকারী। সুতরাং এ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।

    ‘যারা বিবৃতি দেন, সরকারকে সংযমী হওয়ার পরামর্শ দেন; পুলিশকে পিটিয়ে মারল, হাসপাতালে হামলা হলো, শতাধিক পুলিশ, ২৫ জনের বেশি আনসার আহত হলো—আমি সেদিন হাসপাতালে গিয়েছিলাম। ঢাকা মেডিকেল এবং পুলিশ হাসপাতাল, দুই হাসপাতালে সেদিনই ১০০ এর বেশি পুলিশ ছিল। ৩২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, এর পরে কি সরকার আঙ্গুল চুষবে নাকি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে? সুতরাং সেই কারণে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি,’ যোগ করেন তথ্যমন্ত্রী।

    আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমরা ফয়সালা করব মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সাড়ে ১৭ কোটি মানুষের দেশ। পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ ৭২-৭৩ সালের বাংলাদেশ নয়। বাংলাদেশ এখন ২০২৩ সালের বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। আমাদের বন্ধুরা পরামর্শ দিতে পারেন কিন্তু এমন পরামর্শ দেবেন না যেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হতে পারে।’

     

  • বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে তারেক রহমানই যথেষ্ট: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে তারেক রহমানই যথেষ্ট: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করতে তারেক রহমানই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সোমবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

    মন্ত্রী বলেন, আমরা কাউকে নিশ্চিহ্ন করতে চাচ্ছি না। যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। যেসব নেতাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাদের আগুন সন্ত্রাসের হুকুমদাতা, হোতা ও অর্থদাতা হিসেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। ওয়ার্ড পর্যায়ে টেলিফোন করে বিএনপি নেতারা, বিশেষ করে তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন (তারেক রহমান) বলছেন আগুন সন্ত্রাস চালাতে। এগুলোর তথ্যপ্রমাণ আমাদের আছে।

    ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের টাকা দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা চালানো হচ্ছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, এটি কোনো রাজনীতি নয়, কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। যারা এ কাজ করছেন, এর সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, তাদের বিরুদ্ধে কেবল সরকার নয়, জনগণও ব্যবস্থা নেবে।

    বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করলে তাতে কোনো বাধা কিংবা আপত্তি নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা এতদিন সবকিছু করেছেন। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে ও পুলিশ হত্যা করেছে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমাদের কয়েক লাখ নেতাকর্মী দেড় কিলোমিটার দূরে ছিলেন। একজনও তাদের সমাবেশের দিকে যাননি।

    বিএনপি নিশ্চিহ্ন হওয়ার জন্য আর কাউকে লাগবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে মুসলিম লীগের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারেক রহমানই যথেষ্ট।

    মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান বলেন, বিশ্বজুড়ে উত্তাপের তাণ্ডবের মধ্যে এবারের জলবায়ু সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এজন্য এ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।

    এতে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।

  • বিএনপির সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মসূচির তফাত নেই : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মসূচির তফাত নেই : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি তালেবানি কায়দায় কর্মসূচি ঘোষণা করা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দু’দিন বিরতি দিয়ে বিএনপি ও তাদের জোটের দলগুলো অবরোধ ডেকেছে। আগে কর্মসূচি ঘোষণা দিতে সংবাদ সম্মেলন করা হতো। এখন দেখতে পাচ্ছি, বিএনপির কর্মসূচির ঘোষণার সঙ্গে নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মসূচির ঘোষণার কোনো তফাৎ নেই।

    বিভিন্ন দেশে যেসব নিষিদ্ধ সংগঠন থাকে, তারা যে রকম কর্মসূচি ঘোষণা করে, সেই আদলে অর্থাৎ তালেবানি কায়দায় কর্মসূচি ঘোষণা করা শুরু করেছে বিএনপি।

    রবিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে তালেবান যখন ক্ষমতায় ছিল না, তখন তারা যেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করতো কিংবা ইসলামিক স্টেট যেভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করে, ঠিক একই কায়দায় অনলাইনে তারা এখন কর্মসূচি ঘোষণা শুরু করেছে। তাদের কর্মসূচি বলতে কার্যত অবরোধের নামে মানুষের ওপর হামলা, অগ্নিসংযোগ করা।

    আমরা বহুবছর বিরোধী দলে ছিলাম, কলেজে ছাত্রলীগের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি, ১৬ বছর বয়স থেকে। আমরা পিকেটিং করতাম, রাস্তায় বড়োজোর রিকশার পাম্প ছেড়ে দিতাম, মানুষকে বোঝাতাম, মিছিল করতাম এর বেশি কিছু না। তাও পুলিশের লাঠিপেটা খেতাম।

    অবরোধের নামে মানুষের সম্পদে হামলা চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারেন, কিন্তু বিএনপি সেটা করছে না।

    ইসরায়েলি বাহিনীর হাত থেকে যেমন হাসপাতাল, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স রেহাই পাচ্ছে না, বিএনপির হাত থেকে কোনো কিছুই রেহাই পাচ্ছে না। শিক্ষার্থী বহনকারী বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। যেমন ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় করছে। গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্মমতা নিয়ে বিএনপি-জামায়াত একটি কথাও বলেনি। সারা দুনিয়াতে প্রতিবাদ হচ্ছে, হাজার হাজার মানুষের প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে।

    লন্ডনে লাখো মানুষের সমাবেশ হচ্ছে। ইউরোপীয় দেশগুলোতে সরকারের নির্দেশ অমান্য করে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে সমাবেশ হচ্ছে। অর্থাৎ বর্বরতার বিপক্ষে সমাবেশ হচ্ছে।

    তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত একটি শব্দও বলেনি। কারণ ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে তারা মানুষের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বিএনপি এখন চূড়ান্ত সন্ত্রাসী দলে রূপান্তরিত হয়েছে। তারা রাজনৈতিক দল নয়। আমরা এই সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে আইনে আওতায় আনতে বদ্ধপরিকর। তারা ভেবেছে, একের পর এক অবরোধ ডেকে দেশকে অস্থিতিশীল করবে। তারা দেখতে পাবে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে, জনগণই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, সরকারের কিছু করতে হবে না। আমরা জনগণের সঙ্গে থাকবো।

    দেশে-বিদেশে বসে গুজব রটানোকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, তারা নানা ধরনের গুজবও রটাচ্ছে। যারা গুজব রটাচ্ছে, তাদেরও শনাক্ত করার কাজ চলছে। কেউ কেউ ভেবেছে, বিদেশে বসে গুজব রটিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে, যেখান থেকে বসে গুজব রটানো হচ্ছে, আমরা সেই দেশে বসে সেখানকার আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    বিদেশ থেকে যারা গুজব রটাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কীভাবে ব্যবস্থা নেবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে বাংলাদেশি কমিউনিটি আছে। এর আগেও বাংলাদেশি অভিবাসীরা গুজব রটনাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছে। তাদের অনেককে আইনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া জোরদার করা হবে। পাশাপাশি আমাদের মিশনও সেখানকার সরকারকে বিষয়টি অবহিত করবে।

  • আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে যারা গর্তে ঢুকেছে, তাদের বের করে এনে শায়েস্তা করা হবে : তথ্যমন্ত্রী

    আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে যারা গর্তে ঢুকেছে, তাদের বের করে এনে শায়েস্তা করা হবে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে, পুলিশ হত্যা করেছে, ইসরাঈলি বাহিনীর অনুকরণে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমাদের মা-বোনদের কাপড় ধরে টানাটানি করেছে, আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে এখন যারা গর্তে ঢুকেছে, তাদের গর্ত থেকে বের করে এনে শায়েস্তা করা হবে।

    তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিল ২৮ তারিখ ফাইনাল খেলা হবে, কিন্তু তারা খেলার আগেই মাঠ ছেড়ে চলে গেছে। পুলিশ একটা গুলিও ছোড়ে নাই, পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজেই মির্জা ফখরুল সাহেবসহ সবাই মঞ্চ ছেড়ে চলে গেল, আর নেতাকর্মীরাও পেছনে পেছনে চলে গেল। অর্থাৎ খেলা শুরু হওয়ার আগেই মাঠ ছেড়ে চলে গেল বিএনপি।

    শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে এই স্মরণ সভার আয়োজন করে। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রয়াত আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র সুযোগ্য সন্তান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদিকা ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির-জামাত জোট নেতারা এখন জনশত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে, তারা গাড়িতে আগুন দেয়, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে। ডাকাত ডাকাতি করে, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে না। চোর চুরি করে, সে মানুষের বাড়িতে আগুন দেয় না। এরা মানুষের সহায় সম্পত্তিতে আগুন দিচ্ছে। এরা জঘন্য ডাকাত এবং জঘন্য সন্ত্রাসীর চেয়েও এরা বেশি জঘন্য। এরা জনগণের শত্রু। গাড়িচালক ভাইদের অনুরোধ জানাবো, গাড়িতে আত্মরক্ষার্থে প্রয়োজনে লাঠি ও লোহার রড রাখবেন। কোন দুষ্কৃতিকারী আক্রমণ করলে সেই দুষ্কৃতিকারীকে শায়েস্তা করবেন। আক্রান্ত হলে আক্রমণকারীকে প্রতিহত করতে আইনেও বাধা নেই। এই দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

    তিনি বলেন, বিএনপি ভেবেছিল কেউ কোলে করে শিশুদের মত ফিডার খাওয়াতে খাওয়াতে ক্ষমতার দোলনায় বসিয়ে দিবে। সাউন্ড গ্রেনেডের আওয়াজে যারা পালিয়ে যায় তাদের সাথে কেউ থাকে না। সুতরাং তারা কাউকে পাবে না।
    আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা স্থিতি নিশ্চিত করা সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব । সেজন্য জনগণের পাশে থাকতে হবে। পাড়া-মহল্লায় দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বাসে আগুন দিতে যদি কেউ উদ্যত হয়, তাদেরকে ধরে উপযুক্ত শিক্ষা দিতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।

    তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত এই গণশত্রু ও দুষ্কৃতিকারীরা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালাবে। বিএনপি-জামাত এখন রাজনৈতিক দল নয়, এরা রাজনৈতিক কর্মীও নয়, তারা জনশত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে। সেই কারণে তারা নির্বাচনকে ভণ্ডুল করতে চায়। আমরা চাই, তারা এই পথ পরিহার করে নির্বাচনে এসে তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। কিন্তু তারা জনগণকে ভয় পায়, তাই ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালের মত জনগণের ওপর এখন পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ শুরু করেছে, মসজিদেও আগুন দিয়েছে। প্রধান বিচারপতির বাড়ি ও বিচারপতিদের কমপ্লেক্সে হামলা চালিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি কখনো হয়নি। স্বাধীনতার পূর্বকালে স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রামকালেও বিচারপতির বাড়িতে কখনো হামলা হয়নি, কিন্তু তারা এই কাজটি করেছে। সুতরাং এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

    প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু সমস্ত রক্ত চক্ষুর মধ্যেও কখনো ক্ষমতার সাথে আপোষ করেন নাই উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, তাঁর জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। রাজনীতি হচ্ছে একটি ব্রত, রাজনীতি ক্ষমতায় যাওয়া, বিত্ত বৈভব ও খ্যাতি অর্জনের সোপান হওয়া উচিত নয়। যে আদর্শ বিশ্বাস করে সেই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতিবিদকে সাহসী হতে হয়। যে রাজনীতিবিদ সাহসী নয়, সে আপোষ করে। সেই রাজনীতিবিদ আপস করে হয়তো অনেক পদবি পায়, কিন্তু পরবর্তীতে ইতিহাসের পাতা থেকে হারিয়ে যায় এবং আপোষকামী হিসেবে সে চিহ্নিত হয়ে থাকে। এরকম বহু রাজনীতিবিদ আমাদের দেশে ছিলেন, এখনো আছে।

    তিনি বলেন, আমি আখতারুজ্জামান বাবু ভাইকে কাছ থেকে দেখেছি, কেউ তার কাছে গেছে কাউকে না বলতে শুনিনি। তিনি একাধারে রাজনীতিবিদ ছিলেন, সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী ছিলেন এবং একজন বড় দানশীল ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ’৭৫ এর পরে যদি আক্তারুজ্জামান বাবু ভাই মন্ত্রী হতে চাইতেন জিয়াউর রহমানের সময় মন্ত্রী হতে পারতেন। জিয়াউর রহমানের বিদায়ের পর এরশাদ যখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় তখনো মন্ত্রী হবার জন্য তাকে কয়েক দফা প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। আক্তারুজ্জামান বাবু ভাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে বেঈমানি করেন নাই। তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন, কারাগারে গেছেন, ঝুঁকি নিয়ে দলের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রয়াত আক্তারুজ্জমান চৌধুরী বাবুর সন্তান ভুমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, তিনি একজন আদর্শবান রাজনীতিবিদ ছিলেন, কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। তাঁহার কর্মগুণে মরেও আমাদের মাঝে অমর হয়ে আছেন। তার জীবনের প্রতিটি কর্ম আজও চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে আমার সুযোগ হয়েছে সারা বাংলাদেশ ভ্রমণ করার। যেখানেই গিয়েছি, আমার বাবার কথা বললেই মানুষের একটা আলাদা সম্মান আমি দেখেছি। আমি মনেকরি আমার এবং আমার পরিবারের সবচে বড় পাওনা।

    অন্যান্যের মধ্যে সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহারুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

  • মানুষ ও গাড়ি যারা পোড়ায় রাঙ্গুনিয়ার বুকে তাদের জায়গা হবে না : তথ্যমন্ত্রী

    মানুষ ও গাড়ি যারা পোড়ায় রাঙ্গুনিয়ার বুকে তাদের জায়গা হবে না : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ” বিএনপি-জামায়াত গাড়ি পুড়ায়, মানুষ পুড়ায়। তারা ১৩, ১৪ এবং ১৫ সালে যা করেছে, এখন তা আবার নতুন করে শুরু করেছে। আজ একটা বাস পুড়ানোর সময় ভেতরে থাকা বাসের হেল্পারকেও পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এসব করে তারা আবার দেশ চালাতে চাই। এভাবে যারা মানুষ ও গাড়ি পোড়ায় রাঙ্গুনিয়ার বুকে তাদের জায়গা হবে না। রাঙ্গুনিয়ায় তারা যদি নামার চেষ্টা করে, তাহলে আমাদের দল তাদের শায়েস্তা করবে।”

    রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে রাঙ্গুনিয়া ক্লাব মাঠে উপকারভোগী সমাবেশ ও উন্নয়ন জনসভায় ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এই হুশিয়ারি দেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “যেভাবে তারা পুলিশের সাথে সংঘর্ষ করেছে, মানুষের গাড়ি পুড়িয়েছে, তা সবাই দেখেছে। একজন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে, তার আট বছরের শিশুকন্যার বিলাপ কান্না যারা দেখেছেন, তারা চোখের পানি ধরে রাখতে পারবে না। মানুষের গাড়ি কি দোষ করেছে, একটা গাড়ি পুড়ে দেওয়া মানে একটা পরিবারকে পুড়ে দেয়ার সামিল।”

    রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদারের সভাপতিত্বে এবং পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমের যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য খালেদ মাহমুদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, পৌর কাউন্সিলর জালাল উদ্দীন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বদিউল খায়ের লিটন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুচ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল রাসু।

    ত্রিশ বছরের বঞ্চিত রাঙ্গুনিয়া সমৃদ্ধি অর্জন করেছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “রাঙ্গুনিয়ার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাঙ্গুনিয়ার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে সারাদিন লেগে যেতো। এখন দেড় ঘন্টায় পুরো রাঙ্গুনিয়ায় ঘুরা যায়। উন্নয়নে পুরো রাঙ্গুনিয়া বদলে গেছে। রাঙ্গুনিয়ায় আগে যেসব বরাদ্দ হতো, তা রাউজান, ফটিকছড়ি কিংবা হাটহাজারি নিয়ে যাওয়া হতো। এখন সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বেশি বরাদ্দ রাঙ্গুনিয়ায় আনা হচ্ছে।”

    ফিলিস্তিন ইস্যুতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমানে ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনি মুসলমানের উপর যেভাবে বোমা মারছে, মানুষ মারছে, শিশু মারছে, এসবের প্রতিবাদ একমাত্র শেখ হাসিনা করেছে। বিএনপি এবং জামায়াত একটি শব্দও বলেনি। বলেছে আমাদের নেত্রী, আমি এবং আমাদের দলের নেতারা। অথচ ভোট আসলে তারা কড়া মুসলমান হয়ে যায় আর হিন্দু-বৌদ্ধদের উপর নির্যাতন চালানোর চেষ্টা করে, দেশকে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভাজন করার চেষ্টা করে। তারা মানুষের শত্রু। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।”

    জনসভায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা রেড ক্রিসেন্টের সাধারণ সম্পাদক মো. আসলাম খান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, উত্তরজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আকতার হোসেন খান, উত্তরজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সামশুদ্দোহা সিকদার আরজুসহ পৌরসভার কাউন্সিলর, আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।

  • সমাবেশের নামে গন্ডগোলের অপচেষ্টা হলে জনগণকে নিয়ে কঠোর হস্তে মোকাবিলা : তথ্যমন্ত্রী

    সমাবেশের নামে গন্ডগোলের অপচেষ্টা হলে জনগণকে নিয়ে কঠোর হস্তে মোকাবিলা : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপির উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনারা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করুন, প্রশাসন আপনাদের সহযোগিতা করবে। কিন্তু গন্ডগোলের অপচেষ্টা করলে জনগণকে সাথে নিয়ে সেটি কঠোর হস্তে মোকাবিলা করা হবে, সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করা হবে।

    শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সাথে অংশগ্রহণ শেষে টানেলের অপর প্রান্ত আনোয়ারায় কেইপিজেড ময়দানে জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর পূর্বে দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে দেওয়া হবে না, গণতন্ত্র নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার যে ষড়যন্ত্র চলছে সেই ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করা হবে।’

    এ দিন ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে হাছান আরো বলেন, ‘বিএনপি আজ ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিল, আমরা অনুমতি দিয়েছি। নাও দিতে পারতাম কিন্তু দিয়েছি। এটাকে দুর্বলতা ভাবলে ভুল হবে।’

    ‘অথচ আমরা যখন বিরোধী দলে ছিলাম, বিএনপি আমাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়নি’ স্মরণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের লাঠিপেটা করেছে, মতিয়া চৌধুরীর মতো জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদকে টানা-হেঁচড়া করেছে। আর এখন তারা ক’দিন পরপর কর্মসূচি দেয়। হাঁটা, বসা, দৌড়ানো কর্মসূচির পর সামনে হয়তো হামাগুড়ি কর্মসূচি দেবে।’

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কিন্তু মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ শুধু রাজনৈতিক দল নয়, আওয়ামী লীগ একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গের নাম, আর আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, যার শিরায়-ধমনীতে বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, যে রক্ত আপোষ জানে না, পরাভব মানে না। তাই নয়াপল্টনে ৩০-৪০ বা ৫০ হাজার লোক সমাবেশ করে লাভ নেই, যেখানে গুলিস্তানের মোড়ে পাগল নাচলেও ১০-২০ হাজার লোক জড়ো হয়।’

    সদ্য উদ্বোধিত টানেল সম্পর্কে চট্টগ্রাম ৭ আসনের এমপি ড. হাছান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশ দিয়ে সড়ক টানেল এটিই প্রথম। পাহাড়ের তলদেশে টানেল, নদীর তলদেশে রেল টানেল থাকলেও নদীর নিচ দিয়ে সড়ক টানেল দক্ষিণ এশিয়ায় আর কোথাও নেই।

    পাশাপাশি তিনি বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে গত ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী এক লাখ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। যার ফলে ঢাকার মতো চট্টগ্রামকেও আর আকাশ থেকে চেনা যায় না, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর মনে হয়।

    উল্লেখ্য, প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ বছর ৮ মাসে চীনের সহযোগিতায় কর্ণফুলী নদীর ১৫০ ফুট পর্যন্ত গভীরে নির্মিত ৩.২ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ সড়কটি চট্টগ্রাম শহরের দক্ষিণ পতেঙ্গার সাথে শিল্পসমৃদ্ধ আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসা চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিঙ’কে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেল নির্মাণ শুরু হয়।

  • ২৮ অক্টোবর রাজধানী থাকবে আ.লীগের দখলে : তথ্যমন্ত্রী

    ২৮ অক্টোবর রাজধানী থাকবে আ.লীগের দখলে : তথ্যমন্ত্রী

    আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকার রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে বলে জানিয়েছেন তথ্য সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

    রোববার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    বিএনপির মহাসমাবেশের ঘোষণার কারণে আওয়ামী লীগ কোনো চাপ অনুভব করছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নানা কর্মসূচি দিয়েছে। হাঁটা কর্মসূচি, বসা কর্মসূচি, ভবিষ্যতে হয়তো হামাগুড়ি কর্মসূচি দেবে। কিন্তু এসবে আওয়ামী লীগের কোনো চাপ নেই।

    আগামী ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। গত ১৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে এ ঘোষণা দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

    ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার প্রধান মো. হারুন অর রশীদ বলেছেন, ‘বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো নাশকতার আশঙ্কা নেই। তবে পুলিশের কঠিন চেকপোস্ট ও অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

  • সাম্প্রদায়িক বিভাজনকারীরা ক্ষমতায় আসলে দেশে স্বস্তি থাকবে না : তথ্যমন্ত্রী

    সাম্প্রদায়িক বিভাজনকারীরা ক্ষমতায় আসলে দেশে স্বস্তি থাকবে না : তথ্যমন্ত্রী

    সাম্প্রদায়িকভাবে দেশকে বিভাজনকারীরা ক্ষমতায় আসলে দেশে আর স্বস্তি থাকবেনা বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশে যে স্বস্তি বিরাজ করছে। যারা নির্বাচন আসলে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়ায়, তারা যদি ক্ষমতায় আসে তবে মানুষের মাঝে এই স্বস্তি আর থাকবে না। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি জয়লাভ করার পর সারাদেশে কিভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতন চালিয়েছিল এটি আপনারা দয়াকরে ভুলে যাবেন না। তারা সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যেমন ছড়ায়, তেমনি ফিলিস্তিনে যখন পাখি শিকার করার মতো মানুষ শিকার করে তখন কিছু বলে না। তারা ক্ষমতার জন্য যা কিছু দরকার সব করতে পারে। এদেরকে চিনে রাখতে হবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার দেশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধান করেছেন, মানুষের মাঝে এখন স্বস্তি নিশ্চিত হয়েছে। বর্তমানে মানুষের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা এবং সামর্থ আছে বিধায় প্রতিবছর দূর্গাপূজা মন্ডপের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, অন্যথায় এটি হতো না। এই বছর ৩৪ হাজারেরও বেশি পূজা মন্ডপে দুর্গোৎসব হচ্ছে। প্রতিবছরই সারা দেশে কয়েকশ করে পূজামন্ডপ বৃদ্ধি পায়।

    শনিবার (২১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শান্তিনিকেতন সার্বজনীন দুর্গাপূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পরে মন্ত্রী উপজেলার আরও বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করে সনাতনী সম্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    এসময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আকতার হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহিম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, জেলা যুব লীগের সহসভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, স্বেচ্ছাসেবক লেিগর সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন রিয়াজ, পুজা উদযাপন পরিষদ, আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সনাতনী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের দেশ সবার। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার মিলিত রক্তশ্রুতের বিনিময়ে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার। আমাদের বাংলাদেশে পূজা উৎসব শুধুমাত্র হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তা নয়, সব সম্প্রদায়ের মানুষ সেই উৎসবে সামিল হয়। এটিই আবহমান বাংলার সংস্কৃতি। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় আছেন বিধায় হিন্দু সম্প্রদায়সহ সমস্ত সম্প্রদায়ের মধ্যে স্বস্তি আছে।

    সনাতন সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে কে কোন ধর্মাবলম্বি বা কোন সম্প্রদায়ের সেটি কখনো বিবেচনা করা হয় না। জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই এদেশের নাগরিক। সেভাবেই সবাই মিলেমিশে একাকার। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগই একমাত্র অসম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে। সামনের নির্বাচনে এই কথাগুলো সবাইকে বিবেচনায় রাখতে হবে।