Tag: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

  • অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতির কোন মূল্য নাই : তথ্যমন্ত্রী

    অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতির কোন মূল্য নাই : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যেই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধের জন্য বিবৃতি দেয়, ফিলিস্তিনে শিশুরা পাথর ছুড়লে ইসরাইলি বাহিনী গুলি ছুড়ে পাখি শিকারের মতো শিশুদের হত্যা করে তাদের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করে না, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বাংলাদেশে মানুষ পেড়ানোর বিরুদ্ধে কিছু বলে না তাদের বিবৃতির কোন মূল্য নাই। এই দুটি সংগঠন আমাদের দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের সাথে হাত মিলিয়েছে। তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

    তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হচ্ছে দেশের ভূমি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন। দেশ কি পাকিস্তান হবে, নাকি দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অভিযাত্রায় আরো দ্রুত বেগে এগিয়ে চলবে – সেটির ফয়সালা হবার নির্বাচন। এই দেশে কোন তাবেদারি সরকার বসবে, নাকি যারা দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিবে তারা বসবে, নাকি শেখ হাসিনার মতো স্বাধীনচেতা জননত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার থাকবে সেটি ফয়সালা হবার নির্বাচন।

    শনিবার (২৪ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৪ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম অ্যামনেস্টি ইান্টারন্যাশনাল একটা বিবৃতি দিয়েছে। আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যারা র‌্যাবে কাজ করবে কিংবা মানবাধিকার লংঘনের সাথে যুক্ত থাকবে তাদেরকে যেন স্ক্রিনিং করা হয় এবং শান্তিরক্ষী বাহিনীতে না নেয়া হয়।

    তিনি বলেন, আমরা অ্যামনেস্টিকে চিনি, তারেক রহমানের বেয়াইন আইরিন খান অ্যামনেস্টির জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন। এখনো অ্যামনেস্টির সাথে যুক্ত আছেন। তিনি তারেক রহমানের বউয়ের চাচাতো বোন। এই অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল যুদ্ধাপরাধীদের যখন বিচার শুরু হলো, তখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করার জন্য বিবৃতি দিয়েছিল। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যখন বিএনপি-জামাত মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছিল তখন সেটার বিরুদ্ধে কোন বিবৃতি দেয়নি। আরেকটা সংগঠন আছে – হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। ওনারাও মাঝে মধ্যে বিবৃতি দেয়।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ – এগুলোর বিবৃতি কিভাবে হয়, কোথায় ড্রাফট হয়, আর কিসের বিনিময়ে এই বিবৃতি আসে সেটা আমরা জানি। যারা যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করার জন্য বিবৃতি দেয়, ফিলিস্তিনে পাখি শিকারের মতো যেভাবে মানুষ শিকার করা হয় তখন ইসরাইলের বিপক্ষে কোন বিবৃতি দেয় না, আমাদের এগুলো নিয়ে বিবৃতি দেওয়ার নৈতিক কোন অধিকার তাদের নাই। আমাদের দেশের কিছু পত্রপত্রিকা সেগুলোকে বড় করে ছাপায়। এই বিবৃতির কোন মূল্য নাই। সুতরাং এগুলোতে বিভ্রান্ত হবার কোন দরকার নাই।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন বঙ্গবন্ধু ও আমাদের পূর্বসূরি মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে তখন আজকে আবার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক অপশক্তি এক হবার চেষ্ঠা করছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সেই কারণে আজকে বিএনপি-জামাতের পক্ষ থেকে দেশের বিরুদ্ধে লবিস্ট নিয়োগ করা হয়েছে। সেই লবিস্টের পেছনে মিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করে কয়েকটা বিবৃতি আর কিছু কিছু কংগ্রেসম্যান কিংবা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট মেম্বারের চিঠি ক্রয় করা হয় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের মেম্বার হচ্ছে ৭০৫ জন। তৎমধ্যে মাত্র ৫ জন বাংলাদেশের ব্যাপারে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের ফরেন আ্যফেয়ার্স কমিটির চেয়ারের কাছে চিঠি দিয়েছে। যেটির কোন মূল্য নাই। অথচ আমাদের দেশকেও চিঠি দেয় নাই তারা। এটা নিয়ে কি যে মাতামাতি, পত্রিকায় কত সংবাদ ! এতে পুলকিত মির্জা ফখরুল দেখি দুই ইঞ্চি লাফ দেয়।

    তিনি বলেন, আপনাদের মনে আছে ২০০২ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতায়, তখন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট সর্বসম্মতিক্রমে রেজুলেশন পাশ করেছিল – বাংলাদেশে মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে এবং আওয়ামী লীগসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর দমন-নিপীড়ন হচ্ছে। তখন সাতশ’র বেশি পার্লামেন্ট মেম্বার ছিল। এখন ৭০৫ জনের মধ্যে মাত্র ৫ জন একটা চিঠি দিয়েছে। এগুলোতে ওনাদের কি লেগেছে জানি না, সম্ভবত কাতুকুতু লেগেছে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন সমাগত, এই নির্বাচন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই নির্বাচন হচ্ছে দেশের সার্বভৌমত্ব ও ভূমি রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে ফয়সালা হবে দেশের সার্বভৌমত্ব থাকবে নাকি সমুদ্রের একটা অংশ কেউ নিয়ে যাবে, আমাদের কোন দ্বীপ অন্যকোন দেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই নির্বাচনে ফয়সালা হবে দেশে কি হামিদ কারজাই মার্কা তাবেদারি সরকার হবে নাকি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে।

    আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আত্মতুষ্ঠিতে না ভোগার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিএনপি-জামাত। সুতরাং আগামী নির্বাচন সম্পর্কে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। দল আজকে সাড়ে ১৪ বছর ধরে ক্ষমতায়। সাড়ে ১৪ বছর আগের চিত্র আর আজকের চিত্র মানুষের সামনে তুলে ধরুন, সেই উন্নয়নের চিত্রগুলোই ফেসবুকসহ সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। শুধু নিজের ছবি তুলে ফেসবুকে দিবেন সেই কর্মীদের আমাদের প্রয়োজন নেই। যে সমস্ত কর্মী উদ্যত আচরণ করে তারা দলের জন্য বোঝা, তাদের দায় দায়িত্ব দল নিবে না।

    আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মঈনুদ্দীন, এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, আফতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদিকা খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, নাজিম উদ্দিন মুহুরী, এসএম রাশেদুল ইসলাম, দিলোয়ারা ইউসুফ, মো. সেলিম উদ্দিন, মাহাবুবুর রহমান রুহেল প্রমুখ।

  • অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর নিরন্তর সংগ্রামই জীবনযুদ্ধে জয়ের হাতিয়ার : তথ্যমন্ত্রী

    অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর নিরন্তর সংগ্রামই জীবনযুদ্ধে জয়ের হাতিয়ার : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জীবন এক যুদ্ধক্ষেত্র। ইচ্ছাশক্তির কমতিই এখানে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। তাই অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর নিরন্তর সংগ্রামই জীবনযুদ্ধে জয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার।

    তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে স্কলাস্টিকা প্রধান শাখার ‘এ লেভেল’ শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষাজীবনের গুরুত্বপূর্ণ এই ধাপটি অতিক্রম করায় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অভিনন্দন জানান ও সমগ্র জীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি বিষয়ে এ কথা বলেন।

    ড. হাছান দেশ-বিদেশের বিদ্যাপীঠ থেকে তার অর্জিত শিক্ষা ও জীবনসংগ্রাম থেকে লব্ধ অভিজ্ঞতার ওপর আলোকপাত করে বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতা দেখে হতোদ্যম না হয়ে লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। কোন পরীক্ষার ফল খারাপ হলে মন খারাপ নয়, সেইখান থেকেই নতুন উদ্যমে চেষ্টা করতে হবে। দৃপ্ততার সাথে শপথ নিতে হবে- আমাকে বিশ্বজয়ী হতে হবে, আমাকে এটা করতে পারতেই হবে, আমি সফল হবোই। তাহলেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে।’

    জীবনের কোন কোন পর্যায়ে আমাদেরকে একাই লড়াই করতে হয় উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ সময় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, লতা মুঙ্গেশকর, বিল গেটস প্রমুখ বিশ্বের সফলতম ব্যক্তিদের জীবনের হার না মানা সংগ্রামের উদাহরণ তুলে ধরেন।

    তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদেরকে তাদের আজকের অবস্থানে উত্তরণের পেছনে মা-বাবা, পরিবার ও শিক্ষকদের যে পরম অবদান রয়েছে তা সারাজীবন স্মরণ রেখে সম্মান দিতে হবে।

    ‘আশা ও আকাঙ্খা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্কলাস্টিকার পক্ষে মিরপুর সিনিয়র শাখার অধ্যক্ষ নুরুন নাহার মজুমদার এবং হেড অভ একাডেমিক এফেয়ার্স সাবিনা মুস্তফা বক্তব্য রাখেন।

    এ বছর সনদপ্রাপ্ত ১১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ জন ‘হায়েস্ট ইন সাবজেক্ট’, ১৬ জন ‘হাই অনার’ এবং ৫ জনের হাতে ‘অনার’ সনদ তুলে দেন মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। সনদ বিতরণের মাঝে বিরতিতে শিক্ষার্থীরা মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।

  • তথ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মানহানিকর ও বিভ্রান্তি ছড়ানো ভিডিওটি সরাতে বিটিআরসিকে আদালতের নির্দেশ

    তথ্যমন্ত্রীকে নিয়ে মানহানিকর ও বিভ্রান্তি ছড়ানো ভিডিওটি সরাতে বিটিআরসিকে আদালতের নির্দেশ

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যবৃন্দকে জড়িয়ে ইউটিউব ও ফেসবুকে মানহানিকর ও বিভ্রান্তি ছড়ানো ভিডিওগুলো সরাতে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জহিরুল কবির। এর আগে একই অভিযোগে নগরীর চকবাজার থানায় মামলা করেন এক যুবলীগ নেতা।

    আজ মঙ্গলবার (২০ জুন) চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালে ৩৪২/২৩ মামলাটি দায়ের করেন তথ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোহাম্মদ এমরুল করিম রাশেদ।

    আদালত মামলাটি গ্রহণ করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের জন্য আদেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী তারিখ আগামী ১০ আগস্ট।

    মামলায় মানহানিকর ভিডিও প্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর ঘটনায় এবার কানাডা প্রবাসী ‘সাইবার সন্ত্রাসী’ নাজমুস সাকিবসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।

    মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এইচ এম কামাল, আজাদ শাহাদাত, সানি প্রধান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খোন্দকার ইসলাম এবং হাজী হারুন রশিদ। এ ছাড়া যারা ‘নাগরিক টিভি’র ওই ভিডিওতে লাইক, কমেন্টস ও শেয়ার করেছেন, সেই অজ্ঞাত ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়েছে।

    মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা সাইবার সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ষড়যন্ত্রকারী, হলুদ ও ভুয়া সাংবাদিক পরিচয়দানকারী ব্যক্তি। তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ব্যক্তি ও সংগঠনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করে কুৎসা রটনা, চরিত্রহনন ও চাঁদা দাবি করে, এটাই আসামিদের একমাত্র পেশা ও নেশা।

    তারই ধারাবাহিকতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদকে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয় করতে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ‘নাগরিক টিভি’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে নাম উল্লেখ করে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, উল্লেখিত ছবি সম্বলিত ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন।

    মামলার বাদী এমরুল করিম রাশেদ জানান, প্রকৃত অর্থে এটা কোনো টিভি চ্যানেল নয়, এটি একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজ মাত্র। তাদের উল্লেখিত কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রকৃত ‘নাগরিক টিভি’র কর্তৃপক্ষ আসামি কর্তৃক পরিচালিত ভুয়া ও অবৈধ নামধারী ‘নাগরিক টিভি’র সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই মর্মে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রচার করেছে।

    বাদী পক্ষের আইনজীবী এপিপি নিখিল কুমার নাথ বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে ইউটিউব ও ফেইসবুক থেকে কথিত দুর্নীতির ভিডিওটি প্রত্যাহারের জন্য বিটিআরসি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটকে তদন্তের জন্য আদেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী ধার্য্য তারিখ আগামী ১০ আগস্ট।

    বাদী পক্ষে মামলার শুনানিতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ মিন্টু, আইনজীবী এম এ নাছের চৌধুরী, সুভাষ বড়ুয়া, রেহানা বেগম রানু, মোহাম্মদ দিদার, রবিউল আলম, দেলোয়ার হোসেনসহ ডজন খানেক আইনজীবী অংশ নেন।

    এর আগে একই অভিযোগে গত রোববার (১৯ জুন) রাতে তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় কথিত ইউটিউবার নাজমুস সাকিবসহ সাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন এইচ এম কামাল, আজাদ শাহাদাত, সানি প্রধান, সাইফুল ইসলাম তালুকদার, খোন্দকার ইসলাম এবং হাজী হারুন রশিদ।

    চকবাজার থানার ওসি মনজুর কাদের বলেন, আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মামলার বিষয়টি দেখছি। নাগরিক টিভি নামক ফেইসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলটির এডমিন নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে আগেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

  • চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় ‘কথিত’ সাংবাদিক নাজমুস সাকিবসহ ৮ জনের নামে মামলা

    চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় ‘কথিত’ সাংবাদিক নাজমুস সাকিবসহ ৮ জনের নামে মামলা

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের সদস্যবৃন্দকে জড়িয়ে, তাকে রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা, অসত্য ও বানোয়াট তথ্য সম্বলিত একটি ভিডিও ইউটিউব ও ফেসবুকে আপলোড করার দায়ে কানাডা প্রবাসী নাজমুস সাকিব নামে কথিত এক সাংবাদিক ও ইউটিউবারকে প্রধান আসামি করে ৮ জনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫(২)/২৬(২)/২৯(১)/৩৫ ধারায় চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় একটি মামলা করেছেন মো. আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। যারা ওই ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট,শেয়ার করেছেন এবং ভবিষ্যতেও শেয়ার করবেন তাদেরকেও আসামি করা হবে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। গত রবিবার এ মামলা করা হয়।

    মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, আমার প্রিয় নেতা ড. হাছান মাহমুদ এমপিকে রাজনৈতিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয়ভাবে, হেয়প্রতিপন্ন, মানহানী ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার কু-মানসে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন পূর্বক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে “নাগরিক টিভি” নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজ থেকে প্রিয় নেতার ছবি সম্বলিত নাম উল্লেখ করে ১৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করে।

    প্রকৃতপক্ষে, উল্লেখিত ছবি সম্বলিত ভিডিওটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক, মানহানিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। প্রকৃত অর্থে এটা কোন টিভি চ্যানেল নয়, এটি একটি ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজ মাত্র। তাদের উল্লেখিত কর্মকান্ডের কারণে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রকৃত নাগরিক টিভির কর্তৃপক্ষ আসামী কর্তৃক পরিচালিত ভুয়া ও অবৈধ নামধারী নাগরিক টিভির সাথে কোন সম্পর্ক নেই মর্মে সতর্কীকরন বিজ্ঞপ্তি ইতিমধ্যে প্রচার করেছে।

    চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে মামলার বিষয়টি দেখছি। এই ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলটির এডমিন নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ পেয়েছি তার বিরুদ্ধে আরও মামলা এবং লন্ডনে বসে বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি চেষ্টাকারী একটি মহলের সাথে নিবিড়ভাবে যোগাযোগের অভিযোগ আছে। তার স্থায়ী ঠিকানা ঢাকার বাসাবোতে ও গ্রামের বাড়ি রংপুর। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি।

  • ‘শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি’

    ‘শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শেষ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র নিয়ে বিএনপি এগোচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) দুটি ষড়যন্ত্র নিয়ে এগোচ্ছে। একটি শেখ হাসিনাকে এলিমিনেট (শেষ) করে দেওয়া। আরেকটি দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা, এরপর দেশকে অপশক্তির হাতে তুলে দেওয়া। তবে বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেবে না।

    রোববার (১৮ জুন) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    ‘শেখ হাসিনাকে মারতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে’- সিরাজগঞ্জে বিএনপির এক নেতা এমন মন্তব্য করেছেন। এ ঘটনায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি বলছে যে বিনাবিচারে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাজশাহী বিএনপির আহ্বায়ক হত্যার হুমকি দিয়েছিল, এরপর সিরাজগঞ্জের সমাবেশে স্থানীয় বিএনপির নেতা রাশেদুল হাসান রঞ্জনও একই হুমকি দিয়েছে। বিএনপি যে ভেতরে-ভেতরে সেই ষড়যন্ত্রই করছে, তাদের নেতাদের কথাবার্তা থেকে সেটিই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

    মন্ত্রী বলেন, তারা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আজকে তারা ষড়যন্ত্রের পথই বেছে নিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে যেভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল এবং দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। বিএনপিও যে আজ একইপথে হাঁটছে, একই পরিকল্পনা করছে, তারই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি নেতাদের বক্তব্য। সিরাজগঞ্জে যে ঘটনা ঘটেছে, আমি তার সর্বাত্মক নিন্দা জানাই। বিএনপির উচিত ছিল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কিন্তু ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বরং তার পক্ষাবলম্বন করে বিএনপি স্বীকার নিয়েছে, এটি তাদেরই বক্তব্য।

  • যাদের হাতে ইতিহাস-ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারেনা : তথ্যমন্ত্রী

    যাদের হাতে ইতিহাস-ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারেনা : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যাদের হাতে বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিরাপদ নয়, তাদের হাতে কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারেনা। সেই বিএনপি আবার দেশ পরিচালনা করার কথা স্বপ্ন দেখে।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রামের জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও মুক্তি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়াদের ছবি ভাংচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। ঘটনায় যারা জড়িত ছিল মামলার প্রেক্ষিতে তাদের বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে যারা তাদের নেতা, যারা তরুণদেরকে এধরনের নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে, এবং এগুলোর নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা দায় এড়াতে পারে না। তাদেরকেও অবশ্যই আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।

    রোববার (১৮ জুন) সকাল সাড়ে আটটায় চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান মোড়ে বিএনপি কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের ছবি ভাঙচুরের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন ও জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন উপস্থিত ছিলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে, আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের ছবি ভাঙ্গে, এখানে থাকা আমাদের মুক্তি আন্দোলনের পুরোধাদের ছবির প্রতি অবমাননা করে, সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননা করে ছবি ও ম্যুরাল ভাঙ্গে তারাতো দেশটাই ভেঙ্গে দেবে। তাদের হাতে তো কখনো দেশ নিরাপদ হতে পারেনা। এরাই আবার দেশ পরিচালনার স্বপ্ন দেখে।

    তিনি বলেন, বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে এদিক দিয়ে যাবার সময় বঙ্গবন্ধুর সমস্ত ছবিগুলো এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যু্রালসহ মুক্তি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া অন্যান্যদের ছবিও ভাঙচুর করেছে। এই দায় দলটির নেতারা কোনভাবেই এড়াতে পারে না।

    বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের চিত্র ভেঙ্গে দেয়ার পেছনে বিএনপি’র পাশাপাশি জামাত-শিবিরের সম্পৃক্ততা আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামাততো ওদের সহোদর ভাই, ওড়াইতো বলে একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিএনপি আর জামাত। এটা ওনাদের বক্তব্য। এই তারুণ্যের সমাবেশেও ছদ্মবরণে জামাত শিবিরও ছিল। তবে মূল দায়টা বিএনপি নেতাদের।
    ভেঙ্গে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বলিত ছবিগুলো আবার তৈরি করা হবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন আমাকে জানিয়েছেন তারা এগুলো আবার নতুনভাবে আগের মত দৃষ্টিনন্দন করে তৈরি করবেন। প্রয়োজনে আরো সুন্দর করে এগুলো পূনঃস্থাপন করা হবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোথাও রাস্তার পাশে দেয়ালে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য এবং আমাদের মুক্তি আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকে এভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। চট্টগ্রামে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ আমাদের সংস্কৃতি এবং মুক্তি আন্দোলনের পুরোধা যারা ছিল তাদের ছবিগুলো যেভাবে রাস্তার পাশে এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে সেগুলো দেশের কোথাও নাই।

  • বিএনপি’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন মাঠে মারা গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন মাঠে মারা গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এখন মাঠে মারা গেছে, শুধু মির্জা ফখরুল সাহেবসহ তাদের নেতাদের মুখে আছে। বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আন্তর্জাতিক মহলের হাতে পায়ে ধরে বিভিন্ন সময়ে তুলে ধরেছে। কিন্তু কোনো দেশ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সমর্থন করে নাই এবং সরকারকেও কেউ বলেনি যে নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার করতে হবে।

    তিনি বলেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ডের সাথে যুক্ত মূল আসামিসহ অনেককেই দ্রুততার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যাতে হয় সেজন্য যা কিছু করা দরকার সবকিছুই করা হবে। এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে সেজন্য আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

    শনিবার (১৭ জুন) দুপুরে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) এর শরৎকালীন সেমিস্টার ২০২৩ শুরু উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। আইআইইউসি’র সীতাকুণ্ডের কুমিরাস্থ ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া যেনতেনভাবে কোনো নির্বাচন করতে দেবে না এবং রাজপথে থেকে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে – মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। যে নির্বাচনের আয়োজক হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত হোক, সেটিই আমরা চাই। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন কমিশনের কাছে, বিদেশিদের হাতে-পায়ে ধরে নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি চায়।

    তিনি বলেন, বিএনপিকে তো নির্বাচনে জেতার গ্যারান্টি সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং বিদেশিরাও দিতে পারবে না। তারা আসলে নির্বাচনকে ভয় পায়। আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো, এ সমস্ত বক্বকানি না করে তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যে মাঠে মারা গেছে সেই বাস্তবতা মেনে নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য।

    বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশে চট্টগ্রামের জামালখানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ ইতিহাস-ঐতিহ্যের অনেক স্থাপনা ভাঙচুর করেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে চট্টগ্রাম-৭ আসন থেকে নির্বাচিত সাংসদ ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশের কথা বলে যেভাবে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালসহ আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনসহ আমাদের মুক্তি আন্দোলনে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের ছবি এবং ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে, এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি তারুণ্যের সমাবেশ করে তাদের তরুণদেরকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য শিক্ষা দিচ্ছে। তারুণ্যের সমাবেশের নাম কওে পেঠুয়া বাহিনী ও নৈরাজ্য শিক্ষার সমাবেশ করেছে তারা।

    তিনি বলেন, তা না হলে সমাবেশে যাবার পথে আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা বঙ্গবন্ধুসহ সেখানে থাকা অনেক মনিষীর ম্যুরাল ভাঙচুর করার কোনো যুক্তি নাই। বিএনপি নেতারা আসলে সারাদেশে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটাচ্ছে এবং নতুনভাবে নৈরাজ্য করার জন্য তাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে। আমি এটার তীব্র নিন্দা জানাই।
    এর আগে আইআইইউসি’র নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, স্বপ্ন দেখতে হবে, স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্টাকে যুক্ত করতে হবে। স্বপ্নের সাথে যদি প্রচেষ্টাকে যুক্ত করা না হয় তাহলে শুধু স্বপ্ন দেখে কোন লাভ নেই। মানুষ যখন স্বপ্ন দেখে স্বপ্নের সাথে যখন প্রচেষ্টা যুক্ত হয়, তখন তার মধ্যে ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিভ পাওয়ার জন্ম নেয়। সেই শক্তি তাকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দেয়।

    তিনি বলেন, জীবন হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র। নিরন্তর উজানের বিপরীতে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং প্রতিনিয়ত প্রতিকূলতার সাথে এগিয়ে যাওয়ার নাম হচ্ছে জীবন। যে সেভাবে জীবনকে নিবে, সে জীবনে অনেক দূর এগোতে পারবে। যে প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে যুদ্ধ করার মানসিকতা নিয়ে জীবনযুদ্ধে নামবে সে জীবনকে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ স্বপ্ন দেখে, কিন্তু সব মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় না। খুব কম মানুষের স্বপ্ন তীরে ভিড়ে। কিংবা খুব কম মানুষের স্বপ্ন, স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছায়। কিন্তু সেই মানুষের অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয় যে স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্টাকে যুক্ত করে। তাই অভিভাবকদের অনুরোধ জানাবো সন্তানদেরকে স্বপ্ন দেখাতে শেখাবেন। সন্তান যেন স্বপ্ন দেখে। আর সেই স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি সন্তান যেন প্রচেষ্টাকে যুক্ত করে।

    তিনি বলেন, দরিদ্রতা কখনো প্রতিবন্ধকতা নয়। এ পি জে আবদুল কালামের বাবা ছিলেন একজন সাধারণ ডিঙ্গি নৌকার মাঝি। ১২ বছর বয়সে পত্রিকার হকার হিসেবে কাজ করতেন এ পি জে আবদুল কালাম। পত্রিকা বিক্রি করে সেই অর্থ দিয়ে তার পড়ালেখা চালাতেন। দরিদ্রতা তার জীবনযুদ্ধকে থমকে দেয়নি। তিনি ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী হয়েছেন, ভারতের মিসাইল প্রযুক্তির জনকও তিনি এবং তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। দারিদ্র তাকে দমাতে পারেন।

    তিনি বলেন, দরিদ্রতার কারণে কবি নজরুল মেট্রিক পাশ করতে পারেননি। তিনি দশম শ্রেণীতে পড়ার সময় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেছিলেন দরিদ্রতার কারণেই। আজকে কবি নজরুল জাতীয় কবি এবং তিনি বাংলাদেশ এবং ভারতে সমানভাবে সম্মানিত। কবি নজরুলকে বাদ দিয়ে বাংলা সাহিত্য কল্পনা করা যায় না।

    শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও কাউকে দমাতে পারে না উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, আমাদের যশোরের মেয়ে তামান্নার দুই হাত এবং একটা পা নেই, একটা পায়ের দুই আঙ্গুল দিয়ে লিখে সে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। তাকে যখন প্রশ্ন করা হলো, তুমি এত সাহস কোথায় পাও ? এত প্রেরণা কোথায় পাও ? সে বলেছে স্টিফেন হকিংস উঠতে পাওে না, বসতে পাওে না, মাথা নাড়াতে পাওে না। শুধুমাত্র দুটো আঙ্গুল দিয়ে লিখে পৃথিবীর জন্ম রহস্যটাই বদলে দিয়েছে। সুতরাং শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কোন সমস্যা নয়।

    আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম-এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর আনোয়ারুল আজিম আরিফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু রেজা মো. নেজাম উদ্দিন নদভী এমপি, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি এমপি, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. হুমায়ুন কবির প্রমুখ।

  • ওয়াকওভার নয়, নির্বাচনে খেলে জিততে চায় আ.লীগ: তথ্যমন্ত্রী

    ওয়াকওভার নয়, নির্বাচনে খেলে জিততে চায় আ.লীগ: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় বলে অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি একটি বড় দল, তারা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক এটা আমরা চাই। আমি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানাব। কারণ আমরা ওয়াকওভার চাই না, খেলে জিততে চাই।

    শুক্রবার (১৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, উৎসবমুখর হয়- সেটাই আমরা চাই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি সবসময় নির্বাচন থেকে পালিয়ে যায়। মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব নির্বাচন থেকে পালিয়ে যাওয়ার অজুহাত তৈরি করতেই এসব বক্তব্য দিচ্ছেন।

    বিএনপির উদ্দেশ্য নির্বাচন ভণ্ডুল বা প্রশ্নবিদ্ধ করা- এমনটা দাবি করে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে জেতার নিশ্চয়তা চায়। সেটি পেলে অংশ নেবে, নাহলে নয়। কিন্তু এই নিশ্চয়তা তো জনগণ বা সরকার বা নির্বাচন কমিশন (ইসি) কেউই দিতে পারবে না। আর বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ যে ব্যাপকভাবে অংশ নেয়, সেটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই প্রমাণ হয়েছে। কোন দল অংশ নিলো, তার চেয়েও বড় কথা নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ।

    নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-মামলা দেওয়া নিয়ে বিএনপির অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অগ্নি-সন্ত্রাসের হুকুমদাতা, অর্থদাতা হিসেবে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে। মামলা সরকার চালু করতে পারে না। অভিযুক্তদের বাড়িয়ে নেওয়া সময়, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ- এগুলোর মেয়াদ শেষ বা ভ্যাকেট হলে আদালতের নিয়ম অনুযায়ী আবার মামলা চালু হয়ে যায়। তেমন কিছু সংখ্যক মামলা চালু হয়েছে।

    এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে, রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করতে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। যারা রাজনীতি করে না, রাজনীতি বোঝে না, জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েছিল, সেসব জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা- এটা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ, এর বিচার হওয়া বাঞ্ছনীয়। জনগণ চায় এর বিচার হোক।

    বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রায়ই তারা এমন কথা বলেন। রমজানের ঈদের আগেও বলেছিলেন- ঈদের পরে আন্দোলন। এখন তাদের কোরবানির ঈদের পরে আন্দোলন কী এ বছর, না কি আগামী বছর- সেটিই প্রশ্ন।

  • কেউ যাতে অকারণে গাছ না কাটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

    কেউ যাতে অকারণে গাছ না কাটে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, এখন জুন-জুলাই মাস গাছ লাগানোর উপযোগী সময়, প্রত্যেকে তিনটি করে গাছ লাগাবেন। যেখানে জায়গা আছে সেখানেই গাছ লাগাতে হবে। আর কেউ যাতে অকারণে গাছ না কাটে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সকলকে আহবান জানিয়েছেন, সকলে একটি করে ফলজ, বনজ ঔষধি গাছ লাগানোর জন্য।

    শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের আয়োজনে বন অধিদপ্তরের টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের উপকারভোগী এবং বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটোরিয়ামে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বনবিভাগ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সহব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বন রক্ষার উদ্যোগ নেন। সহব্যবস্থাপনায় বনসম্পদ বৃদ্ধির পর সেই টাকার লভ্যাংশ স্থানীয় যারা সহব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত ছিলো তাদের মাঝে ভাগ করে দেয়ার এই পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। এসব আগে ছিল না, জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর এসব চালু করেছে।

    তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত আমাকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছিলো প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তীতে পাঁচ বছর বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম। মূলত এই কার্যক্রমগুলো তখনই শুরু করা হয়। যখন আমরা প্রথমবার সরকার গঠন করি তখন হাতি দ্বারা আহত ও নিহতদের সহায়তা করার এই পদ্ধতি প্রথম চালু করি। বন সহব্যবস্থাপনা কমিটিও তখন বিস্তৃত করা হয়, আগে ছিলো খুব সীমিত আকারে। আজকে সেটার সুফল আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ পাচ্ছে সেটা জেনে আমারও খুব খুশি লাগছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে ৩৭৭ জন বনবিভাগের উপকারভোগীদের কাছে ২৫ হাজার ২০০ টাকা করে ৯৫ লাখ টাকারও বেশি টাকার চেক হস্তান্তর করা হচ্ছে। সরকারের বন বিভাগের পক্ষ থেকে বনব্যবস্থাপনার আওতায় এই টাকাটা হস্তান্তর করা হচ্ছে। গাছ লাগালেও যে সেটি টাকায় রূপান্তরিত হয় তার প্রমাণ হলো এটি। এসব আগে ছিলো না। এসব আওয়ামী লীগ সরকার চালু করেছে, শেখ হাসিনা চালু করেছে।

    তিনি বলেন, আমরা পাহাড়ের মানুষ, আমরা বন রক্ষা করি বলেই সরকারের এসব সুবিধা পাচ্ছি। রাঙ্গুনিয়ার আরও সাড়ে ৪ শত মানুষ এই সুবিধা পাবে। সুতরাং সবাইকে অনুরোধ জানাবো এই জুল-জুলাই মাসে সবাই যতটুকু সম্ভব গাছ লাগাবেন। আর কেউ যেনো বনের সম্পদ নষ্ট না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ-আল-মামুনের সভাপতিত্বে ও বনরেঞ্জ কর্মকর্তা নাহিদ হাসান ও আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গণি ওসমানী প্রমুখ।

    অনুষ্ঠানে বন্য হাতির দ্বারা নিহত একটি পরিবারকে নগদ ৩ লাখ টাকা, বন্য হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থ ২৭ জনকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং সুফল প্রকল্পের এফসিভি’র সদস্য ৩৭৭ জনকে মোট ৯৫ লাখ ৪০০ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।

  • বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান ১৫-২০ দিনের মধ্যে : তথ্যমন্ত্রী

    বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান ১৫-২০ দিনের মধ্যে : তথ্যমন্ত্রী

    আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যেই বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

    বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে বিশ্ব সমুদ্র দিবস উপলক্ষ্যে এক সেমিনারে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব মন্দা ও যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। এই সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

    তিনি বলেন, এটা আসলে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্ভাগ্য। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন ৩৬শ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। এখন যেকোনো সময় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহের সক্ষমতা এই সরকারের আছে। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। এখন দেশের শতভাগ মানুষ এর আওতায় এসেছে।

    তিনি আরও বলেন, শতভাগ বিদ্যুৎ পেয়ে মানুষের অভ্যাসের পরিবর্তন হয়েছে। এখন সব জায়গায় এসি চলে। আজ থেকে ১৪ বছর আগে এগুলো কখনো ভাবেনি মানুষ। মানুষের জীবনযাত্রায় বিশাল পরিবর্তন এসেছে। আমরা কী তাহলে ভুল করেছি এত সুযোগ সুবিধা দিয়ে। নিশ্চয় তা করিনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই অসুবিধাটা সাময়িক। খুব দ্রুত সমাধান হবে।

    বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবরা আজ বড় গলায় কথা বলেন। তারা মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারেননি এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়েছেন। বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে খাম্বা দিয়েছেন। আর আমরা মানুষকে শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি, মানুষের অভ্যাসে পরিবর্তন হয়েছে।

  • সংলাপ প্রসঙ্গে আমুর বক্তব্য ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী

    সংলাপ প্রসঙ্গে আমুর বক্তব্য ব্যক্তিগত: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর দেয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত অভিমত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    তিনি বলেন, ‘দলের ও সরকারের মধ্যে এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এমনকি ১৪ দলের মধ্যেও নয়।’

    বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই কথা বলেন।

    এর আগে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু বলেন, ‘প্রয়োজনে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসুক, আমরা বিএনপির সঙ্গে মুখোমুখি বসে আলোচনা করে দেখতে চাই সুষ্ঠু নির্বাচন করার বাধা কোথায়? কীভাবে সেটা নিরসন করা যায়।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত আমির হোসেন আমু আমাদের দলের অন্যতম জ্যেষ্ঠ নেতা। তিনি যে বক্তব্যটি দিয়েছেন, সেটি তার ব্যক্তিগত বক্তব্য। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কাগজ বা গণমাধ্যমে যেভাবে এসেছে, তিনি ঠিক সেভাবে বলেননি। যেভাবেই আসুক এটি তার ব্যক্তিগত অভিমত।’

    তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক। সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি চমৎকার নির্বাচন হোক।’

    বিএনপির নির্বাচন ভাবনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। তারা আসলে নির্বাচন প্রতিহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং সেই কথাটি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবার বলেছেন। কিন্তু এবার আর তাদের পক্ষে নির্বাচন প্রতিহত করা কিংবা বর্জন করা সম্ভব হবে না।’

  • বিএনপি-জামায়াত বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিলে জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে

    বিএনপি-জামায়াত বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিলে জনগণ উচিত শিক্ষা দেবে

    তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত তো বিদ্যুৎকেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এবার যদি সেটা করে তাহলে জনগণ তাদের প্রতিহত করবে ও উচিত শিক্ষা দেবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা গন্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করবে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে।

    মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের সময় ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতায় ছিল। এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। শুধু তাই নয়, আজ থেকে সাড়ে ১৪ বছর আগে মানুষ গ্রামে-গঞ্জে বিদ্যুৎ দিয়ে বড়জোর ফ্যান চালাত আর লাইট জ্বালাত। এখন গ্রামে গ্রামে এসি ও রেফ্রিজারেটর… মসজিদে ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে এসি চলছে। ইজিবাইক, প্রেশারকুকার, রাইসকুকার সবগুলো বিদ্যৎ সুবিধার মাধ্যমে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি সরকারের বিরাট সাফল্য।’

    ‘দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের আওতায় আনার মাধ্যমে বহুমাত্রিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর একটি বিরাট সাফল্য। আমি মনে করি মানুষ আগের তুলনায় ভালো আছে। এখন মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে এটি ঠিক… তবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ১৫ দিনের মধ্যে এ অবস্থার পরিবর্তন হবে।’

    নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের ঘোষিত কর্মসূচির ব্যাপারে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কর্মসূচি ঘোষণা করবে এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি সহিংসতা করার লক্ষ্যেই সাজাচ্ছে বলে আমরা মনে করি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে দেশে গন্ডগোল সৃষ্টি করা, বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা, পানি ঘোলা করা ও পানি ঘোলা করে সেখান থেকে মাছ শিকার করা। সেখান থেকে তারা সেই সুযোগ পাবে না।’

    যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের দুঃশাসন ও দুর্নীতির কারণেই নাকি যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতিতে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বলা আছে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতি, মানুষ পেড়ানোর অপরাজনীতি, নির্বাচন প্রতিহত ও বয়কট করার অপরাজনীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র এই ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। এই ভিসানীতি ঘোষণার পর বিএনপির মধ্যে অন্তরজালা শুরু হয়ে গেছে। কারণ তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কোনা দেশ থেকে তারা তাদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির সমর্থন পায়নি। সে কারণে তাদের পক্ষে আর আগের মতো নির্বাচন প্রতিহত করব, নির্বাচন বর্জন করব এগুলো বলার আর সুযোগ নেই। যে কারণে মির্জা ফখরুল একেক সময় একেক কথা বলছেন। আমার কাছে মনে হয়েছে তিনি কেন জানি একটু হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন, এজন্য একেক দিন একেক কথা বলছেন।’

    তথ্যমন্ত্রী যোগ করেন, ‘মাঝেমধ্যে বিভিন্ন কথা বলে আত্মতুষ্টি লাখ করারও চেষ্টা করছেন। তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রতিহত করার রাজনীতি তাদের পক্ষে আর সম্ভব নয়। দেশে গন্ডগোল করার পরিকল্পনা না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করুন।’