Tag: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

  • পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় ব্যর্থ হলে পরের প্রজন্মের কাছে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় ব্যর্থ হলে পরের প্রজন্মের কাছে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় ব্যর্থ হলে পরের প্রজন্মের কাছে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করতে হলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও প্রয়াস দরকার। পরিবেশ, প্রকৃতি সংরক্ষণ, বন সৃজন অন্য কারো জন্য নয়, নিজেদের ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই করা প্রয়োজন। অন্যথায় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমাদেরকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’

    মন্ত্রী আজ দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

    পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রী মো: শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বিশেষ অতিথি এবং সচিব ড. ফারহিনা আহমদ স্বাগত বক্তা হিসেবে বক্তৃতা দেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত আমাদের নিত্য সঙ্গী। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্ত বিরূপ প্রভাব আমাদের দেশে দৃশ্যমান। সেই প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে পরিবেশ সংরক্ষণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে আমাদের সরকার পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থাপনায় সেই দুরূহ কাজ করতে গিয়ে অনেক সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছে। তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০১৫ সালে পরিবেশ সংরক্ষণে বিশ্বের সর্বোচ্চ পদক ‘চ্যাম্পিয়ন অফ দ্য আর্থ’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে, যা জাতির জন্য বিপুল সম্মান ও স্বীকৃতির পরিচায়ক।

    পরিবেশবিদ ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করেছেন সে উদাহরণ হচ্ছে, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে ঘনবসতিপূর্ণ, মাথাপিছু সর্বনিম্ন কৃষি জমি এবং আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীর ৯২তম দেশ হওয়া সত্ত্বেও ধান ও মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয়, সবজি উৎপাদনে চতুর্থ, আলু উৎপাদনে সপ্তম এবং খাদ্যশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ছোট্ট একটি দেশে প্রধানমন্ত্রীর অনন্য ব্যবস্থাপনাতেই এটি সম্ভবপর হয়েছে।

    ২০০২ সাল থেকে দশ বছর আওয়ামী লীগের প্রথম পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বপালনকারী হাছান মাহমুদ এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বিট প্লাস্টিক পলুশন, ইকোসিস্টেম রিস্টোরেশন’ অনুসারে প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে ব্রতী হওয়ার আহবান জানান।

    তিনি বলেন, বছরে পৃথিবীতে ৪শ’ মিলিয়ন টন এবং এর মধ্যে বাংলাদেশ প্রায় ৩ হাজার টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয় এবং বিশ্বব্যাপী ১১ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয়। এ অবস্থা চললে বিশেষজ্ঞদের মতে ৫০ বছরে অনেক জায়গা মৎস্যশূণ্য হয়ে যাবে, থাইল্যান্ডের সমুদ্র অনেকটা মৎস্যশূণ্য হয়ে গেছে। আবার প্রতিদিন দেড়শ’ থেকে দুইশ’ প্রজাতির প্রাণী প্রায়বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, এর মধ্যে প্রায় ১৩৭টি প্রজাতি বিলুপ্ত হচ্ছে বনভূমি উজাড় হওয়ার কারণে।

    পরিবেশের এসব বিপর্যয় রোধে সম্প্রচারমন্ত্রী সকলের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত পরিবেশ সচেতন। আসুন সবাই মিলে দেশ গড়ি, পরিবেশ রক্ষা করি এবং প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করি।’

    পরিবেশমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সতর্ক করে জানান, প্লাস্টিক দূষণ রোধে দশ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বর্তমান ২২.৩৭ ভাগ থেকে ২৫ শতাংশে এবং বনভূমির পরিমাণ ১৪.১ ভাগ থেকে ১৬ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার পরিবেশ সংরক্ষণে সরকারের উদ্যোগের সাথে দেশব্যাপী সকলের অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

    সাবের হোসেন চৌধুরী বিশ্বের সামনে পরিবেশগত তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য হারানো এবং প্লাস্টিক বিস্ফোরণের অভিঘাত মোকাবিলা করছে। বাংলাদেশও এই অভিঘাতের বাইরে নয়। বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে।

    অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম চৌধুরী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আমিনুজ্জামান মো: সালেহ রেজা ও বগুড়ার বাংলাদেশ বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন ফেডারেশন সভাপতি ড. এস এম ইকবালকে বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন এওয়ার্ড ২০২২ দেওয়া হয়।

    উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ রায়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম মফিজুল ইসলাম, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটিকে (বেডস) দেওয়া হয় জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২২।

    পাশাপাশি ৬টি শ্রেণিতে নির্বাচিত ১৮ জনকে বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০২১ এবং সামাজিক বনায়নে অংশগ্রহণকারী সর্বোচ্চ লভ্যাংশপ্রাপ্ত ৫ জন মহিলা ও ৫ জন পুরুষকে পুরস্কৃত করেন প্রধান অতিথি পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ।

    সভা শেষে তথ্যমন্ত্রী কনভেনশন সেন্টার সংলগ্ন শেরেবাংলা নগরে পরিবেশ মেলা, জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষ মেলা উদ্বোধন করেন এবং অতিথিবৃন্দকে নিয়ে বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। পরিবেশ মেলা ১১ জুন পর্যন্ত এবং বৃক্ষমেলা প্রথমে ২৬ জুন পর্যন্ত এবং ঈদের পর ১ থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা আটটা অবধি উন্মুক্ত থাকছে।

  • যারা আগুন সন্ত্রাস করেছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

    যারা আগুন সন্ত্রাস করেছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা বিভিন্ন সময় আগুন সন্ত্রাস করেছে তাদের এবং তাদের হুকুম দাতা ও অর্থ দাতাদের তালিকা করা হচ্ছে। এসব তালিকা বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হবে।

    রোববার (৪ জুন) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন তিনি৷

    সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করতে চাই। সে কারণে পররাষ্ট্রসহ অন্যান্য বিষয়ে অনেক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার। মধ্যপ্রাচ্যে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, ফ্যাশন সচেতনতা বেড়েছে, সেখানে আমাদের বাণিজ্য বাড়ানো প্রয়োজন। আশিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে আমাদের বাণিজ্য সম্ভাবনা প্রচুর, সেখানেও আমরা বাণিজ্য বাড়াতে চাই। ওশেনিয়া অঞ্চলে আমাদের বাণিজ্যের সম্ভাবনা প্রচুর, সেখানেও আমরা বাড়াতে চাই, প্রধানমন্ত্রী সে কথাই বলেছেন। আর যারা মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পর টেনশনে আছেন তাদের টেনশন কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলেছেন।

    হাছান মাহমুদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনার মধ্যে পেশাদার সমালোচক এবং রাজনৈতিক সমালোচক সবাই একটি কথা বলেছেন, এটি একটি ঘটতি বাজেট। পেশাদার সমালোচকরা একটু খোঁজখবর নিয়ে বললে ভালো হতো। পেশাদার সমালোচকরা সমালোচনা করার আগে গবেষণা করেন এটা তাদের বক্তব্য। তবে কতটুকু গবেষণা হয় সেটা আমি জানি না।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ডিজিপির অনুপাতে ৫.২ শতাংশ ঘটতি। ভারতে ৫.৯ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৫.৫ শতাংশ। ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের তুলনায় আমাদের ঘাটতি কিন্তু কম।

    তিনি বলেন, যারা রাজনৈতিক সমালোচক, তারা তো বাজেট না পড়েই বক্তব্য দিয়ে দিয়েছেন। আরেকটি বিষয় হচ্ছে এই বাজেটকে জনবান্ধব ও গরিববান্ধব এ জন্যই বলেছি, সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি উপকারভোগীর সংখ্যা ও বিভিন্ন ভাতাধারীর সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর কথা হয়েছে। সরাসরি দুই কোটি মানুষ সরকারের কাছ থেকে নানাভাবে অর্থসহ নানা সহায়তা পাবে। তাহলে কি এটি গরিববান্ধব বাজেট নয়?

  • অজাতশত্রু আফছারুল আমীনের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি : তথ্যমন্ত্রী

    অজাতশত্রু আফছারুল আমীনের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি : তথ্যমন্ত্রী

    অজাতশত্রু রাজনীতিক আফছারুল আমীনের মৃত্যু দলের জন্য ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    শনিবার (৩ জুন) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীনের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

    চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান বলেন, ‘আফছারুল আমীন একজন অজাতশত্রু মানুষ ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে আমাদের দল বিশেষ করে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’

    তিনি বলেন, ‘ডা. আফছারুল আমীন যেভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে কারাগারে গেছেন, সেখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। তার নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রাম শহরে শিক্ষা ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তিনি অনেক কাজ করেছেন, যা থেকে মানুষ উপকৃত হচ্ছে।’

    শুক্রবার বিকেলে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭২ বছর বয়সে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. আফছারুল আমীন ইন্তেকাল করেন। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত ডা. আফছারুল আমীন আগে সরকারের নৌপরিবহন ও পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেছেন।

  • বাজেট গরিববান্ধব, সমালোচনা গৎবাঁধা: তথ্যমন্ত্রী

    বাজেট গরিববান্ধব, সমালোচনা গৎবাঁধা: তথ্যমন্ত্রী

    ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে গণমুখী ও গরিববান্ধব বলে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, বাজেট নিয়ে সমালোচকদের সমালোচনা বরাবরের মতোই গৎবাঁধা ও গতানুগতিক।

    শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন মন্ত্রী।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ১৫তম বাজেট এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০তম এই বাজেট ২০০৮-৯ সালের তুলনায় প্রায় নয়গুণ বড় এবং পিপিপিতে (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) ২০০৯ সালের ১০০ বিলিয়ন ডলার জিডিপির তুলনায় এখনকার জিডিপি এক ট্রিলিয়ন প্লাস ডলার, অর্থাৎ প্রায় দশগুণ বড়। যা নিঃসন্দেহে দেশের অগ্রগতি সমৃদ্ধির পরিচায়ক।

    এবার বাজেট প্রণয়ন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বমন্দা, ইউক্রেন যুদ্ধ, ডলার সংকটের কারণে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে শৈথিল্য আসায় বাজেট প্রণয়ন চ্যালেঞ্জ ছিল।

    তারপরও এবারের বাজেট গত বছরের তুলনায় প্রায় এক লাখ হাজার কোটি টাকা বেশি।

    প্রস্তাবিত এ বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও মানুষকে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ে আনার এবং এ খাতে বিভিন্ন ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই বাজেটের সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে- এই অর্থবছরেই সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত। কোনো রাজনৈতিক দল এ ধরনের সার্বজনীন পেনশন চালুর প্রস্তাব দেয়নি।

    ১৮-৫০ বছর বয়সের যে কেউ ১০ বছরের জন্য চাঁদা দিয়ে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আসতে পারবে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ৫০ এর বেশি বয়স হলেও ১০ বছর চাঁদা দিয়ে পেনশনের সুযোগ রয়েছে।

    বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা বিএনপির দাবি-দাওয়া জানেন। তাদের দাবিতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও তারেক রহমানের মুক্তির বাইরে জনমানুষ নিয়ে কিছু থাকে না।

    আয়কর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের কর ও জিডিপির অনুপাত দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বনিম্ন। গত ১৪ বছরে দেশের জিডিপি প্রায় দশগুণ, বাজেট প্রায় নয়গুণ বৃদ্ধি পেলেও আয়কর দেওয়ার হার বেড়েছে মাত্র তিনগুণ। ২০০৯ সালে ১১ লাখ মানুষ আয়কর দিতো, গত বছর ২৯ লাখ মানুষ আয়কর দিয়েছে। অথচ দেশে অন্তত দুই কোটি মানুষ আয়কর দিতে সক্ষম। কিন্তু মানুষ কর দেয় না। তাই করের আওতা বাড়ানো অযৌক্তিক নয়।

    ‘আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে এ বাজেট লুটপাটের’- বিএনপির এমন সমালোচনা খণ্ডন করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান আইএমএফের প্রেসক্রিপশনে বাজেট দিতে প্রতিবার বাজেটের আগে প্যারিস কনসোর্টিয়ামে ছুটে যেতেন সাহায্যের জন্য। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজেট কোনোভাবেই বিদেশি সাহায্য নির্ভর নয়। এ বাজেটে ১ লাখ কোটি টাকার কিছু বেশি বৈদেশিক ঋণ নেওয়া হবে। বিএনপি লুটপাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, তারা পরপর পাঁচবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়েছিল।

    বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) বাজেটকে বাস্তববিবর্জিত বলেছে- এ নিয়ে প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে সিপিডি বাজেটের প্রশংসা করতে পারেনি। এবছর তো বাজেট প্রস্তাব অধিবেশন চলমান থাকা অবস্থায়ই তারা বলেছে, এই বাজেট উচ্চাভিলাষী, বাজেট বাস্তবায়ন হবে না।

    ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের চলতি বাজেট নিয়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকবে। ইতিবাচক সমালোচনাকে আমরা সবসময় স্বাগত জানাই।

  • সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ ও মানবিক রাষ্ট্র: তথ্যমন্ত্রী

    সরকারের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ ও মানবিক রাষ্ট্র: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার `স্মার্ট বাংলাদেশ’ ও মানবিক রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে।

    মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং এ- টেকনোলজি অনুষদের ডিন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু গ্রন্থিত ‘স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। ৩৯২ পৃষ্ঠার এ বইটির ২৩টি অধ্যায়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার বিভিন্ন দিক বিধৃত হয়েছে।

    ‘প্রথম তিনটি শিল্প বিপ্লব থেকে আমরা বহু বছর পিছিয়ে ছিলাম কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ধারণা থেকে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লব অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, রবোটিক্স, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স এগুলোর সাথে অত্যন্ত ঠিক সময়ে বাংলাদেশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছি এবং ঠিক এ জন্যই আমরা ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শ্লোগান দিয়েছিলাম, মানুষের সামনে উপস্থাপন করেছিলাম’ উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান।

    ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুবিধার উদাহরণ তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ২০২০ সালে করোনা মহামারি দেখা দেওয়ার পর যখন সমগ্র পৃথিবীর জনজীবন থমকে গিয়েছিলো, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে গিয়েছিলো, তখন বাংলাদেশ থমকে যায়নি, সরকার পরিচালনা থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের পাঠদানসহ সবকিছু চালু ছিল।

    তিনি বলেন, সেই কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ধ্বনাত্মক জিডিপি অর্জনকারী মাত্র ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়। সেই অর্থবছরেই আমরা মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়েছি। নিক্কি ইনস্টিটিউট এবং ব্লুমবার্গের যৌথ জরিপে করোনা মহামারি মোকাবিলার ক্ষেত্রেও বিশ্বে আমরা পঞ্চম, উপমহাদেশে প্রথম। ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা এবং প্রত্যন্ত জনপদের মানুষের কাছেও ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছার ফলেই এগুলো সম্ভবপর হয়েছে।

    হাছান মাহমুদ এ সময় গ্রন্থকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘সরকার পরিচালনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি সর্বোতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে যে নতুন ধারণা মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে চাই সেটি হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট ব্যবসা দরকার। সেই চারটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর গ্রন্থটির রচয়িতা অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুকে ধন্যবাদ জানাই।’

    একই সাথে মন্ত্রী তার বক্তৃতায় নিজেকে একজন নাগরিক হিসেবে তুলে ধরে বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ নিজের জন্য, খ্যাতির জন্য, বিত্তের জন্য ছুটছে, কোনো ফুরসত নাই। এতে করে মানুষের মানবিকতা, মনুষ্যত্ব, মমত্ববোধ যেন হারিয়ে না যায়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। মানুষের গুণ হারিয়ে যাচ্ছে। দেশ, সমাজ রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের পারিবারিক, সামাজিক মূল্যবোধগুলো যেন টিকে থাকে এবং আরো সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড়ায় সে বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।

    গ্রন্থকার ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর সভাপতিত্বে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাকসুদ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভুঁইয়া এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

  • ভিসা নীতির কারণে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে পারবে না: তথ্যমন্ত্রী

    ভিসা নীতির কারণে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে পারবে না: তথ্যমন্ত্রী

    মার্কিন ভিসা নীতির কারণে নির্বাচন প্রতিহত কিংবা বর্জন করতে পারবে না বিএনপি। তাদের এখন নির্বাচনে আসতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    সোমবার (২৯ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

    ‘বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে প্রতিনিয়তই অনেক আলোচনা হচ্ছে।

    বিএনপির ভাষায়, এটি বর্তমান সরকারের জন্য লজ্জাজনক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এতে অর্থপাচার কমে আসবে।’

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ভিসা নীতি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে একটি স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছে, এটি তার জন্য সহায়ক হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। আামি মনে করি, বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে এ ভিসা নীতি। কারণ এখন আর নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিতে পারবে না তারা।

    তিনি বলেন, কারণ ভিসা নীতিতে বলা হয়েছে, এটি সরকারি ও বিরোধী—দুই দলের জন্যই। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। নির্বাচনে বাধা দেওয়া-তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেওয়াই। আর নির্বাচন প্রতিহত করা সংঘাত তৈরি করা। কাজেই এগুলো তো বিএনপি করতে পারবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল, তারা বলেছে, এটি নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে।

    হাছান মাহমুদ বলেন, কাজেই যুক্তরাষ্ট্র-তো বটেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি বিশ্বজুড়ে কারওই কোনো সমর্থন নেই। অন্তত আন্তর্জাতিকভাবে এ নিয়ে আর কিছু বলার সুযোগ নেই বিএনপির। এটি তাদের ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।

    এদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন দিয়ে শুরু করেছি। তাহলে কী আগের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগেরগুলোও সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। গাজীপুরেরটি যেহেতু খুবই সাম্প্রতিক, যে কারণে এই নির্বাচনের উদহারণ টেনেছেন তিনি।

    মার্কিন ভিসা নীতির পর বিএনপি বলেছে যে নির্বাচন প্রতিহতের পথে তারা যাবে না। তারা অন্য কোনো পদ্ধতিতে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পথ বের করবে। এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির এই বক্তব্যেই স্পষ্ট যে এ ভিসানীতির কারণে বিএনপির ওপর বিরাট চাপ তৈরি হয়েছে। তারা প্রতিহত, প্রতিরোধ বর্জনের কথা বলতে পারছে না।

    নির্বাচন স্বচ্ছ হচ্ছে না এই ধরনের চিন্তা করেই একটি বাইরের দেশ ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, এটি সরকারের জন্য বিব্রতকর কিনা, প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ভিসা নীতি কেবল বাংলাদেশের জন্যই না, অনেক দেশের জন্য প্রযোজ্য। কোনোটা ঘোষণা করা হয়েছে, কোনোটি ঘোষণা করা হয়নি।

    জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের এসব কর্মসূচি একেবারেই গতানুগতিক। তারা কিছুক্ষণ হাঁটে, কিছুক্ষণ বসে, তারপর কিছুক্ষণ গাড়িঘোড়া পোড়ায়। এখন তারা হয়ত দৌড়ানোর কর্মসূচি দেবে।

  • স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম উন্নয়ন সহায়ক ও গণতন্ত্রে অপরিহার্য : তথ্যমন্ত্রী

    স্বাধীন এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম উন্নয়ন সহায়ক ও গণতন্ত্রে অপরিহার্য : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীন, স্বচ্ছ এবং দায়িত্বশীল গণমাধ্যম অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সহায়ক এবং গণতান্ত্রিক সমাজের জন্য অপরিহার্য। একইসাথে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীন বিকাশ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানের এক অনন্য উদাহরণ।

    মঙ্গলবার দুপুরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ১৮তম এশিয়া মিডিয়া সামিট উদ্বোধনী দিনে ‘অর্থনৈতিক পুণর্গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশনে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।

    এশিয়া-প্যাসিফিক ইনস্টিটিউট ফর ব্রডকাস্টিং ডিভালপমেন্ট (এআইবিডি) আয়োজিত সম্মেলনের এ অধিবেশনে কম্বোডিয়ার তথ্যমন্ত্রী খিউ কানহারিত (Khieu Kanharith), মায়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওন (Maung Maung Ohn), সামোয়ার যোগাযোগ তথ্য ও প্রযুক্তিমন্ত্রী তোলুপ পৌমুলিনুকু ওনেসেমো (Toelupe Poumulinuku Onesemo) এবং ফিজির সহকারী মন্ত্রী সাকিউসা তুবুনা (Sakiusa Tubuna) বক্তব্য রাখেন। তিন দিনব্যাপী এবারের সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘অর্থনীতিকে আরও টেকসই করতে গণমামধ্যমের ভূমিকা’।

    তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এবং দেশে দেশে অর্থনীতি পুণরুদ্ধারে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বাংলাদেশে প্রেক্ষিত তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের গণমাধ্যম এ ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং নীতি দেশের নাগরিকদের কাছে তুলে ধরে মানুষকে সচেতন রেখেছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ সুবিধা নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। একইসাথে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিয়েছে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে।

    গণমাধ্যম যেমন বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে এবং চিন্তা ও উদ্ভাবনী পরিকল্পনাকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে তেমনি সরকারের দায়িত্বশীলতাও বৃদ্ধি করে উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সে কারণে বাংলাদেশ সরকার প্রায় দেড় হাজার পত্রিকা এবং কয়েক ডজন টেলিভিশন ও রেডিওকে লাইসেন্স প্রদান করেছে যাতে এই গণমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে দেশের অর্থনীতি পুণর্গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে।

    আমাদের দেশ এবং এশীয় প্রশান্ত অঞ্চল তথা বিশ্বের সমৃদ্ধ ভবিষ্যত গড়তে সরকার এবং গণমাধ্যম হাতে হাত রেখে কাজ করবে, প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন হাছান মাহমুদ।

  • ‘ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের প্রতি সতর্কতা বিএনপির অপরাজনীতির ফসল’

    ‘ঢাকায় মার্কিন নাগরিকদের প্রতি সতর্কতা বিএনপির অপরাজনীতির ফসল’

    বাংলাদেশে অবস্থানকারী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাইরে চলাফেরার ব্যাপারে সতর্ক করেছে দেশটির দূতাবাস। আর এ বিষয়টিকে বিএনপির অপরাজনীতির ফসল বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    সোমবার (২২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে টেলিভিশন নাট্যপরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের নবনির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তথ্য সচিব মো. হুমায়ুন কবির উপস্থিত ছিলেন।

    গতকাল (রোববার) ঢাকার মার্কিন দূতাবাস থেকে একটি সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। মূলত আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে যেকোনো ধরনের অস্থিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা থেকে বাংলাদেশে অবস্থানকারী মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করে চলাফেরা করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এটি করা খুবই স্বাভাবিক। কারণ বিএনপি যেভাবে আবার গাড়ি ভাঙচুর করা শুরু করেছে, আবার যেভাবে গাড়িতে আগুন দেওয়া শুরু করেছে, এগুলো দেখেইতো যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের সতর্ক করেছে।

    বিএনপি ও তাদের শরিক দলগুলো যদি এরকম জ্বালাও-পোড়াও-ভাঙচুর করতে থাকে তাহলে আরও অনেক দেশ এরকম সতর্কতা জারি করতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি বিএনপির অপরাজনীতির ফসল।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত পরশুদিন রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক প্রকাশ্যে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপি আসলে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করে। বিএনপির নেতাদের ও দলের মধ্যে এই বিষয়টাই ঘুরপাক খাচ্ছে। আর সেটা মুখ ফসকে বেরিয়ে গেছে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়কের মুখ দিয়ে। বিএনপির রাজনীতি যে অপরাজনীতি… হত্যা ও খুনের রাজনীতি সেটি থেকে তারা বেরিয়ে আসতে পারেনি।

  • নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হয় না : তথ্যমন্ত্রী

    নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হয় না : তথ্যমন্ত্রী

    নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হয় না বলে মনে করেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    রোববার (২১ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

    তিনি বলেন, কিউবার বিরুদ্ধে, মায়ানমারের বিরুদ্ধে অনেক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কোন লাভ হয়নি।

    এসময় মন্ত্রী ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, অস্বাভাবিকভাবে সিন্ডিকেট করে যারা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে।

    বিএনপি সরকার পতনের এক দফা নিয়ে বরাবরই উচ্চবাচ্য করে মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের আবার দফা বাড়ে। এ সার্কাস আমরা বহুবছর ধরেই দেখেছি।

    তিনি আরও বলেন, বিএনপি কাগুজে বাঘে পরিণত হয়েছে, তাদের খালি কলসী বেশি বাজে। বিএনপি আসলে কাগুজে বাঘ ছাড়া কিছুই না।

  • শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে দেশে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরেছে : তথ্যমন্ত্রী

    শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে দেশে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফিরেছে : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনে দেশে গণতন্ত্র ফিরেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফরের সফলতা ও বিশ্বব্যাংকের মনোভাব উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, তিনি বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন।

    আজ দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় সভায় আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল।

    ‘১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রত্যাবর্তন হয়েছিল’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে শেখ হাসিনার সরকারের জনপ্রিয়তা আছে কি না, তা দেখার জন্য আমি বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে আসার অনুরোধ জানাই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তারা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমে ২৯টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে পালিয়ে গিয়েছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে নির্বাচনী ট্রেনে উঠে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। আমি অনুরোধ করবো, আসুন এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক সমর্থন নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে সফর করেছেন। যারা সফরে ছিলেন, তারা দেখতে পেরেছে কিভাবে প্রধানমন্ত্রীকে জাপান সম্মান করেছে। তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য ৩০ বিলিয়ন ইয়েন চুক্তি করেছে। আর যে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তারা তাদের ভুল অনুধাবন করেছে উল্লেখ করে

    মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক ছুটির দিনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য অনুষ্ঠান ডেকেছে। কারণ শনিবার ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর কোনো সময় ছিল না। শুধু প্রধানমন্ত্রীর জন্য তারা অনুষ্ঠান করেছে, নতুন করে বাংলাদেশে অর্থায়নের প্রস্তাব দিয়েছে। আর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, আপনি আমার আইডল। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা আপনাকে আইডল মানেন।’

    এ সময় বিএনপি নেতাদের চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফখরুল সাহেবরা যদি এগুলো শুনতে না পান, তাহলে কানের ডাক্তার দেখান। যদি দেখতে না পান, তাহলে চোখের ডাক্তার দেখান। আপনাদের যে চিকিৎসক সংগঠন ড্যাব আছে, তাদের থেকে চিকিৎসা নেন। তারা না পারলে, আমাদের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কাছ থেকে চিকিৎসা নেন।’

    ড. হাছান বলেন, “সোশ্যাল ইনডেক্স, হিউম্যান ইনডেক্স ও হেলথ ইনডেক্সে বাংলাদেশ ভারতকেও অতিক্রম করেছে। আমরা মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে ভারতকে ২০২১ সালে অতিক্রম করেছি। এ সাফল্যে ভারত ও পাকিস্তানের ‘টক শো’গুলোতে এবং ওই দু’দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে শেখ হাসিনার প্রশংসার এবং তাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশের টেলিভিশনগুলোতে সেভাবে শেখ হাসিনার প্রশংসা করা হয়নি। এটিই বাস্তবতা।’ তিনি বলেন, মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে হবে। সেজন্য জাতির সাফল্য ও অর্জন গণমাধ্যমে তুলে ধরতে হবে। অবশ্য গণমাধ্যমে দায়িত্বশীলদের ভুল ত্রুটির এবং সরকারের সমালোচনাও হবে। কিন্তু জাতির সাফল্য যদি তুলে ধরা না হয়, তাহলে মানুষ আশাবাদী হবে না।’

    ছাত্রলীগের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে। এ জন্য ছাত্রলীগের কর্মীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে অসত্য প্রচারের বিরুদ্ধে সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হবে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।

  • বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেয়ার মতো : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেয়ার মতো : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনের কর্মসূচি হচ্ছে গাড়ি বসে গেলে ওটাকে মাঝে মধ্যে স্টার্ট দিতে হয়, বিএনপি’র আন্দোলনের কর্মসূচিও হচ্ছে সেরকম বসে যাওয়া গাড়ি স্টার্ট দেয়ার মতো। কারণ বিএনপি দলটাইতো বসে গেছে। মাঝে মধ্যে স্টার্ট দেয়ার জন্য, যাতে জং ধরে না যায় সেজন্য আন্দোলনের কর্মসূচি দেই। এছাড়া অন্য কোন কিছু নয়।

    তিনি বলেন, আমার মনে হয় বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রিজভী সাহেবসহ বিএনপির নেতারা বিশ্বময় যে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণযোগ্যতা, তার প্রতি বিশ্বনেতৃবৃন্দের বা বিশ্বঅঙ্গনের যে আস্থা সেটি বুঝতে তারা ব্যর্থ হয়েছে।

    শুক্রবার (১৯ মে) দুপুরে চট্টগ্রামে বেসরকারি ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন ওপেনিং সেরেমনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে অস্তিত্বের প্রশ্নে সরকার আবুল তাবুল বকছে এবং বেসামাল হয়ে গেছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউকে সফর করেছেন। তিনি অত্যন্ত সফল একটা সফর করে এসেছেন। যে বিশ্বব্যাংক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল সেই বিশ্ব ব্যাংক নিজেরাই প্রস্তাব করেছে ২.২৫ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশকে সহায়তা করার। এবং জাপান ৩০ বিলিয়ন ইয়েন আমাদেরকে সাহায্য করবে বিভিন্ন প্রকল্পে।

    তিনি বলেন, আজকে শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের নেতা নয়, বিশ্বনেতায় রূপান্তরিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যে ইউকে’র প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে বলেছেন আপনি আমাদের আইডল, আমার মেয়েদেরও আইডল। যাদের বুদ্ধি, চোখ-কান, শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তির সাথে বোধশক্তি আছে তারা এগুলো বুঝতে পারে। এখন বিএনপি নেতারা কেন দৃষ্টিহীন এবং শ্রবণশক্তিহীন তারসাথে বোধশক্তিহীনও হয়ে গেল সেটি আমার বোধগম্য নয় ।

    সরকার দেশে-বিদেশে আস্থা অর্জনে ব্যর্থ হয়ে এখন ভোটারবিহীন নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের এমন বক্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে গত ১৬ মে জাতিসংঘ ‘দ্যা শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে প্রস্তাব এনে আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। সেই প্রস্তাব এবং বাংলাদেশের সাথে কো-স্পন্সর হয়েছে একাত্তরটি দেশ। এরপরও কি কেউ বলা উচিৎ জননেত্রী শেখ হাসিনা কিংবা সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বময় কি আছে ? এটি বলার কোন প্রয়োজন নেই।

    এরআগে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির সেশন ওপেনিং সেরেমনি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাঠদান আর সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় নয়। একজন শিক্ষার্থী বিশ্বাঙ্গনে যাতে নিজেকে ঠিকিয়ে রাখতে পারে, বিশ্বঅঙ্গনে বিশ্বময় সে যাতে দাপিয়ে বেড়াতে পারে, বিশ্বঅঙ্গনে সে যাতে তার যোগ্যতাকে তুলে ধরতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয় একটি শিক্ষানিকেতন।

    তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের শেখাতে হবে কিভাবে জীবন গড়তে হবে, কিভাবে জীবনযুদ্ধে জয়ি হতে হবে, কিভাবে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। কিভাবে উজান ঠেলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের বহুমাত্রিক মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে, তাহলেই সেটি বিশ্ববিদ্যালয়। না হয় সেটির নাম বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া শ্রেয় নয়। আমি জানি ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটি করা হয়। সেটিকে যদি আরো বিস্তৃত করা হয় তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হবে তাদেরকে সত্যিকার অর্থে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বড় কিংবা ছোট নয় সেখানে কোয়ালিটি এডুকেশন দেয়া হয় কিনা সেটিই হচ্ছে মূখ্য বিষয়। আজকে জীবন সম্পর্কে মানুষের ধারণা পাল্টে গেছে। জীবন শুধু নিজের জন্য নয়, জীবন দেশ সমাজ ও পরিবারের জন্য। এবং স্বপ্ন শুধুু নিজের জন্য দেখা নয়, সমাজ ও দেশের জন্যও স্বপ্ন দেখতে হয়। একজন ব্যক্তি তখন সত্যিকার অর্থে ভালো মানুষ হয় যখন তিনি মেধা, মূল্যবোধ দেশাত্ববোধ এবং মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটাতে পারে তার চরিত্রের মধ্যে। তাহলেই তিনি সত্যিকার অর্থে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে দাঁড়ায়।

    তিনি বলেন, সেটি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে শিক্ষাটা দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি শেখায় তোমাকে ভালো পাশ করতে হবে, পাশ করে একটা বড় চাকুরি পেতে হবে, কিংবা ব্যবসা প্রশাসনে পড়াশোনা করে একটা বড় এক্সিকিউটিভ হতে হবে, তারপর অনেক অর্থ উপার্জন করতে হবে, তাহলে নিজের জন্য শিখবে নিজের জন্য পড়বে, দেশ সমাজ জাতি তার কাছ থেকে খুব বেশি কিছু পাবেনা।

    ছাত্রছাত্রীদের স্বপ্ন দেখার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, কোন কিছুই প্রতিবন্ধকতা নয়, প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে ভয় ও প্রচেষ্ঠার অভাব এবং স্বপ্ন দেখতে না পারা। স্বপ্নের সাথে প্রচেষ্ঠাকে যুক্ত করতে হবে। অভিভাবকদের স্বপ্ন দেখাতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। স্বপ্নের বাস্তবায়নের জন্য তারা যাতে প্রচেষ্ঠাকে যুক্ত করে সেটিই তাদের শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে সব স্বপ্ন নাহলেও অনেক স্বপ্ন বাস্তবে রূপায়িত হবে।

    ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মুহাম্মদ সিকান্দর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্টার সজল কান্তি বড়ুয়া।

  • বাড়তি নিরাপত্তার এখন প্রয়োজন নেই, তাই প্রত্যাহার: তথ্যমন্ত্রী

    বাড়তি নিরাপত্তার এখন প্রয়োজন নেই, তাই প্রত্যাহার: তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রদূতদের এখন বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন নেই, সেজন্যই তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সব কূটনৈতিকদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়। দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর কয়েকজন কূটনৈতিককে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। আমাদের সরকার অত্যন্ত সফলভাবে জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গি দমনের সক্ষমতার ক্ষেত্রে উন্নত অনেক দেশের চেয়েও সক্ষমতা বেশি দেখাতে পেরেছি। তাই বাড়তি নিরাপত্তার এখন দরকার নেই।

    তিনি বলেন, নিরাপত্তা নয়, বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রয়োজন না থাকলে বাড়তি নিরাপত্তারও প্রয়োজন নেই। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও ক্লিয়ার করেছেন, কেউ যদি অর্থ দিয়ে বাড়তি নিরাপত্তা চায় সেটা দেওয়া যেতে পারে।

    সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয় নেই। এটি রুটিন ওয়ার্ক। রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তার এখন প্রয়োজন নেই, সেজন্য তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।