Tag: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

  • বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় জলবায়ুঝুঁকি নিরসনে ব্রতী বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় জলবায়ুঝুঁকি নিরসনে ব্রতী বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবনী সবুজ প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার করে জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র‍্যের ক্ষতি, সামুদ্রিক দূষণসহ পরিবেশগত নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করে যাবে বাংলাদেশ।

    সুইডেনের স্টকহোমে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে স্থানীয় সময় শনিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ‘সবুজ উদ্যোগ ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ’ (Green Opportunities and Global Challenges) গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এস্তোনিয়া, মালদ্বীপ, ডেনমার্ক, ইউরোপিয়ান কমিশনসহ ই্ইউ ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশ এতে অংশ নেয়।

    সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন টেকসই উন্নয়নের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত। অতিরিক্ত তাপমাত্রা, অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, বন্যা ও খরা, তীব্র গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, মহাসাগরের অম্লায়ন ইত্যাদি, বিশেষত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর কোটি কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকার উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’

    ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের কার্বন নি:সরণ বৈশ্বিক অনুপাতে ০.৪৭ শতাংশের কম হলেও আমরা পরিবেশ পরিবর্তনের অসহায় শিকার। বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগরের উপকূলীয় একটি দেশ হিসেবে জলবায়ু ও দুর্যোগজনিত সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে ৭ম স্থানে রয়েছি আমরা।

    এ অবস্থা উত্তরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা গোলটেবিলে তুলে ধরেন পরিবেশবিদ তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ নিজস্ব জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে ৪৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নে ৮০০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। সরকার ২০২২-২০৪১ সালব্যাপী মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনার (Mujib Climate Prosperity Plan) মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তির সর্বাধিক ব্যবহারে কাজ করছে।

    মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ ২৬-এ আমাদর শক্তির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে অর্জনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। আমরা ৬ মিলিয়নেরও বেশি সোলার-হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে ২০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে সৌরবিদ্যুতের আওতায় এনেছি, যা বিশ্বে এ ধরণের কাজের বৃহত্তম নজীর।

    নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্ভাবন ও স্থাপনায় বিশ্বব্যাপী অগ্রগামী ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সবুজ অংশীদারিত্বে যোগদানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ অনুকূল সাড়া দিয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো উন্নত দেশগুলোর কারিগরি, আর্থিক সহায়তা ও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।

    একইসাথে হাছান বলেন, পরিবেশ পরিবর্তনের সাথে অভিযোজন এবং ঝুঁকি প্রশমনের মধ্যে ভারসাম্য ও লাভ-ক্ষতি তহবিলের প্রাথমিক কার্যক্রম চালু করার জন্য উন্নত দেশগুলো প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড় করার ক্ষেত্রে ইইউ ও অন্যান্য ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ একত্রে কাজ করতে আগ্রহী।

    সুইডিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠক

    এদিকে ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মন্ত্রী ফোরামে যোগদান শেষে সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী টাবিয়াস বিলস্ট্রমের (Tobias Billstrom) সাথে বৈঠক করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান।

    রোববার দুপুরে সুইডেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় যেমন বর্জ্য থেকে শক্তি উৎপাদন, অন্যান্য উৎস থেকে সবুজ শক্তি উৎপাদন, উচ্চ প্রযুক্তি শিল্প, জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকিহ্রাস এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।সুইডেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেহেদী হাসান গোলটেবিল ও দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশবিরোধী প্রচারণা রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন : স্টকহোমে তথ্যমন্ত্রী

    দেশবিরোধী প্রচারণা রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকুন : স্টকহোমে তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘ইউরোপে বসবাসের সুবিধার অপব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি অর্থের বিনিময়ে দেশবিরোধী প্রচারণায় লিপ্ত। ইউরোপ প্রবাসী দেশপ্রেমিক বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ থেকে এসব হীন ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে হবে।’

    সুইডেনের রাজধানীতে অনুষ্ঠেয় ‘ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে’ অংশ নিতে শনিবার স্টকহোমে পৌঁছালে তথ্যমন্ত্রীকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেহেদী হাসান এবং সেখানকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তাদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ২০০৭-২০০৮ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করে বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ প্রয়োজনের সময় সবক্ষেত্রে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাঠিয়ে তারা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতেও ভূমিকা রেখে চলেছেন।’

    সুইডেন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির, সাধারণ সম্পাদক ড. ফরহাদ আলী খান, সহ-সভাপতি সিরাজুল হক খান রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দলিল উদ্দিন দুলু, কোষাধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, সহ-প্রচার সম্পাদক আফসার আহমেদসহ সুইডেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদ নরডিক শাখার নেতৃবৃন্দ বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা অনন্য : দুবাইয়ে তথ্যমন্ত্রী

    দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ভূমিকা অনন্য : দুবাইয়ে তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ব নেতৃবৃন্দ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ। প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পাঠিয়ে এই অগ্রগতিতে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতেও তাদের অবদান রয়েছে।

    সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিতব্য ‘ইইউ ইন্দো-প্যাসিফিক মিনিস্টেরিয়াল ফোরামে’ অংশ নিতে বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে রওনা হয়ে দুবাই আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছালে আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও দুবাই প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া সমিতির নেতৃবৃন্দ মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। যাত্রাবিরতিকালে স্থানীয় একটি হোটেলে নেতৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎকালে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘একটি গোষ্ঠি দেশের এই উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে জাতির পিতার সুযোগ্যকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে হবে এবং দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিতে হবে।’

    আবুধাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব ইফতেখার হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন তালুকদার এবং দুবাই ও উত্তর আমিরাত প্রবাসী রাঙ্গুনিয়া সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাওলানা ফজলুল কবির চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে স্থানীয় নেতাদের মধ্যে মঈন উদ্দিন, আবু তাহের, সাজ্জাদুর ইসলাম রুবেল, মোজাম্মেল হোসেন চৌধুরী, রিয়াদ বিন রাজু, সাইফুল ইসলাম হারুন, আমিরাত যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি শামসুল হক মিজান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস, সাইফুল আলম প্রমুখ সভায় যোগ দেন।

  • বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনার উচ্চাসন ও সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে : তথ্যমন্ত্রী

    বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনার উচ্চাসন ও সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিশ্ব অঙ্গণে জননেত্রী শেখ হাসিনার উচ্চতা আর তার সরকারের প্রতি বিশ্ব অঙ্গণের সমর্থন কোন জায়গায় সেটি নিশ্চয়ই বিএনপি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছে। সেটি না করতে না পারলে বিএনপি ভুল করবে।

    সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

    সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরের শেষ পর্যায়ে এখন যুক্তরাজ্যে রয়েছেন, ৯ মে তিনি দেশে ফিরে আসবেন। তার এই সফর অত্যন্ত সফল একটি সফর। জাপানের সরকার ও জনগণ রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভাবনীয় মর্যাদা দিয়েছে এবং আমাদের নানা প্রকল্পে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার চুক্তি সই করেছে। পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বিশ্বব্যাংক ভুল উপলব্ধি করে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ করে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে এখন ২.২৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তার চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’

    সেইসাথে যুক্তরাজ্যের নতুন রাজার অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাওয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে রাজা চালর্সের সাক্ষাৎ ও কুশলবিনিময়ের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলেছেন যে- শেখ হাসিনা হচ্ছেন আমার ‘আইডল’। এবং শুধু তারই নয়, তার মেয়েদেরও ‘আইডল’। পাশাপাশি ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কমনওয়েলথ মহাসচিবসহ অনেকেই শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেছেন।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই সফরে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে একটি সুন্দর নির্বাচন করার ঐকান্তিক ইচ্ছার কথা এবং সকল পর্যবেক্ষককে নির্বাচন দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আর সেই সময় বাংলাদেশে বিএনপির নেতৃবৃন্দ নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিচ্ছে। নির্বাচন প্রতিহত করার বা বর্জনের ঘোষণা গণতন্ত্রকে প্রতিহত করা বা ঠেকিয়ে দেওয়ার ঘোষণার মতো। আসলে বিএনপি দেশে গণতন্ত্র চায় না। বিএনপি সবসময় পানি ঘোলা করতে চায় এবং ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করতে পারে কিন্তু নির্বাচন বন্ধ করা কিম্বা ঠেকিয়ে দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখানোর সুযোগ নাই। এ দেশের মানুষ বিএনপিকে সেই সুযোগ দেবে না।’

    বিএনপির ঘোষণা যে তারা বর্তমান সরকারের অধিনে নির্বাচনে অংশ নেবে না -এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অবশ্যই চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি অতীতের মতো নির্বাচন থেকে পালিয়ে বেড়াক সেটি আমরা চাই না। আমরা বিএনপির সাথে খেলতে চাই কিন্তু ওরা খেলা থেকে বারবার পালিয়ে যায়, এটিই হচ্ছে দু:খজনক।’

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘আসলে বিএনপি নানা ভাষায়, নানা ছুতোয়, নানা কৌশলে বলে কিন্তু তাদের সমস্ত কথার সারমর্ম হচ্ছে এমন ব্যবস্থা চাই যার মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর নিশ্চয়তা পাবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন দিতে পারবে না, এদেশের জনগণও দিতে পারবে না। এ দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধিনে বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপির শরিকরা আসন বন্টন নিয়ে আলোচনা করছে তার অর্থ হচ্ছে বিএনপি নির্বাচন না চাইলেও শরিকরা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে শরিকরাও বিএনপি থেকে পালিয়ে যাবে।’

    ড. ইউনুসের বিষয়টি নোবেল পুরস্কারকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে : তথ্যমন্ত্রী

    সাংবাদিকরা এ সময় ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে শ্রমিকদের পাওনা বঞ্চিত করার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতের রায় নিয়ে প্রশ্ন করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনুসের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, যেভাবেই হোক তিনি নোবেল লরিয়েট এবং একজন নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে শ্রমিকরা মামলা করেছে, অন্য কেউ নয়। এ রকম একজন নোবেল লরিয়েট শ্রমিকদের পাওনা বুঝিয়ে দেননি, বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও বুঝিয়ে দেননি বরং অসাধু উপায়ে সেটি সুরাহা করার অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন -এ সমস্ত অভিযোগ গুরুতর এবং অত্যন্ত দু:খজনক। এগুলো আসলে নোবেল পুরস্কারকে কলংকৃত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, ড. ইউনুসের আবেদন খারিজ করে আদালত বলেছে মামলা চলবে। আশা করবো, মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই তার পক্ষ থেকে পাওনা পরিশোধ করে দিয়ে বিষয়টি ফয়সালা হবে।’

     

  • প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা উকিল আহমদ তালুকদারের ইন্তেকালে তথ্যমন্ত্রীর শোক

    প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা উকিল আহমদ তালুকদারের ইন্তেকালে তথ্যমন্ত্রীর শোক

    চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব উকিল আহমদ তালুকদার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    বার্ধক্যজনিত কারণে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা রোববার (৭ মে) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর এবং ৩ ছেলে ও ৫ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।

    সদালাপী প্রবীণ রাজনীতিবিদ আলহাজ্ব উকিল আহমদ তালুকদার ১৯৭৯ সালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতিকে প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। বঙ্গবন্ধুর সাহচার্য পাওয়া এই রাজনীতিক ২০০৮ ও ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া বর্তমানে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা কমিটির সদস্য উকিল আহমদ তালুকদার এরআগে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন রাঙ্গুনিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও রাঙ্গুনিয়া কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।

    প্রবীন এই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যুর সংবাদে শোকাহত তথ্যমন্ত্রী আন্তরিকভাবে প্রয়াতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। রাঙ্গুনিয়ার সন্তান তথ্যমন্ত্রী তাঁর শোকবার্তায় বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আজীবন ধারণকারী উকিল আহমদ তালুকদার জনহিতকর কাজে নিজেকে ব্যাপৃত রেখেছিলেন এবং এলাকাবাসীর সেবায় আত্মনিয়োগের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছেন।

  • বাংলাদেশ নিয়ে সমগ্র বিশ্বের প্রশংসা শুনে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ : তথ্যমন্ত্রী

    বাংলাদেশ নিয়ে সমগ্র বিশ্বের প্রশংসা শুনে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার কারণেই আজকে সমগ্র বাংলাদেশ বদলে গেছে, সেই কারণে সমগ্র পৃথিবী আজকে শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের প্রশংসা করছে। শুধু প্রশংসা করতে পারেনা বিএনপি। বাংলাদেশ নিয়ে সমগ্র বিশ্বের প্রশংসা শুনে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এখন তারা আবুল-তাবুল বকছে।

    বিএনপি নেতাদের একটু মানসিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সম্ভবত গরমের কারণে তাদের মাথা একটু খারাপ হয়ে গেছে। কারণ কিছু কিছু মানুষ আছে বেশি গরম পড়লে মাথা ঠিক রাখতে পারেনা। তাদেরও এটা হয়েছে কিনা সেটিই আমার প্রশ্ন ? আবার কিছু মানুষ আছে শীতকাল আসলে মাথা ঠিক থাকেনা। তাদের কিন্তু দুই মৌসুমেই মাথা ঠিক থাকেনা।

    শনিবার (৬ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক ইউনিয়নের নবনির্মিত তেলিপাড়া সেতু সংলগ্ন চত্বরে বিভিন্ন দপ্তরের অর্থায়নে চার ইউনিয়নে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত শতাধিক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল, গয়েশ্বর বাবু, খন্দকার মোশাররফ, রিজভী ও আমির খসরু সাহেব দেখি আমাদের সমালোচনা করে। এটির কারণ হচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশ বদলে গেছে, এতে সমগ্র পৃথিবী শেখ হাসিনার প্রশংসা করছে, তাতে উনাদের মাথা খারাপ। আমি তাদের বলবো, আপনারা মাথা খারাপ না করে ঠান্ডা রাখুন। আপনারাও স্বীকার করুণ আজকে দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বদলে গেছে।

    তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওপাড়ে গিয়ে জনসভা করে বলেন দেশে কিছুই হয়নি। একইভাবে আমাদের রাঙ্গুনিয়ায়ও বিভিন্ন সেতু ও চকচকে রাস্তার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে গিয়ে বিএনপি নেতারা বলেন কিছুই হয়নি। এজন্যই তাদের মানসিক চিকিৎসা করা প্রয়োজন।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, যারা ভোট আসলে বড় বড় কথা বলে, তাদের জিজ্ঞেস করবেন আমরা যে চকচকে রাস্তা করেছি, তার গর্তগুলো তারা ভরাট করতে পারবে কিনা। আমরা কাজ করলে তারা ভুল খুঁজে। বিএনপি হল মূলত ভুল ধরা পার্টি।
    তিনি বলেন, গত সোয়া ১৪ বছর সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা করেছি একজন এমপি হিসেবে জনগণের সাথে থাকার এবং অভাব অভিযোগ শোনার। যতটুকু সম্ভব সমাধানের চেষ্টা করেছি।

    দলের নাম ব্যবহার করে অপকর্মে লিপ্তদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে হাছান মাহমুদ বলেন, দলের নাম বিক্রি করে যে কেউ অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের কোন জায়গা আমাদের দলে নেই। তাদের ব্যাপারে কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সরফভাটা ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় কিছু সন্ত্রাসীর অবস্থান এবং নানা অপরাধ কর্মকান্ড ঘটছে। সেখানে পুলিশ বিট দেয়া হয়েছে। তবে খুব সহসায় তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমূলে দমন করা হবে।

    সড়ক ও জনপথ বিভাগ, এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর এবং জেলা পরিষদসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রকল্প উদ্বোধন উপলক্ষে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সরফভাটা, শিলক ও পদুয়া ইউনিয়নে পৃথক তিনটি পথসভার আয়োজন করা হয়। বিকেলে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সুখবিলাস উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী। বিদ্যালয়ের সভাপতি খালেদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদেও চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এরশাদ মাহমুদ প্রমুখ।

  • প্রধানমন্ত্রীর সফরের অর্জনে বিএনপির গাত্রদাহ আর ফখরুলের মিথ্যাচারের রেকর্ডভঙ্গ : তথ্যমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রীর সফরের অর্জনে বিএনপির গাত্রদাহ আর ফখরুলের মিথ্যাচারের রেকর্ডভঙ্গ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর জাপান আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য সফরের অর্জনে বিএনপি নেতাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তাদের হতাশা এবং গাত্রদাহ থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যাচারের অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন।

    গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আফগানিস্তানের নিচে দেখানো ফ্রান্সভিত্তিক সংস্থা রিপোর্টার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স- এর রিপোর্টকে ভুয়া এবং বিদ্বেষপ্রসূত উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই রিপোর্টটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং গাঁজাখুড়ি গল্প ছাড়া অন্য কিছু নয়। বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আজকে পৃথিবীতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উদাহরণ। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অনেক উন্নত দেশের চেয়েও বেশি।

    শুক্রবার (৫ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রের মাল্টিপারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপনশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তো দেশের জন্য গিয়েছেন। জাপান আমাদেরকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা করার চুক্তি করেছে। যে বিশ্ব ব্যাংক আমাদের পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, সেই বিশ্বব্যাংক ভুল বুঝে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে ওয়াশিংটনে নিয়ে গেছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে তারা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এবং ২ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সে অর্জনগুলো বিএনপি মানুষের কাছে বিকৃতভাবে কেন মিথ্যাচার করছে সেটিই আমার প্রশ্ন ? মির্জা ফখরুল ইসলাম সাহেবদের অনুরোধ জানাবো, দেশের জন্য জননেত্রী শেখ হাসিনা যেই সাহায্য সহযোগিতা এবং সম্মান বয়ে এনেছেন সেজন্য তারাও সম্মানিত বোধ করতে পারেন।

    তিনি বলেন, আইএমএফ-এর প্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এগুলো দেখে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের গাত্রদাহ হচ্ছে, সেজন্য তিনি মিথ্যাচার করছেন। একই সাথে তিনি তার মিথ্যাচারের ইতিপূর্বের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন।

    ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্স- এর প্রতিবেদন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে যেখানে মেয়েরা স্কুল এবং ইউনিভার্সিটিতে যেতে পারে না, যেই আফগানিস্তানে কেউ কথাই বলতে পাওে না, সেটার নিচে বাংলাদেশকে দেখিয়েছে তারা। এতেই তো প্রমাণিত হয় এই রিপোর্টটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভুয়া এবং গাঁজাখুড়ি গল্প ছাড়া অন্য কিছু নয়।

    তিনি বলেন, এই সংগঠন জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে তাদের অনলাইনে প্রচ্ছদ ছাপিয়েছিল এবং আপত্তিকর ক্যাপশন দিয়েছিল। সেটার প্রেক্ষিতে ফ্রান্সের আদালতে মামলা হয়েছে।

    এর আগে চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র একটি ঐতিহাসিক বেতার কেন্দ্র উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু গ্রেপ্তার হবার পূর্ব মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা যেটি ওয়ারলেসের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছিল, সেটি এই চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে পাঠ করে প্রথম শুনিয়েছিলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান। চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ সারাদিন এটি প্রচার করা হয়।

    তিনি বলেন, পরবর্তীতে ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতারা যখন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন একজন সেনাবাহিনীর অফিসার দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি পাঠ করা প্রয়োজন। তখন প্রথম ইপিআরের অফিসার মেজর রফিক বীর উত্তমের সাথে যোগাযোগ করা হয়। তিনি পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার হয়েছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন আমি এমবুশ নিয়ে বসে আছি, আমি যদি এখান থেকে সরি, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের ক্ষতি হতে পারে। পাকিস্তানিদের আক্রমণ করতে সুবিধা হবে। তাই আমি আমার এমবুশ অবস্থান থেকে সরতে চাইনি। তিনি জিয়াউর রহমানের খোঁজ দিয়েছিলেন।

    ড. হাছান বলেন, মেজর রফিকের একটা বই আছে, বইয়ের শিরোনাম ‘লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে’। সেই বইয়ে সবিস্তারে বর্ণিত আছে। মেজর রফিক সেই বইয়ে লিখেছেন ২৫ মার্চ রাতে জিয়াউর রহমান সোয়াত জাহাজ থেকে পাকিস্তানিদের অস্ত্র খালাস করতে যাচ্ছিলেন। পথে বাধা পেয়ে তিনি ফেরত আসেন। পরে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণাটি পাঠ করেন। আজকে অনেক ইতিহাস বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। ইতিহাস বিকৃতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করার লক্ষ্যে আমরা সমগ্র পৃথিবীর আর্কাইভ থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছি।

    তিনি বলেন, আমি কিছুদিন আগে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম, আমাদের টিম ফ্রান্সেও গিয়েছিল, পৃথিবীর বিভিন্ন আর্কাইভে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা যুদ্ধ, সেগুলো সংরক্ষিত আছে। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা পৃথিবীর বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ২৬ মার্চ এবং ২৭ মার্চ প্রচারিত হয়। এগুলো পৃথিবীর বিভিন্ন আর্কাইভে সংরক্ষিত আছে। আমরা সেগুলো সংগ্রহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। পৃথিবীর অন্যতম সেরা আর্কাইভ ব্রিটিশপাতে, সেখান থেকে এরকম ১৫৬ টি ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছি।

    যারা ইতিহাস বিকৃতি ঘটিয়েছে, তারা জানে না বাংলাদেশে বিকৃতি ঘটালেও সারা পৃথিবীতে সত্য ইতিহাস সংরক্ষিত আছে। সেটা তো বিকৃত করা সম্ভবপর হয়নি। আমরা সেটিই সংগ্রহ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। চিরদিনের জন্য এই বিতর্ক কেউ যেন আর উপস্থাপন করতে না পারে – বলেন তথ্যমন্ত্রী।

  • ভারতীয় ছবি মুক্তি পেলে দেশীয় চলচ্চিত্রের মান বাড়বে: তথ্যমন্ত্রী

    ভারতীয় ছবি মুক্তি পেলে দেশীয় চলচ্চিত্রের মান বাড়বে: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ইতিমধ্যে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ৭৩টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। ঈদে আটটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। সামনের দিনগুলোতে আরও ভালো ছবি আসবে।

    বুধবার (২৬ এপ্রিল) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্মিলিত চলচ্চিত্র পরিষদের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, ‘বছরে যদি ১০টি ভারতীয় ছবি মুক্তি পায় তাহলে আমাদের ছবির ক্ষতি হবে না। আমার মনে হয়, এতে আমাদের চলচ্চিত্রের মান বাড়বে। দর্শকও হলে যাবে। তখন দর্শক দেশীয় ছবিও দেখবে।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানে সিনেমা হলের সংখ্যা ৩৫টিতে নেমে এসেছিল। তারা ভারতীয় ছবির মুক্তি দেওয়ায় এখন তাদের হলের সংখ্যা ১২০০ হয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের শিল্পও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। সিনেপ্লেক্স হয়েছে। আরও সিনেপ্লেক্স হলে ভালো হয়। আপনারাও সিনেপ্লেক্স করতে পারেন।’

    মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দাবি দাওয়ার মধ্যে পুরস্কারপ্রাপ্তদের আইডি কার্ড দেওয়ার বিষয়টি দেখব।’ এফডিসিতে বঙ্গবন্ধুর নামে জাদুঘর স্থাপনে সম্মিলিত চলচ্চিত্র সমিতির নেতাদের দাবির প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র জাদুঘর হতে পারে। তবে সব জায়গায় বঙ্গবন্ধুর নাম ব্যবহার করা সমীচীন নয়।

    প্রধানমন্ত্রীও যত্রতত্র এগুলো করা পছন্দ করেন না। অনুমতি দেন না। এখানে চলচ্চিত্রের একটা আর্কাইভ জাদুঘর করা যেতে পারে, যোগ করেন তিনি।

    এদিকে মন্ত্রীর বক্তব্য শেষে সাংবাদিকরা জানতে চান কারাগার থেকে মুক্তি পয়ে বিএনপি নেতা রিজভী আহমদ বলেছেন, ছোট কারাগার থেকে বড় কারাগারে এসেছি। দেশটা বড় কারাগার, রিজভীর এই বক্তব্যের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, যারা সকাল-বিকাল, রাতে সরকারের সমালোচনা করেন তারা একটু আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতের দিকে তাকান।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় বাকস্বাধীনতা অনেক বেশি। রিজভী সাহেব যে বক্তব্য দিয়েছেন ছোট কারাগার থেকে বড় কারাগারে এসেছেন, বাকস্বাধীনতা না থাকলে তো তিনি এ কথা বলতে পারতেন না। তিনি যদি চান তাহলে তাকে আবার ছোট কারাগারে পাঠানো হবে।’

    তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সম্মিলিত চলচ্চিত্র সমিতির প্রতিনিধির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ, কাজী হায়াৎ, এস ডি রুবেল, নায়ক ফেরদৌস, আবদুল লতিফ বাচ্চু, সুদীপ্ত কুমার প্রমূখ।

  • এবার দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ এবং স্বস্তিদায়ক ঈদ উদযাপন করেছে: তথ্যমন্ত্রী

    এবার দেশের মানুষ শান্তিপূর্ণ এবং স্বস্তিদায়ক ঈদ উদযাপন করেছে: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন মো. সাহাবুদ্দিন। বিগত সময়ে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এবং পরবর্তীতে গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এবার রাষ্ট্রপতি হিসেবেও বিচক্ষণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা করি।

    সোমবার (২৪ এপ্রিল) ঈদের ছুটি শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম ১০ বছর দায়িত্ব পালন শেষে কোনো রাষ্ট্রপতি সসম্মানে দায়িত্ব হস্তান্তর করে বিদায় নিয়েছেন। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে। দেশে গণতন্ত্র আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। যদিও গত ১৪ বছর গণতন্ত্র নষ্ট করতে অনেকেই অনেক অপচেষ্টা চালিয়েছে, এখনও চালাচ্ছে।’

    রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বিদায় নিয়েছেন, এতে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যিনি ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিযুক্ত হলেন তিনি বিচক্ষণভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।’

    তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপির বিরোধিতার এই পটভূমিতে নতুন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।’

    এ বিষয়ে আপনার অভিব্যক্তি কী এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে। সেখানে সরকার শুধু ফেসিলিটরের দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন এরই মধ্যে অনেকগুলো নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত করেছে। সামনে মেয়র নির্বাচনের আয়োজন চলছে, যদিও গাইবান্ধার নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সমস্যার হয়েছে। আশাকরি জাতীয় নির্বাচনও সফল ভাবে আয়োজন করতে পারবে।’

    দেশের মানুষ এবং পুরো বিশ্ব, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছে বলে বিএনপি নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ দেশের সরকার নির্বাচন ও বিদায় দেবার দায়িত্ব জনগণের। এটা বিদেশিদের কাজ নয়। যে রাজনৈতিক দল দেশের বিষয় নিয়ে বিদেশিদের ধর্না দেয় তা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। বিএনপির যদি কোনো বক্তব্য থাকে তাহলে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন কিন্তু বিদেশিদের ধর্না ধরা দেশ বিরোধী কাজ।’

    পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সঙ্কট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে পাকিস্তান পন্থীদের সন্নিবেশ ঘটিয়ে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফকরুল ইসলামের বাবা পাকিস্তান পন্থী ছিলেন এবং তিনিও পাকিস্তানের প্রশংসা করে সে প্রমাণ দিয়েছেন।’

    রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অন্যান্য সব দেশে ঈদের সময় পন্যের দাম কমায় কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের দেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আসায় পন্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এটা অন্যায়।’

    তিনি বলেন, ‘এবার ঈদ ভাল কেটেছে। আমি আশা করি সকলে যেন ভালোভাবে ফিরে আসতে পারেন।’

  • হতাশাগ্রস্ত বিএনপি কোলা ব্যাঙের মত আওয়াজ তুলছে মাত্র : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

    হতাশাগ্রস্ত বিএনপি কোলা ব্যাঙের মত আওয়াজ তুলছে মাত্র : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি দেখতে পাচ্ছে বিদেশিদের ধারে ধারে ধর্ণা দিয়ে ও হাত-পা মালিশ করে কোন লাভ হয় নাই। যারা ভরসা করেছিল তারাও দেখতে পাচ্ছে বিএনপির ওপর কোন ভরসা নাই। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি এখন হতাশাগ্রস্ত হয়ে কোলা ব্যাঙের মত আওয়াজ তুলছে মাত্র।

    তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবদের বড় একটা গলা আছে, অন্য কোন কিছু নেই। ব্যাঙ প্রাণী ছোট, কিন্তু আওয়াজটা খুব বড়। যখন বর্ষাকালে চারিদিকে পানিতে ডুবে যায় তখন ব্যাঙ প্রচণ্ড আওয়াজ করে। আসলে বিএনপির অবস্থাও হয়েছে কোলা ব্যাঙের মত।

    রোববার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময় করেন তথ্যমন্ত্রী। এ সময় মিডিয়াকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই মিডিয়ার ব্যাপ্তি ঘটলেও আমরা সবসময় দেখতে পাই গণমাধ্যমে আজকে যে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি সেটি সঠিকভাবে পরিস্ফূটিত হয় না। কোন খারাপ সংবাদ হলে অনেক ক্ষেত্রে সেটি অনেক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশিত হয়। কেউ কেউ মনে করেন ‘গুড নিউজ ইজ নো নিউজ, বেড নিউজ ইজ গুড নিউজ’ এটি সমীচিন নয় বলে আমি মনে করি।

    তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলের বক্তব্য মিডিয়ার ওপর আক্রমণ। আমি মনে করি মিডিয়ার ওপর আক্রমণ করা সমীচিন নয়। মির্জা ফখরুল প্রচণ্ড হতাশা থেকে এই কথাগুলো বলেছেন। আজকে বাংলাদেশে যেভাবে স্বস্তির ঈদযাত্রা হয়েছে, মানুষ যেভাবে স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন করেছে বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে এটি সত্যিই উদাহরণ। একটু অস্বস্তি ছিল গরমের কারণে। এই গরমের কারণে বিএনপি নেতাদের মাথাখারাপ হয়েছে কিনা আমি জানি না।

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যমের গাণিতিক বৃদ্ধি ঘটেছে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশে সাড়ে চারশ’ দৈনিক পত্রিকা ছিল, এখন ১২ শ ৬০ টির বেশি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। ’৯৬ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবার পর প্রাইভেট টেলিভিশনের যাত্রাটাও শেখ হাসিনার হাত ধরেই হয়েছে। ২০০৯ সালে টেলিভিশন চ্যানেল ছিল ১০টি, এখন ৪৭ টির লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তৎমধ্যে ৩৬টি সম্প্রচারে আছে। লাইসেন্সপ্রাপ্তদের অনেকেই খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে। এতগুলো টেলিভিশন চ্যানেল সেগুলোতে জার্নালিজম থেকে পাশ করে বের হওয়া আমাদের ছেলেমেয়েদের চাকুরির একটা ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

    তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে আজকে সারা পৃথিবী প্রশংসা করছে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের। করোনা মহামারি মোকাবেলা করার ক্ষেত্রেও নিক্কি ইনস্টিটিউট এবং ব্লুমবার্গের যৌথ জরিপ বলছে, বাংলাদেশের অবস্থান পৃথিবীতে পঞ্চম এবং উপ-মহাদেশে প্রথম। করোনা মহামারির মধ্যে ২০২১ সালে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে। সেটি নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানে প্রশংসা হয়েছে। এ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের গণমাধ্যমে তাদের রাজনীতিবিদ ও ক্ষমতাসীনদের নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে প্রশংসার ফুলঝুড়ি বয়ে যায়নি, এটিই বাস্তবতা।

    তথ্যমন্ত্রী ও ইতিপূর্বে দীর্ঘ সাতবছর দলের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের সংসারটা সাংবাদিকদের সাথেই উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সারা পৃথিবীতে বিএনপির পেইড এজেন্ট আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তারা সারা পৃথিবী থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা যে বিভিন্ন জনের কাছে এ কাজের জন্য টাকা পাঠান সেই অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। কাকে কত টাকা দেওয়ার কথা ছিল, টাকা না দেয়ায় সে গোস্বা করেছে। এগুলোতেও যখন কাজ হচ্ছে না তাই মিডিয়ার ওপর চড়াও হয়েছে বিএনপি। মিডিয়া চাইলেও সরকারের বিরুদ্ধে অনেকক্ষেত্রে খারাপ সংবাদ পাচ্ছে না বলে পরিবেশিত হচ্ছে না।

    এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি সফর আলী উপস্থিত ছিলেন।

  • দেশ থেকে ষড়যন্ত্র ও হিংসার রাজনীতি চিরতরে দূরীভূত হোক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

    দেশ থেকে ষড়যন্ত্র ও হিংসার রাজনীতি চিরতরে দূরীভূত হোক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দেশবাসীর প্রতি পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, পবিত্র এইদিনে মহান আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ হচ্ছে আমাদের দেশ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এ অগ্রযাত্রা যাতে অব্যাহত থাকে। পাশাপাশি আমাদের দেশ থেকে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি, সাংঘর্ষিক-হিংসা ও ঘৃণার রাজনীতি যাতে চিরতরে দূরীভূত হয় এটিই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।

    তিনি বলেন, আপনারা জানেন পবিত্র রমজান মাসে আমাদের সরকারের নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে মজুদদার, অসাধু ব্যবসায়ীরা দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াতে পারেনি। এবং ঈদ উপলক্ষেও বিভিন্ন জিনিসের দাম বাড়ানোর যে অপচেষ্টা চালায় সেটাও সম্ভব হয়নি। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ঈদ যাত্রাও অনেক স্বঃস্তিদায়ক হয়েছে। মানুষ স্বঃস্তির সাথে ঈদ যাত্রা করতে পেরেছে। আমরা সবাই মিলে যেন সবসময় দেশের স্বার্থকে উর্দ্ধে তুলে ধরতে পারি সেটিই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা।

    শনিবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সুখবিলাস গ্রামের বাড়ির ঈদগাহে এলাকাবাসীর সাথে প্রতিবারের ন্যায় এবারও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। ঈদের নামাজ আদায় শেষে নিজের পিতার কবর জিয়ারত করেন। নামাজের পর গ্রামের বাড়িতে আত্মীয় স্বজনসহ দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

    এসময় সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্তকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সবাই মিলে যাতে দেশের স্বার্থকে সবার উর্ধ্বে তুলে ধরতে পারি সে চেষ্টা করতে হবে। ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর যেসব দেশে মুসলমান সম্প্রদায় নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, সেখানে যেন ফিলিস্তিনিদের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়, মায়ানমার থেকে যাদের বিতাড়িত করা হয়েছে তাদেরকে যেন সে দেশের সরকার ফেরত নিয়ে যান, তাদের যাতে মুক্তি মিলে মহান আল্লাহর কাছে সে দোয়া প্রার্থনা করি। সবার জীবন মঙ্গলময় হোক, শান্তিময় হোক। দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলুক এবং দেশ থেকে হিংসা ঘৃণা দূরীভূত হোক এটি আজকের দিনের প্রত্যাশা- বলেন তথ্যমন্ত্রী।

  • মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহ : নেদারল্যান্ডসের রেডঅরেঞ্জের সাথে ফিল্ম আর্কাইভের চুক্তি

    মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহ : নেদারল্যান্ডসের রেডঅরেঞ্জের সাথে ফিল্ম আর্কাইভের চুক্তি

    দেশি-বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহ প্রকল্পের আওতায় ডাচ সংস্থা রেডঅরেঞ্জ মিডিয়া এন্ড কমিউনিকেশন্সের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ।

    সোমবার দুপুরে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে বাংলাদেশ দূতাবাসে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘দেশি ও বিদেশি উৎস থেকে মুক্তিযুদ্ধের অডিও ভিজ্যুয়াল দলিল সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্পে’র আওতায় প্রকল্প পরিচালক ড. মো: মোফাকখারুল ইকবাল ও রেড অরেঞ্জের স্ট্র‍্যাটেজিক কমিউনিকেশন এডভাইজার রুটগার-জ্যান শোয়েন (Rutger-Jan Schoen) এ স্মারকে স্বাক্ষর করেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং হেগে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সারাবিশ্ব থেকে মূল্যবান ফুটেজ সংগ্রহ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে। তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। কিন্তু তারা জানতো না যে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিশ্বের বিভিন্ন আর্কাইভেও সংরক্ষিত আছে, রেডঅরেঞ্জ তার মধ্যে অন্যতম। তাদের কাছ থেকে পাওয়া ফুটেজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের নজীর সংরক্ষণে সহায়ক হবে।’

    রেড অরেঞ্জের রুটগার-জ্যান শোয়েন বলেন, ‘এই সমঝোতার মাধ্যমে রেডঅরেঞ্জ বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত আর্কাইভ থেকে মুক্তিযুদ্ধের ফুটেজ সংগ্রহে সহায়তা করবে। রেডঅরেঞ্জের জন্য এটা সম্মানের বিষয়।’