Tag: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

  • বাসন্তীর জালের মতো শিশুর নামে অসত্য লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা কি অপরাধ নয় : তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

    বাসন্তীর জালের মতো শিশুর নামে অসত্য লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা কি অপরাধ নয় : তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

    ‘বাসন্তীকে জাল পরিয়ে বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের মতো একটি শিশুকে ১০ টাকা দিয়ে তার নাম ব্যবহার করে অসত্য লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা কি অপরাধ নয়’ প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। স্বাধীনতা দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ও ফেসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ প্রশ্ন রাখেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

    সাংবাদিকরা এ সময় ‘২০১৩ সালে রানা প্নাজা ধসে হাজার হাজার মানুষ যে দিন নিহত হয়, সে দিন সন্ধ্যায় প্রথম আলো-মেরিল পুরস্কারে নাচ-গান করা, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে প্রথম আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ছাত্রকে নিকটবর্তী উন্নত হাসপাতালে ভর্তি না করে দূরের এক হাসপাতালে ভর্তি করা ও তার মৃত্যু ঘটা এবং এখন স্বাধীনতা দিবসে শিশুর নাম দিয়ে মিথ্যা লিখে স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা -এ সবের কি বিচার’ এ প্রশ্ন করে। জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন- স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতাকে এভাবে কটাক্ষ করে যে সংবাদ প্রচার করা এবং একটা শিশুকে ১০ টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে যেটি বলানোর চেষ্টা করা সে না বললেও সেটিকে ছাপানো -এটি কি সাংবাদিকতার নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি নয়? সে জন্যই এটার প্রচন্ড সমালোচনা হয়েছে, এটি ঠিক নয় বিধায় আপলোড হওয়ার পরে সেটি তারা সরিয়েও ফেলেছিলো। কিন্তু সেটির ‘স্ক্রিনশট’ তো বিভিন্ন জায়গায় ছিলো, অনেকে শেয়ার করেছে, সেগুলো রয়েও গেছে। সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়িয়েছে, ঘুরছে। এতদপ্রেক্ষিতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা মামলা করেছে, মামলার প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে এবং আইনের গতিতে আইন চলবে।’

    সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল। তখন জালের দাম কিন্তু কাপড়ের দামের চেয়ে বেশি ছিলো, এখনো জালের অনেক দাম। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে বাসন্তীর গায়ে জাল পরিয়ে ছবি তুলে প্রকাশ করা হয়েছিল। অনেকে বলছে, ২৬ মার্চে প্রথম আলোর এ ঘটনাটি বাসন্তীকে জাল পরানোর মতোই। রাষ্ট্র, সমাজ, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে এ ধরণের অসত্য পরিবেশন সর্বমহলের মতে একটি অপরাধ, ডিজিটাল অপরাধ।’

    অপরাধ আর সাংবাদিকতা এক জিনিস নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘কোনো সাংবাদিক যদি অপরাধ করে তার কি শাস্তি হবে না? কেউ যদি অপসাংবাদিকতা করে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে এবং একটি ছেলের হাতে ১০ টাকা ধরিয়ে দিয়ে তার নামে অসত্য লেখে, চাইল্ড এক্সপ্লয়টেশন করে, সেটার কি বিচার হবে না? আমরা কি কেউ বিচারের উর্ধ্বে, আইনের উর্ধ্বে? তা তো নয়।’

    এ বিষয়ে বিএনপি’র বিবৃতি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘এটি কোনো কিছু পেলেই বিএনপি’র বিবৃতি দেওয়ার অপচেষ্টা ছাড়া সেটি অন্য কিছু নয়। বাংলাদেশে মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা সেটি অনেক উন্নয়নশীল দেশে নাই। আপনারা যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কথা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হচ্ছে সমগ্র দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য, সাংবাদিকদেরও ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে অনেক সাংবাদিকও মামলা করেছে। ক’দিন আগে একজন নারী সাংবাদিক বিদেশ থেকে চরিত্র হননের দায়ে আরেক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।’

    বিশ্বের দেশে দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের উদাহরণ দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘এ ধরনের আইন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হয়েছে। যুক্তরাজ্যে সাইবার সিকিউরিটি ল’জ এন্ড রেগুলেশন ২০২২, যুক্তরাষ্ট্রে সাইবার ল’ এন্ড পানিশমেন্ট এবং এ ধরণের আইন বিশ্বের বহু দেশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরণের অপরাধের শাস্তি হচ্ছে ২০ বছর কারাদন্ড। এবং ডিজিটাল মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কারণে যদি কারো মৃত্যু হয় তবে সেই ডিজিটাল অপরাধের শাস্তি হচ্ছে যাবজ্জীবন কারাদন্ড। আমাদের দেশের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য অনেক দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনেক বেশি কঠিন।’

    সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনায় অবশ্যই মিথ্যা বলে রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত হানা হয়েছে, স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয় স্মৃতিসৌধ যেটি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক, সেখানে একটা ছেলেকে ১০ টাকা দিয়ে ফুসলিয়ে তাকে দিয়ে কথা বলানোর চেষ্টা করা হয়েছে এবং সে যেটি বলেনি সেটা প্রচার করা হয়েছে। এটি ঠিক হয়নি বলেই তারা সরিয়েছে। সুতরাং অবশ্যই এখানে রাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানা হয়েছে।’

    এর আগে ‘সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপনে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে বঙ্গবন্ধুর কর্ম, বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনকে সমর্থন করে ১৯৭১ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের সংকলন প্রকাশ করার জন্য পিআইবিকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আশা করি এই সংকলনের মাধ্যমে সবাই বঙ্গবন্ধুর অজানা আরো অনেক তথ্য জানতে পারবে। এই সংকলন প্রকাশিত না হলে এই কথাগুলো হারিয়ে যেতো। স্বাধীনতার পূর্বেও বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা, স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনকে সমর্থন করে প্রকাশিত বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ বিজ্ঞাপনের সংকলন একটি অসাধারণ প্রকাশনা।’

  • মির্জা ফখরুলদের সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক : তথ্যমন্ত্রী

    মির্জা ফখরুলদের সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের একমাস পর থেকেই বিএনপি সরকার পতনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আর সরকারকে টেনে নামাতে বহুবার চেষ্টা করে বিএনপিই জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে, তারাই দড়ি ছিড়ে পড়ে গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের সরকারকে টেনে নামানোর হুমকি-ধমকি এখন মানুষের কাছে কৌতুক। এগুলোতে এখন হনুমানও ভেংচি কাটে।

    তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তারাই ঘি ঢেলেছিল। বিডিআর বিদ্রোহের সাথে বিএনপি এবং বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংশ্লিষ্টতা ছিল। বিডিআর বিদ্রোহ যেদিন হয়, সেদিন প্রত্যুষে বেগম খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল। এবং তারেক জিয়ার সাথে বহুবার কথা বলেছেন, সেই রেকর্ড আমাদের কাছে আছে।

    শনিবার (১৮ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া মৌসুমী আবাসিকের আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত আওয়ামী লীগের পতন দ্রুত মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের কাউন্সিলর শাহীন আক্তার রোজী প্রমুখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকার ক্ষমতাই থাকবে কি থাকবে না, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করবে কি করবে না, সেই সময় দেয়া না দেয়ার মালিক হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। বাংলাদেশের জনগণ দেশ পরিচালনার জন্য গত নির্বাচনে আগামী আওয়ামী লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত দায়িত্ব দিয়েছেন। সেজন্যই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন।

    সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জালিয়াতি ও ডাকাতি করেছেন বলে মির্জা ফখরুলের অভিযোগ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসে যত কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটেছে সবকিছুই বিএনপি ঘটিয়েছে। তারা প্রধান বিচারপতির দরজায় লাথি মেরেছিল ইতিপূর্বে। এবার তারা সুপ্রিম কোর্টের ব্যালট ছিনতাই করেছে নির্বাচনী কার্যক্রমকে ভণ্ডুল করার জন্য। নির্বাচনী কার্যক্রমের জন্য প্যান্ডেলসহ যে সমস্ত স্থাপনা করা হয়েছিল সেগুলো ভাঙচুর করেছে। যেভাবে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল তারা, ঠিক সেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি। এটার জন্য তাদের বিচার হওয়া প্রয়োজন।

    তিনি বলেন, আপনারা জানেন ঢাকা বারের নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেছিল। সেখানে তারা শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। তারা সুপ্রিম কোর্ট বারের নির্বাচনের আগেই বুঝতে পেরেছে এই নির্বাচনে তাদের জয়লাভের কোন আশা নেই। সেজন্য তারা প্রথমে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেই, এরপর তারা ব্যালট পেপার ছিনতাই করেছে এবং নির্বাচনী পরিচালনা করার স্থাপনাগুলো ভাংচুর করেছে।

    এরআগে আরসিসি ড্রেনসহ রাস্তা নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরাসনের জন্য এক দশমিক দুই বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছেন। এটি ঢাকা শহরের জন্যও দেয়া হয়নি। এই প্রকল্পের কাজ চলছে, আশা করি আগামী মৌসুমে আগেরমত জলাবদ্ধতা আর হবেনা।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরে পৌনে এক কোটি মানুষ। আমরা পৌনে এক কোটি মানুষ সবাই মিলে যদি ময়লা করি, সিটি কর্পোরেশনের চার হাজার কর্মীর পক্ষে পরিষ্কার রাখা কোনদিন সম্ভব না। সুতরাং আমাদের নাগরিকদেরও দায়িত্ব আছে রাস্তাঘাট নালা-নর্দমা পরিষ্কার রাখা। ড্রেন করার পর সেই ড্রেনে যদি আমরা পলিথিন ও বাসা বাড়ির ময়লা ফেলি তাহলে সেই ড্রেন কখনো সচল থাকেনা। যেটা চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহরে সব জায়গায় হচ্ছে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুর, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু শহর আছে যেখানে থুথু ফেললে জরিমানা দিতে হয়। পৃথিবীর অনেক দেশে গিয়েছি, কোন দেশে আমাদের মত যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার এই অবস্থা নেই। কিন্তু আমরা যখন বিদেশে যাই তখন কিন্তু যেখানে সেখানে ময়লা ফেলি না। এই অভ্যাস থেকে আমাদের সবাইকে বিরত থাকতে হবে।

  • বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলে বাঙালি জাতিসত্ত্বার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    বঙ্গবন্ধু জন্মেছিল বলে বাঙালি জাতিসত্ত্বার একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বাঙালি নেতা স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, কিন্তু কেউ সফলতা পাননি। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন বিধায় বাঙালি জাতিসত্ত্বার জন্য বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    তিনি বলেন, এই বঙ্গে যারা রাজত্ব করেছে তাদের বিরুদ্ধে এই দেশের যারা বিদ্রোহ করেছেন স্বাধীনতা চেয়েছেন, তাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পলে পলে আন্দোলিত করেন বীর বাঙালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর এই স্লোগানে। এবং তাঁর নেতৃত্বে এই জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হয়েছে। সেই কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। আজকের এই দিনে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

    শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষে এটিএন বাংলা আয়োজিত জয়বাংলা কনসার্র্টে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    এটিএনবাংলা এবং এটিএননিউজের চেয়ারম্যান ড. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে জয়বাংলা কনসার্টে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আবুল কাশেম চিশতি, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউল গনি ওসমানী, পৌনরভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, রাঙ্গুনিয়া কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ একেএম সূজাউদ্দিন, কাপ্তাই ৪১ বিজিবি’র কমান্ডার সাব্বির আহমদ প্রমুখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে তরুণ সমাজ নানাভাবে বিপদগামী হচ্ছে, সেটি থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষার করার জন্য ব্যাপক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রয়োজন। আমরা যদি সমগ্র দেশে একটি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের ঝড় বয়ে দিতে পারি, তাহলে তরুণ সমাজকে বিপথগামীতার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।

    তিনি বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যুব সমাজকে মাদকাসক্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। যুব সমাজকে মৌলাবাদে ঝুঁেক যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে পারে। কারণ মানুষের নির্মল আনন্দের প্রয়োজন রয়েছে। নির্মল আনন্দ ব্যতিরেখে জীবন হতে পারে না। সেজন্য এটিএন বাংলার এই আনন্দ আয়োজনের জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

  • আওয়ামী লীগ সরকারের করা রাস্তাঘাটের গর্ত ভরাট করার ক্ষমতাও নেই বিএনপি’র : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগ সরকারের করা রাস্তাঘাটের গর্ত ভরাট করার ক্ষমতাও নেই বিএনপি’র : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে, শহরের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে গ্রামে। আওয়ামী লীগ সরকার গ্রামে যেসব রাস্তাঘাটগুলো করেছে তার গর্তগুলো ভরাট করার ক্ষমতাও নেই বিএনপির। অথচ ভোট আসলে তারা সুন্দর সুন্দর জামা-কাপড় পড়ে এসে বড় বড় কথা বলবে। এসব মৌসুমি ভোট লুঠেরাদের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার অবদানে দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলে এখন বিশ্বের যেকোন প্রান্ত থেকে ভিডিও কলে দেখে দেখে কথা বলা যায়। এখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে টেলিভিশন, ফ্রিজ, আবার অনেকের ঘরে এসি। এসব ১৪ বছর আগে ছিলনা। আগে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ থাকলেও মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ আসতো। আর এখন বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ যায়। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ শেখ হাসিনার অবদান এবং বদলে যাওয়া বাংলাদেশের চিত্র।

    বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার আয়োজনে সরকারের সামাজিক কর্মসুচির উপকারভোগীদের সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    পৌরসভার মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সাধারন মানুষের মাঝে ২২ প্রকারের ভাতা দিচ্ছে। ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে চাল দেয়া হচ্ছে, এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ৫ কোটি মানুষকে স্বপ্লমূল্যে পণ্য দিচ্ছে, ৫০ লাখ ওএমএস কার্ডের মাধ্যমে, ঈদ এবং পুজোয় বিনাপয়সায় চাল দেয়া হয়। বিনাপয়সায় বছরের প্রথম দিন নতুন বই দেয়া হয়।

    তিনি বলেন, করোনার সময় বিনাপয়সায় টিকা দেয়া হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকারের ঔষধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। আগে ক্ষমতায় জিয়া, খালেদা জিয়া, এরশাদ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারও ছিল। এধরণের ভাতা এবং সাহায্যগুলো আগে কখনো ছিলনা, নৌকা মার্কার সরকার এসব করেছে। করোনার সময়সহ নানা দুর্যোগে বিএনপি নেতাদের পাওয়া যায় না। আওয়ামী লীগ সরকার এবং আমাদের দলের নেতৃবৃন্দ সবসময় মানুষের পাশে থাকে।

    নিজ নির্বাচনী এলাকার জনসাধারণের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, আগে রাঙ্গুনিয়ার মানুষকে নানা আশ্বাস দিয়ে ঠকানো হতো। রাঙ্গুনিয়া থেকে বরাদ্দ কেটে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হতো। আর এখন আমি অন্য জায়গা থেকে বরাদ্দ কেটে রাঙ্গুনিয়ায় আনি। বর্তমানে উন্নয়নে রাঙ্গুনিয়ার চিত্র পাল্টে গেছে। গত ১৪ বছর আমি আপনাদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছি। সবার জন্য আমার দরজা উম্মুক্ত রেখেছি। সামনে নির্বাচন, আশা করি আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজাটি খোলা রাখবেন।

    পৌর কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন ও জসিম উদ্দিন শাহ’র যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, সদস্য ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, উত্তরজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, উত্তরজেলা আওয়ামীলীগ সদস্য আকতার হোসেন খাঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, সাংবাদিক জিগারুল ইসলাম জিগার, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, সরফভাটা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, পৌর কাউন্সিলর তারেকুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

  • প্রকোপ কমায় করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ নেয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা: তথ্যমন্ত্রী

    প্রকোপ কমায় করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ নেয়ার মানুষ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘বিশ্বের ১৩০টি দেশ যখন টিকা দেয়া শুরু করতে পারেনি তখন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এদেশে করোনার টিকা দেয়া শুরু করেছেন। এক এক করে ইতিমধ্যে তিনটি পর্যন্ত ডোজ দেয়া শেষ হয়েছে। এখন চার নাম্বার ডোজ দেয়া হচ্ছে। করোনার প্রকোপ কমায় টিকার চতুর্থ ডোজ নেয়ার মানুষ এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।’

    তিনি বলেন, ‘যখন টিকা দেয়া শুরু করা হয়েছিলো তখন মির্জা ফখরুল, জাফর উল্লাহসহ বিএনপি নেতারা মুখ ভেটকিয়ে টিকার বিরোধিতা করেছিলেন। পরবর্তীতে তারা আবার নিজেরাই টিকা নিয়েছে। তারা লজ্জা ভেঙে কেউ দিনে কেউ আবার রাতে টিকা নিয়েছেন।’

    বুধবার (১৫ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের আয়োজনে সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির উপকারভোগীদের সমাবেশে র্ভাচুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ইউনিয়নের বিরাজ কমিউনিটি সেন্টার মাঠে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নূরুল্লাহ। নাছির উদ্দীন রিয়াজ ও আবু তৈয়ব সিদ্দিকীর যৌথ সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতী, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জামাল উদ্দিন, ইদ্রিছ আজগর, আক্তার হোসেন খাঁন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ’বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার হাজার মানুষকে ভাতা দিচ্ছে, ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামিলি কার্ড, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ঔষধ ফ্রি ঔষধ, বছরের শুরুতে বিনাপয়সায় বইসহ নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে। উন্নয়নে বদলে দিয়েছে পুরো দেশকে। বিএনপি এলে এসব বন্ধ করে দেবে। উন্নয়ন অগ্রযাত্রা থেমে যাবে। যে সরকার দেশের সাধারণ মানুষের জন্য এতোসব করছে সেই সরকারকে একটি করে নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।’

    অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল হোসেন, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রহিম, সিরাজুল করিম সিকদার, পৌরসভা আওয়ামী লীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইদ্রিস মেম্বার, ভাস্কর সাহা, পৌর কাউন্সিলর মাস্টার অলি আহমদ, যুবলীগ নেতা আবু বক্কর, মো. ইব্রাহীম, আবদূর রহিম, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মো. আলী শাহ, ইব্রাহিম খলিল রিফাত, মোহাম্মদ হান্নান প্রমুখ।

  • বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভাতা কেড়ে নিয়ে নেতারাই খেয়ে ফেলবে: তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি ক্ষমতায় এলে ভাতা কেড়ে নিয়ে নেতারাই খেয়ে ফেলবে: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ নানা ধরণের ভাতা পাচ্ছে। বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে সাধারন মানুষের ভাতাগুলো কেড়ে নিয়ে নেতারাই খেয়ে ফেলবে।

    তিনি বলেন, ৯৬ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বিভিন্ন ভাতা চালু করেছিল। ২০০১সালে বিএনপি এসে সেই ভাতা দেয়ার ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। তাদের সময় প্রতি ইউনিয়নে মাত্র দুই-চার পাঁচজনে ভাতা পেত, যারা পেত তারা বিএনপি নেতাদের কাজের ছেলে বা আত্মীয়-স্বজন, সাধারণ মানুষ সরকারের ভাতাসহ নানা সুযোগ সুবিধা পেত না।

    সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। পোমরা ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান জহির আহমেদ চৌধুরী।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বর্তমানে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কয়েকটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। এর মাধ্যমে ৩০ প্রকার ঔষধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে এই কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে সেখানে গরু বেঁধে রেখেছিলো। আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও ক্ষমতায় এসে গরু-ছাগল সরিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনরায় চালু করেছে। বর্তমানে দেশে সবমিলিয়ে ২৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মানুষকে ভাতা দিচ্ছে। রোজা, ঈদ, পূজা-পার্বনে ফ্রি চাল দিচ্ছে, টিসিবি, ফ্যামেলি কার্ডের মাধ্যমে চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ নানাধরণের সহায়তা দিচ্ছে। সন্তান স্কুলে গেলে মায়ের মোবাইলে টাকা চলে আসে। এসব সহায়তা আগের কোন সরকার দেইনি। যে সরকার রাস্তা, ব্রীজ-কালভার্ট করে দেবে, যে সরকার মানুষকে বিনামূল্যে এতো সহায়তা করবে সেই সরকারের পক্ষে থাকা আমাদের সকলের নৈতিক কর্তব্য।

    নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরকারের পাাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে করোনার সময় ফ্রি মাস্ক, সেনিটাইজার এবং পৌনে দুই কোটি টাকার ত্রাণ দিয়েছেন জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রতিটি ঈদ, পূজা-পার্বন এবং দুর্যোগ-দুর্বিপাকে নতুন কাপড়, ফ্রি চাল, ডালসহ নানা সহায়তা দিয়ে আসছি। গত শীত মৌসুমে ১০ হাজার মানুষকে কম্বল দিয়েছি। যারা লম্বা লম্বা কথা বলে সরকারের সমালোচনা করে তারা কোনদিন একমুঠো চাল কাউকে দেইনি। তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতেও নৌকা মার্কার সরকারকে ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় এনে দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহবান জানাই।

    ইউপি সদস্য আলমগীর তালুকদার রণি’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এমরুল করিম রাশেদ, ধর্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দুল আলম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মাস্টার মুসলিম উদ্দিন প্রমুখ।

  • সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তেই আওয়ামী লীগ নানা ভাতা চালু করেছে : তথ্যমন্ত্রী

    সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তেই আওয়ামী লীগ নানা ভাতা চালু করেছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ এখন ভাতা পাচ্ছে। এর বাইরেও ভিজিডি, ভিজিএফ, ফ্যামিলি কার্ডসহ নানা সুবিধা চালু করেছে। যা আগের কোন সরকার করতে পারেনি। সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়তেই আওয়ামী লীগ সরকার নানা ধরনের ভাতা চালু করেছে।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড হয়েছে। ভোট আসলে অনেকে অনেক কথা বলে, অথচ দেশের দুর্যোগ-দুর্বিপাকে কিংবা সাধারণ মানুষের বিপদে তাদের সারা বছর দেখা যায় না। ভোট আসলে যারা বড় বড় কথা বলে তাদের জিজ্ঞেস করবেন আওয়ামী লীগ যে পাকা রাস্তা করেছে ক্ষমতায় গেলে তারা রাস্তার গর্তটুকু আগে ভরাট করতে পারবে কিনা।

    রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের উপকারভোগী সমাবেশে ভার্চুয়াল উপায়ে সংযুক্ত হয়ে পঞ্চগড় সফররত তথ্যমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    কোদালা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাইয়ুম তালুকদার। প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা যুবলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খালেদ মাহমুদ।

    সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথম বয়স্ক ও বিধবা ভাতা প্রচলন করেছিলেন। বিএনপি এসে তা আর বাড়ায়নি বরং অনেক ক্ষেত্রে চরম অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছে। আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ভাতার পরিমাণ ও সংখ্যাও বাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় না আসলে এ সব ভাতা বন্ধ হয়ে যাবে।’

    ড. হাছান বলেন, ‘মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সবার জন্য আমাদের সরকার কাজ করেছে। রাঙ্গুনিয়াতেও হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে গত ১৪ বছরে সকলের জন্য আমার দরজা খোলা রেখেছি। আগামীতে আপনারাও আমার জন্য আপনাদের দরজাটি খোলা রাখবেন এবং আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার আহবান জানাই।

    সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম তালুকদার, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ইদ্রিছ আজগর, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সামশুল আলম তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক নিজাম উদ্দিন বাদশা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বদিউল আলম মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক মো. ইছহাক, যুবলীগ নেতা মো. শোয়াইব, আবদুল জব্বার, মাওলানা নুরুল আজিম প্রমুখ।

  • দেশের পরিবর্তন দেখে খালেদা জিয়ার অন্তর জ্বলে যাচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

    দেশের পরিবর্তন দেখে খালেদা জিয়ার অন্তর জ্বলে যাচ্ছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড়-সমতলে আমূল পরিবর্তন হয়েছে।

    শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক পিন্টু ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। আওয়ামী লীগ কৃষক-শ্রমিকের দল। আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে গড়ে ওঠা দল। আমরা রাজপথ কাউকে ইজারা দিইনি। আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকব। তবে বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমানের দেশের পরিবর্তন সহ্য হচ্ছে না। খালেদা জিয়ার অন্তর জ্বলে যাচ্ছে আর মির্জা ফখরুল বকবক করছেন।

    এ সময় সম্মেলনে ভারত প্রত্যাগত শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, বাসন্তি চাকমা এমপি, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, যুগ্ম-সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু এবং কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, আইন বিষয়ক সম্পাদক রাবেয়া হক ও জাতীয় কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন বাবুর ছাড়াও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।

    এদিকে পিন্টু আচার্যকে সভাপতি এবং খোকন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু।

  • বিএনপির চেঁচামেচির মধ্যেই ফ্রিডম হাউস গণতন্ত্র চর্চা সূচকে একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপির চেঁচামেচির মধ্যেই ফ্রিডম হাউস গণতন্ত্র চর্চা সূচকে একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির চেঁচামেচির মধ্যেই ফ্রিডম হাউস গণতন্ত্র চর্চা সূচকে একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ।

    তিনি বলেন, ‘বিএনপির অব্যাহতভাবে চেঁচামেচি- দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের কথা বলার অধিকার নাই -এগুলোর মধ্যেই ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থা যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশ গত বছরের তুলনায় এক ধাপ এগিয়েছে, ‘তার মানে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহত আছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অগ্রগতি হয়েছে।’

    মন্ত্রী আজ দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউস প্রকাশিত বিশ্ব গণতন্ত্র চর্চা সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে এ কথা বলেন।

    ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি নেতারা প্রতিদিন টেলিভিশনের পর্দায় সকাল-বিকাল-সন্ধ্যা কথা বলে, সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অহেতুক সমালোচনা করে বলে- আমাদের কথা বলার অধিকার নাই। সেটি যে অসার মিথ্যা, তা ফ্রিডম হাউসের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চা অব্যাহতভাবে সুসংগত রয়েছে। এটি আরো হতো যদি বিএনপি সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করত।’

    ‘বিএনপির তো অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্রই নাই’ মন্তব্য করে ড. হাছান বলেন, ‘তাদের সর্বশেষ সম্মেলন কখন হয়েছে সেটা তারা নিজেরাও বলতে পারে না। এক কলমের খোঁচায় বিএনপিতে নেতা হয়, আবার এক কলমের খোঁচায় বাদ যায়। তারা যদি গণতন্ত্র চর্চা করত, দেশে সার্বিকভাবে গণতন্ত্র চর্চায় আরও সহায়ক ভূমিকা রাখত, তাহলে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও অনেক ধাপ এগিয়ে থাকতো।’

    বিএনপি মহাসচিবের ‘সরকারের রশি ধরে টান দেয়ার সময় এসেছে’ এমন বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তারা তো রশি ধরে টান দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর। সরকারকে রশি ধরে টান দিতে গিয়ে সেই রশি ছিঁড়ে পড়ে গিয়ে তাদেরই কোমরটা ভেঙ্গে গেছে। এখন আবার টান দিতে গেলে তাদের কোমর আরো ভেঙ্গে যাবে।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটা মনে রাখতে হবে সরকারের ভিত, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত। এই রশি টানাটানি ১৪ বছর ধরে তারা করেছে, এতে তাদের কোনো লাভ হয়নি বরং নিজেরাই বারবার রশি ছিঁড়ে পড়ে গেছে।’

    ড. ইউনূস সম্পর্কে ৪০ বিশ্বনেতার বিবৃতিটি একটি বিজ্ঞাপন : ড. ইউনূসকে নিয়ে ‘বিশ্বনেতাদের বিবৃতি’র খবর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এটিকে বিবৃতি বলা যাবে না, এটি একটি বিজ্ঞাপন। ওয়াশিংটন পোস্টে প্রায় কোটি টাকা খরচ করে ৪০ জনের নামে একটি বিজ্ঞাপন ছাপানো হয়েছে। বিজ্ঞাপন আর বিবৃতির মধ্যে পার্থক্য আছে।’

    উল্লেখ্য গ্রামীণ টেলিকমের মালিক ও গ্রামীণ ফোনের প্রায় ৩৪ শতাংশের মালিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে বিশ্বের ৪০ জন খ্যাতনামা ব্যক্তির নাম গত ৭ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকায় পুরো এক পাতার বিজ্ঞাপন আকারে ছাপা হয়।

    এ বিষয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ড. ইউনূস বাংলাদেশের জেষ্ঠ্য নাগরিক। তার প্রতি যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, এইভাবে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি আমি বাংলাদেশে দেখি নাই। বিশ্ব অঙ্গনেও এরকম হয় কিনা জানিনা। এরকম বিবৃতি কেনা বা বিজ্ঞাপন দিয়ে বিবৃতি, সেটাকে আবার কোটি টাকা খরচ করে প্রকাশ করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। যেভাবেই হোক ইউনূস সাহেব নোবেল জয়ী। তার পক্ষে এরকম একটা বিবৃতি বিজ্ঞাপন দিয়ে ছাপানো -এটি তার ব্যক্তিত্বকেই খর্ব করেছে। আমার প্রশ্ন- তার এত টাকা কোথা থেকে আসে?’

    ‘নদী ও জীবন রক্ষায় নোঙর এগিয়ে যাক’: এ দিন মতবিনিময় শেষে নদী নিরাপত্তার সংগঠন নোঙর ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট সুমন শামস পরিবেশবিদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের হাতে ‘নদী সংস্কৃতি ও শিল্প-সাহিত্য মুখপত্র নোঙর’ এর ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত নদী সংখ্যার একটি কপি তুলে দেন।

    হাছান মাহমুদ পরিবেশ, নদী ও প্রাণ রক্ষায় নোঙরের দুই দশকের ভূমিকার প্রশংসা ও অগ্রযাত্রা কামনা করেন। ২০০৪ সালের ২৩ মে গভীর রাতে মেঘনা নদীর চাঁদপুরের বাঁকে এমভি লাইটিং সান লঞ্চটি ডুবে সুমন শামসের মা-সহ প্রায় দুইশত মানুষের মৃত্যুর পর থেকে নদী নিরাপত্তা ও পরিবেশ রক্ষার শপথে কাজ করছে নোঙর।

  • ৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী

    ৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দু:খের বিষয়, আজকে স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আস্ফালন করে। আর তাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং যারা দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলাই ৭ই মার্চের শপথ।’

    মঙ্গলবার সকালে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

    ড. হাছান বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে তার কালজয়ী ভাষণের মাধ্যমে একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন- এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এবং তিনি বলেছিলেন- তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থেকো শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে। তার এই বক্তব্যে আমাদের নিরস্ত্র জাতি সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তরিত হয়েছিল।’

    ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর অন্যতম এবং বঙ্গবন্ধু যে আসলেই রাজনীতির কবি ছিলেন, তার ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সেটি আরো পরিস্ফুটিত হয়েছে’ উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চই কার্যত: বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এমনভাবে ঘোষণা করেছিলেন যে তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবেও আখ্যা দেওয়ার কোনো সুয়োগ তিনি পাকিস্তানিদের দেননি।’

    হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ঢাকা থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে রিপোর্ট দিয়েছিল- চতুর শেখ মুজিব এমনভাবে কার্যত পাকিস্তানের স্বাধীনতাই ঘোষণা করে দিয়েছেন কিন্তু আমাদের চেয়ে চেয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া কোনো কিছুই করার ছিল না।’

     

  • দেশের ৭০ ভাগ মানুষ কৃষি অর্থনীতির উপর নির্ভরশীল: তথ্যমন্ত্রী

    দেশের ৭০ ভাগ মানুষ কৃষি অর্থনীতির উপর নির্ভরশীল: তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গ্রামীন অর্থনীতি হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি। দেশের ৭০ ভাগেরও বেশি মানুষ কৃষি অর্থনীতির উপর নির্ভরশীল।

    তিনি বলেন, আজ থেকে ২০/৩০ বছর আগে শুধুমাত্র নগর কেন্দ্রিক ব্যাংকের শাখা থাকতো। আমাদের সরকার নিয়ম করে দিয়েছে, নতুন ব্যাংক খোলার ক্ষেত্রে অর্ধেক নগরে হলে বাকী অর্ধেক শাখা গ্রামীন এলাকায় করতে হবে। যাতে গ্রামের মানুষ ব্যাংকিং সুবিধা পাই।

    সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এবি ব্যাংক লিমিটেডের আয়োজনে আট শতাধিক কৃষি কার্ডধারী কৃষকের মাঝে স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    এবি ব্যাংক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজালের সভাপতিত্বে ঋণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ড. প্রকাশ কান্তি চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, এবি ব্যাংকের হেড অব বিজনেস ইফতেখার এনাম আউয়াল প্রমুখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়া একটি বর্ধিঞ্চু জনপদ। এখানকার প্রায় এক লাখ মানুষ প্রবাসে থাকেন। তারা নিয়মিত রেমিটেন্স পাঠান। তারা রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকিং শাখাগুলোর মাধ্যমকেই বেছে নেন।

    তিনি বলেন, আগে বিভিন্ন এনজিও’র পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হতো। তারা মানুষকে এমন চাপ প্রয়োগ করতো তাতে অনেক ক্ষেত্রে ঋণ নেয়ার পর তিন-চারগুণ দেয়ার পরও শোধ হতো না। একারণে সারাদেশের অনেক জায়গায় ঋণ গ্রহিতাদের আত্মহত্যার খবর শোনা যায়। সেক্ষেত্রে তফসিলি ব্যাংকের ঋণ বিতরণ কার্যক্রম সাধারন মানুষ ও কৃষকের জন্য অনেক সহজ এবং এনজিওগুলোর তুলনায় অনেক বেশি ভাল হবে। গ্রামীন অর্থনীতির ক্ষেত্রে এটি অনেক বেশি ইতিবাচক হবে।

    শেষে রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকার আট শতাধিক কৃষককে স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ করা হয়। এরআগে ফিতা কেটে ইছাখালীস্থ আলম শাহ মার্কেটে এবি ব্যাংকের উপ-শাখার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অতিথিরা।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন এবি ব্যাংক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আফজাল, এবি ব্যাংক’র হেড অব বিজনেস ইফতেখার এনাম আউয়াল, উর্দ্ধতন কর্মকর্তা জে এম বাবর খাঁন, বদরুদ্দোজা মিনার, মো. ফোরকান, রাঙ্গুনিয়া ইউসিসিএ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ডিজিএম জুয়েল দাশ, কৃষকলীগ নেতা মনছুর উদ্দিন প্রমুখ।

  • শুধু ভুলত্রুটি নয়, সাফল্যেরও প্রচার প্রয়োজন : টিভি বার্তা সম্পাদকদেরকে তথ্যমন্ত্রী

    শুধু ভুলত্রুটি নয়, সাফল্যেরও প্রচার প্রয়োজন : টিভি বার্তা সম্পাদকদেরকে তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশ পরিচালনায় সাফল্যের পাশাপাশি কিছু ভুলত্রুটি থাকে কারণ কোনো সরকার পৃথিবীতে শতভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারে না। অতীতেও পারে নাই, এখনও পারবে না, ভবিষ্যতেও না। সে কারণেই শুধু ভুলত্রুটি নয়, সাফল্যটাও তুলে ধরতে হয়।’

    রোববার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর বার্তা প্রধান ও সম্পাদকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি আরো বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু বিরোধীদলের কথা শুনলে তা মনে হয় না। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ঐ পারে গিয়ে তারা বলে যে, ‘দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি’। সেই বক্তব্যগুলো আবার সবক’টি টেলিভিশনে ভালোভাবে প্রচার হয়। সবার বক্তব্যই প্রচার হতে পারে, কিন্তু সত্যি ঘটনাটাও প্রচার হতে হবে, তাহলে মানুষ সঠিক উপসংহারে উপনীত হবে।’

    তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর বার্তা প্রধান ও সম্পাদকবৃন্দ বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে মালিকদের কথা শুনতে হয়, কিন্তু প্রতিদিন ‘ডে-টু-ডে এফেয়ার, আওয়ার-টু-আওয়ার এফেয়ার’ বার্তা প্রধানরা, সম্পাদকরা করেন। কোন সংবাদটা যাবে বা যাবে না, কতটুকু যাবে, কোন বাইট যাবে, সেটি আপনারাই নির্ধারণ করেন। সুতরাং গণমাধ্যম কি পরিবেশন হচ্ছে সেই নিয়ন্ত্রণটা আপনাদের হাতে। এ জন্যই আপনাদের সাথে আমি বসতে চেয়েছি।’

    ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে বেসরকারি টেলিভিশনের যাত্রাটাই শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে। ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর তার হাত দিয়ে প্রথমে ইটিভি তারপর এটিএন বাংলা, চ্যানেল আইয়ের যাত্রা শুরু হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এখন পর্যন্ত আমার জানামতে ৩৬টি প্রাইভেট টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে আরো কয়েকটি খুব সহসা সম্প্রচারে আসবে।’

    তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশে গত ১৪ বছরে বেসরকারি টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকা এবং অনলাইন সংবাদ পোর্টাল সবকিছুর এক্সপোনেনসিয়াল গ্রোথ হয়েছে এবং মেধাবীরা কাজের সুযোগ পেয়েছেন। প্রাইভেট টেলিভিশন ১০টি থেকে ৩৬টি, দৈনিক কাগজের সংখ্যা সাড়ে ৪শ’ থেকে সাড়ে ১২শ’, হাতেগোনা কয়েকটি থেকে অনলাইন পোর্টাল কত হাজার সেটা পরীক্ষা নিরীক্ষার বিষয়।’

    সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যম মানুষের মনন তৈরি করে, মানুষের কাছে সমাজের বিশ্বের চিত্র পরিস্ফুটন করে এবং তা থেকে মানুষ তার ধারণাটা তার নিজের কল্পে সংগ্রহ করে। সে জন্য গণমাধ্যমে কিভাবে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। একইসাথে টেলিভিশনের দায়িত্ব আমাদের সংস্কৃতিচর্চা এবং সমাজের অনুন্মোচিত বিষয়গুলো উন্মোচন করা। সমাজ যে দিকে তাকায় না রিপোর্টের মাধ্যমে সেগুলোকে তুলে আনা যাতে সমাজ ও সরকার সেদিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। অর্থাৎ মানুষের মনন, দেশ, সমাজ গঠনে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় টিভি চ্যানেলের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতি, যুদ্ধ ও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে চাঙ্গা রেখেছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির চাকা শুধু সচল আছে তা নয়, আমাদের জিডিপিও বাড়ছে। ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিল ৭৬ কি ৮০ বিলিয়ন ডলার এখন তা পাঁচ গুণেরও বেশি বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫০০ বিলিয়ন ডলার। মাথাপিছু আয় ছিল ৬শ’ ডলার, এখন ২ হাজার ৮শ’ ৮৪ ডলার, যেটি ভারতকে ছাড়িয়েছে। আর সামাজিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য, মানবউন্নয়নসহ সব সূচকে পাকিস্তানকে আমরা ৭-৮ বছর আগে ছাড়িয়েছি। বিশ্বের পত্রপত্রিকা-গণমাধ্যমে আমাদের প্রশংসা হচ্ছে, দেশে সব গণমাধ্যমে তেমনটি নেই।’

    নিজ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার পর আমি চেষ্টা করেছি গণমাধ্যমকে সুরক্ষা দেওয়া জন্য। দেশের টেলিভিশনের কোনো সিরিয়াল ছিলো না, সেটা আমরা শুরুতেই ঠিক করেছি। বিদেশি টেলিভিশনে অবৈধ বিজ্ঞাপন বন্ধ করতে পারবো কেউ ভাবেনি, টেলিভিশনের মালিক পক্ষও ভাবেনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে এমনকি ভারতের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীকেও জানিয়ে সেটি আমরা কঠোর হস্তে করেছি। ৩০ বছর পর আমি দায়িত্ব নিয়ে সারা ভারতবর্ষে ফ্রি ডিটিএইচ ডিসের মাধ্যমে বিটিভি সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছি। আমাদের শিল্পীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য টিভি চ্যানেলগুলোতে বিদেশি সিরিয়ালের যথেচ্ছ প্রচার নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, বিজ্ঞাপনে বিদেশি শিল্পীদের ক্ষেত্রে বাড়তি কর দেওয়ার বিধান চালু করেছি।’

    বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না’ এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেবরা ২০১৮ সালের আগেও একই ধরণের বক্তব্য রেখেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত বিশাল জোট করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তখন মানুষ বলেছিল ‘গাধা জল ঘোলা করে খায়’। এবারও তারা একই কথা বলছেন।’

    তিনি বলেন, ‘দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধিনে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং বিএনপি তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক। নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও থাকবে। সুতরাং তাদের নির্বাচন নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আশা করবো তারা নির্বাচন ভীতি কাটিয়ে উঠে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’

    সংবাদপত্রে চাকরিরতদের জন্য ওয়েজবোর্ড আছে কিন্তু বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোতে নির্দিষ্ট বেতন কাঠামো নেই -এ প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েজবোর্ড সংসদে পাশ করা আইন, যা পরিবর্তন করতে হলে আইনটিই পরিবর্তন করতে হবে। সম্প্রচারমাধ্যম সহ গণমাধ্যমকর্মীর আইনি সুরক্ষার জন্য গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে। এটি পাস হলে সেই সুরক্ষা হবে।’