Tag: তদন্ত কমিটি

  • বিএম ডিপো ট্র্যাজেডি: আরও সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি

    বিএম ডিপো ট্র্যাজেডি: আরও সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি আরও পাঁচদিন সময় চেয়ে আবেদন করেছে। রোববার দুপুরে তদন্ত কাজে আরও সময় চেয়ে বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের কাছে আবেদন করেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

    এর আগে ঘটনা তদন্তে নয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিভাগীয় কমিশনার। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, এখনও তদন্তের বেশকিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই তদন্ত কাজে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় চেয়ে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি জাকির হোসেন খান, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার আবু নুর রাশেদ আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলার পরিচালক মুফিদুল আলম, সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ার ব্যাটালিয়নের মেজর আবু হেনা মো. কাউসার জাহান, চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম ও চট্টগ্রামের বিস্ফোরক পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। কমিটিতে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুমনী আক্তারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।

    চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সেই সময় এখনও শেষ হয়নি।

    এই কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (স্থানীয় সরকার) বদিউল আলম বলেন, এরইমধ্যে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাও বলেছি। নির্ধারিত সময় শেষ হতে এখনও আরও সময় বাকি রয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।

  • সিলেটে ৩২ ঘণ্টা পর সচল হলো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা,তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন

    সিলেটে ৩২ ঘণ্টা পর সচল হলো বিদ্যুৎ ব্যবস্থা,তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন

    সিলেট প্রতিনিধি : প্রায় ৩২ ঘন্টা পর সিলেট নগরে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা সচল হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে নগরের কিছু কিছু এলাকায় পর্যায়ক্রমে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়। তবে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ফিরলেও জেলার বেশিরভাগ এলাকাই এখন পর্যন্ত অন্ধকারে রয়েছে।

    তবে নগরের সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হবে বলে জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন ও বিতরণ বিভাগ সিলেটের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন।

    এরআগে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সিলেটের কুমারগাঁওয়ে জাতীয় গ্রিড লাইনে আগুন লেগে যায়। এরপর থেকেই বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে পুরো সিলেট। এছাড়া সুনামগঞ্জের কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে বিপাকে পড়েন এই দুই জেলার বিদ্যুতের প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহক।

    মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে ফায়ার সার্ভিস। তবে আগুনে পুড়ে যায় দুটি ট্রান্সমিটার ও একটি কন্ট্রোল প্যানেল। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার পরই ক্ষতিগ্রস্থ যন্ত্রপাতি মেরামতে নামেন বিদ্যুত বিভাগের প্রায় ৪শ’ কর্মী। ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয় ট্রান্সমিটার। টানা প্রায় ২৭ ঘন্টা মেরামত কাজের পর বুধবার সন্ধ্যা ৬টার পর বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হতে থাকে। তবে টানা বিদুৎহীনতার কারণে মঙ্গলবার থেকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নগরবাসীকে। বিদ্যুৎহীনতার সাথে দেখা দেয় পানির সঙ্কট। ফলে নগরজুড়ে দেখা দেয় হাহাকার।

    এদিকে, সিলেট শহরতলির কুমারগাঁও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) ১৩২/৩৩ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনস্থাল পরিদর্শন করেছেন। অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিরুপনে বুধবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলের দিকে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে দায়ী করা হয়নি এবং কাউকে শাস্তিও পেতে হয়নি। পিজিসিবির সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    সিলেটের কুমারগাঁও বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলের দিকে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় পাওয়ার গ্রিড কাম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)। গঠিত কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে নির্বাহী পরিচালক (ওএন্ডএম) পিজিসিবি বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়।

    পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ট্রান্সমিশন ২) এর প্রধান প্রকৌশলী সাইফুল হককে আহ্বায়ক করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বি এম মিজানুর রহমান, মোহাম্মদ ফয়জুল কবির ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (শ্রীমঙ্গল) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্বাস উদ্দিন।

    মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় সিলেটের কুমারগাঁও উপকেন্দ্রের পাওয়ার ট্রান্সফরমার। পিজিসিবি, পিডিবি ও আরইবির টিম সমন্বিতভাবে বিরামহীন কাজ করে। সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা মেরামত কাজের তদারকি করেন। এদিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পাওয়ার ট্রান্সফরমার পুড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে পুরো সিলেট নগরী। এতে মানুষের স্বাভাবিক কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটে। দেখা দেয় পানির তীব্র সংকট। পানির জন্য মানুষ হন্তদন্ত হয়ে ছুটেছেন বিভিন্ন জায়গায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় নগরীরের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের খবর পাওয়া গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম/বাপ্পা

  • চবির এ এফ রহমান হলে ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

    চবির এ এফ রহমান হলে ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চবি প্রতিনিধি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

    এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী এ কমিটি গঠন করেন। সেই সাথে কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রভোস্ট বরাবর প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

    বুধবার (১১ মার্চ)বিষয়টি নিশ্চিত করে খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, ‘হল ভাঙচুরের ঘটনায় চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। হলের সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক মো. ফারুক হোসেনকে আহবায়ক ও আবাসিক শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক সুদীপ্ত শর্মা, সহকারী অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন ও প্রভাষক কাজী রবিউল ইসলামকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

    উল্লেখ্য যে, গত ৬ মার্চ এক কর্মীকে মারধর করাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ বিজয়ের সাথে কনকর্ড ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়।

    এ সময় ছয় রাউন্ড ফাঁকা গুলি, পাঁচটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রলীগের কর্মীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের ৮৭টি রুম ভাঙচুর ও লুটপাট করে হামলাকারীরা।

  • পাথরঘাটা বিস্ফোরণ : নিহতের পরিবার পাচ্ছে ২০ হাজার টাকা, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    পাথরঘাটা বিস্ফোরণ : নিহতের পরিবার পাচ্ছে ২০ হাজার টাকা, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানা পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোড বড়ুয়া ভবনে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিষ্ফোরণের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। তিনি আজ রবিবার বেলা পৌণে ১২টার সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ নির্দেশনা দেন।

    তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সিডিএ, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ সমন্বয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেটকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

    এছাড়া জেলা প্রশাসক উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ৭ জনের দাফন কাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ দেওয়া হবে এবং জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে আহতদের চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব নিয়েছেন।

    এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও সিএমপির উদ্ধতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

    এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনার পর সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের নির্দেশে সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলামসহ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে প্রাথমিক তদন্তে বলেছেন দুর্ঘটনা কবলিত ভবনটি নিডিএর বিধি অনুযায়ী হয়নি।

    সড়কের জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে সেপটিক ট্যাংক তার পাশে কিচেন এবং গ্যাসের রাইজার রাখা ছিলো। ফলে সেপটি ট্যাংকের জমে থাকা গ্যাস ও গ্যাস লাইনের লিকেজ একসাথে হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে সিডিএর এ পরিকল্পনাবিদ।

  • ছাত্রলীগের টর্চার সেলের সন্ধান রাজশাহী পলিটেকনিকে

    ছাত্রলীগের টর্চার সেলের সন্ধান রাজশাহী পলিটেকনিকে

    রাজশাহী পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে ছাত্রলীগের টর্চার সেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা এ টর্চারসেলের সন্ধান পেয়েছেন।

    রোববার বিকালে তদন্ত কমিটির সদস্যরা তদন্ত চলাকালে এ টর্চার সেলের সন্ধান পান।

    এ সময় তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সিসিটিভির ফুটেজ দেখেন।

    রাজশাহী পলিটেকনিকের পুকুরের পশ্চিম পাশের ভবনের ১১১৯ নম্বর কক্ষে এ টর্চার সেল থেকে লোহার রড, পাইপ ও লাঠি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সেগুলো পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়।

    এ সময় তদন্ত কমিটির কাছে কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্র জানান, ওই টর্চার সেলটি ছাত্রলীগের। ওই কক্ষের সামনে ছাত্রলীগের টেন্ট। ছাত্রলীগের নেতাদের কথা না শুনলে সেখানে নিয়ে শিক্ষার্থীদের টর্চার করা হয়।

    এ ছাড়াও এ সময় ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষক এবং অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলেন।

    অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত এবং পুকুরে ফেলে দেয়ার ঘটনায় কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক পত্রে কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের আরেক পরিচালক (পিআইডব্লিউ) এসএম ফেরদৌস আলমকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

    এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (কারিকুলাম) ড. নুরুল ইসলাম এবং রাজশাহী মহিলা পলিকেনিটক ইন্সটিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ওমর ফারুককে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।

    তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক এসএম ফেরদৌস আলম বলেন, রোববার সকালে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বিকালে আমরা দুইজন ঢাকা থেকে বিমানে রাজশাহী এসেছি। আর কমিটির অপর সদস্য রাজশাহীতে ছিলেন। রাজশাহী পৌঁছেই আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তদন্ত করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

    টর্চার সেল নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ফেরদৌস আলম বলেন, সব বিষয়ে আমরা তদন্ত করছি। অধ্যক্ষ, শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলছি। পরিপূর্ণ তদন্তের পরই কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

    এ দিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, টর্চার সেলের ওই কক্ষটিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধরে এনে রড ও লাঠি দিয়ে নির্যাতন করা হয়। এখানে চলে ফ্রি স্টাইলে মারধর।

    ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কোনো বিষয়ে কথা বললে বা তাদের কোনো অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করলেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন। এ ছাড়া যত অপকর্ম আছে তার পরিকল্পনা এখানেই করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এমনকি শিক্ষকের সামনেই ক্লাস থেকে সাধারণ ছাত্রদের ধরে এখানে এনে নির্যাতন করা হয় বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

    তদন্ত কমিটির সামনে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নূর উল্লাহ জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে একটি নির্দিষ্ট চত্বরে বসে এবং বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে নিরীহ শিক্ষার্থীদের প্রায়ই মারধর করে। এর আগে এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের প্রতিবাদ করায় তার পরও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আক্রমণ চালায়। পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনে বাধা দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের চেয়ার তুলে মারতে আসে।

    ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন অবৈধ দাবি নিয়ে সব সময় ঝামেলা করে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন।

    তিনি তদন্ত কমিটির সামনে বলেন, পরীক্ষায় শূন্য পেলেও পাস করিয়ে দিতে হবে, একদিনও ক্লাসে আসেনি এমন শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিতে হবে, এমন সব অযৌক্তিক দাবি করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের ছেলেরা কেউই ক্লাস করে না। প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত পোশাকও পরে না।

    অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ওই কক্ষটি জোর করে নিয়ে ছাত্রলীগের ছেলেরা ব্যবহার করে। সেখানে বসে তারা বিভিন্ন সময় আড্ডা বা মিটিং করে। তবে শুনেছি তারা ওই কক্ষটি টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করত। তবে এ নিয়ে কেউ কোনোদিন আমার কাছে অভিযোগ করেনি।

    ছাত্রলীগের ছেলেদের বিরুদ্ধে শিক্ষক বা ছাত্র সবাই অভিযোগ দিতে ভয় পায় বলে এ সময় জানান তিনি।