Tag: তরমুজ

  • প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়া যাচ্ছে তরমুজ

    প্রথমবারের মতো মালয়েশিয়া যাচ্ছে তরমুজ

    চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো রপ্তানি হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন সুস্বাদু ফল তরমুজ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (রেফার্ড) একটি কনটেইনারে করে মালয়েশিয়ায় চালানটি রপ্তানি করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে সফল হলে দেশে উৎপাদিত এ ফল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো যাবে। এতে করে আয় করা যাবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

    বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হতে যাওয়া তরমুজগুলো উৎপাদিত হয়েছে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায়। ওই উপজেলা কৃষি দপ্তরের পরামর্শ ও নির্দেশনায় এগুলো উৎপাদন করা হয়। দুজন উদ্যোক্তা কঠোর পরিচর্যার মাধ্যমে রপ্তানিযোগ্য এসব তরমুজ উৎপাদন করেছেন। প্রাথমিকভাবে দুই কৃষকের মোট ১৩ হাজার ৩২০ কেজি ওজনের তরমুজ রপ্তানি করা হচ্ছে। আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে চালানটি মালয়েশিয়া পৌঁছাবে।

    বগুড়া শিবগঞ্জ কৃষি দপ্তর থেকে জানা যায়, মালয়েশিয়ায় রপ্তানি হতে যাওয়া তরমুজগুলো উপজেলার মহস্তান গ্রামের কৃষক জাকির ফরাজি ও মুকুল মিয়ার ক্ষেতে উৎপাদন হয়েছে। তাদের ক্ষেতে উৎপাদিত তরমুজ রপ্তানি করছে চট্টগ্রামের হালিশহরের সাত্তার ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো তরমুজ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। রেফার্ড কনটেইনারে চালানটি গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। একই কনটেইনারে ৮ হাজার ৭০০ কেজি টমেটোও মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে।

    চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ কেন্দ্রের প্যাথলজিস্ট সৈয়দ মুনিরুল হক বলেন, আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ উৎপাদিত হয়। এসব তরমুজ যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর। বাহরাইন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তরমুজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো তরমুজ রপ্তানি হচ্ছে। এটি অত্যন্ত সুখবর। দেশে উৎপাদিত তরমুজ এভাবে বিদেশে রপ্তানি করা গেলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যাবে।

    বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মুজাহিদ সরকার বলেন, উপজেলার কয়েকজন কৃষক নিজস্ব উদ্যোগে বিদেশে রপ্তানির জন্য তরমুজ উৎপাদন করেছে। আমরা উৎপাদনের সময় বেশ কয়েকবার তদারকি করেছি। কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। প্রথমবারের মতো দুজন কৃষকের প্রায় ১৩ হাজার কেজি তরমুজ রপ্তানি হচ্ছে। তরমুজগুলো আমরা যাচাই করেছি। এগুলোতে কোনো পোকার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

  • ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে রসালো ফল তরমুজ

    ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে রসালো ফল তরমুজ

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে এসেছে গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল তরমুজ। কিন্তু দাম বেশি থাকার কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ফলটি। বছরের নতুন ফল দেখে অনেকেই খুব আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন দোকানে। কিন্তু দাম শুনে হতবাক। ক্রেতারা যতটুকু আগ্রহ নিয়ে দোকানে যাচ্ছেন, দাম শোনার পর দ্বিগুণ অনাগ্রহে ফিরে যাচ্ছেন।

    ঠাকুরগাঁওয়ের রাস্তায় ফলের দোকানে তরমুজ নিয়ে বসেছেন কবির নামের এক দোকানদার। একজন গ্রাহক মাঝারি সাইজের একটি তরমুজের দাম জিজ্ঞেস করলেন। দোকানদার দাম চাইলেন ১৮০ টাকা। দাম শুনে ক্রেতা অনেকটা হতবাক। প্রথমে কথাই বলছিলেন না। পরে তরমুজের দিকে তাকিয়ে বললেন, বিক্রি করার জন্য না দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছেন? দোকানি বললেন কী করবো ভাই, মোকামেই দাম অনেক বেশি। শেষে দোকানি বললেন, একদাম ১৬০ টাকা, নিলে নেন না নিলে যান। ক্রেতা আর কিছু না বলে চলে গেলেন।

    গত বছর যে তরমুজ ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ঠিক সে আকারের তরমুজ এবার ২০০ থেকে ২৫০টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। ক্রেতারা শুধু আসছেন, দেখছেন আর চলে যাচ্ছেন।

    কারণ, ২০০ টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কিনে খাওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। যেটা সবচেয়ে ছোট আকারের তরমুজ সেটার দামও ১৫০ টাকা। যা গেল বছর ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

    এখানে বড় আকারের একটি তরমুজের দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। ক্রেতা না নেয়ায় এ ঘটনা ঘটে।

    কিছুক্ষণ পর একই দোকানে আরেকজন গ্রাহক এলেন। তিনি এক কেজি আপেল আর মাঝারি আকারের একটি তরমুজের দাম জিজ্ঞেস করলে দোকানি দাম চান ৩০০ টাকা।

    ক্রেতা বললেন তাহলে  আপেল ব্যাগটা দেন। দোকানি তখন বার বার বলছিলেন- তরমুজের দাম কত দিবেন? ক্রেতা বললেন আবাদত এত দামে- তরমুজ নেবো না।রুহিয়া চৌরাস্তায় পবিত্র নামে এক ক্রেতা বলেন, যে দাম! এতো দামের তরমুজ খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কিছুদিন পরেই দাম কমবে, তখন কিনবো।ঐ এলাকার তরমুজের দোকানদার রবিউল বলেন, আমাদের কী করার আছে। মোকাম থেকে চড়া দামে কিনে আনতে হয়। যখন কম দামে কিনে আনতে পারবো, তখন কম দামেই বিক্রি করবো।

  • অভিনব কায়দায় পেঁয়াজ ও তরমুজের ভেতরে ইয়াবা-ফেনসিডিল

    অভিনব কায়দায় পেঁয়াজ ও তরমুজের ভেতরে ইয়াবা-ফেনসিডিল

    নিত্য নতুন অভিনব কায়দায় ভারত থেকে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে দেশের ভেতর পাচার হয়ে আসছে ইয়াবা ও ফেনসিডিল। এর জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছে গবাদিপশু, ফল ও সবজি।

    বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলার মতো কুমিল্লা সীমান্ত দিয়েও অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশে ঢুকছে বিপুল পরিমাণ মাদক।

    দেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলার মতো কুমিল্লা সীমান্ত দিয়েও অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশে ঢুকছে বিপুল পরিমাণ মাদক। মাদক চোরাচালানের পাশাপাশি, কুমিল্লাসহ এর আশপাশের জেলাগুলোতে বেড়ে চলেছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। প্রতিনিয়ত অভিনব সব কৌশল ব্যবহার করে অব্যাহত রাখা হচ্ছে মাদক চোরাচালান।

    মাদক চোরাচালান দমনে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ ও র‌্যাবসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে মাদক পাচারে নতুন কৌশল নিয়েছে কুমিল্লায় মাদক চোরাচালানকারীরা।

    ভারত থেকে রাতে আসা গরুর পেটের সাথে বেঁধে আনা হচ্ছে গাঁজা। চোরাচালানীদের ভাষায় এটি হলো ‘ক্যাটল কেরিং’। বড় পেঁয়াজের ভেতরের অংশ ফেলে দিয়ে তার মধ্যে এবং অভিনব পন্থায় আখের ভেতরে ঢুকিয়ে আনা হচ্ছে ইয়াবা ট্যাবলেট। কনডমের মাধ্যমেও ইয়াবা মানুষের মুখ বা পায়ূপথ দিয়ে পেটে ঢুকিয়ে দেশে আনা হচ্ছে।

    এ ছাড়াও কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা ধরনের মৌসুমী ফল তরমুজ, কাঁঠাল, লাউ, কুমড়ার ভেতর ঢুকিয়ে ভারত থেকে আনা হচ্ছে ফেনসিডিল, ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য। ছোট-বড় নানা যানবাহনে করেও বিভ্ন্নি কৌশলে ভারত থেকে মাদক আসছে। যা পরবর্তিতে ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে।

    প্রতিদিনই পরিবর্তিত হচ্ছে মাদক পাচারের ধরন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থার হাতে হরহামেশা মাদকের চালান ধরা পড়লেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মূল হোতারা। আর মাদকসহ যারা ধরা পড়ছে, তাদের অধিকাংশই বহনকারী। যারা অল্প কিছু টাকার বিনিময়ে বহন করছে সর্বনাশা এসব মাদক।

    কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- হেরোইন, গাঁজা, ফেনসিডিল, ইয়াবা, বিয়ার, বিভিন্ন ধরনের মদ, রিকোডেক্স সিরাপ, সেনেগ্রাসহ নানা প্রকার মাদক ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় ইনজেকশান।

    এ বিষয়ে কুমিল্লার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ মাঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘কিছুদিন আগেও ইয়াবা ট্যাবলেট মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার হয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার হতো। বর্তমানে মিয়ানমার থেকে সরাসরি ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে কুমিল্লায় ঢুকছে।’

    কুমিল্লা সীমান্তে মাদক চোরাচালান রোধে বিজিবির পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর কাজ করছে উল্লেখ করে মাঞ্জুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘চোরাকারবারীরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করলেও, আমরাও পাল্টা কৌশল নিচ্ছি। মাদকসহ তাদেরকে আটক করা হচ্ছে। মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের প্রয়াস সার্বক্ষণিক থাকবে।’